SEBA Class 7 Science Chapter 11 প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Syllabus of SEBA Class 7 Science Chapter 11 প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র Question Answer in Bengali. সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই প্রশ্ন উত্তর Are you a Student of (Secondary Education Board of Assam). SEBA Class 7 Science Chapter 11 প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র Notes in Bengali Which you can Download PDF Notes SEBA Class 7 Science Chapter 11 প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র Solutions for free using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Science Chapter 11 প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র

Today’s We have Shared in This Post, SEBA Class 7 Science Chapter 11 প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র Solutions in Bengali for Free with you. SEBA Class 7 Science Chapter 11 প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র in Bengali Notes I Hope, you Liked The information About The Class 7th Science Question Answer in Bengali. if you liked SEBA Class 7 Science Textbook Question Answer in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ‘ ক ‘ অংশের সাথে ‘ খ ’ অংশের কাজগুলো মেলাও : 

‘ ক ’ অংশ‘ খ ’ অংশ
( ক ) পত্ররন্ধ্র( ক ) জল শোষণ 
( খ ) জাইলেম( খ ) প্রস্বেদন
( গ ) মূলরোম( গ ) খাদ্য পরিবহন
( ঘ ) ফ্লোয়েম( ঘ ) জল পরিবহন
( ঙ ) কার্বহাইড্রেটের ভাঙন

উত্তরঃ        

‘ ক ’ অংশ‘ খ ’ অংশ
( ক ) পত্ররন্ধ্র( ক ) প্রস্বেদন 
( খ ) জাইলেম( ঘ ) জল পরিবহন
( গ ) মূলরোম( ক ) জল শোষণ
( ঘ ) ফ্লোয়েম( গ ) খাদ্য পরিবহন

প্রশ্ন ২। শূন্যস্থান পূর্ণ করো : 

( ক ) __________ এর মাধ্যমে হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরের অন্যান্য অংশে পৌঁছায় । 

উত্তরঃ ধমনী ।

( খ ) হিমোগ্লোবিন __________ কোষে থাকে। 

উত্তরঃ লোহিত রক্ত । 

( গ ) ধমনী এবং শিরার __________  জালিকাকে বলে ।

উত্তর কৈশিক নলিকা ।

( ঘ ) হৃদপিণ্ডের প্রসারণ এবং সংকোচনকে __________  বলে।

উত্তরঃ হৃদস্পন্দন । 

( ঙ ) মানবদেহের প্রধান বর্জিত পদার্থ হল __________ __________  ।

উত্তরঃ ইউরিয়া । 

( চ ) ঘামে জল ও __________  থাকে । 

উত্তরঃ লবণ । 

( ছ ) বৃক্ক শরীর থেকে তরল আকারে যে বর্জিত পদার্থ বের করে তাকে __________ বলে । 

উত্তরঃ মূত্র । 

( জ ) গাছের অনেক উপরে যে জল উঠে তা __________  প্রক্রিয়ার জন্য হয় । 

উত্তরঃ প্রস্বেদন । 

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -1উদ্ভিদের পরিপুষ্টি
অধ্যায় -2প্রাণীর পরিপুষ্টি
অধ্যায় -3তন্ত্র থেকে বস্ত্ৰ
অধ্যায় -4তাপ
অধ্যায় -5অম্ল , ক্ষার ও লবণ
অধ্যায় -6ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন
অধ্যায় -7আবহাওয়া , জলবায়ু এবং জলবায়ুর সঙ্গে প্রাণীর অভিযোজন
অধ্যায় -8বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু
অধ্যায় -9মাটি
অধ্যায় -10জীবদেহে শ্বসন
অধ্যায় -11প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র
অধ্যায় -12উদ্ভিদের প্রজনন
অধ্যায় -13গতি ও বল
অধ্যায় -14বিদুৎ প্রবাহ ও তার প্রভাব
অধ্যায় -15আলোক
অধ্যায় -16জল একটি অমূল্য সম্পদ
অধ্যায় -17বনাঞ্চল : আমাদের জীবনরেখা
অধ্যায় -18বর্জিত জলের গল্প

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে বের করো :

( ক ) গাছে জল পরিবাহিত হয়— 

( i ) জাইলেম ।

( ii ) ফ্লোয়েম ।

( iii ) পত্ররন্ধ্র ।

( vi ) মূলরোম ।

উত্তরঃ ( i ) জাইলেম । 

( খ ) মূলের দ্বারা জল শোষণের পরিমাণ বাড়ানো হয় যদি গাছকে রাখা হয়— 

( i ) ছায়াতে ।

( ii ) অতি কম আলোতে ।

( iii ) পাখার নীচে ।

( vi ) পলিথিন ব্যাগ দ্বারা ঢেকে । 

উত্তরঃ ( iii ) পাখার নীচে । 

প্রশ্ন ৪। প্রাণী বা উদ্ভিদের উপাদানসমূহের পরিবহন কেন প্রয়োজন ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ উদ্ভিদ বা প্রাণীই হউক সকলপ্রকার জীবের বেঁচে থাকার জন্য পদার্থগুলি পরিবহনের প্রয়োজন । এটি নিম্নলিখিতভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে । 

( i ) প্রাণীরা হজম হওয়া আহার ও জল এবং ফুসফুস থেকে অক্সিজেন শরীরের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে । তাছাড়া প্রাণীরা তাদের দেহে উৎপন্ন বর্জ্যপদার্থগুলিকে বর্জন করা স্থানে পরিবহন করে নিয়ে যায় । 

( ii ) উদ্ভিদের পাতায় প্রস্তুত হওয়া খাদ্য , তাছাড়া মাটি থেকে শোষণ করা জল ও খনিজ লবণ উদ্ভিদেরা তাদের দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে । 

প্রশ্ন ৫। যদি রক্তে অনুচক্রিকা না থাকে তাহলে কী হবে ? 

উত্তরঃ রক্তে থাকা অনুচক্রিকা নামক একপ্রকার কোষের জন্য রক্ত জমাট বাঁধে । যদি রক্তে অনুচক্রিকা না থাকে এবং দেহের কোনো অংশ কেটে গেলে বা অন্য কোনো কারণে রক্ত ক্ষরণ হলে সেই রক্ত পড়া বন্ধ হবে না । এতে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে । 

প্রশ্ন ৬। পত্ররন্ধ্র কী ? পত্ররন্ধ্রের দুটি কার্য উল্লেখ কর । 

উত্তরঃ উদ্ভিদের পাতার উপরিভাগে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে । এগুলিকে পত্ররন্ধ্র বলে । প্রতিটি ছিদ্র বা রন্ধ্রের দুপাশে রক্ষীকোষ নামক একজোড়া বিশেষ কোষ থাকে । 

● পত্ররন্ধ্রের দুটি কার্যঃ 

( ১ ) উদ্ভিদদেহ থেকে অতিরিক্ত জল পাতার উপরিভাগে থাকা পত্ররন্ধ্রের দ্বারা বাষ্পীভূত হয় । এভাবে পত্ররন্ধ্র উদ্ভিদের প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

( ২ ) পত্ররন্ধ্র উদ্ভিদের গ্যাসীয় পদার্থের আদান – প্রদানে সহযোগিতা করে থাকে । 

প্রশ্ন ৭। প্রস্বেদন গাছের কি কোন উপকার সাধন করে ? ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ হ্যাঁ , নিম্নলিখিতভাবে প্রস্বেদন উদ্ভিদের জন্য অপরিহার্য কার্য করে । 

( i ) প্রস্বেদনের ফলে একটি শোষণ টানের সৃষ্টি হয় বলিয়া উদ্ভিদের শিকড় মাটি থেকে জল এবং জলে দ্রবীভূত খনিজ লবণ শোষণ করে উচ্চ গাছের অধিক উচ্চতা পর্যন্ত কাণ্ড এবং পাতায় জলের পরিবহন ঘটায় । 

( ii ) প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদদেহ শীতল হয় । 

প্রশ্ন ৮। রক্তের উপাদানগুলো কী কী ? 

উত্তরঃ রক্তের প্রধান উপাদান হল প্লাজমা এবং রক্তকণিকা । রক্তের তরল অংশকে প্লাজমা বলে । রক্তে তিন প্রকারের রক্তকণিকা দেখতে পাওয়া যায় । যথা— 

( i ) লোহিত রক্তকণিকা ।

( ii ) শ্বেত রক্তকণিকা । এবং 

( iii ) অনুচক্রিকা । 

প্রশ্ন ৯। শরীরের সব অংশে রক্তের দরকার আছে কি ? 

উত্তরঃ প্রাণীদের বেঁচে থাকার জন্য আহার এবং অক্সিজেনের প্রয়োজন । এই উপাদানগুলি রক্তের মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয়। তাছাড়া রক্ত দেহে উৎপন্ন হওয়া অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলিকে তাদের উৎপত্তিস্থল থেকে রেচন অঙ্গসমূহে বহন করে আনে । 

প্রশ্ন ১০। রক্তের রং কিসের জন্য লাল হয় ? 

উত্তরঃ রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক একপ্রকার লাল শ্বাসরঞ্জক পদার্থ থাকার জন্য রক্তের রং লাল হয় । 

প্রশ্ন ১১। হৃদপিণ্ডের কার্য বর্ণনা করো । 

উত্তরঃ নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর হৃদযন্ত্রের স্পন্দন হয় অর্থাৎ হৃদ্‌পেশিগুলির সংকোচন এবং প্রসারণ ঘটে । হৃদ্যন্ত্রের এই সংকোচন এবং প্রসারণের জন্য দেহে অনবরত রক্ত চলাচল করতে থাকে । হৃদ্যন্ত্রের সংকোচনের ফলে শরীরে রক্তের সঞ্চালন হয় বলিয়া রক্তের মাধ্যমে নানাপ্রকার দ্রব্য একস্থান থেকে অপরস্থানে পরিবাহিত হয় ।

প্রশ্ন ১২। শরীরের বর্জিত পদার্থ বের করার প্রয়োজন কি ? 

উত্তরঃ যখন আমাদের দেহকোষগুলি কাজ করে তখন দেহে কতকগুলি নির্দিষ্ট বর্জিত পদার্থ উৎপন্ন হয় । এই পদার্থগুলি বিষাক্ত এবং দেহে এগুলি জমা হলে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে । সেজন্য বর্জিত দ্রব্যগুলি শরীর থেকে নিষ্কাশন করা প্রয়োজন । 

প্রশ্ন ১৩। মানবদেহের রেচনতন্ত্রের একটি চিত্র অঙ্কন করো এবং বিভিন্ন অংশ চিহ্নিত করো । 

উত্তরঃ                 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। রক্ত কী ? 

উত্তরঃ রক্ত একপ্রকার তরল যৌগকলা যা নালী দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং দেহে বিভিন্ন পদার্থ পরিবহনে অংশগ্রহণ করে থাকে তাকে রক্ত বলা হয়।

প্রশ্ন ২। রক্তের উপাদান কী কী ? 

উত্তরঃ রক্তের উপাদানগুলি হলো — রক্তকণিকা ও রক্তরস । 

প্রশ্ন ৩। রক্তকণিকার উপাদানগুলি কী কী ? 

উত্তরঃ রক্তকণিকার উপাদানগুলি হলো — অনুচক্রিকা , শ্বেত রক্তকণিকা এবং লোহিত রক্তকণিকা । 

প্রশ্ন ৪। রক্তরসের উপাদানগুলি কী কী ? 

উত্তরঃ রক্তরসের উপাদানগুলি হলো – জল এবং কঠিন পদার্থ । 

প্রশ্ন ৫। রক্ত সঞ্চালন প্রথমে আবিষ্কার করেন কে ? 

উত্তরঃ ইংরাজ চিকিৎসক উইলিয়াম হার্ভে । 

প্রশ্ন ৬। রক্তের কয়েকটি কার্য উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ রক্তের কার্য : রক্তের বিভিন্ন কার্যগুলি হলো— 

( ১ ) রক্ত হজম হওয়া খাদ্যগুলিকে ক্ষুদ্রান্ত্র থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত করে ভিন্ন ভিন্ন থাকে । 

( ২ ) রক্ত ফুসফুস থেকে অক্সিজেন শরীরের প্রতিটি কোষে বহন করে নিয়ে যায় । 

( ৩ ) রক্ত শরীরে সৃষ্টি হওয়া অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলিকে দেহ থেকে ত্যাগ করার জন্য রেচন অংগে বহন করে আনে । 

প্রশ্ন ৭। রক্তের উপাদানগুলির কাজগুলি সংক্ষেপে লেখো । 

উত্তরঃ রক্তের উপাদানগুলির কাজগুলি হলো—  

লোহিত রক্তকণিকার কাজ : লোহিত রক্তকণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক একপ্রকার রঞ্জক পদার্থ থাকে । যা অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশে এবং অবশেষে সকল প্রকার কোষে পরিবাহিত হয় । হিমোগ্লোবিন রক্তের রং – কে লাল করে । 

শ্বেত রক্তকণিকার কাজ : শ্বেত রক্তকণিকা আমাদের দেহে প্রবেশ করা বীজাণুকে প্রতিহত করে ।

অনুচক্রিকার কাজ : অনুচক্রিকা রক্তের জমাট প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে । 

প্রশ্ন ৮। নাড়ী স্পন্দন কাকে বলে ? 

উত্তরঃ ধমনী দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার জন্য স্বাভাবিক গতির এক প্রকারের স্পন্দন অনুভূত হয় । এই স্পন্দনকে নাড়ী স্পন্দন বলা হয় । 

প্রশ্ন ৯। নাড়ী স্পন্দনের হার কাকে বলে ? বিশ্রামে থাকা অবস্থায় একজন মানুষের নাড়ী স্পন্দনের হার কত ? 

উত্তরঃ প্রতি মিনিটে হওয়া হৃদযন্ত্রের স্পন্দনকে বলা হয় নাড়ী স্পন্দনের হার । বিশ্রামে থাকা অবস্থায় নাড়ী স্পন্দনের হার ৭০ থেকে ৮০ মধ্যে থাকে । 

প্রশ্ন ১০। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো : 

( ক ) ধমনী ।

( খ ) শিরা । 

উত্তরঃ ( ক ) ধমনী : হৃদযন্ত্র থেকে ভিন্ন ভিন্ন অংশে রক্ত বহনকারী নলিগুলিকে বলা হয় ধমনী। একমাত্র ক্লোম ধমনী ছাড়া বাকী সব ধমনীগুলি অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃদযন্ত্র থেকে শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশে পরিবহন করে নেয় । ক্লোম ধমনী হৃদযন্ত্র থেকে কার্বন ডাই – অক্সাইড যুক্ত রক্ত ফুসফুসে বহন করে নিয়ে যায় । ধমনীর গাত্র মোটা ও স্থিতি স্থাপক । 

( খ ) শিরা : শরীরের ভিন্ন ভিন্ন অংশ থেকে রক্ত বহন করে হৃদযন্ত্রে পৌঁছে দেওয়া রক্ত নলিগুলিকে বলা হয় শিরা । একমাত্র ক্লোম শিরা ছাড়া বাকী সব শিরাগুলি কার্বন ডাই – অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে হৃদ্যন্ত্রে বহন করে আনে । ক্লোম শিরা অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত ফুসফুস থেকে হৃদযন্ত্রে বহন করে নিয়ে আসে । শিরার গাত্র পাতলা । 

প্রশ্ন ১১। আমাদের হৃদযন্ত্র দেহের কোথায় অবস্থিত ? 

উত্তরঃ আমাদের হৃদযন্ত্র বক্ষগহ্বরে অবস্থিত । 

প্রশ্ন ১২। ক্লোম ধমনীর কাজ কী ? 

উত্তরঃ ক্লোম ধমনীর কাজ হলো হৃদ্যন্ত্র থেকে কার্বন ডাই – অক্সাইড সমৃদ্ধ রক্ত ফুসফুসে বহন করে আনা । 

প্রশ্ন ১৩। ক্লোম শিরার কাজ কী ? 

উত্তরঃ ক্লোম শিরার কাজ হলো ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হৃদযন্ত্রে বহন করে আনা ।

প্রশ্ন ১৪। রক্ত পরিবহনে হৃদযন্ত্রের ভূমিকা কী ? সংক্ষেপে লেখো। 

উত্তরঃ হৃদযন্ত্র হলো শরীরের রক্ত পরিবহন তন্ত্রের প্রধান অংগ । হৃদযন্ত্র পাম্পের মতো কাজ করে থাকে । রক্তবাহী নলিকার মধ্য দিয়ে রক্ত সমস্ত শরীরে পরিবাহিত হয় । হৃদ্যন্ত্র সংকোচনের ফলে শরীরের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে রক্ত হৃদযন্ত্রে গৃহীত হয় । এরূপে রক্তের পরিবহনে হৃদযন্ত্র মুখ্য ভূমিকা পালন করে । 

প্রশ্ন ১৫। মানুষের হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনযুক্ত এবং কার্বন ডাই – অক্সাইড যুক্ত রক্ত মিশ্রিত হয় না কেন ?

উত্তর মানুষের হৃদযন্ত্র চারটি কোঠায় বিভক্ত । হৃদযন্ত্রের ওপরের কোঠা দুটিকে অলিন্দ এবং নীচের কোঠা দুটিকে নিলয় বলা হয় । এই কোঠা দুটিকে বিভক্ত করা দেওয়ালটি অক্সিজেনযুক্ত এবং কার্বন – ডাই – অক্সাইড রক্তকে মিশতে বাধা দেয় । তাই মানুষের হৃদযন্ত্রে অক্সিজেনযুক্ত এবং কার্বন ডাই অক্সাইডযুক্ত রক্ত মিশ্রিত হয় না । 

প্রশ্ন ১৬। মানুষের হৃদযন্ত্রের অভ্যন্তরীণ গঠনের একটি চিত্রিত চিত্র অংকন করো । 

উত্তরঃ                    

প্রশ্ন ১৭। স্পঞ্জ এবং হাইড্রার মতো প্রাণীগুলির রক্ত পরিবহনতন্ত্র থাকে না কেন ? 

উত্তরঃ স্পঞ্জ এবং হাইড্রার মতো প্রাণীগুলির রক্ত পরিবহনতন্ত্র থাকে না। কেননা যে জলে এরা বসবাস করে সেই জল থেকেই এরা আহার এবং অক্সিজেন পায় এবং এই উপাদানগুলি শরীরে প্রবেশ করে । এদের দেহ থেকে বেরিয়ে আসা জল বর্জিত দ্রব্য এবং কার্বন ডাই – অক্সাইডকে বহন করে নিয়ে । আসে । তাই এইপ্রকার প্রাণীর ক্ষেত্রে উপাদানগুলি সঞ্চালনের জন্য রক্তের মতো তরল পদার্থের প্রয়োজন হয় না । 

প্রশ্ন ১৮। ষ্টেথস্কোপ কী ? এটির ব্যবহার উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ চিকিৎসকেরা হৃদযন্ত্র স্পন্দনের শব্দ বর্ধিত আকারে শোনার জন্য ষ্টেথস্কোপ যন্ত্র ব্যবহার করে থাকেন । এই যন্ত্রটিতে একটি চেষ্ট পীস ( বুকে লাগানো অংশ ) দুইদিকের কানে লাগানোর জন্য দুটি অংশ এবং এই দুটি অংশকে সংযোগ করা একটি নলি থাকে । চিকিৎসকেরা ষ্টেথস্কোপ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে আমাদের হৃদযন্ত্রের অবস্থার বিষয়ে অবগত হন । 

প্রশ্ন ১৯। রেচন প্রক্রিয়া কী ? 

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ার দ্বারা জীবিত কোষে উৎপন্ন হওয়া বর্জিত দ্রব্যগুলিকে শরীর থেকে অপসারিত করা হয় তাকে বলা হয় রেচন প্রক্রিয়া বলে ।

প্রশ্ন ২০। মানুষের প্রধান রেচন অঙ্গটির নাম কী ? 

উত্তরঃ বৃক্ক । 

প্রশ্ন ২১। মানব দেহে কীভাবে মূত্র উৎপন্ন হয় ? 

উত্তরঃ রক্তে মিশে থাকা বর্জিত দ্রব্যগুলি দেহ থেকে অপসারণ করা একান্ত দরকার । এই পরিস্রাবন প্রক্রিয়া বৃক্কে থাকা রক্তবাহী কৈশিক নলীকাগুলির দ্বারা সম্পন্ন হয় । বৃক্ক দুটিতে রক্ত প্রবেশ করার সময় ওই রক্তে প্রয়োজনীয় এবং অনিষ্টকারী এই দুই প্রকারের পদার্থ মিশে থাকে । প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলি রক্তে পুনরায় শোষিত হয় । অপরদিকে বর্জিত দ্রব্যসমূহ জলে দ্রবীভূত হয়ে মূত্র রূপে দেহ থেকে বেরিয়ে আসে । এইরূপে মূত্র উৎপন্ন হয় । 

প্রশ্ন ২২। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ২৪ ঘণ্টায় কত লিটার মূত্র ত্যাগ করে ? 

উত্তরঃ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১.৮ লিটার মূত্র ত্যাগ করে । 

প্রশ্ন ২৩। মূত্রের উপাদানগুলি কী কী ? শতকরা হিসাবে উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ মূত্রের উপাদানগুলি হলো – ৯৫ % জল , ২.৫ % ইউরিয়া এবং ২.৫ % অন্যান্য বর্জিত দ্রব্য । 

প্রশ্ন ২৪। মানুষের প্রধান রেচন দ্রব্যটি কী ? সেটির নাম লেখো। 

উত্তরঃ মানুষের প্রধান রেচন দ্রব্যটি হলো ইউরিয়া। 

প্রশ্ন ২৫। জলচর প্রাণীর কোষে উৎপন্ন হওয়া বর্জিত পদার্থগুলি কী হিসাবে দেহ থেকে অপসারিত হয় ? 

উত্তরঃ জলচর প্রাণী যেমন মাছ ইত্যাদির কোষে উৎপন্ন হওয়া বর্জিত পদার্থগুলি এমোনিয়া হিসাবে দেহ থেকে অপসারিত হয় । 

প্রশ্ন ২৬। পাখি , টিকটিকি , সাপ ইত্যাদি প্রাণীগুলির দেহ থেকে নিঃসরণ হওয়া রেচন দ্রব্যটির নাম লেখো । 

উত্তরঃ ইউরিক এসিড ।

প্রশ্ন ২৭। ডায়ালাইসিস বলতে কী বোঝ ? 

উত্তরঃ কখনও কোনো ব্যক্তির রোগ সংক্রমণের জন্য বা আঘাত প্রাপ্ত হলে বৃক্কের কাজ বন্ধ হয়ে যায় । এর ফলে বৃক্ক বিকল হয় এবং বর্জিত দ্রব্যগুলি রক্তে জমা হতে শুরু করে । এ ধরনের ব্যক্তি বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে না । যদি না এদের রক্ত কৃত্রিম বৃক্কের দ্বারা সময়ে সময়ে পরিশোধিত করা না হয় । এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় ডায়ালাইসিস । 

প্রশ্ন ২৮। উদ্ভিদ দেহে জল এবং খনিজ পদার্থের পরিবহন কীভাবে হয় তা সংক্ষেপে বর্ণনা করো । 

উত্তরঃ উদ্ভিদের মূল মাটি থেকে পরিপোষক হিসাবে জল এবং খনিজ দ্রব্য শোষণ করে । এই দ্রব্যগুলি পরিবহনের জন্য কতকগুলি নলিকা আছে । এই নলিকাগুলি বিশেষ ধরনের কোষ দিয়ে গঠিত এবং এগুলি একত্রে সংগঠিত হয়ে সংবহন কলা গঠন করে । জাইলেম নামক সংবহন কলার মাধ্যমে জল এবং পোষক দ্রব্য পরিবাহিত হয় । উদ্ভিদের পাতায় তৈরি হওয়া আহার উদ্ভিদের সকল অংশে পরিবহন হতে হয় । ফ্লোয়েম নামক সংবহন কলা এই কাজ করে থাকে । এইরূপে জাইলেম এবং ফ্লোয়েম উদ্ভিদের দ্রব্যসমূহ পরিবহন করে । 

প্রশ্ন ২৯। প্রস্বেদন কাকে বলে ? 

উত্তরঃ উদ্ভিদের পাতার উপরিভাগে থাকা পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে , উদ্ভিদ দেহের অপ্রয়োজনীয় জল বাষ্পীভূত হয়ে বের হয়ে যাওয়াকে বলা হয় প্রস্বেদন । 

প্রশ্ন ৩০। পরিবহন কাকে বলে ? 

উত্তরঃ উদ্ভিদ দেহে জাইলেম ও ফ্লোয়েমের মাধ্যমে জল , খনিজ লবণ ও জৈব খাদ্যবস্তুর অক্ষীয় পথে সঞ্চারণ পদ্ধতিকে বলা হয় পরিবহন ।

2 thoughts on “SEBA Class 7 Science Chapter 11 প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top