SEBA Class 7 Science Chapter 2 প্রাণীর পরিপুষ্টি

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Syllabus of SEBA Class 7 Science Chapter 2 প্রাণীর পরিপুষ্টি Question Answer in Bengali. সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই প্রশ্ন উত্তর Are you a Student of (Secondary Education Board of Assam). SEBA Class 7 Science Chapter 2 প্রাণীর পরিপুষ্টি Notes in Bengali Which you can Download PDF Notes SEBA Class 7 Science Chapter 2 প্রাণীর পরিপুষ্টি Solutions for free using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Science Chapter 2 প্রাণীর পরিপুষ্টি

Today’s We have Shared in This Post, SEBA Class 7 Science Chapter 2 প্রাণীর পরিপুষ্টি Solutions in Bengali for Free with you. SEBA Class 7 Science Chapter 2 প্রাণীর পরিপুষ্টি in Bengali Notes I Hope, you Liked The information About The Class 7th Science Question Answer in Bengali. if you liked SEBA Class 7 Science Textbook Question Answer in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

প্রাণীর পরিপুষ্টি

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। শূন্যস্থান পূর্ণ করো : 

( a ) মানবদেহের পরিপুষ্টির প্রধান পদক্ষেপগুলো হচ্ছে __,___এবং _____। 

উত্তরঃ অন্তঃগ্রহণ , পাচন , শোষণ , পরিমিশ্রণ বা আত্তীকরণ। 

( b ) মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি হচ্ছে ___ ।

উত্তরঃ যকৃৎ । 

( c ) পাকস্থলী হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং ____ রস নিঃসৃত করে যা খাদ্যের ওপর ক্রিয়া করে । 

উত্তরঃ পাচক । 

( d ) ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিতরের দেওয়ালে আঙুল সাদৃশ্য প্রবৰ্দ্ধকগুলোকে ___ বলে ।

উত্তরঃ ভিলাই । 

( e ) এমিবা তার খাদ্য ____এ হজম হয় । 

উত্তরঃ খাদ্য গহ্বর । 

প্রশ্ন ২। শুদ্ধ বাক্যের পাশে ‘ T ’ এবং অশুদ্ধ বাক্যের পাশে “ F ” লিখো । 

( a ) পাকস্থলীতে শ্বেতসারের হজম শুরু হয় । ( T / F ) 

উত্তরঃ অশুদ্ধ ( F ) 

( b ) জিহ্বা খাদ্যের সঙ্গে লালা মেশাতে সাহায্য করে ( T / F ) 

উত্তরঃ শুদ্ধ ( T ) 

( c ) পিত্তাশয় সায়য়িকভাবে পিত্ত সংগ্রহ করে ( T / F ) 

উত্তরঃ শুদ্ধ ( T )

( d ) রোমন্থক প্রাণী তাদের গিলে ফেলা ঘাস আবার মুখে নিয়ে এনে চিবোয় । ( T / F ) 

উত্তরঃ শুদ্ধ ( T ) 

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -1উদ্ভিদের পরিপুষ্টি
অধ্যায় -2প্রাণীর পরিপুষ্টি
অধ্যায় -3তন্ত্র থেকে বস্ত্ৰ
অধ্যায় -4তাপ
অধ্যায় -5অম্ল , ক্ষার ও লবণ
অধ্যায় -6ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন
অধ্যায় -7আবহাওয়া , জলবায়ু এবং জলবায়ুর সঙ্গে প্রাণীর অভিযোজন
অধ্যায় -8বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু
অধ্যায় -9মাটি
অধ্যায় -10জীবদেহে শ্বসন
অধ্যায় -11প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র
অধ্যায় -12উদ্ভিদের প্রজনন
অধ্যায় -13গতি ও বল
অধ্যায় -14বিদুৎ প্রবাহ ও তার প্রভাব
অধ্যায় -15আলোক
অধ্যায় -16জল একটি অমূল্য সম্পদ
অধ্যায় -17বনাঞ্চল : আমাদের জীবনরেখা
অধ্যায় -18বর্জিত জলের গল্প

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ উত্তরের ( Right ) পাশে চিহ্ন দাও । 

( a ) স্নেহপদার্থ সম্পূর্ণরূপে হজম হয় । 

( i ) পাকস্থলীতে ।

( ii ) মুখে ।

( iii ) ক্ষুদ্রান্ত্রে ।

( iv ) বৃহদন্ত্রে ।

উত্তরঃ ( iii ) ক্ষুদ্রান্ত্রে । 

( b ) অপাচিত খাদ্য থেকে জল প্রধানত শোষিত হয়— 

( i ) পাকস্থলীতে ।

( ii ) খাদ্যনালিতে ।

( iii ) ক্ষুদ্রান্ত্রে 

( iv ) বৃহদন্ত্রে । 

উত্তরঃ ( iv ) বৃহদন্ত্রে । 

প্রশ্ন ৪। স্তম্ভ I- এর সঙ্গে স্তম্ভ II মেলাও । 

স্তম্ভ Iস্তম্ভ II
খাদ্যের উপাদানপাচনে উৎপন্ন
কার্বোহাইড্রেডফ্যাটি অ্যাসিড ও গ্লিসারল
প্রোটিন চিনি
স্নেহপদার্থউৎপন্ন অ্যাসিড

উত্তরঃ  

স্তম্ভ Iস্তম্ভ II
খাদ্যের উপাদানপাচনের ফলাফল
কার্বোহাইড্রেডচিনি
প্রোটিন এমানো অ্যাসিড
স্নেহপদার্থফ্যাটি অ্যাসিড এবং গ্লিসারল

প্রশ্ন ৫। ভিল্লাই কী ? তাদের অবস্থান ও কার্য কি ?

উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিতরের প্রাচীরে সংখ্য আঙ্গুলের মতো প্রবর্দ্ধ থাকে । এগুলিকে ভিল্লাই বলে । 

ভিল্লাহ এর কাজ :- ভিল্লাই ক্ষুদ্রান্ত্রের পৃষ্ঠের কালি বৃদ্ধি করে এবং পাচন হওয়া খাদ্যের শোষণে সাহায্য করে । 

প্রশ্ন ৬। পিত্তরস কোথায় প্রস্তুত হয় ? এটি খাদ্যের কোন্ উপাদানগুলো পাচিত করে ? 

উত্তরঃ পিত্তরস যকৃতে উৎপন্ন হয় । পিত্তরস পিত্তাশয় নামক একটি থলিতে জমা হয় । চর্বি হজম করাতে পিত্তরস সাহায্য করে । 

প্রশ্ন ৭। যে ধরনের কার্বোহাইড্রেট শুধু তৃণভোজী প্রাণীরা হজম করতে পারে কিন্তু মানুষে তা পারে না , তার নাম লিখো এবং তার কারণ দর্শাও । 

উত্তরঃ তৃণভোজী প্রাণী হজম করতে পারে কিন্তু মানুষে হজম করতে পারে না এই কার্বোহাইড্রেটটির নাম হল সেলুলোজ । 

তৃণভোজী প্রাণীগুলির ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহদন্ত্রের মধ্যে সিকাম নামক একটি বৃহৎ থলিসদৃশ অঙ্গ থাকে । এটিতে খাদ্যের সেলুলোজগুলি নির্দিষ্ট ব্যাক্টেরিয়ার ক্রিয়ার দ্বারা হজম হয় । এই ব্যাক্টেরিয়াগুলি কিন্তু মানুষের দেহে থাকে না । সেজন্য সেলুলোজ জাতীয় কার্বোহাইড্রেট মানুষে হজম করতে পারে না । 

প্রশ্ন ৮। আমরা কেন গ্লুকোজ থেকে শক্তি পাই ? 

উত্তরঃ গ্লুকোজ কার্বোহাইড্রেটের একটি সরলতম অণু । এটি সরাসরি ক্ষুদ্রান্ত্রে শোষিত হয়ে দেহকোষে গিয়ে পৌঁছায় । সেখানে অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়ার ফলে এটি কার্বন ডাই – অক্সাইড , জল এবং শক্তি নির্গত করে । সেজন্য গ্লুকোজ থেকে আমরা তৎক্ষণাৎ শক্তি পাই ।

প্রশ্ন ৯। খাদ্যনলীর কোন্ অংশটি জড়িত— 

( ক ) খাে গাষণ ____।

উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্র । 

( খ ) খাদ্যের চর্বণ ____।

উত্তরঃ মুখগহ্বর । 

( গ ) ব্যাক্টেরিয়ার ধ্বংস ____।

উত্তরঃ পাকস্থলী । 

( ঘ ) খাদ্যের পূর্ণপাচন ____।

উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্র । 

( ঙ ) মল তৈরি ___। 

উত্তরঃ বৃহদন্ত্র ।

প্রশ্ন ১০। অ্যামিবা এবং মানুষের পরিপুষ্টির মধ্যে থাকা একটি করে সাদৃশ্য এবং পার্থক্য লেখো । 

উত্তরঃ অ্যামিবা এবং মানুষের পরিপুষ্টির মধ্যে থাকা একটি সাদৃশ্য :- খাদ্য হজমের সময় অ্যামিবা খাদ্যগহ্বরের মধ্যে পাচক রস নিঃসরণ করে । এগুলি খাদ্যের ওপর ক্রিয়া করে খাদ্যগুলিকে সরল উপাদানে ভেঙে দেয় । অপরদিকে মানুষের ক্ষেত্রে পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের ভিতরের প্রাচীরগুলিও পাচক রস নিঃসরণ করে । এই পাচক রসগুলি জটিল খাদ্যগুলিকে সরল খাদ্যে পরিণত করে ।

অ্যামিবা এবং মানুষের পরিপুষ্টির মধ্যে থাকা একটি পার্থক্য :- অ্যামিবা কূটপদের সাহায্যে খাদ্য গ্রহণ করে । খাদ্যবস্তুগুলি খাদ্যগহ্বরে হজম হয়। 

অপরদিকে মানুষ মুখ দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করে । খাদ্যবস্তুগুলি খাদ্যনালীর বিভিন্ন অংশে হজম হয়। 

প্রশ্ন ১১। স্তম্ভ I- এর সাথে সঙ্গে স্তম্ভ II মেলাও 

স্তম্ভ- Iস্তম্ভ- II
( ক ) লালাগ্রন্থি( i ) পিত্তরস নিঃসৃত করা।
( খ ) পাকস্থলী( ii ) অপাচিত খাদ্য সংগ্রহ করা।
( গ ) যকৃত( iii ) লালা নিঃসৃত করা।
( ঘ ) মলাশয় ( iv ) অম্ল নিঃসৃত করা।
( ঙ ) ক্ষুদ্রান্ত্র( v ) পুরোপুরি হজম হওয়া।
( চ ) বৃহদন্ত্ৰ( vi ) অবশোষণ হওয়া।

উত্তরঃ 

স্তম্ভ- Iস্তম্ভ- II
( ক ) লালাগ্রন্থি( iii ) লালা নিঃসৃত করা।
( খ ) পাকস্থলী( iv ) অম্ল নিঃসৃত করা।
( গ ) যকৃত( i ) পিত্ত নিঃসৃত করা।
( ঘ ) মলাশয় ( ii ) অপাচিত খাদ্য সংগ্রহ করা।
( ঙ ) ক্ষুদ্রান্ত্র( v ) পুরোপুরি হজম হওয়া।
( চ ) বৃহদন্ত্ৰ( vi ) অবশোষণ হওয়া।

প্রশ্ন ১২। চিত্র ২.১১ এর পাচন তন্ত্রটিকে চিহ্নিত করো । 

উত্তরঃ                     

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। খাদ্যগ্রহণ কাকে বলে ? 

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে জীব পরিবেশ থেকে তার দেহের মধ্যে খাদ্যবস্তু সংগ্রহ করে থাকে তাকে বলা হয় খাদ্যগ্রহণ । 

প্রশ্ন ২। খাদ্যের পরিপাক কাকে বলে ? 

উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে উৎসেচকের সাহায্যে জটিল অদ্রবণীয় খাদ্যবস্তুগুলি ভৌত রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ভেঙে সরল দ্রবণীয় ও শোষণ – উপযোগী উপাদানে পরিণত হয় তাকে বলা হয় খাদ্যের পরিপাক ।

প্রশ্ন ৩। খাদ্যগ্রহণে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি অংশের নাম উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ খাদ্যগ্রহণে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি অংশ হলো— মুখগহ্বর , জিভ , দাঁত , লালাগ্রন্থি এবং হাত । 

প্রশ্ন ৪। পরিপাকে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি অংশ ও গ্রন্থিসমূহের নাম উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ পরিপাকে অংশগ্রহণকারী কেয়কটি অংশ হলো — মুখগহ্বর , পাকস্থলী , ক্ষুদ্রান্ত্র , পরিপাককারী গ্রন্থি । 

পরিপাককারী গ্রন্থিসমূহ হলো — লালাগ্রন্থি , অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি , যকৃৎ , পাকস্থলী ও ক্ষুদ্রান্ত্রের গ্রন্থি ইত্যাদি । 

প্রশ্ন ৫। পৌষ্টিকনালি কী ? 

উত্তরঃ পৌষ্টিকনালী হলো মুখবিবর থেকে পায়ু অবধি প্রসারিত ৮-১০ মিটার দৈর্ঘ নালিবিশেষ । ইহা মানুষের দেহকাণ্ডের ভিতর বিভিন্নভাবে প্যাঁচানো অবস্থায় থাকে । 

প্রশ্ন ৬। মানুষের পৌষ্টিকনালীর বিভিন্ন অংশগুলির নাম লেখো । 

উত্তরঃ মানুষের পৌষ্টিকনালীর বিভিন্ন অংশগুলির নাম , যথা— মুখগহ্বর , গলবিল , গ্রাসনালী , পাকস্থলী , ক্ষুদ্রান্ত্র , বৃহদন্ত্র এবং পায়ু । 

প্রশ্ন ৭। মানুষের দেহের পৌষ্টিক গ্রন্থিগুলি কী কী ? 

উত্তরঃ মানুষের দেহের পৌষ্টিক গ্রন্থিগুলি হলো লালাগ্রন্থি , যকৃত এবং অগ্ন্যাশয় । 

প্রশ্ন ৮। অন্তঃগ্রহণ কাকে বলে ? 

উত্তরঃ আমরা মুখ দিয়ে খাদ্য খাই । খাদ্যগ্রহণ করা এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় অন্তঃগ্রহণ । 

প্রশ্ন ৯। মানুষের দুধ দাঁত এবং স্থায়ী দাঁত কী ? 

উত্তরঃ শিশুকালে মানুষের যে দাঁতগুলি গজায় এবং ৬ থেকে ৮ বছর বয়সের মধ্যে সেগুলি পড়ে যায় । এই দাঁতগুলিকে বলা হয় দুধ দাঁত ।

দুধ দাঁত পড়ার পর সেই স্থানে দ্বিতীয়বার গজানো দাঁতগুলিকে বলা হয় স্থায়ী দাঁত । স্থায়ী দাঁতগুলি সারাজীবন ধরে থাকে অথবা বৃদ্ধ বয়সে বা দাঁতের অসুখ হলে সেগুলি পড়ে যায় । 

প্রশ্ন ১০। গঠন এবং কার্যকারিতার ভিত্তিতে মানুষের বিভিন্ন প্রকারের দাঁতগুলি কী কী ? এদের কার্য উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ মানুষের বিভিন্ন প্রকারের দাঁতগুলি হলো — কৃত্তক , ছেদক , পুরঃপেষক এবং পেষক । 

কৃন্তুক দাঁতের দ্বারা খাদ্যবস্তু কাটা হয় , ছেদক দাঁতের দ্বারা খাদ্যবস্তু ছেঁড়া হয় এবং পুরঃপেষক ও পেষক দাঁতগুলি খাদ্যবস্তু চর্বন ও গুড়া করতে সাহায্য করে ।

প্রশ্ন ১১। জিহ্বা কী ? জিহ্বার কাজ উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ মুখগহ্বরের মেঝের পিছন দিকে লাগানো মাংসল পেশীয় অঙ্গটি হলো জিহ্বা । 

জিহ্বা কথা বলতে , খাদ্যবস্তু চিবাতে ও গিলতে এবং খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করতে সাহায্য করে । 

প্রশ্ন ১২। খাদ্যবস্তুর স্বাদ গ্রহণ করার জন্য জিহ্বায় কী থাকে ? 

উত্তরঃ খাদ্যবস্তুর স্বাদ গ্রহণ করার জন্য জিহ্বায় স্বাদমুকুল থাকে । 

প্রশ্ন ১৩। গলবিল কী ? গলবিলের কয়টি অংশ এবং কী কী ? 

উত্তরঃ গলবিল হলো মুখবিবর ও গ্রাসনালির মাঝখানের অংশ। গলবিলের তিনটি অংশ । যেমন — নাসা গলবিল , মুখ গলবিল এবং স্বর গলবিল । 

প্রশ্ন ১৪। গ্ৰাসনালী কী ? 

উত্তরঃ এটি গলবিলের পরবর্তী নলাকার অংশ যা পাকস্থলী পর্যন্ত প্রসারিত থাকে । এই নালিটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২৩-২৫ সেন্টিমিটার হয় । এই নালির মাধ্যমে খাদ্যবস্তু মুখবিবর থেকে পাকস্থলীতে আসে ।

প্রশ্ন ১৫। গ্রাসনালী – এর কাজ কী ? 

উত্তরঃ গ্রাসনালী সংকুচিত ও প্রসারিত হয় । এর সংকুচন ও প্রসারণের ফলেই আহার করা খাদ্যবস্তুগুলি নীচের দিকে নেমে যায় । 

প্রশ্ন ১৬। পাকস্থলী কী ? পাকস্থলীর কাজ উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ পাকস্থলী হলো একটি চ্যাপ্টা ‘ U ’ আকৃতির পুরু প্রাচীরযুক্ত থলি এবং এটি খাদ্যনালীর সবচেয়ে বৃহৎ অংশ । এটি উদরগহ্বরের ওপরের দিকে মধ্যচ্ছদার নীচে বামদিক ঘেঁষে অবস্থিত । এর দৈর্ঘ্য ২৫ সেমি , প্রস্থ ১০ সেমি এবং গভীরতা ১০ সেমি হয় । 

পাকস্থলীর কাজ :- পাকস্থলীর ভিতরের স্তরগুলি মিউকাস বা শ্লেষ্মা , হাইড্রোক্লোরিক এসিড এবং পাচক রস নিঃসরণ করে । নিউকাস বা শ্লেষ্মা পাকস্থলীর ভিতরের স্তরটিকে রক্ষা করে । হাইড্রোক্লোরিক এসিড খাদ্যবস্তুর সঙ্গে আসা ব্যাক্টেরিয়াগুলিকে ধ্বংস করে এবং পাকস্থলীর পাকমণ্ডলকে আম্লিক মাধ্যম করে তোলে । ইহাতে পাকস্থলীতে পাচক রসের কার্য সম্পাদন করতে সাহায্য হয় । পাচক রসগুলি প্রোটিন জাতীয় খাদ্যকে ভেঙে সরল খাদ্যে রূপান্তরিত করে । 

প্রশ্ন ১৭। পাকস্থলীর প্রধান অংশ কয়টি এবং কী কী ? 

উত্তরঃ পাকস্থলীর প্রধান অংশ চারটি । যেমন— হৃদপ্রান্ত : গ্রাসনালী সংলগ্ন অংশ , ফানাভাস — হৃদপ্রান্ত সংলগ্ন বামদিকের অর্ধগোলাকার অংশ , দেহ — পাকস্থলীর মাঝের অংশ এবং পাইলোরিক অংশ — ডিওডিনাম সংলগ্ন অংশ । 

প্রশ্ন ১৮। ক্ষুদ্রান্ত্র কী ? 

উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্র হলো ৭.৫ মিটার দীর্ঘ অতিশয় কুণ্ডলীকৃত নলি। এটি যকৃত ও অগ্ন্যাশয় হতে নিঃসরণ হওয়া রস গ্রহণ করে । তাছাড়া এটির প্রাচীরগুলিও পাচক রস নিঃসরণ করে । এই পাচক রসগুলি জটিল খাদ্যবস্তুকে সরল খাদ্যে পরিণত করে । 

প্রশ্ন ১৯। যকৃত কী ? ইহার কাজ কী ? 

উত্তরঃ যকৃৎ হলো মানুষের দেহে সবচেয়ে বড় পরিপাক গ্রন্থি। মানুষের যকৃৎটি মধ্যচ্ছদার নীচে উদরগহ্বরের উপরের দিকে অবস্থিত । ইহা বাদামী বর্ণের । ইহার আকার ত্রিকোণাকার । 

যকৃৎ থেকে ক্ষরিত পিত্তরসে যে পিত্তলবণ থাকে তা ফ্যাটজাতীয় খাদ্যের পরিপাক ও শোষণে সাহায্য করে । যকৃতে শর্করা , প্রোটিন , ফ্যাটের খনিজ লবণ ইত্যাদির বিপাক সম্পন্ন হয় । 

প্রশ্ন ২০। অগ্ন্যাশয়ের অবস্থান এবং পাচনে অগ্ন্যাশয়ের ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনা করো । 

উত্তরঃ পাকস্থলীর ঠিক নীচে থাকা মাখন রঙের গ্রন্থিটি হলো অগ্ন্যাশয় । অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত অগ্ন্যাশয় রস নামক একপ্রকার পাচক রস কার্বোহাইড্রেট , চর্বি এবং প্রোটিনের ওপর ক্রিয়া করে এদেরকে সরল উপাদানে পরিণত করে ।

প্রশ্ন ২১। মানুষের খাদ্যনালীর ক্ষুদ্রান্ত্রের নীচের অংশে ঘটা আংশিক ভাবে পাচিত খাদ্যের পাচন ক্রিয়ার বিষয়ে সংক্ষেপে লিখ । 

উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্রে আংশকভাবে পাচিত হওয়া খাদ্য ক্ষুদ্রান্ত্রের নীচের দিকে যায় এবং সেখানে ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাচীর থেকে নিঃসৃত ক্ষুদ্রান্ত্র রস ওই খাদ্যগুলির ওপর ক্রিয়া করে খাদ্যের সকল উপাদানকে সম্পূর্ণরূপে পাচিত করে । এর ফলে কার্বোহাইড্রেট ভেঙে সরল চিনি যেমন গ্লুকোজ , স্নেহপদার্থগুলি ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলে এবং প্রোটিন এমিনো এসিডে পরিণত হয় । 

প্রশ্ন ২২। বৃহদন্ত্রের কাজ কী ? 

উত্তরঃ বৃহদন্ত্রে অপাচ্য খাদ্য মলে পরিণত হয় এবং মল মলাশয়ে সাময়িক ভাবে জমা থাকে । 

প্রশ্ন ২৩। শোষণ বলতে কী বোঝ ? 

উত্তরঃ পাচিত খাদ্যগুলি ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রাচীরে থাকা রক্তনালিকাতে যায় । এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় শোষণ । 

প্রশ্ন ২৪। পরিমিশ্রণ বলতে কী বোঝ ? 

উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্রে শোষণ হওয়া পদার্থগুলি রক্তজালিকার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবাহিত হয় এবং এগুলি দেহের প্রয়োজনীয় পদার্থ যেমন প্রোটিন ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় পরিমিশ্রণ । 

প্রশ্ন ২৫। রূমেন কী ? 

উত্তরঃ গরু , মহিষ এবং অন্যান্য তৃণভোজী প্রাণীগুলি ঘায় খাওয়ার সময় প্রথমে ঘাসগুলিকে খুব তাড়াতাড়ি গিলে পাকস্থলীর একটা পৃথক অংশে জমা করে রাখে । তৃণভোজী প্রাণীদের পাকস্থলীর এই অংশটিকে বলা হয় রূমেন । 

প্রশ্ন ২৬। জাবর কাটা বলতে কী বোঝায় ? 

উত্তরঃ রোমন্থক প্রাণীরা তাদের পাকস্থলীর রূমেন অংশে জমা করে রাখা অর্ধপাচিত ঘাসকে অবসর সময়ে পুনরায় মুখে এনে চর্বণ করে । এই প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় জাবর কাটা।

প্রশ্ন ২৭। এমিবার সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ এমিবা পুকুরের জলে থাকা একপ্রকার এককোষীয় অণুজীব । এর একটি কোষাবরণ এবং এটির কোষপ্ররসে একটি গোলাকার ঘন কোষকেন্দ্র ও 

অনেকগুলি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বুদবুদের মতো রিক্তিকা বা গহ্বর থাকে। এটি চলন এবং খাদ্যগ্রহণের জন্য এক বা একাধিক আঙ্গুলের ন্যায় প্রবর্ধ বের করে দেয় । এই প্রবর্ধগুলিকে বলা হয় কূটপদ বা অস্থায়ী চলনাংগ । 

প্রশ্ন ২৮। এমিবা কীভাবে তার আহার গ্রহণ করে ? 

উত্তরঃ এমিবা কতকগুলি অণুজীব খেয়ে জীবন ধারণ করে । খাদ্যের সংস্পর্শে এমিবা এলে সে খাদ্যকণিকার চারপাশে কূটপদ সৃষ্টি করে খাদ্যবস্তুকে ঘেরাও করে রাখে এবং গিলে ফেলে । এই খাদ্যবস্তুগুলি পরে খাদ্য রিক্তিকায় প্রবেশ করে । খাদ্য রিক্তিকা থেকে নিঃসরণ হওয়া পাচক রস খাদ্যের ওপর ক্রিয়া করে খাদ্যবস্তুগুলিকে সরল উপাদানে পরিণত করে । এইরূপে এমিবার আহরণ করা খাদ্যবস্তুগুলি তার খাদ্য রিক্তিকায় হজম হয় । 

প্রশ্ন ২৯। ভিলাই কী ? 

উত্তরঃ ক্ষুদ্রান্ত্রের অন্তঃস্থ প্রাচীর থেকে নির্গত আঙুলের মতো প্রবর্ধককে ভিলাই বলা হয় । 

প্রশ্ন ৩০। আত্তীকরণ কাকে বলে ? 

উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় কোষে শোষিত সরল খাদ্য প্রোটোপ্লাজমের অংশবিশেষে ‘ পরিণত হয় তাকে আত্তিকরণ বলা হয় ।

1 thought on “SEBA Class 7 Science Chapter 2 প্রাণীর পরিপুষ্টি”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top