SEBA Class 7 Social Science Chapter 1 ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 1 ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 1 ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 1 ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 1 ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Social Science Chapter 1 ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 1 ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 1 ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সংক্ষেপে উত্তর দাও-

(ক) দ্রাঘিমারেখার সর্বমােট সংখ্যা কত ?

উত্তরঃ ৩৬০টি।

(খ) ভারতীয় মান সময়ের দ্রাঘিমাংশ কত ?

উত্তরঃ ৮২°৩০

(গ) পৃথিবীর ৩৬০° পরিভ্রমণ করতে কত ঘণ্টা সময়ের প্রয়ােজন ?

উত্তরঃ ২৪ ঘণ্টা।

(ঘ) গ্রিনউইচের ওপরে কাল্পনিক প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে কি বলে ?

উত্তরঃ গ্রিনউইচ মান সময়।

(ঙ) কৌণিক দূরত্বের মাপের একক কি ?

উত্তরঃ ডিগ্রি।

বিষয়সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY )
পাঠ -১ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা
পাঠ -২পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ
পাঠ -৩পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন
পাঠ -৪আমাদের পরিবেশ
পাঠ -৫মানবসৃষ্ট পরিবেশ
পাঠ -৬সম্পদ
পাঠ -৭অসমের সম্পদ
পাঠ -৮ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল
পাঠ -৯ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা
বিষয়( ইতিহাস HISTORY )
পাঠ -১০মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১১গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান
পাঠ -১২গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১৩ঐতিহাসিক অসম
পাঠ -১৪মধ্যযুগের ভারতবর্ষ
পাঠ -১৫দিল্লির সুলতানগণ
পাঠ -১৬মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ
পাঠ -১৭ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান
বিষয়( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE )
পাঠ -১৮আমাদের আশেপাশের বাজার
পাঠ -১৯পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন
পাঠ -২০অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
পাঠ -২১শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য
পাঠ -২২গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব
পাঠ -২৩নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া
পাঠ -২৪গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম
পাঠ -২৫প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার

(ক) পৃথিবীর পরিধির কেন্দ্রে ____________ কোণ করে আছে।

উত্তরঃ ৩৬০°

(খ) দ্রাঘিমারেখার মান বা জোখকে  ____________ বলে।

উত্তরঃ দ্রাঘিমাংশ।

(গ) প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখার কৌণিক দূরত্ব ____________ দ্রাঘিমাংশ।

উত্তরঃ ০°

(ঘ) মধ্যাহ্ন সূর্য থেকে স্থানটি ১৫° সরে গেলে স্থানটিতে ____________  বাজবে।

উত্তরঃ দুপুর ১টা।

প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ/অশুদ্ধ নির্ণয় করাে-

(ক) পৃথিবীর আহ্নিক গতির ফলে পশ্চিমের স্থানগুলাে পূর্বদিক থেকে আগে সূর্যের সম্মুখীন হয়।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(খ) ভ্রমণকারী পূর্বদিক থেকে ১৮০° অতিক্রম করার সময়ে ১দিন যােগ করবে।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(গ) কোনাে একটি জায়গায় রাত্রি ১২টা হলে সেই জায়গায় একদিন শেষ হয় এবং অন্য একটি দিন আরম্ভ হয়।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঘ) ১৮০° দ্রাঘিমাংশে সময়ের ব্যবধান ১২ ঘণ্টা।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঙ) গ্রিনউইচ থেকে পরে সন্ধ্যা হলে জায়গাটি পশ্চিম দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।

উত্তরঃ শুদ্ধ ।

প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ উত্তরটি নির্ণয় করাে-

(ক) ভ্রমণকারী অনুভব করে যে গ্রিনউইচ মান সময় অনুসারে পশ্চিমে গেলে সময় লাভ/ক্ষতি হবে।

উত্তরঃ লাভ।

(খ) গ্রিনউইচ থেকে মুম্বাইতে আগে সূর্যোদয় হয়। তাই মুম্বাই পূর্ব/পশ্চিম দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।

উত্তরঃ পূর্ব।

(গ) প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখার পূর্বের প্রতিটি ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা ৪ মিনিট সময় এগিয়ে/পিছিয়ে।

উত্তরঃ এগিয়ে।

(ঘ) ভারতীয় মান দ্রাঘিমারেখা হিসেবে ৮৩°২০’/ ৯০°/ ৮২°৩০’ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা গ্রহণ করা হয়েছে।

উত্তরঃ ৮২°৩০’।

(ঙ) আমাদের সাধারণ হাতঘড়িগুলাে স্থানীয় সময় গ্রিনউইচ মান সময়/ভারতীয় মান সময় অনুযায়ী চলে।

উত্তরঃ ভারতীয় মান।

প্রশ্ন ৫। পার্থক্য লেখাে-

(ক) অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা

উত্তরঃ 

অক্ষরেখাদ্রাঘিমারেখা
১। অক্ষরেখাগুলাে পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত।১। দ্রাঘিমারেখাগুলাে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত।
২। একই অক্ষরেখায় অবস্থিত স্থানগুলাে একে অন্যের পূর্বে বা পশ্চিমে থাকে।২। একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত স্থানগুলাে একে অন্যের উত্তরে বা দক্ষিণে থাকে।
৩। পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত একই অক্ষরেখায় অবস্থিত সব স্থানে তাপ সমান; কিন্তু সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এক সময়ে হয় না। এদের স্থানীয় সময়ে পার্থক্য আছে।৩। উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত একই মধ্যরেখায় অবস্থিত সব জায়গায় সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এক সময়ে হয়। এদের স্থানীয় সময়ে কোনাে পার্থক্য থাকে না। কিন্তু তাপমাত্রা সমান হয় না।
৪। অক্ষরেখাগুলাে প্রত্যেকেই পূর্ণ বৃত্ত।৪। দ্রাঘিমারেখাগুলাে প্রত্যেকে অধৃত্ত।
৫। অক্ষরেখাগুলাের পরিধির আকার বিভিন্ন। এদের মধ্যে বিষুবরেখা একটি মহাবৃত্ত। বিষুবরেখা থেকে উত্তর দিকে ও দক্ষিণ দিকে অক্ষরেখাগুলাের ব্যাস ক্রমশ ছােট হতে হতে অবশেষে দুই মেরুবিন্দুতে পরিণত হয়।৫। প্রত্যেক দ্রাঘিমারেখাগুলাের পরিধি সমান।
৬। অক্ষরেখাগুলাে পরস্পর সমান্তরাল।৬। দ্রাঘিমারেখাগুলাে পরস্পর সমান্তরাল নয়। এগুলাে যতই উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরুর দিকে অগ্রসর হয়েছে ততই পরস্পরের নিকটবর্তী হয়েছে এবং শেষে মেরুবিন্দুতে মিলিত হয়েছে।
৭। ভূপৃষ্ঠে ১৭ অন্তর দুই সমাক্ষ- রেখার মধ্যে দূরত্ব সব জায়গায় এক নয়। বিষুবরেখা থেকে যতই মেরুর দিকে যাওয়া যায় ততই ১° অন্তর অক্ষাংশের রৈখিক ব্যবধান বাড়তে থাকে। নিরক্ষরেখায় এই ব্যবধান ৬৮.৭ মাইল (১১০.৫ কি.মি.), কিন্তু মেরুতে ৬৯°৪ মাইল (১১৭৭ কি.মি.)।৭। বিষুবরেখার ওপর ১৭ অন্তর দুটি দ্রাঘিমার রৈখিক দূরত্ব প্রায় ৬৯ মাইল (১১১ কি.মি.)। কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তিতে দূরত্ব প্রায় ৬৪ মাইল (১০৩ কি.মি.), সুমেরু ও কুমেরু বৃত্তে ২৮ মাইল (৪৫ কি.মি.) এবং মেরুবিন্দুতে ০ (শুন্য) মাইল।
৮। অক্ষাংশ গণনা করা হয় নিরক্ষরেখা থেকে।৮। দ্রাঘিমা গণনা করা হয় মূল মধ্যরেখা থেকে।
৯। সর্বোচ্চ অক্ষাংশ ৯০°।৯। সর্বোচ্চ দ্রাঘিমা ১৮০°।

(খ) স্থানীয় সময় ও মান সময়।

উত্তরঃ 

স্থানীয় সময়মান সময়
১। আকাশের সূর্যের অবস্থান দেখে সময় নির্ধারণ করাকে স্থানীয় সময় বলা হয়।১। সকল দেশেই সেই দেশের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত কোনাে স্থানের দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে সারা দেশের সময় হিসেবে গণ্য করা হয় এবং সেই সময়কে দেশের মান বা প্রমাণকাল বলে।
২। কোন স্থানের দ্রাঘিমারেখা যখন সূর্যের সামনে আসে তখন সূর্য সেইস্থানে লম্বভাবে কিরণ দেয় ফলে সেখানে মধ্যাহ্ন বা সেখানকার ঘড়িতে বেলা ১২টা বাজে। এই মধ্যাহ্ন সময় অনুসারে স্থানীয়ভাবে কর্মসূচী নির্ধারণ করা হয়।২। একই মধ্যরেখায় অবস্থিত সকল স্থানে একই সময়ে মধ্যাহ্ন হয়। সুতরাং এদের স্থানীয় সময় এক হয়।
৩। স্থানীয় সময় সকল স্থানে এক হয় না এবং কার্যসূচীও এক হয় না।৩। মান সময় দেশের সর্বত্র একই বলে গণ্য করা হয়। কাজেইদেশের সর্বত্রই মান সময় অনুযায়ী সকল কার্যসূচী একই সময়ে হয়ে থাকে।

প্রশ্ন ৬। সমাধান করাে-

(ক) গ্রিনউইচ মান সময়ে ৩টা বাজলে কোনাে একটি জায়গায় দুপুর ১২টা বাজে। জায়গাটির দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করাে।

উত্তরঃ ৩টা-দুপুর ১২টা = ৩ ঘণ্টা।

স্থান দুটির সময়ের পার্থক্য ৩ ঘণ্টা

১ ঘণ্টার দ্রাঘিমাংশের পার্থক্য ১৫°

∴ ৩ ঘণ্টায় দ্রাঘিমাংশের পার্থক্য ১৫° x ৩ = ৪৫°

অর্থাৎ জায়গাটির দ্রাঘিমাংশ ৪৫° পূঃ

(খ) দুপুর ১২টায় নিউইয়র্ক (৭৫° পঃ) শহর থেকে লসএঞ্জেলসে (১১৮৭পঃ) একটি বেতার বার্তা পাঠালে লসএঞ্জেলসের স্থানীয় সময় অনুযায়ী কখন সংবাদটি পাঠানাে হয়েছিল ?

উত্তরঃ নিউইয়র্ক এবং লসএঞ্জেলস শহর দুটি গ্রিনউইচ অপেক্ষা পশ্চিমে অবস্থিত।

∴ স্থান দুটির দ্রাঘিমাংশের পার্থক্য ১১৮°-৭৫° = ৪৩°।

১° দ্রাঘিমাংশে সময়ের পার্থক্য ৪ মিনিট

∴ ৪৩° দ্রাঘিমাংশে সময়ের পার্থক্য = ৪৩°x ৪ মিনিট = ১৭২ মিনিট

= ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট

∴ লসএঞ্জেলসের স্থানীয় সময় অনুযায়ী বেতারবার্তাটি দুপুর ১২টা- ২ঘঃ ৫২ মিঃ = সকাল ৯টা ৮ মিনিটে পাঠানাে হয়েছিল।

(গ) নতুন দিল্লির (৭৭° পূঃ) স্থানীয় সময় অনুযায়ী দিনের ৯টায় অনুষ্ঠিত খেলাটি ধুবড়ি শহরের স্থানীয় সময় অনুযায়ী কখন অনুষ্ঠিত হবে ?

উত্তরঃ নতুন দিল্লি এবং ধুবড়ি শহর দুটি গ্রিনউইচের পূর্বে অবস্থিত।

নতুন দিল্লি এবং ধুবড়ির দ্রাঘিমাংশের পার্থক্য ৯০°-৭৭° = ১৩°

১° দ্রাঘিমাংশে সময়ের পার্থক্য ৪ মিঃ

∴ ১৩° দ্রাঘিমাংশে সময়ের পার্থক্য = ১৩° x ৪ মিঃ = ৫২ মিঃ

সকাল ৯টা + ৫২ মিঃ = ৯টা ৫২ মিনিট ধুবড়ি শহরের স্থানীয় সময় অনুযায়ী খেলাটি সকাল ৯টা ৫২ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। শুদ্ধ উত্তরটি লেখ-

(ক) পৃথিবীর গােলাকার অবয়বের কৌণিক দূরত্বের মান বােঝতে ডিগ্রি/মিটার/মিনিটের একক ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ ডিগ্রি।

(খ) প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখার দ্রাঘিমাংশ ০°/৯০°/১৮০°

উত্তরঃ ০°

(গ) পৃথিবীর যে কোন স্থানের সময় ও গ্রিনউইচ মান সময় জানা যায় সেক্সটেন্ট/ক্রনােমিটার/জি. পি. এস. যন্ত্রের সাহায্যে।

উত্তরঃ ক্রনােমিটার।

(ঘ) পৃথিবীর যে কোনাে জায়গার অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ এবংসমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে জায়গাটির উচ্চতা নির্ণয় করা যায়, এরূপ একটি ছােট যন্ত্রের নাম হল-

উত্তরঃ জি. পি. এস.

(ঙ) ১০ দ্রাঘিমাংশর অন্তর সময়ের ব্যবধান হ’ল-১ ঘন্টা/১৫ মিনিট/৪মিনিট।

উত্তরঃ ৪ মিনিট।

প্রশ্ন ২। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে-

(ক) বিষুবরেখার সমান্তরাল দুটো মেরুর দিকে কল্পিত বৃত্তাকার রেখাগুলােই_____________।

উত্তরঃ অক্ষরেখা।

(খ) গােলাকার অবয়বের কৌণিক দূরত্বের মান বােঝাতে _____________ একক ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ ডিগ্রির।

(গ) প্রতিটি দ্রাঘিমাংশের ওপরের দুই মেরু সংযােগ করে কল্পনা করা রেখাগুলাে হচ্ছে _____________।

উত্তরঃ দ্রাঘিমারেখা।

(ঘ) প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে _____________বলে।

উত্তরঃ গ্রিনউইচ মান সময়।

(ঙ) পৃথিবীর দৈনিক প্রদক্ষিণের ফলে _____________ জায়গাগুলাে প্রথমেই সূর্যের মুখােমুখি হয়।

উত্তরঃ পূর্বদিকের।

(চ) রাত ১২টা থেকে পরদিন ১২টা পর্যন্ত সময়কে_____________বলে এবং দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সময়কে_____________বলে।

উত্তরঃ পূর্বমধ্যাহ্ন, উত্তর মধ্যাহ্ন।

(ছ) অক্ষাংশের ওপর ভিত্তিকরে বিষুবের সমান্তরাল কল্পিত বৃত্তাকার রেখাকে _____________ বলে।

উত্তরঃ অক্ষরেখা।

(জ) মান সময় গণনা করা দ্রাঘিমারেখাকেই _____________ বলে।

উত্তরঃ মান দ্রাঘিমারেখা।

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও

প্রশ্ন ১। অক্ষাংশ বলতে কী বােঝ ?

উত্তরঃ কোন একটি জায়গায় বিষুবের সঙ্গে কেন্দ্রে উৎপন্ন কৌণিক দূরত্বকে অক্ষাংশ বলে।

প্রশ্ন ২। দ্রাঘিমারেখা কাকে বলে ?

উত্তরঃ প্রতিটি দ্রাঘিমাংশের ওপরদিয়ে মেরু সংযোেগ করে কল্পনা করা রেখাগুলােকে দ্রাঘিমারেখা বলে।

প্রশ্ন ৩। অক্ষরেখা বলতে কী বােঝ ?

উত্তরঃ অক্ষাংশের ওপর ভিত্তি করে বিষুবের সমান্তরাল কল্পিত বৃত্তাকার রেখাগুলােকে অক্ষরেখা বলে।

প্রশ্ন ৪। দ্রাঘিমাংশ কাকে বলে ?

উত্তরঃ বিষুবরেখার ওপর প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখা থেকে কোনাে স্থানের কৌণিক দূরত্বকে স্থানটির দ্রাঘিমাংশ বলে।

প্রশ্ন ৫। প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখা কী ?

উত্তরঃ গ্রিনউইচের মান মন্দিরের ওপরে কল্পিত দ্রাঘিমারেখাকে প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখা বলে ।

প্রশ্ন ৬। স্থানীয় সময় বলতে কী বােঝ ?

উত্তরঃ কোনাে একটি স্থানের মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে যে সময় গণনা করা হয় তাকে জায়গাটির স্থানীয় সময় বলে।

প্রশ্ন ৭। ভারতীয় মান সময় কাকে বলে ?

উত্তরঃ ভারতবর্ষের এলাহাবাদ শহরের পাশ দিয়ে যাওয়া ৮২ ১°/২ (৮২°৩০’) পূর্ব দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে ভারতীয় মান সময় বলে।

প্রশ্ন ৮। আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কাকে বলে ?

উত্তরঃ পূর্ব দিক থেকে ১৮০° দ্রাঘিমাংশে ১২ ঘণ্টা ক্ষতি এবং পশ্চিম দিকে গেলে ১৮০° দ্রাঘিমাংশে ১২ ঘণ্টা লাভ মনে হবে। সময়ের এই ব্যবধান দূর করবার জন্য বিশ্বের দেশগুলাে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। পূর্বদিক থেকে ১৮০° দ্রাঘিমাংশ অতিক্রম করার মুহূর্তে নাবিক, বৈমানিক, ভ্রমণকারী একদিন (২৪ ঘন্টা) কমিয়ে দেবে। একইভাবে পশ্চিম থেকে ১৮০ দ্রাঘিমাংশ অতিক্রম করার সময় একদিন (২৪ ঘন্টা) বাড়িয়ে সমতা রক্ষা করবে।-১৮০° দ্রাঘিমারেখা দিন এবং রাত্রি গণনার সীমারেখা হিসেবে বিশ্বের দেশগুলাে মেনে নিয়েছে। তাই এই কাল্পনিক রেখাকে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা বলে।

প্রশ্ন ৯। আন্তর্জাতিক তারিখরেখার আকৃতি কী রূপ ?

উত্তরঃ ১৮০° দ্রাঘিমায় স্বল্প কিছু স্থলভাগ থাকার ফলে এই রেখাকে সাইবেরিয়ার উত্তর-পূর্ব অংশে পূর্ব দিকে, অ্যালুসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে পশ্চিম দিকে ও ফিজি দ্বীপপুঞ্জের কাছে পূর্বদিকে কিছুটা বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রচনাভিত্তিক প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে কীভাবে সময় গণনা করা হয় ?

উত্তরঃ পৃথিবীর আহ্নিকগতির ফলে প্রতিটি দ্রাঘিমারেখাতে পৃথক পৃথক সময়ে মধ্যাহ্ন এবং সূর্যাস্ত হয়। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এক একটি দ্রাঘিমার ওপরে থাকা প্রতিটি বিন্দু বা স্থান একই সময়ে মধ্যাহ্ন সূর্যের মুখােমুখি হয়। প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখা মধ্যাহ্ন সূর্যের মুখােমুখি হলে সেখানে দুপুর হয় অর্থাৎ দুপুর ১২টা বাজে। এই দ্রাঘিমারেখা পৃথিবী আবর্তনের ফলে সূর্য থেকে পূর্বদিকে সরে গিয়ে একবার ঘুরে পুনরায় মধ্যাহ্ন সূর্যের মুখােমুখি হতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা। যে কোনাে একটি দ্রাঘিমা ৪ মিনিটে ১° অর্থাৎ প্রত ঘণ্টায় ১৫° দূরত্ব অতিক্রম করে।

পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘােরে। ফলে পশ্চিমের একটি জায়গা থেকে পূর্বদিকের একটি জায়গাতে আগে সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা হয়। পৃথিবীর উপরিভাগের সময় গণনা করা হয় মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে। কোনাে একটি জায়গার মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থানের ওপরভিত্তি করে যে সময় গণনা করা হয় সেটিই হচ্ছে জায়গাটির স্থানীয় সময়। পৃথক পৃথক দ্রাঘিমারেখাতে অবস্থিত জায়গার স্থানীয় সময় পৃথক হয়। প্রাথমিকবাদ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে গ্রিনউইচ মান সময় বলে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার স্থানীয় সময় নির্ধারণ করার জন্য প্রাথমিক দ্রাঘিমারেখার মান সময়কে (GMT) ভিত্তি হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

দক্ষতামূলক কার্য-

প্রশ্ন ১। আন্তর্জাতিক তারিখরেখার চিত্র অংকন কর।

উত্তরঃ নিজে চেষ্টা করাে।

প্রশ্ন ২। গােলােকের সাহায্যে দ্রাঘিমারেখা, অক্ষরেখা এবং নিরক্ষরেখা দেখাও।

উত্তরঃ নিজে চেষ্টা করাে।

সমাধান করাে-

প্রশ্ন ১। এলাহাবাদে (৮২°৩০’) যখন দুপুর ১২টা তখন গ্রিনউইচের (০°) সময় কত ?

উত্তরঃ এলাহাবাদ ৮২°৩০’ পূঃ এবং গ্রিনউইচ ০°.

∴ দুটি স্থানের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৮২°৩০’ পূঃ – ০°

= ৮২°৩০’

আমরা জানি,

১° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় = ৪ মিনিট

∴ ৮২° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় = ৪ x ৮২ মিনিট = ৩২৮ মিনিট

যেহেতু, ১’, দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় = ৪ সেকেণ্ড

∴ ৩০’ দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় = 8 × ৩০ সেকেণ্ড

=১২০ সেকেণ্ড

= ২ মিনিট

∴ মােট সময়ের পার্থক্য ৩২৮ মিনিট + ২ মিনিট = ৩৩০ মিনিট

= ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

গ্রিনিচ এলাহাবাদের পশ্চিম দিকে অবস্থিত ;অতএব সেখানে সময় কম হবে।

∴ গ্রিনিচের সময় হবে দুপুর ১২টা – ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।

= সকাল ৬টা ৩০ মিনিট।

প্রশ্ন ২। যখন গ্রিনউইচের সময় মধ্যাহ্ন ১২টা তখন ৭৪° পঃ দ্রাঘিমায় নিউইয়র্কের সময় কত হবে ?

উত্তরঃ গ্রিনউইচ এবং নিউইয়র্কের দ্রাঘিমার পার্থক্য ৭৪°-০° = ৭৪°

১° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় = ৪ মিনিট

∴ ৭৪° দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় = ৪ = ৭৪ মিনিট

= ২৯৬ মিনিট

= ৪ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট

যেহেতু নিউইয়র্ক গ্রিনউইচের পশ্চিম দিকে অবস্থিত তার জন্য নিউইয়র্কে সময় হবে ১২টা – ৪ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট = সকাল ৭টা ৪ মিনিট

প্রশ্ন ৩। এলাহাবাদ (৮২°৩০’ থেকে বিকাল ৪টায় কোনাে সংবাদ বেতারে প্রচারিত হল, ডিব্রুগড়ে (৯৫° পূঃ) কখন শােনা যাবে ?

উত্তরঃ এলাহাবাদ এবং ডিব্রুগড়ের মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য ৯৫°-৮২°৩০’ = ১২°৩০

প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য ৪ = মিনিট

১২° দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য =১২ x ৪ মিনিট = ৪৮ মিনিট

আবার, ১’ দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য = ৪ সেকেণ্ড

∴ ৩০’ দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য = ৩০ x ৪ সেকেণ্ড = ২ মিনিট

মােট সময় ৪৮ মিনিট + ২ মিনিট = ৫০ মিনিট

যেহেতু, ডিব্ৰুগড় এলাহাবাদের পূর্বে অবস্থিত সেজন্য ডিব্রুগড়ের স্থানীয় সময় হবে বিকাল ৪টা + ৫০ মিনিট = বিকাল ৪টা ৫০ মিনিট।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top