SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 6 পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 6 পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব Question Answer Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Question Answer is made for Assam Seba Board students. SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 6 পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব Question Answer We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 6 পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব Question

SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 6 পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব Question Answer Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 6 Social Science Suggestion in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Question Answer in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Notes in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Solution in Bengali, SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 6 পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব Question Answer ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সাজেশন, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সমাধান, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বই প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের PDF, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বাংলা প্রশ্নোত্তর Question Answer absolutely free of cost. SEBA Class 6 Social in Bengali Chapter 6 পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব Question Answer If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব

ভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী )

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। নীচের প্রশ্নগুলাের উত্তর সংক্ষেপে লেখাে।

(ক) প্রধান ভূ-অবয়ব কয়টি ও কী কী ?

উত্তরঃ ভূ-অবয়বসমূহকে প্রধানত পর্বত, পাহাড়, মালভূমি ও সমভূমি হিসাবে ভাগ করা হয়।

(খ) পর্বত ও মালভূমির পার্থক্য কী কী ?

উত্তরঃ পর্বত- 

১। সাধারণত অনেক উঁচু আর অনেকদূর বিস্তৃত শিলাময় ভূ-ভাগকে পর্বত বলে।

২। পর্বতের মাথায় থাকে আকাশছোঁয়া চূড়া বা শৃঙ্গ।

৩। শৃঙ্গগুলাে কখনও কখনও বরফে ঢাকা থাকে।

৪। ভূ-সংকোচনের ফলে পর্বতের সৃষ্টি হয়।

মালভূমি- 

১। মালভূমির চারদিক পর্বতের সাহায্যে ঘেরা থাকে।

২। মালভূমির উচ্চ শৃঙ্গ থাকে না।

৩। এখানে কখনও কখনও বরফ পড়তে পারে।

৪। পর্বতের মাঝে মাঝে নীচু জায়গাগুলাে উচু হয়ে উঠে ও মালভূমির আকার ধারণ করে।

(গ) উৎপত্তি অনুসারে পর্বত ও পাহাড়কে কী কী ভাগে ভাগ করা হয় ?

উত্তরঃ উৎপত্তি অনুযায়ী পর্বত-পাহাড়কে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

১। আগ্নেয় পর্বত।

২। ভঙ্গিল পর্বত।

৩। স্তুপ পর্বত।

S.L. No.সূচিপত্র
পাঠভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী )
পাঠ-১সৌরজগতে আমাদের পৃথিবী
পাঠ -২পৃথিবীর আকার ও আকৃতি
পাঠ -৩পৃথিবীর গতি
পাঠ -৪পৃথিবীর প্রধান মণ্ডলসমূহ
পাঠ -৫ভূগোল অধ্যয়নের উপকরণ- মানচিত্র
পাঠ -৬পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব
পাঠ -৭অসম: জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি
পাঠ -৮আমাদের ভারতবর্ষ
পাঠ ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য )
পাঠ – ৯কী, কোথায়, কখন ও কিভাবে
পাঠ -১০আদি প্রস্তর যুগ
পাঠ -১১আদিম মানুষের জীবিকা ও স্থায়ী বসবাস (নব্য প্রস্তর যুগ)
পাঠ -১২প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা
পাঠ -১৩বৈদিক সভ্যতা
পাঠ -১৪মহাজনপদ
পাঠ -১৫নতুন ভাবের অভ্যুদয়
পাঠ -১৬মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র
পাঠ অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড
(আমাদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন)
পাঠ -১৭আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ
পাঠ -১৮উন্নত জীবনের প্রয়োজনসমূহ
পাঠ -১৯জীবন ধারণের মান উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২০কৃষি, শিল্পোদ্যোগ এবং সেবাখণ্ডে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২১সরকারের ধারণা ও বিভিন্ন ধরনের সরকার
পাঠ -২২গণতন্ত্র এবং এর নীতিসমূহ
পাঠ -২৩কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার
পাঠ -২৪স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা

(ঘ) পাহাড়, পর্বত মানুষের কী কী কাজে লাগে ?

উত্তরঃ পাহাড়-পর্বতে থাকা খনিজ সম্পদগুলোকে আহরণ করে মানুষ অনেক কাজে লাগায়। পাহাড়-পর্বত জলের ভাণ্ডার কারণ পাহাড়-পর্বত থেকে নদীর সৃষ্টি হয়েছে। দুইটি পর্বতের মাঝে বাঁধ দিয়ে জলভাণ্ডারের সৃষ্টি করা হয়। এই জলভাণ্ডার থেকে জলবিদ্যুৎ প্রস্তুত করা হয়। নদীর জলের সাহায্যে মানুষ কৃষিকার্য করে। পাহাড়-পর্বতের ঢালে কৃষিকার্য কর হয়। পাহাড়-পর্বতে বিভিন্ন প্রকারের মূল্যবান উদ্ভিদ ও জীবজন্তু পাওয়া যায়। পাহাড়-পর্বতে বাস করা লোকেরা পাহাড়-পর্বত থেকে খড়ি, ফলমূল গৃহনির্মাণের সামগ্রী, পশুদের খাদ্য ও ঔষধিগাছ সংগ্রহ করে। পাহাড়-পর্বত বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা, বাতাস, বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণ করে। পাহাড়-পর্বতে তীর্থক্ষেত্র ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

(ঙ) সমভূমি কীভাবে গঠিত হয় ?

উত্তরঃ সমুদ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে প্রায় একই সমতলে অবস্থিত বিস্তীর্ণ অঞ্চলই হল সমভূমি। সাধারণত সমভূমি সমুদ্র সমতল থেকে বেশি উঁচু হয় না। অতি ধীরে ঢালু হয়ে সাগরপৃষ্ঠের সাথে মেশে। সাধারণভাবে সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার উচ্চতার অধিক হয় না। সমভূমি অতিপাত সমানও হতে পারে আবার কিছু পরিমাণে উচ্চ-নীচ হতে পারে।

(চ) নদী উপত্যকা ঘনবসতিপূর্ণ কেন ?

উত্তরঃ নদী উপত্যকা অঞ্চলে কৃষি, যাতায়াত, উদ্যোগ, ব্যবসায়-বাণিজ ইত্যাদি তুলনামূলকভাবে সহজসাধ্য হয়। তাই নদী-উপত্যকা জনবসতিপূর্ণ হয়।

(ছ) পার্বত্য অঞ্চলগুলোর জনবসতি পাতলা কেন ?

উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চলে জনবসতি কম হবার কারণসমূহ নিম্নরূপ-

১। পার্বত্য অঞ্চলের ভূমি বন্ধুর, জলবায়ু শীতল ও মাটি অনুর্বর । কাজেই কৃষিকার্য করার সুযোগ কম।

২। বন্ধুর স্থলপথে যাতায়াত করা বা খরস্রোতা নদীর জলপথে পরিবহণ করা অসুবিধাজনক বলে মালপত্র আদানপ্রদান করা, ব্যবসাবাণিজ্য করা বা শিল্প গড়ে তোলা সহজ নয়।

৩। জীবিকার অভাবের জন্য পার্বত্য অঞ্চলে লোকবসতি খুবই কম।

প্রশ্ন ২। শুদ্ধ উত্তরে (✔) চিহ্ন দাও।

(ক) পাহাড় থেকে পর্বত পৃথক হওয়ার প্রধান কারণ-

১। উচ্চতা। 

২। ঢাল।

৩। গঠন প্রক্রিয়া।

উত্তরঃ উচ্চতা

(খ) হিমবাহিত অঞ্চল হল-

১। সমভূমি। 

২। পর্বত।

৩। মরুভূমি।

উত্তরঃ পৰ্বত

(গ) দাক্ষিণাত্যের মালভূমির অবস্থান-

১। চীনে।

২। নেপালে। 

৩। ভারতবর্ষে।

উত্তরঃ ভারতবর্ষে

প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো-

(ক) রোদ, বৃষ্টি, বাতাস, ইত্যাদির ফলে ভূ-প্রকৃতির পরিবর্তনকে __________ প্রক্রিয়ার দ্বারা পরিবর্তন বলে।

উত্তরঃ বাহ্যিক।

(খ) হিমালয় ও আল্পস এক একটি __________ পর্বত।

উত্তরঃ ভঙ্গিল।

(গ) __________ সমূহ সাধারণত খনিজ সম্পদে ভরপুর।

উত্তরঃ মালভূমি।

(ঘ) __________ অঞ্চলে যাতায়াত ব্যবস্থা সবচেয়ে সহজসাধ্য।

উত্তরঃ সমভূমি।

(ঙ) অতিরিক্ত জলের স্রোত __________ সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।

উত্তরঃ সমভূমি।

প্রশ্ন ৪। নীচে পৃথিবীর মানচিত্রে কয়েকটি পর্বতমালার অবস্থান দেখানাে হয়েছে। ভূচিত্রাবলী দেখে প্রতিটির পাশের খালি জায়গায় নীচের ক্রমিক নম্বর বসাও-

উত্তরঃ নিজেরা কর।

প্রশ্ন ৫। মানুষ, পাহাড়-পর্বত, গাছপালা, শিলা-মাটি ইত্যাদি অপরিকল্পিতভাবে কাটতে থাকলে আমাদের কী কী অসুবিধা হতে পারে, পাঠের আধারে একটি সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখাে।

উত্তরঃ পাহাড়-পর্বত, গাছ-পালা, শিলা ও মাটি অপরিকল্পিতভাবে কাটতে থাকলে কোনাে একদিন আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি ।

১। আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে এবং এর ফলে মরুভূমির সৃষ্টি হবে।

২। সমগ্র বিশ্বে উত্তাপ বৃদ্ধি পাবে। জলস্তর বৃদ্ধি পাবে ও নিম্ন

অঞ্চলগুলােতে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হবে।

৩। মানুষ ও পশুপক্ষীর খাদ্যের অভাব ঘটবে।

৪। নানাপ্রকারের অসুখ দেখা দেবে।

৫। পশু-পক্ষী অরণ্যাঞ্চল থেকে বসতি অঞ্চলে স্থান গ্রহণ করবে।

৬। খাদ্যাভাবে মহামারীর সৃষ্টি হবে।

৭। জলের অভাবে শিল্পোদ্যোগ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, ব্যবসাবাণিজ্য ইত্যাদি বিশেষভাবে ব্যাহত হবে।

প্রশ্ন ৬। ভূ-চিত্রাবলি দেখে হিমালয় পর্বত থেকে সৃষ্ট কয়েকটি নদীর নাম লেখাে।

উত্তরঃ সিন্ধুনদ, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। পৃথিবীর উপরিভাগের ভূ-অবয়ব গঠনের প্রক্রিয়া দুটোর নাম লেখ।

উত্তরঃ আভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া ও বাহ্যিক প্রক্রিয়া।

প্রশ্ন ২। পৃথিবী আদিতে কিরূপ অবস্থায় ছিল ?

উত্তরঃ উত্তপ্ত অবস্থায়।

প্রশ্ন ৩। পৃথিবীর খােলটি কিসের দ্বারা গঠিত ?

উত্তরঃ কয়েকটি প্লেট বা ফলকের দ্বারা।

প্রশ্ন ৪। ভূ-আন্দোলনের একটি আভ্যন্তরীণ কারণ বর্ণনা কর।

উত্তরঃ পৃথিবীর খােলটি কয়েকটি ফলকের দ্বারা গঠিত। এই ফলকগুলাে গতিশীল। কোনাে কোনাে সময় একটি গতিশীল ফলক অপর একটি স্থির-ফলকের দিকে অথবা দুটো গতিশীল ফলক একটি অপরটির দিকে ধাবিত হলে ফলক দুটোর মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আবার কখনাে কখনাে দুটো ফলক বিপরীত দিকে অগ্রসর হয় তখন একটি অপরটিকে টেনে রাখার চেষ্টা করে। এর ফলস্বরূপ কখনাে কখনাে এই ফলক বা প্লেটগুলাের একটি অপর একটি ফলকের উপর উঠে যায় অথবা একটি অপরটির নীচে নেমে যায় ফলে ভূ-পৃষ্ঠে কম্পনের সৃষ্টি হয়। এই কম্পনকেই ভূ-আন্দোলন বলে। এটি ভূ-আন্দোলনের আভ্যন্তরীণ কারণ।

প্রশ্ন ৫। কয়েকটি বাহ্যিক প্রক্রিয়ার নাম লেখ।

উত্তরঃ রৌদ্র, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, সমুদ্রের ঢেউ, ভূমিস্খলন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬। পাহাড়-পর্বত বলতে কি বােঝায় ?

উত্তরঃ প্রাকৃতিকভাবে থাকা অতি উঁচুস্থানকে পাহাড়-পর্বত বলা হয়।

প্রশ্ন ৭। হিমবাহ কি ?

উত্তরঃ অতি উচ্চ পর্বতের উপরিভাগে সাধারণত বায়ুমণ্ডল শীতল হওয়ার ফলে বৎসরের প্রায় সকল সময় বরফে ঢাকা থাকে। পর্বতের গা বেয়ে নীচে নেমে আসা বরফের স্থূপকেই হিমবাহ বলে।

প্রশ্ন ৮। পর্বতমালা বলতে কি বােঝ ?

উত্তরঃ একসাথে সারি সারি থাকা পর্বতের সমষ্টিকে পর্বতমালা বলে।

প্রশ্ন ৯। হিমালয় পর্বতমালার বিস্তৃতি কত ?

উত্তরঃ হিমালয় পর্বতমালা পশ্চিমে কাশ্মীর থেকে পূর্বে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত ৩০০০ কিলােমিটার জুড়ে বিস্তৃত।

প্রশ্ন ১০। উৎপত্তি অনুযায়ী পাহাড়-পর্বতকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি ?

উত্তরঃ উৎপত্তি অনুযায়ী পাহাড়-পর্বতকে তিনভাগে ভাগ করা যায়- আগ্নেয় পর্বত, ভঙ্গিল পর্বত এবং স্কুপ পর্বত।

প্রশ্ন ১১। আগ্নেয়গিরি কাকে বলে ?

উত্তরঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগে থাকা পদার্থসমূহ প্রচণ্ড উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় আছে। এই গলিত পদার্থসমূহ প্রচণ্ড তাপ এবং চাপের ফলে কখনাে কখনাে ভূ-পৃষ্ঠের দুর্বল অংশ দিয়ে হঠাৎ ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে বেরিয়ে আসে। এই ধরনের অবস্থাকে আগ্নেয়গিরি বলে।

প্রশ্ন ১২। সঞ্চয়জাত পর্বত বলতে কি বোঝ ?

উত্তরঃ আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত লাভা জমা হয়ে সৃষ্টি হওয়া পর্বতকে সঞ্চয়জাত পর্বত বলে।

প্রশ্ন ১৩। আগ্নেয় পর্বতের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ জাপানের ফুজিয়ামা।

প্রশ্ন ১৪। ভঙ্গিল পর্বত কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে ?

উত্তরঃ পৃথিবীর খোলটি কিছুসংখ্যক প্লেট বা ফলকের সমষ্টি। একে অপরদিকে গতিশীল হয়ে দুটি ফলকের মধ্যে থাকা অঞ্চলটির ভূ-ভাগ প্রচণ্ড চাপের ফলে ভাঁজ খেয়ে উপরের দিকে উঠে আসে। এই উঠে আসা অংশ নিয়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ১৫। ভঙ্গিল পর্বতের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ ভারতের আরাবল্লী পর্বত।

প্রশ্ন ১৬। স্তূপ পর্বত কাকে বলে ?

উত্তরঃ ভূ-গর্ভে বিভিন্ন কারণে আন্দোলনের ফলে পৃথিবীর উপরিভাগে কোনো একটি অঞ্চল খাড়াভাবে ফেটে যেতে পারে এবং শিলাস্তর খণ্ডে খণ্ডে ভাগ হয়ে যেতে পারে। এই বিভক্ত হওয়ার ফলে দুটো ফাটলের মাঝখানের ভূমি বসে যাবার ফলে পাশের দুদিকের ভূমি উঁচু হয়ে পর্বতের সৃষ্টি করে। এরূপ পর্বতকে স্তুপ পর্বত বলে।

প্রশ্ন ১৭। গ্ৰস্ত উপত্যকা কাকে বলে ?

উত্তরঃ দুটো স্তূপ পর্বতের মধ্যবর্তী নিম্নভূমিকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে।

প্রশ্ন ১৮। স্তূপ পর্বতের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ জার্মানীর ব্ল্যাক ফরেষ্ট।

প্রশ্ন ১৯। গ্রস্ত উপত্যকার একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ জার্মানীর রাইন নদীর উপত্যকা।

প্রশ্ন ২০। আগ্নেয় পর্বত বা সঞ্চয়জাত পর্বত কিভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ ভূ-গর্ভের উত্তপ্ত লাভা বেরিয়ে এসে ভূ-পৃষ্ঠে সঞ্চিত হয়ে যে গম্বুজাকৃতি পর্বতের সৃষ্টি করে, তাকে আগ্নেয়পর্বত বা. সঞ্চয়জাত পর্বত বলে। যেমন- জাপানের ফুজিয়ামা।

প্রশ্ন ২১। ক্ষয়জাত পর্বত কাকে বলে ?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ও ক্ষয়কার্যের ফলে বিস্তীর্ণ উচ্চভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যে পর্বতের আকার ধারণ করে তাকে ক্ষয়জাত পর্বত বলে। উদাহরণ- পূর্বঘাট পর্বত, আরাবল্লী পর্বত ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২২। হিমালয় পর্বত কিভাবে উপকার সাধন করে ?

উত্তরঃ হিমালয় পর্বত বিভিন্ন প্রকারের উপকার সাধন করে। গ্রীষ্মকালে ভারত মহাসাগর থেকে প্রবাহিত হওয়া দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প নিয়ে আসে এবং এই জলীয়বাষ্প হিমালয় পর্বতে বাধা পেয়ে দক্ষিণের নিম্নাঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। অপরদিকে শীতকালে সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে আসা শীতল বাতাস হিমালয়ে বাধাগ্রস্ত হয় এবং ভারতকে প্রচণ্ড শীতের হাত থেকে রক্ষা করে।

প্রশ্ন ২৩। ভারতবর্ষের কয়েকটি স্বাস্থ্যকর স্থানের নাম লেখ।

উত্তরঃ হিমালয়ের মুসৌরী, কুলু, মানালী, সিমলা, দেরাদুন, শিলং, দার্জিলিং ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য।

প্রশ্ন ২৪। মালভূমি কাকে বলে ?

উত্তরঃ কিছুসংখ্যক পাহাড় বা পর্বতের উপর বিস্তৃত সমতলভূমি দেখা যায়। এই ধরনের সমতল ভূমিকে মালভূমি বলে।

প্রশ্ন ২৫। একটি উচ্চ মালভূমির নাম লেখ।

উত্তরঃ তিব্বত মালভূমি (৪০০০ থেকে ৬০০০ মিটার)।

প্রশ্ন ২৬। মালভূমিতে কি কি প্রকারের খনিজ সম্পদ পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ লৌহ আকর, কয়লা, ম্যাঙ্গানিজ, সােনা ইত্যাদি খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ২৭। ছােটনাগপুরের মালভূমিতে কি কি পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ প্রচুর লৌহ আকর ও কয়লা পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ২৮। কার্পাস চাষের জন্য কি প্রকারের মাটির প্রয়ােজন ?

উত্তরঃ লাভা দ্বারা গঠিত কৃষ্ণমৃত্তিকা অঞ্চলে কার্পাসের চাষ ভাল হয়।

প্রশ্ন ২৯। জলপ্রপাত কাকে বলে ?

উত্তরঃ কোমল শিলাস্তর তাড়াতাড়ি ক্ষয় পাওয়ার ফলে নদীর গতিপথে এমনই এক অসম ঢালের সৃষ্টি হয় যে নদী তখন উপর থেকে নীচে সজোরে পড়তে থাকে। একেই জলপ্রপাত বলে। যেমন- বিডন, বিশপ।

প্রশ্ন ৩০। ভারতের কোন্ কোন্ নদীর তীরে প্রাচীন সভ্যতা গড়ে উঠেছিল ?

উত্তরঃ গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, সিন্ধু ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩১। ঘন জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলের পরিবেশ কিভাবে দূষিত হয় ?

উত্তরঃ অপরিকল্পিতভাবে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, নালা-নর্দমা নির্মাণের ফলে বদ্ধ জল নির্গত হতে পারে না এবং যেখানে সেখানে জঞ্জাল ফেলে দেবার ফলে পরিবেশ দূষিত হয়।

প্রশ্ন ৩২। অরণ্য ধ্বংস হবার মূল কারণ কি ?

উত্তরঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কৃষিকর্মের সম্প্রসারণ ও ঘর-বাড়ি নির্মাণের ফলে অরণ্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে।

প্রশ্ন ৩৩। দক্ষতামূলক কার্য ।

(ক) একটি আগ্নেয়গিরি অঙ্কন করে এর বিভিন্ন অংশ দেখাও।

(খ) স্তুপ পর্বত ও গ্রস্ত উপত্যকার চিত্র অঙ্কন কর।

(গ) জলপ্রপাতের চিত্র অঙ্কন কর।

উত্তরঃ পাঠ্যপুথির সাহায্য নিয়ে অঙ্কন কর।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top