SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 17 আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 17 আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Question Answer is made for Assam Seba Board students. SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 17 আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 17 আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ

SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 17 আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 6 Social Science Suggestion in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Question Answer in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Notes in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Solution in Bengali, SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 17 আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সাজেশন, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সমাধান, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বই প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের PDF, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বাংলা প্রশ্নোত্তর Question Answer absolutely free of cost. If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ

অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মানুষের মৌলিক প্রয়ােজন কী কী ? এগুলােকে কেন মৌলিক প্রয়ােজন বলা হয় ?

উত্তরঃ মানুষের মৌলিক প্রয়ােজন তিনটি-

১। খাদ্য।

২। বস্ত্র।ও

৩। বাসস্থান।

মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের প্রয়ােজন। শরীরের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য আমরা খাদ্য ও জল গ্রহণ করি। শরীরকে সুস্থভাবে রাখতে এবং কাজ করার শক্তি আহরণ করতে খাদ্যের আবশ্যক।

শীত, তাপ, রােদ, ধূলা ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এবং লজ্জা নিবারণের জন্য মানুষের বস্ত্র ও সাজ-পােশাকের প্রয়ােজন হয়। বস্ত্র অর্থাৎ সাজ-পােশাক ব্যতীত সভ্যজীবন যাপন সম্ভব নয়।

হিংস্র জীব-জন্তু, শীত-তাপ, রােদ, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, তুষারপাত ইত্যাদির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষের বাসস্থান অর্থাৎ ঘর বাড়ি মানুষকে প্রাকৃতিক বিপদ থেকে রক্ষা করে আশ্রয়, নিরাপত্তা ও বিশ্রাম প্রদান করে।

প্রশ্ন ২। পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মুখ্য আহার হিসাবে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যগ্রহণ করার কারণ কী কী ?

উত্তরঃ পৃথিবীর যে অঞ্চলে যেগুলি খাদ্যসামগ্রী প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয় সেইগুলিকে সেই অঞ্চলের মানুষ প্রধান খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। ভিন্ন ভিন্ন ভৌগোলিক পরিবেশ মাটির গুণাগুণ ও জলবায়ুর পার্থক্যের জন্য মানুষের খাদ্য ও আহার পৃথক পৃথক হয়। উদাহরণস্বরূপে অসমের জলবায়ু ও মাটি ধান উৎপাদনের জন্য উপযাগী হওয়ার কারণে ভাত অসমের মানুষের প্রধান খাদ্য। ঠিক একইভাবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার প্রভৃতি স্থানে যথেষ্ট পরিমাণে গম উৎপাদন হওয়ার জন্য সেই সকল স্থানের মানুষের প্রধান খাদ্য হল রুটি। ভাত বা রুটির সঙ্গে আনুষঙ্গিভাবে যেগুলি ব্যঞ্জন খাওয়া হয়, সেইগুলিও মূল খাদ্য বা আহারের অন্তর্ভুক্ত।

যে সকল অঞ্চলে চাষ-আবাদ বা কৃষিকার্য হয় না সেই সকল অঞ্চলের মানুষ মাছ, জীব-জন্তু ইত্যাদি শিকার করে আহার বা খাদ্য সংগ্রহ করে। মেরু অঞ্চলের মানুষ শ্লেজ গাড়ি চালিয়ে চীল, তিমিমাছ শিকার করে। আর যাযাবর বেদুইনেরা উটের মাংস, গরুর দুধ ও খেজুর খেয়ে জীবন নির্বাহ করে।

S.L. No.সূচিপত্র
পাঠভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী )
পাঠ-১সৌরজগতে আমাদের পৃথিবী
পাঠ -২পৃথিবীর আকার ও আকৃতি
পাঠ -৩পৃথিবীর গতি
পাঠ -৪পৃথিবীর প্রধান মণ্ডলসমূহ
পাঠ -৫ভূগোল অধ্যয়নের উপকরণ- মানচিত্র
পাঠ -৬পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব
পাঠ -৭অসম: জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি
পাঠ -৮আমাদের ভারতবর্ষ
পাঠ ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য )
পাঠ – ৯কী, কোথায়, কখন ও কিভাবে
পাঠ -১০আদি প্রস্তর যুগ
পাঠ -১১আদিম মানুষের জীবিকা ও স্থায়ী বসবাস (নব্য প্রস্তর যুগ)
পাঠ -১২প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা
পাঠ -১৩বৈদিক সভ্যতা
পাঠ -১৪মহাজনপদ
পাঠ -১৫নতুন ভাবের অভ্যুদয়
পাঠ -১৬মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র
পাঠ অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড
(আমাদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন)
পাঠ -১৭আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ
পাঠ -১৮উন্নত জীবনের প্রয়োজনসমূহ
পাঠ -১৯জীবন ধারণের মান উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২০কৃষি, শিল্পোদ্যোগ এবং সেবাখণ্ডে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২১সরকারের ধারণা ও বিভিন্ন ধরনের সরকার
পাঠ -২২গণতন্ত্র এবং এর নীতিসমূহ
পাঠ -২৩কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার
পাঠ -২৪স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা

প্রশ্ন ৩। অসমের মানুষের মুখ্য আহার কী কী ?

উত্তরঃ অসমের মানুষ মুখ্য খাদ্য হিসাবে ভাত, ডাল, শাক-সব্জী, মাছ, প্রভৃতি খাদ্য খায়।

প্রশ্ন ৪। বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কেন বিভিন্ন রকমের পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে ?

উত্তরঃ অঞ্চলভেদে ও ঋতুভেদে মানুষের পোষাক পরিচ্ছদের বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। শীতকালে আমরা গরম কাপড় ও গ্রীষ্মকালে সূতীর কাপড় পরিধান করি। শীতপ্রধান অঞ্চলে গরম কাপড়ের প্রচলন অধিক। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের মানুষ সূতীবস্ত্র অধিক পরিমাণে ব্যবহার করে। অধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত অঞ্চলের মানুষ যথাসম্ভব জল না লাগা পোশাক পরিধান করে।

প্রশ্ন ৫। মানুষের বাসস্থান স্থানভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। এর কারণগুলো শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে লেখো।

উত্তরঃ ভৌগোলিক ও সামাজিক পরিবেশের উপরে নির্ভর করে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন প্রকার ঘর নির্মাণ করে। উদাহরহস্বরূপ আসামে প্রচুর পরিমাণ বাঁশ, কাঠ, খড় প্রভৃতি পাওয়া যায় বলে আসামের মানুষ সাধারণত এ সকল উপাদান দিয়ে ঘর তৈরী করে। ঝড়-ঝঞ্ঝার প্রকোপ বেশি হওয়ার দরুণ বিহার, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যের মানুষ সাধারণত মাটির ঘর তৈরী করে। জল মগ্ন অঞ্চল বা হ্রদ বহুল অঞ্চলে মানুষ নৌ কার উপর ঘর তৈরী করে। তুন্দ্রা অঞ্চলের এস্কোমোগণ বরফের টুকরো সাজিয়ে ঘর তৈরী করে। আরবের বেদুইনগণ তাঁবু ঘর নির্মাণ করে।

প্রশ্ন ৬। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) আমাদের শরীরের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য আমরা __________ এবং __________ গ্রহণ করি।

উত্তরঃ স্থূল আহার/উপ-আহার।

(খ) মানুষের জীবিত থাকার জন্য দিনে দুবেলা __________ ভাবে যে খাদ্য পায় তাকে মূল আহার বা __________ আহার বলা হয়।

উত্তরঃ নিয়মিত/মূল।

(গ) শীত, গরম, রৌদ্র, ধূলো-বালি ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাবার জন্য এবং __________ নিবারণের জন্য মানুষের __________ প্রয়োজন হয়।

উত্তরঃ লজ্জা/পোষাকের।

(ঘ) পোষাক-পরিচ্ছদ মানুষের __________ ও __________  তুলে ধরে।

উত্তরঃ রুচিবোধ/ব্যক্তিত্ব।

(ঙ) বাসস্থান বা ঘর মানুষকে __________ বিপদ থেকে রক্ষা করে __________ নিরাপত্তা ও আরাম দেয়।

উত্তরঃ প্রাকৃতিক/আশ্রয়।

(চ) উত্তর-পূর্ব ভারতের পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ সাধারণত বন্য জীবজন্তু, __________ ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাবার জন্য __________ তৈরি করে।

উত্তরঃ প্রাকৃতিক দুর্যোগ/ মাটির ঘর।

প্রশ্ন ৭। শুদ্ধ-অশুদ্ধ নির্ণয় করো।

(ক) পৃথিবীর সকল স্থানের লোকের প্রধান আহার ভাত।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(খ) মানুষ দিনে দুবেলা নিয়মিতভাবে যে খাদ্য খায় তাকে উপ-আহার বলে।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(গ) পোশাক-পরিচ্ছদ ব্যতীত সভ্য জীবন-যাপন সম্ভব নয়।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঘ) গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলে সুতোর কাপড়ের প্রচলন কম।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঙ) মরুভূমি অঞ্চলের লোক ইগলু তৈরি করে বসবাস করে।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(চ) উত্তর পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অঞ্চলে মাচাঘর দেখা যায়।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ৮। প্রকল্প।

অসমের মানুষ পরিধান করা বিভিন্ন ধরনের পোশা-পরিচ্ছদের ছবি সংগ্রহ করে নাম সহকারে একটি অ্যালবাম তৈরি করো।

উত্তরঃ শ্রেণিতে শিক্ষকের সাহায্যে তৈরি করো।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। আদিম যুগের মানুষেরা কোথায় বাস করত এবং কী কী পোষাক পরিধান করত ?

উত্তরঃ আদিম যুগের মানুষেরা বনে জঙ্গলে এবং পর্বতের গুহায় বাস করত। তারা গাছের ছাল ও পাতা দ্বারা তৈরি পোষাক পরিধান করত।

প্রশ্ন ২। খাদ্য না খেয়ে আমরা বেঁচে থাকতে পারি কী ?

উত্তরঃ খাদ্য না খেয়ে আমরা বেঁচে থাকতে পারি না। খাদ্য আমাদের শক্তি যোগায়।

প্রশ্ন ৩। হিমেল ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে আমরা কী ধরনের পোষাক পরি ?

উত্তরঃ গরম কাপড় বা উলের তৈরি পোষাক পরি।

প্রশ্ন ৪। তোমাদের অঞ্চলটিতে কী কী ধরনের ঘরবাড়ি দেখেছ ?

উত্তরঃ আমাদের অঞ্চলে ছোট বড় অট্টালিকা ইট, সিমেন্ট ও টিনের তৈরি ঘরবাড়ি দেখা যায়। কিছু পরিমাণে বাঁশ বেত নির্মিত ঘরবাড়ির আছে।

প্রশ্ন ৫। আসামের বিভিন্ন জাতি-উপজাতির লোকেরা কী কী পোষাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে এবং সেগুলো কিসের তৈরি লেখ।

উত্তরঃ মানব সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে লজ্জা নিবারণ, বৃত্তি, ধর্মীয় বিশ্বাস, আবহাওয়ার প্রভাব, সৌন্দর্যরক্ষা ইত্যাদির জন্য মানুষের সাজ-পোষাক আলাদা আলাদা হয়। আসামের বিভিন্ন জাতি-উপজাতির লোকেরা কার্পাস, উল, এণ্ডি, মুগা, পাট, পলিয়েস্টার প্রভৃতি তৈরি বস্ত্র পরিধান করে। উপজাতি লোকদের পোষাক-পরিচ্ছেদ সমতলের মানুষের পোষাক-পরিচ্ছদ হতে একটু আলাদা।

প্রশ্ন ৬। আদিম মানুষ এবং বর্তমান যুগের মানুষের বাসস্থানের পার্থক্যগুলো কী কী ?

উত্তরঃ আদিম যুগের মানুষ যাযাবর জীবনযাপন করত। বন্যা হিংস্র জন্তু শীত-গ্রীষ্ম, রোদ-বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, ঝড়, তুষারপাত ইত্যাদি থেকে রক্ষা পেতে পর্বতের গুহা বা গাছের কোটরে আশ্রয় নিত।

বর্তমান যুগে মানুষ বাঁশ, বেত, খড়, কাঠ, টিন, সিমেন্ট, ইট, লোহা এবং নানাপ্রকার আধুনিক দ্রব্যসামগ্রী দিয়ে বাসস্থান তৈরি করে। বর্তমানে মানুষ বহুতল বিশিষ্ট অট্টালিকাও তৈরি করে।

প্রশ্ন ৭। মানুষের মৌলিক প্রয়োজনসমূহ কী কী ? এগুলোকে কেন মৌলিক প্রয়োজন বলা হয় ?

উত্তরঃ মানুষের মৌলিক প্রয়োজন হ’ল খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান।

এই জিনিসগুলো ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকতে পারে না। জীবনযাপনের জন্য এগুলো অপরিহার্য। সুতরাং এগুলোকে মৌলিক প্রয়োজন বলা হয়।

প্রশ্ন ৮। সংক্ষেপে উত্তর দাও।

(ক) আমরা আহার করি কেন ?

উত্তরঃ দেহের পরিপুষ্টি এবং কাজের শক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের খাদ্যের প্রয়োজন।

(খ) বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বিভিন্ন ধরনের পোষাক-পরিচ্ছদ পরিধান করার কারণগুলো লেখ।

উত্তরঃ মানব সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে লজ্জা-নিবারণ, বৃত্তি, ধর্মীয় বিশ্বাস, আবহাওয়ার প্রভাব, সৌন্দর্যরক্ষা প্রভৃতির জন্য মানুষের পোষাক-পরিচ্ছদ আলাদা আলাদা হয়। অধিকন্তু বিভিন্ন অঞ্চলের জলবায়ু বিভিন্ন হওয়ার ফলে পোষাক-পরিচ্ছদও ভিন্ন ভিন্ন হয়।

(গ) পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের একই রকম খাদ্য না খাওয়ার কারণগুলো কী কী ?

উত্তরঃ পৃথিবীতে যে অঞ্চলে যেসব খাদ্যসামগ্রী প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয় সেইগুলোকে সেই অঞ্চলের মানুষ প্রধান আহার হিসাবে গ্রহণ করে। পৃথিবীর সকল অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ এক নয়। জলবায়ু প্রকারভেদে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে কৃষিকাজ, শিকার, পশুপালন, ফলমূল সংগ্রহ ইত্যাদির সাহায্যে আহার সংগ্রহ করে। ফলে। ভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন খাদ্য গ্রহণ করে।

প্রশ্ন ৯। মানুষের সামাজিক প্রয়োজনসমূহ কী কী ? এগুলো কীভাবে সুস্থ ও শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সাহায্য করছে বুঝিয়ে লেখ।

উত্তরঃ মানুষের সামাজিক প্রয়োজনসমূহ হল- জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, ধর্ম, সংস্কৃতি, সহনশীলতা প্রভৃতি।

মানুষ সামাজিক জীব। ব্যক্তিগত প্রয়োজনগুলো পূরণ করার সঙ্গে সঙ্গে উন্নতমানের জীবন-নির্বাহ করার জন্য অন্যান্য সামাজিক প্রয়োজনগুলোও পূরণ করতে হয়। সমাজকে শান্তি ও সমৃদ্ধিময় করে গড়ে তোলার জন্য সুস্বাস্থ্য, মেলামেশা, ভালোবাসা ইত্যাদির প্রয়োজন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন- চিকিৎসালয় ও নিরাপত্তার ব্যবস্থাগুলো  মানুষকে শান্তিতে ও সুশৃঙ্খলভাবে বেঁচে থাকার সুবিধা প্রদান করে। সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশের জন্য বৃক্ষরোপণ, প্রকৃতি-সংরক্ষণ ও পরিষ্কারপরিচ্ছতা ইত্যাদিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ১০। মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনসমূহ পূরণ করায় প্রকৃতি কীভাবে সাহায্য করছে লেখ।

উত্তরঃ মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণ করতে প্রকৃতি নানাভাবে সাহায্য করছে। জল, বায়ু, সূর্যালোক, নদী, বনাঞ্চল, মহাসাগর প্রাকৃতিক সম্পদ প্রভৃতি মানব জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কযুক্ত। খাদ্য, বস্ত্ৰ ও বাসস্থান প্রভৃতি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে প্রকৃতি মানুষকে নানাভাবে সাহায্য করছে।

প্রশ্ন ১১। নিম্নে প্রদত্ত বিষয়সমূহের উপর আকস্মিক বক্তৃতা দাও-

(ক) পোষাকের প্রয়োজনীয়তা। 

(খ) বিভিন্ন প্রকারের বাড়ি।

(গ) প্রাকৃতিক সম্পদ।

(ঘ) জীবন ধারণের মান ও প্রযুক্তি।

(ঙ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

উত্তরঃ (ক) পোষাকের প্রয়োজনীয়তা- মানুষ শীত ও গ্রীষ্ম থেকে রক্ষা পেতে এবং লজ্জা নিবারণের জন্য পোষাক-পরিচ্ছদের প্রয়োজন অনুভব করে। পোষাক-পরিচ্ছদ মানুষের একটি মৌলিক চাহিদা। মানব-সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে লজ্জা নিবারণ, বৃত্তি, ধর্মীয় বিশ্বাস, আবহাওয়ার প্রভাব, সৌন্দর্যরক্ষা ইত্যাদির জন্য মানুষের সাজ-পোষাক আলাদা আলাদা হয়। পোষাক-পরিচ্ছদ থেকে পরিধানকারীর রুচিবোধ এবং ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।

(খ) বিভিন্ন প্রকারের বাড়ি- পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে একরকমের বাড়ি দেখা যায় না। ভৌগোলিক ও সামাজিক পরিবেশের উপর নির্ভর করে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের বাড়ি তৈরি করে। সাধারণত কোনো অঞ্চলে সহজে এবং সুবিধামতো পাওয়া সামগ্রীর দ্বারা সেই অঞ্চলের মানুষ বাড়ি তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, অসমে প্রচুর পরিমাণে বাঁশ, খড়, কাঠ ইত্যাদি পাওয়া যায় বলে অসমের মানুষ সাধারণত এইগুলো দিয়ে বাড়ি তৈরি করে। যেসব জায়গায় গ্রীষ্ম ও শীতের প্রকোপ বেশি, যেমন- উত্তর প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে কিছু লোক মাটির বাড়ি তৈরি করে। হাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে তুন্দ্রা অঞ্চলের এস্কিমোরা বরফের টুকরো দিয়ে বাড়ি তৈরি করে।

(গ) প্রাকৃতিক সম্পদ- প্রকৃতি থেকে প্রাপ্ত নানাপ্রকার সম্পদকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। প্রাকৃতিক সম্পদ প্রধানত তিনপ্রকার, যথা-

(ক) খনিজ সম্পদ। 

(খ) বনজ সম্পদ।ও 

(গ) জলজ সম্পদ।

পেট্রোলিয়াম, কয়লা, সোনা, লোহা, তামা প্রভৃতি খনিজ ভূগর্ভস্থ খনি হতে পাওয়া যায়।

বনাঞ্চলের বিভিন্নপ্রকার গাছপালা ও জীবজন্তুকে বনজ সম্পদ বলা হয়।

নদী, সাগর, মহাসাগর প্রভৃতি হতে মাছ ও নানাপ্রকার জলজ প্রাণীকে জলজ সম্পদ বলে।

(ঘ) জীবন ধারণের মান ও প্রযুক্তি- মানব সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যা প্রয়োগ করে জীবন-যাত্রার আমূল পরিবর্তন করেছে। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। প্রাকৃতিক অবদানসমূহ অদলবদল করে মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনগুলো পূরণ করার জন্য প্রযুক্তির জ্ঞান উৎসাহ যোগাচ্ছে। সুতরাং মানব সভ্যতা হল প্রকৃতি ও প্রযুক্তির সমন্বয়ের একটি ফল।

(ঙ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ- প্রকৃতি নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী মাঝে মাঝে কতকগুলো অস্বাভাবিক কার্য করে যা মানুষের বিপদ ও ক্ষতির কারণ হয়। একে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলে। যেমন—বন্যা, ভূমিক্ষয়, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত, তুষারপাত, খরা প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিহত করা মানুষের পক্ষে সম্পূর্ণরূপে সম্ভব নয়।

প্রশ্ন ১২। নির্মাণকার্য চলে থাকা ঘর তৈরি করতে ইচ্ছা করে কিনা ? এইরূপ ঘর তৈরি করতে কি কি সামগ্রী ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ বর্তমানে গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রায় সকলস্থানে লোহা, সিমেন্ট, গ্লাস (আয়না) টিন, ইট, বালি, পাথর ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ঘরগুলি তুলনামূলকভাবে পূর্বের ব্যবহার করা ঘর থেকে বেশি মজবুত, সুবিধাজনক ও দীর্ঘস্থায়ী। আজকাল বা বর্তমানে বড় বড় শহরে মানুষ বহুতল অট্টালিকা বা দালান তৈরি করে বসবাস করছে। বড় বড় শহরে ফ্ল্যাট বাড়িও হয়েছে এবং মানুষ ফ্ল্যাট বাড়ি ক্রয় করে বসবাস করেছে। বর্তমানে আমাদের অসমেও গ্রাম ও শহরের বহু লোক পাকা বাড়ি-ঘর ও অট্টালিকা তৈরি করিতেছে। অধিকাংশ শহরেই মানুষ ফ্ল্যাট ক্রয় করে বসবাস করেছে।

প্রশ্ন ১৩। আহার কয় প্রকার ও কি কি ?

উত্তরঃ আহার দুই প্রকার-

(ক) মূল আহার, যেমন- ভাত ও রুটি।

(খ) উপআহার, যেমন- ফলমূল, বিস্কুট, চিড়া, দৈ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৪। যে সকল অঞ্চলে কৃষিকার্য হয় না, ঐ অঞ্চলের মানুষ কিভাবে খাদ্য সংগ্রহ করে ?

উত্তরঃ যে সকল অঞ্চলে কৃষিকার্য হয় না সেই অঞ্চলের মানুষ মাছ জীব-জন্তু ইত্যাদি শিকার করে খাদ্য সংগ্রহ করে।

প্রশ্ন ১৫। মেরু অঞ্চলে মানুষ কি শিকার করে ?

উত্তরঃ মেরু অঞ্চলের মানুষ শ্লেজ গাড়ি চালিয়ে চীল, তিমিমাছ ইত্যাদি শিকার করে।

প্রশ্ন ১৬। অসম কি কি কাপড়ের জন্য বিখ্যাত ?

উত্তরঃ অসম এরী, মুগা ও পাটসূতার কাপড়ের জন্য বিখ্যাত।

প্রশ্ন ১৭। বিহারের মানুষের প্রধান খাদ্য কি ?

উত্তরঃ রুটি।

প্রশ্ন ১৮। পাঞ্জাবের মানুষের প্রধান খাদ্য কি ?

উত্তরঃ রুটি।

প্রশ্ন ১৯। অসমের মানুষের প্রধান খাদ্য কি ?

উত্তরঃ ভাত।

প্রশ্ন ২০। কি কাপড় অসম থেকে বিদেশে যায় ?

উত্তরঃ মুগা কাপড়।

প্রশ্ন ২১। তিনটি মৌলিক প্রয়োজনের নাম লেখ।

উত্তরঃ (ক) খাদ্য। 

(খ) পোশাক-পরিচ্ছদ।ও 

(গ) বাসস্থান।

প্রশ্ন ২২। এক্সিমোরা কিসের ঘরে বাস করে ?

উত্তরঃ বরফের ঘরে।

প্রশ্ন ২৩। বর্তমানে গৃহনির্মাণে কি কি জিনিস ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ বর্তমানে গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে প্রায় সকল স্থানেই লোহা, সিমেন্ট, গ্লাস (আয়না), টিন, ইট, বালি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ২৪। নৌকাগৃহ কোথায় ব্যবহার করা হয় ?

উত্তরঃ কাশ্মীরের ডালহ্রদের মানুষ নৌকাগৃহ ব্যবহার করে।

প্রশ্ন ২৫। খাদ্য বা আহারের উৎসসমূহ কি কি ?

উত্তরঃ শস্য, (ধান, গম), ফল-মূল, মাছ-মাংস, শাকসব্জি, দুধ, ডিম, জল ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৬। সাজ-পোশাকের উৎসসমূহ কি কি ?

উত্তরঃ সাজ-পোশাকের উৎসসমূহ হল- কার্পাস, এরি, মুগা, পাট, উলসুতা, মরাপাট ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৭। শূন্যস্থান পূর্ণ কর।

(ক) গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে মানুষ __________ কাপড় বেশি ব্যবহার করে।

উত্তরঃ সুতার।

(খ) অসম এরী, মুগা ও __________ সুতার কাপড়ের জন্য বিখ্যাত।

উত্তরঃ পাট।

(গ) কামরূপ জেলার __________ গ্রামের পাট কাপড় দেশ-বিদেশেও সমাদর লাভ করেছে।

উত্তরঃ শুয়ালকুচি।

(ঘ) ভৌগোলিক ও __________ পরিবেশের উপর নির্ভর করে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন প্রকারের ঘর তৈরি করে।

উত্তরঃ সামাজিক।

(ঙ) কাশ্মীরের ডাল হ্রদের মানুষ __________ ব্যবহার করে।

উত্তরঃ নৌকাগৃহ।

(চ) __________ অসমের মানুষের প্রধান খাদ্য।

উত্তরঃ ভাত।

(ছ) বিহারের মানুষের প্রধান খাদ্য __________।

উত্তরঃ রুটি।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top