SEBA Class 7 Social Science Chapter 10 মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 10 মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 10 মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 10 মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 10 মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Social Science Chapter 10 মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 10 মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 10 মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর দাও-

(ক) শুঙ্গবংশের পর উত্তর ভারতে কোন বংশ রাজত্ব করেছিল ?

উত্তরঃ শুঙ্গবংশের পর কাৰ্থ বংশ উত্তর-ভারতে রাজত্ব করেছিল।

(খ) সাতবাহনগণ ভারতের কোন অংশে রাজত্ব করেছিলেন ?

উত্তরঃ সাতবাহনগণ ভারতের দাক্ষিণাত্যে রাজত্ব করেছিলেন।

(গ) কলিঙ্গ রাজ্যকে বর্তমানে কী নামে জানা যায় ?

উত্তরঃ কলিঙ্গ রাজ্যকে বর্তমানে ওড়িষ্যা নামে জানা যায়।

(ঘ) “ত্রিরাজ্য” বলতে কোন্ কোন্ রাজ্যগুলােকে বােঝায় ?

উত্তরঃ চোল, চেড়া এবং পাণ্ড তিন রাজ্যগুলােকে “ত্রিরাজ্য” বলা হয়।

(ঙ) কুষাণ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন ?

উত্তরঃ কুষাণ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন কণিষ্ক।

প্রশ্ন ২। উত্তর লেখাে-

(ক) সাতবাহনদের রাজত্বকালে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন হওয়া দুটি বিদেশী রাষ্ট্রের নাম লেখাে।

উত্তরঃ সাতবাহনদের রাজত্বকালে, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন হওয়া দুটি বিদেশী রাষ্ট্রের নাম রােম এবং পারস্য।

বিষয়সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY )
পাঠ -১ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা
পাঠ -২পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ
পাঠ -৩পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন
পাঠ -৪আমাদের পরিবেশ
পাঠ -৫মানবসৃষ্ট পরিবেশ
পাঠ -৬সম্পদ
পাঠ -৭অসমের সম্পদ
পাঠ -৮ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল
পাঠ -৯ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা
বিষয়( ইতিহাস HISTORY )
পাঠ -১০মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১১গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান
পাঠ -১২গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১৩ঐতিহাসিক অসম
পাঠ -১৪মধ্যযুগের ভারতবর্ষ
পাঠ -১৫দিল্লির সুলতানগণ
পাঠ -১৬মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ
পাঠ -১৭ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান
বিষয়( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE )
পাঠ -১৮আমাদের আশেপাশের বাজার
পাঠ -১৯পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন
পাঠ -২০অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
পাঠ -২১শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য
পাঠ -২২গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব
পাঠ -২৩নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া
পাঠ -২৪গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম
পাঠ -২৫প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার

(খ) কণিষ্কের শাসনকালে বৌদ্ধ ধর্ম কয়টি বিভাগে বিভক্ত হয়েছিল? ভাগ দুটির নাম লেখাে।

উত্তরঃ কণিষ্কের শাসনকালে বৌদ্ধ ধর্ম দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। ভাগ দুটির নাম-

১। হীনযান। এবং 

২। মহাযান।

(গ) সঙ্গম সাহিত্য কয় প্রকার এবং কী কী ?

উত্তরঃ সঙ্গম সাহিত্য দুই প্রকার, যেমন- বর্ণনাত্বক এবং নীতিশিক্ষামূলক।

(ঘ) কুষাণ যুগের দুটি শিল্পকলার নাম লেখাে।

উত্তরঃ কুষাণ যুগের দুটি উল্লেখযােগ্য শিল্পকলার নাম হল-

১। মথুরা শিল্পকলা। এবং 

২। অমরাবতী শিল্পকলা।

(ঙ) মৌর্য পরবর্তী যুগে জলসেচের দুটো ব্যবস্থা লেখাে।

উত্তরঃ মৌর্য পরবর্তী যুগে জলসেচের দুটো ব্যবস্থা হল-

১। নালা, কুয়াে, পুকুর থেকে কৃষিক্ষেত্রে নালা খনন করে উপযুক্ত জলের যােগান দেওয়া হত।

২। অনেক সময় প্রয়ােজনানুসারে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করে সেখান থেকে কৃষিক্ষেত্রে জলসেচের যােগান দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতাে।

(চ) মৌর্য পরবর্তী যুগের গ্রামগুলােতে কী কী বৃত্তিজীবী লােক বাস করতাে ? দুটো বৃত্তির নাম লেখাে।

উত্তরঃ মৌর্য পরবর্তী যুগের গ্রামগুলিতে সাধারণত তিন ধরনের বৃত্তিজীবী লােক বসবাস করত।

এদের মধ্যে দুটো বৃত্তির নাম হলাে-

১। কৃষিজীবী। এবং 

২। শ্রমজীবী।

প্রশ্ন ৩। ‘ক’ অংশের সাথে ‘খ’ অংশ মেলাও-

‘ক’‘খ’
(ক) মহামেঘ বাহন(ক) মিনান্ডার।
(খ) অন্ধ্র(খ) গান্ধার।
(গ) সাঁচী(গ) তামিল।
(ঘ) কণিষ্ক(ঘ) সাতবাহন।
(ঙ) সঙ্গম সাহিত্য(ঙ) কলিঙ্গ।

উত্তরঃ

‘ক’‘খ’
(ক) মহামেঘ বাহন(ঙ) কলিঙ্গ।
(খ) অন্ধ্র(ঘ) সাতবাহন।
(গ) সাঁচী(খ) গান্ধার।
(ঘ) কণিষ্ক(ক) মিনান্দার
(ঙ) সঙ্গম সাহিত্য(গ) অমিল।

প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ উত্তর বেছে বের করো-

(ক) সাতবাহন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বৃহদ্রথ/সিমুক/বাসুদেব।

উত্তরঃ সিমুক।

(খ) শুঙ্গ /ইন্দো-গ্রিক/ কাণ্ডদের যবন বলা হত।

উত্তরঃ ইন্দো-গ্রিক।

(গ) গান্ধার শিল্পের মূল বিষয়বস্তু ছিল হিন্দুধর্ম/ বৌদ্ধ ধর্ম/জৈনধর্ম।

উত্তরঃ বৌদ্ধ ধর্ম।

(ঘ) গণ্ডোফাসি কুষাণ/ পহুব/ শক বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন।

উত্তরঃ গণ্ডোফার্ণিস।

(ঙ) জাতক হচ্ছে গল্প/ কবিতা/ উপন্যাস।

উত্তরঃ গল্প।

প্রশ্ন ৫। সত্য অসত্য বেছে লেখা।

(ক) কাতন্ত্র ছিল সাতবাহনদের সময়ের একটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ।

উত্তরঃ সত্য।

(খ) অশ্বঘােষ শক রাজসভার একজন পণ্ডিত ছিলেন।

উত্তরঃ অসত্য।

(গ) সঙ্গম সাহিত্য সংস্কৃত ভাষায় রচনা করা হয়েছিল।

উত্তরঃ অসত্য।

(ঘ) মিনাণ্ডার হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

উত্তরঃ অসত্য।

(ঙ) প্রাচীন ভারতে রােমান সাম্রাজ্য থেকে সােনা আমদানি করা হয়েছিল।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৬। নিম্নলিখিত বিষয়গুলাের ওপর সংক্ষিপ্ত টীকা লেখাে। (৫০টি শব্দের মধ্যে)।

(ক) অর্থনীতি, সমাজনীতি এবং সংস্কৃতির ওপর আলােকপাত করে কণিষ্কের রাজত্বকাল বর্ণনা করাে।

উত্তরঃ কণিষ্ক কুষাণ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন। সাহিত্য-সংস্কৃতির অগ্রগতির ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ভারতের ইতিহাসে কণিষ্ক এক বিশেষ  স্থান লাভ করেছেন।

অর্থনীতি- কণিষ্কের সময়ে আন্তঃবাণিজ্য এবং বহিবাণিজ্য উভয় ক্ষেত্রই উন্নতির শিখরে পৌছেছিল। ভারতীয় মশলা, লঙ্কা, চন্দন, হাতির দাঁত, হিরা ইত্যাদি বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। অপরদিকে রােমান সাম্রাজ্য থেকে সােনা আমদানি করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লেনদেন বৃদ্ধি করার জন্য কণিষ্ক সিন্ধু অঞ্চলে উচ্চপর্যায়ের রূপাের মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন।

সমাজনীতি- সমাজে পুরুষ-মহিলা সবাইকে সমানভাবে দেখা হত। সমাজে প্রত্যেক ধর্মের লোেককে সমমর্যাদা দেওয়া হত। কণিষ্ক বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করলেও অন্যান্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।

সংস্কৃতি- কণিষ্কের রাজসভা অলংকৃত করেছিলেন অশ্বঘােষ, নাগার্জুন, বসুমিত্র এবং চরক নামের পণ্ডিতগণ। এই যুগের চরকসংহিতা চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ। পতঞ্জলির ‘মহাভাষ্য গ্রন্থটি শব্দ, ভাষা এবং ব্যাকরণের একটি মূল্যবান গ্রন্থ। গ্রিক, রােমান ও ভারতীয় শিল্পের সংমিশ্রণে গান্ধার শিল্পের উৎপত্তি হয়। কণিষ্কের রাজত্বকালে মথুরা এবং অমরাবতী শিল্পকলা উন্নতির চরম সীমায় পৌঁছেছিল।

(খ) মৌর্যযুগের পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ প্রণালী সম্বন্ধে লেখাে।

উত্তরঃ মৌর্যযুগের পরবর্তী সময়ে সাধারণ মানুষের জীবনধারণ প্রণালীতেও অনেক পরিবর্তন এসেছিল। তারমধ্যে কৃষিকর্মের প্রসার, নতুন নগর গঠন, শিল্প উৎপাদন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক পরিবর্তন উল্লেখনীয়।

সমৃদ্ধিশালী গ্রামগুলােই অর্থনীতি এবং কলা-সংস্কৃতির মূলভিত্তি ছিল। এই গ্রামগুলাে ছাড়া রাজা এবং রাজ্যগুলাের কোনাে অস্তিত্বই থাকত না। গ্ৰামের সাধারণ প্রজারা কৃষিকর্মের সঙ্গে জড়িত হয়ে থাকে। কৃষিকাজের জন্য লােহার তৈরি সরঞ্জামের ব্যাপক ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে, লােহার তৈরি সরঞ্জামগুলাে হল-ধান কাটার কাচি, হাল চাষের লাঙ্গল ইত্যাদি।

নতুন সরঞ্জামের ব্যবহার, উন্নত রােপণ পদ্ধতি এবং জলসেচের দ্বারা শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছিল। নালা, কুয়াে, পুকুর এবং কৃত্রিম জলাশয় ইত্যাদি জলসেচে ব্যবহৃত হয়েছিল।

অধিকাংশ গ্রামেই কুমার (মৃৎশিল্পী), কামার (লােহার), ছুতাের  (কাঠমিস্ত্রি), তাতি ইত্যাদি বৃত্তির লােক বাস করত।

প্রশ্ন ৭। প্রকল্প- (দলগত কার্য)

(ক) প্রাচীন ভারতের পাঁচরকম মুদ্রার চিত্র এবং বর্তমানে প্রচলিত পাঁচরকম মুদ্রা (কাগজের মুদ্রা এবং ধাতুর মুদ্রা) সংগ্রহ করাে। এই দুই প্রকার মুদ্রার মধ্যে কী পার্থক্য লক্ষ্য করছাে ? এ সবের ছবি, অক্ষর, আকৃতি এবং গঠনের বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং তােমাদের চোখে পড়া যে কোন তথ্য নিয়ে একটি টীকা প্রস্তুত করাে।

উত্তরঃ নিজেরা সংগ্রহ করে লেখাে।

(খ) দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য লােহার তৈরি পাঁচটি সরঞ্জামের নাম লেখাে এবং ছবি অঙ্কন করাে।

উত্তরঃ লােহার তৈরি পাঁচটি সরঞ্জামের নাম হল-

১। দা। 

২। কুড়াল।

৩। কোদাল।

৪। ছুরি।

৫। সুপারি কাটার যাতি।

৬। কাচী ইত্যাদি।

ছবি নিজেরা অঙ্কন করাে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মৌর্যদের পর মগধে রাজত্ব করা রাজবংশ কয়টির নাম ক্রমানুসারে লেখাে।

উত্তরঃ ১। শুঙ্গ বংশ।

২। কাথবংশ।

৩। সাতবাহন বংশ।ও 

৪। চেদী বা চেতরাজবংশ।

প্রশ্ন ২। সাতবাহনরা কোথায় রাজ্য স্থাপন করেছিল ?

উত্তরঃ দক্ষিণাত্যে।

প্রশ্ন ৩। কলিঙ্গ রাজ্য বর্তমানে কোথায় অবস্থিত ?

উত্তরঃ উড়িষ্যা।

প্রশ্ন ৪। সাহিত্য নীতি শিক্ষার গুরুত্ব বলতে কী বােঝ ? ৫০টি শব্দের মধ্যে লেখাে।

উত্তরঃ এখানে সাহিত্য নীতি শিক্ষার গুরুত্ব বলতে সঙ্গম সাহিত্যকে বােঝাচ্ছে। দক্ষিণ ভারতে রাজাদের পৃষ্ঠপােষকতায় যে তামিল কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেটি ছিল সঙ্গম এবং সেইযুগের সাহিত্যকে সঙ্গম সাহিত্য বলে জানা যায়। সঙ্গম সাহিত্যে প্রধানত বর্ণনাত্মক এবং নীতিশিক্ষামূলক। সঙ্গম সাহিত্য থেকে সেই সময়ের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিবর্তনের বিষয়ে জানতে পারি। ‘সঙ্গম সাহিত্য মহিলা কবিদের কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

সঙ্গম সভায় কবি, সাহিত্যিক, পণ্ডিতদের সঙ্গে চারণ নামে রাজার গুণ-কীর্তন প্রচারকারী ব্যক্তিরাও অংশগ্রহণ করেছিল।

প্রশ্ন ৫। চোল, চেরা এবং পাণ্ড্য রাজ্য বর্তমান দক্ষিণ ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যের ভেতরে আছে চিহ্নিত করাে।

উত্তরঃ দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কেরল রাজ্যের মধ্যে চোল, চেরা ও পাণ্ড্য রাজ্য ছিল।

প্রশ্ন ৬। মৃৎপাত্র বলতে কী বােঝ ? তােমার অঞ্চলে পাওয়া যায় এ – ধরনের কয়টি মৃৎপাত্রের নাম লেখাে।

উত্তরঃ মৃৎপাত্র বলতে মাটির বাসন-পত্রকে বােঝায়। আমাদের অর্থ লে বিভিন্ন ধরনের মৃৎপাত্রগুলাে হল- প্রদীপ জ্বালানাের চাকি, ধূপ দেওয়ার ধূপতি, কলসী, শরাই, গ্লাস, ফুলের টব ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৭। অসমের কোন স্থানকে প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার বলা হয় ?

উত্তরঃ অসমের বিখ্যাত নগর গুয়াহাটিকে প্রাচ্যের ম্যানচেষ্টার বলা যায়।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মৌর্য বংশের শেষ রাজা কে ছিলেন ?

উত্তরঃ বৃহদ্রথ।

প্রশ্ন ২। শুঙ্গবংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?

উত্তরঃ পুষ্যমিত্র শুঙ্গ।

প্রশ্ন ৩। শুঙ্গবংশের রাজারা কোন ধর্মের পৃষ্ঠপােষক ছিলেন ?

উত্তরঃ শুবংশের রাজারা হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপােষক ছিলেন।

প্রশ্ন ৪। গতবাহন বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে ?

উত্তরঃ সিমুক।

প্রশ ৫। মহাভাষ্য’ কে রচনা করেন ?

উত্তরঃ বৈয়াকরণ পতঞ্জলি।

প্রশ্ন ৬ চেদী বা চেত রাজবংশ কে প্রতিষ্ঠা করেন ?

উত্তরঃ মহামেঘবাহন।

প্রশ্ন ৭ সাতবাহনদের ইতিহাসে কি বলা হয় ?

উত্তরঃ সাতবাহনদের ইতিহাসে ‘অন্ধ বলা হয়।

প্রশ্ন ৮। কোন মহিষী স্বামীর মৃত্যুর পর দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ মহিষী নাগনিকা।

প্রশ্ন ৯। ভূপালের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ স্থাপত্য ভাস্কর্যগুলাে কী ?

উত্তরঃ সাঁচির কাণখেরা।

প্রশ্ন ১০। ভারতের সাংস্কৃতিক জগতে সাতবাহনদের অবদান কী ?

উত্তরঃ সাহিত্যের ক্ষেত্রে এই যুগের দুটি বিখ্যাত গ্রন্থ ছিল সংস্কৃত ভাষায় চিত কাতন্ত্র এবং প্রাকৃত ভাষায় রচিত ‘বৃহকথা।

প্রশ্ন ১১। চোল রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল ?

উত্তরঃ চোল রাজ্যের রাজধানী ছিল উরেয়ুর।

প্রশ্ন ১২। কোন রাজ্যে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল ?

উত্তরঃ চেরা রাজ্যে একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী ছিল।

প্রশ্ন ১৩। কোন রাজ্যে একজন মহিলা শাসনকর্তা ছিলেন ?

উত্তরঃ পাণ্ড্যরাজ্যে।

প্রশ্ন ১৪। কোন রাজ্য মুক্তার জন্য বিখ্যাত ছিল ?

উত্তরঃ পাণ্ড্যরাজ্য মুক্তার জন্য বিখ্যাত ছিল।

প্রশ্ন ১৫। ইন্দো-গ্রিকদের বিখ্যাত রাজার নাম কী ছিল ?

উত্তরঃ মিনান্দার বা মিলিন্দ।

প্রশ্ন ১৬। চৈত কাকে বলা হয় ?

উত্তরঃ বৌদ্ধ কলাকৃষ্টিতে সমৃদ্ধ গুহাসমূহকে চৈত বলা হয়।

প্রশ্ন ১৭। স্তুপ কাকে বলা হয় ?

উত্তরঃ বৌদ্ধ স্মারকসমূহের উপরে নির্মাণ করা গাঁথনিসমূহকে স্থূপ বলা হয়।

প্রশ্ন ১৮। ভারতীয় গ্রিকদের থেকে কোন্ কোন্ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেছিল ?

উত্তরঃ ভারতীয়রা গ্রিকদের থেকে জ্যোতিষশাস্ত্র, মুদ্রা এবং শিল্পকলার বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেছিল।

প্রশ্ন ১৯। গান্ধার শিল্পকলার মূল বিষয়বস্তু কী ছিল ?

উত্তরঃ গান্ধার শিল্পকলার মূল বিষয়বস্তু ছিল বৌদ্ধ ধর্ম।

প্রশ্ন ২০। গান্ধার শিল্প কী ?

উত্তরঃ গ্রিক, রােমান ও ভারতীয় শিল্পের সংমিশ্রণে গান্ধার শিল্পের উৎপত্তি হয়।

প্রশ্ন ২১। শকদের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন ?

উত্তরঃ রুদ্রমন।

প্রশ্ন ২২। পব বা পার্থিয়ানদের শ্রেষ্ঠ রাজা কে ছিলেন ?

উত্তরঃ গণ্ডোফাণিস।

প্রশ্ন ২৩। দক্ষিণের তামিল অঞ্চলে কয় শ্রেণির মানুষ বাস করত ?

উত্তরঃ দক্ষিণের তামিল অঞ্চলে তিন শ্রেণির মানুষ বাস করত। এই তিন শ্রেণির মানুষ হল- জমিদার, কৃষক ও শ্রমিক (ভৃত্য)।

প্রশ্ন ২৪। উত্তর ভারতে কয় শ্রেণির মানুষ বাস করত এবং কী কী ?

উত্তরঃ উত্তর-ভারতে তিন শ্রেণির মানুষ বাস করত। তারা হল-

১। বংশানুক্রমে হওয়া গ্রামের মুখিয়া বা প্রধান।

২। ছােট ছােট স্বাধীন কৃষক জমিদার। ও

৩। ভূমিহীন শ্রমিক।

প্রশ্ন ২৫। কোন্ কোন্ পণ্ডিতগণ কণিষ্কের রাজসভা অলংকৃত করেছিলেন ?

উত্তরঃ অশ্বঘােষ, নাগার্জুন, বসুমিত্র এবং চরক নামে বিদগ্ধ পণ্ডিতগণ কণিষ্কের রাজসভা অলংকৃত করেছিলেন।

প্রশ্ন ২৬। চরক সংহিতা কী জন্য উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ?

উত্তরঃ চরক সংহিতা চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ।

প্রশ্ন ২৭। পতঞ্জলির মহাভাষ্যগ্রন্থটি কী কী কারণে একটি মূল্যবান গ্রন্থ ?

উত্তরঃ পতঞ্জলির ‘মহাভাষ্য গ্রন্থটি শব্দ, ভাষা এবং ব্যাকরণের একটি মূল্যবান গ্রন্থ।

প্রশ্ন ২৮। কণিষ্কের রাজত্বকালে কোন্ কোন্ শিল্পকলা উন্নতির চরম সীমায় পৌঁছেছিল ?

উত্তরঃ কণিষ্কের রাজত্বকালে মথুরা এবং অমরাবতী শিল্পকলা উন্নতির চরম সীমায় পৌছেছিল।

প্রশ্ন ২৯। কণিষ্কের সময়ে কী কী জিনিস রপ্তানি ও আমদানি করা হয়েছিল ?

উত্তরঃ কণিষ্কের সময়ে ভারতীয় মশলা, লঙ্কা, চন্দন, হাতির দাঁত, হিরা ইত্যাদি বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছিল। অপরদিকে রােমান সাম্রাজ্য থেকে সােনা আমদানি করা হয়েছিল।

প্রশ্ন ৩০। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লেনদেন বৃদ্ধি করার জন্য কণিষ্ক সিন্ধু অঞ্চলে কোন মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন ?

উত্তরঃ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের লেনদেন বৃদ্ধি করার জন্য কণিষ্ক সিন্ধু অঞ্চলে উচ্চপর্যায়ের রূপার মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন।

প্রশ্ন ৩১। সাতবাহনদের রাজত্বকালে কয় ধরনের শাসনব্যবস্থা ছিল। এবং কী কী ?

উত্তরঃ সাতবাহনদের রাজত্বকালে দু-ধরনের শাসনব্যবস্থা ছিল। যেমন রাজ্যের এক অংশে রাজার অনুগতরা শাসন করত, অন্য অংশে রাজা প্রত্যক্ষভাবে শাসন করতেন।

প্রশ্ন ৩২। কণিষ্কের রাজত্বকালে বৌদ্ধ ধর্ম কয়ভাগে বিভক্ত হয় এবং কী কী ?

উত্তরঃ কণিষ্কের রাজত্বকালে বৌদ্ধ ধর্ম দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। এই ভাগ দুটি হল-

১। হীনযান। ও

২।  মহাজান।

প্রশ্ন ৩৩। সঙ্গম সাহিত্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ প্রাচীন যুগের দক্ষিণ ভারতে রাজাদের পৃষ্ঠপােষকতায় যে সাহিত্যের সৃষ্টি হয়েছিল তাকে সঙ্গম সাহিত্য বলে। সঙ্গম সাহিত্য প্রধানত বর্ণনাত্মক এবং নীতিশিক্ষামূলক।

প্রশ্ন ৩৪। চোল, চেরা এবং পাণ্ড রা দক্ষিণ ভারতে কত বৎসর রাজত্ব করেছিল ?

উত্তরঃ প্রায় ৪০০ বৎসর।

প্রশ্ন ৩৫। কুষাণদের রাজধানী কোথায় ছিল ?

উত্তরঃ মথুরা।

প্রশ্ন ৩৬।‘শ্রেণি’ নামের সংঘ কে প্রতিষ্ঠা করেছিল ? এই সংঘগুলাে কিসের ভূমিকা পালন করত ?

উত্তরঃ অনেক বণিক এবং শিল্পকর্মী ‘শ্রেণি’ নামের সংঘ প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই সংঘগুলাে ব্যাঙ্কের ভূমিকা পালন করত।

প্রশ্ন ৩৭। ভারতের কোন্ কোন্ বন্দর দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য সহ বিভিন্ন রাজ্যে জলপথে যাতায়াত চলে ?

উত্তরঃ মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতা।

প্রশ্ন ৩৮। মৌর্য পরবর্তী যুগে কোন্ কোন্ বন্দর দিয়ে দেশ এবং বিদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত ?

উত্তরঃ মৌর্য পরবর্তী যুগে আরব সাগরের তীরে থাকা ভারুচ এবং আরিকা মেডু নামের দুটো বন্দরের সাহায্যে দেশ এবং বিদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত।

প্রশ্ন ৩৯। সাতবাহনদের কি নামে জানা যায় ?

উত্তরঃ অন্ধ্র।

প্রশ্ন ৪০। বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্রস্থল কোথায় ছিল ?

উত্তরঃ বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্রস্থল ছিল উত্তরের বারাণসী এবং দক্ষিণের মাদুরাই।

প্রশ্ন ৪১। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।

১। __________ শুঙ্গ মগধে শুঙ্গবংশ প্রতিষ্ঠা করেন।

উত্তরঃ পুষ্যমিত্র।

২। সংস্কৃত ভাষায় রচিত কাতন্দ্র এবং প্রাকৃত ভাষায় রচিত  __________।

উত্তরঃ বৃহকথা।

৩।  __________ সাহিত্য প্রধানত বর্ণনাত্মক এবং নীতিশিক্ষামূলক।

উত্তরঃ সঙ্গম।

৪। ইন্দো-গ্রিকদের বিখ্যাত রাজার নাম ছিল  __________।

উত্তরঃ মিনান্দার বা মিলিন্দ।

৫।  __________ গ্রিকদের থেকে জ্যোতিষশাস্ত্র, মুদ্রা এবং শিল্পকল জ্ঞানলাভ করেছিল।

উত্তরঃ ভারতীয়রা।

৬। গান্ধার শিল্পকলার মূল বিষয়বস্তু ছিল  __________।

উত্তরঃ বৌদ্ধ ধর্ম।

৭। কুষাণ বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা  __________ একজন সাম্রাজ্য বিজেত ছিলেন।

উত্তরঃ কণিষ্ক ।

৮। পতঞ্জলির  __________ গ্রন্থটি শব্দ, ভাষা এবং ব্যাকরণের একটি মূল্যবান গ্রন্থ।

উত্তরঃ মহাভাষ্য।

৯। বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্রস্থল ছিল উত্তরের  __________ এবং দক্ষিণের মাদুরাই।

উত্তরঃ বারাণসী।

১০। অনেক বণিক এবং শিল্পকর্মী  __________ নামের সংঘ প্রতিষ্ঠ করেছিল।

উত্তরঃ শ্রেণি।

1 thought on “SEBA Class 7 Social Science Chapter 10 মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ”

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top