SEBA Class 7 Social Science Chapter 17 ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 17 ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 17 ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 17 ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 17 ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Social Science Chapter 17 ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 17 ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 17 ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখা।

(ক) সাসারামের সমাধি কে নির্মাণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ সাসারামের সমাধি শেরশাহ নির্মাণ করেছিলেন।

(খ) আকবরের সময়ে অট্টালিকা নির্মাণে কী ব্যবহার করা হয়েছিল।

উত্তরঃ আকবরের সময়ে অট্টালিকা নির্মাণে লাল পাথরের গুড়ে ব্যবহার করা হয়েছিল।

(গ) তাজমহল কোন্ নদীর তীরে অবস্থিত ?

উত্তরঃ তাজমহল যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত।

(ঘ) ময়ূর সিংহাসন যে কারিগর তৈরি করেছিল তার নাম কী ?

উত্তরঃ ময়ূর সিংহাসন যে কারিগর তৈরি করেছিল তার নাম বেবদন খাঁ।

(ঙ) অসমে ভক্তি আন্দোলনের ধারাটিকে কী বলা হয় ?

উত্তরঃ অসমে ভক্তি আন্দোলনের ধারাটিকে বৈষ্ণব আন্দোলন বলা হয়।

প্রশ্ন ২। শুদ্ধ উত্তর বেছে বের করাে।

(ক) ফতেপুর সিক্রির অট্টালিকা নির্মাণ করেন জাহাঙ্গীর/আকবর/ বাবর।

উত্তরঃ আকবর।

(খ) তাজমহল নির্মাণ করা হয়েছিল লাল পাথরের গুঁড়াে দিয়ে/ শ্বেত পাথর দিয়ে/ইট-সিমেন্ট দিয়ে।

উত্তরঃ শ্বেত পাথর দিয়ে।

(গ) অসমে ভক্তি আন্দোলনের প্রবর্তক ছিলেন রামানন্দ/গুরুনানক/ শঙ্করদেব।

উত্তরঃ শঙ্করদেব।

(ঘ) মােগল চিত্রকলার সবিশেষ বিকাশ হয়েছিল জাহাঙ্গীর শাহজাহান/ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে।

উত্তরঃ শাহজাহান।

(ঙ) তুর্কি ভাষায় তুজুকইবাবরী’নামে আত্মজীবনীর রচয়িতা ছিলেন বাবর/আকবর/হুমায়ুন।

উত্তরঃ বাবর।

বিষয়সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY )
পাঠ -১ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা
পাঠ -২পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ
পাঠ -৩পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন
পাঠ -৪আমাদের পরিবেশ
পাঠ -৫মানবসৃষ্ট পরিবেশ
পাঠ -৬সম্পদ
পাঠ -৭অসমের সম্পদ
পাঠ -৮ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল
পাঠ -৯ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা
বিষয়( ইতিহাস HISTORY )
পাঠ -১০মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১১গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান
পাঠ -১২গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১৩ঐতিহাসিক অসম
পাঠ -১৪মধ্যযুগের ভারতবর্ষ
পাঠ -১৫দিল্লির সুলতানগণ
পাঠ -১৬মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ
পাঠ -১৭ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান
বিষয়( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE )
পাঠ -১৮আমাদের আশেপাশের বাজার
পাঠ -১৯পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন
পাঠ -২০অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
পাঠ -২১শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য
পাঠ -২২গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব
পাঠ -২৩নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া
পাঠ -২৪গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম
পাঠ -২৫প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার

প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।

(ক) পানিপথের কাবুলবাগ এবং চম্বলের __________ বাবর নির্মাণ করেছিলেন।

উত্তরঃ জুমা মসজিদ।

(খ) __________ র শাসনকালকে মােগল স্থাপত্য শিল্পের স্বর্ণযুগ বলা হয়।

উত্তরঃ শাহজাহান।

(গ) জাহাঙ্গীরের সময়ে __________ শিল্পের সবিশেষ বিকাশ হয়েছিল।

উত্তরঃ চিত্রকলা।

(ঘ) আকবরের সময়ে প্রকাশিত অভিধানটির নাম __________ ।

উত্তরঃ ‘পার্সি-প্রকাশ।

(ঙ) অসমের বৈষ্ণব আন্দোলনের মুখ্য প্রবর্তক ছিলেন __________।

উত্তরঃ শঙ্করদেব।

প্রশ্ন ৪। ৫০টি শব্দের ভেতর লেখা।

(ক) একজন চিত্রকর এবং সমালােচক হিসেবে জাহাঙ্গীর ভারতীয় চিত্রকলার কীভাবে পৃষ্ঠপােষকতা করেছিলেন ?

উত্তরঃ মােগল চিত্রকলা পূর্ণ বিকশিত হয়েছিল জাহাঙ্গীরের শাসনকালে। জাহাঙ্গীর নিজে একাধারে চিত্রপ্রেমী ও চিত্র সমালােচক ছিলেন। কল্পনার পরিবর্তে বাস্তবকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য তিনি চিত্রকরদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীরের সময়ে ক্ষুদ্র চিত্রশিল্পও একটি নিজস্ব আসন দখল করেছিল। বিখ্যাত চিত্রকর মনসুর, মুরাদ, বিষণ দাস এঁরা সবাই জাহাঙ্গীরের রাজসভাকে উজ্জ্বল করেছিলেন। তার সময়ে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে চিত্রশিল্পের অনেক বিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল।

(খ) মােগল যুগের স্থাপত্য-কলা-সংস্কৃতিতে শাহজাহানের অবদান।

উত্তরঃ মােগল যুগে ভারতবর্ষের স্থাপত্য শিল্পের এক বৃহৎ অংশের পৃষ্ঠপােষক ছিলেন সম্রাট শাহজাহান। শাহজাহানের নাম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তােমরা নিশ্চয়ই তাজমহলের বিষয়ে জানতে উৎসুক হয়ে পড়েছ। শাহজাহানের শাসনকালে মােগল স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ চরম শিখরে আরােহণ করেছিল। তিনি সৌন্দর্যের সাধক ছিলেন। শাহজাহানের রাজত্বকালে কলা-সংস্কৃতির অভূতপূর্ব বিকাশ হয়, তাই এই যুগকে মােগল যুগের স্বর্ণযুগ বলা হয়। কিন্তু স্থাপত্য-ভাস্কর্য নির্মাণে বিপুলভাবে খরচ করে শেষের দিকে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছিলেন। শাহজাহানের নির্মিত ‘তাজমহল’ হচ্ছে পত্নীর প্রতি তার প্রেমের অমর সাক্ষী। স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পে আকবরই প্রথম মার্বেল পাথর ব্যবহারের সূচনা করেছিলেন। শাহজাহানের সময়ে নির্মাণকার্যে মার্বেল পাথরের ব্যাপক ব্যবহার হয়েছিল। তাজমহল সৌধটি শুধু শ্বেত পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছিল। এর অপূর্ব কারুকার্য, শ্বেত পাথরের মনােরম সৌন্দর্য, যমুনার তীরের অপরূপ দৃশ্য- এ-সবই তাজমহলকে এক অন্য মাত্রা প্রদান করেছে। এই সেইদিনও তাজমহল পৃথিবীর সপ্ত আশ্চর্যের এক অন্যতম আশ্চর্য ছিল। আজও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার লােক তাজমহল দেখতে ভারতে আসেন। শুধু তাজমহলই নয় আগ্রা দুর্গের ভেতর শাহজাহান অনেক প্রাসাদও নির্মাণ করেছিলেন। তার মধ্যে মতি মসজিদ এবং দেওয়ান-ই-আম বিখ্যাত। শাহজাহানের নামে সম্পূর্ণ মার্বেলের কারুকার্যে তিনি এক অপূর্ব শহরও নির্মাণ করিছিলেন। শাহজাহানাবাদে তিনি চোখ জুড়ানাে জামা মসজিদ নিৰ্মাণ করেছিলেন। সম্রাট শাহজাহান আজমিরেও অনেক স্থাপত্য শিল্প গড়ে তুলে শিল্পপ্রীতির পরিচয় দিয়েছিলেন। পৃথিবী বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসন সম্রাট শাহজাহানের সময়ে তৈরি হয়েছিল।

(গ) আকবরের ধর্মনীতি মােগল যুগকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল ?

উত্তরঃ আকবরের ধর্মনীতি মােগল যুগকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছিল। আকবর একজন গোঁড়া মুসলমান হলেও ধর্মের ক্ষেত্রে এক উদার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তাই এক বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হওয়ার ক্ষেত্রে আকবরের ধর্মনীতি তাকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিল। আকবর নিজ ধর্মের প্রতি অনুসন্ধিৎসা দূর করার জন্য ইবাদতখানা’ অর্থাৎ প্রার্থনা গৃহ নির্মাণ করেছিলেন। প্রথমে এই ইবাদতখানায় সমবেত মুসলমানদের ধর্মের বিষয়ে আলােচনা করতে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীকালে অন্যান্য ধর্মের পণ্ডিতগণকেও এখানে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সম্রাট আকবর নিজেও সেই আলােচনায় যােগ দিতেন। সব ধর্মের সারকথাগুলাে জেনে মােহিত হয়েছিলেন। সব ধর্মের মূল কথাগুলাে যে এক এই কথা তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। তাই সব ধর্মের মূল কথাগুলাে নিয়ে তিনি একটি ধর্মমত গঠন করেছিলেন। এটিকে আমরা দিন-ই-ইলাহি নামেই জানি। প্রথম অবস্থায় এই ধর্মমতের নাম ছিল তউহিদ-ই-ইলাহি। আকবরের শাসন ব্যবস্থায় সকল ধর্মকে সমান চোখে দেখার নীতিই তিনি দিন-ই-ইলাহিতে প্রয়ােগ করেছিলেন। অন্য ধর্মের মানুষকেও ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়া আকবরের ধর্মনীতির এক প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল।

প্রশ্ন ৫। মােগল যুগের স্থাপত্য শিল্পের চিত্র সংগ্রহ করে একটি অ্যালবাম প্রস্তুত করাে।

উত্তরঃ 

প্রশ্ন ৬। নীচে দেওয়া ছবিগুলাে সম্পর্কে তােমার পাঠ্য থেকে দশটি বাক্য লেখাে ।

(ক) কামাখ্যা মন্দির – গৌহাটি মহানগরের অনতিদূরে নীলাচল পাহাড়ের উপর কামাখ্যা মন্দির অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় ২০০ ফুট উঁচু পাহাড়ের উপর কামাখ্যা মন্দির। প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়ে দেশ বিদেশের পর্যটক প্রতিবছর এখানে আসেন। এই মন্দির প্রাঙ্গণের মধ্যে আরাে কিছু দেবীর মন্দির আছে, যেমন- দেবী কালী, তারা, বগলা, ছিন্নমস্তা, ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী ও ধূমাবতী। প্রতি বছর অম্বুবাচিতে এক বড়রকমের মেলা বসে। ভ্রাম্যমান সাধু-সন্তরা নানাবিধ ক্রিয়াকলাপের ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। কামাখ্যা মন্দিরটি শক্তিপীঠ। ৫১ পীঠের অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ মন্দির কামাখ্যা। কামাখ্যা মন্দিরের নিকটে বিখ্যাত উপানন্দ মন্দিরটি অবস্থিত। কামাখ্যা মন্দিরের গাত্রে নানা দেব-দেবীর মূর্তি খােদিত আছে। রাজা নরকাসুরের একটি মূর্তি খােদিত আছে।

(খ) হুমায়ুনের সমাধি – সম্রাট হুমায়ুন ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। তার মৃত্যুর ১৪ বছর পর তার পত্নী হামিদা বেগম তার সমাধি নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এই সমাধি পার্সি স্থপতি মিরাক মির্জা ঘিয়াৎ ‘ডিজাইন’ করেছিলেন। এই সমাধিতেই লাল পাথরের গুঁড়াে সর্বপ্রথম খুব বেশি ব্যবহার করা হয়। হুমায়ুনের সমাধির ভেতরে তার পত্নী হামিদা বেগম এবং দারার সমাধিও আছে। মােগল ইতিহাসের শেষের দিকে সমাধিক্ষেত্রেই অন্তিম মােগল সম্রাট বাহাদুর শাহ আশ্রয় নিয়েছিলেন ১৮৫৭ এর বিদ্রোহের সময়। এই সমাধি নির্মাণ করতে সেই সময় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল। দাস সাম্রাজ্যের সময় যে জমিতে পরে হুমায়ুনের সমাধি নির্মাণ হয়েছিল সেই জমি কিলােহেরি দুর্গের অন্তর্গত ছিল। হুমায়ুনের সমাধি মােগল যুগের স্থাপত্যশিল্পের এক অনুপম নিদর্শন। আজও হাজার হাজার পর্যটক দিল্লির নিজামুদ্দীন অঞ্চলে অবস্থিত এই মােগল স্থাপত্যকে দেখতে আসেন।

(গ) কুতুবমিনার – দাস বংশের সম্রাট কুতুবুদ্দিন আইবেক তার রাজত্বকালে দিল্লির প্রখ্যাত কীর্তিস্তম্ভ কুতুবমিনার নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তার রাজত্বের চার বছর পর জামাই ইলতুতমিস সুলতান হন। তিনি কুতুবমিনার নির্মাণের কাজ শেষ করেন। কুতুবমিনার ভারতবর্ষের সবথেকে উঁচু মিনার। এই মিনারের উচ্চতা ২৪৩ ফিট।

ইলতুতমিস এই মিনারের নির্মাণ ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে সম্পূর্ণ করেছিলেন। আলাউদ্দিন খিলজি দাক্ষিণাত্য বিজয়ের পর ঠিক এই রকমের একটি মিনার নির্মাণ করাবেন বলে ভেবেছিলেন। তিনি মিনার তৈরির কাজ শুরুও করেছিলেন। কিন্তু মিনার সম্পূর্ণভাবে তৈরি হওয়ার পূর্বে তার মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর পর এই মিনার নির্মাণের কাজে আর কেউ উদ্যােগী হননি। কুতুবমিনারের মােট ৩৭২টি সিড়ি আছে। এই সিড়ি বেয়ে একদম উপরে আমরা দিল্লি শহরের অনেকখানি দেখতে পারি। তােঘলকাবাদ, হুমায়ুনের সমাধি, পুরান কেল্লা, ফিরােজ শাহ কোটলা এবং জামা মসজিদ কুতুবমিনারের উপর থেকে দেখা যায়।

(ঘ) মুদ্রা – মােগল সম্রাটগণ নিজেদের শাসনকালে তিন ধরনের মুদ্রার প্রচলন করেছিলেন- সােনার মুদ্রা, রূপাের মুদ্রা ও তামার মুদ্রা। শেরশাহ মুদ্রা ব্যবস্থায় একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। তিনি রূপার মুদ্রা রুপির প্রচলন করেছিলেন। এই নাম মােগল রাজত্বকাল ছাড়াও ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ব্রিটিশ শাসনকাল অবধি প্রচলিত ছিল। বর্তমান মুদ্রা ব্যবস্থার রুপিয়া’ শব্দটি এই রুপি’ থেকেই এসেছে বলে ধরা যায় ।

পুরাতত্ত্ববিদরা মনে করেন প্রত্নতাত্ত্বিক উৎসগুলাের মধ্যে মুদ্রা হচ্ছে এক অন্যতম নির্ভরযােগ্য উৎস। নির্দিষ্ট কোন্ যুগের মুদ্রা সেই যুগের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে। মুদ্রাগুলাে থেকে আমরা সেই যুগের (যে যুগে এই মুদ্রাগুলাে তৈরি হয়েছিল) সুলতান বা বাদশাহ বা রাজাদের নাম, রাজবংশের নাম, আনুমানিক সময় ইত্যাদি বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পারি।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। (ক) মােগলরা কেন স্থাপত্যকলা এবং চিত্রশিল্পে বিশ্বে সমাদর পেতে সক্ষম হয়েছিলেন ?

উত্তরঃ মােগলরা স্থাপত্য-কলা এবং চিত্রশিল্পে বিশ্বে সমাদর পেতে সক্ষম হয়েছিলেন কারণ ওঁরা শিল্প সংস্কৃতির একনিষ্ঠ পৃষ্ঠপােষক ছিলেন। প্রায় সব মােগল সম্রাটই অল্প হলেও কলা-সংস্কৃতিতে অবদান রেখেছেন।

(খ) বাবরের স্থাপত্যকর্মের মধ্যে কোন্ দুটি স্থাপত্য বিখ্যাত ?

উত্তরঃ বাবরের স্থাপত্য কর্মের মধ্যে পানিপথের ‘কাবুলবাগ’ এবং চম্বলের ‘জুমা মসজিদ’ বিখ্যাত।

(গ) হুমায়ুন কীভাবে স্থাপত্যশিল্পকে উৎসাহিত করেছিলেন ?

উত্তরঃ হুমায়ুন নানা যুদ্ধ বিগ্রহের মধ্যেও সময় বের করে পার্সিয়ান শৈলীর অনেক অট্টালিকা নির্মাণ করে স্থাপত্যশিল্পকে উৎসাহিত করেছিলেন।

(ঘ) মহামতি আকবর তার শাসনকালে কোথায় কোথায় স্থাপত্য করেছিলেন ?

উত্তরঃ মহামতি আকবর তার শাসনকালে লাহাের, এলাহাবাদ, আগ্রা, ফতেপুর সিক্র এবং অন্যান্য স্থানে স্থাপত্য নির্মাণ করেছিলেন।

(ঙ) শাহজাহানের রাজত্বকালকেকেন কলা-সংস্কৃতির স্বর্ণযুগ বলা হয় ?

উত্তরঃ শাহজাহানের রাজত্বকালে কলা-সংস্কৃতির অভূতপূর্ব বিকাশ হয়, তাই এই যুগকে মােগল যুগের স্বর্ণযুগ বলা হয়।

(চ) হুমায়ুননামা গ্রন্থটি কে রচনা করেছিলেন ?

উত্তরঃ হুমায়ুন-নামা গ্রন্থটি গুলবদন বেগম রচনা করেছিলেন।

(ছ) ‘ভগবদ্গীতা’ ও ‘উপনিষদ’ কে ফরাসিতে অনুবাদ করেছিলেন?

উত্তরঃ শাহজাহানের বড়াে ছেলে দারা ‘ভগবদ্গীতা’ ও ‘উপনিষদ’ ফরাসিতে অনুবাদ করেছিলেন।

(জ) বাবরের আত্মজীবনীর নাম কী ?

উত্তরঃ বাবরের আত্মজীবনীর নাম ‘তুজুক-ই-বাবরি।

(ঝ) আকবরের আমলে স্থাপত্যশিল্পে কোন দুটি দেশের রীতির এক অপূর্ব মিলন ঘটেছিল।

উত্তরঃ আকবরের আমলে স্থাপত্যশিল্পে ইন্দো-পার্সি রীতির (অর্থাৎ ভারত এবং পারস্য দেশের রীতির) এক অপূর্ব মিলন ঘটেছিল।

(ঞ) কোন মােগল সম্রাটের একটি ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগার ছিল ?

উত্তরঃ সম্রাট হুমায়ুনের একটি ভ্রাম্যমান গ্রন্থাগার ছিল।

(ট) উর্দু কবিদের সম্মেলনকে কী বলা হত ?

উত্তরঃ উর্দু কবিদের সম্মেলনকে ‘মুশায়ারা’ বলা হত।

(ঠ) মােগল যুগে সংগীতের কী স্থান ছিল ?

উত্তরঃ মােগল শাসকরা সংগীতের পৃষ্ঠপােষকতা করেছিলেন। বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ তানসেন আকররের রাজসভা মুখরিত করতেন। সুরদাস’ এই যুগের আর একজন স্বনামধন্য সঙ্গীতজ্ঞ। বাবর, আকবর এবং হুমায়ুনের পৃষ্ঠপােষকতায় দেশ-বিদেশের বহু সংগীতজ্ঞ এসে মােগল রাজসভাকে সুশােভিত করেছিলেন। আকবর একজন কণ্ঠশিল্পী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাদ্যযন্ত্রেও তার যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। অন্যদিকে শাহজাহানও এক অপূর্ব কণ্ঠের অধিকারী ছিলেন।

(দ) মােগল যুগে হিন্দি ভাষার কয়েকটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থের নাম লিখো।

উত্তরঃ মােগল যুগে হিন্দি ভাষার কয়েকটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থের নাম হল- ‘পদ্মাবতী’, ‘রামচরিত মানস’ এবং সুরসাগর।

(ধ) বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসনের কারিগরের নাম কী ছিল ? এই সিংহাসনটি তৈরি করতে কয় বৎসর লেগেছিল ?

উত্তরঃ বিখ্যাত ময়ূর সিংহাসনের কারিগর ছিলেন বেবদন খাঁ। এই সিংহাসনটি তৈরি করতে তার সাত বৎসর লেগেছিল।

(ন) শাহজাহানের পরই কেন মােগল স্থাপত্যশিল্পের গৌরবােজ্জ্বল যুগের অবসান ঘটে ?

উত্তরঃ শাহজাহানের পরের সম্রাট তাঁর পুত্র ঔরঙ্গজেব স্থাপত্যশিল্পের পৃষ্ঠপােষকতা কবে নি। ঔরঙ্গজেবের পরবর্তী শাসকগণও এক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগী হয়েছিলেন বলে তথ্য পাওয়া যায় না। তাই আমরা বলতে পারি যে শাহজাহানের পরই মােগল স্থাপত্যশিল্পের গৌরবােজ্জ্বল যুগের অবসান ঘটে।

(প) মােগল যুগে চিত্রকলা কতখানি বিকশিত হয়েছিল ?

উত্তরঃ মােগলযুগে চিত্রকলা-শিল্প খুবই বিকশিত হয়েছিল। চিত্রকলায় মােগল সম্রাটগণ উল্লেখযােগ্য অবদান রেখে এ দেশের সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। মােগল শিল্পের সজীব চিত্রায়ন, সুন্দর প্রকাশভঙ্গি এবং প্রকৃতিপ্রেম চিত্রশিল্পকে এক গতিময় ছন্দ এনে দিয়েছিল। পার্সিয়ান এবং ইউরােপীয় চিত্রশৈলীর সমন্বয়ে ভারতীয় পরম্পরা অক্ষুন্ন রেখে সম্পূর্ণ নতুন নির্মাণ শৈলীর দ্বারা মােগল যুগের চিত্রকলা প্রস্তুত করা হয়েছিল। সমসাময়িক রাজনৈতিক ঘটনা, শিকার, প্রাকৃতিক দৃশ্য, গাছ-লতা- পাতা ইত্যাদি মােগল চিত্রকলার প্রধান বিষয়বস্তু ছিল। বাবর তার মাত্র পাঁচ বৎসরের রাজত্বকালে চিত্রশিল্পের বিশেষ উন্নতি করতে না পারলেও চিত্রকরদের যথেষ্ট উৎসাহ জুগিয়েছিলেন। একজন প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে তিনি চিত্রশিল্পে প্রকৃতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। হুমায়ুনও একজন চিত্রপ্রেমী ছিলেন। ঘটনাচক্রে তিনি পার্সিয়ান চিত্রশিল্পের সান্নিধ্যে এসে এই চিত্রশিল্পকে ভারতে আমদানি করেন। হুমায়ুন পারস্য থেকে দুজন চিত্রশিল্পীও ভারতে আনিয়েছিলেন। সম্রাট আকবর একজন মানবদরদি চিত্রপ্রেমী ছিলেন। সে সময়ে রক্ষণশীল মােগল সমাজের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে তিনি কলা-সংস্কৃতিতে এক বিবর্তনের সূচনা করেছিলেন। চিত্রশিল্পের জন্য প্রয়ােজনীয় জিনিসগুলাের সুলভ মূল্য নির্ধারণ করে আকবর ভারতীয় চিত্রকলার ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। চিত্রশিল্পে তদারকি করার জন্য আকবর একটি পৃথক বিভাগ সৃষ্টি করেছিলেন।

মােগল চিত্রকলা পূর্ণ বিকশিত হয়েছিল জাহাঙ্গীরের শাসনকালে। জাহাঙ্গীর নিজে একাধারে চিত্রপ্রেমী ও চিত্র সমালােচক ছিলেন। কল্পনার পরিবর্তে বাস্তবকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য তিনি চিত্রকরদের আহ্বান জানিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীরের সময়ে ক্ষুদ্র চিত্রশিল্পও একটি নিজস্ব আসন দখল করেছিল। বিখ্যাত চিত্রকর মনসুর, মুরাদ, বিষণ দাস এঁরা সবাই জাহাঙ্গীরের রাজসভাকে উজ্জ্বল করেছিলেন। তার সময়ে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে চিত্রশিল্পের অনেক বিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। শাহজাহানের অবদান চিত্রশিল্পের জগতে যদিও নগণ্য কিন্তু তার পুত্র দারা চিত্রশিল্পের একজন প্রধান পৃষ্ঠপােষক ছিলেন। তিনি নিজেও একজন দক্ষ চিত্রকর ছিলেন। আজও ভারতীয় সংস্কৃতিতে মােগল চিত্রকলা সমাদর লাভ করে।

(ফ) সুফিবাদ মানে কী ? কিছু প্রখ্যাত সুফি-সন্তদের নাম লেখাে ?

উত্তরঃ মােগলযুগে ইসলাম ধর্মে এক উদারনৈতিক মতবাদ গড়ে উঠেছিল। এই উদারনৈতিক মতবাদকেই সুফিবাদ বলে।

কিছু প্রখ্যাত সুফি-সন্তদের নাম–মানিক মহম্মদ জৈসি, মির আব্দুল ওয়াহিদ প্রমুখ।

ক্রিয়াকলাপের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। শেরশাহের সময়ের দুটো বিখ্যাত স্থাপত্যের নাম সংগ্রহ করাে এবং শিক্ষকের সাহায্যে সেই নামগুলাের ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নাও।

উত্তরঃ শেরশাহের সময়ের দুটো বিখ্যাত স্থাপত্যের নাম হল- লাল দরওয়াজা, শের মণ্ডল।

প্রশ্ন ২। মােগল যুগের পাঁচটি স্থাপত্যের চিত্র সংগ্রহ করে এবং সেগুলাে কোথায় আছে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করাে। শিক্ষকের সাহায্যে ফতেপুর সিক্রির গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নেবে।

উত্তরঃ শিক্ষক/শিক্ষিকার সাহায্য নিয়ে উক্ত ক্রিয়াকলাপটি নিজেদের কক্ষে করবে।

প্রশ্ন ৩ মােগল যুগের কোন্ কোন সম্রাট কীকী স্থাপত্যশিল্পের নিদর্শন রেখে গিয়েছেন তার একটি তালিকা প্রস্তুত করাে।

উত্তরঃ বাবর – কাবুলবাগ, জুমা মসজিদ ইত্যাদি।

হুমায়ুন – ফতেহাবাদের মসজিদ, হুমায়ুন সৌধ ইত্যাদি।

আকবর – ফতেপুর সিক্রির অট্টালিকা, বুলন্দ দরওয়াজা ইত্যাদি।

জাহাঙ্গীর – শালিমার বাগ ইত্যাদি

শাহজাহান – তাজমহল, দিল্লির লালকেল্লা, মােতি মসজিদ, জামা মসজিদ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪। কোন্ কোন্ প্রাদেশিক ভাষা মােগলদের শাসনকালে পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেছিল ? এই ভাষাগুলাে কোন্ কোন্ রাজ্যের উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ যে সব প্রাদেশিক ভাষা মােগলদের শাসনকালে পৃষ্ঠপােষকতা লাভ করেছিল সেগুলাে হল – হিন্দি, ব্রজবুলি, সংস্কৃত, মারাঠি ও বাংলা।

হিন্দি – উত্তর ভারত। ব্রজবুলি – উত্তর ভারত। মারাঠি – মহারাষ্ট্র। 

বাংলা – বঙ্গদেশ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top