Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 2 পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 2 পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 2 পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 2 পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 7 Social Science Chapter 2 পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 2 পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 2 পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। শুদ্ধ উত্তরটি বেছে লেখ-
(ক) পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ৪/৩/২টি স্তরে বিভক্ত।
উত্তরঃ ৩টি।
(খ) ভূ-ত্বক গড়ে প্রায় ২০/৩০/৩৫ কিলােমিটার পুরু।
উত্তরঃ ২০ কিলােমিটার।
(গ) পৃথিবীর গর্ভ মানে হল- ভূ-ত্বক/গুরুমণ্ডল/কেন্দ্রমণ্ডল।
উত্তরঃ কেন্দ্রমণ্ডল।
(ঘ) জীবাশ্ম সাধারণত পাললিক শিলা/আগ্নেয় শিলা/রূপান্তরিত শিলাতে পাওয়া যায়।
উত্তরঃ পাললিক শিলা।
(ঙ) সবচেয়ে কঠিন খনিজটি হল সােনা/হিরা/দস্তা।
উত্তরঃ হিরা।
প্রশ্ন ২। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে-
(ক) ভূ-পৃষ্ঠ থেকে অভ্যন্তর ভাগ পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে ____________বেড়ে যেতে থাকে।
উত্তরঃ উষ্ণতা।
(খ) ভূ-ত্বক স্তরকে ____________ বলেও জানা যায়।
উত্তরঃ সিয়াল স্তর।
(গ) মাটি ____________ এবং ____________পদার্থতে গঠিত।
উত্তরঃ জৈবিক, অজৈবিক।
(ঘ) ম্যাগমার থেকে উৎপত্তি হওয়া শিলাকে ____________ শিলা বলে।
উত্তরঃ আগ্নেয় শিলা।
(ঙ) খনিজগুলাে সাধারণত ____________ পদার্থ।
উত্তরঃ অজৈবিক পদার্থ।
প্রশ্ন ৩। সংক্ষিপ্ত উত্তর লেখাে- (৩০টি শব্দের মধ্যে)
(ক) ভূ-ত্বক বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উপরিভাগের কঠিন আবরণটিকে ভূ-ত্বক বলা হয়। ভূ-ত্বকে পাহাড়-পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, সাগর, মহাসাগর ইত্যাদি অবয়বসমূহ অবস্থিত। তরল গ্যাসীয় পদার্থগুলাে শীতল হয়ে সংকুচিত হওয়ার ফলে ভূ-ত্বক অসমান। ভূ-ত্বক স্তরটি সাধারণত গ্রানাইট জাতীয় শিলায় গঠিত। ভূ-ত্বককে সিয়াল স্তরও বলা হয়।
(খ) আগ্নেয় শিলা কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ, লাভা, ম্যাগমা প্রভৃতি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময়ে ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আসে ও ভূ-পৃষ্ঠের উপরে সঞ্চিত হয়। এগুলাে ধীরে ধীরে শীতল, কেলাসিত ও কঠিন হয়ে শিলায় পরিণত হয়। একে আগ্নেয় শিলা বলে। এই শিলাকে প্রাথমিক শিলাও বলে। এই শিলার উদাহরণ- ব্যাসল্ট, গ্র্যানাইট, গেব্রো, বেথলিথ ইত্যাদি।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY ) |
পাঠ -১ | ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা |
পাঠ -২ | পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন |
পাঠ -৪ | আমাদের পরিবেশ |
পাঠ -৫ | মানবসৃষ্ট পরিবেশ |
পাঠ -৬ | সম্পদ |
পাঠ -৭ | অসমের সম্পদ |
পাঠ -৮ | ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল |
পাঠ -৯ | ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা |
বিষয় | ( ইতিহাস HISTORY ) |
পাঠ -১০ | মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১১ | গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান |
পাঠ -১২ | গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৩ | ঐতিহাসিক অসম |
পাঠ -১৪ | মধ্যযুগের ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৫ | দিল্লির সুলতানগণ |
পাঠ -১৬ | মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৭ | ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান |
বিষয় | ( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE ) |
পাঠ -১৮ | আমাদের আশেপাশের বাজার |
পাঠ -১৯ | পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন |
পাঠ -২০ | অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা |
পাঠ -২১ | শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব |
পাঠ -২৩ | নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া |
পাঠ -২৪ | গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম |
পাঠ -২৫ | প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার |
(গ) মাটি বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ পৃথিবীর খােলস বা আবরণটির একেবারে উপরের কোমল স্তর যেখানে আমরা ঘরবাড়ি তৈরি করি, চাষ-আবাদ করি, যাতায়াতের ব্যবস্থা করি, যেখানে গভীর অরণ্য, গাছপালা থাকে সেই অংশকে মাটি বলে। শিলাগুলাে শীত, তাপ, বায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি দ্বারা সময়ের সাথে সাথে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে মাটিতে পরিণত প্রকৃত মাটি ভূ-পৃষ্ঠের ৫ থেকে ১০ ফুট নীচে পাওয়া যায়।
(ঘ) খনিজ কী ?
উত্তরঃ পৃথিবীর খােলস বা আবরণটির অপর একটি উপাদান হ’ল খনিজ। পৃথিবীতে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া অজৈবিক পদার্থসমূহই খনিজ। খনিজ সাধারণত কঠিন পদার্থ। বর্ণ, বর্ণরেখা, রূপ, স্বচ্ছতা এগুলাে খনিজের মূল ধর্ম। খনিজকে দুইভাগে ভাগ করা যায়-
(১) শিলা গঠনকারী খনিজ। এবং
(২) আকর গঠনকারী খনিজ। খনিজের উদাহরণ- কোয়ার্টজ, সিলিকেট, কার্বনেট ইত্যাদি।
(ঙ) হিউমাস কাকে বলে ?
উত্তরঃ মাটির জৈবিক উপাদানগুলােকে সাধারণত হিউমাস বলে। মাটিতে থাকা গাছপালার ডাল-পাতার অংশ, বিভিন্ন জীবজন্তুর মল, বিভিন্ন জীব-জন্তুর মৃতদেহ রােদে পুড়ে জলে পচে এবং অণুজীবের প্রভাবে হিউমাসের সৃষ্টি হয়। হিউমাস উদ্ভিদের পুষ্টি সাধন করে।
প্রশ্ন ৪। উত্তর লেখাে। (১০০টি শব্দের মধ্যে)।
(ক) পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে অভ্যন্তর ভাগ পর্যন্ত প্রধান স্তর কয়টি এবং কী কী ? ছবিসহ বুঝিয়ে লেখাে।
উত্তরঃ পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে অভ্যন্তর ভাগ পর্যন্ত প্রধান স্তর তিনটি। এই স্তর কয়টি হল- ভূ-ত্বক, গুরুমণ্ডল এবং কেন্দ্রমণ্ডল।
১। ভূ-ত্বক- পৃথিবীর উপরিভাগের কঠিন আবরণটিকে ভূ-ত্বক বলা হয়। ভূ-ত্বকের উপরিভাগের তরল এবং গ্যাসীয় পদার্থগুলাে শীতল হয়ে সংকুচিত হবার ফলে পাহাড়-পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, সাগর, মহাসাগর ইত্যাদি অবয়বসমূহের সৃষ্টি হয়েছে। ভূ-ত্বকের গভীরতা ১৬ কিলােমিটার থেকে ২০ কিলােমিটার। ভূ-ত্বক সাধারণত গ্রানাইট জাতীয় শিলায় গঠিত। ভূ-ত্বককে ‘সিয়াল’ স্তরও বলে।
২। গুরুমণ্ডল- ভূ-ত্বকের ঠিক নীচের দ্বিতীয় স্তরটি হ’ল গুরুমণ্ডল। এই স্তরটি প্রায় ২,৯০০ কিলােমিটার পুরু। সম্পূর্ণ গুরুমণ্ডলকে উদ্ধ গুরুমণ্ডল এবং নিম্ন গুরুমণ্ডল হিসাবে ভাগ করা হয়েছে। এই স্তরটিকে সিমা স্তরও বলে।
৩। কেন্দ্রমণ্ডল- গুরুমণ্ডলের ঠিক নীচে কেন্দ্রকে বেষ্টন করে থাকা স্তরটিই হল কেন্দ্রমণ্ডল। এই মণ্ডলটিই পৃথিবীর গর্ভ। এই স্তরটি প্রায় ৩,৪৮৬ কিলােমিটার পুরু।এর পদার্থগুলাে অত্যন্ত উত্তপ্ত অবস্থায় আছে। এই স্তরটি প্রধাণত লােহা, নিকেল এবং কোবল্টের দ্বারা গঠিত। কেন্দ্রমণ্ডলের দুটি ভাগ আছে- বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল এবং আন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল। লােহা এবং নিকেলের পরিমাণ বেশি থাকায় এই স্তরটিকে ‘নিফে বলা হয়।
(খ) শিলা কয় প্রকার এবং কী কী বুঝিয়ে লেখাে।
উত্তরঃ উৎপত্তি অনুযায়ী শিলাকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
(১) আগ্নেয় শিলা।
(২) পাললিক শিলা।
(৩) রূপান্তরিত শিলা।
১। আগ্নেয় শিলা- পৃথিবীর অন্তর্ভাগে থাকা গলিত, উত্তপ্ত ম্যাগমা ভূ-পৃষ্ঠতে বেরিয়ে আসতে না পেরে কালক্রমে তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে শিলাতে পরিণত হয়। এই শিলাকে অন্তর্ভেদী শিলা বলে।
পৃথিবীর খােলস বা আবরণে ফাটলের সৃষ্টি হলে প্রাকৃতিক কারণে সেই ফাটল দিয়ে ম্যাগমা বাইরে এসে লাভা হিসেবে ভূ-পৃষ্ঠে জমা হয়। তাপ বিকিরণ করে কঠিন হয়ে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে বহির্ভেদী আগ্নেয় শিলা বলে। প্রথমে আগ্নেয় শিলা সৃষ্টি হবার জন্য এই শিলাকে প্রাথমিক শিলাও বলে। ব্যাসল্ট, গ্রানাইট, গেব্রো, বেথলিথ এই শিলার উদাহরণ।
২। পাললিক শিলা- ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থিত আগ্নেয় শিলাসমূহ নদী, হিমবাহ, বায়ু ও সমুদ্রের তরঙ্গের দ্বারা ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে হ্রদ বা সমুদ্রগর্ভে সুদীর্ঘকাল ধরে স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি হয়েছে। এ জাতীয় ক্ষয়িত ও সঞ্চি ত শিলাকে পাললিক শিলা বলে। স্তরে স্তরে সঞ্চিত হয় বলে পাললিক শিলাকে স্তরীভূত শিলাও বলে। বেলেপাথর, কাদাপাথর, স্লেট, কয়লা, কংলােমারেট, চুনাপাথর ইত্যাদি পাললিক শিলা।
৩। রূপান্তরিত শিল- আগ্নেয় এবং পাললিক শিলা যদি দীর্ঘদিন ধরে অধিক চাপ এবং তাপের প্রভাবে থাকে তাহলে তার ভৈৗতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন হয়ে এক নতুন শিলার সৃষ্টি হয়। এ ধরনের শিলাকে রূপান্তরিত শিলা বলে।
রূপান্তরিত শিলার উদাহরণ- সিস্ট, নিস, মার্বেল, কোয়ার্টজাইট, স্লেট ইত্যাদি।
(গ) শিলা এবং মাটির পার্থক্যগুলি লেখাে।
উত্তরঃ
শিলা | মাটি |
১। শিলা কঠিন। | ১। মাটি কোমল। |
২। শিলা অজৈবিক পদার্থ দ্বারা গঠিত। | ২। মাটি জৈবিক ও অজৈবিক পদার্থ দ্বারা গঠিত। |
৩। মাটি থেকে শিলার উৎপত্তি হয়নি। | ৩। শিলা থেকে মাটির উৎপত্তি হয়েছে। |
৪। শিলাতে মানুষের বসতি নেই বললেই চলে। | ৪। মাটিতে মানুষ বাস করে। |
৫। শিলাতে কৃষিকার্য সম্ভব নয়। | ৫। মাটিতে মানুষ কৃষিকার্য করে। |
৬। শিলার ওপর দিয়ে যান-বাহন চলাচল সম্ভবপর হয় না। | ৬। মাটির ওপরে যানবাহন চলাচল করে। |
৭। শিলাময় স্থান উঁচু-নীচু হয়। | ৭। মাটি সাধারণত সমতল। |
(ঘ) “মাটি ছাড়া গাছপালা, জীবজন্তু বেঁচে থাকতে পারেনা”- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখাে।
উত্তরঃ মানুষের জীবন ধারণের জন্য খাদ্যদ্রব্য, নানা ধরনের সামগ্রী, বাসস্থান ইত্যাদি ভূ-ত্বকের মাটির উপর নির্ভরশীল। কাজেই মানুষের জীবনযাত্রা, আচার-ব্যবহার, চাষ-আবাদ, অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান, যাতায়াত, উদ্যোগ ইত্যাদি মাটির ওপর নির্ভরশীল। মাটির গুণাগুণ জীবজগৎকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। মাটির ওপরেই বনাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। এই বনাঞ্চল মানুষকে অক্সিজেন যােগান দেয়। আবার এই গাছপালাই কার্বনকে শােষণ করে। বায়ুমণ্ডলকে পরিশােধিত করে। বাড়ি তৈরিতে ব্যবহৃত ইট সাধারণত কাদা বা এটেল মাটি থেকে তৈরি হয়ে থাকে। মাটি থেকেই গাছপালা বিভিন্ন তরল পদার্থ ও খনিজ সংগ্রহ করে থাকে। মাটিতে থাকা জৈবিক পদার্থ যেমন হিউমাস উদ্ভিদকে পুষ্টি প্রদান করে। মাটিতে জৈবিক পদার্থ বেশি হলে মাটির জলধারণ করার ক্ষমতা বাড়ে। মাটিতে থাকা জল উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। অতএব মানুষ বা জীবজন্তু দ্বারা কোনভাবেই যেন ক্ষতিসাধন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে।
(ঙ) “মাটি গঠনে জলবায়ুর প্রভাব অপরিহার্য”- কথাটি বুঝিয়ে লেখাে।
উত্তরঃ সাধারণত শিলা থেকেই মাটির উৎপত্তি হয়। শিলাগুলাে সময়ের সাথে সাথে শীত, তাপ, বায়ু, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি প্রাকৃতিক কারণে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। এই অংশ গুলাে আবার বায়ু, নদী, হিমবাহ ইত্যাদি বহন করে বিভিন্ন স্থানে জমা করে। এভাবে মাটির সৃষ্টি হয়। এটা পরিস্কার ভাবে বােঝা যাচ্ছে যে জলবা; র প্রভাব মাটি গঠনের ক্ষেত্রে অপরিহার্য। মৌসুমী জলবায়ু অঞ্চলে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিমাণ খুব বেশি। গ্রীষ্মকাল ও শীতকালের তারতম্য অধিক। তাপের তারতম্যের ফলে শিলা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় এবং প্রচুর বৃষ্টিপাত হবার ফলে এগুলাে উচ্চস্থান থেকে নিম্নাঞ্চলে এসে জমা হয়। কালক্রমে এগুলাে মাটিতে পরিণত হয়।
মরুভূমি অঞ্চলে মাটি গঠনের ক্ষেত্রে বায়ুর প্রভাব অত্যন্ত বেশি। মরু অঞ্চলের বালুকারাশি বায়ুর দ্বারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গিয়ে জমা হয়ে উষ্ণ মরুভূমি অঞ্চলে মাটির সৃষ্টি করে।
শীতল তুন্দ্রা অঞ্চলে ছােট ছােট পাথর, বালু, কাদা ইত্যাদি হিমবাহের কার্যের ফলে নিম্নাঞ্চলে এক বিশেষ ধরনের মাটির সৃষ্টি করে।
নিরক্ষীয় অঞ্চলে ঘন বনের সৃষ্টি হয়। মৃত গাছ এবং পাতা পচে সেখানে অতি উর্বর ও উন্নত ধরনের মাটির সৃষ্টি হয়। কাজেই মাটি গঠনের ক্ষেত্রে জলবায়ুর অবদান অপরিসীম।
(চ) ভূ-ত্বকে পাওয়া শিলা, খনিজ এবং মাটির মধ্যে সম্বন্ধ বিচার করাে।
উত্তরঃ ভূ-ত্বকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের শিলা, খনিজ এবং মাটির গুণাগুণ জীবজগৎকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে। অন্যদিকে ভূ-ত্বকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থ যেমন, নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, লােহা, তামা, সিসা ইত্যাদি উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বৃদ্ধি ও বিকাশে বিশেষ সাহায্য করে। মানুষের জীবন ধারণের ক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্য, নানা ধরনের সামগ্রী, বাসস্থান ইত্যাদি ভূ-ত্বকের মাটির গুণাগুণের ওপর নির্ভরশীল। শিলা আমরা বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করি। কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি, স্তরীভূত শিলার মধ্য থেকেই পাওয়া যায়। সােনা, রূপা, তামা, দস্তা ইত্যাদি আমরা আগ্নেয় বা রূপান্তরিত শিলা থেকে পাই। কাদা বা এঁটেল মাটি দিয়ে তৈরি ইট বাড়ি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়।
খনিজ কঠিন পদার্থ। বর্ণ, বর্ণরেখা, রূপ, স্বচ্ছতা এগুলাে খনিজের মূল ধর্ম। খনিজসমূহকে দু-ভাগে ভাগ করা যায়। শিলা-গঠনকারী খনিজ এবং আকর গঠনকারী খনিজ। খনিজ পদার্থসমূহ আবৃত ও অনাবৃত এই দুই অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী শিলা, খনিজ ও মাটি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত।
প্রশ্ন ৫। নীচের তালিকায় বিভিন্ন ধরনের শিলার নাম দেওয়া আছে। সেগুলাে নীচের তালিকাতে দেওয়া ধরনে শ্রেণিভুক্ত করাে।
মার্বেল, স্লেট, বালিপাথর, গ্রানাইট, কয়লা, চুনাপাথর, খড়িমাটি, নিস, কংলােমারেট, কাদাশিলা, সিস্ট, কোয়ার্টজাইট, ব্যাসল্ট, গগব্রো।
আগ্নেয় শিলা-
পাললিক শিলা-
রূপান্তরিত শিলা-
উত্তরঃ
আগ্নেয় শিলা | গ্রানাইট, ব্যাসল্ট, গেব্রো। |
পাললিক শিলা | বালিপাথর, কয়লা, চুনাপাথর, খড়িমাটি কংলােমারেট, কাদাশিলা। |
রূপান্তরিত শিলা | মার্বেল, স্লেট, নিস, সিস্ট, কোয়ার্টজাইট। |
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ৬। শূন্যস্থান পূর্ণ কর-
(ক) আজ থেকে প্রায় _________ কোটি বৎসর পূর্বে পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল।
উত্তরঃ ৪৫০
(খ) সৃষ্টির সময়ে পৃথিবী একটি _________ অগ্নিপিণ্ড ছিল।
উত্তরঃ জলন্ত গ্যাসীয়।
(গ) পৃথিবীর কেন্দ্রভাগের উত্তাপ আনুমানিক _________ সেলসিয়াসের বেশি।
উত্তরঃ ৬০০০°
(ঘ) পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রের গভীরতা _________ কিলােমিটার।
উত্তরঃ ৬,৩৭৮
(ঙ) পৃথিবীর উপরিভাগের কঠিন আবরণটিকে _________ বলা হয়।
উত্তরঃ ভূ-ত্বক।
(চ) ভূ-ত্বক স্তরটি সাধারণত _________ জাতীয় শিলায় গঠিত।
উত্তরঃ গ্রানাইট।
(ছ) Sial শব্দটির Si এ _________ এবং AI এ অ্যালুমিনিয়াম বােঝাচ্ছে৷
উত্তরঃ সিলিকন।
(জ) Sima শব্দের Si এ _________ এবং Ma _________ বােঝাচ্ছে।
উত্তরঃ সিলিকন, ম্যাগনেসিয়াম।
(ঝ) গুরুমণ্ডলের ঠিক নীচে কেন্দ্রকে বেষ্টন করে থাকা স্তরটিই হল _________।
উত্তরঃ কেন্দ্রমণ্ডল।
(ঞ) পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত তিনটি স্তর হল _________, _________, _________।
উত্তরঃ ভূ-ত্বক, গুরুমণ্ডল এবং কেন্দ্রমণ্ডল।
(ট) মাটির জৈবিক উপাদান বলতে সাধারণত _________ কে বােঝায়।
উত্তরঃ হিউমাস।
প্রশ্ন ৭। শুদ্ধ উত্তরটি লেখ।
(ক) পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল অনুমানিক-
১। ৫০০
২। ৬০০
৩। ৪৫০ কোটি বৎসর পূর্বে।
উত্তরঃ ৪৫০
(খ) পৃথিবী সৌরজগতের একটি-
১। উপগ্রহ।
২। নক্ষত্র।
৩। গ্রহ।
উত্তরঃ গ্রহ।
(গ) পৃথিবীর উপরিভাগের কঠিন আবরণটিকে বলা হয়-
১। উপত্যকা।
২। ভূ-ত্বক।
৩। মালভূমি।
উত্তরঃ ভূ-ত্বক।
(ঘ) শিলাকে প্রধানত-
১। ৫টি।
২। ২টি।
৩। ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়।
উত্তরঃ ৩টি।
(ঙ) চুনাপাথর রূপান্তরিত হয়ে-
১। সিস্ট।
২। স্লেট।
৩। মার্বেল পাথরে পরিণত হয়।
উত্তরঃ মার্বেল।
(চ) ভূ-ত্বক গড়ে প্রায়-
১। ৫০
২। ১০০
৩। ২০ কিলােমিটার পুরু।
উত্তরঃ ২০।
(ছ) গুরুমণ্ডল গড়ে প্রায়-
১। ২০০০
২। ৫০০০
৩। ২৯০০ কিলােমিটার পুরু।
উত্তরঃ ২৯০০ কিলােমিটার।
(জ) পৃথিবীর অন্তর্ভাগে থাকা গলিত, উত্তপ্ত পদার্থগুলােকে-
১। ম্যাগমা।
২। জল।
৩। শিলা বলে।
উত্তরঃ ম্যাগমা।
প্রশ্ন ৮। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
(ক) সৃষ্টির সময়ে পৃথিবী কিরূপ ছিল ?
উত্তরঃ জ্বলন্ত গ্যাসীয় অগ্নিপিণ্ড।
(খ) পৃথিবীর কেন্দ্রভাগের উত্তাপ কত ?
উত্তরঃ ৬০০০° সেলসিয়াস।
(গ) উদ্গিরণ বলতে কি বােঝ ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উপরিভাগের কোন ফাটল বা সুরঙ্গ দিয়ে নির্গত উত্তপ্ত গলিত পদার্থকেই উদগিরণ বলে।
(ঘ) পৃথিবীর উপরিভাগের কঠিন পদার্থকে কি বলা হয় ?
উত্তরঃ ভূ-ত্বক।
(ঙ) পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে অভ্যন্তর ভাগ পর্যন্ত স্তর কয়টি কি কি ?
উত্তরঃ ভূ-ত্বক, গুরুমণ্ডল এবং কেন্দ্রমণ্ডল।
(চ) পাহাড়-পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, সাগর, মহাসাগর ইত্যাদি অবয়বসমূহ কোথায় অবস্থিত ?
উত্তরঃ ভূ-ত্বকে।
(ছ) সিয়াল স্তরটিতে কি কি থাকে ?
উত্তরঃ সিলিকন এবং অ্যালুমিনিয়াম।
(জ) ভূগােল বিজ্ঞানীদের মতে ভূত্বকে থাকা মূল পদার্থসমূহ কি কি ?
উত্তরঃ অক্সিজেন, সিলিকন, আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালশিয়াম, সােডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ইত্যাদি।
(ঝ) পৃথিবীর কেন্দ্রমণ্ডল বা গর্ভ কত কিলােমিটার পুরু ?
উত্তরঃ ৩,৪৮৬।
(ঞ) নিফে (Nife) স্তরটি কি কি পদার্থ নিয়ে গঠিত ?
উত্তরঃ Nickel (নিকেল) এবং Ferrium (লােহা)।
(ট) পৃথিবীর খােলস বা আবরণটিকে শিলামণ্ডলও বলা হয় কেন ?
উত্তরঃ শিলা দ্বারা গঠিত হওয়ার জন্য একে শিলামণ্ডল বলা হয়।
(ঠ) অন্তর্ভেদী আগ্নেয়শিলা কাকে বলে ?
উত্তরঃ ম্যাগমা ভূ-পৃষ্ঠতে বেরিয়ে আসতে না পেরে কালক্রমে তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়ে শিলাতে পরিণত হয়। এই ধরনের গঠিত শিলাকে অন্তর্ভেদী শিলা বলে।
(ড) বহির্ভেদী আগ্নেয়শিলা কি ?
উত্তরঃ প্রাকৃতিক কারণে পৃথিবীর আবরণে ফাটলের সৃষ্টি হলে সেই ফাটল দিয়ে ম্যাগমা বাইরে এসে লাভা হিসেবে ভূ-পৃষ্ঠে জমা হয়। এগুলাে বায়ুর সংস্পর্শে এসে তাপ বিকিরণ করে কঠিন অবস্থাপ্রাপ্ত হয়ে যে শিলার সৃষ্টি হয় তাকে বহির্ভেদী আগ্নেয়শিলা বলে।
(ট) আগ্নেয়শিলার অপর নাম কী ?
উত্তরঃ প্রাথমিক শিলা।
প্রশ্ন ৯। উত্তর লেখাে।
(ক) পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগে আমরা কেন প্রবেশ করতে পারি না ?
উত্তরঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের উত্তাপ ৬০০০° সেলসিয়াসের চেয়েও বেশি এবং গলন্ত অবস্থায় আছে। এজন্য পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগে আমরা প্রবেশ করতে পারি না।
(খ) ভূ-ত্বকের স্তরের উপকারিতা কী ধরনের ?
উত্তরঃ ভূ-ত্বকে পাহাড়-পর্বত, মালভূমি, সমভূমি, সাগর, মহাসাগর ইত্যাদি অবয়বসমূহ দেখা যায়। এ সমস্ত অবয়ব থেকে জলবায়ুর পরিবর্তন, নদী, সাগর, মহাসাগরের সৃষ্টি, খনিজ দ্রব্য ও মাটির উৎপত্তি হয়েছে। এ সমস্ত উপাদানই মানুষের এবং গাছপালা তথা জীবজন্তুর বেঁচে থাকার জন্য অতি আবশ্যকীয় উপাদান।
(গ) ভূ-ত্বক এবং গুরুমণ্ডল এই দুই স্তরের কোন্ স্তরটি পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের অধিক অংশ বেষ্টন করে আছে ?
উত্তরঃ গুরুমণ্ডল।
(ঘ) দ্বি-জনন প্রক্রিয়া কাকে বলে ?
উত্তরঃ অদ্রবনীয় পদার্থ থেকে পাললিক শিলাতে পরিবর্তিত হবার প্রক্রিয়াটিকেই দ্বি-জনন প্রক্রিয়া বলে।
(ঙ) শিলা আমরা কি কি কাজে ব্যবহার করি ?
উত্তরঃ শিলার দ্বারা আমরা ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, বাঁধ নির্মাণ, প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করি। এছাড়াও শিলা থেকে বিভিন্ন প্রকারের খনিজ পদার্থ সংগ্রহ করি।
(চ) যদি পৃথিবীর উপরিভাগে উর্বর মাটি না থাকে তাহলে কী হবে ?
উত্তরঃ উর্বর মাটি না থাকলে উদ্ভিদ প্রয়ােজনীয় খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবে না ফলে খাদ্যাভাব ঘটবে। মানুষের এবং অন্যান্য প্রাণীদের বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠবে। অনুর্বর মাটি মরুপ্রায় হয়ে পড়বে।
প্রশ্ন ১০। দক্ষতামূলক কাজ-
(ক) পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগের চিত্র অঙ্কন করাে।
(খ) আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলার চিত্র আঁক।
উত্তরঃ পাঠ্যপুস্তক থেকে সংগ্রহ কর।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.