Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 21 শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 21 শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 21 শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 21 শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 7 Social Science Chapter 21 শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 21 শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 21 শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও।
(ক) শ্রমের সমমর্যাদা মানে কী ?
উত্তরঃ পুরুষ ও নারীর বা মহিলার শ্রমের অর্থাৎ কাজের সমান মর্যাদা দেওয়া উচিত।
(খ) শ্রমের সমমূল্য বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ পুরুষ ও মহিলার কাজ-কর্মের মূল্য সমান হওয়া উচিত।
(গ) প্রতিভা দেবী সিং পাতিলের কর্মজীবন কীভাবে শুরু হয়েছিল ?
উত্তরঃ প্রতিভা দেবী সিং পাতিলের প্রথম কর্মজীবন আরম্ভ হয় একজন আইনজীবী হিসাবে।
(ঘ) মামনি রয়সম গােস্বামী কত বৎসর বয়স থেকে সাহিত্য সাধনায় ব্রতী হন ?
উত্তরঃ মামনি রয়সম ১৩ বৎসর বয়স থেকে সাহিত্য সাধনায় ব্রতী হন।
(ঙ) কল্পনা চাওলা কোন্ বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেছিলেন ?
উত্তরঃ কল্পনা চাওলা পাঞ্জাবের অভিযান্ত্রিক মহাবিদ্যালয় থেকে বৈমানিক অভিযন্তা হিসাবে ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।
(চ) বাচেন্দ্র পাল কলেজ জীবনের কোন খেলাতে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন ?
উত্তরঃ বাচেন্দ্র পাল কলেজ জীবনে রাইফেল শুটিং-এ প্রথম পুরস্কার লাভ করেন।
প্রশ্ন ২। উত্তর লেখা।
(ক) নারী-পুরুষের সমমর্যাদা ও পারস্পরিক সহযােগিতা সমাজ প্রগতিতে কীভাবে সাহায্য করে ?
উত্তরঃ নারী-পুরুষের সমমর্যাদা ও পারস্পরিক সহযােগিতায় সমাজ প্রগতিতে কীভাবে সাহায্য করে তা সীমাদেবী ও সুশীলবাবুর পরিবারের থেকে বুঝতে পারি। সীমাদেবী ঘরের কাজগুলাে, যেমন রান্নাবান্না, ঘর ঝাড় দেওয়া, শাশুড়ির সেবাযত্ন, ছেলে-মেয়ে দুটির লেখা-পড়া, খাওয়া-দাওয়া, স্বামী সুশীলবাবুর সেবাযত্ন ইত্যাদি কাজগুলাে একাই সামলান। তার স্বামী সুীলবাবু সরকারী চাকুরে। তিনি সকালে ঘর থেকে বের হয়ে যান আর রাত্রি ৬/৭টার সময় ঘরে ফেরেন, সুশীলবাবু চাকরি করে বেতন পান বলে তাঁর কাজকে কষ্টের কাজ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সীমাদেবীর কাজগুলােতে তার যথেষ্ট শারীরিক ও মানসিক শ্রম ছাড়াও কাজের সংখ্যা অনেক বেশি। তিনি কাজ না করলে ঘরটি অচল হয়ে পড়ে সীমাদেবীর দায়িত্ব ও কর্তব্যের সাথে করা এই কাজগুলােকে পারিবারিক ও সামাজিক স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। সীমাদেবীর পরিবার তার কাজকর্মের যথাযথ মূল্য দিলে ঘরটির সুখ-শান্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। যা পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করে গড়ে তােলার পাশাপাশি পরিবার ও সমাজের উন্নতিতে সাহায্য করবে।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY ) |
পাঠ -১ | ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা |
পাঠ -২ | পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন |
পাঠ -৪ | আমাদের পরিবেশ |
পাঠ -৫ | মানবসৃষ্ট পরিবেশ |
পাঠ -৬ | সম্পদ |
পাঠ -৭ | অসমের সম্পদ |
পাঠ -৮ | ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল |
পাঠ -৯ | ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা |
বিষয় | ( ইতিহাস HISTORY ) |
পাঠ -১০ | মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১১ | গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান |
পাঠ -১২ | গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৩ | ঐতিহাসিক অসম |
পাঠ -১৪ | মধ্যযুগের ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৫ | দিল্লির সুলতানগণ |
পাঠ -১৬ | মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৭ | ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান |
বিষয় | ( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE ) |
পাঠ -১৮ | আমাদের আশেপাশের বাজার |
পাঠ -১৯ | পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন |
পাঠ -২০ | অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা |
পাঠ -২১ | শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব |
পাঠ -২৩ | নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া |
পাঠ -২৪ | গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম |
পাঠ -২৫ | প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার |
(খ) লিঙ্গবৈষম্যের কবলে আমাদের সমাজের অধিকাংশ এখনও নিমজ্জি। -কীভাবে ?
উত্তরঃ আমাদের সমাজ যে এখনও লিঙ্গবৈষম্যের কবলে নিমজ্জিত তার জ্বলন্ত প্রমাণ হল ববিতা ও রফিক উদ্দিনের কাজের এবং মাসিক বেতনের পার্থক্য দিয়ে বুঝা যায়।
ববিতা একজন গৃহ পরিচারিকা। করিম শহরের একটি বাড়িতে মাসিক দুই হাজার টাকা বেতনে কাজ করে। ববিতার কাজ সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত, বারাে ঘণ্টা। সকালের চা তৈরি করা থেকে আরম্ভ করে রান্নাবান্না, বাসন ধােয়া, কাপড় কাচা, ঘর পরিস্কার ইত্যাদি তার কাজ। বারাে ঘণ্টার মধ্যে তাকে সমস্ত কাজগুলাে করতে হয়, না হলে মালিকের গালিগালাজ শুনতে হয়। একদিন সে কাজে না আসতে পারলে, তার সেদিনের বেতন কাটা যায়। বেতনের দুই হাজার টাকা দিয়ে কোনক্রমে তার সংসার চলে।
রফিকউদ্দিন বৃত্তিতে একজন কাঠমিস্ত্রি। তার দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা। রফিকের কাজের সময় সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। দুপুরে ১ ঘণ্টা খাওয়ার ছুটি। মােটের উপর রফিকের কাজের সময় ৭ ঘণ্টা। ফ্ল্যাটের মালিক রফিকের কাজের গােলমাল দেখলেও তাকে বকাবকি বা গালাগালি করে কাজটি ভালভাবে করতে বলেন। এমনকি কাজটি ভাল করে করলে পুরস্কৃত করার কথাও বলেন। নির্ধারিত সময়ের বেশি কাজ করলে রফিক মালিকের কাছ থেকে ঘণ্টা হিসাবে মজুরি নেয়।
সুতরাং এখানে দেখা যাচ্ছে যে একই বাড়িতে পুরুষ ও মহিলার ক্ষেত্রে দুইরকম নিয়ম-কানুন বা ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের সমাজে যে এখনও অধিকাংশ লােক লিঙ্গবৈষম্যে নিমজ্জিত এই ঘটনা দ্বারা তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
(গ) সমাজের প্রগতিতে মহিলাদের ভূমিকা কেন অপরিহার্য, বুঝিয়ে লেখ।
উত্তরঃ একটি দেশের বা সমাজের প্রগতির ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের সমমর্যাদা ও পারস্পরিক সহযােগিতা উন্নতির পথ মসৃণ করে। সেইজন্য দেশ ও দশের কল্যাণে উভয়েই দায়বদ্ধ। কৃষি, শিল্প, কলা, রাজনীতি, পরিষেবা ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই বর্তমানে মহিলারা যথেষ্ট পারদর্শী ভূমিকা পালন করছেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবী সিং পাতিল একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ হিসাবে সমগ্র দেশে স্বীকৃত হন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির শাসনকার্য সুচারুভাবে সম্পন্ন করছেন। মহিলারা শুধু মেধাসম্পন্ন, কষ্টসহিষ্ণু এবং অসাধারণই নন, নিজ আত্মবিশ্বাস ও আত্মবলে বলীয়ান হয়ে মহিলারা সমস্ত বাধা বিপত্তি দূরে ঠেলে নিজ প্রতিভার স্ফুরণ ঘটান। অসমের মামনি রয়সম গােস্বামী একজন বিখ্যাত সমাজসেবী হিসাবে পরিচিত। ভারতের কল্পনা চাওলা মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসাবে সমগ্র পৃথিবীতে পরিচিত। সমাজের প্রগতিতে মহিলাদের ভূমিকা অপরিহার্য বলে অসম রাজ্য সরকার কন্যা সন্তানদের স্বাবলম্বী হওয়ার স্বার্থে ‘মামনি’ প্রকল্প প্রবর্তন করেছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল, কন্যাসন্তানরা যাতে পুত্রসন্তানদের সঙ্গে সমান তালে উন্নতির পথে অগ্রসর হতে পারে। মহিলাদের বাদ দিয়ে সমাজের উন্নতি সম্ভব নয়। আমাদের সমাজটি পুরুষ ও মহিলা নিয়ে গঠিত। সুতরাং মহিলাদের ছাড়া সমাজের প্রগতি বা উন্নতি কিছুতে সম্ভবপর নয়।
প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।
(ক) নারী এবং পুরুষের শ্রমের __________ ছাড়া সমাজের উন্নতি সম্ভব
উত্তরঃ সমমর্যাদা।
(খ) সমাজের __________ পুরুষদের সমান।
উত্তরঃ মহিলারা।
(গ) __________ গণতন্ত্রের এক অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
উত্তরঃ সমতা।
(ঘ) মহিলারাও পুরুষের সমান __________ ও দায়িত্বশীল।
উত্তরঃ দূরদর্শী।
(ঙ) আমাদের সমাজের মেয়েরা ছেলেদের সমান পরিশ্রমী ও __________ ।
উত্তরঃ বুদ্ধিদীপ্ত।
প্রশ্ন ৪। প্রকল্প।
(ক) পাঠে উল্লিখিত অসাধারণ নারীরা ছাড়াও তােমাদের জানা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখা পাঁচজন নারীর বিষয়ে নীচের তালিকা অনুযায়ী একটি প্রকল্প প্রস্তুত করাে।
উত্তরঃ
সংক্ষিপ্ত পরিচয়- ১৯১৭ সনের ১৯ নভেম্বর তারিখে দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন। স্বর্গীয় জওহরলাল নেহেরুর একমাত্র কন্যা।
অবদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ- তিনি ১৯৪২ সনের ২৬ মার্চ ফিরােজ গান্ধীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার দুই ছেলে রাজীব গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। রাজীব গান্ধীর আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয়। ১৯৫৯ সনে তিনি কংগ্রেসের সভানেত্রী হন। তিনি ১৯৬৬ সনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ১৯৭৭ সন পর্যন্ত এবং ১৯৮০ সন থেকে ১৯৮৪ সন পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচয়- আহােম রাজা গদাধর পানির স্ত্রী ছিলেন।
অবদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ- সতীরানি জয়মতি পাতিব্রত্যের পরাকাষ্ঠা পর্শন করে আহােম ইতিহাসে সতীশিরােমণি নামে স্মরণীয় হয়ে আছেন। লরা রাজা গদাপানির সন্ধান না পেয়ে সতী জয়মতীর উপর অনেক অত্যাচার করেছিল এবং তার বেত্রাঘাতের ফলে সতী রানি জয়মতীর মৃত্যু হয়।
উত্তরঃ (ঘ) ঝন্সীর রানি লক্ষ্মীবাই।
সংক্ষিপ্ত পরিচয়- ঝঙ্গীর রানি লক্ষ্মীবাই। রানি লক্ষ্মীবাই ছিলেন লবিধবা, তখন তার বয়স মাত্র বিশ বৎসর।।
অবদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ- সিপাহী বিদ্রোহের সময় রানি লক্ষ্মীবাই নিজে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সৈন্যবাহিনী পরিচালনা করে দুর্গ রক্ষা করছিলেন। ইংরেজরা যখন গােয়ালিয়র আক্রমণ করেছিল, রানি লক্ষ্মীবাই পুরুষের বেশে যুদ্ধ করতে করতে দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দেন।১৮৫৮ সনের ১৭ জুন তার মৃত্যু হয়।
উত্তরঃ (ঙ) মাদার টেরেসা।
সংক্ষিপ্ত পরিচয়- ১৯১০ সনের ২৭ আগস্ট যুগােশ্লাভিয়ার স্কোপজে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মাতা উভয়েই আলবেনিয়ান।
অবদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ- ১৯৪৮ সনে মাদার টেরেসা ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৫০ সনে তিনি মিশনারিজ অব চ্যারিটি গঠন করেন। ১৯৫৪ সনে তিনি মহাতীর্থ কালীঘাটে স্থাপিত করেন নির্মল হৃদয়’ মুমূষু সদন। যেসব অসহায় নিরাশ্রয় নরনারী মৃত্যুপথযাত্রী তারা যাতে শান্তিতে শেষ-নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারে, কিংবা পেতে পারে নব-জীবনের ঠিকানা, সেজন্য এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম। আজ পর্যন্ত ৫০,০০০ হাজার মানুষ এখানে আশ্রয় খাদ্য, শয্যা পেয়েছে।
ভারত সরকার তার শুভকর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘পদ্মশ্রী সম্মান ও ভারতরত্ন’ উপাধি দেন। ১৯৭৯ সনে মাদার টেরেসা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সম্মান নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
উত্তরঃ (চ) ভগিনী নিবেদিতা।
সংক্ষিপ্ত পরিচয় – ১৮৬৭ সনের ২৮ অক্টোবর আয়ারল্যান্ডের ডানগ্যানন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম স্যামুয়েল রিচমণ্ড এবং মাতার নাম মেরী ইজাবেল হ্যামিলটন। বাল্য নাম মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল।
অবদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ – ভগিনী নিবেদিতা স্কুল ও কলেজের শিক্ষা সমাপ্ত করে শিক্ষাদান ব্রত গ্রহণ করেন। ইংল্যান্ডে স্বামী বিবেকানন্দ তাকে শিক্ষা দানের আলাে দেখাইলেন। বিবেকানন্দ তাকে ভিগিনী নিবেদিতা নাম দিয়েছিলেন। ভারতে লাঞ্ছিত মানবতার পূজায় আত্মনিবেদনের জন্য মার্গারেট অর্থাৎ ভগিনী নিবেদিতা ভারতে এসেছিলেন তিনি ভারতের নারী জাতির মুক্তির দূতী, নারীশিক্ষার পথ-প্রদর্শিকা। আমাদের দেশের শিল্প বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক স্বদেশ সেবক সকলেই তার নিকট ঋণী।
উপরের ছবিগুলাে ভালােভাবে পর্যবেক্ষণ করে নীচের প্রশ্নগুলাের উত্তর দাও-
প্রশ্ন ১। ছেলে ও মেয়ের প্রতি নেওয়া যত্নে কী তারতম্য দেখতে পাচ্ছাে ?
উত্তরঃ মায়ের ছেলে ও মেয়ের প্রতি দেওয়া যত্নে পার্থক্য দেখা যায়। মা ছেলেকে খাওয়ানাের সময় পাখা দিয়ে হাওয়া বা বাতাস করছেন এবং সামনে বসে খাওয়াচ্ছে আর মেয়েটি দূরে বসে একাই খাচ্ছে। বাবা-মা ভাবেন যে তাদের ছেলেটি লেখাপড়া করে বড় হয়ে অর্থ উপার্জন করবে এবং পারিবারিক খরচ সামলাবে। অন্যদিকে, মেয়েটিকে অপরের ঘরে বিয়ে দিতে হবে। তাই বাবা-মা ছেলের প্রতি বেশি যত্ন নেয়।
প্রশ্ন ২। ছেলে ও মেয়ের কাজকর্মে কোনাে পার্থক্য দেখতে পাচ্ছাে কী ?
উত্তরঃ ছেলে লেখা-পড়া করছে অপরদিকে মেয়ে ঘর ঝাড়ু দিতেছে।
প্রশ্ন ৩। তােমাদের ভাইবােনেদের মধ্যে এরকম পার্থক্য থাকা উচিত বলে মনে করাে কী ?
উত্তরঃ আমাদের ভাই-বােনেদের মধ্যে এইরকম পার্থক্য থাকা উচিত বলে মনে করি না। আমরা ভাই-বােন সমতা রক্ষা করে চলি।
প্রশ্ন ৪। সীমাদেবীর করা ঘরােয়া কাজগুলাে থেকে বাড়ির কী কী সুবিধা হয় ?
উত্তরঃ সীমাদেবীর করা ঘরােয়া কাজগুলাে থেকে বাড়ির বহু ধরনের সুবিধা হয়। যেমন- বাড়ির এই কাজগুলাে অন্য লােক দ্বারা করাতে হলে তাকে থাকা-খাওয়া, বেতন ইত্যাদি দিতে হত। সীমাদেবীর স্বামী সকাল ৮ টায় অফিসে যান, তাঁকে সকালে রান্না করে খেতে দিতে হয়। সীমাদেবীর শাশুড়ি বিভিন্ন রােগে আক্রান্ত, সীমাদেবী তাকে দেখাশােনা করেন, খাওয়ান। সীমাদেবীই ছেলে-মেয়েদের সেবা, লেখাপড়া ইত্যাদির তত্ত্বাবধান করেন। বাড়ির রান্না-বান্না, কাপড় কাচা, ঘর পরিস্কার করা ইত্যাদি সমস্ত কাজই সীমাদেবী একা করছেন। সীমাদেবী একদিন কাজ করতে না পারলে ঘরই অচল হয়ে পড়ে।
প্ৰশ ৫। মা কোনাে কাজ করেন না বলে মধুজা কেন বলল ?
উত্তরঃ মধুজা মায়ের কাজের কোন মূল্য দিতে চায় না। কারণ মায়ের কাজের বিনিময়ে কোন টাকা-পয়সা উপার্জন হয় না। মা ঘরের কাজের বিনিময়ে টাকা-পয়সা পান না। মা বাড়ির কাজগুলাে নিজের দায়িত্ব হিসাবে করেন।
প্রশ্ন ৬। তােমাদের বাড়িতে ঘরােয়া কাজগুলাে কে করে ?
উত্তরঃ আমাদের বাড়িতে ঘরােয়া কাজগুলাে মা করেন।
প্রশ্ন ৭। সুশীলবাবু তার চাকরির বিনিময়ে কী পান ?
উত্তরঃ সুশীলবাবু তার চাকরির বিনিময়ে টাকা পান যার দ্বারা তার সংসারের যাবতীয় খরচ চলে।
প্রশ্ন ৮। সীমাদেবী ঘরােয়া কাজকর্মের বিনিময়ে কী পান ?
উত্তরঃ সীমাদেবী ঘরােয়া কাজকর্মের বিনিময়ে টাকা-পয়সা কিছুই পান কিন্তু মানসিক শান্তি পান। কারণ এই কাজগুলাে তার নিজের পরিবারের।
প্রশ্ন ৯। ঘরের কাজ এবং বাইরের কাজের মধ্যে পার্থক্য কী ?
উত্তরঃ ঘরের কাজ নিজের কাজ বলে টাকা-পয়সা পাওয়া যায় না। বাইরের কাজ পরের কাজ বলে টাকা-পয়সা পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ১০। তােমাদের ঘরােয়া কাজকর্মের একটি তালিকা প্রস্তুত করাে।
উত্তরঃ আমাদের ঘরােয়া কাজকর্মগুলাে হল-দৈনিক বাজারের মাছ, মাংস, ডিম, শাকসবজি, ফল-মূল ইত্যাদি ক্রয় করা। এই কাজগুলাে বাবা করেন, তাছাড়া দোকান থেকে চাল, ডাল, তেল, মশলা আনা ইত্যাদি কাজগুলােও বাবা করে থাকেন।
মা ঘরের রান্না-বান্না, ঘর ঝাড় দেওয়া, কাপড়-চোপড় রৌদ্রে দেওয়া ঘরে আনা, বাড়ি-ঘর পরিস্কার ইত্যাদি কাজগুলাে করে থাকেন। বাসনপত্র ধােওয়া, ঘরমােছ, কাপড় ধােয়ার জন্য কাজের লােক অর্থাৎ আয়া আছে।
প্রশ্ন ১১। তােমাদের বাড়ির প্রধান মহিলা সদস্য যিনি ঘরের
কাজকর্মগুলাে সামলান, তিনি তা না করলে ঘরের পরিবেশটি কেমন হত ? একটি করে টীকা লেখাে।
উত্তরঃ আমাদের বাড়ির প্রধান মহিলা সদস্যা মা। বাবা সকাল ৯টায় অফিসের কাজে বের হয়ে যান এবং রাত্রি ৭/৮টার সময় ঘরে ফেরেন। মা সারাদিন ঘরের কাজকর্মের দায়িত্বগুলাে সামলান। মা বৃদ্ধা ঠাকুরমাকে দেখাশােনা করেন, খাওয়ান, আমাদের ভাইবোেনদের লেখাপড়া ও খাওয়ানাে ইত্যাদি কাজগুলাে করেন। তাছাড়া রান্না-বান্না, ঘর ঝাড় দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলােও মা করেন। মা যদি ঘরের কাজকর্মগুলাে না করতেন, তাহলে ঘরে শৃঙ্খলা বলতে কিছুই থাকত না, ঝগড়া-বিবাদ হত, ঘরের পরিবেশটি নষ্ট হয়ে যেত।
ওপরের উদাত্রণ দুটির ভিত্তিতে নীচের প্রশ্নগুলাের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করাে-
প্রশ্ন ১২। ববিতা কী কাজ করেন এবং তার মাসিক আয় কত ?
উত্তরঃ ববিতা একজন গৃহ পরিচারিকা। করিমগঞ্জ শহরের একটি বাড়িতে সে কাজ করে। ববিতার কাজ সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টা, বারাে ঘণ্টা। সকালের চা বানানাে থেকে শুরু করে রান্না-বান্না, বাসন ধােয়া, কাপড় কাচা, ঘর পরিস্কার ইত্যাদি তার কাজ। বারাে ঘণ্টার মধ্যে তাকে সমস্ত কাজগুলাে করতে হবে, নাহলে মালিকের গালিগালাজ শুনতে হবে। তার মাসিক বেতন দু-হাজার টাকা।
প্রশ্ন ১৩। রফিকউদ্দিনের কাজের মজুরি বেশি কেন ?
উত্তরঃ রফিকউদ্দিনের কাজের মজুরি বেশি হওয়ার কারণ হল সে কাঠের কাজে পারদর্শী। সে আগে এই কাজগুলাে যেমন-ঘরের দরজা, জানালা তৈরি করা, এগুলাের মাপজোখ, ডিজাইন ইত্যাদি সবকিছু শিখে নিয়েছে। এইগুলাে অন্য লোেক দিয়ে করানাে সম্ভব নয়। কাঠের কাজ কাঠের মিস্ত্রী। ছাড়া অন্যকোন লােক করতে পারবে না। কিন্তু ঘরের বাসনপত্র ধােওয়া, ঘর ঝাড় দেওয়া ইত্যাদি সবাই কমবেশি করতে পারবে। যেমন- রাজমিস্ত্রীর দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা আর শ্রমিকের মজুরি ২০০ টাকা। অথচ রাজমিস্ত্রীর থেকে শ্রমিকের পরিশ্রম অনেক বেশি। যে যে কাজে পারদর্শী তার চাহিদা সবসময় বেশি হয়।
প্রশ্ন ১৪। ববিতার কাজগুলাে কষ্টকর নয় কি ?
উত্তরঃ ববিতার কাজগুলােও কষ্টকর। কিন্তু পেটের দায়ে তাকে এই কষ্টকর কাজগুলাে কম.টাকায় করতে হয়, যেহেতু সে হাতের কোন কাজে পারদর্শী নয়।
প্রশ্ন ১৫। ববিতার বিশ্রামের প্রয়ােজন নেই কি ?
উত্তরঃ ববিতার বিশ্রামের প্রয়ােজন আছে। এখানে দেখা যায় যে বাড়ির মালিকের মানবতা বলতে কিছুই নেই। তাছাড়া এখানে লিঙ্গবৈষম্যের পার্থক্য দেখা যায়। আমাদের এই সমাজে মহিলাদের কাজের মূল্য প্রায় দেওয়াই হয় না। যেমন সীমাদেবীর সারাদিনের পরিশ্রমের কাজগুলােকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই।
প্রশ্ন ১৬। রফিকউদ্দিন এবং ববিতার কাজের মূল্য কে নির্ধারণ করে ?
উত্তরঃ রফিকউদ্দিন এবং ববিতার কাজের মূল্য নির্ধারণ করে যে ফ্ল্যাটের মালিক অর্থাৎ যার অধীনে তারা কাজ করে।
প্রশ্ন ১৭। ববিতা ও রফিকউদ্দিনের মজুরির মধ্যে এত ব্যবধান থাকা উচিত কি ? যুক্তি দেখিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা প্রস্তুত করাে।
উত্তরঃ ববিতা ও রফিকউদ্দিনের মজুরির মধ্যে এত ব্যবধান বা পার্থক্য থাকা উচিত নয়। কারণ সমাজে পুরুষ-মহিলা সবার সমান অধিকার। এই সমাজে মহিলাদের অবদান কম নয়। মহিলারা ঘরের সমস্ত কাজকর্ম পরিচালনা করেন। এখানে ববিতা রফিকউদ্দিনের থেকে পাঁচ ঘণ্টা বেশি পরিশ্রম করেও মাসে ২০০০ টাকা বেতন পায় আর রফিকউদ্দিন পায় ৯০০০ টাকা। রফিকউদ্দিনের দিনে একঘণ্টা বিশ্রাম আছে কিন্তু ববিতার কোন বিশ্রাম নাই। রফিকউদ্দিন পুরুষ মানুষ হওয়ায় তার মজুরি বেশি, ববিতা মেয়ে মানুষ হওয়ায় তার মজুরি কম। এটা ববিতার প্রতি উচিত ব্যবহার করা হয় নি। ববিতা যদি তার কাজের উচিত মূল্য পেতাে তাহলে তার কর্মোৎসাহ বাড়ত এবং পারিবারিক অবস্থারও উন্নতি হত। আমাদের সমাজের এই লিঙ্গবৈষম্যের পরিবর্তন বা দূর না হলে সামাজিক উন্নতি হবে না।
প্রশ্ন ১৮। প্রতিভা সিং পাতিল কোন ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিচক্ষণ ?
উত্তরঃ শ্রীমতী প্রতিভা সিং পাতিল একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ সািবে সমগ্র দেশে স্বীকৃত হন।
প্রশ্ন ১৯। মামনি রয়সম গােস্বামী কোন সনে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন ?
উত্তরঃ মামনি রয়সম গােস্বামী ২০০২ সনে ভারতীয় সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন।
প্রশ্ন ২০। কল্পনা চাওলার কর্মজীবন কীভাবে শুরু হয়েছিল ?
উত্তরঃ কল্পনা চাওলা ১৯৯৫ সনে আমেরিকার প্রসিদ্ধ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসাবে কর্মজীবন আরম্ভ করেছিলেন।
প্রশ্ন ২১। বাচেন্দ্র পাল কোন্ সালে মাউন্ট এভারেষ্ট জয় করেছিলেন ?
উত্তরঃ বাচেন্দ্র পাল ১৯৮৪ সালের ২৩ মে মাউন্ট এভারেষ্ট জয় করেছিলেন।
প্রশ্ন ২২। আলােচিত মহিলাদের অবদান আমাদের সমাজকে কীভাবে অনুপ্রাণিত করেছে ? সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ বর্তমানে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তের মহিলারা নিজ নিজ প্রতিভার পরিচয় দিতে এগিয়ে আসছেন। সমাজের সবক্ষেত্রেই এখন মহিলারা নিজের সক্ষমতার পরিচয় তুলে ধরছেন। আমাদের দেশের লক্ষ্মী লাকরা রেলইঞ্জিন চালিয়েছেন। সরলা ঠাকরাল এরােপ্লেন চালিয়ে নজির গড়েছেন। ভারতের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র মায়ানমারের আং-সাং-সু-কিরি নিজ দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার যুগান্তকারী আন্দোলন পৃথিবীর সকল গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। উত্তর-পূর্বের অন্যতম রাজ্য মণিপুরের একজন সাহসী প্রতিবাদী নারীর নাম ইরম শর্মিলা চানু, তিনি ২০০০ সাল হতে নিজের রাজ্যের শান্তি ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দীর্ঘ আন্দোলন ও আমরণ অনশন রত। বর্তমানে কৃষি, শিল্প, কলা, রাজনীতি, পরিষেবা ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই মহিলারা যথেষ্ট পারদর্শী ভূমিকা পালন করছেন। উপরে উল্লেখিত মহিলারা শুধু সেবাসম্পন্ন, কষ্টসহিষ্ণু ও অসাধারণই নন, নিজ আত্মবিশ্বাস ও আত্মবলে বলীয়ান এই মহিলারা সমস্ত বাধা-বিপত্তি দূরে ঠেলে নিজ প্রতিভার স্ফুরণ ঘটিয়েছেন।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। বর্তমানে ভারতের রাষ্ট্রপতি কে ?
উত্তরঃ প্রতিভা দেবী সিং পাতিল।
প্রশ্ন ২। প্রতিভা দেবী সিং পাতিল কোন সনে ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হন ?
উত্তরঃ ২০০৭ সনে।
প্রশ্ন ৩। মামনি রয়সম গােস্বামী কি হিসাবে বিশেষ পরিচিত ?
উত্তরঃ মামনি রয়সম গােস্বামী একজন সমাজসেবী হিসাবে বিশেষ পরিচিত।
প্রশ্ন ৪। মামনি রয়সম গােস্বামীর সাহিত্যকীর্তি কী পুরস্কার অর্জন করতে সক্ষম হয় ?
উত্তরঃ মামনি রয়সম গােস্বামীর সাহিত্যকীর্তি ২০০২ সালে ভারতীয় সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়।
প্রশ্ন ৫। এভারেষ্ট শৃঙ্গ বিজয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে কার নাম চিরদিনের জন্য সােনার অক্ষরে লেখা থাকবে ?
উত্তরঃ বাচেন্দ্র পালের।
প্রশ্ন ৬। কল্পনা চাওলার কিভাবে মৃত্যু হয় ?
উত্তরঃ ২০০৩ সনের ১৬ জানুয়ারী কল্পনা চাওলা দ্বিতীয়বার মহাকাশ যাত্রায় সামিল হন। যাত্রায় কল্পনা চাওলা অতি নিপুণতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে ফিরে আসার পথে পৃথিবীতে অবতরণ করার আগের মুহূর্তে মহাকাশযানটিতে যান্ত্রিক গােলযােগ ঘটায় এটি ধবংসপ্রাপ্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় সকলের সঙ্গে কল্পনা চাওলার মৃত্যু হয়।
প্রশ্ন ৭। ববিতার মাসিক বেতন কত ?
উত্তরঃ ববিতার মাসিক বেতন দু-হাজার টাকা।
প্রশ্ন ৮। রফিকউদ্দিনের দৈনিক মজুরি কত ?
উত্তরঃ রফিকউদ্দিনের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা।
প্রশ্ন ৯। ববিতা কোথায় কাজ করত ?
উত্তরঃ ববিতা করিমগঞ্জ শহরের একটি বাড়িতে কাজ করত।
প্রশ্ন ১০। প্রতিভা দেবী সিং পাতিল কোন্ কোন্ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ?
উত্তরঃ অর্থনীতি ও রাজনীতি বিজ্ঞান।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। মামনি রয়সম গােস্বামী সম্বন্ধে যা জান সংক্ষেপে লেখাে।
উত্তরঃ ১৯৪২ সনের ১৪ নভে”র মামনি রয়সম গােস্বামী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শিলং-এর পাইনমাউন্ট স্কুলে শিক্ষাজীবনের প্রথম পাঠ আরম্ভ করেন। ১৩ বৎসর বয়স হতে তিনি সাহিত্য সাধনায় ব্রতী হন। তিনি অসমিয়া সাহিত্যের একজন বিশিষ্ট কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, প্রাবন্ধিক এবং সমাজসেবী হিসাবে বিশেষ, পরিচিত। অসমে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়াতেও তাঁর অবদান উল্লেখযােগ্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অসমিয়া বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের আসন অলঙ্কৃত করা মামনি ১৯৮২ সনে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর সাহিত্যকীর্তি ২০০২ সনে ভারতীয় সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানপীঠ পুরস্কার অর্জন করতে সক্ষম হয়। ২০০৮ সনে ভারতীয় সাহিত্য সংস্কৃতি ও সমাজে তার বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে ইউরােপীয় সাহিত্যের সম্মানীয় প্রিন্সিপাল প্রিন্স ক্লজ লরেট পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রশ্ন ২। কল্পনা চাওলার সম্পর্কে যা জন সংক্ষেপে বর্ণনা করাে।
উত্তরঃ ১৯৬১ সনে হরিয়ানার কার্নাল জেলায় কল্পনা চাওলার জন্ম হয়।
কল্পনা নিজের জন্মস্থানেই বিদ্যালয়ে শিক্ষা আরম্ভ করার পর পাঞ্জাবের অভিযান্ত্রিক মহাবিদ্যালয় হতে বৈমানিক অভিযন্তা হিসাবে ডিগ্রি লাভ করেন। কল্পনা উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা যাত্রা করেন। ১৯৮৮ সনে তিনি আমেরিকার কলােরাডাে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহাকাশ অভিযান্ত্রিকতায় ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। নিজ মেধার বলে ১৯৯৫ সনে কল্পনা আমেরিকার প্রসিদ্ধ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসাবে কাজে যোগ দেন। খুব কম সময়ে নিজের কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে ১৯৯৭ সনে কল্পনা প্রথমবার মহাকাশচারী হিসাবে কাজে যােগ দেন। ১৯৯৫ সনে কল্পনা আমেরিকার প্রসিদ্ধ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানী হিসাবে কাজে যােগ দেন। ১৯৯৭ সনে কল্পনা প্রথমবার মহাকাশচারী হিসাবে মহাকাশে যাত্রা করেন এবং সফলতার সঙ্গে নিজ দায়িত্ব পালন করে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। ২০০৩ সনে ১৬ জানুয়ারী তিনি পুনরায় মহাকাশযাত্রায় শামিল হন। সেই যাত্রায়ও কল্পনা নিজের দায়িত্ব পালন করে ফিরে আসার পথে পৃথিবীতে অবতরণ করার আগের মুহূর্তে মহাকাশ যানটিতে যান্ত্রিক গােলযােগ ঘটায় এটি ধবংসপ্রাপ্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় সকলের সঙ্গে কল্পনা চাওলারও মৃত্যু হয়। কল্পনার মতাে একজন বিদূষী মহিলার এই অকাল মৃত্যু সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।
১। পরিবার ও সমাজ ভাবে যে মেয়েদের থেকে __________ গুরুত্ব অনেক বেশি।
উত্তরঃ ছেলেদের।
২। ববিতা একজন গৃহ __________।
উত্তরঃ পরিচারিকা।
৩। রফিকউদ্দিন বৃত্তিতে একজন __________।
উত্তরঃ কাঠমিস্ত্রি।
৪। পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিভা দেবী সিং পাতিল __________ এবং রাজনীতি বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
উত্তরঃ অর্থনীতি।
৫। __________ ১৯৮২ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।
উত্তরঃ মামনি রয়সম গােস্বামী।
৬। কলেজ জীবনে __________ শুটিং-এ বাচেন্দ্র পাল প্রথম পুরস্কার লাভ করেছিলেন।
উত্তরঃ রাইফেল।
৭। ভারতের সংবিধানে __________ অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
উত্তরঃ সমতার।
৮। পুরুষ ও মহিলাদের __________ ও পারস্পরিক সহযােগিতা উন্নতির পথ মসৃণ করে ?
উত্তরঃ সমমর্যাদা।
৯। অসম রাজ্য সরকারও কন্যা সন্তানদের স্বাবলম্বী হওয়ার স্বার্থে __________ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
উত্তরঃ মামনি’।
১০। সরলা ঠাকরাল __________ চালিয়ে নজির গড়েছেন
উত্তরঃ এরােপ্লেন।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.