SEBA Class 7 Social Science Chapter 7 অসমের সম্পদ

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 7 অসমের সম্পদ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 7 অসমের সম্পদ Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 7 অসমের সম্পদ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 7 অসমের সম্পদ in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Social Science Chapter 7 অসমের সম্পদ

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 7 অসমের সম্পদ Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 7 অসমের সম্পদ Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

অসমের সম্পদ

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখাে।

(ক) কাঠবাঁশের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা দুটো শিল্পোদ্যোগের নাম লেখাে।

উত্তরঃ দিয়াশলাই শিল্প ও কাগজ কল ।

(খ) অসমের দুটো ব্যাঘ্র প্রকল্পের নাম লেখাে।

উত্তরঃ নামেরি, মানস।

(গ) অসমের কে জেলায় সর্বাধিক লােক বাস করে ?

উত্তরঃ নগাঁও জেলায়।

(ঘ) বর্তমানে অসমে মােট শিক্ষিতের হার কত ?

উত্তরঃ ৭৩১৮ শতাংশ।

(ঙ) অসমের মানুষের প্রধান জীবিকা কী ?

উত্তরঃ কৃষি।

প্রশ্ন ২। শুদ্ধ অশুদ্ধ লেখাে।

(ক) অসমে ২০০ সেন্টিমিটার থেকে অধিক বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চলের উদ্ভিদ সাধারণত চিরসবুজ।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(খ) শিমূল গাছ পর্ণমােচী উদ্ভিদশ্রেণির অন্তর্গত।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(গ) বিভিন্ন বনজ ও খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ কাৰ্বি আংলং জেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব সর্বাধিক।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঘ) কপিলী বরাক নদীর একটি উপনদী।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঙ) অসমে মহিলার চেয়ে পুরুষের শিক্ষিতের হার কম।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

প্রশ্ন ৩। উদ্ভিদ থেকে আমরা কী কী পাই তার একটি তালিকা তৈরি করাে।

উত্তরঃ উদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন কৃষিজ সম্পদ, যেমন- ধান, পাট, গম, আখ, জোয়ার, বাজরা, ভূট্টা ইত্যাদি পাওয়া যায়। এছাড়া রবার, কফি, চা ইত্যাদি পাওয়া যায়।

উদ্ভিদকেন্দ্রিক কতকগুলাে শিল্প গড়ে উঠেছে, যেমন- দিয়াশলাই কারখানা, প্লাইউড় কারখানা, বেত ও বাঁশের বিভিন্ন কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্প গড়ে উঠেছে।

উদ্ভিদ থেকে আমরা বিভিন্ন ঔষধি, শাক-সবজি, আমলকী, জলপাই, আম, কাঁঠাল, আপেল, কমলালেবু, কলা, পান, সুপারি ইত্যাদি পাই। এছাড়া শিমূল ও কার্পাস তুলা পাওয়া যায়।

উদ্ভিদ থেকেই মূল্যবান কাঠ পাওয়া যায়, যেমন- শাল, সেগুন, কনসােম, তিতাচাপ, গামারি ইত্যাদি। এগুলাে দ্বারা বিভিন্ন আসবাবপত্র, ঘর-বাড়ি, কাঠের পুল ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয়।

প্রশ্ন ৪। বন্যপ্রাণীগুলাের জন্য কেন অভয়ারণ্য তৈরি করতে হল- (৫০টি শব্দের ভেতর লেখাে।)

উত্তরঃ চোরাশিকারীর হাতে প্রতিবৎসরই প্রচুর পরিমাণে হাতি, গণ্ডার ও নানাপ্রকারের পশু নিধন হচ্ছে। এদেরকে রক্ষণাবেক্ষণ না দিলে ধীরে ধীরে এসব পশু নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এজন্য প্রাণীগুলােকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অভয়ারণ্যের প্রয়ােজন। এ সমস্ত অভয়ারণ্যে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। অভয়ারণ্যে প্রাণীগুলাে সুরক্ষিত থাকে। অন্যদিকে এরা বংশবৃদ্ধির সুবিধা পায়। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, বাঘ সংরক্ষণের জন্য নামেরি ও মানস নামে দুটো ব্যাঘ্র প্রকল্প আছে যেখানে ব্যাঘ্র সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে।

বিষয়সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY )
পাঠ -১ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা
পাঠ -২পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ
পাঠ -৩পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন
পাঠ -৪আমাদের পরিবেশ
পাঠ -৫মানবসৃষ্ট পরিবেশ
পাঠ -৬সম্পদ
পাঠ -৭অসমের সম্পদ
পাঠ -৮ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল
পাঠ -৯ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা
বিষয়( ইতিহাস HISTORY )
পাঠ -১০মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১১গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান
পাঠ -১২গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ
পাঠ -১৩ঐতিহাসিক অসম
পাঠ -১৪মধ্যযুগের ভারতবর্ষ
পাঠ -১৫দিল্লির সুলতানগণ
পাঠ -১৬মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ
পাঠ -১৭ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান
বিষয়( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE )
পাঠ -১৮আমাদের আশেপাশের বাজার
পাঠ -১৯পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন
পাঠ -২০অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা
পাঠ -২১শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য
পাঠ -২২গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব
পাঠ -২৩নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া
পাঠ -২৪গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম
পাঠ -২৫প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার

প্রশ্ন ৫। অসমে খনিজ তেল ও কয়লা খনি থকা জায়গাগুলাের নাম লেখাে।

উত্তরঃ খনিজ তেল থাকা স্থান- নাহারকাটিয়া, হুথিজান, মরান, রুদ্রসাগর, গেলেকী, বরহােলা, লাকুয়া, দিহিং উপত্যকা, ডিগবয় ইত্যাদি।

কয়লা থাকা স্থান- ডিব্ৰুগড় জেলার দক্ষিণাংশে জয়পুর-লেখাপানি, লিডাে, বরগােলাই, নামডাং, টিপং, শিলভেটা, লংলৈ, শিঙিমারি, মাকুম, মাঘেরিটা, নাফুক, নাগিনিমরা ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬। ভূ-তল জলের ব্যবহার সম্পর্কে প্রায় ৫০টি শব্দের ভেতরে লেখাে।

উত্তরঃ ভূ-তল জলরাশি অসমকে সজীব করে রাখার সাথে সাথে মানুষের দৈনন্দিন ব্যবহারেও কাজে লাগছে। অসম ভূ-তল জলে অতি সমৃদ্ধ। অসম নদীমাতৃক দেশ। নিম্নাঞ্চলগুলােতে প্রতিবৎসরই জল জমে থাকে এবং তার কিছু জল ভূ-গর্ভেসঞ্চিত হয়। ভূ-গর্ভে সঞ্চি ত জল মানুষ পানীয় জল, জলসেচ ও ঔদোগিক কাজে ব্যবহার করছে। ভূ-গর্ভের জল ব্যবহার করে কৃষিক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তন আনা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ভূ-গর্ভের জল পানীয় জল হিসেবে ব্যবহারের জন্য কুপ বা নলকূপ ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৭। অসমের একটি নকশা এঁকে পাঠের মানচিত্রের সাহায্যে নীচের জায়গাগুলাে বসাও।

(ক) ৩ টি খনিজ তেলের খনি।

(খ) ৩ টি কয়লা খনি।

(গ) ২ টি তেল শােধনাগার।

(ঘ) চুনাপাথর পাওয়া যায় এমন একটি জায়গা।

উত্তরঃ নিজে কর।

প্রশ্ন ৮। অসমের একটি নকসা অঙ্কন করে পাঠে প্রদত্ত মানচিত্রের সাহয্যে নীচেরগুলাে বসাও।

(ক) সােবনশিরি, পাগলাদিয়া, দিখৌ, ধনশিরি, জাটিঙ্গা, ধলেশ্বরী উপনদী।

(খ) কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান, হােললাংপার গিবন অভয়ারণ্য।

(গ) তারাবিল, শিবসাগর পুকুর।

(ঘ) একটি নদী বন্দর।

উত্তরঃ নিজে কর।

প্রশ্ন ৯। শিক্ষককে জিজ্ঞেস করে ২০০৯ সনে গ্রহণ করা শিশুর শিক্ষার অধিকার আইন সম্পর্কে ১০০-২০০ শব্দের ভেতরে একটি রচনা লেখাে।

উত্তরঃ বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে শিশুদের শিক্ষার অধিকার আইনটি ২০০৯ সনে গৃহীত হয়েছে এবং ২০১০ সনের ১লা এপ্রিল কার্যকর করা হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে যে, ৬ থেকে ১৪ বৎসর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ৮ বৎসর প্রাথমিক শিক্ষা দিতে হবে এবং বয়স অনুপাতে উপযুক্ত শ্রেণিতে ঐ বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী অঞ্চলের শিশুদের ভর্তি করতে হবে। এই ৮ বৎসর পড়ার জন্য যে ব্যয় হবে এবং তাদের নাম ভর্তি ও নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া এবং ৮ বৎসর পাঠক্রম সমাপ্ত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বহন করতে হবে। এমনকি বিদ্যালয়ের নাম ভর্তিকরণের প্রক্রিয়া এবং বিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য পরীক্ষাও যদি শেষ হয়ে থাকে তবুও যদি কেউ আসে তাদেরকে ভর্তি করে নিতে হবে, কোন শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়া চলবে না।

ব্যক্তিগত খণ্ডের বিদ্যালয়গুলােতেও দুর্বল ও অনগ্রসর শ্রেণির শিশুদের জন্য ২৫% আসন সংরক্ষিত রাখতে হবে এবং ন্যূনতম সাধারণ নির্বাচন। প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। এদের অন্যান্য শ্রেণির শিশুদের সম মর্যাদা দিতে হবে।

তিন বৎসর সময়কালের মধ্যে সরকারের শিশুদের অধিকার আইনটিকে কার্যকরী করতে হবে অন্যথায় বিদ্যালয়টিকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে, তথাপিও যদি না মানে তবে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা জরিমান দিতে হবে। ভারতীয় সংবিধানের ৩নং অধ্যায়ের ২১নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে শিশুদের শিক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে পরিগণিত করতে হবে। তাই ২০০৯ সনে ভারতবর্ষের সাথে অসমেও শিশু-শিক্ষার আইনের অধীনে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। তােমার অঞ্চলের তিন রকম চিরসবুজ বৃক্ষের নাম লেখাে।

উত্তরঃ হলং, হলক, নাহর।

প্রশ্ন ২। তােমার অঞ্চলের তিনটি পর্ণমােচী বৃক্ষের নাম লেখাে।

উত্তরঃ শাল, সেগুন, গামারি।

প্রশ্ন ৩। উদ্ভিদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য তিনটি উপায় লেখাে।

উত্তরঃ (ক) রাষ্ট্রীয় উদ্যান নির্মাণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প নির্মাণ।

(খ) অভয়ারণ্যের সংরক্ষণ দেওয়া এবং নতুন নতুন গাছ লাগানাে।

(গ) কিছু সংখ্যক বনাঞ্চলকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল হিসেবে ঘােষণা করা যেখানে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ।

প্রশ্ন ৪। অসমের খনিজ তেল পাওয়া যায় এমন পাঁচটি জায়গার নাম লেখাে।

উত্তরঃ নাহরকাটিয়া, হুগ্রিজান, মরাণ, রুদ্রসাগর, গেলেকী।

প্রশ্ন ৫। অসমে কয়লা খনি আছেএমন পাঁচটি জায়গার নাম লেখাে।

উত্তরঃ মাকুম, লিচু, মাৰ্ঘোরিটা, জয়পুর, নাফুক।

প্রশ্ন ৬। খনিজ সম্পদে অধিক সমৃদ্ধ অসমের পাহাড়ি জেলাটির নাম কী ?

উত্তরঃ কার্বি পাহাড় অঞ্চল।

প্রশ্ন ৭। ব্রহ্মপুত্রের দশটি উপনদীর নাম লেখাে৷

উত্তরঃ সােবনশিরি, জীয়াভরালী, জীয়াধনশিরি, পুঠিমারি, পাগলাদিয়া, মানস, দিখৌ, ধনশিরি, কপিলী, কৃষ্ণাই।

প্রশ্ন ৮। বরাকের তিনটি উপনদীর নাম লেখাে।

উত্তরঃ জিরি, সােনাই, ধলেশ্বরী।

প্রশ্ন ৯। ভূ-তল জল আহরণ করার দুটি ব্যবস্থা লেখাে।

উত্তরঃ কূপ এবং নলকূপ।

প্রশ্ন ১০। অসমের মােট জনসংখ্যা কত ?

উত্তরঃ ৩,১১,৬৯,২৭২ জন।

প্রশ্ন ১১। সর্বাধিক জনসংখ্যার জেলা কোনটি ?

উত্তরঃ নগাঁও।

প্রশ্ন ১২। সর্বনিম্ন জনসংখ্যার জেলা কোনটি ?

উত্তরঃ ডিমা-হাসাও।

প্রশ্ন ১৩। সর্বাধিক জনসংখ্যার ঘনত্বের জেলা কোনটি ?

উত্তরঃ কামরূপ (মহাঃ)।

প্রশ্ন ১৪। সর্বাধিক শিক্ষিত লোেক থাকা জেলা কোনটি ?

উত্তরঃ কামরূপ (মহাঃ)।

প্রশ্ন ১৫। অসমে মহিলা শিক্ষিতের হার কত ?

উত্তরঃ ৬৭২৭ শতাংশ।

প্রশ্ন ১৬। মানুষ প্রধানত কিসের ওপর নির্ভরশীল ?

উত্তরঃ প্রকৃতির ওপর।

প্রশ্ন ১৭। অসমকে প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ একটি রাজ্য বলা হয় কেন ?

উত্তরঃ অসমকে প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ বলা হয় কারণ অসম উর্বর ভূমি, বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ, জলাশয় ও প্রাণীকুল এবং ভূ-গর্ভের খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ একটি রাজ্য।

প্রশ্ন ১৮। অসমে মােট জমির কত শতাংশ অরণ্যে বেষ্টিত ?

উত্তরঃ ২০.৬ শতাংশ।

প্রশ্ন ১৯। চির সবুজ উদ্ভিদ কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সব গাছের পাতা বছরের কোন সময় একই সঙ্গে সব ঝরে ভয় না। তাই এদের চিরহরিৎ বা চিরসবুজ উদ্ভিদ বলা হয়। যেমন- শিশু, আবলুস, মেহগনি, রবার, গর্জন, খয়ের ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২০। চিরসবুজ উদ্ভিদের জন্য কমপক্ষে কি পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়ােজন ?

উত্তরঃ ২০০ সেন্টিমিটার।

প্রশ্ন ২১। পর্ণমােচী উদ্ভিদ কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সকল গাছের পাতা শীতকাল ও বসন্তকালে ঝরে পড়ে যায় সেগুলােকে পর্ণমােচী উদ্ভিদ বলে। যেমন- শাল, সেগুন, গামারি, শিমূল ইত্যাদি। ১০০ থেকে ২০০ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চলে এধরনের উদ্ভিদ পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ২২। অসমের নদী-উপনদী অঞ্চলের দুপারে কি কি ধরমের উদ্ভিদ দেখা যায় ?

উত্তরঃ শিশু, শিমূল, কদম, করৈ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৩। অসমের বনাঞ্চলে কি কি ধরনের বন্যপ্রাণী দেখা যায় ?

উত্তরঃ গণ্ডার, হাতি, বাঘ, বন্যমহিষ, ভালুক, শূকর, বিভিন্ন প্রকারের বাঁদর ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৪। অসমের বনাঞ্চলগুলােকে কি কি ভাগে ভাগ করা হয় ?

উত্তরঃ (ক) সংরক্ষিত বনাঞ্চল। 

(খ) অভয়ারণ্য। 

(গ) রাষ্ট্রীয় উদ্যান।

প্রশ্ন ২৫। অসমের কয়েকটি বিরল প্রজাতির প্রাণীর নাম লেখাে৷

উত্তরঃ হলক, নলশূকর, সােনালি বাঁদর এবং রাজহাঁস।

প্রশ্ন ২৬। কাগজকল থাকা কয়েকটি স্থানের নাম লেখাে।

উত্তরঃ জাগীরােড, যােগীঘােপা এবং পাঁচগ্রাম।

প্রশ্ন ২৭। দ্রুতগতিতে বন্যপ্রাণী কমে যাওয়ার কারণ কি ?

উত্তরঃ যেমনভাবে খুশি বন্যভূমি ধবংস করে কৃষিকাজ, বাসস্থান নির্মাণ, শিল্পোদ্যোগ স্থাপন, রেলপথ ও রাষ্ট্রীয় সড়ক নির্মাণ ইত্যাদির জন্য অসমের বনভূমির পরিমাণ দ্রুতগতিতে কমিয়ে দিচ্ছে। ফলে বন্যপ্রাণীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।

প্রশ্ন ২৮ বনানী ধ্বংস কিসের সংকেত বহন করে ?

উত্তরঃ বন্যা, খরা এবং ভূমণ্ডলের উষ্ণতা বৃদ্ধি।

প্রশ্ন ২৯। ভারতে প্রথমে কোথায় খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ ডিগবয়ে।

প্রশ্ন ৩০। ভারতে সর্বপ্রথম কবে এবং কারা খনিজ তেলের সন্ধান পায় ?

উত্তরঃ ১৮৮৯ সনে ইংরাজরা।

প্রশ্ন ৩১। কয়েকটি খনিজ তেল শোধনাগারের নাম লেখাে।

উত্তরঃ ডিগবয়, নুনমাটি, বঙ্গাইগাঁও এবং নুমলিগড়।

প্রশ্ন ৩২। উৎকৃষ্ট মানের গণ্ডোয়ানা কয়লা অসমের কোথায় কোথায় পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ কার্বি পাহাড়ের কয়লাজান, শিলভেটা, লংলৈ, শিঙিমারি ইত্যাদি জায়গায়।

প্রশ্ন ৩৩। অসমে চুনাপাথরের ভাণ্ডার কোথায় কোথায় আছে ?

উত্তরঃ ডিমা-হাসাও জেলার উমরাংশু, কাৰ্বি আংলং জেলার কয়লাজান ও ডিলাই পাহাড়ে চুনাপাথরের ভাণ্ডার আছে।

প্রশ্ন ৩৪। অসমের কোন্ কোন্ স্থানে সিলিমিনাইট ও চিনামাটি পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ কাৰ্বি আংলং জেলায়।

প্রশ্ন ৩৫। অসমের কোথায় সিমেন্ট কারখানা আছে ?

উত্তরঃ বােকাজানে।

প্রশ্ন ৩৬। জল মানুষের কী কী কাজে লাগে ?

উত্তরঃ জল মানুষ পানীয় ও অন্যান্য ঘরােয়া কাজ ছাড়া জলসেচ, মৎস্য পালন, পশুপালন এবং ঔদ্যোগিক নানা কাজে ব্যবহার করে।

প্রশ্ন ৩৭। প্রবহমান জল পরিচালনা প্রকল্প কী ?

উত্তরঃ বর্ষাকালে নিম্নভূমির বিভিন্ন অঞ্চলগুলাে বৃষ্টির জল জমে জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য অসমে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রবহমান জল পরিচালনা প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছ।

প্রশ্ন ৩৮। অসমের দুটো প্রধান নদীর নাম লেখাে।

উত্তরঃ ব্রহ্মপুত্র ও বরাক।

প্রশ্ন ৩৯। ব্রহ্মপুত্র নদের দুটো বন্দরের নাম লেখাে।

উত্তরঃ পাণ্ড ও ধুবড়ি।

প্রশ্ন ৪০। অসমের কয়েকটি উল্লেখযােগ্য জাহাজঘাটের নাম লেখাে।

উত্তরঃ পলাশবাড়ি, খারুপেটিয়া, তেজপুর, বিশ্বনাথ ঘাট, নিমাতিঘাট ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪১। অসমের কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নাম লেখাে।

উত্তরঃ কপিলি, রাঙানদী, কার্বি লাংপি।

প্রশ্ন ৪২। অসমের নদী-উপনদীগুলােতে মাছের সংখ্যা কমে যাবার কারণ কী ?

উত্তরঃ মাছের সংখ্যা দ্রুত কমে যাচ্ছে এর কারণ হল, যেমন খুশি মাছ ধরা ও জলাশয়ে মানুষের হস্তক্ষেপ।

প্রশ্ন ৪৩। অসমের কোথায় এবার ও কফি বাগান আছে ?

উত্তরঃ কাৰ্বি আংলং জেলায়।

প্রশ্ন ৪৪। কত সনে অসমে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে ?

উত্তরঃ ২০০৯ সনে।

প্রশ্ন ৪৫। অসমের কৃষিজ সম্পদের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তরঃ অসমের কৃষিজদ্রব্যের মধ্যে ধান, পাট, আখ, গম বিশেষ উল্লেখযােগ্য। এছাড়া রােপণ কৃষির মধ্যে রয়েছে চা।

ধান- ধান অসমের প্রধান কৃষিজাত দ্রব্য। রাজ্যের মােট কৃষিভূমির ৬৪.৫২ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করা হয়। অসমে বিভিন্ন ধরনের শালি ধান ছাড়াও আউস, বাও এবং বােরাে ইত্যাদি ধানের চাষ করা হয়। শীতকালে বােরাে ধান চাষ করেও প্রচুর ধান উৎপাদন হয়। পাহাড়ি অঞ্চলে ‘জুম’ এবং সােপান কৃষিপ্রণালির কিছু ধান উৎপাদন করা হয়।

পাট- পাট অসমের একটি উল্লেখযােগ্য কৃষিজাত দ্রব্য। নিম্ন অসমের নিচু পলিমাটি অঞ্চলে পাট প্রচুর পরিমাণে হয়।

আখ- ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার অনেকগুলাে জেলাতে আখ উৎপাদিত হয়। তুলনামূলকভাবে নগাঁও, গােলাঘাট, যােরহাট এবং করিমগঞ্জ জেলাতে প্রচুর পরিমাণে আখ হয়।

গম- নিম্ন অসমের জেলাগুলােতে কিছু গম উৎপাদিত হয়।উল্লেখযােগ্য জেলাগুলাের মধ্যে ধুবড়ি, গােয়ালপাড়া, কোকরাঝার, বঙ্গাইগাঁও, বরপেটা, নলবাড়ি, কামরূপ ইত্যাদি।

চা- চা একধরনের রােপণ কৃষি। অসম চা উৎপাদনে পৃথিবী বিখ্যাত অসমের চা রং প্রস্তুত করার জন্য বিদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অসমে প্রায় ৮৫০টি বৃহৎ চা বাগান আছে।

প্রশ্ন ৪৬। অসমের কোন্ কোন্ জেলায় ডাল জাতীয় শস্য উৎপাদিত হয় ?

উত্তরঃ গােয়ালপাড়া, বরপেটা, কামরূপ, দরং, নগাঁও এবং মরিগাঁও জেলায়।

প্রশ্ন ৪৭। অসমের কৃষিব্যবস্থা বাণিজ্যিক রূপ নিতে পারেনি কেন ?

উত্তরঃ ভূমির ক্ষয়, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, পরম্পরাগত কৃষিপ্রণালী, বন্যার প্রভাব ইত্যাদির জন্য সাম্প্রতিককালে অসমের কৃষিব্যবস্থা বাণিজ্যিক রূপ নিতে পারেনি।

প্রশ্ন ৪৮। দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কী কী সমস্যার সৃষ্টি করেছে ?

উত্তরঃ অসমে দ্রতগতিতে জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নানা প্রকারের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে বনানী ধবংস হচ্ছে। এ ছাড়াও বেকার সমস্যা বৃদ্ধি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবন, যাপন, পুষ্টিহীনতা, সরকারি সুযােগ-সুবিধার অভাব ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪৯। দক্ষতামূলক কার্য-

অসমের মানচিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত বিষয়গুলাে বসাও-

(ক) ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ, 

(খ) রেলপথ।

(গ) খনিজ তেল অঞ্চল।

(ঘ) কয়লা উৎপাদিত অঞ্চল।

(ঙ) চুনাপাথর অঞ্চল।

উত্তরঃ নিজে চেষ্টা করাে।

প্রশ্ন ৫০। ব্রহ্মপুত্র নদের উৎসস্থল কোথায় ?

উত্তরঃ তিববতের টামচোখ খাম্বলা চোরটেন নামক জায়গার চেমায় দুং হিমবাহ।

প্রশ্ন ৫১। ব্রহ্মপুত্র নদের মােট দৈর্ঘ্য কত ?

উত্তরঃ ২,৯০৬ কিলােমিটার।

প্রশ্ন ৫২। অসমে ব্ৰহ্মপুত্র নদের দৈর্ঘ্য কত ?

উত্তরঃ ৬৪০ কিলােমিটার।

প্রশ্ন ৫৩। বরাক নদী কোন্ পাহাড় থেকে বেরিয়েছে ?

উত্তরঃ মণিপুরের বড়াইল পাহাড়।

প্রশ্ন ৫৪। অসমে বরাক নদীর দৈর্ঘ্য কত ?

উত্তরঃ প্রায় ২২৫ কিলোেমিটার।

প্রশ্ন ৫৫। কত সনে শিশুশিক্ষার অধিকার আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং কবে এই আইনটি বলবৎ করা হয়েছে ?

উত্তরঃ ২০০৯ সনে শিশুশিক্ষার অধিকার আইনটি গৃহীত হয়েছে এবং ২০১০ সনের ১লা এপ্রিল থেকে কার্যকর করা হয়েছে।

প্রশ্ন ৫৬। শূন্যস্থান পূর্ণ করাে।

(ক) অসমের জলের ভাণ্ডার __________।

উত্তরঃ বিশাল।

(খ) মানুষ __________ ওপর নির্ভরশীল।

উত্তরঃ প্রকৃতির।

(গ) অসম __________ সম্পদে সমৃদ্ধ একটি রাজ্য।

উত্তরঃ প্রাকৃতিক।

(ঘ) উমরাংশু __________ জেলায় অবস্থিত।

উত্তরঃ ডিমা-হাসাও।

(ঙ) রাজ্যের মােট কৃষিভূমির __________ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করা হয়।

উত্তরঃ ৬৪.৫২।

(চ) চা একধরনের __________ কৃষি।

উত্তরঃ রােপণ ।

(ছ) ২০১১ সনের লােকগণনার পূর্বে তথ্য অনুযায়ী অসমের জনসংখা __________ জন।

উত্তরঃ ৩,১১,৬৯,২৭২ জন।

(জ) বর্তমানে অসমের __________ জেলায় সর্বাধিক মানুষ বাস করে।

উত্তরঃ নগাঁও।

প্রশ্ন ৫৭। শুদ্ধ উত্তরটি লেখাে।

(ক) শিশুশিক্ষার অধিকারটি কার্যকর করা হয়-

(i) ২০০০ 

(ii) ২০০৯ 

(iii) ২০১০ সনে

উত্তরঃ ২০১০

(খ) ২০১১ সনের লােকগণনা অনুযায়ী অসমের জনসংখ্যার ঘনত্ব __________ জন প্রতিবর্গ কিলােমিটারে।

উত্তরঃ ৩৯৭

(গ) গড়ে প্রায় ২০০ সেন্টিমিটারের অধিক বৃষ্টিপাত অঞ্চলের উদ্ভিদগুলােকে বলা হয়-

(i) চিরসবুজ। 

(ii) পর্ণমােচী। 

(iii) তৃণ।

উত্তরঃ চিরসবুজ।

(ঘ) অসমের সিমেন্ট কারখানা স্থানটি হল-

(i) নামরূপ।

(ii) লিডু। 

(iii) বােকাজান।

উত্তরঃ বােকাজান।

(ঙ) ভারতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের মােট সম্ভাবনীয়তার অসমে আছে-

(i) ৩০ ভাগ। 

(ii) ৩৫ ভাগ।

(iii)২৮ ভাগ।

(চ) শীতকালে চাষ করা ধানটির নাম হল-

(i) আউস।

(ii) আমন।

(iii) বােরাে।

উত্তরঃ বােরাে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top