Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Board Class 5 Bengali Book Chapter 11 অমলপ্রভা দাস Question Answer. As Per New Syllabus of SEBA Class 5 Bengali Book Chapter 11 অমলপ্রভা দাস Question Answer PDF Download. Class 5 Bengali Book Chapter 11 অমলপ্রভা দাস Solutions. Which you Can Download PDF Notes Class 5 Bengali Book Question Answer PDF for using direct Download Link Given Below in This Post.
Class 5 Bengali Book Question Answer Chapter 11 অমলপ্রভা দাস
Today’s We have Shared in This Post Class 5 Bengali Book Chapter 11 অমলপ্রভা দাস Suggestions with you. Class 5 Bengali Book Chapter 11 অমলপ্রভা দাস Solutions I Hope, you Liked The information About The Class 5 Bangla Notes. If you liked Class Five Bangla Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
অমলপ্রভা দাস
ক্রিয়াকলাপ
ক – পাঠভিত্তিক
১। পাঠটি শুদ্ধ উচ্চারণে পাঠ করো এবং নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
(ক) অমলপ্রভা দাসের পিতা ও মাতার নাম কী?
উত্তরঃ অমলপ্রভা দাসের পিতার নাম ডঃ হরিকৃষ্ণ দাস এবং মাতা হেমপ্রভা দাস।
(খ) গুয়াহাটির শরণিয়া পাহাড়ে অমলপ্রভা কী কী উদ্যোগ স্থাপন করেছিলেন?
উত্তরঃ অমলপ্রভা দেশের যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গুয়াহাটীর শরণিয়া পাহাড়ে তেল উৎপাদনের জন্য ঘানি, কাগজ তৈরি, সাবান তৈরি, কাপড় বোনার তাঁত ইত্যাদি কুটির শিল্প।গড়ে তোলেন।
(গ) ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধির কোন আন্দোলনের প্রভাব অসমেও পড়েছিল?
উত্তরঃ ১৯২১ সালে গান্ধিজি দেশব্যাপী অসহযোগ আন্দোলন আরম্ভ করলে অসমেও ‘বিদেশী বস্তু বর্জন’, ‘স্বদেশী বস্ত্ৰ গ্ৰহণ’ কর্মকাণ্ড শুরু হয়।
(ঘ) অমলপ্রভা দাস কত বছর বয়স থেকে সুতা কাটতে আরম্ভ করেছিলেন?
উত্তরঃ অমলপ্রভা দশবছর বয়স থেকে সুতা কাটতে আরম্ভ করেছিলেন।
(ঙ) আচার্য বিনোবা ভাবের সঙ্গে তিনি কোন কোন আন্দোলনের সূত্রে সমগ্র অসম ভ্রমণ করেছিলেন?
উত্তরঃ আচার্য বিনোবা ভাবের শ্রমদান, ভূ-দান আন্দোলনের সহযোগী হয়ে তিনি সমগ্র অসম ভ্রমণ করেছিলেন।
২। কে কাকে, কেন বলেছিলেন, বলো ও লেখো।
“আমি সামান্যভাবে যে-টুকু দেশসেবা করতে পেরেছি, তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। কিন্তু আমি এই সম্মান গ্রহণ করতে অসমর্থ, কারণ এ-টি আমার মনে অহংকার ভাব এনে দেবে। এ জন্য অনুগ্রহ করে আমাকে মার্জনা করবেন।”
উত্তরঃ কথাটি অমলপ্রভা দাস তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জবহরলাল নেহরুকে লিখেছিলেন।
সমাজসেবিকা অমলপ্রভা দাস দেশকে অন্তর দিয়ে ভালোবেসে দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণের জন্য নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন। তিনি দেশের পরাধীনতা মোচনের জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন। আবার দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশবাসীর সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য সমস্ত জীবন ধরে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। দৃঢ়চেতা ও স্পষ্টবাদী অমলপ্রভা দেশের যুবক-যুবতীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য শরণিয়া পাহাড়ে তেল উৎপাদনের জন্য ঘানি, কাগজ তৈরি, সাবান তৈরি, কাপড় বোনার তাঁত ইত্যাদি কুটির শিল্প গড়ে তুলেছিলেন। তিনি উচ্চশিক্ষিত হয়েও কোনো সরকারি চাকরি গ্রহণ করেননি, বরং দারিদ্র্যের কবল থেকে দেশের জনসাধারণকে উদ্ধার করার কাজে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত করেছিলেন। ১৯৫৫ সালে ভারত সরকার তাঁকে সমাজহিতকর কাজকর্মের জন্য ‘পদ্মবিভূষণ’এ সম্মানিত করেন। কিন্তু তিনি সেই সম্মান গ্রহণ না করে উপরের কথাগুলি বলেছিলেন।
৩। স্কুল জীবনে অমলপ্রভা দাস পড়াশোনা করা ছাড়াও মা-বাবাকে কী কী কাজে সাহায্য করতেন?
উত্তরঃ বিদ্যালয়ের ছুটির পর বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে সংসারের কাজকর্মে সাহায্য করা, বাগানে ফুলগাছ লাগানো, গাছে জল দেওয়া ইত্যাদি কাজ খুব আনন্দের সঙ্গে করতেন। নাচগানেও তিনি সমান দক্ষ ছিলেন।
৪। কটন মহাবিদ্যালয়ে তাঁকে পড়তে দেওয়া হয়নি কেন?
উত্তরঃ অমলপ্রভার ইচ্ছা ছিল কটন মহাবিদ্যালয়ে আই. এস. সি. পড়া। সেই সময় কটন মহাবিদ্যালয়ে সহশিক্ষার কোনো প্রচলন ছিল না। কেবল মাত্র ছেলেরাই পড়তে পারত। মেয়ে হওয়ার অজুহাতে অমলপ্রভাকে কটন মহাবিদ্যালয়ে পড়তে দেওয়া হয়নি।
৫। তিনি নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য কেন পরিত্যাগ করেছিলেন?
উত্তরঃ দেশের দরিদ্র জনতাকে উদ্ধার করার আকাঙ্ক্ষায় তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য সব কিছু পরিত্যাগ করেন।
৬। এসো, শব্দের অর্থ জানি।
শব্দ — অর্থ
সর্বস্ব — সব কিছু।
পন্থা — উপায়, পথ।
বিপ্লবী — বিপ্লবের সমর্থক।
স্বাবলম্বন — জীবিকা বা উপার্জনের ক্ষেত্রে নিজের উপর নির্ভরশীল, আত্ম-নির্ভরশীলতা।
স্বরাজ — স্বায়ত্ত শাসন, দেশবাসীর নিজেদের হাতে দেশশাসনের ক্ষমতা।
নিরহংকার — যার অহংকার নেই, অহংকারহীন।
সহ-শিক্ষা — ছাত্র ও ছাত্রীর একত্রে শিক্ষা।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -১ | আমার দেশের মাটি |
অধ্যায় -২ | পাখি আর মানুষ |
অধ্যায় -৩ | দেবারতির আবেদন |
অধ্যায় -৪ | পেটুক দাসের স্বপ্ন |
অধ্যায় -৫ | মহৎ লোকের মহৎ কথা |
অধ্যায় -৬ | অরুণোদয় |
অধ্যায় -৭ | নীল পাহাড়ের দেশে |
অধ্যায় -৮ | রঙের রহস্য |
অধ্যায় -৯ | রচনা লেখার চাবিকাঠি |
অধ্যায় -১০ | তিনটি মাছের কাহিনিঠি |
অধ্যায় -১১ | অমলপ্রভা দাস |
অধ্যায় -১২ | চরণে প্ৰণাম |
অধ্যায় -১৩ | পালা গানের কথা |
অধ্যায় -১৪ | বড়ো কে? |
খ — ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)
১। পাঠ থেকে নীচের যুক্তবর্ণ-যুক্ত শব্দ খুঁজে বের করে লেখো।
ব্রু — ___________।
উত্তরঃ ব্রু — ডিব্ৰুগড়।
ষ্ট্ৰ — ____________।
উত্তরঃ ষ্ট্ৰ — রাষ্ট্রীয়।
স্ব — ____________।
উত্তরঃ স্ব — সর্বস্ব।
ম্ব — _____________।
উত্তরঃ ম্ব — স্বাবলম্বী।
স্ম — ____________।
উত্তরঃ স্ম — স্মরণীয়
ঘ্ন — _____________।
উত্তরঃ ঘ্ন — বিঘ্ন।
ন্থা — _____________।
উত্তরঃ ন্থা — পন্থা।
ম্ম — _____________।
উত্তরঃ ম্ম — সম্মানিত।
প্ল — ______________।
উত্তরঃ প্ল — বিপ্লব।
দ্ম — ______________।
উত্তরঃ দ্ম — পদ্মবিভূষণ।
২। উদাহরণের মতো শব্দ গঠন করো।
উদাহরণ — নম্র – নম্রতা
(ক) স্বাধীন — ______________।
উত্তরঃ স্বাধীন — স্বাধীনতা।
(খ) ভদ্র — ______________।
উত্তরঃ ভদ্ৰ — ভদ্রতা।
(গ) সার্থক — ______________।
উত্তরঃ সার্থক — সার্থকতা।
(ঘ) সরল — ______________।
উত্তরঃ সরল — সরলতা।
(ঙ) উজ্জ্বল — ______________।
উত্তরঃ উজ্জ্বল — উজ্জ্বলতা।
৩। লক্ষ করো।
ওপরের উদাহরণের মতো ‘প্রতিযোগী’-র সঙ্গে ‘তা’ যুক্ত করলে, শব্দটির বানান কিন্তু ‘প্রতিযোগীতা’ হবে না, হবে ‘প্রতিযোগিতা। |
৪। এবার এই উদাহরণের মতো আরো কয়েকটি শব্দ গঠন করো।
উপযোগী — _____________।
উত্তরঃ উপযোগী — উপযোগীতা।
দূরদর্শী — _____________।
উত্তরঃ দূরদর্শী — দূরদর্শীতা।
দূরবর্তী — _____________।
উত্তরঃ দূরবর্তী — দূরবর্তীতা।
৫। এক কথায় প্রকাশ করো।
(ক) সমাজের সেবা করেন যিনি ……………………..।
উত্তরঃ সমাজ সেবক।
(খ) দেশকে ভালোবাসেন যে ব্যক্তি ………………………।
উত্তরঃ দেশপ্রেমিক।
(গ) বিপ্লবপন্থার অনুগামী ……………………….।
উত্তরঃ বিপ্লবী।
(ঘ) দেশের জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন যিনি ……………………..।
উত্তরঃ শহীদ।
(ঙ) জীবিকার ক্ষেত্রে নিজের উপর নির্ভরশীল যে ব্যক্তি ……………………….।
উত্তরঃ ঔ স্বাবলম্বী।
(চ) কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তির সংকল্প দৃঢ় …………………………।
উত্তরঃ দৃঢ়প্রত্যয়ী।
৬। অর্থের পার্থক্য দেখিয়ে নীচের শব্দগুলো দিয়ে একেকটি বাক্য রচনা করো।
উদাহরণ — অন্য — বিনোদকে দিয়ে একাজ হবে না, অন্য লোক দেখো।
অন্ন — এক মুঠো অন্নের জন্য লোকে কী না করে।
কমল কোমল, ধনি ধনী, দিন দীন, শোনা সোনা, বিনা বীণা, বিশ বিষ, যজ্ঞ যোগ্য, শাপ সাপ।
উত্তরঃ কমল (পদ্মফুল) — শরৎ ঋতুতে কমল ফোটে।
কোমল (নরম) — মানুষের হৃদয় কোমল হওয়া উচিত।
বিনা (ছাড়া) — জ্ঞান বিনা জীবন বৃথা।
বীণা (বাদ্যযন্ত্র) — দেবী সরস্বতীর হাতে বীণা থাকে।
ধনি (শব্দ) — মেয়েটির পা থেকে নূপুরের ধনি উঠছে।
ধনী (বড়োলোক) — ধনী লোকেরা গরীবের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় না।
দিন (দিবস) — রাতের পর দিন আসে।
দীন (দরিদ্র) — দীন ব্যক্তিদের প্রতি প্রভু দয়া করুন।
যজ্ঞ (হোম) — পুরোহিতরা যজমানের জন্য যজ্ঞ করেন।
যোগ্য (উপযুক্ত) — সবাই সব কাজের যোগ্য নয়।
শোনা (শুনতে পাওয়া) — মিথ্যা কথা কানেও শোনা পাপ।
সোনা (ধাতু বিশেষ) — সোনা থেকে গয়না হয়।
শাপ (অভিশাপ) — দুর্বাসা মুনি কথায় কথায় শাপ দেন।
সাপ (সপ) — সাপ কানে শুনতে পায় না।
৭। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং উদাহরণের মতো বাক্সে বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদগুলো খুঁজে বের করে খাতায় লেখো।
অর্থনৈতিকভাবে অবস্থাপন্ন হলেও তাঁর পিতা-মাতা অনাড়ম্বর সরল জীবন-যাপন করতেন। তাঁদের পরিবারে দেশপ্রেম এবং সমাজসেবার এক পরিবেশ বিরাজিত ছিল। ছোটোবেলা থেকেই অমলপ্রভা সেই পরিবেশেই বড়ো হয়ে উঠেছিলেন। পড়াশোনার প্রতি তাঁর ছিল অদম্য আগ্রহ। তিনি অত্যন্ত মেধাবীও ছিলেন। তবে তিনি অনবরত বই-পত্র নিয়ে পড়াশোনাতেই ব্যস্ত হয়ে থাকতে পছন্দ করতেন না। বিদ্যালয়ের ছুটির পর বাড়ি ফিরে মা-বাবাকে সংসারের কাজ-কর্মে সাহায্য করা, বাগানে ফুলগাছ লাগানো, গাছে জল দেওয়া ইত্যাদি কাজ খুব আনন্দে করতেন। নাচ-গানেও তিনি ছিলেন সমান দক্ষ।
উদাহরণ—
বিশেষ্য | বিশেষণ | সর্বনাম |
অমলপ্রভা | দক্ষ, | তিনি |
উত্তরঃ
বিশেষ্য | বিশেষণ | সর্বনাম |
অমলপ্রভা | দক্ষ, সরল, | তিনি |
পিতা, মাতা, মা, বাবা | অত্যন্ত, মেধাবী, | তাঁর, তাদের |
৮। এসো, ভাব-সম্প্রসারণ করি।
সোনা যতই পোড়ে, উজ্জ্বলতা তার ততই বাড়ে।
(অর্থ — বাধা-বিঘ্ন যতই আসুক না কেন, জীবনের লক্ষ্যে যে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ, সব প্রতিকূলতা সে জয় করে আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।)
গ — জ্ঞান সম্প্রসারণ
১। নীচের অনুচ্ছেদটি পড়ো এবং উত্তর দাও।
চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মার্চে অসমের বজালির দৈশিঙরি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম রাতিরাম মজুমদার এবং মাতার নাম গঙ্গাপুরিয়া।
সে সময় দেশে স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন প্রায় ছিল না। দৈশিঙরি গ্রামেও পাঠশালা ছিল না। চন্দ্রপ্রভা তাঁর ছোটোবেলায় মাসির বাড়িতে থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন। পড়াশোনার প্রতি তাঁর তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিল। কাছেপিঠে কোনো এম.ই.স্কুল না-থাকায় তিনি বাড়িতে বসে সময় না-কাটিয়ে একটি ভালো কাজ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সংকল্প মতো তিনি দৈশিঙরি গ্রামের অন্যান্য মেয়েদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরম্ভ করেন, যাতে গ্রামের মেয়েরা অল্প পরিমাণে হলেও শিক্ষার আলোক লাভ করতে পারে। একদিন বিদ্যালয়ের উপপরিদর্শক চন্দ্রপ্রভার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করতে আসেন। অল্পবয়সি মেয়েটির সমাজসেবার মনোভাব দেখে তিনি আশ্চর্য হন। চন্দ্রপ্রভাকে আবার পড়াশোনা শুরু করার জন্য তিনি বৃত্তি প্রদান করেন।
চন্দ্রপ্রভা নগাঁওয়ের মিশন স্কুলে আবার পড়াশোনা শুরু করেন। সেখান থেকেই নর্ম্যাল পাশ করে তিনি শিক্ষকতা করতে শুরু করেন। নারীসমাজের উন্নতির জন্য তিনি বদ্ধপরিকর ছিলেন। তিনি মহিলা সমিতি গঠন করে সমাজে মহিলাদের প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বদা তৎপর ছিলেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেও তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতিও তাঁর বিশেষ অনুরাগ ছিল। সু-লেখিকা হিসেবেও তিনি সম্মান লাভ করেছিলেন।
(ক) চন্দ্ৰপ্ৰভা শইকিয়ানির জন্ম কোথায় হয়েছিল?
উত্তরঃ চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির জন্ম অসমের বজালির দৈশিঙরি গ্রামে হয়েছিল।
(খ) তিনি কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
উত্তরঃ তিনি ১৯০১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
(গ) তিনি কীভাবে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন?
উত্তরঃ চন্দ্রপ্রভা ছোটোবেলায় তাঁর মাসির বাড়িতে থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেছিলেন।
(ঘ) নিজের গ্রামের মেয়েদের জন্য চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানি কী কী করেছিলেন?
উত্তরঃ নিজের গ্রামের মেয়েদের জন্য চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরম্ভ করেছিলেন।
(ঙ) চন্দ্রপ্রভা কীভাবে আবার পড়াশোনা শুরু করার সুযোগ পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ চন্দ্রপ্রভা দৈশিঙরি গ্রামের মেয়েদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আরম্ভ করেছিলেন। একদিন বিদ্যালয়ের উপপরিদর্শক চন্দ্রপ্রভার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করতে আসেন। অল্পবয়সি মেয়েটির সমাজসেবার মনোভাব দেখে তিনি আশ্চর্য হন। চন্দ্রপ্রভাকে আবার পড়াশোনা করার জন্য তিনি বৃত্তি প্রদান করেন।
(চ) চন্দ্রপ্রভা নারীদের উন্নতির জন্য কী করেছিলেন?
উত্তরঃ নারী সমাজের উন্নতির জন্য বদ্ধপরিকর চন্দ্রপ্রভা মহিলা সমিতি গঠন করে সমাজে মহিলাদের প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বদা তৎপর ছিলেন।
২। অমলপ্রভা দাস ও চন্দ্রপ্রভা শইকিয়ানির মধ্যে কোন কোন ক্ষেত্রে মিল এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অমিল লক্ষ করেছ, বলো ও লেখো।
উত্তরঃ অমলপ্রভা দাস ও ও চন্দ্রপ্রভা। শইকিয়ানি উভয়েই সমাজসেবিকা। দুজনেই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। অমলপ্রভা ও চন্দ্রপ্রভা উভয়েই মেধাবী এবং পড়াশোনার প্রতি অদম্য আগ্রহ ছিল। দুজনেরই দেশপ্রেম ও সমাজসেবা ইচ্ছা সমান ছিল। উভয়েই ছিলেন দৃঢ়চেতা এবং আত্মপ্রত্যয়ী। উভয়ের সংকল্প ছিল দেশবাসীকে স্বনির্ভর করে তোলা।
অমলপ্রভা দেশের পরাধীনতা মোচন করবার চেষ্টা ছাড়াও দেশবাসীর সর্বাঙ্গীন উন্নতির জন্য সমস্ত জীবন ধরে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন। চন্দ্রপ্রভা মহিলা সমিতি গঠন করে সমাজে মহিলাদের প্রতিষ্ঠিত করতে সর্বদা তৎপর থাকতেন। অমলপ্রভা গান্ধিজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। চন্দ্রপ্রভা হননি। অমলপ্রভা সমগ্র জীবন কোনো চাকরি করেননি। চন্দ্রপ্রভা শিক্ষকতা করেছেন। ভারত সরকার অমলপ্রভা দাসকে পদ্মবিভূষণ-এ সম্মানিত করেছিলেন। যদিও তা তিনি গ্রহণ করেননি। চন্দ্রপ্রভা এরকম কোনো পুরস্কার পাননি।
৩। গান্ধিজি চরকায় সুতা কাটতেন। চরকা ছাড়াও আর কীভাবে সুতা কাটা যায়?
উত্তরঃ শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন।
৪। কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পরশমণি’ কবিতাটি সবাই মিলে আবৃত্তি করো।
আগুনের পরশ-মণি ছোঁয়াও প্রাণে,
এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে।
আমার এই দেহখানি তুলে ধরো,
তোমার ওই দেবালয়ের প্রদীপ করো—
নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে।
আগুনের পরশ-মণি ছোঁয়াও প্ৰাণে৷৷
আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব
সারা রাত ফোটাক তারা নব নব।
নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো,
যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো।।
ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্ব-পানে।
আগুনের পরশ-মণি ছোঁয়াও প্রাণে।।
উত্তরঃ দলগতভাবে সবাই মিলে আবৃত্তি করো।
৫। আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারদর্শী মহিলাদের নাম শিক্ষক/অভিভাবকের সাহায্যে নীচে লেখো।
নৃত্য | |
গীত | |
বাদ্য | |
খেলা | |
কবিতা রচনা | |
গল্প লেখা | |
সাঁতার |
উত্তরঃ শিক্ষক/অভিভাবকের সাহায্যে নিজেরা চেষ্টা করো।
ঘ — প্রকল্প
১। পাঠটি থেকে বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদগুলো খুঁজে নিয়ে নীচের তালিকার মতো একটি তালিকা তৈরি করো।
বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদের তালিকা
বিশেষ্য | বিশেষণ | সর্বনাম |
অমলপ্রভা | দৃঢ়চেতা | তিনি |
উত্তরঃ
বিশেষ্য | বিশেষণ | সর্বনাম |
অমলপ্রভা | দৃঢ়চেতা | আমি, তিনি, আমাকে |
দেশ, দেশবাসী | দক্ষ | তাঁর |
মহাত্মাগান্ধী, ভারত, গ্রাম | মেধাবী | সে |
আচার্য বিনোবা, মহিলা, মানুষ | স্পষ্টবাদী, অটল | তাঁদের, তাঁকে |
We Hope the given Class 5 Bengali Book Question Answer will help you. If you Have any Regarding SEBA Board ক্লাস 5 এর বাংলা বই এর প্রশ্ন উত্তর, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.