Class 5 Bengali Book Question Answer Chapter 2 পাখি আর মানুষ

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Board Class 5 Bengali Book Chapter 2 পাখি আর মানুষ Question Answer. As Per New Syllabus of SEBA Class 5 Bengali Book Chapter 2 পাখি আর মানুষ Question Answer PDF Download. Class 5 Bengali Book Chapter 2 পাখি আর মানুষ Solutions. Which you Can Download PDF Notes Class 5 Bengali Book Question Answer PDF for using direct Download Link Given Below in This Post.

Class 5 Bengali Book Question Answer Chapter 2 পাখি আর মানুষ

Today’s We have Shared in This Post Class 5 Bengali Book Chapter 2 পাখি আর মানুষ Suggestions with you. Class 5 Bengali Book Chapter 2 পাখি আর মানুষ Solutions I Hope, you Liked The information About The Class 5 Bangla Notes. If you liked Class Five Bangla Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

পাখি আর মানুষ

ক্রিয়াকলাপ

ক – পাঠভিত্তিক

১। গল্পটি ভালো করে পড়ো এবং নিজের মতো করে বলো।

উত্তরঃ শ্রেণিতে নিজেরা চেষ্টা করো।

উত্তর দাও:

(ক) রাজা সর্বধনুর কী শখ ছিল?

উত্তরঃ রাজা সর্বধনুর শখ ছিল প্রতিদিন পাখি শিকার করা।

(খ) সর্বধনু রাজার প্রিয় খাদ্য কী ছিল?

উত্তরঃ সর্বধনু রাজার প্রিয় খাদ্য ছিল শিকার করা পাখির মাংস খাওয়া।

(গ) গল্পটিতে মানুষের উপকারী বন্ধু কাকে বলা হয়েছে?

উত্তরঃ গল্পটিতে মানুষের উপকারী বন্ধু বলতে পাখিদের কথা বলা হয়েছে।

(ঘ) কার সঙ্গে মধুকরের বিয়ে হয়েছিল?

উত্তরঃ মধুকর রাজা সর্বধনুর দেশ পরিত্যাগ করে যে দেশে গিয়েছিল সেই দেশের রাজকন্যা মাধবীর সঙ্গে মধুকরের বিয়ে হয়েছিল।

২। কে, কাকে, কখন এবং কেন বলেছিলেন, বুঝিয়ে লেখো।

(ক) “আসলে পাখিরা কৃষকের পরম বন্ধু। তাই জনসাধারণের মঙ্গলের জন্য আপনি পাখি শিকার বন্ধ করুন।”

উত্তরঃ কথাটি মধুকর রাজা সর্বধনুকে বলেছিল।

সর্বধনু রাজার প্রিয় শখ ছিল প্রতিদিন পাখি হত্যা করা। পাখির মাংস ছাড়া তিনি অন্নগ্রহণ করতে পারতেন না। তীর ধনুক দিয়ে তিনি সব সময়ই শালিক, বক প্রভৃতি পাখি মেরে ফেলতেন। একদিন সেই দেশেরই মধুকর নামে এক যুবক এই ধরনের কাজ করতে নিষেধ করে বলেছিল যে, নিজের তৃপ্তির জন্য পাখি হত্যা করা ঠিক কাজ নয়। কারণ পাখিরা মানুষের উপকারী বন্ধু, কৃষকের পরম বন্ধু। শস্যখেতের ক্ষতিকারক পোকামাকড় খেয়ে ফেলে চাষীভাইদের উপকার করে। তাই সকলের মঙ্গলের জন্য পাখি শিকার বন্ধ করা প্রয়োজন।

(খ) “এই পাখিগুলো নিয়ে আপনার দেশে ফিরে যান। এদের নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করবেন।”

উত্তরঃ একথাটি মধুকর সর্বধনু রাজাকে বলেছিল।

সর্বধনু রাজার দেশে পাখির অভাবে পোকামাকড়ের সংখ্যা বেড়ে গেল। গুটিপোকা, শুঁয়োপোকারাও গাছের সব লতাপাতা খেয়ে শেষ করে দিল। গাছপালা, লতাগুল্ম সব শুকিয়ে গেল। গাছের অভাবে দেশ বৃষ্টিহীন হয়ে পড়ল। দেশের মানুষ অনাহারে কষ্ট পেতে লাগল, ভিখারিতে পরিণত হল। রাজা সর্বধনুও ভিখারি হয়ে গেলেন। তিনি ভিক্ষা করতে করতে মধুকরের দেশে এসে উপস্থিত হলেন। মধুকর তাকে অতিথির সম্মান দিলেন। পরের দিন সর্বধনুর কাছে আত্মপরিচয় দিয়ে পাখি হত্যার কুফল সম্পর্কে সর্বধনুকে বোঝালেন। তারপর উপহার স্বরূপ এক ঝাঁক পাখি খাঁচায় ভরে সর্বধনুকে দিয়ে উপরিউক্ত কথাটি বলেছিলেন।

৩। কারণ বলো ও লেখো।

(ক) সর্বর্ধনুর রাজ্যে কেন বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল?

উত্তরঃ সর্বধনুর রাজ্য থেকে পাখিরা অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ায় পোকা-মাকড়ের সংখ্যা খুব বেড়ে গিয়েছিল। তারা শস্যক্ষেতের সব শস্য খেয়ে ফেলল। গুটিপোকা, শুঁয়োপোকারাও গাছের সব লতাপাতা খেয়ে শেষ করে দিল। সবুজ পাতার অভাবে বৃষ্টিহীন হয়ে পড়ল সর্বধনুর রাজ্য।

(খ) পোকা-মাকড়ের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে সর্বধনুর রাজ্যে কী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তরঃ পোকা-মাকড় বেড়ে যাওয়াতে সর্বধনুর রাজ্যে শস্য ও গাছপালা, সবুজ পাতা পোকা-মাকড়েরা খেয়ে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। ফলে গাছপালা শুকিয়ে গিয়েছিল কিংবা মরে গিয়েছিল। বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। স্বাভাবিক কারণে ফল-মূল, শস্যাদির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। পরিশেষে দুর্ভিক্ষের জন্য রাজ্যের লোকেরা অন্যত্র চলে গিয়েছিল।

৪। বুঝিয়ে লেখো।

(ক) রাজা সর্বধনু ভিক্ষা করতে করতে কার রাজ্যে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন? তারপর কী হয়েছিল?

উত্তরঃ রাজা সর্বধনু ভিক্ষা করতে করতে মধুকরের রাজ্যে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।

সর্বধনুকে দেখেই মধুকর চিনতে পারলেন। আদর আপ্যায়ন করে রাজপ্রাসাদে সর্বধনুকে নিয়ে গেলেন। পরের দিন সর্বধনুর কাছে মধুকর নিজের পরিচয় দিয়ে পূর্বের ঘটনা স্মরণ করালেন। পাখি হত্যার অপকারিতা সম্পর্কে বোঝালেন। পুনরায় পাখি দেবার কথা বলে পাখি হত্যা করতে নিষেধ করলেন। তারপর মধুকর এক ঝাঁক খাঁচাভর্তি পাখি সর্বধনুকে উপহার দিলেন। সর্বধনু কৃতজ্ঞতায় নত হয়ে পাখিগুলিকে নিজের দেশে নিয়ে এসে খোলা আকাশে ছেড়ে দিলেন।

(খ) পশু-পাখি, গাছপালার সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কী?

উত্তরঃ প্রকৃতি ও পশুপাখির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক অতি নিবিড়। বাংলা খাল-বিল-নদী দ্বারা সুগঠিত। এখানে অজস্র পাখির আনাগোনা। দোয়েল, শ্যামা, বক, কাক, কোকিল, চড়ুই, ফিঙে, বাবুই, মাছরাঙা, পানকৌড়ি—তারা যেন ঘরেরই লোক। পশুদেরও আমরা আপন করে নিয়েছি। বাংলার গৃহপালিত পশুর মধ্যে প্রধান হল গোরু, মোষ, ছাগল, ভেড়া। গৃহপালিত পাখির মধ্যে আছে হাঁস, মুরগি, পায়রা।

গাছপালা পরিবেশেরই অঙ্গ। পরিবেশ বলতে বোঝায় আমাদের ঘিরে থাকা চারপাশের প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট নানা বিষয় ও বস্তু। পশুপাখি না থাকলে গাছপালা থাকবে না, আবার গাছপালা না থাকলে খাদ্যাভাবে এবং অন্যান্য কারণে পশুপাখিও থাকা সম্ভব নয়।

(গ) সর্বধনু উপহার স্বরূপ পাখিগুলো নিজের দেশে এনে খোলা আকাশে কেন ছেড়ে দিলেন?

উত্তরঃ সর্বধনু উপহার স্বরূপ পাখিগুলো নিজের দেশে এনে খোলা আকাশে ছেড়ে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে পাখিদের সঙ্গে মানুষের আত্মীয়তার সম্পর্ক। পশুপাখি গাছ-গাছালি নিয়ে আমাদের বৃহৎ পরিবার। একে নিয়েই আমাদের জীবন। পশুপাখির সাহচর্য ও সখ্য না হলে মানুষের চলে না।

৫। শূন্যস্থান পূর্ণ করো:

(ক) পাখিরা ………………… পরম বন্ধু।

উত্তরঃ পাখিরা মানুষের পরম বন্ধু।

(খ) তারা শস্যখেতের সব ………………….. খেয়ে ফেলল।

উত্তরঃ তারা শস্যখেতের সব পোকামাকড় খেয়ে ফেলল।

(গ) দেশে দেখা দিল …………………..।

উত্তরঃ দেশে দেখা দিল দুর্ভিক্ষ

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -১আমার দেশের মাটি
অধ্যায় -২পাখি আর মানুষ
অধ্যায় -৩দেবারতির আবেদন
অধ্যায় -৪পেটুক দাসের স্বপ্ন
অধ্যায় -৫মহৎ লোকের মহৎ কথা
অধ্যায় -৬অরুণোদয়
অধ্যায় -৭নীল পাহাড়ের দেশে
অধ্যায় -৮রঙের রহস্য
অধ্যায় -৯রচনা লেখার চাবিকাঠি
অধ্যায় -১০তিনটি মাছের কাহিনিঠি
অধ্যায় -১১অমলপ্রভা দাস
অধ্যায় -১২চরণে প্ৰণাম
অধ্যায় -১৩পালা গানের কথা
অধ্যায় -১৪বড়ো কে?

খ — ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

১। এসো, যুক্তবর্ণ ভেঙে পড়ি ও লিখি।

ন্ব গ্ব ক্ক ব্জ

ন্ব ন + ব  ন-এ ব ন্ব — অন্বেষণ, অন্বেষা, সমন্বয়।

গ্ব গ + ব  গ-এ ব গ্ব — দিগ্বিজয়, দিগ্বিদিক।

ক্ক ক + ব  ক-এ ব ক্ক — পক্ক, পরিপক্ক।

ব্জ ব + জ  ব-এ জ ব্জ — কুব্জ। 

২। এসো, যুক্তবর্ণ গঠন করি।

ন + ব  ন-এ  ব ন্ব

ব + জ  ব-এ  জ ব্জ

গ + ব  গ-এ   ব গ্ব

ক + ব  ক-এ  ব ক্ব

৩। এসো, পড়ি:

গান সমন্বয়ের সেতু গড়ে।

কুঁজো লোককে কুব্জ বলে।

সীতার অন্বেষণে রাম-লক্ষ্মণ বনে-বনে ঘুরেছিলেন।

রাজারা দিগ্বিজয় করতে দেশ-দেশান্তরে যেতেন।

ফল পরিপক্ক হলেই খেতে ভালো।

৩। লিঙ্গ পরিবর্তন করো:

(প্রাণী, জনসাধারণ, সন্তান—এই ধরনের শব্দের লিঙ্গ পরিবর্তন হয় না।)

উত্তরঃ রাজা — রানী।

যুবক — যুবতী।

বন্ধু — শত্ৰু।

৪। শব্দ ভেঙে দেখাও:

উদাহরণ—

পদশব্দবিভক্তি
মধুকরেরমধুকর+ এর
যুবকেরযুবক+ এর
মানুষেরমানুষ+ এর
পাখিগুলোকেপাখিগুলো(ক+এ) কে
রাজাকেরাজা+ কে
দেশেদেশ+ এ
আকাশেআকাশ+ এ

৫। বিপরীত শব্দ লেখো:

সরল, ক্ষতিকারক, বন্ধু, উচিত, সহজ, প্রজা, ধনী, আদর, খোলা, মন্দ

উত্তরঃ সরল — জটিল।

ক্ষতিকারক — লাভদায়ক।

বন্ধু — শত্রু।

উচিত — অনুচিত।

সহজ — কঠিন।

প্রজা — রাজা।

ধনী — গরিব।

আদর — অনাদর।

খোলা — বন্ধ।

মন্দ — ভালো।

৬। বাক্য রচনা করো:

আদরআপ্যায়ন

লালন-পালন

দূর-দূরান্ত

পোকা-মাকড়

লতা-পাতা

দিগ্‌-বিদিক

উত্তরঃ আদর-আপ্যায়ন — মধুকর সর্বধনুকে নিজের রাজ্যে আদর-আপ্যায়ন করেছিল।

লালন-পালন — মা সন্তানকে জন্মের পর থেকে লালন-পালন করেন।

দূর-দূরান্ত — দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন জাতের পাখি আমাদের দেশে উড়ে আসে।

পোকা-মাকড় — পোকা-মাকড় চাষিভাইদের অনেক ক্ষতি করে।

লতা-পাতা — বৃষ্টির অভাবে লতা-পাতা সব শুকিয়ে যায়।

দিগ্‌-বিদিক — বসন্ত ঋতুতে কোকিলের ডাক দিগ্‌-বিদিক ভরিয়ে তোলে।

৭। পাঠ থেকে বেছে নিয়ে নীচের তালিকাটিতে বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ লেখো।

বিশেষ্যবিশেষণসর্বনাম
পাখিউপকারীতাঁর

উত্তরঃ 

বিশেষ্যবিশেষণসর্বনাম
পাখিউপকারীতাঁর
সর্বধনুক্ষতিকারকতাঁকে
মধুকরসহজএই
গাছপালাসরলতিনি
লতাপাতাধনী

৮। এসো জানি:

একবচন এবং বহুবচনের আভাস ইতিমধ্যে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে তোমরা পেয়েছ। একবচনে প্রাণী বা বস্তুকে নির্দিষ্টভাবে বোঝাতে সাধারণত শব্দের শেষে ‘টা’ ‘টি ইত্যাদি প্রত্যয় ব্যবহার করা হয়। এগুলোকে নির্দেশক প্রত্যয় বলে।

যেমন, ‘ছেলেটি’ বা ‘ছেলেটা’ বললে একজন ছেলেকেই নির্দিষ্টভাবে বোঝায়।
এধরনের কিছু নির্দেশক একবচনের প্রত্যয় নীচে উল্লেখ করা গেল — টা; টি; খানি; খানা; গাছ ইত্যাদি।
এগুলো শব্দে প্রয়োগ করলে হবে — ছেলেটা, মেয়েটি, চিঠিখানি, বইখানা, বেতগাছা ইত্যাদি।

৯। এবার তোমরা টা; টি; খানি; খানা; গাছা প্রত্যয় ব্যবহার করে এক একটি শব্দ তোমার খাতায় লেখো এবং সেই শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো।

উত্তরঃ বাড়িটা (টা প্রত্যয়) — বাড়িটা দেখতে খুব সুন্দর।

বালিকাটি (টি প্রত্যয়) — বালিকাটি অত্যন্ত দুষ্টু প্রকৃতির।

গ্রামখানি (খানি প্রত্যয়) — গ্রামখানি সবুজে পরিপূর্ণ।

বইখানা (খানা প্রত্যয়) — বইখানার বিষয়বস্তু অতি চমৎকার।

দড়িগাছা (গাছা প্রত্যয়) — দড়িগাছা দিয়ে গোরুগুলিকে ভালোভাবে বাঁধো।

গ — জ্ঞান-সম্প্রসারণ

১। জেনে নাও কার কী প্রয়োজন, কে কার ওপর নির্ভরশীল।

জীবন ধারণের জন্য চাই খাদ্য।

বৃষ্টিপাতের জন্য চাই গাছপালা।

গাছের খাবার তৈরির জন্য

চাই সবুজ পাতা।

রাজার রাজত্বের জন্য চাই প্রজা।

রাজার সমৃদ্ধির জন্য চাই

প্রজার সমৃদ্ধি, দেশের সমৃদ্ধি।

২। পশু-পাখি, গাছপালার সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্কের কথা দলগতভাবে আলোচনা করে লেখো। 

বলো তো? (প্রয়োজনে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন)

(ক) অতি বৃষ্টিতে হয় ………………….।

উত্তরঃ অতি বৃষ্টিতে হয় বন্যা

(খ) অনাবৃষ্টিতে হয় ……………………..।

উত্তরঃ অনাবৃষ্টিতে হয় খরা

(গ) খাদ্যাভাবে হয় ……………………..।

উত্তরঃ খাদ্যাভাবে হয় দুর্ভিক্ষ

(ঘ) যে দেশে ফসল ভালো হয়, তাকে …………………… বলা হয়।

উত্তরঃ যে দেশে ফসল ভাল হয়, তাকে সুফলা বলা হয়।

৩। “একটি সুস্থ সবল পরিবেশের জন্য গাছপালা, পশু-পাখি এবং বিভিন্ন প্রাণীর আবশ্যকতা আছে।”

ওপরের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক তর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেন।

ঘ — প্রকল্প

১। বিভিন্ন ধরনের পাখির ছবি সংগ্রহ করে অ্যালবাম প্রস্তুত করো এবং ছবির নীচে পাখির নাম লেখো।

উত্তরঃ ছাত্র-ছাত্রীরা নিজে চেষ্টা করো

২। পরিবেশ সংরক্ষণ ও সজাগতার জন্য তিনটি শ্লোগান লিখে শ্রেণিতে ঝুলিয়ে রাখো।

উত্তরঃ পরিবেশ সংরক্ষণ ও সজাগতার জন্য তিনটি শ্লোগান—

(i) একটি গাছ একটি প্রাণ।

(ii) গাছ মানুষের বন্ধু

আমরা নই তাদের শত্রু।

(iii) পরিবেশ নিঃসন্দেহে মানবধাত্রী।

৩। এই গল্পটি অসমের এক বিশেষ জনগোষ্ঠী রাভাদের লোককথা। অন্য কোনো জনগোষ্ঠীর লোককথা শিখে শ্রেণিতে শোনাও।

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের পাহাড় বা অরণ্য অঞ্চলে, পাহাড়ের গায়ে বা বনের মধ্যে বেশ খানিকটা জায়গা ছেড়ে মাটির বাড়িতে মানুষ বাস করে। তাদের চেহারা ভাষা ঠিক আমাদের মতো নয়। পাহাড়ে এই ধরনের দলবদ্ধ মানুষ যারা বাস করে তাদের বাড়ি ঘর মাটি থেকে অনেকখানি উঁচুতে বাঁশ বা কাঠের তৈরি। ঘরের মেঝেও তাই। পাহাড়ি অঞ্চলে বর্ষাকালে জলের স্রোতে বাড়ি ঘর-দোর ভেসে যেতে পারে। জন্তুজানোয়ারের ভয় তো থাকেই। তাই পাঁচ-ছ হাত উঁচুতে এরা বাড়ি তৈরি করে। ঘরে ওঠার জন্য গাছের গুঁড়ির গায়ে খাঁজ কেটে উঁচুতে তৈরি ঘরের দরজায় হেলানো অবস্থায় রেখে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে, গাছের ছাল দিয়ে ঘর বাঁধা হয় কারণ, দড়ির ব্যবহার ওরা জানে না। বড়ো শহরে এসে দড়ি কেনবার পয়সাও তো তাদের নেই। কাজেই ওই পাহাড়ে গাছের ছাল কেটে নিয়েই ঘর বাঁধে। বনের মধ্যে বা পাহাড়ি অঞ্চলে যারা জলের ধারে থাকে তাদের খুব একটা অসুবিধে হয় না। কিন্তু পাহাড়ে যারা থাকে তারা পুকুর বা জলাশয় তো পায় না। বাঁশ ফালা করে কেটে নালা তৈরি করে ঝরনার জল এনে জমা ক’রে ব্যবহার করে। ফসলের গাছ শুকিয়ে তাই দিয়ে মেঝেতে বিছানা করে শোয়। এইভাবে জীবন যাপনের নানা ব্যাপারে অভিজ্ঞতা বুদ্ধি খাটিয়ে নিজেদের টিকে থাকার ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করে নেয়।

এইসব আদিবাসীদের বাসস্থান থেকে দূরে যে সভ্য ও শিক্ষিত মানুষের বাস তাদের শিক্ষা-দীক্ষা জীবনযাপনের উন্নত ধরন-ধারণের সঙ্গে এই সব শিক্ষা-দীক্ষাহীন মানুষগুলোর তফাত অনেক। সাজ-পোশাক, খাওয়া-দাওয়া, নিজেদের বিশ্বাস ও সংস্কার সব কিছুই যেন আলাদা করে রাখতে চায় এই সব গোষ্ঠী-বাঁধা জনজাতির মানুষেরা।

আমাদের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে পাহাড় বন যেমন দেখা যায় তেমনি ক্রমশ দক্ষিণে গেলে নদী বেশি, গাছপালা ভরা ঘন বনও আছে প্রায় সমুদ্রের ধার পর্যন্ত। বিহার-ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত অঞ্চলে। কিংবা, উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং কোচবিহার অঞ্চলে এইরকম অনেক গোষ্ঠীর দেখা মেলে। জলপাইগুড়ি জেলার ভুটান সীমান্ত এলাকায় ছোটো পাহাড়ের গায়ে বাস করে ছোটো এক গোষ্ঠী। এরা ‘টোটো’ নামে পরিচিত। এরা পাহাড়ি ঝরনার জল বাঁশের নল দিয়ে নিজেদের পাড়ায় নিয়ে আসে। বাড়িও করে পাহাড়ের গায়ে মাটি থেকে পাঁচ হাত উঁচুতে। গাছের গুঁড়িকে হেলিয়ে সিঁড়ির কাজ করে। বাঁশ কেটে ঝুড়ি বা ‘ডেকো’ বানায়। সেই ডেকোর সঙ্গে গাছের ছালের দড়ি দিয়ে কপালে আটকে সেই ঝুড়িতেই জিনিসপত্র নিয়ে যায়। বাঁশ দিয়ে নানান রকমের বাজনা ও যন্ত্র এরা তৈরি করে। মাপার জন্য খাঁজ কাটা লাঠি ব্যবহার করে। নিজেদের কাপড়চোপড় নিজেরাই তৈরি করে। কিন্তু কাপড়চোপড় পরিষ্কার করে না।

আর একটা গোষ্ঠী হল ‘গারো’। এরা উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে থাকে। সেখানকার অঞ্চলে মজুর খাটে এরা। কিংবা চাষ আবাদকেই জীবিকা করে নিয়েছে। নিজেরা শুটকি মাছ, সাপ, উইপোকা ইত্যাদি খায়। ভাত এবং কচু-কন্দ জাতীয় জিনিসও খায়।

আবার উত্তর-পূর্ব ভারতের কিরাত বা ব্যাধ জাতীয় আদিবাসীদেরই একটা অংশ হল উত্তরবঙ্গের ‘কোচ-রাঙা’। আগে এরা অরণ্যেই থাকত। ভাত, লঙ্কা আর নদী থেকে ধরে আনা মাছ পুড়িয়ে বা সেদ্ধ করে খেত। নিজেদের রুচিমতো এরা সুন্দর পোশাক তৈরি করে। এই পোশাক তৈরির পদ্ধতিটা আমরা নিতে পারিনি। এদের সমাজে পুরুষদের চেয়ে মেয়েদেরই প্রাধান্য বেশি।

উত্তরবঙ্গের আর একটা এই রকম আদিবাসী গোষ্ঠী হল ‘রাজবংশী’। বাঁশের তৈরি নানারকমের দরকারি জিনিস এরা তৈরি করে। ডালা, কুলো, ঝাড়ু বা ঝাঁটা, ধান রাখার জন্য ডোল এরা তৈরি করে।

আর একটা পাহাড়ি আদিবাসী গোষ্ঠী হল ‘চাকমা’। এ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিহার ঝাড়খণ্ড সীমান্ত অঞ্চলে সাঁওতাল ও খাঁড়িয়া, শবর, মুণ্ডা, কোল, ভিল ইত্যাদি আদিবাসী গোষ্ঠী তাদের নিজের আচার-ব্যবহার নিয়ে আলাদা একটা জীবনধারণের বৈশিষ্ট্য, নাচ-গান বা এক কথায় সংস্কৃতি নিয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে অনেক গোষ্ঠীই বাংলায় কথা বলে। যাদের কথা বলা হল তাদের বোঝাতে গিয়ে ‘জনজাতি’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে থেকে, নিজেদের মধ্যেই আত্মীয়তার সম্বন্ধ তৈরি করে থাকে এরা। বংশানুক্রমে বা সকলে মিলে এক মত হয়ে, একই ভাষা বা লিপিতে এরা ভাব প্রকাশ করে থাকে। জাতিভেদ বলতে যা বোঝায় তা এদের নেই। কিন্তু অন্য জাতি থেকে এরা নিজেদের আলাদা করতে চায়। নিজেদের সংস্কার ও বিশ্বাস এবং নিজের গোষ্ঠীগত ঐক্য এরা বজায় রাখতে চায়। জীবিকার টানে বাধ্য হয়ে অন্য জায়গায় যেতে হলেও নিজেদের নির্দিষ্ট একটা অঞ্চলেই এরা থাকতে ভালোবাসে।

জনজাতিদের আচার-আচরণ লক্ষ করলে প্রাচীন সভ্যতার ধরন-ধারণ খানিকটা আঁচ করা যায়। সভ্যতার সংস্পর্শে ধীরে ধীরে তাদের জীবনে পরিবর্তন আসবেই। তবে পাহাড়ি অঞ্চল বা বনাঞ্চলের ওপর তাদের জীবন নির্ভর করে বলে তারা পরিবেশকে রক্ষাই করছে।

We Hope the given Class 5 Bengali Book Question Answer will help you. If you Have any Regarding SEBA Board ক্লাস 5 এর বাংলা বই এর প্রশ্ন উত্তর, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top