SEBA Class 9 Social Science Chapter 6 ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 9 Social Science Chapter 6 ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 9 Social Science Chapter 6 ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 9 Social Science Chapter 6 ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 9 Social Science Chapter 6 ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 9 Social Science Chapter 6 ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 9 Social Science Chapter 6 ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন Suggestions in Bengali. SEBA Class 9 Social Science Chapter 6 ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 10 Social Science Part – I History, Social Science Part – II Political Science, Social Science Part – IIII Economics. If you liked SEBA Class 9 Social Science Chapter 6 ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন

দ্বিতীয় খণ্ড : ভূগোল

● পাঠ‍্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভূ-পৃষ্ঠে মহাদেশ ও মহাসাগরের বিস্তৃতির একটি আভাস দাও।

উত্তরঃ পৃথিবী সৃষ্টির শুরুতে একটি বাষ্পীয় পিণ্ডের আকার ছিল। ধীরে ধীরে পৃথিবীর আকৃতি পরিবর্তন হতে থাকে। পৃথিবীর উপরিভাগ ক্রমশ শীতল হয় এবং সংকুচিত হয়। এর উপরিভাগের কিছু কিছু স্থান বসে গিয়ে গভীর নিম্নভূমির সৃষ্টি হয় আবার কিছু কিছু অংশ উঁচু হয়ে পর্বতের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীকালে উপরকার জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টির আকারে পৃথিবীতে নেমে আসে। বৃষ্টিপাতের জলগুলো খাতগুলোতে জমে সাগর, মহাসাগরের সৃষ্টি হয়। এভাবে নিম্ন অঞ্চলগুলোতে জলভাগ তথা মহাসাগরের সৃষ্টি হয়েছে এবং উচ্চ অংশগুলোতে উচ্চভূমির সৃষ্টি হয়ে স্থলভাগ বা মহাদেশের সৃষ্টি হয়েছে। পৃথিবীর উপরিভাগে ৭১ শতাংশ জলভাগ এবং ২৯ শতাংশ স্থলভাগ।

মহাদেশগুলোর উপরিভাগে সমভুমি, মালভূমি, পাহাড়-পর্বত, নদী-উপত‍্যকা, মরুভূমি, উপকূলীয় সমভুমি ইত‍্যাদি পরিলক্ষিত হয়। অপরদিকে মহাসাগরগুলোতে নিমজ্জিত অবস্থায় মালভূমি, সমতলভূমি, পর্বতশ্রেণি, গভীরখাত, প্রবাল প্রাচীর ইত্যাদি দেখা যায়। এগুলো ছাড়াও কিছু সংখ্যক দ্বীপ ও দ্বীপপুঞ্জ দেখা যায়। অবশ্য ভূ-অবয়ব বা মহাসাগরের তলদেশ বাহ‍্যিক ও আভ‍্যন্তরীণ কারকসমূহ দ্বারা পরিবর্তন হচ্ছে। স্থলভাগে রয়েছে ৭টি মহাদেশ ও ৫ টি মহাসাগর।

প্রশ্ন ২। ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন কেন ঘটে, ব‍্যাখ‍্যা কর।

উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন সাধারণত দুটো কারকের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে—-

(ক) বাহ‍্যিক কারক। ও 

(খ) আভ‍্যন্তরীণ কারক। 

বাহ‍্যিক কারকগুলো হল—বায়ুর কার্য, বৃষ্টিপাত, নদীর দ্বারা ক্ষয়কার্য, সূর্যের তাপ, হিমবাহের কার্য, ভূমিস্খলন ইত্যাদি। আভ‍্যন্তরীণ কারকগুলোর মধ্যে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, ফলক বা পাতের (plate) স্থান পরিবর্তন ইত্যাদি। উপরোক্ত কারকসমূহের ক্রিয়ার ফলে কোথাও বা নিম্ন উপত্যকার সৃষ্টি হচ্ছে, কোনো স্থানে নতুন দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে, কোথাও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে, এমনকি নদীতে বালুচর অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ ও ব-দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে নানা ক্রিয়ার ফলে ভূ-পৃষ্ঠের আকারের পরিবর্তন ঘটছে।

প্রশ্ন ৩। বাহ‍্যিক কারক মানে কি ? কয়েকটি বাহ‍্যিক কারকের নাম লেখ।

উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে যে সকল কার্যের ফলে পরিবর্তন ঘটছে, সেগুলোকে বাহ‍্যিক কারক বলে। বাহ‍্যিক কারকগুলো হল—– সূর্যের তাপ, বায়ুর কার্য, বৃষ্টিপাত, নদ-নদীর ক্ষয়কার্য, হিমবাহের ক্ষয়কার্য, সাগরের ঢেউ ইত্যাদি। এছাড়া কিছুসংখ্যক জৈবিক কারক, যেমন—-মানুষ, জীবজন্তু ও উদ্ভিদ ইত্যাদি দ্বারা ধ্বংস কার্য।

S.L. No. সূচী-পত্ৰ
প্রথম খণ্ডইতিহাস
পাঠ -১ভারতে ইউরোপীয়দের আগমন
পাঠ -২ভারতীয় জাতীয়তাবাদের উন্মেষ
পাঠ -৩মোয়ামরীয়া গণবিদ্রোহ
পাঠ -৪মানের অসম আক্রমণ
পাঠ -৫অসমে ব্রিটিশ প্রশাসনের সূচনা
দ্বিতীয় খণ্ডভূগোল
পাঠ -১ভূ-পৃষ্ঠের পরিবর্তন
পাঠ -২বায়ুমণ্ডল : গঠন এবং বায়ুর চাপ ও বায়ুপ্রবাহ
পাঠ -৩ভারতবর্ষের ভূগোল
পাঠ -৪অসমের ভূগোল
তৃতীয় খণ্ডৰাজনীতি ও অৰ্থনীতি বিজ্ঞান
পাঠ -১ভারতের রাজনৈতিক দল
পাঠ -২নানা প্রকার সরকার বা সরকারের শ্রেণিবিভাগ
পাঠ -৩অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলো
পাঠ -৪প্রধান অর্থনৈতিক সমস‍্যাসমূহ

প্রশ্ন ৪। ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণকে কেন আভ‍্যন্তরীণ কারক বলা হয় ?

উত্তরঃ ভূ-ত্বকের অভ‍্যন্তর ভাগে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়। সাধারণভাবে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৬ কি:মি বা ৫০ কি:মি-এর মধ্যে ভূমিকম্পের কেন্দ্রের অবস্থান হতে পারে। সাধারণত গ্ৰানাইট বা ব‍্যাসল্ট স্তরে ভূকম্পন ঘটে থাকে।

অপরদিকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন‍্যুৎপাতের সময় যখন লাভা, ভস্ম, কাদা, বাষ্প প্রভৃতি বেরিয়ে আসে তখন আগ্নেয়গিরির নিকটবর্তী অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়। আবার ভূ-গর্ভে সঞ্চিত বাষ্পের চাপ কোনো কারণে খুব বেশি হলে ভূ- ত্বকের নিচে ধাক্কা দেয়। এর ফলে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া ভূগর্ভে অবস্থিত সঞ্চরণশীল প্লেট বা পাত কখনও একে অপরের নিকটে এসে ধাক্কা দেয় অথবা একে অপর থেকে দূরে সরে যায়। এর ফলেও ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়।

অতএব দেখা যায় যে ভূগর্ভের অভ‍্যন্তরে বিভিন্ন কারকের জন্য ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির উৎপত্তিস্থল ভূগর্ভের অভ‍্যন্তর ভাগ।

প্রশ্ন ৫। নদী অববাহিকা বলতে কি বোঝো ? নদী অববাহিকার একটি চিত্র অঙ্কন কর।

উত্তরঃ একটি মূল নদী বা প্রধান নদী তার উপনদী ও শাখা নদীসহ একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিধৌত করে। এইরূপ নদীবিধৌত অঞ্চলকে বলা হয় নদী অববাহিকা।

প্রশ্ন ৬। উপনদী কি ? ব্রক্ষপুত্রের প্রধান দুইটি উপনদীর নাম বলো।

উত্তরঃ পর্বতের উপরের বরফগলা জল অথবা হিমবাহ থেকে প্রবাহিত ছোট ছোট জলধারা নিচে নেমে এসে একস্থানে মিলিত হয় এবং একটি বড় নদীর সৃষ্টি করে। এসকল ছোট জলধারাকেই উপনদী বলে। অবশ্য বৃষ্টির জলেও উপনদীর সৃষ্টি হয়। যেমন, ব্রক্ষপুত্রের উপনদী—পুঠিমারি, বঙ্গানদী, জীয়া ভরলু, কপিলী ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৭। নদীর খননকার্যের একটু আভাস দাও।

উত্তরঃ নদীর উৎপত্তিস্থল বেশিরভাগই উচ্চ পাহাড়-পর্বত, উচ্চভূমি, জলপ্রপাত ইত্যাদি। একে নদীর প্রাথমিক গতি বলে।এই গতিতে নদী ইংরেজী ‘V’ আকৃতির হয়। এসময়ে পার্শ্বখনন বিশেষ হতে পারে না, তলদেশে এর খননকার্য চলে। উচ্চ অংশে নদী খরস্রোতা হয়। এই গতিতে নদী পাথর, বালি, মাটি, নুড়ি ইত্যাদি বহন করে আনে। এর ফলে এই প্রাথমিক গতিতে নদীর খননকার্য সর্বাধিক হয়। পর্বতাঞ্চল থেকে নিচে নামার পর নদীর মধ‍্যগতি আরম্ভ হয়‌। এসময়ে নদীর গতি কিছুটা মন্থর পড়ে এবং খননকার্য কম হয়। নদীর এ অবস্থায় তলদেশ অপেক্ষা পার্শ্বখনন দেখা যায়। নদীর এই গতিতে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, বালুচর ইত্যাদি দেখা যায়। নদীর গতিপথ সর্পিল আকৃতির হয়।

প্রশ্ন ৮। নদীর পার্শ্বখনন বলতে কি বোঝো ?

উত্তরঃ নদী উচ্চভূমির পার্বত্য অঞ্চল থেকে নিম্নভূমি অঞ্চলে প্রবেশ করার পর খননকার্য অতি ধীর গতিতে হয়। সমভুমি অঞ্চলে নদীর গতিবেগ হ্রাস পায় এবং স্রোতবাহিত বালু, মাটি, ছোট ছোট পাথর জমা হতে থাকে। এর ফলে নদীর গভীরতা কমে যায়। গভীরতা কমে যাওয়ায় নদী নিম্নভাগে খননকার্য না চালিয়ে দুই তীরে খননকার্য চালিয়ে গতিপথ প্রশস্ত করে। এই প্রকার খননকার্যকে পাড়-খনন (Bank Erosion) বা পার্শ্বখনন (Lateral Erosion) বলে।

প্রশ্ন ৯। অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ কি ? চিত্রের সাহায্যে এর সৃষ্টি কিভাবে হয়েছে বুঝাও।

উত্তরঃনদীর মধ‍্যগতির শেষের দিকে অসংখ্য বাঁকের সৃষ্টি হয়। কোনো কোনো সময় দুইটি বাঁক খুব কাছাকাছি এসে পড়ে। এরূপ ক্ষেত্রে বাঁক দুটির মধ‍্যবর্তী অংশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে জোড়া লেগে যায় এবং মূলধারা ঐ অংশ দিয়ে প্রবাহিত হতে আরম্ভ করে। এর ফলে দুইটি বাঁকের বিপরীত অংশটি মূল নদী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন ১০। প্লাবনভূমি কি ? এর সৃষ্টি কিভাবে হয় লিখ।

উত্তরঃ নদী সমভুমি প্রবাহের শেষ অংশে বর্ষাকালে বন‍্যাপ্লাবিত হয়ে নিচু অঞ্চলে পলিসঞ্চয় করে যে ভূমি সৃষ্টি করে তাকে প্লাবনভূমি বলে।

নদী তার নিম্ন প্রবাহপথে স্রোতের বেগ কম থাকায় অধিক পলি সঞ্চিত করে। তিই প্রবাহপথে চড়া, ব-দ্বীপ প্রভৃতি সৃষ্টি হয় এবং নদীর গতিবেগ অতি ধীর হয়ে যায়। সে সময় বর্ষাকালে নদীর জল বৃদ্ধি পেলে নদী কূল ছাপিয়ে বন‍্যার সৃষ্টি করে। বন‍্যার সময় দুই তীরবর্তী উপত‍্যকায় পলি সঞ্চিত হয়ে যে নিম্ন সমভূমির সৃষ্টি করে তাকে প্লাবন সমভুমি বলে, এ অবস্থায় নদী ঠিক তার ভূমিতেই অধিক পলি সঞ্চিত করে। এর ফলে নদীর পার বরাবর স্বাভাবিক বাঁধ (Natural Levee)- র সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ১১। নদীর গতিপথে কোথায় কিভাবে বালিচরের সৃষ্টি হয় লিখ।

উত্তরঃ সমভুমি অঞ্চলে নদীর গতিবেগ কম থাকায় পার্বত্য অঞ্চল থেকে বয়ে আনা প্রচুর পরিমাণে নুড়ি, বালি, পলি প্রভৃতি নদীবক্ষে সঞ্চিত হয়। এর ফলে নদীবক্ষে চর বা দ্বীপের সৃষ্টি হয়। ফলে নদীখাত বিশাল চওড়া ও অগভীর হয়ে পড়ে। এই বালিচর সাধারণত নদীর মধ‍্যগতিতে ও মোহনায় দেখা যায়। নদী তিনভাবে বালু বা পলি সংগ্ৰহ করে—

(i) জলে দ্রবীভূত অবস্থায় পলি বা বালু মধ‍্যগতিতে নদীর গতিবেগ মন্থর হয় এবং সেখানে থিতিয়ে পড়ে। 

(ii) কিছু সংখ্যক ভাসমান পদার্থ মধ‍্যগতি বা নিম্নগতিতে জমা হয়।

(iii) কিছু সংখ্যক শিলা, বৃক্ষরাজি, নুড়ি ইত্যাদি গড়িয়ে এসেও নদীবক্ষে জমা হয়। ব্রক্ষপুত্র নদীর মাজুলি বালুচরের উদাহরণ।

প্রশ্ন ১২। ব-দ্বীপের সৃষ্টি কিভাবে হয় লিখ।

উত্তরঃ নদীর নিম্নগতিতে প্রধান কাজ সঞ্চয় বা অবক্ষেপণ। এই সময় নদীর গতিবেগ অতি মন্থর। নদীবাহিত কাঁকর,বালি, পলি প্রভৃতি মোহনার কাছে সমুদ্রে বা হ্রদে জমতে থাকে, ফলে নদী মোহনার কাছে মাত্রাহীন ‘ব’- এর মতো যে ত্রিকোণাকার দ্বীপের সৃষ্টি হয় তাকে ব-দ্বীপ বলে। সুন্দরবন একটি পৃথিবী বিখ্যাত ব-দ্বীপ।

প্রশ্ন ১৩। মরুভূমিতে বাতাসের ক্রিয়া প্রবল কেন লিখ।

উত্তরঃ মরুভূমি শুষ্ক বালির দেশ, গাছপালাহীন শূন্য প্রান্তর। সেখানে শিথিল বালুর ওপর বায়ুপ্রবাহ অতিসহজেই তার শক্তিকে কাজে লাগায় ও ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায়। মরুভূমিতে বাতাস তিনভাবে কাজ করে—-

(ক) অপসারণ (Deflation).

(খ) অবঘর্ষণ (Abrasion).

(গ) ঘর্ষণ। 

বায়ুর কাজ সবচেয়ে বেশি মরু অঞ্চলে হওয়ার কারণ :—-

(i) মরুভূমি অঞ্চলে প্রবলবেগে বায়ু প্রবাহিত হয় কারণ এই স্থানে কোনো বনভূমি বা উদ্ভিদ থাকে না। 

(ii) মরুভূমি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা এবং বৃক্ষরাজির অভাবের জন্য মাটি বা বালি আলগা অবস্থায় থাকে ফলে অতি সহজেই বায়ু ক্রিয়াশীল হয়। 

(iii) মরুভূমি অঞ্চলে দিন ও রাত্রি এবং শীত ও গ্ৰীষ্মের তাপমাত্রার পার্থক্য অধিক হওয়ায় অধিক সংকোচন ও প্রসারণ ঘটে। ফলে যান্ত্রিক আবহবিকারের প্রভাবে শিলা অতি সহজেই চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় এবং বায়ুর ক্ষয়কার্যের সুবিধে হয়।

উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মরুভূমিতে বাতাসের ক্রিয়া অতি প্রবল।

প্রশ্ন ১৪। অবনমন বলতে কি বোঝো ?

উত্তরঃ শুষ্ক মরু অঞ্চলে ক্ষয়কার্যের প্রথম পর্যায় অবনবন। প্রবলবেগে বায়ুপ্রবাহে বালুকারাশি একস্থান থেকে উড়ে অন‍্যস্থানে যায় এবং সেখানে গর্তের সৃষ্টি করে। এভাবে ধূলিকণা একস্থান থেকে অন‍্যস্থানে যাওয়া কার্যকে অবনমন বলে।

প্রশ্ন ১৫। বালিয়াড়ি কিভাবে সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ প্রবলবেগে বায়ুপ্রবাহের ফলে বাহিত বালুরাশি মরুভূমির মধ্যে কোনো শিলাস্তূপ বা ঝোপঝাড়কে আশ্রয় করে সঞ্চিত হয় এবং বালুর ঢিপি গঠন করে। এই বালির ঢিপি বা স্তূপকে বালিয়াড়ি(Sand Dune) বলে।

প্রশ্ন ১৬। ইনসেলবার্গ কী ?

উত্তরঃ বাতাসের ক্ষয়কার্যের ফলে মরুভূমিতে থাকা ছোট ছোট পাহাড়গুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। এই ক্ষয়প্রাপ্ত ছোট ছোট পাহাড়গুলোকে ইনসেলবার্গ বলে। কোমল শিলা সম্পূর্ণভাবে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ও কঠিন শিলাস্তর অনুচ্চ মসৃণ ঢিলার আকারে দাঁড়িয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমিতে ইনসেলবার্গ দেখা যায়।

প্রশ্ন ১৭। হিমবাহের সংজ্ঞা দাও। নদীর সঙ্গে এর পার্থক্য কী লেখো।

উত্তরঃ সুউচ্চ পর্বতের শিখরদেশে হিমরেখার ঊধের্ব ও মেরুপ্রদেশে তুষার পরিলক্ষিত হয়। স্তরে স্তরে সজ্জিত এই তুষার জমাট বাঁধা বরফের আকারে থাকে। এই জমাট বাঁধা বরফের ভারে তুষারের নিম্নপ্রদেশে চাপের সৃষ্টি হয়। ফলে সেখানে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে বরফ গলতে শুরু করে। ভূমির ঢাল অনুসারে ঐ বরফ আকারে অতি ধীরগতিতে প্রবাহিত হয়। এই প্রবাহমান তুষার বা বরফের নদীকে হিমবাহ বলে।

নদী ও হিমবাহের পার্থক্য :

নদীহিমবাহ
১। নদী বৃষ্টির জল বা হিমবাহের জল দ্বারা পুষ্ট।১। হিমবাহ জলীয় বাষ্প জমে গঠিত হয়।
২। নদীর পার্বত্য অঞ্চল থেকে আরম্ভ করে মোহনা পযর্ন্ত তিনটি পর্যায় দেখা যায়।২। হিমবাহ কেবলমাত্র মেরু অঞ্চলে বা পর্বত শিখরে দেখা যায়।
৩।নদীর জল পার্বত্য অঞ্চলে খর-স্রোতা এবং মোহনা পযর্ন্ত এই স্রোত ধীরগতিতে বহে।৩। হিমবাহ পর্বতের গা বেয়ে নেমে অতি ধীরগতিতে নেমে আসে।
৪। পার্বত্য অঞ্চলে নদীর গতিপথ ‘I’ বা ‘V’ আকৃতির হয়।৪। হিমবাহের গতিপথের আকৃতি ‘U’ আকৃতির হয়।
৫। নদী অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ, ব-দ্বীপ, প্লাবনভূমি ইত‍্যাদির সৃষ্টি করে।৫। হিমবাহের দ্বারা সৃষ্ট ভূআকৃতিগুলো ড্রামলিন, এস্কার, কেম ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৮। গ্ৰাব কি ? চিত্র এঁকে বিভিন্ন শ্রেণির গ্ৰাবগুলো চিহ্নিত করোও।

উত্তরঃ (ক) পার্বত্য অঞ্চলের অবক্ষেপণ : হিমবাহের কার্যের ফলে উৎপাটিত ও ক্ষয়প্রাপ্ত শিলা প্রবাহপথে আরও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ক্ষুদ্রাকার  হয় এবং পথে সঞ্চিত হতে থাকে। এগুলিকে গ্ৰাবরেখা (Moraine) বলে। হিমবাহের সাথে বাহিক হওয়ার সময় হিমবাহের পার্শ্ববরাবর সঞ্চিত হলে সেই অবক্ষেপণে শিলাসমূহকে পার্শ্ব গ্ৰাবরেখা (Lateral moraine) বলে। আর হিমবাহের সম্মুখপ্রান্তে সঞ্চিত শিলাসমূহকে বলে প্রান্তিক গ্ৰাবরেখা(Terminal moraine)। আবার দুটি হিমবাহের প্রবাহ কোনো স্থানে একত্রে মিলিত হলে ঐ হিমবাহ দুটির পার্শ্বগ্ৰাবরেখা একত্র মিলিত হয়ে সৃষ্টি করে মধ‍্য-গ্ৰাবরেখা(Medial moraine)। হিমবাহের সঙ্গে বাহিত হতে থাকা শিলাখণ্ডসমূহ তুষার বা বরফ ভেদ করে নিম্নপ্রদেশে প্রবেশ করে ও উপত‍্যকাভূমির উপর অবক্ষেপিত হয়। এভাবে সৃষ্টি হয় ভূমি গ্ৰাবরেখা (Ground moraine)।

প্রশ্ন ১৯। হিমবাহের ক্রিয়ার ফলে ধারালো শৃঙ্গ সৃষ্টি কিভাবে হয় লিখ।

উত্তরঃহিমবাহের অত‍্যধিক চাপ ও ঘর্ষণের ফলে উপত‍্যকার উপরের অংশ খাড়াই হয় এবং মধ‍্য অংশে অনেকটা গর্তের অবনত জায়গার সৃষ্টি হয়। পুরো আকৃতিটা দেখতে অনেকটা হাতলওয়ালা আরামকেদারার মতো দেখায়।ফরাসী ভাষায় একে সার্ক (Cirque) বলে। যখন বিভিন্ন দিক থেকে তিন চারটি সার্ক পাশাপাশি একসঙ্গে বিরাজ করে, তখন মাঝখানের খাড়া চূড়াটিকে পিরামিডের মতো দেখায়। একে পিরামিড চূড়া (Pyramidal peak) বলা হয়। উদাহরণ— আল্পসের ম‍্যাটারহর্ণ, হিমালয়ের নীলকণ্ঠ ও শিবলিঙ্গ পিরামিড চূড়া।

প্রশ্ন ২০। উপকূল কাকে বলে ?

উত্তরঃ সাগর বা মহাসাগরের পাড় বা তীরকে উপকূল বলে।

প্রশ্ন ২১। বেলাভূমি কি ? এর গুরুত্ব সম্বন্ধে লিখ।

উত্তরঃ সমুদ্রের অবক্ষেপণ জনিত কারণে সমুদ্রের উপকূলভাগে বা তটভূমিতে বালি জমা হয়। বালি ছাড়াও ছোট ছোট পাথরও থাকতে পারে। একে বেলাভূমি বলা হয়। এটি ঢালযুক্ত হয়। এই ক্রিয়া সমুদ্রের উপকূলে আছড়ে পড়া উত্তাল তরঙ্গ (Swash)এবং ফিরে যাওয়া (Back Wash) তরঙ্গের মিলিত ক্রিয়ায় গড়ে ওঠে।

সমুদ্রের উপকূলে যে বালি (Sea Beach )দেখা যায়, বর্তমানে সেখানে অনেক দেশী ও বিদেশী পর্যটক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আসেন ও সেখানে বিনোদনও করতে আসেন। এজন্য সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে অনেক বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। উপকূলবর্তী চর অঞ্চলের লোকেদের অর্থ উপার্জন হচ্ছে।

প্রশ্ন ২২। সাগর মহাসাগরের ঢেউ কীভাবে উপকূলের পরিবর্তন সাধন করে, সংক্ষেপে লিখ।

উত্তরঃ উপকূল অঞ্চলে সাগরের ঢেউ অহরহ ক্রিয়া করছে। অবশ্য সব উপকূলের ঢেউয়ের কাজ এক ধরনের হয় না। উপকূলভাগের বর্তমান পযর্ন্ত যে রূপ দেখতে পাওয়া যায়, তা সমুদ্রের ঢেউয়ের কার্যের পরিণতি।

সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে উপকূলবর্তী কঠিন শিলা গ্ৰেনাইট, ব‍্যাসল্ট ইত্যাদি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে খাড়া উপকূলে পরিণত হয়। অপরদিকে সাগরের ঢেউ উপকূলবর্তী তটভূমিতে কর্দম, বালি ইত্যাদি অবক্ষেপণ করে এবং প্রাকৃতিক-ভাবেই বালির চর গড়ে উঠে। অবশ্য এই তটভূমিতে মিহি বালুকণা থেকে ছোট ছোট শিলাখণ্ডও থাকতে পারে। সাগরের ঢেউ উপকূলভাগে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ২৩। নিচে দেওয়া কারক ও অবয়বগুলির কোনটি কার সৃষ্টি তির চিহ্ন দ্বারা দেখাও।

উত্তরঃ

প্রশ্ন ২৪। ভূ-পৃষ্ঠে ভবিষ্যতে কি ধরনের পরিবর্তন সংঘটিত হতে পারে ভেবে চিন্তে লিখ।

উত্তরঃ ভবিষ্যতের পরিবর্তনের কারণগুলিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়—-

(ক) বাহ‍্যিক কারণ।এবং 

(খ) অভ‍্যন্তরীণ কারণ।

(ক) বাহ‍্যিক কারণ : ঝড়-বৃষ্টি, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, ভূমিক্ষয় প্রভৃতি প্রাকৃতিক কারণ। কিছু পরিবর্তন মানবসৃষ্ট। বর্তমানে পারমাণবিক যুদ্ধবিগ্ৰহ, ভূগর্ভে আণবিক বোমা বিস্ফোরণ, রাসায়নিক যুদ্ধ, বিভিন্ন ধরনের প্রদূষণ, অরণ্য ধ্বংস, বিভিন্ন জীবজন্তুর দ্বারা ভূমিক্ষয় ইত‍্যাদির দ্বারা বাহ‍্যিক পরিবর্তন ঘটতে পারে। গোলকীয় উষ্ণতার কারণেও পরিবর্তন ঘটতে পারে।

(খ) অভ‍্যন্তরীণ কারণ : ভূমিকম্প, অগ্ন‍্যুৎপাত, সুনামি, খনি অঞ্চলের ধ্বংস ইত‍্যাদি কিছু অভ‍্যন্তরীণ কারণের ফলে ভবিষ্যতে ভূ-পৃষ্ঠের অনেক পরিবর্তন হতে পারে।[ এগুলি ছাড়াও নিজে আরও কিছু লিখতে চেষ্টা করবে ]

প্রশ্ন ২৫। তোমার নিজের গ্ৰাম বা শহরের ভূপৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে একটি টীকা লেখো। 

এলাকাটির একটি মানচিত্র এঁকে প্রধান ভূ- অবয়বগুলি (নদী, পাহাড়, বিল, সমভুমি) ইত্যাদি দেখাবার চেষ্টা করো।

উত্তরঃ নিজেরা করো।

অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। ভূ-পৃষ্ঠে কতভাগ জল ও কতভাগ স্থল ?

উত্তরঃ ৭১% জল এবং ২৯% স্থল।

প্রশ্ন ২। কী কী বাহ‍্যিক কারক ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে ক্রিয়া করে ?

উত্তরঃ সূর্যের উত্তাপ, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, নদ-নদী, হিমবাহ, সাগরের ঢেউ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩। কীসের দ্বারা একটি অববাহিকার সৃষ্টি হতে পারে ?

উত্তরঃ উপনদী ও শাখানদী দ্বারা।

প্রশ্ন ৪। নদীর কার্যাবলীকে কী কী শ্রেণিতে ভাগ করা যায় ?

উত্তরঃ(ক) খনন বা ক্ষয়কার্য।

(খ) পরিবহণ।এবং

(গ) অবক্ষেপণ।

প্রশ্ন ৫। নদীর গতিপথ বলতে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ নদীর উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত খননকার্যের দ্বারা যে ধারা প্রবাহিত হয় তাকে নদীর গতিপথ বুঝায়।

প্রশ্ন ৬। নদীর কোন গতিতে ক্ষয়কার্য বেশি করে হয় ?

উত্তরঃ উচ্চগতিতে।

প্রশ্ন ৭। নদী কিভাবে পলি সংগ্ৰহ করে ?

উত্তরঃ নদী চারটি পদ্ধতিতে পলি সংগ্ৰহ করে—

(ক) নদীবক্ষের উপর দিয়ে।

(খ) উল্লম্ফন প্রক্রিয়ায়।

(গ) ভাসমান অবস্থায়।এবং

(ঘ) দ্রবণের মাধ্যমে।

প্রশ্ন ৮। নদীর গতি কয়টি এবং কী কী ?

উত্তরঃ নদীর গতি তিনটি—-

(ক) প্রাথমিক গতি।

(খ) মধ‍্যগতি।এবং 

(গ) নিম্নগতি।

প্রশ্ন ৯। প্রাকৃতিক বাঁধ কি ?

উত্তরঃ নদী দ্বারা পরিবাহিত ভারী পদার্থ বেশিদূর যেতে পারে না। নদীর কাছেই এই পরিত‍্যক্ত পদার্থগুলি একটি লম্বা বাঁধের আকার ধারণ করে। এই বাঁধ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়াতেই সৃষ্টি হয়। এই কারণে একে প্রাকৃতিক বাঁধ (Natural Levee) বলা হয়। একে বালুকাবন্ধনীও বলা হয়।

প্রশ্ন ১০। পৃথিবীর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঝড়ের নাম লিখ।

উত্তরঃ হ‍্যারিকেন, টাইফুন, সাইক্লোন, টর্নেডো।

প্রশ্ন ১১। বায়ুর কী কী কার্যের দ্বারা মরুপৃষ্ঠের পরিবর্তন হয় ?

উত্তরঃ খনন, পরিবহণ ও অবক্ষেপণ।

প্রশ্ন ১২। অবঘর্ষণ বলতে কী বুঝ ?

উত্তরঃ মরুভূমির প্রচগুবেগে প্রবাহিত বায়ু তার গতিপথে থাকা উচ্চভূমির ক্ষয়সাধন করে। ঘর্ষণের দ্বারা এরূপ ক্ষয়কার্যকে অবঘর্ষণ(Abrasion) বলে।

প্রশ্ন ১৩। ইয়ার ডাং কী ?

উত্তরঃ মরু অঞ্চলে কঠিন ও কোমল শিলা উল্লম্বভাবে অবস্থান করলে অবঘর্ষণজনিত কারণে কোমল শিলাস্তর দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং টিলার আকারে দাঁড়িয়ে থাকে। এদের ইয়ার ডাং বলে।

প্রশ্ন ১৪। হিমবাহের গতিবেগ কত ?

উত্তরঃ একদিনে মাত্র ১মিটার বা তারও কম।

প্রশ্ন ১৫। হিমবাহ কত প্রকারের এবং কী কী ?

উত্তরঃ হিমবাহ দুই প্রকারের—

(ক)মহাদেশীয় হিমবাহ।এবং

(খ) পার্বত্য বা হিমবাহ উপত‍্যকা।

প্রশ্ন ১৬। প্রধানত কোন কোন পার্বত্য অঞ্চলে হিমবাহ দেখা যায় ?

উত্তরঃ ইউরোপের আল্পস, উত্তর আমেরিকার রকি, এশিয়া মহাদেশের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে।

প্রশ্ন ১৭। হিমবাহের আকৃতি কীরূপ দেখা যায় ?

উত্তরঃ ‘U’ আকৃতির।

প্রশ্ন ১৮। গ্ৰাব বলতে কী বুঝ ?

উত্তরঃ উত্তরঃ হিমবাহ কোনো উপত‍্যকা থেকে নেমে আসার সময় বরফ ছাড়া অন‍্য যে সকল পদার্থ বহন করে আনে তাকে গ্ৰাব বলে।

প্রশ্ন ১৯। উপকূল বলতে কী বুঝ ?

উত্তরঃ সাগর বা মহাসাগরের পাড় বা তীরকে উপকূল বলে।

প্রশ্ন ২০। পৃথিবীর উপকূলভাগের সর্বমোট দৈর্ঘ্য কত ?

উত্তরঃ প্রায় ০.৫ নিযুক্ত কিলোমিটার।

প্রশ্ন ২১। সামুদ্রিক ঢেউ কী কী কারকের উপর নির্ভর করে ?

উত্তরঃ উপকূলের ভূ-তাত্ত্বিক গঠন, নিকটবর্তী জলভাগের গভীরতা, সাগরে বায়ুর ক্রিয়া, উপকূলে উদ্ভিদের উপস্থিতি প্রভৃতি কারকের উপর সামুদ্রিক ঢেউ নির্ভর করে।

প্রশ্ন ২২। সুনামি বলতে কী বুঝ ?

উত্তরঃ কখনও কখনও সাগরের নিম্নভাগে ভূ- আন্দোলন সংঘটিত হয় এবং এর ফলে উপকূলবর্তী অঞ্চলে সমুদ্রের জল উঠে এসে বন‍্যার সৃষ্টি করে। একে সুনামি বলে।

প্রশ্ন ২৩। সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ।

উত্তরঃ গ্ৰাবরেখা, ড্রামলিন, আগামুক, এস্কার, হিমদ্রোণী, কেম।

(i) গ্ৰাবরেখা(Morian) : হিমবাহ পার্বত্য অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় ক্ষয়প্রাপ্ত নুড়ি, কাঁকর, শিলাখণ্ড, বালি প্রভৃতি বয়ে নিয়ে যায়। এই সমস্ত বিচ্ছিন্ন অংশগুলো হিমবাহের দু-পাশে, সামনে ও তলদেশে স্তূপাকারে সঞ্চিত হয়, এইসব সঞ্চিত স্তূপকে গ্ৰাবরেখা বলে।

(ii) ড্রামলিন(Drumlin) : পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ গলে গেলে তার বয়ে আনা নুড়ি, বালি, কাদার বিভিন্ন আকৃতির খণ্ডশিলা অবক্ষেপ হিসাবে সঞ্চিত হয়ে উল্টানো ছোটো ছোটো নৌকার বা আধখানা ডিমের মতো যে ভূমিরূপের সৃষ্টি করে তাকে ড্রামলিন বলে। উদাহরণ—উত্তর ইংল‍্যাণ্ড, উত্তর আয়ারল‍্যাণ্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলে এরূপ ড্রামলিন দেখা যায়।

(iii) আগামুক (Erratic) : বিশালাকৃতির শিলাখণ্ডগুলো হিমবাহবাহিত হয়ে দূরের অঞ্চল থেকে অন‍্যত্র এসে অবস্থান করলে তাকে আগামুক বলে। ল‍্যাটিন শব্দ ইরাটিকাস (Erraticus)  শব্দের অর্থ আগন্তুক বা আগামুক। উদাহরণ—কাশ্মীরের উচ্চপার্বত‍্য অঞ্চলের পহলগাঁও-এ এই ধরনের আগামুক দেখা যায়।

(iv) এস্কার (Esker) : হিমবাহের তলদেশে বিভিন্ন ধরনের শিলাখণ্ড, নুড়ি, কাঁকর, বালি প্রভৃতি জমে আঁকা-বাঁকা শৈলশিরার মতো ভূমিরূপের সৃষ্টি করে, এদের এস্কার বলে। ফিনল‍্যাণ্ড ও আয়ারল‍্যাণ্ড অঞ্চলে এরূপ এস্কার দেখা যায়।

(v) হিমদ্রোণী বা U-আকৃতির উপত‍্যকা (Glacial trough or ‘U’ shaped valley) : যখন হিমবাহ কোনও নদী উপত‍্যকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন হিমবাহ ও নদীর ক্ষয়কাজের ফলে হিমবাহ উপত‍্যকা দেখতে ইংরেজি ‘U’  অক্ষরের মতো হয়, তখন তাকে হিমদ্রোণী বা ‘U’ আকৃতির উপত‍্যকা বলে। বদ্রীনাথ থেকে নিচের দিকে ‘U’ আকৃতির উপত‍্যকা রয়েছে।

(vi) কেম (kame) : পার্বত্য হিমবাহের শেষপ্রান্তে হিমবাহ যেখানে গলতে শুরু করে সেখানে কাঁকর, বালি, কাদা প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকৃতি ব-দ্বীপের মতো যে ভূমিরূপের সৃষ্টি হয় তাকে কেম বলে।

প্রশ্ন ২৪। হিমবাহের গতি অতি ধীর কেন ?

উত্তরঃ হিমবাহের গতি অতি ধীর কারণ উচ্চ পর্বতশৃঙ্গে বা মেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাংকের নিচে থাকে। হিমবাহ সহজে গলতে পারে না। মাধ‍্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে সমস্ত দিনে মাত্র ১ মিটার নামতে পারে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top