SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 ঠেঙাল কছারিগণ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 ঠেঙাল কছারিগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 ঠেঙাল কছারিগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 ঠেঙাল কছারিগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.

SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 ঠেঙাল কছারিগণ

Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium নবম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 10 ঠেঙাল কছারিগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

বৈচিত্রপূর্ণ আসাম

[ ঠেঙাল কছারিগণ ]

পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তর-

১। মঙ্গোলীয়া কিরাতদের শারীরিক বৈশিষ্ট্য কেমন ?

উত্তরঃ মঙ্গোলীয়া গােষ্ঠীর অবয়বের বৈশিষ্ট্য হল- “গায়ের রঙ হলদেটে, চুল কালাে, ঋজু আর ও অমসৃণ, দাড়ি গোঁফ প্রায় নেই, শরীর মােটামুটি লােমহীন, মুখমণ্ডল গােলাকৃতি, নাক চ্যাপ্টা। হনু স্পষ্ট, চোখ ছােট। নেত্রচ্ছেদের ভাঁজ মঙ্গোলীয়দের বিশেষ লক্ষণ।”

২। মঙ্গোলীয়া কিরাতদের সংস্কৃত ভাষায় কী বলা হয় ?

উত্তরঃ মঙ্গোলীয়া কিরাতদের সংস্কৃত ভাষায় কক্ষবাট বলা হয়। কক্ষবাট > কক্ষত > কচ্ছ।

৩। কছারি’ নাম কীভাবে উৎপত্তি হয়েছিল ?

উত্তরঃ অসমের একটি প্রাচীন জাতি কছারি! একসময় এদের কিরাত বলে অভিহিত করা হত। এরা সাধারণত কোনাে বড় নদী বা পর্বতের পাশে বসবাস করত। সেইজন্য সংস্কৃত ভাষায় তাদের কক্ষবাটি বলা হয়। কক্ষবাট > কক্ষত > কচ্ছ। কচ্ছের সঙ্গে অরি যুক্ত হয়ে (কচ্ছ + অরি) কছারি নামের উৎপত্তি হয়েছিল।

৪। ড. ভুবনমােহন দাস মঙ্গোলীয়দের কয়টি ভাগে ভাগ করেছিলেন ?

উত্তরঃ ড. ভুবনমােহন দাস উত্তরপূর্ব ভারতের মঙ্গোলীয়দের শ্রেণিবিভাগ করেছেন। 

১। খাসি।

২। বােড়াে।

৩। লুসাই কুকি। 

৪। নাগা। 

৫। অরুণাচলের জনজাতি।

৬। অন্যান্য। 

অন্যান্য জাতির মধ্যে মিসিং, দেউরি, হাজং- এর উল্লেখ পাওয়া যায়।

৫। ঠেঙাল কছারিরা পৌরাণিক কোন গােষ্ঠী থেকে এসেছে ?

উত্তরঃ ঠেঙাল কছারিরা মঙ্গোলীয় প্রজাতির বােড়াে গােষ্ঠীর পূর্ব শাখা থেকে এসেছে।

৬। ঠেঙাল কছারিদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আলােচনা করাে।

উত্তরঃ ঐতিহাসিক বিবরণ থেকে অনুমান করা যায় যে অসমের উজানি অঞ্চলের শদিয়ার থেকে দৈয়াং ধনশিরি উপত্যকা এবং নগাঁও পর্যন্ত ঠেঙাল কছারির বংশসমূহের অবস্থান ছিল। ঐতিহাসিক পাকচক্র এবং অর্থনৈতিক কারণগত তারা অসমের বিভিন্ন প্রান্তের ব্রহ্মপুত্রের উত্তর এবং দক্ষিণ পারে বিভক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান যােরহাট জেলা থেকে নাগাপাহাড় পর্যন্ত তিতাবরকে কেন্দ্র করে ঠেঙাল কছারিগণ বসতি স্থাপন করেছে। গােলাঘাট জেলার ধনসিরি নদীর পারের ঠেঙাল গ্রাম পঙ্কা, মরঙি, বুঢ়াগােহাই ঘাট, সরপথার, বরপথার, সাউদাংপথার, গমারি, কাৰ্বি আংলং জেলার কলিয়নী, নাজিরা, ডিব্রুগড়ের নাহরনি, সােনাপুর, কৃষ্ণপুর, ঢেকিয়াজুলি, ধেমাজি, গােগমুখ, নাহরবারি, পানিগাঁও, জোনাই ইত্যাদি স্থানে ঘনবসতিপূর্ণ ঠেঙ্গাল কছারির গ্রাম আছে।

৭। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

S.L. No.Group – A সূচীপত্র
পাঠ – ১গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা
পাঠ – ২খাই খাই
পাঠ – ৩ধূলামন্দির
পাঠ – ৪কবর
পাঠ – ৫মনসামঙ্গল
পাঠ – ৬প্রত্যুপকার
পাঠ – ৭ছুটি
পাঠ – ৮ডাইনী
পাঠ – ৯পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম
পাঠ – ১০অ্যান্টিবায়ােটিক ও পেনিসিলিনের কথা
পাঠ – ১১লড়াই
পাঠ – ১২আমরা
পাঠ – ১৩আগামী
পাঠ – ১৪আত্মকথা
পাঠ – ১৫ভারতবর্ষ
পাঠ – ১৬ব্যাকরণ
পাঠ – ১৭রচনা
S.L. No.Group – B বৈচিত্রপূর্ণ আসাম
পাঠ – ১আহােমগণ
পাঠ – ২কাছাড়ের জনগােষ্ঠী
পাঠ – ৩কারবিগণ
পাঠ – ৪কোচ রাজবংশীগণ
পাঠ – ৫গড়িয়া, মরিয়া ও দেশীগণ
পাঠ – ৬গারােগণ
পাঠ – ৭সাঁওতালগণ
পাঠ – ৮চা জনগােষ্ঠী
পাঠ – ৯চুটিয়াগণ
পাঠ – ১০ঠেঙাল কছারিগণ
পাঠ – ১১ডিমাসাগণ

(ক) লৌহপ্রাণ গিরিধর ঠেঙাল 

(খ) কমল কছারি

উত্তরঃ (ক) লৌহপ্রাণ গিরিধর ঠেঙাল – অসমের আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক ইতিহাসে যে সমস্ত খিলঞ্জিয়া ব্যক্তি উল্লেখযােগ্য অবদান রেখেছেন গিরিধর ঠেঙাল তাদের অন্যতম। জোরহাট জেলার তিতাবর মহকুমার অন্তর্গত ঠেঙাল মৌজার উলুতলি গ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে ১৯২১ সালে ১২উ জানুয়ারি গিরিধর ঠেঙাল জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল জিলিরাম ঠেঙাল এবং মাতার নাম ছিল কান্দুরি ঠেঙাল। শৈশবে মাতৃহারা গিরিধর ঠেঙাল জ্যাঠাইমার কাছে মানুষ হন। যােরহাটের সরকারি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করে জগন্নাথ বরুয়া কলেজ থেকে বি. এ. পাশ করেন। ১৯৫২ সালে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বি. এল. ডিগ্রী লাভ করেন।

শিক্ষক হিসাবে গিরিধর ঠেঙালের কর্মজীবন শুরু হয়। শিক্ষাজগৎ থেকে তিনি রাজনীতিতে যােগদান করেন। ধীরে ধীরে রাজনৈতিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায় এবং বিভিন্ন অঞ্চলের শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন-এর সাথে জড়িয়ে পড়েন। জালুকনিবারী উচ্চবিদ্যালয়, তিতাবর নন্দনাথ শইকিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে তার নাম উল্লেখযােগ্য।

(খ) কমল কছারি – যােরহাটের তিতাবর মহকুমার ঠেঙাল মৌজার মরধলি কছারি গ্রামে এক কৃষক পরিবারে কমল কছারি জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম ছিল উনিরাম কছারি, মায়ের নাম সরু আইতি কছারি। জীবিকার কর্মসূত্রে তিনি শিবসাগর জেলার নাজিরায় বাস করতেন। একাধারে তিনি ছিলেন ভাস্কর্য শিল্পী, চিত্রশিল্পী, বেতার শিল্পী। তিনি অসমের নিয়মিত পত্রিকা প্রতিধ্বনি’, ‘অসমবাণী’, ‘নীলাচল, ‘অগ্রদূত’, ‘সাদিন’, ‘প্রতিদিন’-এর নিয়মিত লেখক ছিলেন। সংগীত, কবিতা, নাটক রচনা করা ছাড়াও তিনি ফেস্টুন, প্রচ্ছদ তৈরি করতেন। অসম সাহিত্য সভা তাকে “বিষ্ণুপ্রসাদ রাভা বঁটা”প্রদান করে। শিবসাগর সাহিত্য সভা কমল কছারিকে “কবি কমল কছারি সাহিত্য বঁটা” প্রদান করে।

দরদি কবি কমল কছারি ৬৫ বছর বয়সে ২০১৩ সালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top