SEBA Class 9 Science Chapter 12 শব্দ

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 9 Science Chapter 12 শব্দ Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 9 Science Chapter 12 শব্দ Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 9 Science Chapter 12 শব্দ Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes Class 9 Science Textbook Question Answer in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 9 Science Chapter 12 শব্দ

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 9 Science Chapter 12 শব্দ Suggestions in Bengali. SEBA Class 9 Science Chapter 12 শব্দ Notes PDF Download. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 9 Science Chapter 12 শব্দ If you liked SEBA Class 9 Science Chapter 12 শব্দ Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

শব্দ

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। কম্পনরত বস্তুর দ্বারা কোন মাধ্যমে উৎপন্ন শব্দ কিভাবে তোমার কানে পৌঁছায়?

উত্তরঃ একটি সুরশলাকাকে রাবার প্যাডে আঘাত করলে শব্দের সৃষ্টি হয় এবং তা আমরা শুনতে পারি। এখন যদি কম্পমান শলাকাকে হাত দ্বারা স্পর্শ করি তবে কম্পন অনুভূত হবে এবং শব্দ থেমে যাবে। এ থেকে বুঝা যায় যে কম্পনের ফলেই শব্দ আমাদের কানে পৌঁছায়। কোন বস্তুর কম্পন বস্তুটির চারিদিকের মাধ্যমের কণিকাসমূহকে কম্পনশীল করে। কম্পনরত বস্তুর সংস্পর্শে থাকা মাধ্যমের কণাগুলি প্রথমে তাদের সাম্য অবস্থা থেকে বিচ্যুত হয়। এবং পার্শ্ববর্তী কণার উপর বল প্রয়োগ করে। ফলে পার্শ্ববর্তী কণা তাদের স্থির অবস্থা থেকে বিচ্যুত হয়। পার্শ্ববর্তী কণাকে স্থানচ্যুত করে পূর্ববর্তী কণা তাদের স্বস্থানে ফিরে যায়। মাধ্যমের মধ্যে এই প্রক্রিয়া ক্রমাগত চলতে থাকে যতক্ষণ না শব্দ শ্রোতার কানে পৌঁছায়।

প্রশ্ন ২। তোমার বিদ্যালয়ের ঘণ্টা কিভাবে শব্দ সৃষ্টি করে ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ যখন স্কুলে হাতুড়ি দিয়ে ঘণ্টাটি বাজানো হয় তখন ঘণ্টার কম্পনের ফলে শব্দের সৃষ্টি হয়। আমরা আস্তে করে ঘণ্টাটি ধরলে কম্পন অনুভূত হবে এবং শব্দ থেমে যাবে। এ থেকে বুঝা যায় যে ঘণ্টার কম্পনের ফলেই শব্দের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রশ্ন ৩। শব্দ তরঙ্গকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয় কেন?

উত্তরঃ শব্দের বিস্তারের জন্য যে কোন মাধ্যমের প্রয়োজন যেমন বায়ু, জল, ইস্পাত ইত্যাদি। মাধ্যমের কণাগুলির এটা একটা বৈশিষ্ট্য। সেইজন্য শব্দ তরঙ্গকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলা হয়।

প্রশ্ন ৪। মনে কর তুমি এবং তোমার বন্ধু চন্দ্রে আছো। তোমার বন্ধুর দ্বারা উৎপন্ন শব্দ তুমি শুনতে পাবে কি?

উত্তরঃ না, কারণ চন্দ্রে কোন ধরনের আবহাওয়া বা শব্দবিস্তারের মাধ্যম নাই। শব্দ বিস্তার লাভ করার জন্য জড় মাধ্যমের প্রয়োজন।

প্রশ্ন ৫। কোন তরঙ্গ বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।

(a) তীক্ষ্ণতা (loudness) 

(b) পিচ (Pitch)?

উত্তরঃ (a) তীক্ষ্ণতা দ্বারা শব্দের তীব্রতা (intensity) নির্ধারণ করা হয়।

(b) পিচের দ্বারা কম্পনাংক (frequency) নির্ধারণ করা হয়।

প্রশ্ন ৬। আন্দাজ কর কোন শব্দের পিচ উচ্চতর গিটার বা গাড়ীর হর্ণ?

উত্তরঃ গিটারের শব্দের পিচ উচ্চতর।

প্রশ্ন ৭। শব্দ তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, কম্পনাংক, পর্যায়কাল এবং বিস্তার কাকে বলে?

উত্তরঃ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য প্রতিটি তরঙ্গের দুইটি ক্রমিক তরঙ্গশীর্ষ বা দুইটি ক্রমিক তরঙ্গ পাদের মধ্যবর্তী দূরত্বকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলে। একে গ্রীক অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর S. I. একক মিটার।

কম্পনাংক – একক সময়ে কম্পন বা দোলনের সংখ্যাকে শব্দ তরঙ্গের কম্পনাংক বলে। কম্পনাংক গ্রীক অক্ষর v (নিউ) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। এর S. I. একক হার্টজ (Hz)।

পর্যায় কাল – মাধ্যমের ঘনত্বে একটি সম্পূর্ণ কম্পন বা দোলনের জন্য যে সময় লাগে তাকে শব্দ তরঙ্গের পর্যায়কাল বলে। ইহা T প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়। এর S. I. একক সেকেণ্ড।

বিস্তার – সাক্ষ্য অবস্থান থেকে কোন মাধ্যমের কণিকার উভয়দিকে সরণের সর্বোচ্চ মানকে তরঙ্গের বিস্তার বলে। বিস্তার সাধারণতঃ A অক্ষর দ্বারা প্রকাশ করা হয়। শব্দের ক্ষেত্রে ঘনত্ব বা চাপের একই বিস্তারের একক।

প্রশ্ন ৮। শব্দের বেগের সঙ্গে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এবং কম্পনাংকের সম্পর্ক কি?

উত্তরঃ শব্দের বেগ = কম্পনাংক × তরঙ্গ দৈর্ঘ্য।

∴ v = vλ

প্রশ্ন ৯। কোন বিশেষ মাধ্যমে শব্দতরঙ্গের কম্পনাংক 220 Hz এবং 440 m/s বেগ হলে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর।

উত্তরঃ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য

= 440m/s / 220S⁻¹

= 2 মিটার।

প্রশ্ন ১০। শব্দের উৎস থেকে 450 m দূরে বসে এক ব্যক্তি 500 Hz বিশিষ্ট একটি স্বর শুনতে পেল। উৎস থেকে দুইটি ক্রমিক সংকোচনের মধ্যে সময়ের অন্তরাল (ব্যবধান) কত?

উত্তরঃ মনে করি উৎস থেকে দুইটি ক্রমিক সংকোচনের মধ্যে সময়ের অন্তরাল = T

∴ T = 1/λ

= 1/550 Hz

= 1/550S⁻¹

= 0.002 সেকেণ্ড।

প্রশ্ন ১১। কোন নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় জল, বায়ু এবং লোহা এই তিনটি মাধ্যমের কোনটিতে শব্দের রেগ সবচেয়ে বেশী?

উত্তরঃ লোহায় শব্দের বেগ সবচেয়ে বেশী। ইহা 5950ms⁻¹

প্রশ্ন 12 কোন প্রতিধ্বনি 3s পরে প্রত্যাবর্তন করে। উৎস এবং প্রতিফলকের দূরত্ব নির্ণয় কর। শব্দের বেগ 342 ms⁻¹

উত্তরঃ শব্দের বেগ v = 342ms⁻¹

প্রতিধবনি শোনার সময় T = 3s.

শব্দের অতিক্রান্ত দূরত্ব = V.T

= 342 x 3

= 1026 মিটার।

3 সেকেণ্ডে শব্দ প্রতিফলকের দূরত্ব এবং উৎসের মধ্যে 2 বার যাতায়াত করে।

∴ উৎস থেকে প্রতিফলকের দূরত্ব = 1026/2 = 513 মিটার।

প্রশ্ন ১৩। সঙ্গীতশালার সিলিং বক্রতল করা হয় কেন?

উত্তরঃ উপরের চিত্রে দেখানো মত সঙ্গীতশালার সিলিং বক্রতল হওয়ার জন্য শব্দ সিলিং দ্বারা প্রতিফলিত হয়ে সমস্ত অংশে পৌঁছিতে পারে।

প্রশ্ন ১৪। মানুষের কানের সাধারণ শ্রাব্যসীমা কত?

উত্তরঃ মানুষের কানের সাধারণ শ্রাব্যসীমা হল 20 Hz থেকে 20,000 Hz.

প্রশ্ন ১৫। অবশব্দ এবং অতিশব্দের কম্পনাংকের পরিসর কত?

উত্তরঃ অবশব্দের পরিসর 20 Hz থেকে কম।

অতিশব্দের পরিসর থেকে 20,000 Hz. বেশী।

প্ৰশ্ন ১৬। একটি সাবমেরিন সোনার সংকেত প্রেরণ করে বা সমুদ্রতলবর্তী পাহাড় চূড়া থেকে 1.02 S -এ ফিরে আসে। যদি লবণজলে শব্দের বেগ 1531 m/s হয়, পাহাড় চূড়ার দূরত্ব নির্ণয় কর।

উত্তরঃ সোনর সংকেত পাহাড় চূড়া থেকে ঘুরে আসতে সময় লাগে, t = 1.02 সেকেণ্ড।

লবণ জলে শব্দের বেগ, v = 1531m/s.

মনে করি, পাহাড় চূড়ার দূরত্ব = d.

∴ শব্দের অতিক্রান্ত দূরত্ব = 2 d.

কিন্তু 2d = শব্দের বেগ × সময় 

= v x t

= 1531 x 1.02m.

∴ d = 1531×1-02/2 মিটার

= d = 780.81 মিটার

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। শব্দ কি এবং কিভাবে শব্দ উৎপন্ন হয়?

উত্তরঃ শব্দ একপ্রকার শক্তি ইহা আমাদের কানে শ্রবণ স্নায়ুর মাধ্যমে বৈদুতিক সংকেতসমূহ মস্তিষ্কে পাঠায় এবং শব্দের অনুভূতি সৃষ্টি করে। মাধ্যমের কম্পনের ফলেই শব্দের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ২। শব্দের উৎসের নিকটে বায়ুতে কিভাবে সংকোচন এবং প্রসারণ ঘটে চিত্রসহ বর্ণনা কর।

উত্তরঃ বায়ুতে শব্দ অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের আকারের সঞ্চালিত হয়। চিত্রে দেখানো মত একটি সুর শলাকা (tuning) রাবার প্যাডে আঘাত করে শব্দের সৃষ্টি করা হইল। আমরা সুর শলাকার B প্রান্ত দ্বারা আঘাত করিলাম। প্রথমে এটি বায়ুকে সংকুচিত করে B, অবস্থানে যাবে এবং পরমুহূর্তে বায়ু প্রসারিত করে B2-তে আসবে। এইভাবে সংকোচন এবং প্রসারণের মাধ্যমে শব্দের বিস্তার হয়ে থাকে। এই সংকোচন এবং প্রসারণ অন্তঃকর্ণে অবস্থিত কর্ণাবর্তে চাপের সৃষ্টি করে বৈদ্যুতিক সংকেতে পরিবর্তিত করে। শ্রবণ স্নায়ুর মাধ্যমে এই বৈদ্যুতিক সংকেতসমূহ মস্তিষ্কে যায় এবং ফলে শব্দের অনুভূতির সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ৩। শব্দের সঞ্চালনের জন্য পদার্থের মাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা একটি পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ কর।

উত্তরঃ শব্দের সঞ্চালনের জন্য পদার্থের মাধ্যমের প্রয়োজন। এইটি আমরা বেলজার পরীক্ষার সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখবো। একটি বন্ধ বেলজারের ভিতর একটি ইলেক্ট্রিক বেল (বৈদ্যুতিক ঘণ্টা) রাখলাম। বেলজারের সঙ্গে একটি ভ্যাকুয়াম পাম্প সংযুক্ত করে ইলেক্ট্রিক বেলের তার একটি বায়ুনিরুদ্ধ কর্কের ভিতর দিয়ে নিয়ে ব্যাটারীর সঙ্গে যুক্ত করলাম। ইলেক্ট্রিক বেলে বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করলাম। ঘণ্টার শব্দ শোনা যাবে। এবার ভ্যাকুয়াম পাম্পের সাহায্যে ধীরে ধীরে বেলজারের ভিতরের বায়ু বের করে নিলাম। শব্দ আস্তে আস্তে কমে যাবে এবং অবশেষে আর শব্দ শোনা যাইবে না। ইলেক্ট্রিক বেলের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবো যে ঘণ্টার হাতুড়ীটি ধাতুর কাঠিতে আঘাত করেই যাচ্ছে অথচ শব্দ শোনাই যাচ্ছে না। বেলজার থেকে বায়ু অপসারণের জন্য এটি এরূপ হয়েছে। সুতরাং যান্ত্রিক তরঙ্গ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন।

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -১আমাদের পরিবেশে থাকা পদার্থ
অধ্যায় -২আমাদের চারিপাশে থাকা পদার্থ কি বিশুদ্ধ ?
অধ্যায় -৩পরমাণু এবং অণু
অধ্যায় -৪পরমাণুর গঠন
অধ্যায় -৫জীবনের মৌলিক একক
অধ্যায় -৬কলা
অধ্যায় -৭জীবের বৈচিত্র্য
অধ্যায় -৮গতি
অধ্যায় -৯বল এবং গতির সূত্রসমূহ
অধ্যায় -১০মহাকর্ষণ
অধ্যায় -১১কার্য এবং শক্তি
অধ্যায় -১২শব্দ
অধ্যায় -১৩আমরা অসুস্থ হই কেন?
অধ্যায় -১৪প্রাকৃতিক সম্পদ
অধ্যায় -১৫খাদ্য সম্পদের উন্নতিসাধন

প্রশ্ন ৪। শব্দ তরঙ্গকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে কেন?

উত্তরঃ শব্দ তরঙ্গ মাধ্যমের সংকোচন এবং প্রসারণের ফলে সৃষ্টি হয়। সংকোচনের সময় মাধ্যমের কণাসমূহের ঘনত্ব বাড়ে আবার প্রসারণের সময় ঘনত্ব কমে। একইভাবে সংকোচনের সময় চাপ বাড়ে এবং প্রসারণের সময় চাপ কমে। সেইজন্য শব্দ তরঙ্গকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে।

প্রশ্ন ৫। অন্ধকার ঘরে অন্যদের সঙ্গে বসে থাকা তোমার বন্ধুর কণ্ঠস্বর সনাক্ত করতে শব্দের কোন বৈশিষ্ট্য তোমাকে সহায়তা করে?

উত্তরঃ শব্দের গুণমান, পিচ এবং তীক্ষ্ণতার মত বৈশিষ্ট্য অন্ধকার ঘরে বন্ধুর কণ্ঠস্বর সনাক্ত করতে সহায়তা করে।

প্রশ্ন 6। বিদ্যুৎ ঝলক এবং বজ্রপাত যুগপৎ (একই সঙ্গে) ঘটে। কিন্তু বিদ্যুৎ ঝলক দেখার কয়েক সেকেণ্ড পরে বজ্রপাতের শব্দ শোনা যায় কেন?

উত্তরঃ বায়ুতে শব্দের বেগ 344 ms⁻¹ এবং আলোকের বেগ 3×10⁸ms⁻¹ যেহেতু বায়ুতে শব্দের বেগ আলোকের বেগ অপেক্ষা অনেক কম সেইজন্য বিদ্যুৎ ঝলক দেখার কয়েক সেকেণ্ড পর বজ্রপাতের শব্দ শোনা যায়।

প্রশ্ন ৭। মানুষের শ্রাব্য সীমা 20 হার্জ থেকে কিলো 20 কিলো হার্জ। বায়ুতে এই দুইটি বিশেষ কম্পনাংকের শব্দ তরঙ্গের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য নির্ণয় কর। ধরে নাও বায়ুতে শব্দের বেগ 344m/s

উত্তরঃ বায়ুতে শব্দের বেগ, v = 344 m/s

কম্পনাংক, v₁ = 20 হার্জ

এবং v₂ = 20 কিলোহার্জ

= 20,000 হার্জ।

20 হার্জের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, λ₁

= V/V₁

= 344/20

= 17.2m.

20 কিলো হার্জে তরঙ্গের দৈর্ঘ্য, λ₂

= V/V₂

= 344/20,000

প্রশ্ন ৮। দুইটি শিশু একটি এলুমিনিয়াম দণ্ডের বিপরীত প্রান্তে আছে। একজন পাথর দিয়ে দণ্ডের প্রান্তে আঘাত করলো। বায়ু এবং এলুমিনিয়ামের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় শিশুর কাছে শব্দ তরঙ্গ পৌঁছাতে যে সময় লাগে তার অনুপাত নির্ণয় কর।

উত্তরঃ মনে করি এলুমিনিয়াম রডের দৈর্ঘ্য = d মিটার। বায়ুতে শব্দের বেগ = 344m/s.

∴ বায়ুর মধ্য দিয়ে যেতে শব্দের সময় লাগে = d/344 সেকেণ্ড।

এলুমিনিয়ামের মধ্য দিয়ে শব্দের বেগ = 6420 m/s.

∴ এলুমিনিয়ামের মধ্য দিয়ে যেতে শব্দের সময় লাগে = d/6420 সেকেণ্ড।

∴ বায়ু এবং এলুমিনিয়ামের মধ্য দিয়ে যাওয়া সময়ের অনুপাত

= d/344 / d/6429

= d/344 × 6420/d

= 6420/344

=18.66

প্রশ্ন ৯। কোন শব্দের উৎসের কল্পনাংক 100 হার্জ। এক মিটার সময়ের মধ্যে এর কম্পনের সংখ্যা নির্ণয় কর।

উত্তরঃ শব্দের উৎসের কম্পনাংক = 100 হার্জ।

1 সেকেণ্ডে কম্পনের সংখ্যা = 100

∴ 1 মিনিট বা 60 সেকেণ্ডে কম্পনের সংখ্যা =100 x 60

= 6000

প্রশ্ন ১০। শব্দ কি আলোকের মত অনুরূপ প্রতিফলনের সূত্র অনুসরণ করে? ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ হ্যাঁ, শব্দ, আলোকের মত অনুরূপ প্রতিফলনের সূত্র অনুসরণ করে। শব্দের আপাতন কোণ এবং প্রতিফলন কোণ অভিলম্বের সঙ্গে সমান এবং এরা একই প্রতিফলক মধ্যকের উপর অবস্থিত। উদাহরণস্বরূপ ইকোরেনজিং পদ্ধতিতে সোনার যন্ত্র ব্যবহার করে সমুদ্রের গভীরতা এবং জলের নিম্নবর্তী পাহাড়, উপত্যকা, সাবমেরিন, হিমবাহ, ডুবন্ত জাহাজ থেকে সমুদ্রতলের গভীরতা নির্ণয় করা যায়।

প্রশ্ন ১১। শব্দ যখন কোন দূরবর্তী বস্তু থেকে প্রতিফলিত হয় প্রতিধ্বনি উৎপন্ন হয়। ধরা হইল প্রতিফলক পৃষ্ঠ এবং শব্দের উৎসের দূরত্ব অপরিবর্তিত থাকে। উষ্ণতর দিনে তুমি কি প্রতিধ্বনি শুনতে পাবে?

উত্তরঃ গরমের দিনে শব্দের বেগ বেড়ে যায়। সুতরাং শব্দের প্রতিফলিত রশ্মি 0.1 সেকেণ্ড আগেই উৎসে ফিরে আসে। সেইজন্য গরমের দিনে প্রতিধবনি শোনা যাবে না।

প্রশ্ন ১২। শব্দ তরঙ্গের প্রতিফলনের দুইটি বাস্তব প্রয়োগের উল্লেখ কর।

উত্তরঃ (i) ডাক্তাররা যখন স্টেথোস্কোপ (Stethoscope) দ্বারা রোগীকে পরীক্ষা করে তখন রোগীর হৃদস্পন্দন শব্দের বিভিন্ন প্রতিফলনের দ্বারা ডাক্তারের কানে এসে পৌঁছায়।

(ii) প্রেক্ষাগৃহের দেওয়াল এবং সিলিং এমনভাবে তৈরী করা হয় যাতে শব্দের বিভিন্ন প্রতিফলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।

প্রশ্ন ১৩। 500m উচ্চ স্তম্ভের উপর থেকে একটি বস্তু স্তম্ভের নিচে থাকা পুকুরের জলে ফেলে দেওয়া হল। পতনের শব্দ স্তম্ভের উপর থেকে কত সময় পরে শোনা যাবে? দেওয়া আছে, g=10 m/s² এবং শব্দের বেগ, v = 340m/s

উত্তরঃ প্রথমে আমরা পাথরটি স্তম্ভের উপর থেকে নীচে পড়ার সময় নির্ণয় করব।

S = ut + 1/2 = gt²

এখানে S = 500m

u = 0

g = 10 m/s⁻²

∴ 500 = 0 + 1/2 × 10⁵ x t²

= t² = 500/5

= t² = 100

= t = 10 সেকেণ্ড।

ভূমি থেকে স্তম্ভের উপরে শব্দ প্রতিফলিত হতে সময় লাগে,

t = দূরত্ব/সময়ের বেগ

= 500m/340m/s

= 1.47 সেকেণ্ড।

প্রশ্ন ১৪। একটি শব্দ তরঙ্গের বেগ 339 m/s. যদি এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 1.5 cm. হয়, তরঙ্গের কম্পনাংক কত? এই শব্দ শ্রবণযোগ্য হবে কি?

উত্তরঃ শব্দ তরঙ্গের বেগ, v = 339 m/s

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, λ = 1.5 cm.

= 0.015 m

কম্পনাংক, V = v/λ

= 339/0.015

= 22,600 হার্টজ।

∴ কম্পনাংক 20,000 হার্টজ-এর থেকে বেশী সেইজন্য এই শব্দ শোনা যাবে না।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। শব্দ কিভাবে উৎপন্ন হয়?

উত্তরঃ জড় বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়।

প্রশ্ন ২। O°C উষ্ণতায় বায়ুতে শব্দের বেগ কত?

উত্তরঃ O°C উষ্ণতায় বায়ুতে শব্দের বেগ সেকেণ্ড 332 মিটার।

প্রশ্ন ৩। শব্দের কম্পাঙ্কের একক কী?

উত্তরঃ শব্দের কম্পাঙ্কের একক সাইকেলস/সেকেণ্ড বা হার্জ।

প্রশ্ন ৪। শব্দের কম্পাঙ্ক বেগ ও তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের মধ্যে সম্পর্ক কী?

উত্তরঃ শব্দের বেগ = তরঙ্গ × কম্পাঙ্ক।

প্রশ্ন ৫। একটি দোলক দুলতে থাকলে কোনো শব্দের উৎপত্তি হয় না কেন?

উত্তরঃ দোলকের দোলনে শব্দের সৃষ্টি হয়। কিন্তু উৎপন্ন শব্দের কম্পাঙ্ক 20 হার্জ এর কম বলে আমরা ওই শব্দ শুনতে পাই না।

প্রশ্ন ৬। তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের একক কী?

উত্তরঃ সি. জি. এস. এবং এস. আই পদ্ধতিতে তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের একক যথাক্রমে সেন্টিমিটার ও মিটার।

প্রশ্ন ৭। শীতকালের তুলনায় গরম কালে বায়ুতে শব্দের বেগ বেশি না কম?

উত্তরঃ গরমকালে বায়ুর তাপমাত্রা শীতকালের তুলনায় বেশি থাকে। তাপমাত্রা বাড়লে বায়ুতে শব্দের বেগ বাড়ে। তাই শীতকালের তুলনায় গরমকালে বায়ুতে শব্দের বেগ বাড়ে।

প্রশ্ন ৮। একটি সুর শলাকার কম্পাঙ্ক 512 বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ একটি সুর শলাকার কম্পাঙ্ক 512 বলতে বোঝায় যে, কম্পিত সুরশলাকাটির একটি বাহু সেকেণ্ড 512 বার পূর্ণ কম্পন করে।

প্রশ্ন ৯। বায়ু ও লোহা এদের মধ্যে কোনটিতে শব্দের বেগ বেশি?

উত্তরঃ লোহার মধ্যে শব্দের বেগ বায়ু অপেক্ষা বেশি।

প্রশ্ন ১০। শব্দের প্রতিফলনের একটি ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ স্টেথোস্কোপ যন্ত্রে শব্দের প্রতিফলন ধর্মকে কাজে লাগানো হয়।

প্রশ্ন ১১। প্রতিধ্বনির দুইটি ব্যবহারিক প্রয়োগ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ প্রতিধ্বনির ব্যবহারিক প্রয়োগ : শব্দের প্রতিধ্বনির সাহায্যে।

(i) সমুদ্রের গভীরতা মাপা যায় এবং 

(ii) বায়ুতে শব্দের বেগ নির্ণয় করা যায়।

প্রশ্ন ১২। কোন এককে শব্দের তীব্রতা মাপা হয়?

উত্তরঃ বেল ডেসিবেল এককে শব্দের তীব্রতা মাপা হয়।

প্রশ্ন ১৩। শব্দের নিরাপদ প্রাবল্য মাত্রা কত?

উত্তরঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত শব্দের নিরাপদ প্রাবল্য মাত্রা হল 45 ডেসিবেল।

প্রশ্ন ১৪। কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় মাধ্যমের মধ্যে কোন মাধ্যমে শব্দের বেগ সব থেকে বেশি।

উত্তরঃ কঠিন, তরল ও গ্যাসীয় মাধ্যমের মধ্যে কঠিন মাধ্যমে শব্দের বেগ সব থেকে বেশি।

প্রশ্ন ১৫। স্বরের মধ্যে সবচেয়ে কম কম্পাঙ্কের সুরকে উপসুর/ মূলসুর/ সমমেল বলে।

উত্তরঃ মূলসুর।

প্রশ্ন ১৬। 0°C উষ্ণতায় বায়ুতে শব্দের বেগ কত?

উত্তরঃ 0°C উষ্ণতায় বায়ুতে শব্দের বেগ 332 মিটার/সেকেণ্ড।

প্রশ্ন ১৭। তরঙ্গ কী?

উত্তরঃ কোনো স্থিতিস্থাপক মাধ্যমের কণাগুলির সমষ্টিগত কম্পনের ফলে যে আন্দোলনের সৃষ্টি হয় তাকে তরঙ্গ বলে। তরঙ্গ সাধারণত দুই প্রকার হয়।

(i) তির্যক তরঙ্গ। 

(ii) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ।

প্রশ্ন ১৮। শব্দ দূষণের দুটি কারণ লেখো।

উত্তরঃ শব্দ দূষণের দুটি কারণ হল-

(i) মাইকের (120) শব্দ, মোটর গাড়ী, পটকাবাজির ইত্যাদি শব্দ থেকে শব্দদূষণ ঘটে। 

(ii) মিন্টিং, মিছিল, শ্লোগান, ফ্যাক্টরির কল কব্জা থেকেও শব্দদূষণের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ১৯। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলি লেখো।

উত্তরঃ আইন ব্যবস্থা।

(a) 65 ডেসিবেলের বেশি শব্দ উৎপাদকগুলিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

(b) হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি অঞ্চলে গাড়ির হর্ণ, মাইক বাজানো বন্ধ করতে হবে। 

(c) আধুনিক যন্ত্রপাতি নির্মাণ – যেসব ইঞ্জিন বেশি শব্দ সৃষ্টি করে সেগুলিতে সাইলেন্সার ব্যবহার করতে হবে। 

(d) ইয়ার প্ল্যাগ, ইয়ার মাফ, নয়েজ হেলমেট, মোম মাখানো তুলো ইত্যাদি ব্যবহার করেও শব্দের প্রারল্য কমানো যায়। 

(e) পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করে – গাছপালা শব্দ শোষণ করে, তাই রাস্তার দুপাশে বা বিভিন্ন স্থানে গাছপালা লাগিয়ে এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।

(f) জনশিক্ষা – সবার ওপরে রয়েছে জনশিক্ষা, শব্দদূষণের কুফলকে টিভি, রেডিও, খবরের কাগজ ইত্যাদির মাধ্যমে জন সমক্ষে আনতে হবে ও এর বিরুদ্ধে জন সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

প্রশ্ন ২০। সব সমমেলই উপসুর কিন্তু সব উপসুর সমমেল নয় ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ কোনো স্বরে উপস্থিত মূল সুর ছাড়া অন্যান্য সুরগুলিকে উপসুর বলা হয়। উপস্থিত উপসুরগুলির মধ্যে যে সুরগুলির কম্পাঙ্ক মূল সুরের সরল গুণিতক তাদের সমমেল বলে। সবক্ষেত্রে উপসুরগুলি মূলসুরের সরল গুণিতক হয় না। তাই সব সমমেল উপসুর কিন্তু সব উপসুর সমমেল নয়।

প্রশ্ন ২১। ছোট ঘরে প্রতিধ্বনি শোনা যায় না কেন?

উত্তরঃ ছোটো ঘরের দেওয়ালগুলির মধ্যে দূরত্ব 16.6 মিটারের কম হয়। কোনো শব্দের প্রতিধ্বনি শুনতে হলে উৎস থেকে প্রতিফলকের দূরত্ব কমপক্ষে 16.6 মিটার হওয়া দরকার। ফলে ছোটো ঘরে কোনো শব্দ করলে সেই শব্দের প্রতিধবনি আমার শুনতে পাই না।

প্রশ্ন ২২। শব্দতরঙ্গের পর্যায়কাল কাকে বলে? পর্যায়কালের এস. আই. একক কি?

উত্তরঃ মাধ্যমের ঘনত্বে একটি সম্পূর্ণ কম্পন বা দোলনের জন্য যে সময় লাগে তাকে শব্দতরঙ্গের পর্যায়কাল বলে। পর্যায়কাল T প্রতীকের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়।

পর্যায়কালের এস. আই. একক হল সেকেণ্ড।

প্রশ্ন ২৩। কোনো এক বিশেষ মাধ্যমে সব কম্পনাংকের জন্য শব্দের বেগ একই থাকে কি?

উত্তরঃ একই ভৌতিক অবস্থায় কোনো বিশেষ মাধ্যমে সব কম্পনাংকের জন্য শব্দের বেগ প্রায় একই থাকে।

প্রশ্ন ২৪। অনুপ্রস্থ তরঙ্গ কাকে বলে? অনুপ্রস্থ তরঙ্গের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে তরঙ্গের ক্ষেত্রে তরঙ্গের বিস্তারের দিকে লম্বভাবে মাধ্যমের কণাসমূহ নিজ অবস্থানের উপরে নীচে উঠা নামা করে তাকে অনুপ্রস্থ তরঙ্গ বলে। আলোক একপ্রকারের অনুপ্রস্থ তরঙ্গ।

প্রশ্ন ২৫। যখন কোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে শব্দতরঙ্গ গতি করে তখন কিভাবে মাধ্যমের ঘনত্ব ও চাপের পরিবর্তন ঘটে তার লৈখিক রূপ দেখাও।

উত্তরঃ কোনো নির্দিষ্ট সময়ে দূরত্ব সাপেক্ষে গড় ঘনত্ব ও চাপের থেকে উপরে এবং নীচে কোনো মাধ্যমের ঘনত্ব ও চাপের পরিবর্তন ঘটে। কোনো মাধ্যমে শব্দতরঙ্গের বিস্তারের সময় ঘনত্ব ও চাপের বিভিন্নতা নীচের চিত্রে দেখানো হল। সংকোচন হল সেই অঞ্চল যেখানে মাধ্যমের কণাগুলি ঘন সন্নিবিষ্ট। চিত্রে বক্রলেখের উপরের অংশ সেই অঞ্চল নির্দেশ করে। বক্রলেখের শীর্ষ বা চূড়া সর্বাধিক সংকোচন নির্দেশ করে। অতএব সংকোচন হল সেই অঞ্চল যেখানে ঘনত্ব এবং চাপ বেশি। প্রসারণ হল নিম্নচাপ অঞ্চল যেখানে কণিকাসমূহের মধ্যে দূরত্ব অধিকতর, চিত্রে বক্রলেখের নীচের অংশ প্রসারণ নির্দেশ করে। চিত্র (c)-তে দেখানো প্রতিটি তরঙ্গের উচ্চতম বিন্দুকে তরঙ্গ শীর্ষ এবং নিম্নতম বিন্দুকে তরঙ্গ পাদ বলে।

প্রশ্ন ২৬। অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ কাকে বলে? শব্দতরঙ্গের প্রকৃতি কি ধরনের?

উত্তরঃ গতির দিকে মাধ্যমের কণাসমূহের সংকোচন প্রসারণের দ্বারা বিস্তার লাভ করা তরঙ্গকে অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ বলে। শব্দতরঙ্গ অনুদৈর্ঘ্য প্রকৃতির।

প্রশ্ন ২৭। শব্দের পিচ কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তরঃ শব্দের পিচ কম্পনাংকের উপর নির্ভর করে। শব্দের কম্পন যত দ্রুত হয় কম্পনাংক এবং পিচ তত বেশি হয়। কম পিচের শব্দের কম্পনাংক কম এবং বেশি পিচের শব্দের কম্পনাংক বেশি।

প্রশ্ন ২৮। অনুপ্রস্থ এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের প্রভেদ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ অনুপ্রস্থ এবং অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের মধ্যে পার্থক্য নীচে দেখানো হল-

অনুপ্রস্থ তরঙ্গঅনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ
(i) অনুপ্রস্থ তরঙ্গ মাধ্যমের কম্পমান কণাগুলির সঙ্গে লম্বভাবে অগ্রসর হয়।(i) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ মাধ্যমের কম্পমান কণাগুলির সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে অগ্রসর হয়।
(ii) অনুপ্রস্থ তরঙ্গের মাধ্যমের কণাগুলির সরণের ফলে তরঙ্গশীর্ষ এবং তরঙ্গ পাদ গঠিত হয়।(ii) অনুদৈর্ঘ্য তরঙ্গের ক্ষেত্রে মাধ্যমের কণাগুলির সরণের ফলে মাধ্যমে সংকোচন এবং প্রসারণের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ২৯। স্বর ও সুরের মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তরঃ একক কল্পনাংকবিশিষ্ট শব্দকে স্বর (tone) বলে। অপরদিকে, বিভিন্ন কম্পনাংকের মিশ্রণে উৎপন্ন শব্দকে সুর (note) বা সঙ্গীত বলা হয়।

প্রশ্ন ৩০। একটি শব্দতরঙ্গের কল্পনাংক 2KHz এবং তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 45 cm। 1.8 km. অতিক্রম করতে এই শব্দতরঙ্গের কত সময় লাগবে?

উত্তরঃ এখানে,

কম্পনাংক, v = 2 KHz = 2000 Hz (হার্টজ)

তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, λ = 45 cm = 0.45m.

আমরা জানি,

শব্দতরঙ্গের বেগ, v = তরঙ্গ দৈর্ঘ্য x কম্পনাংক

= v = λ x v

= v = 0.45 m x 2000 Hz

= v = 900 ms⁻¹

এখানে অতিক্রম করা দূরত্ব, d = 1.8 km

= 1.8 x 1000

= 1800m

∴ সময়, t = d/V

= 1800m/900 ms⁻¹

= 2 সেকেণ্ড (s)

অতএব 1.8 km. দূরত্ব অতিক্রম করতে শব্দতরঙ্গটির সময় লাগবে 2 সেকেণ্ড (s)।

প্রশ্ন ৩১। শব্দের প্রতিফলনের সূত্রটি লিখ।

উত্তরঃ শব্দের প্রতিফলনের সূত্র : শব্দের প্রতিফলক তলের আপতন বিন্দুতে অঙ্কিত, অভিলম্বের সঙ্গে শব্দের আপতনের দিক এবং প্রতিফলনের দিকের মধ্যবর্তী কোণ সমান এবং এই তিনটি একই সমতলে অবস্থান করে।

প্রশ্ন ৩২।  শব্দের বেগ কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তরঃ শব্দ বহনকারী মাধ্যমের প্রকৃতি এবং তাপমাত্রার উপর শব্দের বেগ নির্ভর করে। শব্দ কঠিন থেকে গ্যাসীয় মাধ্যমের দিকে যেতে থাকলে শব্দের বেগ কমতে থাকে। যে কোনো মাধ্যমের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে শব্দের বেগ বৃদ্ধি পায়। যেমন বায়ুতে 0°C -এ শব্দের বেগ 331 ms⁻¹ এবং 25°C -এ শব্দের বেগ 346ms⁻¹

প্রশ্ন ৩৩। শব্দ গর্জন বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ কোনো বস্তুর বেগ শব্দের চেয়ে অধিকতর হলে বস্তুটি আধিশাব্দিক বেগে গতি করছে বলা হয়ে থাকে। যখন কোনো শব্দ উৎপাদনকারী উৎস শব্দের চেয়ে দ্রুতবেগে গতি করে তখন বায়ুতে অভিঘাত তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। এই অভিঘাত বা শক্ তরঙ্গ (shock wave) অতি বৃহৎ পরিমাণ শক্তি বহন করে। বায়ুর চাপের বিভিন্নতা শক্ তরঙ্গের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আকস্মিকভাবে উচ্চ মাত্রার শব্দ সৃষ্টি করে। একে শব্দ গর্জন বলে।

প্রশ্ন ৩৪। শব্দতরঙ্গের প্রতিফলনের জন্য কি ধরনের প্রতিফলন আবশ্যক।

উত্তরঃ শব্দতরঙ্গের প্রতিফলনের জন্য মসৃণ বা অমসৃণ বৃহদাকার প্রতিফলক আবশ্যক।

প্রশ্ন ৩৫। প্রতিধ্বনি বলতে কি বোঝ? স্পষ্ট প্রতিধ্বনি শোনার জন্য কি কি শর্ত আবশ্যক?

উত্তরঃ কোনো বৃহৎ প্রতিফলক বস্তুর সামনে যদি আমরা চিৎকার করি বা হাততালি দেই, অল্প সময় পরে একই শব্দ পুনরায় শুনতে পাওয়া যায়। দ্বিতীয় বার যে শব্দ শুনি তাকে প্রতিধ্বনি বলে।

স্পষ্ট প্রতিধ্বনি শোনার জন্য নীচে দেওয়া শর্তগুলি পূরণ হওয়া আবশ্যক। যথা— 

(ক) মূল শব্দ এবং প্রতিধ্বনিত শব্দের মধ্যে সময়ের অন্তরাল অবশ্যই 0.1 সেকেণ্ড হতে হবে। এবং 

(খ) শব্দের উৎস থেকে প্রতিফলকের ন্যূনতম দূরত্ব 17.2m. হতে হবে।

প্রশ্ন ৩৬। অতিশব্দের কয়েকটি ব্যবহার উল্লেখ কর।

উত্তরঃ অতিশব্দ, চিকিৎসা এবং শিল্পক্ষেত্রে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। এর কয়েকটি উদাহরণ নীচে দেওয়া হল-

(ক) যন্ত্রাংশের যে সকল অংশে পৌঁছানো কষ্টকর যেমন পেঁচানো নল, অস্বাভাবিক আকৃতির যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিক’ অংশবিশেষ ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে সাধারণত অতিশব্দ ব্যবহার করা হয়।

(খ) ধাতব যন্ত্রাংশে ফাটল বা ছিদ্র থাকলে যা বাইরে থেকে বুঝা সম্ভব নয় তা সনাক্ত করতে অতিশব্দ ব্যবহার করা হয়।

(গ) কিডনিতে গঠিত হওয়া ছোট পাথর ভেঙ্গে মিহি দানায় পরিণত করার কাজে অতিশব্দ ব্যবহার করা হয়। এই দানাসমূহ পরে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে।

(ঘ) ইকোকার্ডিওগ্রাফি পদ্ধতিতে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন অংশ থেকে অতিশব্দকে প্রতিফলিত করানো হয়, ফলে হৃদপিণ্ডের প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায়।

(ঙ) আতিশাব্দিক স্ক্যানার নামক যন্ত্রের দ্বারা অতিশব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে মানবদেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গের প্রতিবিম্ব পাওয়া যায়। এর সাহায্যে একজন চিকিৎসক গলব্লাডার এবং কিডনির পাথর, বিভিন্ন অঙ্গের টিউমার জাতীয় অস্বাভাবিকতা চিহ্নিত করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় জরায়ুর কোনো ত্রুটি বা বৃদ্ধির অস্বাভাবিকতা নিরূপণেও আলট্রা সোনোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ৩৭। একটি জাহাজ দ্বারা প্রেরিত অতিশব্দ তরঙ্গ 3.4 সেকেণ্ড পরে গৃহীত হয়। সমুদ্রজলে অতিশব্দের বেগ 1531 m/s হলে, জাহাজ থেকে সমুদ্রতলের গভীরতা নির্ণয় কর।

উত্তরঃ অতিশব্দ প্রেরণ ও গ্রহণের মধ্যবর্তী সময়, t =3.4s

সমুদ্রজলে অতিশব্দের বেগ, v = 1531ms⁻¹

জাহাজ থেকে সমুদ্রতলের গভীরতা = d (ধরি)

কোনো শব্দের প্রতিধ্বনির জন্য শব্দতরঙ্গ একই দূরত্ব দুবার অতিক্রম করে।

অতএব জাহাজ থেকে প্রেরিত অতিশব্দের দ্বারা অতিক্রম করা দূরত্ব,

2d = সমুদ্র জলে অতিশব্দের বেগ × সময়

= 1531 ms⁻¹ x 3.4s

= 5205.4m

∴ d = 5205.4/2

= d = 2602.7m (মিটার)

অতএব জাহাজ থেকে সমুদ্রতলের গভীরতা 2602.7 মিটার।

প্রশ্ন ৩৮। এক ব্যক্তি পাহাড় চূড়ার নিকটে হাততালি দিল এবং 5 সেকেণ্ড পরে প্রতিধ্বনি শুনতে পেল। যদি শব্দের বেগ 346 ms⁻¹ হয় তবে ঐ ব্যক্তি থেকে চূড়ার দূরত্ব নির্ণয় কর।

উত্তরঃ এখানে,

শব্দের বেগ, v = 346ms⁻²।

প্রতিধ্বনি শোনার জন্য প্রয়োজনীয় সময়, t = 5s

শব্দটির দ্বারা অতিক্রম করা দূরত্ব,

2d = v x t

= 2d = 346ms⁻¹ x 5s

= 2d = 1730m.

5 সেকেণ্ডে এই শব্দটি ঐ ব্যক্তি ও চূড়ার মধ্যবর্তী দূরত্ব দুইবার অতিক্রম করেছে।

অতএব পাহাড় চূড়া এবং ব্যক্তির মধ্যে দূরত্ব = 2d/2

= 1730m/2

= 865m

প্রশ্ন ৩৯। এক ব্যক্তি কোনো দেওয়ালের সামনে হাততালি দেওয়ার 1 সেকেণ্ড পরে তার প্রতিধ্বনি শুনতে পেলেন। যদি শব্দের বেগ 330 ms⁻¹ হয় তবে ঐ লোকটি থেকে দেওয়ালের দূরত্ব নির্ণয় কর।

উত্তরঃ এখানে,

ব্যক্তিটি থেকে দেওয়ালের দূরত্ব = d (ধরি)

কোনো শব্দের প্রতিধ্বনির জন্য শব্দতরঙ্গ একই দূরত্ব দুবার অতিক্রম করে। সুতরাং ব্যক্তিটি দেওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে হাততালি দেওয়ার ফলে উৎপন্ন শব্দের প্রতিধ্বনির জন্য শব্দতরঙ্গ মোট 2d দূরত্ব অতিক্রম করবে। বায়ুতে শব্দের বেগ, v = 330ms⁻¹

শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য সময়, t = ⏊s

আমরা জানি, দূরত্ব = বেগ x সময়

অতএব শব্দটির দ্বারা অতিক্রম করা দূরত্ব,

2d = v x t

= 2d = 330ms⁻¹ x ⏊s

= 2d = 330m

= d= 330m/2 = 165m

অতএব ঐ লোকটি থেকে দেওয়ালের দূরত্ব 165m. (মিটার)।

প্রশ্ন ৪০। কোনো ব্যক্তি বজ্রপাতের আলোক দেখার 3 সেকেণ্ড পরে বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান। বায়ুতে শব্দের বেগ 332 ms⁻¹ হলে ঐ ব্যক্তি থেকে কতটুকু দূরে বজ্রপাতটি পড়েছিল?

উত্তরঃ ব্যক্তিটি থেকে বজ্রপাতের উৎসের দূরত্ব = d (ধরি)

যেহেতু বজ্রপাতের আলোক দেখার 3 সেকেণ্ড পরে ব্যক্তিটি বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পান।

সুতরাং বজ্রপাতের আলোকের পরিভ্রমণের সময়, t = 3s

বায়ুতে শব্দের বেগ, v = 332 ms⁻¹

আমরা জানি, দূরত্ব = বেগ x সময়

= d = 332ms⁻¹ x 3s

= d = 996m

অতএব ঐ ব্যক্তিটি থেকে বজ্রপাতটি 996 মিটার দূরে পড়েছিল।

প্রশ্ন ৪১। অবশব্দ এবং অতিশব্দের মধ্যে পার্থক্য লিখ।

উত্তরঃ 20 Hz (হার্টজ) থেকে কম কম্পনাংকযুক্ত শব্দকে অবশব্দ বলে। আবার 20 kHz (কিলোহার্টজ) এর চেয়ে অধিক কম্পনাংকের শব্দকে অতিশব্দ বলে।

প্রশ্ন ৪২। কোন কোন প্রাণী অতিশব্দ উৎপন্ন করতে পারে?

উত্তরঃ ডলফিন, বাদুড়, এবং শুশুক জাতীয় প্রাণীরা অতিশব্দ উৎপন্ন করতে পারে।

প্রশ্ন ৪৩। গণ্ডারেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে কি প্রকারের তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে?

উত্তরঃ গণ্ডারেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে 5 Hz (হার্টজ) এর মতো কম কম্পনাংকের অবশব্দ ব্যবহার করে থাকে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top