SCERT Class 6 Science Chapter 12 প্রাকৃতিক সম্পদ

Join Roy Library Telegram Groups

Assam Board SCERT Class 6 Science Chapter 12 প্রাকৃতিক সম্পদ 100% New Edition Question Answer in Bengali Medium Now you are easily Access Here. SCERT Class 6 Science Textual Question Answer As Per The Latest New Syllabus. SCERT Class 6 Science Chapter 12 প্রাকৃতিক সম্পদ Solutions Download PDF File is the latest Updated Version prepared According to the SCERT Class 6 Amader Bigyan New Syllabus.

Join Buttons

SCERT Class 6 Science Chapter 12 প্রাকৃতিক সম্পদ

If you are looking for the Complete New Syllabus of SCERT Class 6 Science Solutions in Bengali Medium. ষষ্ঠ শ্রেণির আমাদের বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্ন উত্তর You can Download the PDF file prepared as per the New Curriculum from our Website. SCERT Class 6 Amader Bigyan Textbook Question Answer. SEBA Class 6 Science Question Answer Bengali Medium PDF is specially Designed to help students build concepts easily and prepare effectively for their Exams.

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরসমূহ

১। নীচের তালিকাটিতে কয়েকটি প্রাকৃতিক সম্পদের চিত্র দেওয়া আছে। তালিকার আরেকটি ঘরে নবায়নযোগ্য এবং নবায়ন-অযোগ্য প্রকৃতিক সম্পদ নামগুলো লেখা আছে। তোমরা চিত্রগুলোর সাথে ডানদিকের ঘরে থাকা কোন্ উত্তর শুদ্ধ তা মেলাও।

উত্তরঃ 

২। শুদ্ধ উত্তরের বৃত্তটি সম্পূর্ণ করে পূর্ণ করো-

(i) সে সব সম্পদ ব্যবহার করার পর আবার সৃষ্টি করা যায় না সেই সম্পদগুলোকে বলে-

(a) জৈবিক সম্পদ।

(b) নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ।

(c) নবায়নযোগ্য সম্পদ।

(d) প্রাকৃতিক সম্পদ।

উত্তরঃ (b) নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ।

(ii) পৃথিবীকে যে শুষ্ক পৃষ্ঠভাগ আবৃত করে আছে তাকে-বলে।

(a) শিলা।

(b) মাটি।

(c) জল।

(d) বায়ু।

উত্তরঃ (b) মাটি।

(iii) প্রকৃতিতে পাওয়া যে সব পদার্থ জীবকূলের জন্য আবশ্যকীয় সেগুলোকে __________ বলে।

(a) পেট্রোল।

(b) প্রাকৃতিক সম্পদ।

(c) প্রাকৃতিক গ্যাস।

(d) জীবাশ্ম।

উত্তরঃ (b) প্রাকৃতিক সম্পদ।

(iv) ভূ-পৃষ্ঠের থেকে অনেক কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে থাকা বায়ুর পাতলা স্তরটিকে __________ বলে।

(a) জলমণ্ডল।

(b) বায়ুমণ্ডল।

(c) আকাশমণ্ডলণ্ড।

(d) ওপরের একটিও না।

উত্তরঃ (৮) বায়ুমণ্ডল।

৩। একটি শব্দে উত্তর দাও-

(a) বায়ুমণ্ডলে কত শতাংশ অক্সিজেন আছে?

উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে 21 শতাংশ অক্সিজেন আছে।

(b) একটি জলজ উদ্ভিদের নাম লেখো।

উত্তরঃ একটি জলজ উদ্ভিদের নাম হলো কচুরিপানা।

(c) একটি জলজ প্রাণীর নাম লেখো।

উত্তরঃ একটি জলজ প্রাণীর নাম হলো মাছ।

(d) শক্তির প্রধান উৎস কী?

উত্তরঃ শক্তির প্রধান উৎস হলো সূর্য।

৪। শুদ্ধ এবং অশুদ্ধ সনাক্ত করো।

(a) অরণ্য প্রাকৃতিক সম্পদ।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(b) শিলা নবায়নযোগ্য সম্পদ।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(c) পুকুর নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(d) যানবাহনে বহুলভাবে ব্যবহৃত ইন্ধন হলো কেরোসিন।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(e) বায়ু মণ্ডলে সবচেয়ে বেশি পরিমানে থাকা গ্যাস হলো অক্সিজেন।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

৫। সংক্ষেপে উত্তর দাও-

(a) প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে?

উত্তরঃ প্রকৃতিতে প্রাপ্ত উদ্ভিদ, প্রাণী, মাটি, জল, বায়ু, সৌরশক্তি, শিলা, খনিজ লবন, জীবাশ্ম ইন্ধন ইত্যাদি হলো প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রকৃতিতে পাওয়া যে সব পদার্থ জীবের জন্য অবশ্যক সেগুলোকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।

(চ) প্রাকৃতিক সম্পদকে কতটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং কী কী?

উত্তরঃ প্রাকৃতিক সম্পদ কে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, যথা- 

(ⅰ) নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। এবং 

(ii) নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ।

(c) নবায়নযোগ্য এবং নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ কাকে বলে? উদাহরণসহ লেখো।

উত্তরঃ যে সম্পদ ব্যাপকহারে ব্যবহারের পরেও কখনও পৃথিবী থেকে নিঃশেষ হয়ে যাবে না, সেই সম্পদগুলোকে নবায়নযোগ্য সম্পদ বলে। যেমন-সূর্যের আলো, জল, বায়ু, গাছপালা, জীবজন্তু ইত্যাদি। অপরদিকে, সেসব প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করার পর পুনরায় সৃষ্টি করা যায়না নিঃশেষ হয়ে যায়, সেই সম্পদ গুলোকে নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ বলে। যেমন-প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল, কয়লা, খনিজ পদার্থ ইত্যাদি।

(d) সূর্যকে শক্তির প্রধান উৎস বলা হয় কেন?

উত্তরঃ পৃথিবীর সকল ধরনের জীবকে সূর্য তাপ এবং আলো প্রদান করে। সূর্যের তাপের দ্বারা খাদ্যশস্য শুকিয়ে তা সংরক্ষণ করা যায়। আমাদের শরীরও সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে ভিটামিন-D প্রস্তুত করে। প্রাণী এবং উদ্ভিদ উভয়েই সূর্যের ওপর নির্ভরশীল। গাছের খাদ্য প্রস্তুতকালে সূর্যের আলোকের প্রয়োজন। খাদ্যের জন্য প্রাণী এমন কি মানুষ ও উদ্ভিদের ওপর নির্ভরশীল। সূর্যের তাপ এবং আলোতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কার্য সম্পাদিত হয়ে থাকে। সেজন্য সূর্যকে পৃথিবীর সকল শক্তির প্রধান উৎস বলা হয়।

(e) বৃষ্টির জল কেন সংরক্ষণ করা দরকার?

উত্তরঃ বর্তমান পৃথিবীতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জলের আহরণ ও ক্রমশ: বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া কৃষি খেতে এবং শিল্প উদ্যোগে জলের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পেতে চলেছে। সুতরাং জলের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটানোর জন্য এবং বৃষ্টির জলের অপচয় রোধ করতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করা দরকার।

৬। বিকল্প শক্তি ব্যবহার করা উচিত কেন?

উত্তরঃ যানবাহনগুলিতে সাধারণত পেট্রল এবং ডিজেল এই ইন্ধন দুটি বেশি ব্যবহার হয়। বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করার জন্য সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উদ্যোগগুলোতে কয়লাকে ইন্ধন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। রান্না করতে, তাপ দেওয়ার ক্ষেত্রে কয়লাকে ইন্ধন হিসাবে ব্যবহার করা হয়। জীবাশ্ম ইন্ধন প্রকৃতিতে অতি সীমিত পরিমানে আছে। সুতরাং এই ইন্ধন অত্যাধিক ব্যবহার করলে পৃথিবী থেকে এই ইন্ধনটি একদিন শেষ হয়ে যাবে। সেজন্য আমরা কেবল জীবাশ্ম ইন্ধন যেমন কয়লা, পেট্রোল, জিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদির ওপর নির্ভর না করে বিকল্প শক্তির উৎসসমূহ অনুসন্ধান করে তা ব্যবহার করা উচিত।

৭। সূর্যের তাপ ব্যবহার করে পাওয়া শক্তিকে কী শক্তি বলা হয়?

উত্তরঃ সূর্য থেকে আমরা তাপ এবং আলোক পাই। সূর্যের তাপ ব্যবহার করে পাওয়া শক্তিকে সৌরশক্তি বলা হয়।

৮। বায়ুকল কী? বায়ুকলে কোন শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে?

উত্তরঃ বায়ুকল হচ্ছে মাটির থেকে কিছু উচ্চতাতে সুদৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বৈদ্যুতিক পাখার মতো একটি গঠন। বাতাসে বায়ুকলের পাখা ঘুরতে থাকে এবং এই পাখাগুলো ঘুরার ফলে শক্তি উৎপন্ন হয়। বায়ুকলের সাহায্যে আমরা বিদ্যুৎ শক্তি পেতে পারি। বাতাস হলো এক ধরনের শক্তি। বায়ুকলে এই বাতাস শক্তি ব্যহহার করা হয়।

৯। বায়ু ব্যবহার হওয়া দুটি কার্যের বিষয়ে লেখো।

উত্তরঃ বায়ু ব্যবহার হওয়া এরূপ দুটি কার্যের উদাহরণ নীচে দেওয়া হলো–

(i) জলে পালতোলা নৌকা, বায়ুমণ্ডলে প্যারাসুট, উড়োজাহজ চলাচলের জন্য বায়ুর প্রয়োজন।

(ii) বায়ুমণ্ডলে বায়ুর উপস্থিতির জন্য পাখিরা আকাশে ওড়তে পারে। অর্থাৎ পাখিদের ওড়ার জন্য বায়ুর প্রয়োজন।

১০। বাতাস যে একধরনের শক্তি তার একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ বায়ুকলের পাখাগুলো বাতাসে ঘুরতে থাকে। এই পাখাগুলো ঘোরার ফলে শক্তি উৎপন্ন হয়। বায়ুকলের পাখার এই ঘূর্ণণ শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা যায়। সুতরাং বাতাস হলো এক ধরনের শক্তি।

১১। রোদ থাকা অবস্থায় একটি জল ভর্তি পাত্র বাইরে রেখে দিলে জলটুকু গরম হয় বলে তোমরা জানো। সূর্যের থেকে পাওয়া এই তাপ ব্যবহার করে আরও কী কাজ করা যায়?

উত্তরঃ একটি জলভর্তি পাত্র বাইরে রোদে রেখে দিলে সূর্যের তাপে পাত্রে থাকা জলটুকু গরম হয়। সূর্যের এই তাপ শক্তি ব্যবহার করে আমরা খাদ্য রান্না করতে পারি। এই কাজে সৌরকুকারও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

১২। পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদিকে নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয় কেন?

উত্তরঃ প্রকৃতিতে জীবাশ্ম ইন্ধন যেমন পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদি অতি সীমিত পরিমানে আছে, কিন্তু এই ইন্ধন অত্যাধিক ব্যবহার করলে পৃথিবী থেকে এই ইন্ধনটি একদিন শেষ হয়ে যাবে এবং সেটি পুনরায় সৃষ্টি করা যাবে না। সেজন্য পেট্রোল, ডিজেল ইত্যাদিকে নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলা হয়।

১৩। নবায়ন-অযোগ্য সম্পদ সংরক্ষণ করা জন্য তুমি নিজের ঘরে কী পদক্ষেপ নিতে পারবে?

উত্তরঃ কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি নবায়ন-অযোগা প্রাকৃতিক সম্পদ একবার ব্যবহার করার পর পুনরায় সৃষ্টি করা যায় না এবং একদিন তা সম্পূর্ণ ফুরিয়ে যাবে। প্রকৃতিতে এই জীবাশ্ম ইন্ধনগুলির পরিমান অতি সীমিত। সেজন্য নবায়ন-অযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদগুলিকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এই সম্পদগুলোকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার না করে সীমিত আকারে ব্যবহার করা উচিত যাতে কোনো ধরনের অপচয় না ঘটে। কম দূরত্বের স্থানগুলোতে পেট্রোল বা ডিজেল চালিত যানবাহন ব্যবহার না করে পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে যাতায়াত করা উচিত। তাছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি কম ব্যবহার করে গণপরিবহন গাড়িতে যাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এভাবে নবায়ন-অযোগ্য সম্পদগুলোকে ভবিষ্যতের জন্য বাঁচিয়ে আমাদের বর্তমান চাহিদা পূরণ করে তা সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

১৪। পৃথিবীর বেশির ভাগ অংশ যদিও বা জল দ্বারা আবৃত কিন্তু ব্যবহারযোগ্য জলের পরিমান খুবই কম। সেই জন্য জলের অপচয় কমানোর জন্য তুমি নিজের বন্ধু-বান্ধবীদের কীভাবে সজাগ করবে?

উত্তরঃ পৃথিবীতে ব্যবহারযোগ্য নির্মল জলের পরিমান খুবই কম। সেজন্য আমাদের ব্যবহার করা জল অপচয় করা উচিত নয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জলের ব্যবহারও দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। তাছাড়া শস্য উৎপাদন কার্য, উদ্যোগ ইত্যাদিতেও জলের ব্যবহার বেড়ে গেছে। সেজন্য জল যাতে অপচয় না করা হয় তার জন্য আমাদের সকলকে সজাগ ও সাবধান হওয়া উচিত। জলের অপচয় কমানোর অনেকগুলি ব্যবস্থা আছে, যেমন জলের কল ব্যবহার করে সঙ্গে সঙ্গে সেটি বন্ধ করে রাখা, জলের পাইপলাইনে কোনো ছিদ্র থাকলে সেটি মেরামত করা ইত্যাদি। তাছাড়া জলের পুনরাবর্তন এবং বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করে জলের অপচয় কমানো যেতে পারে।

১৫। বর্তমানে সরকার প্রচুর পরিমানে গাছপালা রোপনের জন্য বিভিন্ন ধরনের কার্যসূচি করে চলেছে। তোমাদের বিদ্যালয়ে সরকারি কার্যসূচি ছাড়া অন্যান্য সময়ে গাছপালা রোপন করা হয় কি? যদি রোপন করো, তবে কেন করো?

উত্তরঃ আমাদের বিদ্যালয়ে সরকারি কার্যসূচি ছাড়া অন্যান্য সময়ে গাছপালা রোপন করা হয়ে থাকে কারণ গাছপালা বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধিত করে। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ের চয়াপাশে রোপন করা গাছপালাগুলো বড় হয়ে নির্মল বায়ু ও শীতল ছায়া প্রদান করে থাকে।

১৬। প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য সরকারের গ্রহণ করা কোনো কার্য অথবা কোনো একটি দিবসের নাম লেখো।

উত্তরঃ প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন অরণ্য, গাছপালা ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য সরকার বিশেষ দিনগুলিতে বিভিন্ন কার্যসূচী গ্রহণ করে থাকেন। যেমন বন মহোৎসব, ধরিত্রী দিবস, বিশ্ব পরিবেশ দিবস ইত্যাদি দিনগুলিতে বৃক্ষরোপন কার্যসূচি ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশের প্রতি সজাগ ও সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করা হয়।

১৭। বর্তমান সময়ে ক্রমান্বয়ে পৃথিবীতে উষ্ণতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধ করার জন্য তুমি তোমার বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে নিয়ে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তার একটি যোজানা তৈরি করো।

উত্তরঃ বর্তমান সময়ে পৃথিবীর উষ্ণতার পরিমান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী গ্যাসগুলি হলো কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি। যানবাহন, এবং অন্যান্য শিল্প উদ্যোগে ব্যবহৃত পেট্রোল, ডিজেল, কয়লা ইত্যাদি জীবাশ্ম ইন্ধন গুলি পুড়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস নির্গত হয় এবং তা বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। এর ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা ক্রমশ: বৃদ্ধি পাচ্ছে। উষ্ণতার এই বৃদ্ধির হার রোধ করার জন্য নীচে দেওয়া পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন-

(i) জীবাশ্ম ইন্ধন যেমন কয়লা, পেট্রোল, ডিজেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদির ব্যবহার কমিয়ে আনা।

(ii) নতুন নতুন বৃক্ষ রোপন করা।

(iii) মানুষের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।

১৮। তোমার বাড়ীতে বা ঘরে যাতে জলের অপচয় না হয় তার জন্য তোমার পদক্ষেপমূলক চিন্তা-ভাবনা কী? এই বিষয়ে তুমি তোমার পরিবারের সদস্যদের কীভাবে সজাগ করবে?

উত্তরঃ আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কার্যে যেমন হাত ধোয়া, কাপড় ধৌত করা, বাসন-পত্র পরিষ্কার করা, স্নান করা, খাদ্য রান্না করা, বাগান করা ইত্যাদিতে আমরা জল ব্যবহার করে থাকি। পৃথিবীতে ব্যবহারযোগ্য জলের পরিমান অতি সীমিত। সেজন্য জল সতর্কতার সহিত পরিমিত পরিমানে ব্যবহার করা উচিত যাতে জলের অপচয় না ঘটে। জলের অপচয় রোধ করার জন্য অনেকগুলি পন্থা আছে। যেমন, জল ব্যবহার করার ঠিক পরেই জলের কল বন্ধ করে রাখা, জলের লম্বা পাইপে কোনো ছিদ্র দেখা দিলে তা সঙ্গে সঙ্গে মেরামতি করে ঠিত করা যাতে জল চুইয়ে না পড়ে। এভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদেরকে জলের অপচয় সম্পর্কে সজাগ ও সচেতন করে তোলা হয় যাতে জলের অপচয় না ঘটে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top