SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 4 কোচ রাজবংশীগণ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 4 কোচ রাজবংশীগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 4 কোচ রাজবংশীগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 4 কোচ রাজবংশীগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.

SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 4 কোচ রাজবংশীগণ

Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium নবম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 4 কোচ রাজবংশীগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

বৈচিত্রপূর্ণ আসাম

[ কোচ রাজবংশীগণ ]

পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তর-

১। কোচ-রাজবংশীগণ কোন ধর্মের মানুষ ?

উত্তরঃ কোচ রাজবংশীগণ হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ।

২। কোচ-রাজবংশীদের ভাষা এবং সংস্কৃতির সম্পর্কে কী জান লেখাে।

উত্তরঃ কোচ-রাজবংশীগণের ভাষা এবং সংস্কৃতির বিষয়ে বিভিন্ন পণ্ডিতজন বিভিন্ন আলােচনা করেছেন। জর্জ এব্রাহাম গ্রিয়ারসন যাঁকে ভারতীয় ভাষার জনক বলা হয় তিনি কোচ রাজবংশী সকলের মাতৃভাষা বলেছেন। কোচ-রাজবংশীদের মাতৃভাষা রাজবংশী ভাষার নিজস্ব শব্দসম্ভার, সর্বনাম, নিজস্ব ক্রিয়ারূপ, শব্দরূপ, মৌখিক এবং লিখিত সাহিত্য, উচ্চারণভঙ্গি, নিজস্ব বাক্যগঠন পদ্ধতি ইত্যাদি আছে। যা গ্রিয়ারসন সাহেব “ভারতীয় জরিপ গ্রন্থে”,(Linguistic Survey of India) তে উল্লেখ করেছেন। সুতরাং এই ভাষা আধুনিক অন্যান্য ভারতীয় আর্যভাষাগুলি থেকে পৃথক এবং স্বতন্ত্র একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ভাষা।

কোচ-রাজবংশীদের মূলত দুটি ধারা রয়েছে। মেঘালয় ও মেঘালয়ের অসম সীমান্ত অঞ্চলের কিছু সংখ্যক কোচ মানুষ সুপ্রাচীন ভাষা ও সংস্কৃতির আজও লালন করে চলেছেন। তাদের ধারাটি আর্যেতর। অন্যদিকে পশ্চিম অসম, উত্তরবঙ্গ, নেপাল, বিহার ইত্যাদি অঞ্চলের রাজবংশী মানুষদের ভাষা-সংস্কৃতি হল আর্য-ভাষা সংস্কৃতি। এরা শুধু রাজবংশী হিসাবে আর্য ভাষা-সংস্কৃতি লালন করে। দুটি পৃথক রকমের ভাষা-সংস্কৃতি লালন করলেও নৃতাত্ত্বিক ভাবে সকল কোচ-রাজবংশী মানুষদের শিকড় একটাই, আর তা হল কোচ। কোচ-রাজবংশীরা মূলত মঙ্গলীয় গােষ্ঠীর মানুষ। পরবর্তীকালে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করলেও কোচ রাজবংশীদের সুপ্রাচীন একটি ভিন্নধর্মী উজ্জ্বল ও চমকপ্রদ সংস্কৃতি আছে। হিন্দু আচার নীতি গ্রহণ করলেও কোচ রাজবংশীদের নিজস্ব আচার সংস্কার, পূজা-পার্বণ, ধর্মীয় বিশ্বাস, খাদ্যসম্ভার, পােশাক-পরিচ্ছদ, অলংকার, গীতবাদ্য ইত্যাদি আছে।

কোচ-রাজবংশীদের জন্ম-মৃত্যু, বিবাহের নিজস্ব আচার, মৃতের আত্মার অস্তিত্বের বিশ্বাস, নানা ইন্দ্রজাল- ক্রিয়া, তন্ত্র-মন্ত্রাদিতে বিশ্বাস, প্রকৃতির সৃষ্টিশক্তিকে মাতৃরূপে পূজা করা, বটগাছকে পূজা করা, জীব-জন্তুকে পূজা, ভূত-প্রেত অপদেবতাদের উপর বিশ্বাস, নানাধরনের বাধা নিষেধ বা অনুশাসন, খােয়া, বেশমা বা বিযুয়া, পুষুনা, কাতিগজা, চড়ক পূজা, গাজন, মনসা, শীতলা, মাসান, কালী ইত্যাদি পূজাগুলােতে অর্ধহিন্দু বা জনজাতিয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। সামাজিক কাজে চাউল, কলা, কলাগাছ, নারিকেল, পান-সুপারি, চাউলের গুঁড়া ইত্যাদির ব্যবহার করা হয়। হিন্দু দেব-দেবীর পূজা-অর্চনা নিজস্ব বিধি অনুসারে করে থাকে। অন্যান্য কিছু পূজা যেমন তারা করে থাকে সেগুলাে হল বুড়ােবুড়ি, তিস্তাবুড়ি, হুদুম পূজা, গ্রাম পূজা, ধাম পূজা, মাশান, যখা, সােনারায়, কাতি, ষাইটল ইত্যাদি। ধর্মীয় সংস্কারের মধ্যে আমাতি, যাত্রাপূজা, চড়ক পূজা, সত্যনারায়ণ, ত্রিনাথ পূজা ইত্যাদি রয়েছে।

৩। কোচ-রাজবংশীদের খাদ্য ও সাজপােশাক সম্পর্কে টীকা লেখাে।

উত্তরঃ কোচ-রাজবংশীদের নিজস্ব খাদ্যসম্ভার এবং পােশাক পরিচ্ছদ রয়েছে। খাদ্য তালিকায় আছে- ছেকা, পেক্কা, ভেল্কা, সিদল, সুটকা, টোপলাভাত, যা স্বকীয় বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। পােশাক-পরিচ্ছদের মধ্যে- মহিলাদের পাটানি, বুকুনি, ফোতা, ছেউটা, অলংকারের মধ্যে রয়েছে হাতের মুঠাখারু, চূড়, শাখা, বাজু, গলার সূর্যহার, চন্দ্রহার, সিক্কাহার, কানে মাকিরি, অন্তি, নাকে নােলক, ফুল পায়ে তােলা খারু, ফেলা খারু ইত্যাদি।

৪। কোচ-রাজবংশীদের গীত বা গীতিকথা সমূহ কী কী ?

উত্তরঃ গান-গীতিকথার মধ্যে কোচ- রাজবংশীদের ভাওয়াইয়া গান, বিভিন্ন পূজার গান, রাবণ গান, কুশান গান, দোবােরা গান, বিষহরি গান, মারৈ পূজার গান, তুকখা গান, লাহাংকারী গান, নটুয়া, শাঙি চকীর গান, ডাক নাম, জাগ গান ইত্যাদি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।

৫। সংক্ষেপে টীকা লেখাে –

S.L. No.Group – A সূচীপত্র
পাঠ – ১গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা
পাঠ – ২খাই খাই
পাঠ – ৩ধূলামন্দির
পাঠ – ৪কবর
পাঠ – ৫মনসামঙ্গল
পাঠ – ৬প্রত্যুপকার
পাঠ – ৭ছুটি
পাঠ – ৮ডাইনী
পাঠ – ৯পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম
পাঠ – ১০অ্যান্টিবায়ােটিক ও পেনিসিলিনের কথা
পাঠ – ১১লড়াই
পাঠ – ১২আমরা
পাঠ – ১৩আগামী
পাঠ – ১৪আত্মকথা
পাঠ – ১৫ভারতবর্ষ
পাঠ – ১৬ব্যাকরণ
পাঠ – ১৭রচনা
S.L. No.Group – B বৈচিত্রপূর্ণ আসাম
পাঠ – ১আহােমগণ
পাঠ – ২কাছাড়ের জনগােষ্ঠী
পাঠ – ৩কারবিগণ
পাঠ – ৪কোচ রাজবংশীগণ
পাঠ – ৫গড়িয়া, মরিয়া ও দেশীগণ
পাঠ – ৬গারােগণ
পাঠ – ৭সাঁওতালগণ
পাঠ – ৮চা জনগােষ্ঠী
পাঠ – ৯চুটিয়াগণ
পাঠ – ১০ঠেঙাল কছারিগণ
পাঠ – ১১ডিমাসাগণ

(ক) জননেতা শরৎচন্দ্র সিংহ

(খ) অম্বিকাচরণ চৌধুরী

(গ) অরুণকুমার রায়

(ঘ) রুক্মিণীকান্ত রায়

(ঙ) তরুণ পানিরাম দাস

উত্তরঃ (ক) জননেতা শরৎচন্দ্র সিংহ – শরৎচন্দ্র সিংহের জন্ম হয়েছিল ১৯১৪ সালের ১ জানুয়ারি। পিতার নাম লালসিং সিংহ এবং মাতা আয়াচিনি সিংহ। অসমের রাজনীতিতে ছিলেন একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। প্রকৃতার্থে তিনি ছিলেন জনতার নেতা। গান্ধীবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত বহুমুখী প্রতিভাধারী ছিলেন। জনসেবা করাই ছিল তার জীবনের ব্রত। অসমকে এক দুর্নীতিমুক্ত রাজ্য হিসাবে গড়া ছিল তার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করবার জন্য জীবনের অন্তিমকাল পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি চারবার অসম বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৭২-৭৮ সাল পর্যন্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রী রূপে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। কিছু উল্লেখযােগ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। 

এই পরিকল্পনাগুলি হল-

১। জরুরিকালীন রবিশস্য।

২। কৃষিনিগম।

৩। পঞ্চায়েতরাজ।

৪। তদারক কোষ প্রকল্প। 

৫। আকলন পত্র।

৬। খাদ্যশস্যের সরকারি ব্যবসায়। 

৭। শিক্ষানুষ্ঠান সংস্কার প্রকল্প।

৮। শিলং থেকে দিশপুরে অস্থায়ী রাজধানী স্থানান্তকরণ। 

৯। গ্রাম পঞ্চায়েত সমবায় সমিতি।

এই জননেতা ২০০৫ সালে ৯৩ বছর বয়সে স্বর্গলােক প্রাপ্ত হন।

(খ) অম্বিকাচরণ চৌধুরি – ১৯৩০ সালে ১৬ আগস্ট বঙ্গাইগাঁও জেলার অন্তর্গত বরপারা গ্রামে অম্বিকাচরণ চৌধুরীর জন্ম হয়েছিল। পিতা নরেশ্বর চৌধুরি এবং মাতা ছিলেন কাশীশ্বরী চৌধুরি। মেধাবী অম্বিকাচরণ চৌধুরি বঙ্গাইগাঁও থেকে স্কুলশিক্ষা লাভ করে ১৯৫৫ সালে কটন মহাবিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে শিলং-এ সরকারি চাকরি করা কালীন বি.টি. পাশ করেন। ছাত্রাবস্থা থেকে অম্বিকাচরণ বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িয়ে ছিলেন।

অম্বিকাচরণ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ছােট বড় ৩২ খানা ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমালােচনা বিষয়ক গ্রন্থ রচনা করেন। ইংরাজি, অসমিয়া, রাজবংশী তিনটি ভাষাতেই সমান দক্ষ ছিলেন। ইংরাজি ও অসমীয়াতে শতাধিক প্রবন্ধ লিখেছিলেন। অসম সাহিত্য সভা তাঁকে ‘রত্নপীঠের রত্ন’ উপাধি প্রদান করে। উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতিক সংস্থা তাকে ‘কামতারত্ন’ সম্মানে ভূষিত করে। ১৯৯৪ সালে তিনি সাহিত্যিক পেনশন লাভ করেন। প্রাথমিক শিক্ষক সংস্থা তাকে ‘শিক্ষাবান্ধব’ উপাধি দেয়।

(গ) অরুণকুমার রায় – ১৯২৫ সালের ৮ অক্টোবর অরুণকুমার রায়ের জন্ম হয়েছিল। তিনি বঙ্গাইগাঁও-এর ছিপন ছিলা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার পিতার নাম ছিল প্রকাশচন্দ্র রায় এবং মা ছিলেন অভয়েশ্বরী রায়। তিনি এন্ট্রান্স পর্যন্ত পড়াশুনা করেন তারপর বিষ্ণুপ্রসাদ রাভার সান্নিধ্য গ্রহণ করে আর. সি. পি. আইতে যােগদান করেছিলেন। তিনি বামপন্থী মতাদর্শ প্রচারের জন্য কারাবাস করেছিলেন। গৃহরক্ষীবিভাগে কিছুদিন কাজ করার পর কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। কোকরাবার মহকুমা পরিষদ এবং শালমারা পরিষদের সভাপতিও ছিলেন তিনি। এরপর প্রতিরক্ষা সংস্থার নিম্ন অসমের সমন্বয়কের দায়িত্ব বহন করে ১৯৯৩ সালে কোচ-রাজবংশী সাহিত্যসভা গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। 

১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত কোচ-রাজবংশী জনজাতি ভাষা-সংস্কৃতির উন্নতি সাধনে প্রাণপাত করেছিলেন। রাজবংশী ভাষায় কোচ-রাজবংশীদের সংস্কৃতিমূলক বেশ কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেন। এছাড়াও নাটক, কবিতা, শব্দকোষ প্রণয়ন করেন। ২০০৪ সালে তিনি অসম সরকারের থেকে এককালীন সাহিত্যিক অনুদান লাভ করেন। ২০১৩ সালে অসম সরকারের সঞ্চালকালয় দ্বারা পরিচালিত গুরুশিষ্য পরম্পরা প্রকল্পের অধীনে ‘লােকসংস্কৃতির গুরু’ হিসাবে স্বীকৃতি ও সম্মান লাভ করেন। কোচ-রাজবংশী জনগােষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতির জন্য যে অবদান তিনি রেখে গিয়েছেন তার স্বীকৃতি স্বরূপ কোচ-রাজবংশী সাহিত্যসভা অরুণকুমার রায়কে ২০১৬ সালে সাহিত্য রত্ন’ সম্মান প্রদান করে।

(ঘ) রুক্মিণীকান্ত রায় – রুক্মিণীকান্ত রায় হলেন পশ্চিম অসমের কোচ-রাজবংশী সম্প্রদায়ের একজন খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী এবং হাস্যরসিক ব্যক্তি। তিনি সাধারণ নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও উচ্চশিক্ষা লাভ করে জীবনে সফলতা লাভ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁর জীবনের শৈক্ষিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধার্মিক প্রভৃতি সকল পর্যায়ই সমাজের পক্ষে আদর্শ স্বরূপ। তিনি একজন মেধাবী ছাত্র এবং রাজবংশী ভাষায় সুদক্ষ বক্তা ছিলেন।

সমাজের উন্নতির জন্য অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মঠ-মন্দির ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। রাজনৈতিক জীবনেও জিলা পর্যায় থেকে রাজ্য পর্যায়ে উন্নীত হয়ে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। একজন সাধারণ কেরানি থেকে কলেজের অধ্যাপক, অধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভাল ফুটবল খেলােয়াড় হিসাবেও তার পরিচিতি ছিল। জীবনের শেষ বয়সে একজন সুদক্ষ বক্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলেন। কৃষ্ণানন্দ ব্রহ্মচারীর সঙ্গে এসে তিনি কিছু ধূর্ম বিষয়ক তত্ত্বগভীর প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন।

(ঙ) দুরন্ত তরুণ পানিরাম দাস – সমাজকর্মীতথা মুক্তিযােদ্ধা–তরুণ পানিরাম দাসের জন্ম হয় ১৯১৭ সালের ৭ এপ্রিল। এক সাধারণ কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এবং আজীবন শুধু খদ্দর ধুতি পরিধান করা এই পানিরাম ছিলেন ত্যাগী, দেশপ্রেমের আদর্শে অবিচল সংগ্রামী, সমাজকর্মী। ১৯৩৮ সালে কংগ্রেসে যােগদান করে ১৯৪১ সালে মহাত্মা গান্ধির সত্যাগ্রহে যােগদান করে কারাবরণ করেন। তিনি নিজ দেশের উন্নতির জন্যে প্রাণপাত করেছিলেন। ২০০৫ সালে ভারতের মহামান্য রাষ্ট্রপতি- ড. এ.পি.জে. আব্দুল কালাম এই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত করেছিলেন। এই বছরই ভারতীয় সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক পথরুঘাটে আয়ােজিত কৃষক শহিদ দিবস’-এ তাকে ‘খাদি পরিহিত সেনাধ্যক্ষ’ উপাধি প্রদান করা হয়েছিল।

২০১০ সালের ৩০ নভেম্বর এই স্পষ্টবাদী দুরন্ত তরুণ স্বাধীনতা সংগ্রামীর মৃত্যু হয়। দেশের উন্নতির অবদানে স্বীকৃতি স্বরূপ সম্পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জ্ঞাপন করা হয়েছিল।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top