SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 গারােগণ

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 গারােগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 গারােগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 গারােগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.

SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 গারােগণ

Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium নবম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 6 গারােগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

বৈচিত্রপূর্ণ আসাম

[ গারােগণ ]

পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তর-

১। গারােদের উপ-জনগােষ্ঠীগুলি কী কী ?

উত্তরঃ বাসস্থান এবং ভাষার দিক থেকে গারােদের আমবেং, মাতসি, মাতাবেং, গারগানসি, দুয়াল, রুগা এবং মেগাম উপজনগােষ্ঠীতে ভাগ করা হয়।

২। গারাে বসতি প্রধান অঞ্চলগুলির নাম লেখাে।

উত্তরঃ বর্তমান সময়ে গারাে জনগােষ্ঠীগুলির লােকেরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু করে উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি রাজ্যে ছড়িয়ে আছে। এছাড়া বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায়ও এরা বসবাস করছে।

৩। গারােদের মধ্যে যারা পুজো করে তাদের কী বলে অভিহিত করা হয় ?

উত্তরঃ ধার্মিক দিক থেকে গারােগণ পূর্বপুরুষ পূজা-অর্চনায় বিশ্বাসী ছিলেন। এই সকল পূজা করা লােকদের গারােরা সাংসারেক বলতাে।

৪। গারােরা মূলত কোন ধর্মাবলম্বী ছিলেন? পরে কোন ধর্ম গ্রহণ করেন ?

উত্তরঃ গারােরা মূলত হিন্দুধর্মের অনুসরণে দেব-দেবীর উপাসক ছিলেন। তাদের দেব-দেবী ছিলেন-সালজং, গরেরা, খালখামে, আসিমা, তিংসিমা সুসিমে ইত্যাদি। কিন্তু উনিশ শতকের প্রথম থেকেই খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত হতে শুরু করায় পূজা অর্চনাও ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়।

৫। গারােদের প্রধান বাদ্যযন্ত্রগুলি কী কী ?

উত্তরঃ গারােদেরপ্রধান বাদ্যযন্ত্রগুলাে হল-ঢামা খ্রাম (ঢােলক), গগনা, মহিষের শিঙ নির্মিত বাঁশের পাইপ লাগানাে বাংসী-বাঁশি ইত্যাদি।

৬। সংক্ষেপে টীকা লেখাে –

S.L. No.Group – A সূচীপত্র
পাঠ – ১গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা
পাঠ – ২খাই খাই
পাঠ – ৩ধূলামন্দির
পাঠ – ৪কবর
পাঠ – ৫মনসামঙ্গল
পাঠ – ৬প্রত্যুপকার
পাঠ – ৭ছুটি
পাঠ – ৮ডাইনী
পাঠ – ৯পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম
পাঠ – ১০অ্যান্টিবায়ােটিক ও পেনিসিলিনের কথা
পাঠ – ১১লড়াই
পাঠ – ১২আমরা
পাঠ – ১৩আগামী
পাঠ – ১৪আত্মকথা
পাঠ – ১৫ভারতবর্ষ
পাঠ – ১৬ব্যাকরণ
পাঠ – ১৭রচনা
S.L. No.Group – B বৈচিত্রপূর্ণ আসাম
পাঠ – ১আহােমগণ
পাঠ – ২কাছাড়ের জনগােষ্ঠী
পাঠ – ৩কারবিগণ
পাঠ – ৪কোচ রাজবংশীগণ
পাঠ – ৫গড়িয়া, মরিয়া ও দেশীগণ
পাঠ – ৬গারােগণ
পাঠ – ৭সাঁওতালগণ
পাঠ – ৮চা জনগােষ্ঠী
পাঠ – ৯চুটিয়াগণ
পাঠ – ১০ঠেঙাল কছারিগণ
পাঠ – ১১ডিমাসাগণ

(ক) রামথে ওয়ার্থে মােমিন

(খ) রেভারেন্ড গিলবার্থ কেমারাক

(গ) সােনারাম রংরকগ্রে সাংমা

(ঘ) হাওয়ার্ড ডেনিসন মােমিন

উত্তরঃ (ক) রামথে ওয়ার্থে মােমিন – ১৮৩৪ সালে মেঘালয়ের উত্তর গারাে পাহাড়ে অবস্থিত মাটসক গ্রে নামে ছােট গ্রামে রামথে ওয়াস্ত্রে মােমিনের জন্ম হয়। ড. মাইলস ব্রনসনের দ্বারা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়ে কিছুদিন পর দামরাতে এসে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি খ্রিস্টান মিশনগুলির ভারপ্রাপ্ত মিশনারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। রামথে ওয়ার্থে শুধু মিশন এবং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতাই ছিলেন না। তিনি গােয়ালপারা এবং তুরা নর্মাল স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবেও কার্য নির্বাহ করেছেন। তিনি একই সঙ্গে ছিলেন লেখক এবং গীতিকার। গারাে সমাজের পথপ্রদর্শক হিসেবে তিনি চিরকাল স্মরণীয় থাকবেন।

রামথে ওয়াগ্লে মােমিন মােট ২১টি গান রচনা করেছিলেন। এই গানগুলি গির্জায় উপাসনার সময় গাওয়া হয়। এই গানগুলাে ‘আসনি রিঙানিং’ নামে পরিচিত।

তিনি ছিলেন একজন সমাজকর্মী এবং অর্থনীতিবিদ। তাই তাকে “Father of Modern Garo Community’ বলে অভিহিত করা হয়।

(খ) রেভারেন্ড গিলবার্থ কে মারাক – ১৯২৫ সালে পশ্চিম খাসিয়া পাহাড় এবং দক্ষিণ কামরূপ জেলার সীমান্তে অবস্থিত রাসাংপারা গ্রামে গিলবার্থ কে মারাকের জন্ম। তিনি রেভারেন্ড রামথে এবং সাংমার একমাত্র পুত্র। তিনি ১৯৬০ সালে লিনার্ড থিওলজিকেল কলেজ থেকে ডিগ্রি অব ব্যাচেলর অব রিলিজিয়াস এডুকেশন লাভ করেন।

তিনি কামরূপ জেলার গােহলকোনা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করেছিলেন। সেই সময় যােরহাট সেমিনারির রেজিস্টার পদে নিযুক্ত হন।

গিলবার্থ কে মারাক স্যুইজারল্যান্ডের জেনেভার ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল অব খ্রিস্টান এডুকেশনের মুখ্য কর্মালয়ে ভারতের একজন পরামর্শদাতা হিসেবে কার্যনির্বাহ করেন। এর কিছুদিন পর ওয়ার্ড কাউন্সিল অব সার্জের সদস্য হিসেবেও তাকে নিযুক্তি দেওয়া হয়। এর সদস্য হয়ে তিনি পৃথিবীর বহুদেশ ভ্রমণ করেন।

গিলবার্থ কে মারাককে তার কর্মদক্ষতার জন্য খ্রিস্টান সংগঠন তাকে রেভারেন্ড’ উপাধি প্রদান করে। তিনি গারাে ভাষায় বাইবেল অনুবাদ করেন। তিনি গারাে ভাষায় অনেক কবিতা এবং প্রবন্ধ রচনা করেন। ইংরাজি ২০০৭ সালে মেঘালয়ের তুরায় পরলােক গমন করেন।

(গ) সােনারাম রংরকগ্রে সাংমা – ১৮৬৭ সালে উত্তরপূর্ব গারাে পাহাড়ে এবং গােয়ালপাড়া জেলার সীমান্তে অবস্থিত নাসিরংদিক গ্রামে সােনারাম রংরকগ্রে সাংমার জন্ম হয়। তার পিতার নাম খ্রাংগাবিল মােমিন এবং মাতা সামরে রংরকগ্রে সাংমা। নিশান গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করে তুরার মিশন স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশােনা করেন। তিনি ছিলেন সাহসী, আত্মবিশ্বাসী, পরােপকারী, দরদী, এবং অত্যন্ত সহিষ্ণু ব্যক্তি। শােষণের বিরােধিতা করা ছিল তার স্বভাবজাত। সামাজিক অত্যাচার উৎপীড়নের বিরােধিতা করেছিলেন এবং সেগুলাে নির্মূল করবার প্রচেষ্টা আজীবন করে গেছেন তিনি।

সেই সময় ব্রিটিশ সরকারের ভারতীয়দের বিনা মজুরিতে কাজ করান, গারােদের জুম খেত বন্ধ করে দেওয়া সরকারের এমন দমননীতির বিরােধিতা করেছিলেন সােনারাম। ১৯১৬ সালে ২৭ আগস্ট তিনি পরলােক গমন করেন।

(ঘ) হাওয়ার্ড ডেনিসন মােমিন – “আধুনিক গারাে সাহিত্যের জনক” হাওয়ার্ড ডেনিসন মােমিনের জন্ম হয় ১৯১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি, মেঘালয়ের তুরা শহরে। তার পিতা ছিলেন জবাং ডি মারাক। যিনি প্রথম গারাে ব্যক্তি উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা পাড়ি দেন। ১৯০৫-১১ পর্যন্ত আমেরিকার হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডেনিসন স্কুলে’ শিক্ষা লাভ করে।

মাত্র নয় বছর বয়সে হাওয়ার্ড ডেনিসন মােমিন কোলকাতার সেন্ট জেমস ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন। হাইস্কুল শিক্ষান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি কোলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক হন। ১৯৩৬ সালে ইংরাজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। গারাে সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

মােমিন কিছুদিন তুরায় ন্যায় বিভাগে বিচারপতি হিসাবে কাজ করেন। ১৯৪০ সালে গুয়াহাটীর কটন কলেজে ইংরেজির প্রবক্তা হিসেবে তিনি যােগ দেন। সেই সময় গারাে ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যে তিনি ‘আসিক-খুরাং’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি গারাে ভাষায় কিছু কবিতা রচনা করেন।

১৯৯০ সালে ২২ ফেব্রুয়ারি মােমিনকে তুরায় KACHALANG (খা সালাং) সম্মান প্রদান করা হয়।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top