SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 সাঁওতালগণ Solutions in Bengali provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 সাঁওতালগণ Question Answer in Bengali is made for SEBA Board Students. We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 সাঁওতালগণ Notes in Bengali If you learn from us then don’t need to buy any other books for text book Solutions.
SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 সাঁওতালগণ
Here we will provide you Boichirapurna Assam complete Question Answer in Bengali Medium নবম শ্রেণীর বৈচিত্রপূর্ণ আসাম , SEBA Class 9 বৈচিত্রপূর্ণ আসাম Chapter 7 সাঁওতালগণ Suggestions If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
বৈচিত্রপূর্ণ আসাম
[ সাঁওতালগণ ]
পাঠ্যভিত্তিক প্রশ্ন এবং উত্তর-
১। সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতানুসারে সাঁওতাল’ শব্দটি কোথা থেকে এসেছে ?
উত্তরঃ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতানুসারে ‘সাঁওতাল’ শব্দটি সংস্কৃত ‘সমান্তরাল’ শব্দ থেকে এসেছে।
২। সাঁওতালদের প্রধান জীবিকা কি ?
উত্তরঃ সাঁওতালদের প্রধান জীবিকা কৃষিকার্য।
৩। মােড়ে হােড়ের প্রধানকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ সাঁওতালদের সামাজিক জীবন প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বতন্ত্র। গ্রামের জনসাধারণকে প্রণালীবদ্ধভাবে শাসন করার জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে থেকে পাঁচজনকে বেছে নেওয়া হত। এই পাঁচজনকে ‘মােড়ে হােড়ে’ বলা হয়। ‘মােড়ে হােড়ে’র প্রধানের উপাধি ‘মাঝহি।
৪। সাঁওতালদের উপাধি কয়টি এবং কী কী ?
উত্তরঃ সাঁওতালদের উপাধি বারােটি। যেমন—মুর্মু, হেম, কিস্কু, বেসরা, টুডু, সরেন, রাস্কে, হাসদা, মার্ডি, চোঁড়ে, পাউরিয়া এবং বেদেয়া। প্রতিটি গােত্রের উপগােত্র আছে। মুর্মুর উপগােত্র ঠাকুর, কিস্কুর উপগােত্র রাপাজ।
৫। সাঁওতালদের কৃষ্টি সম্পর্কে আলােচনা করাে ?
উত্তরঃ সাঁওতালদের বিবাহের যে উৎসব, সেখানে সাঁওতাল পুরুষরা ধুতি পরিধান করে। এদের প্রধান উৎসব বাহা এবং সহরাই। বিবাহের দিন বরকে হলুদমাখা চাদর এবং সাদা রঙের টুপি পরতে হয়।
সাঁওতালি ভাষায় পােশাককে “হােরঃ বান্দে” বলা হয়। মহিলাদের প্রধান পরিধান লুঙ্গি পাঞ্চি। মহিলারা উর্ধাঙ্গে যে বস্ত্র পরিধান করে তাকে পাঞ্চি এবং শরীরের নিম্নাংশের বস্ত্রকে ‘পাড় হাণ্ড’ (লুঙ্গি) বলা হয়। মহিলারা রুপাের অলংকার পরিধান করেন। নৃত্যগীতের মধ্যে দংসংগীত, দং নৃত্য, লাগঁড়ে গীত, নৃত্য, চহরাই, বাহাগীত উল্লেখযােগ্য। সাঁওতালদের বাদ্যযন্ত্র হল- টামাক, তুমদাঃ, ঢােল ইত্যাদি। বিয়েতে ব্যবহার করা কাঁসার পাত্র- থাল, বাটি, লটা।
৬। সাঁওতালদের সামাজিক জীবন বর্ণনা করাে।
উত্তরঃ সাঁওতালদের সামাজিক জীবন প্রক্রিয়া অত্যন্ত স্বতন্ত্র। সাঁওতাল সমাজ পিতৃপ্রধান। গ্রামের জনসাধারণকে প্রণালীবদ্ধভাবে শাসন করার জন্য গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে পাঁচজনকে নেওয়া হয়। মাঝহি’র উপর গ্রামের সমস্ত সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব থাকে। গ্রামে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে ‘মাঝহি’র কাছে অভিযােগ করা হয়। এদের প্রধান উৎসব বাহা এবং সহরাই। এরা বিভিন্ন প্রকার বাদ্যযন্ত্র এবং নৃত্যগীতের মাধ্যমে বিবাহের আনন্দ প্রকাশ করে। বিয়েতে বরকে হলুদমাখা চাদর এবং সাদা রঙের টুপি পরানাে হয়। বিবাহের উৎসবে সাঁওতাল পুরুষরা ধুতি পরিধান করেন।
৭। অর্থ লেখাে।
সিন্দুরখাঙি, টটড়বা, হােরঃ বান্দে, মাঝাহি, পাড়হাণ্ড।
উত্তরঃ সিন্দুরখাণ্ডি – হলদিমাখা সাজপােশাক।
টটড়বা – টুপি।
হােরঃ বান্দে – সাজপােশাক।
মাঝহি – গাঁওবুড়া।
পাড়হাণ্ড – লুঙ্গি।
৮। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখাে।
S.L. No. | Group – A সূচীপত্র |
পাঠ – ১ | গৌরাঙ্গের বাল্যলীলা |
পাঠ – ২ | খাই খাই |
পাঠ – ৩ | ধূলামন্দির |
পাঠ – ৪ | কবর |
পাঠ – ৫ | মনসামঙ্গল |
পাঠ – ৬ | প্রত্যুপকার |
পাঠ – ৭ | ছুটি |
পাঠ – ৮ | ডাইনী |
পাঠ – ৯ | পিপলান্ত্ৰি গ্ৰাম |
পাঠ – ১০ | অ্যান্টিবায়ােটিক ও পেনিসিলিনের কথা |
পাঠ – ১১ | লড়াই |
পাঠ – ১২ | আমরা |
পাঠ – ১৩ | আগামী |
পাঠ – ১৪ | আত্মকথা |
পাঠ – ১৫ | ভারতবর্ষ |
পাঠ – ১৬ | ব্যাকরণ |
পাঠ – ১৭ | রচনা |
S.L. No. | Group – B বৈচিত্রপূর্ণ আসাম |
পাঠ – ১ | আহােমগণ |
পাঠ – ২ | কাছাড়ের জনগােষ্ঠী |
পাঠ – ৩ | কারবিগণ |
পাঠ – ৪ | কোচ রাজবংশীগণ |
পাঠ – ৫ | গড়িয়া, মরিয়া ও দেশীগণ |
পাঠ – ৬ | গারােগণ |
পাঠ – ৭ | সাঁওতালগণ |
পাঠ – ৮ | চা জনগােষ্ঠী |
পাঠ – ৯ | চুটিয়াগণ |
পাঠ – ১০ | ঠেঙাল কছারিগণ |
পাঠ – ১১ | ডিমাসাগণ |
(ক) বেনেডিক্ট হেম
(খ) বদন হাসদা
(গ) মিথিয়াস টুডু
(ঘ) রাহেল কিস্কু
উত্তরঃ (ক) বেনেডিক্ট হেম্বম – কোকরাঝাড় জেলার গােসাইগাঁও মহকুমার পলাশগুরি গ্রামে ১৯৬৭ সালের ১৮ অক্টোবর বেনেডিক্ট হেম জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিল লক্ষ্মণ হেম এবং মাতার নাম ছিল রানি সরেন। সাঁওতালি ভাষা, সাহিত্যে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয়। গ্রামের বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করে তিনি ১৯৯৩ সালে কটন কলেজ থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে এম. এস. সি. ডিগ্রি লাভ করেন। গােসাইগাঁও বি, এড কলেজ থেকে বি, এড. পাশ করে তিনি গ্রাহামপুর উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যােগদান করেন। তিনি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও প্রথম সাঁওতালি ভাষায় ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন।
তিনি একজন সফল বক্তা ও দক্ষ খেলােয়াড় ছিলেন। সময়ানুবর্তিতা তাঁর একটি বড়াে গুণ ছিল। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি ছিলেন কর্মনিষ্ঠ।
মধুমেহ রােগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
(খ) বদন হাসদা – কোকরাঝাড় জেলার খাপরগাঁও গ্রামে ১৯৫৭ সালে বদন সদা জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিল মামি হাসদা এবং মা সলমা বেসরা। তিনি সাঁওতাল জনগােষ্ঠীকে শিক্ষা, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিকে স্বাবলম্বী করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তিনি আদিবাসী সেবা সমিতির সভাপতি এবং অসম সাঁওতালি সাহিত্য সভার উপদেষ্টা ছিলেন। কোকরাঝাড় জেলার উপায়ুক্ত তাকে ‘শান্তি এবং ঐক্য পুরস্কারে সম্মানিত করেন।
২০০৭ সালের ১ মে দুবৃত্তের আক্রমণে তিনি প্রাণ হারিয়েছিলেন।
(গ) মিথিয়াস টুডু – ১৯৩০ সালের ১৫ তারিখে কোকরাঝাড় জেলার গােসাইগাঁও মহকুমার সান্থাল কলােনির মাটিয়াজুরিতে মিথিয়াস টুডুর জন্ম হয়। তাঁর পিতার নাম রেভারেণ্ড কানহু টুডু এবং মাতার নাম মারথা মুর্মু। মাটিয়াজুরি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। কটন কলেজ থেকে বি. এ. ডিগ্রী এবং পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে বি.টি ডিগ্রী লাভ করেন। গ্রাহামপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসাবে তার চাকরি জীবন আরম্ভ হয় তিনি প্রথমবার অসম বিধানসভার বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সাতবার বিধায়কের আসন অলংকৃত করেন। তিনি অসম সরকারের শ্রমিক কল্যাণ বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন।
অসমে সাঁওতাল জনগােষ্ঠী থেকে চল্লিশ বছর অসম বিধানসভাতে প্রতিনিধিত্ব করা তিনিই একমাত্র ব্যক্তি। অসম সাঁওতালি সাহিত্য সভার সভাপতি, সাঁওতাল ভাষা এবং সাহিত্য গবেষণার প্রতিস্থাপক সভাপতি, গ্রাহামপুর সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা, মরনাই চা-বাগান ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি, সেবাপুর মিশন হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
তাঁর অন্যতম শখ ছিল বই পড়া, বাগান করা, চাষবাস দেখাশােনা করা বেং শিকার করা। তিনি একজন দক্ষ ফুটবলার ছিলেন।
২০১৭ সালের ১০ জুলাই এই সৎ চরিত্রের মানুষটি মৃত্যুবরণ করেন।
(ঘ) রাহেল কিস্কু – কোকরাঝাড় জেলার গােসাইগাঁও থানার অন্তর্গত বরসনপুর গ্রামে ১৯২৫ সালে রাহেল কিস্কুর জন্ম হয়েছিল। তাঁর পিতার নাম ছিল জহন কিস্কু এবং মাতার নাম ছিল লক্ষ্মী মুমু। শৈশবকাল থেকে তিনি লেখাপড়া করতে ভালােবাসতেন। হারকুটা মিশন থেকে তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল। ১৯৫১ সালে লক্ষ্ণেীর একটি মহাবিদ্যালয় থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। তিনিই ছিলেন সাঁওতালদের প্রথম মহিলা স্নাতক।
দরিদ্র শ্রেণির মহিলাদের উন্নতিকল্পে কর্মরত অবস্থাতেই নিজস্ব পুঁজি দিয়ে বিনামূল্যে মহিলাদের জন্য একটি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু করেছিলেন। তিনি সমাজের দুর্নীতি নিবারণ, মদের প্রচলন ও ডাইনি হত্যা বন্ধ করেছিলেন।
তার কর্মজীবন শুরু হয় গ্রাহামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহশিক্ষয়িত্রী হিসাবে। প্রধান শিক্ষয়িত্রী হিসাবে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
সাঁওতাল সাহিত্য জগতের তিনি এক অমূল্য সম্পদ। ২০০১ সালের ৬ এপ্রিল তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.