Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Syllabus of SEBA Class 7 Science Chapter 4 তাপ Question Answer in Bengali. সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই প্রশ্ন উত্তর Are you a Student of (Secondary Education Board of Assam). SEBA Class 7 Science Chapter 4 তাপ Notes in Bengali Which you can Download PDF Notes SEBA Class 7 Science Chapter 4 তাপ Solutions for free using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 7 Science Chapter 4 তাপ
Today’s We have Shared in This Post, SEBA Class 7 Science Chapter 4 তাপ Solutions in Bengali for Free with you. SEBA Class 7 Science Chapter 4 তাপ in Bengali Notes I Hope, you Liked The information About The Class 7th Science Question Answer in Bengali. if you liked SEBA Class 7 Science Textbook Question Answer in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
তাপ
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। ডাক্তারি থার্মোমিটার এবং পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত থার্মোমিটার এর মধ্যে সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্যগুলি আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ডাক্তারি থার্মোমিটার এবং পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত থার্মোমিটার – এর মধ্যে সাদৃশ্যগুলি হল—
( ১ ) উভয় প্রকার থার্মোমিটার একটি লম্বা , সরু , সুষম কাচের নলী দ্বারা গঠিত ।
( ২ ) উভয় প্রকার থার্মোমিটার – এর এক প্রান্তে একটা কুণ্ড বা বাল্ব থাকে ।
( ৩ ) উভয় প্রকার থার্মোমিটার – এর বাল্ব পারদ দ্বারা পূর্ণ থাকে ।
( ৪ ) উভয় প্রকার থার্মোমিটার – এর কাচের নলের গায়ে সেলসিয়াস স্কেল – এর দাগ কাটা থাকে ।
ডাক্তারি থার্মোমিটার এবং পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত থার্মোমিটার – এর মধ্যে পার্থক্যগুলি হল—
( ১ ) ডাক্তারি থার্মোমিটার দ্বারা ৩৫° সেলসিয়াস থেকে ৪২° সেলসিয়াস পর্যন্ত উষ্ণতা মাপা যায় , অপরদিকে পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত থার্মোমিটার – এর সাহায্যে— ১০° সেলসিয়াস থেকে ১১° সেলসিয়াস পরিসরের মধ্যে উষ্ণতা মাপা যায় ।
( ২ ) ডাক্তারি থার্মোমিটার – এর বাল্ব – এর নিকটে একটা বাঁকানো অংশ বা ভাঁজ থাকে , অপরদিকে পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত থার্মোমিটার – এর বাল্বের নিকট এরূপ কোনো বাঁকানো অংশ বা ভাঁজ থাকে না ।
প্রশ্ন ২। তাপের সুপরিবাহী এবং কুপরিবাহীর দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ তাপের পরিবাহী বস্তু দুটির উদাহরণ হল— তামা , লোহা । তাপের অপরিবাহী বস্তু দুটির উদাহরণ হল — প্লাস্টিক , কাঠ ।
S.L. No. | সূচীপত্র |
অধ্যায় -1 | উদ্ভিদের পরিপুষ্টি |
অধ্যায় -2 | প্রাণীর পরিপুষ্টি |
অধ্যায় -3 | তন্ত্র থেকে বস্ত্ৰ |
অধ্যায় -4 | তাপ |
অধ্যায় -5 | অম্ল , ক্ষার ও লবণ |
অধ্যায় -6 | ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন |
অধ্যায় -7 | আবহাওয়া , জলবায়ু এবং জলবায়ুর সঙ্গে প্রাণীর অভিযোজন |
অধ্যায় -8 | বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু |
অধ্যায় -9 | মাটি |
অধ্যায় -10 | জীবদেহে শ্বসন |
অধ্যায় -11 | প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র |
অধ্যায় -12 | উদ্ভিদের প্রজনন |
অধ্যায় -13 | গতি ও বল |
অধ্যায় -14 | বিদুৎ প্রবাহ ও তার প্রভাব |
অধ্যায় -15 | আলোক |
অধ্যায় -16 | জল একটি অমূল্য সম্পদ |
অধ্যায় -17 | বনাঞ্চল : আমাদের জীবনরেখা |
অধ্যায় -18 | বর্জিত জলের গল্প |
প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো :
( ক ) কোন বস্তু কতটুকু গরম তা নির্ধারণ করা হয় বস্তুটির ____দ্বারা।
উত্তরঃ উষ্ণতা ।
( খ ) উষ্ণতা মাপার একক____থার্মোমিটার দ্বারা মাপা যায় না ।
উত্তরঃ ডাক্তারি ।
( গ ) উষ্ণতা মাপার একক হল ডিগ্রী ____।
উত্তরঃ সেলসিয়াস ।
( ঘ ) ___প্রক্রিয়াতে তাপ সঞ্চালনে কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না ।
উত্তরঃ বিকিরণ ।
( ঙ ) একটি ঠাণ্ডা স্টিল – এর চামচ এক কাপ গরম দুধে ডুবানো হল ____প্রক্রিয়ায় চামচটির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তাপ সঞ্চালিত হয়।
উত্তরঃ পরিবহণ ।
( চ ) হালকা রঙের কাপড় থেকে ___ রঙের কাপড় বেশি তাপ শোষণ করে ।
উত্তরঃ গাঢ় ।
প্রশ্ন ৪। মিলিয়ে লেখো :
( ক ) স্থলবায়ু প্রবাহিত হয়। | ( ক ) গ্রীষ্মকালে |
( খ ) সমুদ্রবায়ু বা জলবায়ু প্রবাহিত হয়। | ( খ ) শীতকালে |
( গ ) গাঢ় রঙের কাপড়গুলো পরিধান করতে পছন্দ করা হয়। | ( গ ) দিনের বেলায় |
( ঘ ) হালকা রঙের কাপড় পরিধান করতে পছন্দ করা হয় । | ( ঘ ) রাত্রি বেলায় |
উত্তরঃ
( ক ) স্থলবায়ু প্রবাহিত হয়। | ( ঘ ) রাত্রি বেলায় |
( খ ) সমুদ্রবায়ু বা জলবায়ু প্রবাহিত হয়। | ( গ ) দিনের বেলায় |
( গ ) গাঢ় রঙের কাপড়গুলো পরিধান করতে পছন্দ করা হয়। | ( খ ) শীতকালে |
( ঘ ) হালকা রঙের কাপড় পরিধান করতে পছন্দ করা হয় । | ( ক ) গ্রীষ্মকালে |
প্রশ্ন ৫। শীতকালে একটি পাতলা স্তরবিশিষ্ট কম্বল , একটি ভারী কম্বল থেকে আমাদের বেশি গরম রাখে কেন আলোচনা কর ।
উত্তরঃ শীতকালে শুধুমাত্র একটি পুরু কাপড়ের পরিবর্তে একাধিক স্তরের কাপড় পরিধান করলে আমাদের শরীর বেশি গরম হয় এর কারণ হল বাতাস কাপড়ের দুটি স্তরের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে থাকে । বাতাস তাপের কুপরিবাহী বলিয়া এই বাতাস আমাদের দেহ থেকে তাপ বাইরের ঠাণ্ডা পরিবেশে বেরিয়ে আসতে বাধা প্রদান করে ।
প্রশ্ন ৬। নিচের চিত্রটি দেখো এবং এই চিত্রে তাপের পরিবহণ , পরিচলন এবং বিকিরণ চিহ্নিত করো ।
উত্তরঃ উপরের চিত্রে তিনটি স্থানে বিভিন্ন পথে তাপ সঞ্চালিত হয় ।
( ১ ) বিকিরণ প্রক্রিয়ায় :- আগুনের শিখা থেকে প্যানটির নীচে ।
( ২ ) পরিবহণ প্রক্রিয়ায় :- প্যান – এর নীচের তল থেকে উপরের তল পর্যন্ত ।
( ৩ ) পরিচলন প্রক্রিয়ায় :- প্যান – এর জলের নীচের অঞ্চল থেকে উপরের অঞ্চল পর্যন্ত ।
প্রশ্ন ৭। উষ্ণ অঞ্চলের কোন বাড়ির বাইরের দেওয়ালে সাদা রং দেওয়া হয় — কেন তা আলোচনা করো ।
উত্তরঃ সাদা রং অধিকাংশ বিকীর্ণ তাপকে প্রতিফলিত করে । যখন উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলের ঘরগুলির বাইরের দেওয়াল সাদা রং করা হয় , তখন এই সাদা দেওয়ালে বেশির ভাগ সূর্যের বিকীর্ণ তাপ প্রতিফলিত হওয়ায় গরম কম বোধ হয় এবং ঘরগুলি ঠাণ্ডা থাকে ।
প্রশ্ন ৮। ৩০° C- উষ্ণতার থাকা এক লিটার জল ৫০° C- উষ্ণতার এক লিটার জলের সাথে মিশ্রিত করা হল । এই মিশ্র পদার্থটির উষ্ণতা হবে—
( ক ) ৮০° C
( খ ) ৫০° C হতে বেশি কিন্তু
( গ ) ২০° C
( ঘ ) ৩০° C হতে ৫০° C- এর মধ্যে
উত্তরঃ ( ঘ ) ৩০° C হতে ৫০ ° C- এর মধ্যে ।
প্রশ্ন ৯। ৪০° C উষ্ণতার একটি লোহার বল ৪০° C উষ্ণতার জলের একটি মগে ফেলা হল । তাপ —
( ক ) লোহার বল থেকে জলের দিকে প্রবাহিত হবে ।
( খ ) লোহার বল থেকে জলে অথবা জল থেকে লোহার বলে প্রবাশিত হবে না ।
( গ ) জল থেকে লোহার বলে প্রবাহিত হবে ।
( ঘ ) উভয় বস্তুর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবে ।
উত্তরঃ ( খ ) লোহার বল থেকে জলে অথবা জল থেকে লোহার বলে প্রবাহিত হবে না ।
প্রশ্ন ১০। একটি কাঠের চামচ এক কাপ বরফে ডোবানো হল । তার অন্য প্রান্তটি—
( ক ) পরিবহণ প্রণালীতে ঠাণ্ডা হবে ।
( খ ) পরিচলন পদ্ধতিতে ঠাণ্ডা হবে ।
( গ ) বিকিরণ পদ্ধতিতে ঠাণ্ডা হবে ।
( ঘ ) ঠাণ্ডা হবে না ।
উত্তরঃ ( ঘ ) ঠাণ্ডা হয় না ।
প্রশ্ন ১১। স্টীলের কড়াই – এর নীচে তামার প্রলেপ দেওয়া থাকে তার কারণ হল—
( ক ) নীচে তামা থাকায় কড়াই তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না ।
( খ ) কড়াইগুলো দেখতে সুন্দর ।
( গ ) তামা স্টীল থেকে তাড়াতাড়ি গরম হয় ।
( ঘ ) তামা স্টীল থেকে তাড়াতাড়ি পরিষ্কার করা যায় ।
উত্তরঃ ( গ ) তামা স্টীল থেকে তাড়াতাড়ি গরম হয় ।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। তাপ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ তাপ হলো একপ্রকার শক্তি , যা বর্জন করলে বস্তু শীতল হয় এবং গ্রহণ করলে বস্তু উত্তপ্ত হয় ।
প্রশ্ন ২। উষ্ণতা বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ কোনো বস্তুর উত্তাপের নির্ভরযোগ্য মাপ হলো— ইহার উষ্ণতা । অর্থাৎ উষ্ণতা হলো— বস্তুর তাপীয় অবস্থা ।
প্রশ্ন ৩। থার্মোমিটার বা তাপমান যন্ত্র কী ?
উত্তরঃ যে যন্ত্রের সহযোগীতায় কোনো পদার্থের উষ্ণতা মাপা হয় , সেই যন্ত্রকে বলা হয় থার্মোমিটার বা তাপমান যন্ত্র ।
প্রশ্ন ৪। তিন প্রকারের থার্মোমিটার বা তাপমান যন্ত্রের নাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ তিন প্রকারের থার্মোমিটার বা তাপমান যন্ত্রের নাম হলো—
( ১ ) ক্লিনিকেল বা ডাক্তারি থার্মোমিটার ।
( ২ ) পরীক্ষাগারের থার্মোমিটার ।
( ৩ ) সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন থার্মোমিটার ।
প্রশ্ন ৫। আমাদের দেহের উষ্ণতা মাপার জন্য ব্যবহৃত তাপমান যন্ত্রটির নাম কী ?
উত্তরঃ ক্লিনিকেল বা ডাক্তারি থার্মোমিটার ।
প্রশ্ন ৬। তাপমান যন্ত্রের বাল্বটিতে কোন ধাতুটি ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ পারদ ।
প্রশ্ন ৭। ক্লিনিকেল থার্মোমিটারের পাঠ নেওয়ার সময় কোন কোন সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত ?
উত্তরঃ ক্লিনিকেল থার্মোমিটারের পাঠ নেওয়ার সময় নিম্নলিখিত সতর্কতাগুলি অবলম্বন করা উচিত । যেমন—
( ১ ) থার্মোমিটারটি ব্যবহার করার আগে এবং পরে ধোওয়া উচিত । ধোওয়ার সময় বিশেষ করে এন্টিসেপটিক দ্রব ব্যবহার করা উচিত ।
( ২ ) ব্যবহারের পূর্বে থার্মোমিটার – এর পারদ 35° C- এর নীচে আছে কি না সে সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া উচিত ৷
( ৩ ) পারদের শেষ অংশ দৃষ্টিরেখার সঙ্গে অনুভূমিক রেখে থার্মোমিটারের পাঠ নিতে হয় ।
( ৪ ) থার্মোমিটারটি সযত্নে ব্যবহার করতে হয় । শক্ত বস্তুর সঙ্গে ধাক্কা খেলে সেটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
( ৫ ) থার্মোমিটারের পাঠ নেওয়ার সময় থার্মোমিটারটির বাল্বে ধরতে নেই ।
প্রশ্ন ৮। ক্লিনিকেল থার্মোমিটার মুখ থেকে বের করে আনার পরও এটির পারদের উত্থান বা পতন না হওয়ার কারণ কী ?
উত্তরঃ ক্লিনিকেল থার্মোমিটার – এর বাল্ব বা পারদ কুণ্ডের কাছে একটা ভাঁজ থাকে । এই ভাঁজ পারদকে আপনা আপনি নীচে নেমে যেতে বাধা দান করে । তাই ক্লিনিকেল থার্মোমিটার দ্বারা জ্বর মাপার সময় সেটি মুখ থেকে বের করে আনার পরও এটির পারদের উত্থান বা পতন হয় না ।
প্রশ্ন ৯। ক্লিনিকেল থার্মোমিটারে 35° C থেকে 42° C পর্যন্ত দাগ থাকে কেন ?
উত্তরঃ ক্লিনিকেল থার্মোমিটারটি মানুষের শরীরের উষ্ণতা মাপার জন্য তৈরি করা হয় । মানুষের শরীরের উষ্ণতা সাধারণতঃ 35° C এর নীচে বা 42° C এর উপরে যায় না । এই কারণে ক্লিনিকেল থার্মোমিটারে 35° C থেকে 42° C পর্যন্ত দাগ থাকে।
প্রশ্ন ১০। প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরের উষ্ণতা 37° C হতে পারে কি ?
উত্তরঃ প্রত্যেক ব্যক্তির শরীরের উষ্ণতা 37° C নাও হতে পারে । এটি সামান্য কম বা সামান্য বেশি হতে পারে । প্রকৃতপক্ষে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক উষ্ণতা হচ্ছে বহুসংখ্যক রোগহীন মানুষের শরীরের উষ্ণতার গড় মান ।
প্রশ্ন ১১। ক্লিনিকেল বা ডাক্তারি থার্মোমিটারের গঠন প্রণালী লেখো ।
উত্তরঃক্লিনিকেল থার্মোমিটার একটি লম্বা , সরু , সুষম কাঁচের নলী দিয়ে তৈরি । এটির এক প্রান্তে একটি বাল্ব আছে । বাল্বটি পারদ দিয়ে তৈরি থাকে।
বাল্বটির বহির্ভাগে একটি সরু উজ্জ্বল পারদের সূতা দেখতে পাওয়া যায়।থার্মোমিটারটির কাঁচের নলের গায়ে সাধারণতঃ সেলসিয়াস স্কেলে উষ্ণতা মাপক স্কেল দেওয়া থাকে ।
প্রশ্ন ১২। তাপ পরিবহণ বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ কোনো একটি বস্তুর গরম প্রান্ত থেকে ঠাণ্ডা প্রান্তে তাপের সঞ্চালন হওয়া প্রক্রিয়াকে বলা হয় তাপ পরিবহণ । কঠিন পদার্থে সাধারণতঃ পরিবহণ প্রক্রিয়ায় তাপের সঞ্চালন ঘটে ।
প্রশ্ন ১৩। তাপের পরিচলন প্রক্রিয়াটি একটি উদাহরণ সহযোগে বুঝিয়ে লেখো ।
উত্তরঃ একটি পুরু কাঁচের ফ্লাস্কে জল গরম করার সময়ে আগুনের শিখার কাছে থাকা জল প্রথমে গরম হতে থাকে । গরম জল উপরের দিকে উঠে যায় এবং ঠাণ্ডা জল তাপের উৎসের দিকে নীচে নেমে আসে । পুনরায় এই জলও গরম হয়ে উপরের দিকে উঠে যায় এবং উপরিতল থেকে ফ্লাস্কের গা বেয়ে জল নীচের দিকে নামে । ফ্লাস্কের ভিতরের সম্পূর্ণ জল উত্তপ্ত না হওয়া অবধি এই প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে । তাপ সঞ্চালনের এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় পরিচলন । তরল এবং গ্যাসের ক্ষেত্রে পরিচলন প্রক্রিয়ায় তাপ সঞ্চালিত হয় ।
প্রশ্ন ১৪। তাপের পরিবাহী এবং তাপের অপরিবাহী বলতে কী বোঝ ? উদাহরণসহ লেখো ।
উত্তরঃ যে বস্তুগুলি তাদের মধ্য দিয়ে অনায়াসে তাপের সঞ্চালন হতে দেয় সেগুলিকে বলা হয় তাপের পরিবাহী উদাহরণ— লোহা , এলুমিনিয়াম , তামা ইত্যাদি ।
যে বস্তুগুলি তাদের মধ্য দিয়ে অনায়াসে তাপের সঞ্চালন হতে দেয় না । সেগুলিকে বলা হয় তাপের কুপরিবাহী বা অপরিবাহী । উদাহরণ — প্লাস্টিক , কাঠ ইত্যাদি ।
প্রশ্ন ১৫। জলবায়ু এবং স্থলবায়ু বলতে কী বোঝায় ?
উত্তরঃ দিনেরবেলা সূর্যের তাপে সমুদ্র উপকূলবর্তী স্থলভাগ সমুদ্রের জল অপেক্ষা বেশি দ্রুত গতিতে গরম হয় । ফলে মাটির ওপরের বায়ু গরম হয়ে ওপরে উঠে যায় । এই শূন্যস্থান পূরণ করতে সাগর থেকে আসা বাতাসকে বলা হয় জলবায়ু ।
অন্যদিকে , জলভাগ স্থলভাগ অপেক্ষা বেশি ধীর গতিতে শীতল হয় । তাই স্থলভাগ থেকে শীতল বাতাস সাগরের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে । এই বাতাসকে বলা হয় স্থলবায়ু ।
প্রশ্ন ১৬। দরজা জানালার উপরে উপরে ভেন্টিলেটার থাকার কারণ কী ?
উত্তরঃ ঘরের ভিতরের ও বাইরে বায়ুর মধ্যে পরিচলনের সুবিধার জন্য দরজা জানালার উপরে ভেন্টিলেটার রাখা হয় । ফলে ঘরের ভিতরের বাতাস নির্মল থাকে ।
প্রশ্ন ১৭। গ্রীষ্মকালে হালকা রঙের কাপড় পরলে বেশি আরামবোধ হয় কেন ?
উত্তরঃ গ্রীষ্মকালে হালকা রঙের কাপড়ের ওপর আপতিত তাপের বেশিরভাগই প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যায় , অল্প তাপ শোষিত হয় । তাই গ্রীষ্মকালে পাতলা রঙের কাপড় পরলে গরম কম লাগে ও আরাম বোধ হয় ।
প্রশ্ন ১৮। শীতকালে গাঢ় রঙের কাপড় পরতে পছন্দ করা হয় কেন ?
উত্তরঃ গাঢ় রঙের পৃষ্ঠতল বেশি তাপ শোষণ করে। তাই শীতকালে গাঢ় রঙের কাপড় পরলে আমরা আরাম বোধ করি ।
প্রশ্ন ১৯। শীতকালে উলের কাপড় কীভাবে আমাদের শরীর গরম করে রাখে ।
উত্তরঃ উল তাপের কুপরিবাহী । তাছাড়া উলের আঁশের মধ্যে বায়ু আবদ্ধ হয়ে থাকে । এই বায়ু আমাদের শরীরের তাপকে বাইরের ঠাণ্ডা পরিবেশে বেরিয়ে আসতে বাধা দেয় । এভাবে শীতকালে উলের কাপড় আমাদের শরীরকে গরম করে রাখে ।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.