SEBA Class 7 Science Chapter 6 ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Syllabus of SEBA Class 7 Science Chapter 6 ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন Question Answer in Bengali. সপ্তম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই প্রশ্ন উত্তর Are you a Student of (Secondary Education Board of Assam). SEBA Class 7 Science Chapter 6 ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন Notes in Bengali Which you can Download PDF Notes SEBA Class 7 Science Chapter 6 ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন Solutions for free using direct Download Link Given Below in This Post.

SEBA Class 7 Science Chapter 6 ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন

Today’s We have Shared in This Post, SEBA Class 7 Science Chapter 6 ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন Solutions in Bengali for Free with you. SEBA Class 7 Science Chapter 6 ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন in Bengali Notes I Hope, you Liked The information About The Class 7th Science Question Answer in Bengali. if you liked SEBA Class 7 Science Textbook Question Answer in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভৌতিক এবং রাসায়নিক পরিবর্তন হিসাবে শ্রেণিবিভাজন করো । 

( ক ) সালোক সংশ্লেষণ । 

উত্তরঃ রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( খ ) জলে চিনি দ্রবীভূত করা । 

উত্তরঃ ভৌতিক পরিবর্তন । 

( গ ) কয়লা জ্বলে যাওয়া । 

উত্তরঃ রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( ঘ ) মোম গলে যাওয়া । 

উত্তরঃ ভৌতিক পরিবর্তন । 

( ঙ ) অ্যালুমিনিয়ামের পাত তৈরির জন্য অ্যালুমিনিয়ামকে পেটানো । 

উত্তরঃ ভৌতিক পরিবর্তন । 

( চ ) খাদ্যের পাচন ক্রিয়া । 

উত্তরঃ রাসায়নিক পরিবর্তন । 

S.L. No.সূচীপত্র
অধ্যায় -1উদ্ভিদের পরিপুষ্টি
অধ্যায় -2প্রাণীর পরিপুষ্টি
অধ্যায় -3তন্ত্র থেকে বস্ত্ৰ
অধ্যায় -4তাপ
অধ্যায় -5অম্ল , ক্ষার ও লবণ
অধ্যায় -6ভৌতিক ও রাসায়নিক পরিবর্তন
অধ্যায় -7আবহাওয়া , জলবায়ু এবং জলবায়ুর সঙ্গে প্রাণীর অভিযোজন
অধ্যায় -8বাতাস , ঝড়বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিবায়ু
অধ্যায় -9মাটি
অধ্যায় -10জীবদেহে শ্বসন
অধ্যায় -11প্রাণী ও উদ্ভিদের পরিবহনতন্ত্র
অধ্যায় -12উদ্ভিদের প্রজনন
অধ্যায় -13গতি ও বল
অধ্যায় -14বিদুৎ প্রবাহ ও তার প্রভাব
অধ্যায় -15আলোক
অধ্যায় -16জল একটি অমূল্য সম্পদ
অধ্যায় -17বনাঞ্চল : আমাদের জীবনরেখা
অধ্যায় -18বর্জিত জলের গল্প

প্রশ্ন ২। নীচের উক্তিগুলি সত্য না মিথ্যা যদি মিথ্যা হয় তবে সেই উক্তিটি শুদ্ধ করে লেখো । 

( ক ) কাঠ কেটে ছোটো ছোটো টুকরো টুকরো করাটা হল রাসায়নিক পরিবর্তন । ( সত্য / মিথ্যা ) 

উত্তরঃ উক্তিটি মিথ্যা । 

শুদ্ধ উক্তিটি হল :- কাঠ কেটে টুকরো টুকরো করাটা হল ভৌতিক পরিবর্তন । 

( খ ) গদের পাতা থেকে সার প্রস্তুত করা হল ভৌতিক পরিবর্তন। ( সত্য / মিথ্যা ) 

উত্তরঃ উক্তিটি মিথ্যা । 

শুদ্ধ উক্তিটি হল :- পাতা থেকে সার প্রস্তুত হওয়া প্রক্রিয়াটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( গ ) লোহার পাইপে জিংক – এর প্রলেপ থাকলে তাড়াতাড়ি মরিচা পড়ে না । ( সত্য / মিথ্যা ) 

উত্তরঃ উক্তিটি সত্য । 

( ঘ ) লোহা ও মরিচা একই জিনিস । ( সত্য / মিথ্যা ) 

উত্তরঃ উক্তিটি মিথ্যা । 

শুদ্ধ উক্তিটি হল :- লোহা এবং মরিচা দুটি পৃথক পদার্থ । 

( ঙ ) বাষ্পের ঘনীভবন রাসায়নিক পরিবর্তন । ( সত্য / মিথ্যা) 

উত্তরঃ উক্তিটি সত্য । 

প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো : 

( ক ) যখন কার্বনডাই অক্সাইড চুনের জলের মধ্য দিয়ে চালিত করা হয় ____ উৎপন্ন হওয়ার জন্য দ্রবটি ঘোলা হয়ে যায় । 

উত্তরঃ ক্যালসিয়াম কার্বনেট । 

( খ ) বেকিং সোডার রাসায়নিক নাম হল ____। 

উত্তরঃ সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট । 

( গ ) _____ এবং ____ পদ্ধতির দ্বারা লোহাকে মরিচা পড়ার হাত থেকে রক্ষা করা যায় । 

উত্তরঃ রং বা গ্রীজ – এর প্রলেপ দেওয়া , দস্তালেপন । 

( ঘ ) ভৌতিক পরিবর্তনে পদার্থের ____পরিবর্তন হয় না । 

উত্তরঃ ভৌতিক । 

( ঙ ) যে পরিবর্তনে নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয় তাকে _____ পরিবর্তন বলে । 

উত্তরঃ রাসায়নিক । 

প্রশ্ন ৪। লেবুর রসের সঙ্গে বেকিং সোডা মেশালে গ্যাস উৎপন্ন হওয়ার জন্য বুদবুদের সৃষ্টি হয় । এটি কি প্রকারের পরিবর্তন ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ বেকিং সোডার সঙ্গে লেবুর রসের বিক্রিয়াটি নীচে দেওয়া হল— লেবুর রস ( সাইট্রিক অ্যাসিড ) + বেকিং সোডা ( সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট ) → কার্বন ডাই – অক্সাইড + অন্যান্য পদার্থসমূহ। 

যেহেতু এই বিক্রিয়ায় একটি নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয়েছে , সুতরাং এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। 

প্রশ্ন ৫। মোমবাতি জ্বললে ভৌতিক এবং রাসায়নিক দুই ধরনের পরিবর্তনই হয় । এই পরিবর্তনগুলি চিহ্নিত করো । অন্য একটি উদাহরণ দাও যেখানে একটি প্রক্রিয়ায় ভৌতিক এবং রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হয় । 

উত্তরঃ একটি মোমবাতি জ্বালালে ভৌতিক এবং রাসায়নিক উভয় প্রকার পরিবর্তন সংঘটিত হয় । মোমবাতি জ্বলার সময় প্রথমে মোম গলে গিয়ে তরল অবস্থা প্রাপ্ত হয় , এরপর মোমে থাকা হাইড্রোকার্বনগুলি আগুনের তাপে বাষ্পীভূত হয় । অতএব এটি একটি ভৌতিক পরিবর্তন। আবার মোমের বাষ্প জ্বলে গিয়ে কার্বন ডাই – অক্সাইড , তাপ এবং আলোক উৎপন্ন হয় । সুতরাং এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

আমাদের রান্নাঘরে সচরাচর ব্যবহার করা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এল . পি . জি – এর জ্বলন হল ভৌতিক এবং রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত হওয়ার অপর একটি উদাহরণ । সিলিণ্ডারের মধ্যে এল . পি . জি . তরল অবস্থায় থাকে । এল . পি . ডি . সিলিণ্ডার থেকে যখন বেরিয়ে আসে তখন সেটি গ্যাসে পরিণত হয় । এই পরিবর্তনটি একটি ভৌতিক পরিবর্তন । এল . পি . জি . গ্যাসীয় অবস্থা প্রাপ্ত হওয়ার পর সেটি বায়ুতে জ্বলে । যেহেতু যে কোনো পদার্থের দহনই হল রাসায়নিক পরিবর্তন । সুতরাং এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

প্রশ্ন ৬। দুধ থেকে দই – এর সৃষ্টি হওয়া একটি রাসায়নিক পরিবর্তন— এটি তুমি কীভাবে বোঝাবে । 

উত্তরঃ রাসায়নিক পরিবর্তনে একটি বা ততোধিক নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয় , নতুন পদার্থটিকে পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা অসম্ভব । দৈ প্রস্তুত হওয়া একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । কারণ দৈ – কে আবার তার মূল পদার্থ দুধে ফিরিয়ে আনা যায় না । দুধ থেকে উৎপন্ন নতুন পদার্থ দৈ – এর স্বাদ , গন্ধ এবং অন্যান্য গুণসমূহ দুধ থেকে পৃথক। 

প্রশ্ন ৭। কাঠ পোড়ানো ও কাঠকে ছোটো ছোটো টুকরা করা যে দুই ধরনের পরিবর্তন তা তুমি কীভাবে বোঝাবে ।

উত্তরঃ কাঠের দহন একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । কারণ কাঠের দহনের ফলে কয়েকটি নতুন পদার্থ যথা কাঠকয়লা ও কার্বন ডাই – অক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয় । তাছাড়া তাপ ও আলোক উৎপন্ন হয়। বিক্রিয়াটি নিচে দেখানো হল— 

কাঠ + অক্সিজেন → কাঠকয়লা + কার্বন – ডাই – অক্সাইড + তাপ + আলোক । 

আবার কাঠকে কেটে ছোটো টুকরোয় পরিণত করাটা হল ভৌতিক পরিবর্তন । কারণ কাঠটি কাটার ফলে এর বাহ্যিক আকারের পরিবর্তন ঘটেছে কিন্তু কাঠের মূল ধর্মের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি । 

প্রশ্ন ৮। কপার সালফেটের দানা কীভাবে সৃষ্টি হয় বর্ণনা করো। 

উত্তরঃ নীচে দেওয়া ক্রিয়াকলাপের সাহায্যে আমরা কপার সালফেটের স্ফটিক প্রস্তুত করতে পারি । 

একটি বিকারে সম্পূর্ণ এক কাপ জল এবং এতে কয়েক ফোঁটা লঘু সালফিউরিক অ্যাসিড ঢালা হল । এখন জলকে গরম করতে থাকি । জল যখন ফুটতে আরম্ভ করে তখন আস্তে আস্তে কপার সালফেটের চূর্ণ তাতে যোগ করে নাড়তে থাকি । যতক্ষণ পর্যন্ত কপার সালফেট চূর্ণ দ্রবে দ্রবীভূত হতে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সেটি দ্রবে যোগ করা হয় । এখন দ্রবটি পরিস্রাবণ করে ঠাণ্ডা হতে দিই । ঠাণ্ডা হওয়ার সময় দ্রবটি নড়াচড়া করতে নেই । কিছুক্ষণ পর দ্রবটির দিকে তাকালে কপার সালফেটের স্ফটিক দেখা যাবে । 

প্রশ্ন ৯। লোহার গেটের রং করলে মরিচা ধরা রোধ করা যায় — ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ লোহার মরিচা ধরার জন্য অক্সিজেন এবং জল ( বা জলীয় বাষ্প) উভয়ের প্রয়োজন । একটি লোহার গেইটে রং দেওয়া হলে সেটির পৃষ্ঠভাগ অক্সিজেন বা জল বা উভয়ের সংস্পর্শে আসতে পারে না । এর ফলে লোহার গেইটে মরিচা ধরা প্রক্রিয়া রোধ হয় । 

প্রশ্ন ১০। উপকূলবর্তী অঞ্চলে লোহার বস্তুতে মরুভূমি থেকে তাড়াতাড়ি মরচে পড়ে কেন ব্যাখ্যা করো । 

উত্তরঃ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অধিক হলে বায়ু আর্দ্র হওয়া বোঝায় এবং তখনই মরিচা ধরা প্রক্রিয়াটি ক্ষীপ্রতর হয় । সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের বাতাসে মরুভূমির বাতাসের তুলনায় অধিক পরিমাণে জলীয় বাষ্প থাকে । সেজন্য মরুভূমির চেয়ে সাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের লৌহসামগ্রীতে খুব তাড়াতাড়ি মরিচা ধরে ।

প্রশ্ন ১১। রান্নাঘরে ব্যবহৃত গ্যাসের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ( এল. পি . জি . ) । এটি সিলিণ্ডারের ভেতরে তরল অবস্থায় থাকে । যখন সিলিণ্ডার থেকে বেরিয়ে আসে তখন গ্যাসে পরিবর্তিত হয় ( পরিবর্তন- A ) । তখন এটি জ্বলে ( পরিবর্তন- B ) । নীচে এই পরিবর্তনগুলো লেখা আছে । শুদ্ধটি বেছে বের করো । 

( i ) পরিবর্তন- A একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( ii ) পরিবর্তন B একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( iii ) পরিবর্তন A এবং B উভয় পরিবর্তনই রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( iv ) রাসায়নিক পরিবর্তন কোনোটিই নয় । 

উত্তরঃ ( ii ) পরিবর্তন B একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

প্রশ্ন ১২। অবাতজীবী ব্যাক্টেরিয়া প্রাণীর বর্জ্য বস্তুগুলো হজম করে জৈবিক গ্যাস উৎপন্ন করে ( পরিবর্তন- A ) এবং এই জৈবিক গ্যাস ইন্ধন হিসাবে জ্বলে ( পরিবর্তন- B ) । নীচের উক্তিগুলি শুদ্ধ উত্তরটি বেছে বের করো । 

( i ) A একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( ii ) B একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( iii ) A এবং B উভয়েই রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( iv ) উপরের কোনটিই রাসায়নিক পরিবর্তন নহে। 

উত্তরঃ ( iii ) পরিবর্তন A এবং B উভয়েই একটি রাসায়নিক পরিবর্তন। 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভৌতিক পরিবর্তন কাকে বলে ?

উত্তরঃ পদার্থের আকার , আকৃতি , রং এবং অবস্থাকে পদার্থের ভৌতিক ধর্ম বলা হয় । যে পরিবর্তনে পদার্থের মূল গঠনের কোনো পরিবর্তন ঘটে না । অর্থাৎ কোনো প্রকার নতুন পদার্থ উৎপন্ন না হয়ে শুধুমাত্র পদার্থটির ভৌতিক ধর্মের পরিবর্তন ঘটে , সেই পরিবর্তনকে পদার্থের ভৌতিক পরিবর্তন বলা হয় । সাধারণতঃ ভৌতিক পরিবর্তনগুলি উভয়মুখি ।

প্রশ্ন ২। কয়েকটি ভৌতিক পরিবর্তনের উদাহরণ দাও । 

উত্তরঃ কয়েকটি ভৌতিক পরিবর্তনের উদাহরণ হলো— 

( ১ ) এক টুকুরো বরফ গলানো । এক টুকরো বরফকে খোলা জায়গায় রাখলে বাতাসের তাপে রাখলে গলে গিয়ে জলে পরিণত হয় । জল এবং বরফ উভয়ের মূল গঠন এক । জল এবং বরফ উভয়ের ওজনের কোনো তারতম্য ঘটে না । জলকে ঠাণ্ডা করলে তা পুনরায় বরফে পরিণত হয় । তাই এটি ভৌতিক পরিবর্তন । 

( ২ ) জলে চিনির দ্রবণ । জলে চিনি মেশালে তা দ্রবীভূত হয়ে যায় । কিন্তু দ্রবণে চিনির ধর্ম বজায় থাকে । আবার দ্রবণকে ফুটিয়ে বাষ্পীভূত করলে পুনরায় সম পরিমাণ চিনি ফিরে যায় । তাই এটি ভৌতিক পরিবর্তন । 

( ৩ ) জলকে বাষ্পে পরিণত করা । প্রমাণ চাপে জল 100Cº তাপমাত্রায় ফুটে বাষ্পে পরিণত হয় । বাষ্পকে ঠাণ্ডা করলে পুনরায় জলে পরিণত হয় । জল ও বাষ্পের উভয়ের অণু একই থাকে এবং ওজনের কোনো পরিবর্তন হয় না । তাই এটি ভৌতিক পরিবর্তন । একইভাবে মোমের গলন , বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালানো , এক টুকরো কাগজকে ছিঁড়ে টুকরো করা সবই ভৌতিক পরিবর্তন । 

প্রশ্ন ৩। রাসায়নিক পরিবর্তন কাকে বলে ? 

উত্তরঃ যে পরিবর্তন পদার্থের মূল গঠনের পরিবর্তন হয়ে পদার্থটি এক বা একাধিক ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট নতুন পদার্থে পরিণত হয় । সেই পরিবর্তনকে বলা হয় রাসায়নিক পরিবর্তন । 

প্রশ্ন ৪। রাসায়নিক পরিবর্তনের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ রাসায়নিক পরিবর্তনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো— 

( ১ ) রাসায়নিক পরিবর্তনে একটি বা ততোধিক নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয় । 

( ২ ) এই পরিবর্তন স্থায়ী অর্থাৎ উৎপন্ন পদার্থ থেকে মূল পদার্থ ফিরে পাওয়া যায় না । 

( ৩ ) এই পরিবর্তনে তাপের পার্থক্য ঘটে থাকে ।

প্রশ্ন ৬। রাসায়নিক পরিবর্তনে নতুন পদার্থ উৎপন্ন হওয়ার সময় আর কী কী ঘটতে পারে ? 

উত্তরঃ রাসায়নিক পরিবর্তনে নতুন পদার্থ উৎপন্ন হওয়ার সময় ঘটতে পারে –

( ১ ) তাপ , আলোক বা অপর যে কোনো বিকিরণ যেমন অতি বেগুনী রশ্মি বের হয় বা শোষিত হতে পারে । 

( ২ ) শব্দ উৎপন্ন হতে পারে । 

( ৩ ) গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে । 

( ৪ ) গন্ধের পরিবর্তন হতে পারে বা নতুন গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে । 

( ৫ ) রঙের পরিবর্তন হতে পারে । 

প্রশ্ন ৬। কয়েকটি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ দাও । 

উত্তরঃ কয়েকটি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ হলো— 

( ১ ) দুধ থেকে দৈ তৈরি করলে দুধের চর্বিজাতীয় পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তন হয় এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় । দৈ – এর স্বাদ হয় টক । দৈ – কে পুনরায় দুধে পরিণত করা যায় না । সেই কারণে এটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( ২ ) মোমবাতির দহন । মোমবাতি কার্বন ও হাইড্রোজেন ঘটিত যৌগ। মোমবাতি জ্বালালে বাতাসের অক্সিজেনর সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্বন ডাই – অক্সাইড ও জল উৎপন্ন হয় । এই পরিবর্তনে তাপ ও আলো উৎপন্ন হয়। এটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

( ৩ ) লোহায় মরিচা পড়া । লোহাকে আর্দ্র বায়ুতে ফেলে রাখলে লোহার ওপর বাদামি রঙের একটি আস্তরণ পড়ে । একে বলা হয় মরিচা পড়া । লোহা চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় কিন্তু মরিচা চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না । সুতরাং লোহা ও মরিচার ধর্ম পৃথক । মরিচাকে পুনরায় লোহায় পরিণত করা যায় না , এই রাসায়নিক পরিবর্তন । 

এইভাবে কয়লার দহন , চুনে জল দেওয়া , খড়ের দহন , ম্যাগনেসিয়াম তারের দহন ইত্যাদি রাসায়নিক পরিবর্তনের উদাহরণ ।

প্রশ্ন ৭। একটি ম্যাগনেসিয়াম – এর ফিতা আগুনের শিখায় / বাতাসে জ্বালানো হলো । এটা কী প্রকারের পরিবর্তন সমীকরণসহ বুঝিয়ে লেখো। 

উত্তরঃ একটি ম্যাগনেসিয়াম – এর ফিতা আগুনের শিখায় বাতাসে জ্বালানো হলে ম্যাগনেসিয়াম – এর ভস্মে পরিণত হয় । এই ভস্মটি ম্যাগনেসিয়াম – এর ধর্ম থেকে আলাদা একটি নতুন পদার্থ । সুতরাং এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । সমীকরণের সাহায্যে এই পরিবর্তনটি নীচে দেখানো হলো— 

ম্যাগনেসিয়াম ( Mg ) + অক্সিজেন ( O₂ ) → ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ( MgO ) 

প্রশ্ন ৮। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস চুনের জলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে কী উৎপন্ন হয় ? বিক্রিয়াটি সমীকরণসহ লেখো । 

উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস চুনের জলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে ক্যালসিয়াম কার্বনেট উৎপন্ন হয় যা চুনের জলকে দুধের মতো ঘোলা করে । এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন । বিক্রিয়াটি সমীকরণের সাহায্যে দেখানো হলো— 

কার্বন ডাই অক্সাইড ( CO ) + চুনের জল [ Ca ( OH )₂ ] → ক্যালসিয়াম কার্বনেট Ca CO₃ ) + জল ( H₂O ) 

মরিচা ধরা প্রক্রিয়াটি সমীকরণের সাহায্যে দেখানো হলো— 

আয়রন ( Fe ) + অক্সিজেন ( O₂) + জল ( H₂O ) → মরিচা ( আয়রন অক্সাইড Fe₂O₃ ) 

প্রশ্ন ৯। ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড জলের সঙ্গে মেশালে যে নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয় সেটির নাম কী ? 

উত্তরঃ ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড জলের সঙ্গে মেশালে যে নতুন পদার্থ উৎপন্ন হয় সেটি হলো ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড । 

ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ( MgO ) + জল ( HO₂ ) → ম্যাগনেসিয়াম হাইড্রোক্সাইড [ Mg ( OH )₂ ] 

প্রশ্ন ১০। দস্তালেপন কী ? 

উত্তরঃ লোহার ওপর দস্তা বা জিংক – এর প্রলেপ দেওয়া প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় দস্তালেপন । দস্তালেপনের সাহায্যে লোহায় মরিচা ধরা রোধ করা যায় ।

প্রশ্ন ১১। স্ফটিকীকরণ প্রক্রিয়ার একটি ব্যবহার উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ স্ফটিকরণ প্রক্রিয়ার দ্বারা কতগুলি পদার্থকে তাদের দ্রব্য থেকে বিশুদ্ধ অবস্থায় আহরণ করা যায় । 

প্রশ্ন ১২। গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডে চিনি মেশালে কী হয় ? এটিকে কোন পরিবর্তন বলা হয় ? 

উত্তরঃ গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডে চিনি মেশালে সালফিউরিক অ্যাসিড চিনির অণু থেকে জলীয় অংশ শোষণ করে । ফলে চিনি কালো কার্বনে পরিণত হয় । এটি রাসায়নিক পরিবর্তন । 

প্রশ্ন ১৩। তামার তারকে বায়ুতে উৎপ্ত করা হলে কী হয় ? ইহা কোন ধরনের পরিবর্তন ? 

উত্তরঃ তামার তারকে বায়ুতে উত্তপ্ত করা হলে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে তামার বিক্রিয়ায় কালো রঙের কিউপ্রিক অক্সাইড উৎপন্ন হয় । কিউপ্রিক অ্যাসিড ও তামার তারের ধর্ম পৃথক । এটি একটি রাসায়নিক পরিবর্তন ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top