SCERT Class 6 Science Chapter 2 জীব এবং জৈব বৈচিত্র্য

Join Roy Library Telegram Groups

Assam Board SCERT Class 6 Science Chapter 2 জীব এবং জৈব বৈচিত্র্য Question Answer in Bengali Medium 100% New Edition are now easily available. SCERT Class 6 Science Chapter 2 জীব এবং জৈব বৈচিত্র্য Notes is the latest Updated Version prepared According to the New Syllabus and is Available for Download PDF Format.

Join Buttons

SCERT Class 6 Science Chapter 2 জীব এবং জৈব বৈচিত্র্য

If you are looking for the Complete New Syllabus of SCERT Class 6 Science Chapter 2 জীব এবং জৈব বৈচিত্র্য Solutions in Bengali Medium, you can Download the PDF file prepared as per the New Curriculum from our website. SEBA Class 6 Science Question Answer Bengali Medium PDF is specially Designed to help students build concepts easily and prepare effectively for their Exams.

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরসমূহ

১। সঠিক উত্তর নির্দেশ করা গোলটি সম্পূর্ণভাবে পূর্ণ করো।

(১) নীচের কোন প্রক্রিয়াটিতে প্রজাপতি উদ্ভিদকে সাহায্য করে?

(ক) অভিযোজন।

(খ) খাদ্য প্রস্তুতকরণ।

(গ) প্রজনন।

(ঘ) শ্বাস-প্রশ্বাস।

উত্তরঃ (গ) প্রজনন।

(২) ডালিম গাছ একটি –

(ক) বৃক্ষ।

(খ) গুল্ম।

(গ) তৃণ।

(ঘ) আরোহী লতা।

উত্তরঃ (খ) গুল্ম।

(৩) নীচের কোনটি জলজ উদ্ভিদ নয়?

(ক) পদ্ম।

(খ) জুঁই।

(গ) টোপা পানা।

(ঘ) শাপলা।

উত্তরঃ (খ) জুঁই।

(৪) পাখির ডানা হলো-

(ক) পালকের রূপান্তর।

(খ) অগ্রপদের রূপান্তর।

(গ) পশ্চাদপদের রূপান্তর।

(ঘ) (ক) এবং (খ) দুটিই।

উত্তরঃ (খ) অগ্রপদের রূপান্তর।

(৫) শীত প্রধান অঞ্চলে জন্তুগুলোর দেহে থাকা পুরু পশমের কাজ কী?

(ক) এটন্সা দেহকে তাপের থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

(খ) এটা দেহকে বৃষ্টির থেকে রক্ষা করে।

(গ) এটা দেহকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে।

(ঘ) এটা দেহকে আঘাতের থেকে রক্ষা করে।

উত্তরঃ (গ) এটা দেহকে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে।

২। শূন্যস্থান পূরণ করো:

(ক) বীজপত্র __________ এর ভিতরে থাকে।

উত্তরঃ দুটি মাংসল অংশ।

(খ) জালিকা সদৃশ শিরাবিন্যাস উদ্ভিদের চরিত্র।

উত্তরঃ দ্বি-বীজপত্রী।

(গ) উট তার কুঁজে __________ জমা করে রাখে।

উত্তরঃ খাদ্য।

(ঘ) পার্বত্য অঞ্চলের গাছের আকৃতি __________ র ন্যায়।

উত্তরঃ শঙ্কু।

(৬) ফাঁপা হাড় __________ র একটি চরিত্র।

উত্তরঃ পাখি।

৩। সংক্ষেপে উত্তর লেখো:

(ক) আবাসস্থল কাকে বলে?

উত্তরঃ জীবেরা যে স্থানে বাস করে তাকে জীবের আবাসস্থল বা বাসস্থান বলে।

(খ) জৈব বৈচিত্র্য মানে কী?

উত্তরঃ আমাদের চারপাশে দেখতে পাওয়া প্রাণী, উদ্ভিদ ইত্যাদির মতো বিভিন্ন প্রকারের জীবসমূহকে আমরা জৈব বৈচিত্র্য বলি।

(গ) মরুভূমিতে ক্যাকটাস বেঁচে থাকার জন্য কীভাবে খাপ খাইয়ে নেয়?

উত্তরঃ নীচে বর্ণিত বৈশিষ্ট্যসমূহের দ্বারা ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ মরুভূমিতে বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়। 

সেগুলি হলো-

(১) কাঁটাযুক্ত গঠনের মরুভূমিতে দেখতে পাওয়া উদ্ভিদ হলো ক্যাকটাস। আসলে এই কাঁটাগুলো পাতা রূপান্তরিত হয়ে গঠিত হয়েছে। পাতা থেকে বাষ্পের আকারে জল বেরিয়ে যাওয়া হ্রাস করতে পাতাগুলো কাঁটাতে রূপান্তরিত হয়।

(২) ক্যাকটাসের কান্ড এবং দেহ সবুজ বর্ণের হয়। সেজন্য সালোক সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে। ক্যাকটাসের কান্ড মাংসল হওয়ায় সেখানে জল জমা হয়ে থাকে।

(ঘ) জীবের তিনটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তরঃ জীবের তিনটি সাধারণ বৈশিষ্ট হল- 

(১) বৃদ্ধি।

(২) চলন। এবং 

(৩) প্রজনন।

(ঙ) সমান্তরাল শিরাবিন্যাস থাকা তিনটি পাতার উদাহরণ লেখো।

উত্তরঃ সমান্তরাল শিরাবিন্যাস থাকা তিনটি পাতার উদাহরণ হলো ধান, গম এবং ভুট্টা জাতীয় গাছের পাতা।

(চ) জৈব বৈচিত্র্যের গুরুত্বের বিষয়ে লেখো।

উত্তরঃ আমাদের পরিবেশে বিভিন্ন প্রকারের জীব আছে। এদেরকে আমরা জৈব বৈচিত্র্য বলি। উদ্ভিদ ও প্রাণীরা জৈব বৈচিত্র্যের একটি অংশ। এরা উভয়েই পরস্পরের ওপর নির্ভরশীল। উদ্ভিদেরা প্রাণীদের খাদ্যের যোগান দেয় এবং পরিবেশে উদ্ভিদের ত্যাগ করা অক্সিজেন প্রাণীরা শ্বাস নিতে তা গ্রহণ করে। আবার প্রাণীরা প্রশ্বাসের সময় কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস ছেড়ে দেয়। উদ্ভিদ এই গ্যাস খাদ্য প্রস্তুতকালে ব্যবহার করে। এভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণী আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া অরণ্য বন্যপ্রাণীদের আশ্রয়স্থল। অরণ্যে বন্যপ্রাণীরা খাদ্য খেয়ে তাদের জীবন ধারণ করে। মানুষেরাও অরণ্য থেকে বিভিন্ন বনজ পদার্থ যেমন কাঠ, ওষধি জাতীয় পদার্থ যেমন কাঠ, ওষধি জাতীয় পদার্থ ইত্যাদি আহরণ করে থাকে। এভাবে জৈব বৈচিত্র্য পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(ছ) “পাখি জৈব বৈচিত্রয়ের এক প্রয়োজনীয় উপাদান।” ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ পাখিরা গাছে বাসা বেঁধে থাকে। এরা গাছে থাকা পোকা-মাকড়কে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে। ফলে এই পোকা-মাকড়গুলোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকে। কিছু পাখি গাছের ফল খায়। ফলের বীজ পাখিগুলোর মলের সাথে বেরিয়ে অন্য কোথাও পড়ে। সেই বীজ থেকে আবার গাছ হয়। এভাবে গাছপালার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং এই প্রকারে পাখিরা অরণ্যের বিস্তারে সাহায্য করে। আবার অরণ্য বন্য প্রাণীদের আশ্রয় প্রদান করে। তাই আমরা বলতে পারি পাখি জৈব বৈচিত্র্যের এক প্রয়োজনীয় উপাদান।

৪। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখোঃ

(ক) সব প্রতঙ্গই আমাদের জন্য অপকারী।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(খ) পাখিরা অরণ্য বিস্তারে সাহায্য করে।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(গ) পরিবেশের সকল জীবের মধ্যে কোনো ধরনের পারস্পরিক সম্পর্ক নেই।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

(ঘ) জৈব বৈচিত্র্যের অবক্ষয় পরিবেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করে।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

(ঙ) ঠান্ডা জায়গাতে কোনো জীব বেঁচে থাকতে পারে না।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরসমূহঃ

(১) বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদের নাম লেখো।

উত্তরঃ বিভিন্ন প্রকারের উদ্ভিদের নাম, যথা- বৃক্ষ, গুল্ম, তৃণ, আরোহীলতা এবং লতা জাতীয় উদ্ভিদ।

(২) বৃক্ষ কাকে বলে? উদাহরণসহ লেখো।

উত্তরঃ যে সকল উদ্ভিদ অতি উচ্চ, কান্ড মোটা ও শক্ত এবং কান্ডের ওপরের অংশে ডাল-পালা, শাখা-প্রশাখা বেশি থাকে, এই ধরনের উদ্ভিদগুলোকে বৃক্ষ বলে।

আম, নিম, পেয়ারা, বট ইত্যাদি বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদের উদাহরণ।

(৩) গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর কতকগুলি উদ্ভিদের কান্ড শক্ত কিন্তু বেশি মোটা হয় না এবং ডাল-পালা ও পাতাগুলো মাটি থেকে বেশি উঁচুতে থাকে না। এ ধরনের উদ্ভিদকে গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ বলে।

জবা, টমেটো, তুলসী, জুঁই ইত্যাদি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের উদাহরণ।

(৪) তৃণজাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে? কয়েকটি তৃণজাতীয় উদ্ভিদের নাম লেখো।

উত্তরঃ সবুজ ও কোমল কাণ্ড থাকা উদ্ভিদ সমূহকে তৃণজাতীয় উদ্ভিদ বলে। এ ধরনের উদ্ভিদ সাধারণত খাটো এবং ক্ষীণ হয়।

তৃণজাতীয় উদ্ভিদের কয়েকটি উদাহরণ, যথা – ঘাস, ধান, পুদিনা ইত্যাদি।

(৫) আরোহী লতা এবং লতা জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে? প্রত্যেকটির উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে সকল উদ্ভিদ আশেপাশের অন্য কোনো অবলম্বনকে বা গাছকে জড়িয়ে উপরের দিকে ওঠে সেই সকল উদ্ভিদকে আরোহী লতা বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ, পান, লাউ, কুমড়া, শশা, ঝিঙা ইত্যাদি।

যে সকল দুর্বল কান্ড যুক্ত উদ্ভিদ সোজা হয়ে উপরে উঠতে পারে না এবং মাটির ওপর বেয়ে থাকে। সেই সকল উদ্ভিদকে লতা জাতীয় উদ্ভিদ বলে। উদাহরণস্বরূপ- মিষ্টি কুমড়ো, তরমুজ ইত্যাদি।

(৬) পাতার শিরা ও উপশিরাগুলি কী?

উত্তরঃ পাতার ফলকে কতকগুলি সূক্ষ্ম রেখা দেখতে পাওয়া যায়, সেগুলোকে পাতার শিরা ও উপশির বলা হয়।

(৭) পাতার শিরাবিন্যাস কাকে বলে?

উত্তরঃ পাতার ফলকে থাকা শিরা ও উপশিরার সজ্জারীতিকে শিরাবিন্যাস বলা হয়।

(৮) জালিকাময় শিরাবিন্যাস এবং সমান্তরাল শিরাবিন্যাস কাকে বলে উদাহরণসহ লেখো।

উত্তরঃ যে সকল পাতার শিরাগুলো কিছু জালিকার মতো চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলোকে জালিকাময় শিরাবিন্যাস বলে। জালিকাময় শিরাবিন্যাসের কয়েকটি উদাহরণ, যথা অশ্বথ গাছের পাতা, জবাফুলের গাছের পাতা ইত্যাদি।

আবার কতকগুলি পাতায় মধ্য শিরা থেকে বের হওয়া উপশিরাগুলি সমান্তরালভাবে থাকে। এই ধরনের শিরাবিন্যাসকে সমান্তরাল শিরাবিন্যাস বলে। সমান্তরাল শিরাবিন্যাসের কয়েকটি উদাহরণ, যথা- কলপাতা, ধান, গম, বাঁশ ইত্যাদি গাছের পাতা।

(৯) উদ্ভিদের প্রধান দুই প্রকারের মূলগুলি কী কী? উদাহরণসহ বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ উদ্ভিদের প্রধান দুই প্রকারের মূলগুলি হলো- মুখ্য মূল এবং গুচ্ছ মূল।

কতকগুলি উদ্ভিদের একটি প্রধান শিকড় থাকে। এই শিকড়টি থেকে আরও কিছু শাখা প্রশাখা বের হয়। এই ধরনের সজ্জাটিকে প্রধান মূল বা মুখ্যমূল বলা হয়। যেমন ছোলা, টমেটো, আম, নিম ইত্যাদি গাছের শিকড় মুখ্যমূল জাতীয়।

আবার কতকগুলি উদ্ভিদের গোড়া থেকে অসংখ্য ছোটো ছোটো মূল বের হয়, এদেরকে গুচ্ছ মূল বলে। যেমন ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি গাছের মূলগুলি গুচ্ছমূল জাতীয়।

(১০) পাতার শিরাবিন্যাস এবং গাছের শিকড় কিভাবে সম্পর্কিত তা বুঝিয়ে লেখো

উত্তরঃ সাধারণত পাতায় জালিকাময় শিরাবিন্যাস থাকা উদ্ভিদের শিকড় মুখ্যমূল জাতীয় হয় এবং পাতায় সমান্তরাল শিরাবিন্যাস থাকা উদ্ভিদের শিকড় গুচ্ছমূল জাতীয় হয়ে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি উদ্ভিদের পাতার শিরাবিন্যাস সমান্তরাল। এদের শিকড় গুচ্ছমূল জাতীয়। আবার গোলাপ, পেয়ারা, অশ্বত্থ ইত্যাদি উদ্ভিদের পাতার শিরাবিন্যাস জালিকার মতো। এই ধরনের গাছের শিকড় মুখ্য মূল জাতীয় হয়।

(১১) নীচের কোন গাছগুলোর পাতায় জালিকাময় শিরাবিন্যাস আছে?

গম, তুলসী, ভুট্টা, জবাফুল

উত্তরঃ জালিকাময় শিরাবিন্যাস থাকা পাতাগুলি হলো তুলসী এবং জবা ফুল।

(১২) যদি একটি গাছের মূলটি গুচ্ছমূল হয়, সেই গাছের পাতার শিরাবিন্যাস কী হবে?

উত্তরঃ সমান্তরাল শিরাবিন্যাস।

(১৩) যদি একটি গাছের পাতায় জালিকাময় শিরাবিন্যাস থাকে, সেটির মূল কী ধরনের হবে?

উত্তরঃ মুখ্যমূল।

(১৪) বীজের বীজপত্র বলতে কী বুঝ? দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ এবং একবীজপত্রী উদ্ভিদ কাকে বলে উদাহরণ সহ বুঝিয়ে দাও।

উত্তরঃ ছোলা বীজের মতো কিছু গাছের বীজের ভিতর দুটি মাংসল অংশ থাকে। এই অংশ দুটি হলো বীজপত্র।

সে সব গাছের বীজে দুটি বীজপত্র থাকে তাদের দ্বি-বীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন ছোলা, মটর ইত্যাদি গাছ।

কিছু গাছের বীজে একটি বীজপত্র থাকে। এধরনের বীজ বহন করা গাছকে একবীজপত্রী উদ্ভিদ বলে। যেমন ভুট্টা, গম ইত্যাদি।

(১৫) পাতার শিরাবিন্যাস, মূল বা শিকড়ের গঠন এবং বীজের গঠনের মধ্যে আমরা কী সম্পর্ক দেখতে পাই তা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের পাতার শিরাবিন্যাস জালিকার ন্যায় এবং শিকড়ের গঠন মুখ্যমূল জাতীয় হয়। আবার এক বীজপত্রী উদ্ভিদের পাতার শিরাবিন্যাস সমান্তরাল এবং শিকড়ের গঠন গুচ্ছমূল জাতীয় হয়।

(১৬) কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণীতে পরিপূর্ণ। প্রাণীদের মধ্যে এক শিং বিশিষ্ট গন্ডার, বারশিঙ্গা হরিণ, বন্য মহিষ, বাঘ, বন্য হাতি, বাঁদর ইত্যাদি জন্তু প্রধান। তাছাড়া ভারতীয় পুকুরে কোঁচ-বক, টিয়া, বক, সারস, ধনেশ, হাড়গিলা, বনমুরগি ইত্যাদি পাখিগুলি উদ্যানটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। অজগরের মতো বড় সাপ এই উদ্যানটিতে আছে। এই জীবগুলো এবং উদ্যানটিতে থাকা বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদগুলো হচ্ছে কাজি রাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের জৈব বৈচিত্র্য।

(১৭) আবাসস্থল বা বাসস্থান বলতে কী বুঝ? কয়েকটি আবাসস্থলের উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ জীবেরা যে স্থানে বাস করে তাকে জীবের আবাসস্থল বা বাসস্থান বলে।

কয়েকটি আবাসস্থলের উদাহরণ, যেমন অরণ্য, তৃণভূমি, মরুভূমি, পার্বত্য অঞ্চল, পুকুর, হ্রদ, নদী, সাগর, মহাসাগর ইত্যাদি।

(১৮) জীবদের দুটি মুখ্য আবাসস্থল কী কী উদাহরণ সহ লেখো।

উত্তরঃ জীবদের দুটি মুখ্য আবাসস্থল হলো স্থলজ আবাসস্থল এবং জলজ আবাসস্থল।

উদ্ভিদ এবং প্রাণীর স্থলভাগের আবাসস্থলীকে স্থলজ আবাসস্থল বলে। স্থলজ আবাসস্থলের কয়েকটি উদাহরণ, যথা- অরণ্য, তৃণভূমি, মরুভূমি এবং পার্বত্য অঞ্চল ইত্যাদি।

জলে বাস করা উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আবাসস্থলকে জলজ আবাসস্থল বলে। জলজ আবাসস্থলের কয়েকটি উদাহরণ যথা- পুকুর, জলাশয়, হ্রদ, নদী, সাগর, মহাসাগর ইত্যাদি।

(১৯) উভচর প্রাণী কাদের বলা হয়? একটি উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে সব প্রাণী মাটি এবং জল উভয় স্থানে বসবাস করে তাদেরকে উভচর প্রাণী বলা হয়। ব্যাং একটি উভচর প্রাণী।

(২০) অভিযোজন কাকে বলে?

উত্তরঃ সকল জীব পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে বেঁচে থাকে। সেজন্য জীবেরা কিছু কৌশল অবলম্বন করে। এ ধরনের কৌশল বা উপায়গুলোকে অভিযোজন বলে।

(২১) মরুভূমি অঞ্চলের একটি উদ্ভিদ ও একটি প্রাণীর উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ মরুভূমি অঞ্চলে দেখতে পাওয়া একটি উদ্ভিদ হলো ক্যাকটাস এবং একটি প্রাণী হলো উট।

(২২) মাছের জলজ অভিযোজন সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ মাছ জলে বাস করার জন্য তাদের দেহে বিশেষ কিছু লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে। 

মাছের জলজ অভিযোজনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য নীচে দেওয়া হলো-

(ক) মাছের শরীরে পাখনা থাকে। এই পাখনাগুলো মাছকে জলে সাঁতার কাটতে সাহায্য করে।

(খ) মাছের মাথার উভয়দিকে ফুলকা থাকে। এই ফুলকার সাহায্যে মাছ জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহণ করে।

(গ) মাছের দেহের গঠন মাকু আকৃতির হওয়ার এরা সহজে জলে চলাচল করতে পারে।

(২৩) হাঁসের কী কী বৈশিষ্ট্য হাঁসকে জলে সাঁতার কাটতে সাহায্য করে?

উত্তরঃ হাঁস তাদের খাদ্যের খোঁজে জলে সাঁতার কাটে। হাঁসের পায়ের আঙুলগুলোর মধ্যে জালিকার মতো জালের গঠন থাকে। এই গঠনটি তাদেরকে জলে সাঁতার কাটতে সাহায্য করে। তাছাড়া হাঁসের পালকগুলে শুকনো থাকার জন্য তাদের দেহ থেকে তেল জাতীয় একটি পদার্থ বের হয়। এই তেল জাতীয় পদাঞ্চ পাখনাগুলোকে শুকনো রাখতে সাহায্য করে।

(২৪) পার্বত্য অঞ্চলে বাস করা প্রাণীগুলির অভিযোজন সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ শীতকালে পার্বত্য অঞ্চলে বরফ পড়ে। পার্বত্য অঞ্চলে বাস করা প্রাণীদের শরীর লোম দিয়ে ঢাকা থাকে। এই লোমগুলো দীর্ঘ হয়। এগুলো তাদেরকে ঠাণ্ডার হাত থেকে রক্ষা করে। উদাহরণ স্বরূপ, ইয়াকগুলির দীর্ঘ লোম এদের দেহকে গরম রাখে। বরফে থাকা স্নো লেপার্ড-এর আঙ্গুল ও পা সহ সমগ্র দেহটি ঘন লোমে আবৃত। এতে বরফের ওপর দিয়ে হাঁটতে এদের পা ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পায়। এভাবে পার্বত্য অঞ্চলে বাস করা প্রাণীগুলো পার্বত্য আবাসস্থলীতে অভিযোজন করে।

(২৫) মরুভূমিতে বাস করা সাপগুলো কীভাবে মরুভূমির পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন করে?

উত্তরঃ মরুভূমির পরিবেশ শুস্ক এবং রাত্রিতে অনেক ঠান্ডা থাকে। এসব স্থানে সাপ জাতীয় প্রাণীগুলি দিনের বেলায় মরুভূমির প্রচণ্ড উত্তাপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পাথরের ফাঁকে বা গর্তে লুকিয়ে থাকে। রাত্রিবেলা পরিবেশ ঠান্ডা হলে এরা খাদ্যের খোঁজে গর্তের বাইরে চলে আসে। এভাবে মরুভূমির সাপগুলি মরুভূমির পরিবেশের সঙ্গে অভিযোজন করে।

(২৬) গরম মরুভূমিতে থাকা উট এবং ঠাণ্ডা মরুভূমিতে থাকা উটগুলোর মধ্যে কী কী পার্থক্য দেখা যায় তা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ গরম মরুভূমিতে থাকা উটগুলোর প্রশস্ত খুরের লম্বা পা থাকে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো উটকে বালিময় ভূখণ্ডে হাঁটতে সাহায্য করে যাতে ওদের পা বালিতে ঢুকে না যায়। এর বিপরীতে ঠান্ডা মরুভূমিতে থাকা উটগুলোর পা ছোটো থাকে এবং সেগুলো গরম মরুভূমির উটদের মতো উঁচু হয় না। এই ছোটো পাগুলো তাদের ঠান্ডা মরুভূমির দুর্গম এবং পার্বত্য-ভূখণ্ডে চলাচলকে সহজ করে দেয়।

মরুভূমিতে খাদ্যের অভাব হয় এবং উটেরা নিজের জন্য খাদ্য তাদের কুঁজে সংরক্ষণ করতে পারে। গরম মরুভূমির উটদের একট কুঁজ থাকে, যা তাদের খাদ্যের অভাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। অপরদিকে, ঠান্ডা মরুভূমির উটদের দুটি কুঁজ তাকে যা শীতকালের শেষের দিকে খাদ্য সীমিত হলে সংকুচিত হয়। তাছাড়া ঠান্ডা মরুভূমিতে থাকা উটগুলোর মাথা থেকে ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুল বা লোম থাকে যা তাদেরকে ঠান্ডা মরুভূমির অতিমাত্রার ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা করে।

(২৭) মরুভূমিতে থাকা উটগুলোর কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর যা তাদেরকে মরুভূমির পরিবেশে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে?

উত্তরঃ উটের দেহের গঠন তাদেরকে মরুভূমির পরিবেশে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। গরম মরুভূমিতে থাকা উটগুলোর প্রশস্ত খুরযুক্ত লম্বা পা উটকে বালিময় ভূখণ্ডে হাঁটতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উটের পিঠে থাকা কুঁজে সংরক্ষিত খাদ্য উটকে খাদ্যের অভাবের সময় বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। উটগুলি কম পরিমাণে প্রস্রাব এবং শুষ্ক গোবর ত্যাগ করে, ঘাম নিঃসরণ করে না। উটেরা তাদের দেহে জল সংরক্ষণ করে দীর্ঘ সময় ওরা জল গ্রহণ না করেও বেঁচে থাকতে পারে। এভাবে উটেরা মরুভূমির পরিবেশে নিজেকে উপযোগী করে তুলতে সমর্থ হয়।

(২৮) পাখির দেহ উড়ার জন্য কীভাবে উপযোগী তা সংক্ষেপে লেখো।

উত্তরঃ পাখির দেহের উভয় প্রান্ত সরু থাকে। এদের ডানা দুটি অগ্রপদের রূপান্তর। পাখিদের হাড়গুলো ফাঁপা ও হালকা। সেজন্য এদের শরীরের ওজন কম এবং বাতাসে উড়তে সুবিধা হয়।

(২৯) উড়তে পারে না এমন একটি পাখির নাম কারণ সহ উল্লেখ কর।

উত্তরঃ উটপাখি উড়তে পারে না কারণ তাদের হাড় ফাঁপা হয় না। হাড়গুলো ঠাসা। সেজন্য তাদের শরীরের ওজন বেশি এবং বাতাসে উড়ার জন্য সহায়ক নয়।

(৩০) পুকুর, হ্রদ ইত্যাদি জলজ পরিবেশে জন্মায় এরূপ কয়েকটি জলজ উদ্ভিদের নাম লেখো।

উত্তরঃ পুকুর, হ্রদ ইত্যাদিতে জন্মায় এরূপ কয়েকটি জলজ উদ্ভিদের নাম জললেটুস, কচুরিপানা, শাপলা, জলপদ্ম, খুদে পানা, কলমীশাক ইত্যাদি।

(৩১) জলজ উদ্ভিদ কীভাবে জলে ভেসে থাকে তা উল্লেখ কর।

উত্তরঃ জলজ উদ্ভিদের দেহ ফাঁপা হওয়ায় সেখানে বায়ু ঢুকে থাকে। সেজন্য তাদের ওজন কম হয় এবং জলে ভেসে থাকতে পারে। তাছাড়া জলজ উদ্ভিদের শিকড় খাটো এবং গুচ্ছাকারে বাড়ে।

(৩২) পার্বত্য অঞ্চলের গাছগুলি বেঁচে থাকার জন্য কীভাবে পার্বত্য আবাসস্থলীতে অভিযোজন করে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ পার্বত্য অঞ্চলের গাছগুলি সাধারণত শঙ্কু আকৃতির হয় এবং ডালগুলি শিথিল নীচের দিকে ঢালু করা থাকে। পার্বত্য অঞ্চলের কতকগুলি উদ্ভিদের পাতা সূচের মতো হয়। এটি বৃষ্টির জল এবং বরফকে অনায়াসে গড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। এভাবে পার্বত্য অঞ্চলের গাছগুলি বেঁচে থাকার জন্য পার্বত্য আবাসস্থলীতে অভিযোজন করে। পার্বত্য অঞ্চলে অভিযোজন করা একটি গাছের উদাহরণ হলো দেবদারু গাছ।

(৩৩) একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের উদাহরণ দাও যেটি স্থানীয় পরিস্থিতি সহ্য করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে পারে।

উত্তরঃ রডোডেনড্রন বা রোদরঞ্জন হলো এক প্রকারের সপুষ্পক উদ্ভিদ যেগুলো নীলগিরি পর্বতে এবং হিমালয় পর্বতের আশেপাশে দেখতে পাওয়া যায়। উঁচু পর্বতের শিখরে তীব্র বাতাস যাতে সহ্য করতে পারে সেজন্য নীলগিরি পর্বতের রডোডেনড্রনগুলোর উচ্চতা কম এবং পাতাগুলো ছোটো। হিমালয় পর্বতের কাছের রডোডেনড্রনগুলোর অবশ্য তুলনামূলকভাবে কম উঁচু হয়ে থাকে। এভাবে রডোডেনড্রনের মতো উদ্ভিদগুলো স্থানীয় পরিস্থিতি সহ্য করার জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করতে পারে।

(৩৪) জীবের সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলির একটি তালিকা প্রস্তুত করো।

উত্তরঃ জীবের সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল বৃদ্ধি, চলন, প্রজনন, শ্বসন কার্য, রেচন, উদ্দীপকের প্রতি সাড়া, নির্দিষ্ট জীবনকাল ইত্যাদি।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top