Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 7 Social Science Chapter 3 পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 7 Social Science Chapter 3 পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন Notes in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 3 পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes SEBA Class 7 Social Science Chapter 3 পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন in Bengali Textbook Solutions for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 7 Social Science Chapter 3 পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Social Science Chapter 3 পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন Suggestions in Bengali. SEBA Class 7 Social Science Chapter 3 পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন Notes in Bengali. I Hope, you Liked The information About The সপ্তম শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর SEBA Class 7 Social Science Part – I Geography, Class 7 Social Science Part – II History, Class 7 Social Science Part – III Economics and Political Science. If you liked Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। উত্তর লেখাে- (৩০টি শব্দের মধ্যে)
(ক) বায়ুমণ্ডল বলতে কি বােঝ ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উপরিভাগে বায়ুর যে বিশাল আবরণ বেষ্টন করে আছে তাকে বায়ুমণ্ডল বলে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে এই বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর গায়ে জড়িয়ে আছে। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলােমিটার পর্যন্ত বায়ুস্তর মােটামুটিভাবে ভূ-পৃষ্ঠের আবহাওয়া ও জলবায়ুকে প্রভাবিত করতে পারে। বিভিন্ন গ্যাস, ধূলিকণা, জলীয় বাষ্প প্রভৃতির সমন্বয়ে বায়ুমণ্ডল গঠিত। বিভিন্ন গ্যাসের মধ্যে নাইট্রোজেনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
(খ) ফলকগুলাে কেন নড়াচড়া করে ?
উত্তরঃ পৃথিবীর খােলস বা ভূ-ত্বক কয়েকটি ফলকে বিভক্ত। এই ফলকগুলাে ভূ-ত্বকের নীচে থাকা উত্তপ্ত এবং অর্ধগলিত ম্যাগমায় গঠিত একটি স্তরের ওপর ভেসে আছে। পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ বা ভূ-গর্ভ এখনও উত্তপ্ত বস্থায় আছে। এই উত্তপ্ত পদার্থগুলাের প্রচণ্ড তাপ ও চাপের ফলে ভূ-গর্ভ অস্থির অবস্থায় থাকে। অভ্যন্তরভাগের গলিত পদার্থসমূহ ধীরে ধীরে শীতল হবার সাথে সাথে সংকুচিত হচ্ছে। এই ফলকগুলােও ধীরে ধীরে সরতে থকে। এই ফলকগুলাে বৎসরে ৫ সে.মি. গতিতে নড়াচড়া করে।
(গ) সাময়িক বাতাসের বিষয়ে লেখাে।
উত্তরঃ যে বায়ু বছরের বিশেষ সময়ে প্রবাহিত হয় সেই বায়ুকে সাময়িক বায়ু বলে। যেমন-
(i) স্থলবায়ু।
(ii) সমুদ্র বায়ু। এবং
(iii) মৌসুমি বায়ু। বায়ুমণ্ডলে হওয়া তাপ ও চাপের তারতম্যের প্রভাবে উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে এই বায়ু প্রবাহিত হয়।
স্থলবায়ু- স্থলভাগ থেকে এই বায়ু রাতে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। তাই এই বায়ুর নাম স্থলবায়ু।
সমুদ্র বায়ু- দিনের বেলায় সমুদ্রের উচ্চচাপ কেন্দ্র থেকে বায়ু উপকূলের স্থলভূমির নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। সমুদ্র থেকে এই বায়ু আসে; তাই এর নাম সমুদ্র বায়ু।
মৌসুমি বায়ু- ঋতুভেদে স্থলভাগ এবং জলভাগের ওপর তাপের তারতম্যের জন্য যে বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয় তাকে মৌসুমি বায়ু বলে।
(ঘ) বালিপ কী ?
উত্তরঃ মরুভূমির কোনাে কোনাে অঞ্চলে বায়ুর গতি কমে এলে এটি বহন করে আনা শিলা, বালি জমা হয়ে বালিপ সৃষ্টি করে। বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে বালিজুপ গতিশীল;ভাঙে আবার গড়ে, আবার আকৃতির পরিবর্তন ঘটায়। যেদিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হয়ে আসে বালিয়াড়ির ঢাল সেদিকে কম, বিপরীত দিকে বেশি।
(ঙ) অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ কী ?
উত্তরঃ নদীর গতিপথের মধ্য অংশে ঢালু কমে এবং নদীর গতিবেগও কমে। এই অংশে নদী পাশের দিকে বেশি খনন করে। মধ্য অংশে নদীর গতিপথ আঁকাবাঁকা হয়। শীতকালে নদীর জল কম থাকলে এই ভাজে ভাজে নদী প্রবাহিত হয়। আবার বর্ষাকালে কোনাে সময়ে নদীতে হঠাৎ প্রচুর জল এলে নদীর স্রোতবেগ বেড়ে যায়। তখন নদী আঁকাবাঁকা পথ ছেড়ে দিয়ে সােজা পথে প্রচণ্ড শক্তিতে প্রবাহিত হয়। নদীর পরিত্যক্ত বাঁকগুলিতে জল জমে হ্রদের সৃষ্টি হয়। এরূপ বাঁকা হ্রদগুলাে দেখতে ঘােড়ার খুরের মতাে হয় বলে এগুলােকে অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ বলে।
বিষয় | সূচী-পত্ৰ ( ভূগােল GEOGRAPHY ) |
পাঠ -১ | ভূ-পৃষ্ঠে সময় গণনা |
পাঠ -২ | পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর উপরিভাগ এবং এর পরিবর্তন |
পাঠ -৪ | আমাদের পরিবেশ |
পাঠ -৫ | মানবসৃষ্ট পরিবেশ |
পাঠ -৬ | সম্পদ |
পাঠ -৭ | অসমের সম্পদ |
পাঠ -৮ | ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল |
পাঠ -৯ | ভারতবর্ষের জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, কৃষি এবং জনসংখ্যা |
বিষয় | ( ইতিহাস HISTORY ) |
পাঠ -১০ | মৌর্যযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১১ | গুপ্তসাম্রাজ্যের উত্থান |
পাঠ -১২ | গুপ্তযুগের পরবর্তী ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৩ | ঐতিহাসিক অসম |
পাঠ -১৪ | মধ্যযুগের ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৫ | দিল্লির সুলতানগণ |
পাঠ -১৬ | মােগল রাজত্বকালে ভারতবর্ষ |
পাঠ -১৭ | ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে মােগলদের অবদান |
বিষয় | ( অর্থনীতি ECONOMICS & POLITICAL SCIENCE ) |
পাঠ -১৮ | আমাদের আশেপাশের বাজার |
পাঠ -১৯ | পরিকল্পনা, বাজেট ও উন্নয়ন |
পাঠ -২০ | অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা |
পাঠ -২১ | শ্রমের সমমর্যাদা ও সমমূল্য |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র, নাগরিক, নাগরিকত্ব |
পাঠ -২৩ | নির্বাচন এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়া |
পাঠ -২৪ | গণতন্ত্র এবং প্রচার মাধ্যম |
পাঠ -২৫ | প্রান্তীয় গােষ্ঠী এবং গণতান্ত্রিক অধিকার |
প্রশ্ন ২। শুদ্ধ উত্তরটিতে / চিহ্ন দাও।
(i) নীচের কোন গ্যাস আমাদের সূর্যের অনিষ্টকারী রশ্মি থেকে রক্ষা করে ?
(ক) কার্বন-ডাই-অক্সাইড।
(খ) নাইট্রোজেন।
(গ) ওজোন।
উত্তরঃ ওজোন।
(ii) হিমবাহের অবক্ষেপগুলাের নাম হল-
(ক) প্লাবনভূমি।
(খ) ব্যাঙ্কে ছাতা।
(গ) গ্রাব।
উত্তরঃ গ্রাব।
(iii) জলরূপে পৃথিবীতে নেমে আসা অধক্ষেপণের নাম-
(ক) বৃষ্টি।
(খ) মেঘ।
(গ) বরফ।
উত্তরঃ বৃষ্টি।
(iv) ব্যাঙের ছাতা আকৃতির শিলা পাওয়ার স্থান-
উত্তরঃ মরুভূমি।
(v) মানুষের জন্য বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তরটি হল-
(ক) ম্যাসােস্ফিয়ার।
(খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
(গ) ট্রপােস্ফিয়ার।
উত্তরঃ ট্রপােস্ফিয়ার।
(vi) অশ্বখুরাকৃতি হ্রদ সৃষ্টি হওয়ার স্থান-
(ক) হিমবাহ।
(খ) নদী উপত্যকা।
(গ) মরুভূমি।
উত্তরঃ নদী উপত্যকা।
প্রশ্ন ৩। ডানদিক বাঁদিক রেখা টেনে মেলাও-
(ক) বাণিজ্য বাতাস | (ক) নদীর মধ্য অংশ। |
(খ) হিমবাহ | (খ) স্থানীয় বাতাস |
(গ) লু | (গ) ওজোন স্তর |
(ঘ) বরফের নদী | (ঘ) সর্পিল গতি |
(ঙ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার | (ঙ) নিয়ত বাতাস (চ) ভূমিকম্প |
উত্তরঃ
(ক) বাণিজ্য বাতাস | (ঙ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার |
(খ) হিমবাহ | (ঘ) সর্পিল গতি |
(গ) লু | (খ) স্থানীয় বাতাস |
(ঘ) বরফের নদী | (ক) নদীর মধ্য অংশ |
(ঙ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার | (গ) ওজোন স্তর |
প্রশ্ন ৪। কারণ দেখাও। (৫০টি শব্দের মধ্যে)
(ক) সঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ভেজা কাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয় না।
উত্তরঃ স্যাতসেঁতে আবহাওয়ায় ভেজা কাপড় তাড়াতাড়ি না শুকোনাের প্রধান কারণ হলাে বায়ুর আর্দ্রতা। বায়ু সবসময় একই রকম আর্দ্র থাকে না। স্থান ও ঋতুভেদে বায়ুর আর্দ্রতার পরিবর্তন ঘটে। বায়ু যত বেশি উষ্ণ হয়, জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা তত বেশি বাড়ে। তাই ঠাণ্ডা বায়ুর চেয়ে গরম বায়ুর জলীয়বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বেশি। কাজেই শীতকালে বায়ুর আর্দ্রতার পরিমাণ অর্থাৎ জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অতিশয় কম থাকে কিন্তু বর্ষাকালে বায়ুতে আর্দ্রতার পরিমাণ অতিশয় বেশি থাকে, প্রায় ১০০। বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার জন্য বর্ষাকালে স্যাতসেঁতে আবহাওয়ায় ভেজা কাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয় না।
(খ) প্লাবনভূমি বড় উর্বর।
উত্তরঃ বন্যার সময় নদী তার দু-পারই প্লাবিত করে। নদীর বহন করা বালি, কাদার গাদগুলাে নদীর দুপারে জমা হয়। নদী দ্বারা সৃষ্ট এ ধরনের পলি জমা হওয়া মাটিকে প্লাবনভূমি বলে। এই পলিমাটিতে বিভিন্ন ধরনের জৈবিক এবং অজৈবিক পদার্থ মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। এই সকল জৈবিক ও অজৈবিক পদার্থসমূহ পুষ্টি যােগায়। কৃষিজমিতে ক্রমাগত চাষের ফলে উর্বরতা শক্তি কমে যায়। এই নতুন পলিমাটি জমির উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
(গ) মরুভূমিতে থাকা কিছু শিলা ব্যাঙ্গে ছাতা আকৃতির।
উত্তরঃ এটা বায়ুপ্রবাহের ফলে মরুভূমিতে সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ। শিলাময় ভূমি অনেক সময়ে কোমল ও কঠিন শিলাস্তরে গঠিত থাকে। কঠিন শিলার নীচে কোমল শিলা থাকলে সেখানে বেশি ক্ষয় হয়। একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় বায়ুতে উড়িয়ে নেওয়া বালির কণাগুলাের খনন ক্ষমতা বেশি। সে জন্য মরুভূমির বুকে থাকা শিলাখণ্ডগুলাে এক বিশেষ উচ্চতায় বেশি ক্ষয় হয়ে ব্যাঙের ছাতা আকৃতির শিলার সৃষ্টি করে এবং ব্যাঙের ছাতার আকৃতি ধারণ করে বড় এক আয়তন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এরূপ আকৃতির শিলাস্তম্ভ গৌর নামে পরিচিত।
(ঘ) বিষুব অঞ্চল থেকে দুই মেরু অঞ্চল শীতল।
উত্তরঃ বিষুব বা নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সারা বৎসর সরাসরি বা লম্বভাবে পড়ে, সেজন্য সেই অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা সর্বদাই বেশি, অন্যদিকে বিষুবরেখা থেকে দুই মেরুর দিকে সূর্যরশ্মি হেলানােভাবে পড়ে। এজন্য অঞ্চলগুলির বায়ু মণ্ডল শীতল। মেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে অর্থাৎ ভূখণ্ড তুষারাছন্ন। এজন্য বৎসরের প্রায়ভাগ সময়ই শীতল থাকে। ভূ-পৃষ্ঠের কোনাে স্থানের বা বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা নির্ভর করে সেই স্থানের অক্ষাংশের ওপর। প্রতি ১° অক্ষাংশের পার্থক্যের জন্য ০.২৮° সেলসিয়াস উত্তাপ কমে যায়।
প্রশ্ন ৫। বায়ুতে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকা গ্যাসটির নাম কী ?
উত্তরঃ নাইট্রোজেন।
প্রশ্ন ৬। উদ্ভিদ খাদ্যবস্তু প্রস্তুত করার সময় কোন্ গ্যাস ব্যবহার করে ?
উত্তরঃ কার্বনডাই-অক্সাইড।
প্রশ্ন ৭। বায়ুমণ্ডলের কোন্ স্তরে ঝড়, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি হয় ?
উত্তরঃ ট্রপােফিয়ারে।
প্রশ্ন ৮। কোন্ স্তরের মধ্যে উড়ােজাহাজ চলাচল সুবিধাজনক ?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
প্রশ্ন ৯। ওজোন স্তর আমাদের কীভাবে উপকার করে ?
উত্তরঃ ওজোন গ্যাসের স্তর সূর্যরশ্মিতে থাকা অতি বেগুনী রশ্মির কু-প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে।
প্রশ্ন ১০। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তরটির বিস্তৃতি কত ?
উত্তরঃ প্রায় ৫০ কিলােমিটার।
প্রশ্ন ১১। বায়ুমণ্ডলের কোন্ স্তরে উল্কা দেখা যায় ?
উত্তরঃ ম্যাসােস্ফিয়ার স্তরে।
প্রশ্ন ১২। কোন স্তর আমাদের রেডিও শুনতে সাহায্য করে ?
উত্তরঃ থার্মেস্ফিয়ার।
প্রশ্ন ১৩। মেরু অঞ্চ ল কেন সর্বদা বরফে আবৃত থাকে ?
উত্তরঃ মেরু অঞ্চ ল দুটিতে সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়ে কাজেই এই দুই মেরুস্থান হিমশীতল। এখানে তাপমাত্রা ০° সেলসিয়াসের নীচে নেমে যায় ফলে এখানে সর্বদাই বরফে আবৃত থাকে।
প্রশ্ন ১৪। বিষুব অঞ্চলে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা বেশি থাকে কেন ?
উত্তরঃ বিষুব অঞ্চলে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে এজন্য এই অঞ্চলের উষ্ণতা সর্বদাই বেশি।
প্রশ্ন ১৫। বিষুব অঞ্চলে সবসময় বায়ুর চাপ কম কেন ?
উত্তরঃ বিষুব অঞ্চলে উষ্ণতা বেশি, সেজন্য সেখানে সর্বদাই বায়ুর চাপ কম হয়।
প্রশ্ন ১৬। মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি হওয়ার কাজ কী ?
উত্তরঃ মেরু অঞ্চলে বায়ুর চাপ বেশি কারণ সেখানে বায়ু অতিশয় শীতল।
প্রশ্ন ১৭। বাতাস কোথা থেকে কোথায় বয় ?
উত্তরঃ বায়ু উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে বয়।
প্রশ্ন ১৮। বিভিন্ন প্রকারের বাতাসের নাম উদাহরণসহ লেখাে।
উত্তরঃ বাতাসের নাম – উদাহরণ
(ক) নিত্য বাতাস – বাণিজ্য বাতাস, মেরু বাতাস ইত্যাদি।
(খ) সাময়িক বাতাস- জলবাতাস, স্থলবাতাস, মৌসুমি বাতাস ইত্যাদি।
(গ) স্থানীয় বাতাস – লু।
প্রশ্ন ১৯। বৃষ্টিপাত কয়প্রকার এবং কী কী ?
উত্তরঃ উৎপত্তি অনুসারে বৃষ্টিপাত চার প্রকার।
১। পরিচলন বৃষ্টিপাত।
২। শৈলােৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত।
৩। ঘূর্ণি বৃষ্টিপাত।এবং
৪। অরণ্য বৃষ্টিপাত।
প্রশ্ন ২০। অসমে কোন্ কোন্ মাসে বেশি বৃষ্টিপাত হয় ?
উত্তরঃ জুন মাসের মধ্যভাগ থেকে অক্টোবর মাসের প্রথম ভাগ পর্যন্ত।
প্রশ্ন ২১। শিলং-এ কেন সারা বৎসর ঠাণ্ডা থাকে ?
উত্তরঃ শিলং-এ সারা বৎসর ঠাণ্ডা থাকার কারণ হল স্থানটির উচ্চতা। শিলং-এর উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০০ মিটার।
প্রশ্ন ২২। প্রতিকূল ঢালে কেন বেশি বৃষ্টিপাত হয় ?
উত্তরঃ উচ্চপর্বতের প্রতিকূল ঢালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু বাধা পায় ফলে সেদিকে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়।
প্রশ্ন ২৩। ভূ-অবয়ব গঠনকারী শক্তি দুটি কি কি ?
উত্তরঃ ১। আভ্যন্তরীণ শক্তি।
২। বাহ্যিক শক্তি।
প্রশ্ন ২৪। ভূমিকম্পের ফলে কী কী হতে পারে ?
উত্তরঃ ভূমিকম্পের ফলে ভূ-পৃষ্ঠে নানা ধরনের পরিবর্তন হতে পারে।
(ক) ভূমিকম্পের ফলে ভূপৃষ্ঠের কোনাে স্থান ওপরে উঠে যেতে পারে আবার কোনাে স্থান নীচে বসে যেতে পারে।
(খ) নদীর গতিপথ বদলে যেতে পারে।
(গ) নদীর তলভাগ ওপরে উঠে আসতে পারে।
(ঘ) সাগরের নীচে প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। একে সুনামি বলে।
(ঙ) মানুষের ঘর-বাড়ি ভেঙে জীবন ও সম্পত্তির অনেক ক্ষতিসাধন করে।
(চ) কখনাে কখনাে ভূ-আন্দোলনের ফলে ভূ-ত্বকের ফাটল দিয়ে ভূগর্ভ থেকে লাভা বেরিয়ে আসে। ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসা লাভা উত্তপ্ত ও গলিত অবস্থায় থাকে এবং এই পদার্থগুলাে নগর, শহর বা অরণ্যকে ঢেকে ফেলতে পারে।
প্রশ্ন ২৫। সুনামি কী ?
উত্তরঃ সাগরের নীচে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হলে সাগরের জলে প্রচণ্ড ঢেউ-এর সৃষ্টি হয়। এ ধরনের ঢেউকে সুনামি বলে।
প্রশ্ন ২৬। ভূ-পৃষ্ঠে লাভা জমা হয়ে কী কী অবয়ব গঠিত হতে পারে ?
উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠে লাভা জমা হয়ে পর্বত, পাহাড়, মালভূমি, সমভূমি ইত্যাদির সৃষ্টি করতে পারে। জ্বালামুখে জল জমা হলে হ্রদের সৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্ন ২৭। নদীর সর্পিল গতি বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ নদীপথের মধ্য অংশে ঢালু কমে এবং গতিবেগও কমে। এই অংশে নদী পাশের দিকে বেশি খনন করে। মধ্য অংশ বা সমভূমি অঞ্চলে নদীর গতিপথ আঁকাবাঁকা হয়। নদীর এই গতিকে সর্পিল গতি বলে।
প্রশ্ন ২৮। প্লাবনভূমি কী ?
উত্তরঃ বন্যার সময়ে নদী তার দু-পারই প্লাবিত করে। নদী বহন করা বালি, কাদার গাদগুলাে দু-পারে জমা হয়। নদী দ্বারা সৃষ্ট এ ধরনের পলি জমা হওয়া মাটিকে প্লাবনভূমি বলে।
প্রশ্ন ২৯। বদ্বীপ নদীর কোন্ অংশে সৃষ্টি হয় ?
উত্তরঃ নদীর নিম্ন অংশে।
প্রশ্ন ৩০। মরুভূমিতে বায়ু কী ধরনের ক্ষয়কার্য করে ?
উত্তরঃ মরুভূমিতে বায়ু তিন ধরনে ক্ষয়কার্য করে- খনন, পরিবহণ এবং অবক্ষেপণ।
প্রশ্ন ৩১। লয়েস বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ মরুভূমির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধূলিকণাগুলাে কখনও বাতাসের দ্বারা প্রবাহিত হয়ে বহু দূরে দীর্ঘকাল ধরে অবক্ষেপণ হয়ে একটি উর্বর উচ্চভূমির সৃষ্টি করে। একে লয়েস বলে।
প্রশ্ন ৩২। হিমবাহ কোন অঞ্চলে খনন কার্য করে ?
উত্তরঃ উচ্চ পর্বতগাত্রে।
প্রশ্ন ৩৩। গ্রাব কী ?
উত্তরঃ হিমবাহের সঙ্গে আসা পদার্থগুলােকে গ্রাব বলে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ৩৪। শুদ্ধ উত্তরটি লেখ।
১। সব জীবই শ্বসনকার্যে গ্রহণ করা গ্যাসটি হল-
(ক) নাইট্রোজেন।
(খ) অক্সিজেন।
(গ) কার্বন ডাই-অক্সাইড।
উত্তরঃ অক্সিজেন।
২। বায়ুমণ্ডলকে ভাগ করা যায়-
(ক) ৩ টি।
(খ) ৫ টি।
(গ) ৪ টি ভাগে।
উত্তরঃ ৪ টি ভাগে।
৩। থার্মোস্ফিয়ারের নীচের অংশকে বলা হয়-
(ক) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
(খ) আয়নােস্ফিয়ার।
(গ) ট্রপােস্ফিয়ার।
উত্তরঃ আয়নােস্ফিয়ার।
৪। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ঠিক ওপরের স্তরটিকে বলা হয়-
(ক) ম্যাসােস্ফিয়ার।
(খ) ট্রপােস্ফিয়ার।
(গ) আয়নােস্ফিয়ার।
উত্তরঃ ম্যাসােস্ফিয়ার।
৫। গুয়াহাটি থেকে শিলং-এর দূরত্ব প্রায়-
(ক) ১০০ কি.মি।
(খ) ৫০ কি.মি।
(গ) ১৫ কি.মি।
উত্তরঃ ১০০ কি.মি।
প্রশ্ন ৩৫। শূন্যস্থান পূর্ণ কর।
১। ___________ স্তরটি রেডিয়াে তরঙ্গ বহন করে।
উত্তরঃ আয়নােস্ফিয়ার।
২। ভূ-পৃষ্ঠের অবস্থার পরিবর্তন ঘটানাে প্রধান শক্তি দুটো হল ___________ এবং ___________।
উত্তরঃ আভ্যন্তরীণ, বাহ্যিক।
৩। মহাকাশ থেকে নেমে আসা ___________ ম্যাসােস্ফিয়ারে প্রবেশ করলেই জ্বলে ওঠে।
উত্তরঃ উল্কা।
৪। আমাদের দেশের মুখ্য আবহাওয়া বিজ্ঞান কেন্দ্রটি ___________ অবস্থিত।
উত্তরঃ পুনেতে।
৫। তাপমাত্রার একক হল ___________ ।
উত্তরঃ সেলসিয়াস।
৬। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান কারণ হলাে ___________।
উত্তরঃ সৌরশক্তি।
৭। উত্তর ভারতের ___________ একটি স্থানীয় বাতাস।
উত্তরঃ লু।
৮। ঘােড়ার খুরের আকৃতির জলাশয়গুলােকে ___________ হ্রদ বলে।
উত্তরঃ অশ্বখুরাকৃতির হ্রদ।
৯। ___________ লয়েস দেখা যায়।
উত্তরঃ চীনদেশে।
১০। হিমবাহের সঙ্গে আসা পদার্থগুলােকে ___________ বলে।
উত্তরঃ গ্রাব।
প্রশ্ন ৩৬। সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও-
১। বায়ুমণ্ডলে থাকা উপাদানগুলাের নাম লেখ।
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলে থাকা উপাদানগুলাের নাম হলােনাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড, হিলিয়াম, আর্গন, ওজোন, হাইড্রোজেন, নিয়ন, ক্রিপ্টন, ধূলিকণা এবং ধোঁয়া।
২। শ্বসনকার্যের জন্য আমরা কি গ্যাস ব্যবহার করি ?
উত্তরঃ অক্সিজেন।
৩। বায়ুমণ্ডলকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি ?
উত্তরঃ বায়ুমণ্ডলকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।
(ক) ট্রপােস্ফিয়ার।
(খ) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।
(গ) ম্যাসােস্ফিয়ার।এবং
(ঘ) থার্মোস্ফিয়ার।
৪। ওজোন গ্যাসের স্তরটি আমাদের কিভাবে সাহায্য করে ?
উত্তরঃ অতি বেগুনি রশ্মির কু-প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে।
৫। বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর কোটি ?
উত্তরঃ টুপপাস্ফিয়ার।
৬। বায়ুমণ্ডলের কোন্ স্তরটি দিয়ে উড়ােজাহাজ চলাচল করে ?
উত্তরঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার স্তর দিয়ে।
৭। বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার প্রধান কারণ কী ?
উত্তরঃ সৌরশক্তি।
৮। নিত্য বাতাস কী ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উপরিভাগের স্থায়ী উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে নিয়মিতভাবে যে বাতাস প্রবাহিত হয় তাকে নিত্য বাতাস বলে।
৯। সাময়িক বায়ুপ্রবাহ কাকে বলে।
উত্তরঃ দিনের বিভিন্ন সময়ে বা বছরের বিভিন্ন ঋতুতে যে সব বায়ু নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয় তাদের বলে সাময়িক বায়ুপ্রবাহ।
১০। স্থানীয় বাতাস বলতে কী বােঝায় ?
উত্তরঃ কোনাে কোনাে অঞ্চলে স্থানীয় কারণের জন্য কোনাে কোনাে সময়ে বাতাস প্রবাহিত হয় তাকে সাময়িক বাতাস বলে।
১১। আদ্রর্তা বলতে কী বােঝ ?
উত্তরঃ বায়ুতে থাকা জলীয় বাষ্পকেই আর্দ্রতা বলা হয়।
১২। বৃষ্টিপাত ছাড়াও অধক্ষেপণের অন্যান্য রূপগুলাে কী কী ?
উত্তরঃ শিলাবৃষ্টি, তুষারপাত ইত্যাদি।
১৩। ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকারের জলবায়ুর মূল কারণগুলাে কি কি ?
উত্তরঃ মূল কারণগুলাে হল বায়ুর তাপ, চাপ, আদ্রর্তা, স্থানটির উচ্চতা, সাগর থেকে দূরত্ব, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বৃষ্টি ইত্যাদি।
১৪। বিষুবীয় এবং মেরু অঞ্চলের মানুষদের প্রধান বৃত্তি কী ?
উত্তরঃ জঙ্গল থেকে ফলমূল সংগ্রহ এবং পশু শিকার।
১৫। মেরু অঞ্চলের মানুষ শীতকালে কি দিয়ে ঘর তৈরি করে ?
উত্তরঃ বরফ দিয়ে।
১৬। অসমের মানুষের প্রধান খাদ্য কি ?
উত্তরঃ ভাত।
১৭। পাঞ্জাব, হরিয়ানা ইত্যাদিরাজ্যের মানুষদের প্রধান খাদ্য কী ?
উত্তরঃ রুটি।
১৮। বিষুবীয় এবং মেরু অঞ্চলের মানুষদের প্রধান খাদ্য কী ?
উত্তরঃ ফলমূল এবং মাংস।
১৯। মরু অঞ্চলের মানুষেরা কি ধরনের পােশাক পরিধান করে ?
উত্তরঃ মরু অঞ্চলের মানুষেরা সারা শরীর ঢেকে রাখা পােশাক পরিধান করে।
২০। ভূ-আন্দোলন বলতে কী বােঝায় ?
উত্তরঃ পৃথিবীর ভূ-গর্ভস্থ উত্তপ্ত পদার্থগুলাের প্রচণ্ড তাপ এবং চাপের ফলে ভূ-গর্ভ অস্থির অবস্থায় আছে। এই অস্থিরতার জন্য পৃথিবীর খােলস বা আবরণটির স্থানে স্থানে মধ্যে মধ্যে প্রবল কম্পনের সৃষ্টি হয়। এটিই হল ভূ-আন্দোলন।
২১। ভূ-আন্দোলনের ফলে কী হয় ?
উত্তরঃ পৃথিবীর উপরিভাগের কিছু অংশ ওপরে উঠে যেতে পারে আবার কোনাে অংশ নীচে বসে যেতে পারে। ভূ-পৃষ্ঠে বিভিন্ন ধরনের ভূ-অবয়বের সৃষ্টি হয়।
২২। ভূ-আন্দোলনের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ ভূমিকম্প।
২৩। ভূত্বকের যে স্থানে ভূমিকম্পের আরম্ভ হয় সে স্থানকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ সে স্থানটিকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলা হয়।
২৪। উপকেন্দ্র বা অধিকেন্দ্র কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভূমিকম্পটির কেন্দ্রটির ঠিক ওপরে ভূ-পৃষ্ঠের স্থানটিকে ভূমিকম্পটির উপকেন্দ্র বা অধিকেন্দ্র বলে।
২৫। আগ্নেয়গিরি কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভূ-আন্দোলনের ফলে কখনও ভূ-ত্বকের ফাটল দিয়ে ভূ-গর্ভ থেকে উত্তপ্ত গলিত শিলা, ধাতু, ছাই, ধোঁয়া, বাষ্প ইত্যাদি প্রবল বেগে ভূ-পৃষ্ঠের দুর্বল অংশ ভেদ করে বেরিয়ে এসে ভূ-পৃষ্ঠের ওপরের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। একে আগ্নেয়গিরি বলে।
২৬। জ্বালানলি কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে রাস্তা বা নল দিয়ে ভূ-গর্ভ থেকে লাভাগুলাে বেরিয়ে আসে তাকে জ্বালানলি বলে।
২৭। জ্বালা মুখ কাকে বলে ?
উত্তরঃ ভূ-পৃষ্ঠের ওপরে বেরিয়ে থাকা মুখটিকে জ্বালা মুখ বলে।
২৮। বাহ্যিক শক্তির ক্রিয়ার দ্বারা পৃথিবীর উপরিভাগের ভূ-অবয়বে পরিবর্তন ঘটানাে কারকগুলাে কি কি ?
উত্তরঃ নদী, বায়ু এবং হিমবাহ।
২৯। জলপ্রপাত কাকে বলে ?
উত্তরঃ কোমল শিলাস্তর তাড়াতাড়ি ক্ষয় পাওয়ার ফলে নদীর গতিপথে এমনই এক অসম ঢালের সৃষ্টি হয় যে নদী তখন হঠাৎ ওপর থেকে নীচে সজোরে পড়তে থাকে। একে জলপ্রপাত বলে।
৩০। প্রাকৃতিক বাঁধ কী ?
উত্তরঃ নদীর দু-পার প্লাবনভূমি থেকে উঁচু হয়ে বাঁধের মতাে হয়। একে প্রাকৃতিক বাঁধ বলে।
৩১। মরূদ্যান কী ?
উত্তরঃ মরুভূমির বায়ু ধুলােবালিগুলাে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে নিচু অঞ্চলের সৃষ্টি করে। মরুভূমির বুকে এই নিচু অঞ্চলগুলােতে জল এবং উর্বর মাটির জন্য মানুষের বসতি দেখা যায়। এই অঞ্চলে কিছু কিছু উদ্ভিদও জন্মে। এই অঞ্চলটিকে মরূদ্যান বলে।
রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ৩২। মানুষের কাজকর্মে জলবায়ুর প্রভাব বর্ণনা কর।
উত্তরঃ মানুষের কাজকর্ম, ঘরবাড়ি, খাদ্যাভ্যাস, সাজ-পােশাক ইত্যাদিতে জলবায়ুর প্রভাব অপরিসীম। কৃষির জন্য উপযােগী অঞ্চলের মানুষের প্রধান জীবিকা হল কৃষি। আবার বিষুবীয় এবং মেরু অঞ্চ লে মানুষের প্রধান বৃত্তি হল-জঙ্গল থেকে ফলমূল সংগ্রহ এবং পশু শিকার। মরুভূমি অঞ্চলে কোন কোন স্থানে তৃণভূমি থাকায় সেখানে পশুপালন হয়।
জলবায়ু বাসস্থানের ওপরেও প্রভাব বিস্তার করে। অধিক বৃষ্টিপাত হওয়া অঞ্চলে ঘরের চালগুলাে বেশি খাড়া বা ঢালু থাকে। উষ্ণ অঞ্চলে ঘরের বেড়াগুলােতে মাটির শক্ত প্রলেপ দেওয়া হয়। মেরু অঞ্চলে শীতকালে বরফ দিয়ে ঘর তৈরি করা হয়। এগুলােকে ঈগলু বলে।
মানুষের খাদ্যাভ্যাসের ওপর জলবায়ু প্রভাব বিস্তার করে। সাধারণত একটি অঞ্চলে সহজে উৎপন্ন হওয়া শস্য, শাক-সবজি, ফলমূল ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে সেই অঞ্চলের মানুষের খাদ্যাভ্যাস গড়ে ওঠে।
সাজ-পােশাকের দিক দিয়েও দেখা যায় শীতপ্রধান অঞ্চলের মানুষ উলের বা জন্তুর ললামের তৈরি পুরু পােশাক পরিধান করে। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের মানুষ সাধারণত সূতাের তৈরি হাল্কা পােশাক পরিধান করে। বালিময় মরু অঞ্চলের মানুষ সারা শরীর ঢেকে রাখা পােশাক পরিধান করে।
প্রশ্ন ৩৩। নদীর কার্য সংক্ষেপে বর্ণনা কর।
উত্তরঃ উৎস থেকে মােহনা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ গতিপথে নদী প্রধানত
তিনভাগে কাজ করে-
(ক) ক্ষয়সাধন।
(খ) বহন।ও
(গ) অবক্ষেপণ।
(ক) ক্ষয়সাধন- ভূমি ক্ষয় করা নদীপ্রবাহের প্রধান কাজ। নদীর এই কাজকে ক্ষয়সাধন বলে। পাবর্ত্য গতিপথে ভূমি বেশি ঢালু ; তাই সেখানে নদীর প্রধান কাজ ক্ষয়সাধন।
(খ) বহন- ক্ষয়ীভবন শিলাচূর্ণ ও নুড়ি-পাথর বহন করার কাজকে বহন বা পরিবহণ কার্য বলে। পার্বত্য প্রবাহে ও মধ্য গতিপথে নুড়ি-পাথর ও পলিমাটি বহন করা নদীর একটি প্রধান কাজ।
(গ) অবক্ষেপণ- বাহিত শিলাচূর্ণ, পলিমাটি, বালি প্রভৃতি নদীর দুই পারে ও মােহনায় জমা করার কাজকে অবক্ষেপণ বলে। নদীর যখন বহন ক্ষমতা কমে তখন নদীর অবক্ষেপণের কাজ শুরু হয়।
প্রশ্ন ৩৪। বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলাের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ পৃথিবীর উপরিভাগ থেকে ওপরের দিকে থাকা সম্পূর্ণ বায়ুমণ্ডলকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগ করা যায়- ট্ৰপপাস্ফিয়ার, স্ট্র্যাটোফিয়ার, ম্যাসােস্ফিয়ার এবং থার্মোস্ফিয়ার। থার্মোস্ফিয়ারের নীচের অংশকে আয়নােস্ফিয়ার এবং ওপরের অংশকে অ্যাক্সস্ফিয়ার বলে।
ট্রপপাস্ফিয়ার- এই স্তরটি বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তর। এটি গড়ে ১৩ কিলােমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে আছে। বৃষ্টিপাত, কুয়াশা, শিলাবৃষ্টি ইত্যাদি এই স্তরেই দেখা যায়। আমাদের শ্বাস নেবার জন্য প্রয়ােজনীয় এই স্তরের যথেষ্ট পরিমাণে আছে।
স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার- ট্রপােস্ফিয়ারের ওপরের স্তরটি হল স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। এই স্তরটি বায়ুমণ্ডলের ৫০ কিলােমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। কুয়াশা, বৃষ্টিপাত, ঝড় ইত্যাদি থেকে এই স্তর মুক্ত হওয়াতে এই স্তরটি উড়ােজাহাজ চলাচলের জন্য সুবিধাজনক। এই স্তরে ওজোন গ্যাসের একটি স্তর আছে।
ম্যাসােস্ফিয়ার- স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ঠিক ওপরের স্তরটি ম্যাসােস্ফিয়ার। এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিলােমিটার উচ্চতা পর্যন্ত বিস্তৃত। মহাকাশ থেকে নেমে আসা উল্কা এই স্তরটিতে প্রবেশ করলেই জ্বলে ওঠে।
থার্মোস্ফিয়ার- বায়ুমণ্ডলের এই স্তরটির উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে উষ্ণতাও বেড়ে যায়। এই স্তরটির নীচের অংশকে আয়নােস্ফিয়ার বলে। এটি ম্যাসােস্ফিয়ারের ওপরে ৮০ কিলােমিটার থেকে ৪০০ কিলােমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এর বায়ুকণাগুলাে বৈদ্যুতিক আধানযুক্ত। এটি রেডিও তরঙ্গ বহন করে।
আয়নােস্ফিয়ারের ওপরের অংশকে অ্যাক্সস্ফিয়ার বলে। এখানে বায়ু একেবারে হাল্কা। এখান থেকেই হিলিয়াম এবং হাইড্রোজেনের মতাে গ্যাস মহাকাশে বিলীন হয়ে যায়।
প্রশ্ন ৩৫। দক্ষতামূলক কার্য-
(ক) প্রধান চাপবলয়সমূল্লে চিত্র অঙ্কন কর।
(খ) আগ্নেয়গিরির বিভিন্ন অংশ দেখিয়ে চিত্র অঙ্কন কর।
(গ) জলপ্রপাতের চিত্র আঁক।
(ঘ) বায়ুমণ্ডলের স্তরগুলাে একটি চিত্রের দ্বারা প্রকাশ কর।
(ঙ) পাই চিত্রের সাহায্যে বায়ুর গঠন দেখাও।
(চ) ব্যাঙের ছাতার আকৃতির একটি শিলাখণ্ডের চিত্র আঁক।
(ছ) অশ্বখুরাকৃতি হ্রদের চিত্র আঁক।
উত্তরঃ শিক্ষক মহাশয়ের সাহায্য নিয়ে নিজে আঁকার চেষ্টা করাে।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.