SEBA Class 7 Bengali Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 7 Bengali Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 7 Bengali Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 3 পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া

ক্রিয়াকলাপ

ক-পাঠভিত্তিক ক্রিয়াকলাপ 

( ক ) আনন্দরাম বরুয়ার জন্ম কোন সালে হয়েছিল ?

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়ার জন্ম ১৮৫০ সালে হয়েছিল ।

( খ ) তার পিতা মাতার নাম কী ? 

উত্তরঃ তার পিতার নাম গর্গরাম বরুয়া এবং মাতার নাম দুর্লভেশ্বরী দেবী । 

( গ ) আনন্দরাম বরুয়া কোলকাতার কোন কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়া কোলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন । 

( ঘ ) আনন্দরাম বরুয়া ভাষা কলা সংস্কৃতি সংস্থা কেন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ?

উত্তরঃ ১৯৮৯ সালে অসমের প্রথম স্নাতক তথা প্রথম আই . সি . এস . আধিকারিক পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়ার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের উদ্দেশ্যে অসম সরকার ভাষা কলা এবং সংস্কৃতি বিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে । 

৩। ABILAC এর সম্পূর্ণ নামটি ইংরাজি এবং বাংলায় লেখো ।

উত্তরঃ ABILAC – Anundoram Borooah Institute of Language , Art and culture , Assam EPERS

বাংলা –  আনন্দরাম বরুয়া ভাষা কলা সংস্কৃতি সংস্থা অসম । 

৪। নীচে কয়েকটি বই – এর নাম দেওয়া হল , তা থেকে আনন্দরাম বরুয়া রচিত বইগুলোর নাম খুঁজে বের করে লেখো। 

কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রউচ্চ সংস্কৃত ব্যাকরণ
প্রাচীন ভারতের ভূগোলসরস্বতী কণ্ঠাভরণ
ভবভূতির মহাবীর চরিতভাগবতের দশম স্কন্ধ
ইংরাজি – সংস্কৃত অভিধানসংস্কৃত ভাষার বৃহৎ ব্যাকরণ
মহাভারতবৈষ্ণব পদাবলী 

আনন্দরাম বরুয়া রচিত বইগুলি হল- ভবভূতির মহাবীর চরিত , ইংরাজি , সংস্কৃত অভিধান , উচ্চ সংস্কৃত ব্যাকরণ , প্রাচীন ভারতের ভূগোল , সংস্কৃত ভাষার বৃহৎ ব্যাকরণ , সংস্কৃত শিক্ষার্থী সহচর । 

৫। বিলেতে আনন্দরাম বরুয়া আই . সি . এস . পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর বয়স বিতর্কে মিস্টার গ্র্যান্ট ডাফে যে মন্তব্য করেছিলেন তা নিজের ভাষায় লেখো। 

উত্তরঃ বিলেতে আনন্দরাম বরুয়া আই . সি . এস . পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর বয়স বিতর্কে মিস্টার গ্র্যান্ট ডাফে বলেছিলেন যে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে আই . সি . এস পরীক্ষার নিয়মাবলির অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যের দিকেই লক্ষ রেখেছেন । যে ছাত্র সুদূর ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে এসে একজন প্রতিযোগীর মধ্যেও সুখ্যাতির সঙ্গে এই পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হতে পেরেছেন , তার আকাঙ্ক্ষার পথে তারা যেন কোনো ধরণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করেন । 

S.L. No.সূচি পত্র
পাঠ -১গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র
পাঠ -২জাতকের গল্প
পাঠ -৩পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া
পাঠ -৪মাতৃপূজা
পাঠ -৫বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা
পাঠ -৬আশার আলো
পাঠ -৭পড়ার হিসাব
পাঠ -৮মিসাইল মানব
পাঠ -৯অসম
পাঠ -১০প্ৰত্যাহ্বান
পাঠ -১১ভালো থেকো
পাঠ -১২আমার ছেলেবেলা
পাঠ -১৩প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
পাঠ -১৪হে ভারতের শ্ৰমজীবি
পাঠ -১৫মালেগড়

৬। আনন্দরাম বরুয়ার কর্মজীবনের বিষয়ে কয়েকটি বাক্য লেখো । 

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়া সর্বপ্রথম শিবসাগর জেলায় সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন । তারপর তিনি ময়মন সিংহ জেলায় সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টর হিসেবে নিযুক্তি লাভ করেন। ১৮৮৪ সালে নোয়াখালি জেলার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন । অসমের মতো বাংলাতেও অঞ্চলভেদে ভাষার ভিন্নতা ছিল । এই ভিন্নতা দূর করার জন্য বাংলার ভাষাবিদগণ মান্য ভাষাতে একটি অভিধানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন । তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হাতে নিয়েছিলেন কিন্তু সম্পূর্ণ করতে পারেন নি । 

৭। বাঁদিকের শব্দের সাথে ডানদিকের অর্থগুলো রেখা টেনে মেলাও :

অধ্যবসায়সুনাম , যশ
মন্থনপ্রতিদ্বন্দ্বী
সুখ্যাতিআশাতীত
অবদাননিয়োজিত
সংকল্পলেগে থাকা , অবিরাম চেষ্টা
অপ্রত্যাশিতজ্ঞানী
প্রতিযোগীকোনো কাজ করার দৃঢ় ইচ্ছা
নিযুক্তি আলোড়ন
মনীষী মহৎ কীর্তি

উত্তরঃ 

অধ্যবসায়লেগে থাকা , অবিরাম চেষ্টা
মন্থনআলোড়ন
সুখ্যাতিসুনাম , যশ
অবদানমহৎ কীর্তি
সংকল্পকোনো কাজ করার দৃঢ় ইচ্ছা
অপ্রত্যাশিতআশাতীত
প্রতিযোগীপ্রতিদ্বন্দ্বী
নিযুক্তি নিয়োজিত
মনীষী জ্ঞানী

খ — ভাষা অধ্যয়ন ( ব্যবহারিক ব্যাকরণ ) 

এসো , জেনে নিই 

১। আমরা দাদা পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়ার একটি ছবি আঁকছেন । 

২। আনন্দরাম বরুয়া আই.সি.এস পরিক্ষাতে সপ্তম স্থান অধিকার করেছিলেন ।  

৩। আমরা তাঁর বিষয়ে অনেক কথা জানব । 

ওপরের বাক্সুগলোতে ‘ আঁকছেন , করেছিলেন , জানব ’ শব্দগুলোতে ক্রিয়াপদের পার্থক্য দেখা যাচ্ছে । তিনটি বাক্যের ভিন্ন ভিন্ন ক্রিয়াপদ ভিন্ন ভিন্ন সময়কে নির্দেশ করছে । ক্রিয়ার এই ঘটনা ঘটার সময়কে কাল বলে । 

৮। কাল নির্ণয় করো : 

( ক ) বিদ্বান লোককে সবাই সম্মান করে ― সাধারণ বা নিত্য বর্তমান।

( খ ) রুনু পাঠটি ভালো করে পড়েছে ― পুরাঘটিত অতীত ।

( গ ) আনন্দরাম বরুয়া লণ্ডন গিয়েছিলেন ―  পুরাঘটিত অতীত ।

( ঘ ) তুমি কখন পাঠটি পড়বে ? ― সাধারণ অতীত ।

( ঙ ) আনন্দরাম বরুয়া এফ.এ. পরীক্ষায় সুখ্যাতির সাথে উত্তীর্ণ হন ― নিত্য বর্তমান । 

৯। পাঠ থেকে বিশেষ্য বিশেষণ , সর্বনাম এবং ক্রিয়াপদগুলো বেছে বের করে নিচের তালিকা পূর্ণ করো :

বিশেষ্য : যুবক , সদস্য , বিলেত , গ্র্যান্ট ডাফে , ছাত্র , ব্রহ্মপুত্র , মহামতি , আনন্দরাম বড়ুয়া , গর্গরাম বড়ুয়া , দুর্লভেশ্বরী দেবী, গুয়াহাটি , রাজাদুয়ারে , পণ্ডিত , ভারতবর্ষে , ইংরেজ সরকার, শিবসাগর জেলায় , ম্যাজিস্ট্রেট , বঙ্গ দেশ , ভাষাবিদগণ ভারতীয় , মনীযী । 

উত্তরঃ বিশেষণ : সুখ্যাতি , উন্নয়নমূলক , অগাধ , আকর্ষনীয় , সৌরভ , গৌরব , উচ্চপদস্থ , গুরুত্বপূর্ণ । 

সর্বনাম : আমরা , যিনি , তিনি , তাঁর । 

ক্রিয়া : উত্তীর্ণ , জন্ম , ভর্তি , যোগদান , নিযুক্তি পদ স্থাপন , বিতরণ , পুনরুদ্ধার , মৃত্যুবরণ । 

গ — জ্ঞান সম্প্রসারণ

১০। “ চেষ্টার অসাধ্য কিছু নেই ” বাক্যটির ভাবসম্প্রসারণ করে লেখো । 

এসো , জেনে নিই  

পদ্মনাথ গোহাঞি বরুয়ার সংক্ষিপ্ত পরিচয় — অসীম ত্যাগ স্বীকার করে যে সকল লেখক অসমিয়া ভাষা সাহিত্যির সুদৃড় ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন সেই সেই লেখকদের মদ্যে পদ্মনাথ গোহাঞি বরুয়া অন্যতম। তাঁর জন্ম ১৮৭১ সালে উত্তর লখিনপুরের নকড়ি গ্রামে হয়েছিল । তাঁর পিতার নাম ছিল ঘিনারাম বরুয়া । পদ্মনাথ গোহাঞি কলকাতায় বি.এ পড়ার সময়ই অসমিয়া ভাষা – সাহিত্য সাধনায় ব্রতী হয়েছিলেন । জোনাকি পত্রিকাতেও তিনি লেখা আরম্ভব করেছিলেন । ১৯১৭ সালে তিনি অসম সাহিত্য সভার প্রতম অধিবেশনের প্রথম সভাপতি ছিলেন। 

কবি মাইকেল মধুসুদন দত্তের বিষয়ে জেনে নাও— ( ১৮২৪-১৮৭৩ ) যশোহর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । Cyst or fo ছাত্রাবস্থায় তিনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধামল দীক্ষিত হন । প্রথম জীবনে তিনি বিদেশী মহাকবিদের অনুসরণে ইংরাজি ভাষায় কাব্য রচনা করতে থাকেন , কিন্তু পরে বঙ্গ সাহিত্যের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন । তিনি ছিলেন বহু ভাষাবিদ কবি এবং বাংলা ভাষার আধুনিক নাটক , চতুর্দশপদী কবিতা ( সনেট ) , অমিত্রাক্ষর ছন্দ ইত্যাদির পথিকৃৎ । তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য ‘ মেঘনাদ বধ ’ । ‘ বঙ্গভাষা ‘ কবিতাটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত চতুর্দশপদী কবিতার একটি উৎকৃষ্ট নিদর্শন। কবিতাটিতে মাতৃভাষার প্রতি কবির গভীর অনুরাগ প্রকাশিত হয়েছে । 

উত্তরঃ ইচ্ছাই কাজের মূল প্রেরণা । মানুষের কাজের আগ্রহ ইচ্ছার উপরে নির্ভর করে । পৃথিবীতে আমরা যে কোনো কাজই করতে যাই না কেন , তাতে কিছু না কিছু বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয় । সেইসব অসুবিধা ও বাধা পেরিয়ে যেতে হলে প্রবল ইচ্ছাশক্তির দরকার । এই ইচ্ছাশক্তির বলে সবরকম অসুবিধা অতিক্রম করা যায় এবং অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করা যায় । ইচ্ছাশক্তির অভাবে মানুষ দুঃখের বোঝা বয়ে মরে , দুর্দশার পঙ্কে নিমজ্জিত হয়ে অশেষ কষ্ট ভোগ করে । 

মানুষের জীবনে পদে পদে নানারকম বাধা বিঘ্ন । অনেক সময়ই সফল হবার পথটা সহজে চোখে পড়ে না । এ সময় হতাশ হওয়া অনুচিত । মানুষের অন্তরে এমন একটা আশ্চর্য শক্তি নিহিত আছে যার সম্যক অনুশীলন ও ব্যবহার করতে জানলে খুব কঠিন বিষয়ও সহজ হয় । এই শক্তিই হল ইচ্ছাশক্তি । মনের মধ্যে যে সাময়িক বাসনার উদ্রেক হয় তা ক্ষণিকের খেয়াল মাত্র । তা দিয়ে কোনো কাজ সুসম্পন্ন হতে পারে না । কিন্তু প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরে জগতের খুব কঠিন কাজ সহজসাধ্য হতে পারে । দুর্দমনীয় ইচ্ছার বলেই নেপোলিয়ন সমগ্র ইউরোপ শাসন করতে পেরেছিলেন । ইচ্ছাশক্তি কাজে লাগাতে গেলে একাগ্রতা , সহিষ্ণুতা ও অধ্যবসায় আয়ত্ত করতে হয় । ইচ্ছাশক্তি নেই এমন জাতির সাফল্যও সম্ভব হয় না । 

১১। বিভিন্ন ক্ষেত্রে খ্যাতি অর্জন করেছেন সেরকম ব্যক্তির নাম লিখে তালিকাটি পূর্ণ করো : 

উত্তরঃ সাহিত্য : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর , মাইকেল মধুসূদন দত্ত , কাজী নজরুল , বঙ্কিমচন্দ্র , বিদ্যাসাগর , শরৎচন্দ্র , মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় , প্রেমেন্দ মিত্র , কামিনী রায় , বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় , সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত , সুনির্মল বসু , আশাপূর্ণা দেবী , মহাশ্বেতা দেবী , প্রতিভা দেবী , সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। 

গান – বাদ্যযন্ত্র : সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় , গিরিজা দেবী , ফিরোজা বেগম, আঙুরবালা দেবী , কানন দেবী , গীতা দত্ত , সবিতা ব্রত দত্ত , মান্না দে, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় , রাধাকান্ত নন্দী , হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া , সেতার বাদক তেজেন্দ্র নারায়ণ প্রভৃতি । 

ছবি আঁকা : নন্দলাল বসু , রাজা রবি বর্মা , অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর , অমৃতা শেরগিল , যামিনী রায় , এম এফ হুসেন , নিকোলাস রোরিচ , এস এইচ হাজরা , তের মেহতা , সতীশ গুজরাল । 

খেলা : বিরাট কোহলি , শচীন তেণ্ডুলকর , পি ভি সিন্ধু , সাইনা নেহয়াল , সৌরভ গাঙ্গুলি , হিমা দাস , ঝুলন গোস্বামী , মেরি কম , সুনীল ছেত্রী , হরমনপ্রীত কাউর , সৈখম মীরাবাঈ চানু , রোহন বোপান্না , গৌরব বিধুরী , যুবরাজ সিং , কিদান্বী শ্রীকান্ত । 

এসো , জেনে নিই 

মহর্ষি পাণিনি — মহর্ষি পাণিনি ‘ অষ্টাধ্যায়ী ’ নামের সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণ প্রণয়ন করেন । এই ব্যাকরণই বিশ্বের মধ্যে স্বীকৃত প্রথম বিজ্ঞানসম্মত ব্যাকরণে বই । জন ব্যাকাস ( John Backus ) নামে একজন বিজ্ঞানী এই ব্যাকরণ বই – এর ভিত্তিতে সর্বপ্রথমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়ক কম্পিউটারের উপযোগী করে , কৃত্রিত ভাষা প্রযুক্তি নির্মাণ করেন । এই প্রযুক্তিকে ‘ যান্ত্রিক ভাষা ‘ বলা হয় । এই ভাষাটি কম্পিউটার জগতে PBNF ( Panini Backus Normal Form ) নামে পরিচিত । পাণিনির এই অবদানের জন্য সমগ্র বিশ্বা চিরদিন ভারতবর্ষ এর স্কৃত ভাষার কাছে ঋণী হয়ে থাকবে । 

১২। কোনো কোনো মানুষ ভালোভাবে পড়াশোনা করে । ভালো কাজ করে নিজের বংশের সাথে দেশের নামও উজ্জ করেন । তুমি নিজেও তেমন কোনো বড়ো মাপের মানুষ হতে চাইলে কী কী করবে ? 

উত্তরঃ ( ১ ) আমি প্রত্যেকদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে পড়ব । 

( ২ ) নিজের পড়াশোনার প্রতি সামান্যতম অবহেলা করব না । 

( ৩ ) পিতা মাতা ও গুরুজনদের সম্মান শ্রদ্ধা করব। 

( ৪ ) নিজের দেশকে মাতৃতুল্য মনে করব । 

( ৫ ) জাতীয় পতাকাকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করব । 

( ৬ ) পশুপাখিকে ভালবাসব ও যত্ন করব । 

( ৭ ) মিথ্যা কথা না বলার চেষ্টা করব । 

( ৮ ) অযথা অন্যায় আচরণ করব না । অন্যায়ের প্রতিবাদ করব । 

( ৯ ) নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকব । 

( ১০ ) ন্যায়ের পথে চলবার চেষ্টা করব । 

( ১১ ) নিজের ধর্ম ছাড়াও অন্যের ধর্মের প্রতি সহানুভূতিশীল হব । 

( ১২ ) দরিদ্র অসহায় মানুষকে সাহায্য করব । 

( ১৩ ) পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করব ।

( ১৪ ) অন্নহীন অন্ন ও বস্ত্রহীনকে বস্ত্র দান করব । 

( ১৫ ) দেশের কাজে নিজেকে নিয়োজি করব । 

( ১৬ ) বংশ মর্যাদা রক্ষা করবার চেষ্টা করব । 

ঘ ― প্রকল্প 

১৩। প্রত্যেকজন ছাত্র – ছাত্রী নিজের এলাকার সবার পরিচিত একজন দক্ষ ব্যক্তির ( সাহিত্য , গান – বাজনা , সামাজিক কাজ – কর্ম , খেলা ধুলো , নৃত্য , মাটির মূর্তি তৈরি , বাঁশের সামগ্রী তৈরি , কাঠের সামগ্রী তৈরি ইত্যাদি যে কোনো একটি বিষয়ে দক্ষ ব্যক্তি ) বিষয়ে অন্যকে জিজ্ঞেস করে বা নিজে সেই ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে তাঁর বিষয় তথ্য সংগ্রহ করে লিখবে । 

উত্তরঃ নিজে করো । 

১৪। ভবিষ্যতে কে কী হতে চাও এবং কেন হতে চাও – সে বিষয়ে লেখো। 

উত্তরঃ নিজে করো । 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ 

১। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তরঃ  

( ক ) আনন্দরাম বরুয়া কোন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়া আই. সি. এস. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন । 

( খ ) কোন ঘটনা নিয়ে বিলেতের পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল ? 

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়া আই. সি. এস. পরীক্ষায় সুখ্যাতির সাথে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও স্বীকৃতি পাচ্ছিলেন না । কারণ এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য যে ন্যূনতম বয়সের প্রয়োজন সেই বয়স আনন্দরাম বরুয়ার ছিল না । এই ঘটনা নিয়ে বিলেতের পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল । 

( গ ) ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সম্মানীয় সদস্যের নাম কী ? 

উত্তরঃ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সম্মানীয় সদস্যের নাম মিস্টার গ্র্যান্ট ডাফে। 

( ঘ ) আনন্দরাম বরুয়া আই. সি. এস. পরীক্ষায় কোন সম্মান অধিকার করেছিলেন ? 

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়া আই. সি. এস. পরীক্ষায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছিলেন । 

( ঙ ) আনন্দরাম বরুয়া কোন বংশের নাম উজ্জ করেছেন ? 

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়া উত্তর গুয়াহাটির মজিন্দার বরুয়া বংশের সঙ্গে সঙ্গে কামরূপ তথা সারা অসমের নাম উজ্জ্বল করেছেন । 

( চ ) আনন্দরাম প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে কী পেয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ আনন্দরাম প্রেসিডেন্সী কলেজে এফ. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গণিতে সর্বোচ্চ নম্বর সহ ‘ ডাফ স্কলারশিপ ’ পেয়েছিলেন । 

( ছ ) সেই সময় ভারতবর্ষে ইংরেজ সরকার কী করেছিল ? 

উত্তরঃ সেই সময় ভারতবর্ষে ইংরেজ সরকার ছাত্রদের উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ দিয়ে বিলেতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল । 

( জ ) আনন্দরাম কোথায় ব্যারিস্টারী পড়তে গিয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ আনন্দরাম লণ্ডনে ব্যারিস্টারী পড়তে গিয়েছিলেন । 

( ঝ ) আনন্দরাম বরুয়ার কর্মজীবন সম্পর্কে লেখো । 

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়া লণ্ডন থেকে ব্যারিস্টারী পড়ে এসে সর্বপ্রথম শিবসাগর জেলায় সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন । তারপর তিনি ময়মনসিংহ জেলার সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টর হিসেবে যোগ দেন । এভাবে বিভিন্ন জেলায় উচ্চপদস্থ কর্মচারী হিসেবে কার্যনির্বাহ করেন এবং ১৮৮৪ সালে নিযুক্ত হন । নোয়াখালিতে জেলার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিযুক্ত হন । নোয়াখালিতে থাকার সময় তিনি বাংলায় উন্নয়নমূলক কাজ করার সাথে সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু করেন । অসমের মতো বাংলাতেও অঞ্চলভেদে ভাষার ভিন্নতা ছিল।এই ভিন্নতা দূর করার জন্য বঙ্গদেশের ভাষাবিদগণ মান্য ভাষাতে একটি অভিধানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন । তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি হাতে নিয়ে শেষ করতে পারেন নি । 

তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্য , আকষণনীয় ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ নোয়াখালির জনগণকে মুগ্ধ করেছিল । নোয়াখালিতে তার নামে স্কুল , বাজার স্থাপন , পুকুর খনন ইত্যাদি কাজ তার জনপ্রিয়তার প্রমাণ।সে সময়েই আনন্দরাম বরুয়া স্ত্রী শিক্ষা প্রসারের জন্য নোয়াখালিতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন । 

সংস্কৃত ভাষার অমৃত মন্থনই তার জীবনের একক ব্রত । তিনি সমগ্র বিশ্বে ভারতীয় ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতির সৌরভ ও গৌরব বিতরণ করতে চেয়েছিলেন । এই উদ্দেশ্যেই তিনি প্রাচীন ভাষা সাহিত্যের পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন । 

( ঞ ) আনন্দরাম বরুয়ার রচিত কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো । 

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়ার রচিত কয়েকটি গ্রন্থ হল – ব্যবহারোপযোগী ইংরাজির সংস্কৃত অভিধান , উচ্চ সংস্কৃত ব্যাকরণ , সংস্কৃত শিক্ষার্থী সহচর , সরস্বতী কণ্ঠাভরণ ইত্যাদি। 

( ট ) প্রখ্যাত কবি ম্যাকমিলান আনন্দরাম বরুয়া সম্পর্কে কী বলেছিলেন ? 

উত্তরঃ প্রখ্যাত কবি ম্যাকমিলান আনন্দরাম বরুয়া সম্পর্কে বলেছিলেন — “ একটি নাম আছে যার স্পর্শে সকাল থেকে সন্ধ্যা , সন্ধ্যা থেকে সকাল আমি স্থির হয়ে থাকতে পারি না । সেটি ঝরনার কুলু কুলু ধবনি নয় , অথবা হেমন্ত ঋতুতে গাছের পাতায় বাতাসের মৃদু হিন্দোলও নয় , এটি কোনো লাবণ্যময়ী যুবতীর নামও নয় , অথবা মাঝরাতে অমৃত বর্ষণকারী বুলবুলের ধ্বনিতেও এই নাম নেই । এই নামটি কারও নয় – নামটি হল কিছুদিন আগে আই. সি. এস. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ “ আনন্দরাম বরুয়ার ” । 

( ঠ ) আনন্দরাম বরুয়া কবে মৃত্যুবরণ করেন ? 

উত্তরঃ আনন্দরাম বরুয়া ১৮৮৯ সালের ১৯ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন । 

ব্যাকরণ 

১। চিঠি লেখো – নতুন ক্লাসে ওঠার আনন্দে বোনকে চিঠি । 

উত্তরঃ 

কল্যাণীয়াসু , 

নীলু , স্নেহাশিস জেনো । মা ও বাবাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানিয়ো বাড়ি ছেড়ে আট দিন হল এসেছি । আশা করেছিলাম তোমার কাঁচা হাতের লেখা একটা ছোট্ট চিঠি নিশ্চয়ই আমার খোঁজে ছুটে আসবে । কিন্তু কই ? খুব হতাশ হয়েছি । 

জানো , নতুন ক্লাসের নতুন দিনগুলো খুশির জোয়ারে ভেসে চলেছে । ভাবতে ভালো লাগে নতুন বইগুলো কী মসৃণ আর আকর্ষণীয় । আমার এখন বড্ড কাজ । বইগুলোতে মলাট লাগাতে সময় চলে যাচ্ছে তর্ তর্ করে । তারপর মলাটের উপর যত্ন করে বই আর নিজের নাম লিখতে গিয়ে দু একবার অনিচ্ছাকৃত সাধারণ ভুলগুলো এমনভাবে বিরক্ত করছে যে সে কথা লিখতে ইচ্ছা করে না । তবে নতুন ক্লাসে উঠে প্রত্যেক মাস্টার মশাইয়ের বক্তব্যের মধ্যে সুন্দর এক আশ্বাসের ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি । পরম যত্নে তাঁরা আমাদের সাহায্য করছেন । আমারও খুব ভালো লাগছে । তোমার কাছে শুনেছি এবারে দ্বিতীয় হয়ে নতুন ক্লাসে উঠেছি বলে মা আক্ষেপ করেছেন । তুমি দেখো এবছর তুমি আমি নিশ্চয়ই প্রথম হয়ে মায়ের দুঃখ দূর করব । 

কয়েকটা দিন পরেই তো গ্রীষ্মের ছুটি । কী মজা ! বাবা বলেছেন এবারে আমরা সবাই মামার বাড়ি যাব । ঐ সময় নাকি ছোটমামা দার্জিলিং থেকে ফিরবেন । মামার মুখে প্রাণভরে হিমালয়ের গল্প শুনব । শুনব টাইগার হিল কাঞ্চনজঙ্ঘা ও ট্রয় ট্রেনের কাহিনী । মাকে বোলো অমু ভালো আছে । তোমাদের কথা খুব মনে পড়ছে । চিঠি দিও স্নেহাশিস নিও । 

ইতি ―

তোমার ছোড়দা 

অমূর্ত 

২। প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ 

উত্তরঃ 

অনু – পশ্চাৎ 

অনু – পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ 

অন্য – অপব 

অন্ন – ভাঙ 

অর্ঘ – মূল্য 

অর্ঘ্য – পূজার উপচার 

অঘ্রাণ – মাস বিশেষ 

আঘ্রাণ – গন্ধগ্রহণ 

আয়ত্ত – অধিকৃত 

আয়ত – বিস্তৃত

উদ্যত – প্রবৃত্ত 

উদ্ধত – অবিনীত 

ওষধি – ফল পাকলে যে গাছ মরে যায় 

ঔষধি – যে গাছগাছড়া থেকে ঔষধ তৈরী হয় 

কুল – বংশ সমূহ ফলবিশেষ 

কূল – নদীতীর 

গিরিশ – মহাদেব 

গিরীশ – হিমালয় 

চিত্ত – মন 

চিত্র – ছবি 

দিনেশ – সূর্য 

দীনেশ – দরিদ্রের বন্ধু / ভগবান 

ধনী – ধনশালী 

ধ্বনি – শব্দ 

নীর – জল 

নীড় – পাখির বাসা 

নিরত – নিযুক্ত 

নীরত – বিরত 

পাণি – জল 

পানি – হাত 

বান – তির 

বাণ – বন্যা 

মতি – বুদ্ধি 

মোতি – মুক্তা 

মূক – বোবা 

মুখ – বদন

লক্ষ – সংখ্যা বিশেষ 

লক্ষ্য – দৃষ্টি 

শূর – বীর 

সুর – দেবতা 

জ্বালা – যন্ত্রণা 

জালা – মাটির পাত্র বিশেষ 

দার – পত্নী 

দ্বার – দরজা 

শীল – স্বভাব 

সিল – নামমুদ্রা , মৎস্যবিশেষ 

সর্গ – কাব্যের অধ্যায় 

স্বৰ্গ – দেবলোক 

৩। পদ পরিবর্তন 

উত্তরঃ 

বিশেষ্য                     বিশেষণ
অক্ষরআক্ষরিক
অনুমানআনুমাণিক
অন্তরআন্তরিক
অভ্যাসঅভ্যস্ত
আশঙ্কাআশঙ্কিত
আলোচনাআলোচিত
ইতিহাসঐতিহাসিক
ঈশ্বরঐশ্বরিক
উন্নয়নউন্নীত
উপকারউপকৃত
কল্পনাকাল্পনিক
ঐক্যএক
কায়কায়িক
ক্রোধক্রুদ্ধ
খেয়ালখেয়ালি
গাছগেছো
ঘাঘেয়ো
চিত্ৰচিত্রিত
চাপল্যচপল
বিশ্বাসবিশ্বস্ত
ভূগোলভৌগোলিক
মায়ামায়াবী
মুখমৌখিক
মোগলমোগলাই
যোগযৌগিক
আকাশআকাশি
আলসেমিআলসে
আদেশআদিষ্ট
আরম্ভআরব্ধ
চূর্ণচূর্ণিত
চোরচোরাই
জলজলীয়
জীবনজীবিত
ঝঙ্কারঝঙ্কৃত
কুধাক্ষুধিত
দীপদীপ্ত
দেহদৈহিক
নগরনাগরিক
পরীক্ষাপরীক্ষিত
পানপানীয়
পেটপেটুক
ফেনফেনিল
বন্দনাবন্দিত
রেশমরেশমি
রোগরোগা,রোগাটে
শরীরশারিরীক
সমুদ্রসামুদ্রিক
সোনাসোনালী
হেমন্তহৈমন্তিক
অধ্যয়নঅধীত
অনুষ্ঠানঅনুষ্ঠিত,আনুষ্ঠানিক
অংশআংশিক
অরণ্যআরণ্য
আশ্রয়আশ্রিত
ইচ্ছাঐচ্ছিক

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top