SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 15 নতুন ভাবের অভ্যুদয়

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 15 নতুন ভাবের অভ্যুদয় Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Question Answer is made for Assam Seba Board students. SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 15 নতুন ভাবের অভ্যুদয় We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 15 নতুন ভাবের অভ্যুদয়

SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 15 নতুন ভাবের অভ্যুদয় Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 6 Social Science Suggestion in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Question Answer in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Notes in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Solution in Bengali, SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 15 নতুন ভাবের অভ্যুদয় ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সাজেশন, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সমাধান, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বই প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের PDF, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বাংলা প্রশ্নোত্তর Question Answer absolutely free of cost. SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 15 নতুন ভাবের অভ্যুদয় If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

নতুন ভাবের অভ্যুদয়

ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য )

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। উত্তর লেখাে।

(ক) কী কী কারণে পরবর্তী বৈদিক যুগে ভারতীয় মানুষের মনে নতুন ভাবধারা গড়ে ওঠে ?

উত্তরঃ মহাজনপদ যুগের দিনে রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ও আধ্যাত্মিক দিকের পরিবর্তনের ফলে পরবর্তী বৈদিকযুগে ভারতীয় মানুষের মনে নতুন ভাবধারা গড়ে উঠেছিল।

(খ) জৈনধর্মের মূল নীতিশিক্ষা কটি ও কী কী ?

উত্তরঃ জৈন ধর্মের মূল নীতিশিক্ষাসমূহ হল- অহিংসা, সত্যবাদিতা, চরি না করা, ত্যাগ ও ব্রহ্মচর্য।

(গ) জৈনধর্ম ভারতবর্যের কোন্ কোন্ অঞ্চলে বিস্তৃত হয়েছিল ?

উত্তরঃ কোশল, মগধ, মিথিলা, বিদেহ, অঙ্গ ইত্যাদি রাজ্যে।

(ঘ) গৌতমবুদ্ধের ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার প্রধান কারণ কী ছিল ?

উত্তরঃ গৌতম বুদ্ধ বাল্যকাল থেকেই চিন্তাশীল ছিলেন। লালসা-বিলাস, সুখ সম্ভোগ তাকে সুখী করতে পারেনি। কাজেই তিনি সুখ-শান্তির উপায় খুঁজে বেড়ানাের জন্য ধর্মের প্রতি আগ্রহী হন।

S.L. No.সূচিপত্র
পাঠভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী )
পাঠ-১সৌরজগতে আমাদের পৃথিবী
পাঠ -২পৃথিবীর আকার ও আকৃতি
পাঠ -৩পৃথিবীর গতি
পাঠ -৪পৃথিবীর প্রধান মণ্ডলসমূহ
পাঠ -৫ভূগোল অধ্যয়নের উপকরণ- মানচিত্র
পাঠ -৬পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব
পাঠ -৭অসম: জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি
পাঠ -৮আমাদের ভারতবর্ষ
পাঠ ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য )
পাঠ – ৯কী, কোথায়, কখন ও কিভাবে
পাঠ -১০আদি প্রস্তর যুগ
পাঠ -১১আদিম মানুষের জীবিকা ও স্থায়ী বসবাস (নব্য প্রস্তর যুগ)
পাঠ -১২প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা
পাঠ -১৩বৈদিক সভ্যতা
পাঠ -১৪মহাজনপদ
পাঠ -১৫নতুন ভাবের অভ্যুদয়
পাঠ -১৬মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র
পাঠ অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড
(আমাদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন)
পাঠ -১৭আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ
পাঠ -১৮উন্নত জীবনের প্রয়োজনসমূহ
পাঠ -১৯জীবন ধারণের মান উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২০কৃষি, শিল্পোদ্যোগ এবং সেবাখণ্ডে প্রযুক্তির প্রভাব
পাঠ -২১সরকারের ধারণা ও বিভিন্ন ধরনের সরকার
পাঠ -২২গণতন্ত্র এবং এর নীতিসমূহ
পাঠ -২৩কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার
পাঠ -২৪স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা

(ঙ) কিসের উপর ভিত্তি করে বৌদ্ধ মতবাদ গড়ে ওঠে ?

উত্তরঃ জীবের প্রতি দয়া, অহিংসা এবং সমাজের ভেদাভেদ ভুলে এক শুদ্ধ জীবন যাপন করাই ছিল বৌদ্ধ মতবাদের ভিত্তি।

(চ) বৌদ্ধ বিহারের কাজ কী ছিল ?

উত্তরঃ ধর্মের কথা বা মতবাদসমূহ প্রচার করার জন্য বৌদ্ধ সংঘ ও বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।

(ছ) পরবর্তীকালে রাজাগণ বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন ?

উত্তরঃ পরবর্তীকালে রাজারা বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য বিভিন্ন স্থানে বৌদ্ধ মঠ-মন্দির নির্মাণ করা ছাড়াও এগুলােতে বুদ্ধের বাণী ও বৌদ্ধ চিত্র-শিল্প অংকিত করেছিল।

প্রশ্ন ২। সত্যাসত্য নিরূপণ করাে-

(ক) জৈনধর্ম কর্মফল ও পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে।

উত্তরঃ সত্য।

(খ) বুদ্ধদেব পশুবলির ওপর গুরুত্ব বেশি দিয়েছিলেন।

উত্তরঃ অসত্য।

(গ) বুদ্ধদেব সারনাথে দিব্যজ্ঞান লাভ করেন।

উত্তরঃ অসত্য।

(ঘ) বৌদ্ধ সংঘগুলােতে বুদ্ধের বাণী চর্চা করা হত।

উত্তরঃ সত্য।

(ঙ) সব বয়সের মানুষ সংঘের সদস্য হতে পারত।

উত্তরঃ অসত্য।

প্রশ্ন ৩। সংক্ষেপে উত্তর দাও-

(ক) ক্ষত্রিয়গণ ব্রাহ্মণের সমমর্যাদা কীজন্য দাবি করেছিল ?

উত্তরঃ আর্যদের প্রবল বর্ণভেদ প্রথার ফলে ক্ষত্রিয়দের অপেক্ষা ব্রাহ্মণদের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু কালক্রমে ক্ষত্রিয় রাজারা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রে ক্রমে শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল। কাজেই রাজারা ব্রাহ্মণের সমমর্যাদা দাবী করেছিল।

(খ) মহাবীর কীজন্য ‘জিন’ উপাধি পেয়েছিলেন ?

উত্তরঃ মহাবীর ইন্দ্রিয় জয় করেছিলেন বলে তিনি জিন উপাধি পেয়েছিলেন।

(গ) জৈনধর্মের দুটি ভাগের নাম কী কী ?

উত্তরঃ দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর।

(ঘ) বুদ্ধদেব প্রথম কোথায় ধর্ম প্রচার করেছিলেন ?

উত্তরঃ সারনাথে।

(ঙ) বৌদ্ধধর্মের মূল মতবাদ কী ছিল ?

উত্তরঃ বৌদ্ধ ধর্মের মূল মতবাদগুলাে হল, একটি ভাল জীবন যাপন করার জন্য বলিবিধান বা যাগ-যজ্ঞের প্রয়ােজন নেই। জাতিভেদ প্রথারও কোন প্রয়ােজন নেই। সৎ পথে থেকে এক সহজ-সরল জীবন যাপনেই মানুষ সুখ শান্তি লাভ করে। হিংসা-বিদ্বেষ, ব্যাভিচার, মদ্যপান এবং মিথ্যা কথা বলার থেকে দূরে থাকতে হবে। এছাড়া অষ্টাঙ্গিক মার্গের কথাও তিনি বলেছেন।

প্রশ্ন ৪। বৌদ্ধধর্ম এবং জৈনধর্মের মধ্যে সাদৃশ্যের একটি তালিকা প্রস্তুত করাে।

উত্তরঃ (ক) বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্ম উভয়েই অহিংসাতে বিশ্বাসী।

(খ) বলিবিধান ও যাগযজ্ঞের কোন প্রয়ােজন নেই।

(গ) বৌদ্ধ ধর্মের দুটো ভাগ ছিল- হীনযান ও মহাযান। জৈনধর্মেরও দুটো ভাগ ছিল- দিগম্বর ও শ্বেতাম্বর।

(ঘ) জাতিভেদের কোন স্থান ছিল না।

(ঙ) উভয় ধর্মেই সত্যবাদিতা স্থান পেয়েছিল।

(চ) উভয় ধর্মেই সৎকর্মের কথা বলা হয়েছে।

(ছ) উভয় ধর্মই পুনর্জন্ম ও কর্মফলে বিশ্বাসী।

প্রশ্ন ৫। ‘ক’ অংশের সঙ্গে ‘খ’ অংশ মেলাওখ অংশ।

ক অংশ খ অংশ
(ক) ত্রিপিটকবৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ।
(খ) কুশীনারাপ্রাকৃত ভাষার কাব্য।
(গ) কৈবল্যমহাবীরের জন্মস্থান।
(ঘ) কুন্দপুরজৈন ধর্মগ্রন্থ।
(ঙ) পূর্ববুদ্ধদেবের জন্মস্থান। তপস্যার শেষে মহাবীর লাভ করেছিলেন।বুদ্ধদেবের মহাপরিনির্বাণের স্থান।

উত্তরঃ 

ক অংশ খ অংশ
(ক) ত্রিপিটকবৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ।
(খ) কুশীনারাবুদ্ধদেবের মহাপরিনির্বাণের স্থান।
(গ) কৈবল্যতপস্যার শেষে মহাবীর লাভ করেছিলেন।
(ঘ) কুন্দপুরমহাবীরের জন্মস্থান।
(ঙ) পূর্বজৈন ধর্মগ্রন্থ।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। ভারতের বাইরে দুজন ধর্মপ্রচারকের নাম লেখ।

উত্তরঃ চীনের কনফুসিয়াস এবং পারস্যের জোরষ্টার।

প্রশ্ন ২। ভারতে সামাজিকভাবে যে নীতি-নিয়ম ও রীতিনীতি প্রচলিত ছিল তাকে নিয়ে সমাজে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল কেন ?

উত্তরঃ সংঘাত সৃষ্টি হবার কারণগুলাে হল-

(ক) আর্য সকলের প্রবল বর্ণভেদ ক্ষত্রিয়দের থেকে ব্রাহ্মণদের মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছিল। ক্ষত্রিয় রাজারা শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল এবং রাজারা ব্রাহ্মণের সম-মর্যাদা দাবী করেছিল। এর ফলে ব্রাহ্মণ ও ক্ষত্রিয়দের মধ্যে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল।

(খ) বৈদিক যুগের শেষে আর্যদের মধ্যে যাগ – যজ্ঞ, পূজা-পাঠ, দান-দক্ষিণা, বলিবিধান ইত্যাদি বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়াও এ সমস্ত অধিক জটিল হয়েছিল। এর ফলস্বরূপ মানুয় অসন্তুষ্ট হয়ে উঠেছিল। এই জটিলতার পরিবর্তে এরা সহজ সরল উপায়ে ধার্মিক জীবন যাপন করাটাই চিন্তা করে।

(গ) আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে নগর-শহরের বিস্তার, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিস্তার, নানা ধরনের কারিগরী লােকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সমাজের নতুন চিন্তাধারা এনে দিয়েছিল। প্রচলিত ধর্মীয় রীতি-নীতি জাতিভেদ প্রথা ইত্যাদির প্রতি জনসাধারণের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। কিছু সংখ্যক নতুন মতবাদ, ধর্মীয় চিন্তা-চৰ্চা সৃষ্টি হতে আরম্ভ করেছিল। সমাজের জটিল ব্যবস্থার পরিবর্তে সরল, আধ্যাত্মিক ও নৈতিকতার সাধারণ মানুষ নতুন ভাবধারার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। এর ফলে নতুন ভাবে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছিল।

প্রশ্ন ৩। ক্ষত্রিয়কূলে জন্ম হওয়া দুজন মনীষীর নাম লেখ।

উত্তরঃ জৈনধর্মের প্রবর্তক বর্ধমান মহাবীর এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ।

প্রশ্ন ৪। জৈন প্রবাদমতে কতজন তীর্থংকর বা ধর্মপ্রচারক ছিল ?

উত্তরঃ ২৪ জন।

প্রশ্ন ৫। প্রথম তীর্থংকরের নাম কি ছিল ?

উত্তরঃ ঋষভ।

প্রশ্ন ৬। শেষ তীর্থংকরের নাম কি ছিল ?

উত্তরঃ বৰ্দ্ধমান মহাবীর।

প্রশ্ন ৭। বর্ধমান মহাবীরের অনুগামীদের কি বলা হয় ?

উত্তরঃ জৈনধর্মী।

প্রশ্ন ৮। বদ্ধমান মহাবীরের পূর্ব পরিচয় কি ?

উত্তরঃ বর্ধমান মহাবীর কুন্দপুর নামক একটি স্থানের একজন ক্ষত্রিয়গােষ্ঠীর দলপতির পুত্র ছিল।

প্রশ্ন ৯। কুন্দপুর কোন্ সংঘরাজ্যের অন্তর্গত ছিল ?

উত্তরঃ লিচ্ছবীর অন্তর্গত।

প্রশ্ন ১০। কত বৎসর বয়সে মহাবীর গৃহত্যাগ করেছিলেন ?

উত্তরঃ ৩০ বৎসর বয়সে।

প্রশ্ন ১১। মহাবীর কত বৎসর কঠোর তপস্যায় নিমগ্ন ছিলেন ?

উত্তরঃ ১২ বৎসর।

প্রশ্ন ১২। তপস্যার অন্তে মহাবীর কি লাভ করেছিলেন ?

উত্তরঃ কৈবল্য বা আত্মজ্ঞান।

প্রশ্ন ১৩। অন্য কি নামে মহাবীর জ্ঞাত ছিলেন ?

উত্তরঃ জিতেন্দ্রিয়।

প্রশ্ন ১৪। মহাবীর কত বৎসর বয়সে ধর্মপ্রচার করেছিলেন ?

উত্তরঃ ৩০ বৎসর।

প্রশ্ন ১৫। মহাবীর কোন্ কোন্ স্থানে ধর্মপ্রচার করেছিলেন ?

উত্তরঃ মহাবীর কোশল, মগধ, মিথিলা, বিদেহ, অংগ ইত্যাদি স্থানে জৈন ধর্মপ্রচার করেছিলেন।

প্রশ্ন ১৬। কত বৎসর মহাবীর ইহলীলা ত্যাগ করেছিলেন ?

উত্তরঃ ৭২ বৎসর বয়সে।

প্রশ্ন ১৭। জৈন ধর্মের নীতি-শিক্ষাগুলাে কি কি ?

উত্তরঃ অহিংসা, সত্যবাদিতা, চুরি না করা, ত্যাগ ও ব্রহ্মচর্য।

প্রশ্ন ১৮। জৈন ধর্মমতে কোন তিনটি নীতি মেনে চললে আত্মা পুনর্জন্মের কষ্ট থেকে রেহাই পায় ?

উত্তরঃ সকর্ম, সজ্ঞান এবং সত্ব্যবহার।

প্রশ্ন ১৯। জৈন ধর্মমতে মানব জীবনের মূলনীতি কি ?

উত্তরঃ অহিংসা।

প্রশ্ন ২০। জৈন ধর্মে কয়েকটি নিষিদ্ধ জিনিসের নাম লেখ।

উত্তরঃ যাগ-যজ্ঞ, জাতিভেদ ও বলিবিধান।

প্রশ্ন ২১। জৈন ধর্মাবলম্বী লােকেরা সাধারণত কিভাবে জীবিকা নির্বাহ করে ?

উত্তরঃ ব্যবসা-বাণিজ্য করে।

প্রশ্ন ২২। জৈনধর্ম ভারতের কোন্ কোন্ স্থানে বিস্তৃতি লাভ করেছিল ?

উত্তরঃ জৈন ধর্ম ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিশেষত উত্তর ভারত, গুজরাট, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ইত্যাদি স্থানে বিস্তৃতি লাভ করেছিল।

প্রশ্ন ২৩। মহাবীরের বাণীগুলাে সর্বসাধারণের বােঝার জন্য কি ভাষাতে লেখা হয়েছিল ?

উত্তরঃ পালি ভাষাতে।

প্রশ্ন ২৪। গৌতম বুদ্ধের জন্ম কোথায় হয়েছিল ?

উত্তরঃ কপিলাবস্তু নামক স্থানে।

প্রশ্ন ২৫। গৌতম বুদ্ধের বাল্যকালের নাম কি ছিল ?

উত্তরঃ সিদ্ধার্থ।

প্রশ্ন ২৬। কত বৎসর বয়সে গৌতম বুদ্ধ গৃহত্যাগ করেছিলেন ?

উত্তরঃ ২৯ বৎসর বয়সে।

প্রশ্ন ২৭। গৌতম বুদ্ধ কোথায় দিব্যজ্ঞান লাভ করেছিলেন ?

উত্তরঃ বােধগয়া নামক স্থানে।

প্রশ্ন ২৮। বুদ্ধ শব্দের অর্থ কি ?

উত্তরঃ পরম জ্ঞানী।

প্রশ্ন ২৯। বৌদ্ধ মতবাদসমূহ অনুসরণ করা লােকদের কি বলে ?

উত্তরঃ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী।

প্রশ্ন ৩০। বুদ্ধদেবের পিতার নাম ও মাতার নাম কি ছিল ?

উত্তরঃ পিতার নাম শুদ্ধোদন ও মাতার নাম মায়াদেবী।

প্রশ্ন ৩১। গৌতম বুদ্ধের পত্নীর নাম কি ছিল ?

উত্তরঃ গােপা বা যশােধরা।

প্রশ্ন ৩২। গৌতম বুদ্ধ কোন্ বৃক্ষের নীচে দিব্যজ্ঞান লাভ করেছিলেন ?

উত্তরঃ বােধিম বৃক্ষ।

প্রশ্ন ৩৩। গৌতম বুদ্ধ কোথায় এবং কত বৎসর বয়সে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন ?

উত্তরঃ ৮০ বৎসর বয়সে কুশী, বা কুশীনারা নামক স্থানে।

প্রশ্ন ৩৪। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমার দিনটিকে সারা বিশ্ব বুদ্ধপূর্ণিমা হিসেবে পালন করে কে ?

উত্তরঃ এই দিনটিতে গৌতম বুদ্ধ জন্ম, বুদ্ধত্বপ্রাপ্তি এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন।

প্রশ্ন ৩৫। মহাবীরের বাণীসমূহ কয়টি খণ্ডে সংগৃহীত করা হয়েছিল ?

উত্তরঃ ১৪টি।

প্রশ্ন ৩৬। বৌদ্ধ ধর্মের মতে চারটি মহৎ সত্য কি কি ছিল ?

উত্তরঃ (ক) পৃথিবীটি দুঃখময়।

(খ) মানুষের আশা-আকাঙক্ষার থেকে দুঃখের উৎপত্তি হয়।

(গ) আশা-আকাঙক্ষাকে দমন করলে মুক্তি লাভ হয়। 

(ঘ) সেই মুক্তির জন্য অষ্টাঙ্গিক মার্গ অনুসরণ করা প্রয়ােজন।

প্রশ্ন ৩৭। অষ্টাঙ্গিক মার্গ বা আটটি পথ কি কি ?

উত্তরঃ অষ্টাঙ্গিক মার্গগুলাে হল-

১। সৎচিন্তা।

২। সৎ সিদ্ধান্ত।

৩। সৎ বাক্য।

৪। সৎ আচরণ। 

৫। সৎ কর্ম।

৬। সৎ চেষ্টা। 

৭। সং স্মৃতি।

৮। সৎ ধ্যান।

প্রশ্ন ৩৮। বৌদ্ধ ধর্মপুঁথি বা ধর্মগ্রন্থের নাম কি ?

উত্তরঃ ত্রিপিটক।

প্রশ্ন ৩৯। কোন্ তিনটি গ্রন্থকে নিয়ে ত্রিপিটক রচিত হয়েছিল?

উত্তরঃ বিনয় পিটক, সুত্ত পিটক এবং অভিধম্ম পিটক।

প্রশ্ন ৪০। বুদ্ধদেব, সর্বপ্রথম কত জন লােককে তার মতবাদ শুনিয়েছিলেন ?

উত্তরঃ ৫ জনকে।

প্রশ্ন ৪৬। বৌদ্ধ মন্দিরগুলােকে কি বলা হত ?

উত্তরঃ বৌদ্ধ সংঘ বা বৌদ্ধ বিহার।

প্রশ্ন ৪৭। বৌদ্ধ মতবাদে দীক্ষিত হতে হলে কোটি মন্ত্র উচ্চারণ করতে হত ?

উত্তরঃ ১। বুদ্ধং শরণম গচ্ছামি। 

২। সঙঘং শরণম্ গচ্ছমি।

৩। ধর্মং শরণম্ গচ্ছামি।

প্রশ্ন ৪৮। কয়েকটি বড় বড় বৌদ্ধ বিহারের নাম লেখ।

উত্তরঃ নালন্দা, তক্ষশিলা, বিক্রমশিলা, উদন্তপুর ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪৯। পরবর্তীকালে কোন্ কোন্ রাজা বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপােষকতা করেছিলেন ?

উত্তরঃ বিম্বিসার, অশােক, কনিষ্ক, হর্ষবর্ধন ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৫০। ভারতের বাইরে কোন্ কোন্ দেশে বৌদ্ধধর্ম প্রচারিত হয়েছিল ?

উত্তরঃ চীন, জাপান, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যাণ্ড, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৫১। অসমের কোন কোন জনগােষ্ঠীর মধ্যে বৌদ্ধ ধর্ম এখনও দেখা যায় ?

উত্তরঃ শ্যাম, আইতনীয়া, চিংফো, খামাত ও ফাকিয়াল ইত্যাদি জনগােষ্ঠীর মধ্যে।

প্রশ্ন ৫২। শূন্যস্থান পূরণ কর।

(ক) সুদীর্ঘ __________ বৎসর তপস্যা অন্তে মহাবীর কৈবল্য অর্থাৎ জ্ঞানের মুক্তির সন্ধান পেয়েছিল ?

উত্তরঃ বার।

(খ) জৈনধর্মের দুটো শাখা __________ ও __________।

উত্তরঃ দিগম্বর, শ্বেতাম্বর।

(গ) গৌতম বুদ্ধ বােধগয়াতে __________ লাভ করেছিলেন।

উত্তরঃ দিব্যজ্ঞান।

(গ) বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থের নাম __________।

উত্তরঃ ত্রিপিটক।

(ঘ) বৌদ্ধ ধর্মের উপাসক সকল দুটো ভাগে বিভক্ত ছিল __________ ও __________।

উত্তরঃ হীনযান, মহাযান।

(ঙ) বুদ্ধদেব তাঁর মতবাদসমূহ বারাণসীর নিকট __________ প্রচার করেন।

উত্তরঃ সারনাথে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top