SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি Suggestions with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি Notes. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 3 অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি 

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক 

প্রশ্ন ১। পাঠটি মনোযোগ সহকারে পড়ো এবং নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তর বলো ও লেখো । 

( ক ) জন্মসূত্রে অ্যান ফ্রাঙ্ক কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল ? 

উত্তরঃ জন্মসূত্রে অ্যান ফ্রাঙ্ক ইহুদি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল । 

( খ ) অ্যান ফ্রাঙ্কের পিতা – মাতার নাম কী ? 

উত্তরঃ অ্যান ফ্রাঙ্কের পিতা – মাতার নাম ওট্টো এবং এডিথ ফ্রাঙ্ক । 

( গ ) নাজি বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে অ্যানের পিতা কোথা থেকে কোথায় গিয়েছিলেন ? 

উত্তরঃ নাজি বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে অ্যানের পিতা ১৯৩৩ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট ছেড়ে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে চলে যান।

( ঘ ) তিনি কোথায় আত্মগোপন করেছিলেন ? কেন ? 

উত্তরঃ আমষ্টারডামেও অ্যানের পরিবারের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে । ওট্টো এদেশ ছেড়ে অন্য কোনো দেশে পালাতে চাইলেন কিন্তু সীমান্ত বন্ধ। সমূহ বিপদের সম্ভাবনা ও জীবন সংশয় দেখে ১৯৪২ সালের ৫ ই জুলাই তাঁরই কার্যালয়ের ওপরতলার এক ছোট্টো গোপন কক্ষে আত্মগোপন করেন । 

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

( ঙ ) অ্যান ফ্রাঙ্ক কোন তারিখ থেকে কোন তারিখ পর্যন্ত ডায়েরি লিখেছিল ? 

উত্তরঃ অ্যান ফ্রাঙ্ক ১৯৪২ সালের ১২ জুন থেকে ১৯৪৪ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত ডায়েরি লিখেছিল। 

( চ ) অ্যান কেন ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিল ? 

উত্তরঃ নিজের ব্যক্তিত্বের পর্যালোচনা , এবং নিজেকে আরও ভালো করে গড়ে তোলার সংকল্প এবং কিশোরী মনের অনুভূতির বিকাশ ইত্যাদির জন্য ডায়েরি লিখতে শুরু করেছিল । 

( ছ ) কেন অ্যান তার ডায়েরি সম্পাদনা করেছিল ? 

উত্তরঃ অ্যান প্রথমে ডায়েরি শুধু নিজের জন্যই লিখত , কিন্তু ১৯৪৪ সালের মার্চ মাসে নির্বাসিত নেদারল্যান্ড সরকারের এক সদস্যের রেডিয়ো সম্প্রচার শুনে অ্যান ডায়েরি লেখার ধরন পরিবর্তন করেছিল। উক্ত সম্প্রচারে ঘোষণা করা হয়েছিল , যে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর জার্মান অধিগৃহীত অঞ্চলে যেসব নেদারল্যান্ডবাসী যুদ্ধের সময় দুঃখ কষ্ট ভোগ করছেন , তাঁদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে এবং সেগুলো জন সাধারণের জন্য প্রচার করা হবে । সেজন্য অ্যান তার ডায়েরি সম্পাদনা করেছিল । 

( জ ) অ্যান নিজেকে নিঃসঙ্গ বলে কেন অনুভব করেছিল ? 

উত্তরঃ অ্যানের নিজের দিদি এবং চারিপাশে প্রচুর মানুষ থাকা সত্ত্বেও নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে করত কেননা অ্যানের কোনো প্রকৃত বন্ধু ছিল না। বন্ধু আত্মীয় – স্বজনের সাথে হাসি ঠাট্টা করে সময় কাটালেও তাদের সঙ্গে মন উজাড় করে কথাবার্তা আদান – প্রদান করতে পারে না । অ্যান বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজনের খুব কাছাকাছি যেতে পারে না । সেজন্য নিঃসঙ্গতা বোধ করে ।

প্রশ্ন ২। পাঠ থেকে কঠিন শব্দগুলো খুঁজে বের করে তোমার খাতায় লেখো এবং শব্দগুলোর অর্থ শব্দ – সম্ভার বা অভিধান থেকে দেখে শব্দের পাশে লিখে শেখো । 

উত্তরঃ দিনলিপি — ডায়েরি , রোজনামচা । 

নৃশংসভাবে — নিষ্ঠুরভাবে । 

দুর্বিসহ — সহ্য করা যায় না এমন , দুঃসহ , অসহ্য। 

আত্মগোপন — নিজেকে বা নিজের মনোভাব লুকিয়ে রাখা । 

অবসান — শেষ । 

দুর্ভাগ্য — খারাপ ভাগ্য / হতভাগ্য । 

প্রতিবিম্ব — নিজের ছবি । 

অতিবাহিত — কাটানো । 

গতানুগতিক — একইরকম । 

উৎসর্গ — সৎ উদ্দেশ্যে দেবতাকে অর্পণ করা । 

কাল্পনিক — কল্পনা করা । 

উজাড় — শূন্য , খালি । 

ব্যক্তিত্ব — ব্যক্তির স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য । 

রোগাক্রান্ত — রোগের দ্বারা আক্রান্ত । 

অধিগৃহীত — অধিগ্রহণ করা হয়েছে এমন । 

ব্যবধান — ছেড়ে । 

অবরুদ্ধ — আবদ্ধ । 

প্রশ্ন ৩ । প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো । 

“ মানুষের চাইতে কাগজের ধৈর্য বেশি । ” 

উত্তরঃ অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি লেখা এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা । অ্যানের হৃদয়ে পুঞ্জীভূত সব কথা উজাড় করে প্রকাশ করতে অ্যানের লেখাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় । 

মানুষের চাইতেও কাগজের ধৈর্য বেশি । প্রচলিত এই প্রবাদের অর্থ অ্যান সেদিনই উপলব্ধি করতে পেরেছিল , যেদিন অ্যানের করার কোনো কাজ না থাকাতে হতাশায় ভুগছিলেন এবং হাতের চেটোয় থুতনি রেখে ভাবছিলেন — বাড়িতে থাকবে না বাইরে বেরিয়ে পড়বে । অবশেষে অ্যান যেখানে ছিল সেখানেই বসে থাকল । মানুষের থেকে কাগজের ধৈর্য বেশি । যতদিন পর্যন্ত অ্যান একজন প্রকৃত বন্ধু না পাওয়া যাচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই খাতাটি যাকে অ্যান ডায়েরি বলে নামকরণ করেছিলেন । অ্যান কাউকে ডায়েরি পড়তে দেওয়ার কথা ভাবেনি । 

প্রশ্ন ৪। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পটভূমিকায় জার্মানের নাজি শাসনে অ্যান ফ্রাঙ্কের পরিবারের বিপর্যয় বর্ণনা করো । 

উত্তরঃ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান রাষ্ট্রপ্রধান অ্যাডলফ হিটলারের নেতৃত্বে নাজি বাহিনী ইহুদিদের ওপর বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল । লাখ লাখ ইহুদিকে জার্মান সেনা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল । হিটলারের অমানবিক ইহুদি নিষ্পেষণে , কয়েক শতক ধরে জার্মানিকে মাতৃভূমি বলে গ্রহণ করে বসবাস করা সত্ত্বেও , ওট্টো ফ্রাঙ্কের পরিবারকে ১৯৩৩ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট ছেড়ে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে চলে যেতে হয় । কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সে দেশও হিটলার দখল করে নেন এবং সেখানেও শুরু করেন অমানবিক ইহুদি নিষ্পেষণ নীতি । 

নতুন দেশে এসে কয়েক বছরের বড়ো দিদি মারগোট বেট্টির সঙ্গে অ্যান ফ্রাঙ্কও নতুন বন্ধু – বান্ধব নিয়ে নতুন জীবন শুরু করেছিল । সেখানেও তাদের জীবনে নেমে এসেছিল বিপর্যয় । তারা ইহুদি বলে অন্যান্য সম্প্রদায়ের ছাত্র – ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের পড়াশোনা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল । তারা মন্টেসরি স্কুল ছেড়ে ইহুদি বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হয় । জামা – কাপড়ে ইহুদিদের পরিচয়জ্ঞাপক হলুদ তারকা লাগাতে বাধ্য হয় । ওট্টো এদেশ ছেড়েও অন্য কোনো দেশে পালাতে চাইলেও সীমান্ত বন্ধ ছিল । এরই মধ্যে অ্যানের বড়ো দিদিকে বাধ্যতামূলক শ্রমদানের জন্য ডাকা হয়েছিল । বিপদ ও জীবন সংশয় দেখে ১৯৪২ সালে ৬ জুলাইয়ে ওট্টোর পরিবার তাঁরই কার্যালয়ের ওপরতলার এক ছোটো গোপন কক্ষে আত্মগোপন করেছিল । জার্মান বাহিনীর হাতে বন্দী হওয়ার আগে এই গোপন কক্ষেই তাঁদের দুই বছরেরও বেশি সময় যন্ত্রণাকাতর এক জীবনযাপন করতে হয়েছিল। 

প্রশ্ন ৫। অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি লেখার প্রেক্ষাপটটি দলে আলোচনা করে লেখো । 

উত্তরঃ অ্যান ফ্রাঙ্ক মাত্র তেরো বছর বয়সে দিনলিপি লিখে পরবর্তী জীবনে বিশ্বব্যাপী খ্যাতির অধিকারিণী হয়েছিলেন । অ্যান ১৯৪২ সালের ১২ জুন তার তেরোতম জন্মদিনে লালসাদা ডোরাকাটা একটি সই সংগ্রহের খাতা উপহার হিসেবে লাভ করে এই খাতাটিকে সে ডায়েরি হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন এবং জন্মদিনের দিন থেকে শুরু করে ১৯৪৪ সালের ১ আগস্ট পর্যন্ত তাদের অবরুদ্ধ জীবনের কষ্ট , ভয় , দুঃখ ইত্যাদির বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছিলেন ডায়েরিতে তার আশা , নিজের ব্যক্তিত্বের পর্যালোচনা এবং নিজেকে আরও ভালো করে গড়ে তোলার সংকল্প , তার কিশোরী মনের অনুভূতির বিকাশ ইত্যাদিও অত্যন্ত নিপুণ ভাবে ধরা পড়েছে ।

অ্যান প্রথমে ডায়েরি নিজের জন্যই লিখতেন । কিন্তু ১৯৪৪ সালের মার্চ মাসে নির্বাসিত নেদারল্যাণ্ড সরকারের এক সদস্যের রেডিয়ো সম্প্রচার শুনে সে ডায়েরি লেখার ধরন কিছুটা পরিবর্তিত করে দিয়েছিলেন । সম্প্রচারে বলা হয়েছিল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর জার্মান অধিগৃহীত অঞ্চলে যেসব নেদারল্যাণ্ডবাসী যুদ্ধের সময় দুঃখ কষ্ট ভোগ করছেন তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে প্রচার করা হবে । সেজন্য অবিলম্বে সে তার পুরোনো লেখার কিছুটা পরিবর্তন এবং সম্পাদনা করে আবার নতুন করে লিখে ফেলেন । 

প্রশ্ন ৬৷ ‘ কিটি ’ কে ? অ্যান ফ্রাঙ্ক কিটিকে বন্ধু হিসেবে কেন গণ্য করেছিল , বুঝিয়ে লেখো । 

উত্তরঃ অ্যান ফ্রাঙ্কের লেখা ডায়েরিটির নাম ‘ কিটি ‘ । তেরো বছর বয়সী অ্যানের কোনো প্রকৃত বন্ধু নেই । সে ছিল নিঃসঙ্গ । অ্যানের মা , বাবা , দিদি থাকা সত্ত্বেও সে ছিল একা । চারিদিকে বহু বন্ধু – বান্ধব আছে । সবসময় হাসি ঠাট্টা করে সময় কাটালেও অ্যান নিঃসঙ্গতা বোধ করে । তাদের সাথে সে গতানুগতিকভাবে কথাবার্তা বলে । কিন্তু অন্তর উজাড় করে মনের সব কথা আদান – প্রদান করতে পারে না । তারা পরস্পরের কাছে যেতে পারে না সেটাই সমস্যা । সাধারণত অধিকাংশ লোক যেমন করে তেমনি অ্যান তার কল্পনার বহু প্রত্যাশিত বন্ধুর ভাবমূর্তি বাড়িয়ে তোলার জন্য এই দিনলিপিতে তেমন কিছু লিখল না । এই ডায়েরিটিকেই অ্যান প্রকৃত বন্ধু হিসেবে গণ্য করতে চায় এবং সেজন্য অ্যান তার ডায়েরির নাম রেখেছিল ‘ কিটি ‘ । 

খ — ভাষা – অধ্যয়ন ( ব্যবহারিক ব্যাকরণ ) 

● জেনে নাও ।

পাঠের যে কোনো বাক্য লক্ষ করো , — দেখবে প্রতিটি বাক্যেই একটি এমন পদ রয়েছে , যা কোনো কিছু কাজ করাকে সূচিত করছে । এধরনের পদকে ‘ ক্রিয়াপদ ’ বলা হয় । ক্রিয়াপদ দিয়েই কারও সম্বন্ধে কিছু বলা হয় । যেমন — ‘ এদেশেও তাদের জীবন দুর্বিষহ ‘ হয়ে পড়ে’, বা ‘ তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ওয়েস্টারবর্ক — এ ’ বাক্য দুটিতেও ‘ হয়ে পড়ে ’ ও ‘ যাওয়া হয় ’ ক্রিয়াপদের মাধ্যমে ‘ তাদের ‘ ( অ্যান ফ্রাঙ্কের পরিবার ) সম্বন্ধে কিছু বলা হয়েছে । ক্রিয়াপদ ছাড়া বাক্য সম্পূর্ণ হয় না । তবে অনেক সময় বাক্যে ক্রিয়াপদ স্পষ্টভাবে উল্লিখিত হয় না । সে সব বাক্যকে একটু পর্যালোচনা করলেই অবশ্যই লুকিয়ে থাকা ক্রিয়াপদ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। 

যেমন — ‘ মনিকা অনিমার বড়ো ’ বা ‘ অবিনাশ খুব চালাক ’ । এই বাক্য দুটিতে আপাতদৃষ্টিতে ক্রিয়াপদ খুঁজে পাওয়া না গেলেও , একটু পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে দুটি বাক্যেই ‘ হয় ’ ক্রিয়াপদটি উহ্য আছে ।

প্রশ্ন ৭। এবার নিম্নলিখিত বাক্যগুলো থেকে ক্রিয়াপদ খুঁজে বের করো । 

( ক ) তারা মন্টেসরি স্কুল ছেড়ে ইহুদি বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধ্য হয় । 

উত্তরঃ ছেড়ে , বাধ্য— ক্রিয়াপদ ।

( খ ) ওট্টোর পরিবার তাঁরই কার্যালয়ের ওপরতলার এক ছোটো গোপন কক্ষে আত্মগোপন করে । 

উত্তরঃ আত্মগোপন— ক্রিয়াপদ ।

( গ ) কিন্তু এখানেও তাদের জীবনের ওপর নেমে আসে বিপর্যয়। 

উত্তরঃ নেমে আসে — বিপর্যয় ।

( ঘ ) অ্যানদের দুই বোনকে পাঠানো হয় বার্ডেন – বেলসেন – এর শিবিরে । 

উত্তরঃ পাঠান হয় – ক্রিয়াপদ ।

( ঙ ) বনলতা ও তরুলতা দুই বোনই অসুস্থ । 

উত্তরঃ অসুস্থ — ক্রিয়াপদ । 

● জেনে নাও । 

এই ক্রিয়াপদগুলো লক্ষ করলে দেখা যায় যে ক্রিয়াপদগুলোর মূলে এক একটি শব্দ বা শব্দের টুকরো থাকে । এগুলোকে আর ভাঙা যায় না , বা ভাঙলে তার বিশেষত্ব নষ্ট হয়ে যায় । এগুলোকেই ব্যাকরণের পরিভাষায় ধাতু বলা হয় । 

যেমন— ‘ কাজটা করলে লাভবান হতে ’ বাক্যে ‘ করলে ’ ও ‘ হতে ’ ক্রিয়াপদ দুটিকে বিশ্লেষণ করলে ‘ কর্ ’ ও ‘ হ ’ মূল অংশ পাওয়া যায়। এই ‘ কর ’ ও ‘ হ ’ – কেই ‘ করলে ’ ও ‘ হতে ’ ক্রিয়ার মূল বা ধাতু বলা হয় । ধাতুর সঙ্গে ধাতু বিভক্তি যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়।

প্রশ্ন ৮। নিম্নলিখিত বাক্যগুলো থেকে ধাতু খুঁজে বের করো । ( প্রয়োজনে শিক্ষক / শিক্ষয়িত্রী সাহায্য করবেন । ) 

( ক ) বাঘা যতীন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বাঘের মতো গর্জে উঠেছিলেন । 

উত্তরঃ গর্জে উঠেছিলেন — ধাতু । 

( খ ) বইটা আবার কার কাছে পাঠাবে ? 

উত্তরঃ পাঠাবে — ধাতু । 

( গ ) বড়োবাবু খুব ধমকাচ্ছেন । 

উত্তরঃ ধমকাচ্ছেন — ধাতু । 

( ঘ ) মাছি ভনভন করছে । 

উত্তরঃ ভনভন করছে — ধাতু । 

( ঙ ) এখন খেলা বন্ধ করো , পড়তে বসো । 

উত্তরঃ বন্ধ করো , পড়তে বসো — ধাতু ।

● জেনে নাও । 

প্রশ্ন ৯। বাক্য রচনা করো । 

চলচ্চিত্র , উল্লেখ , নিঃসঙ্গ , দুর্ভাগ্য 

উত্তরঃ চলচ্চিত্র — ভারতবর্ষের অধিকাংশ মানুষ চলচ্চিত্র দেখতে ভালোবাসে । 

উল্লেখ — অ্যান ফ্রাঙ্কের নাম উল্লেখ করার মতো বিষয় । 

নিঃসঙ্গ — নিঃসঙ্গ একাকী জীবন কাটানো কষ্টকর। 

দুর্ভাগ্য — বাবা আকস্মিক ভাবে পরলোক গমন করাটা আমাদের দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কি । 

প্রশ্ন ১০। ওপরের শব্দগুলোকে সন্ধি – বিচ্ছেদ করে দেখানো হল , গঠিত শব্দটি শূন্যস্থানে লেখো। 

চলৎ + চিত্র = ____।

নিঃ + সঙ্গ = ____।

উৎ + লেখ = ____।

দুঃ + ভাগ্য = ____।

উত্তরঃ চলৎ + চিত্র = চলচ্চিত্র

উৎ + লেখ = উল্লেখ

নিঃ + সঙ্গ + = নিঃসঙ্গ

দুঃ + ভাগ্য = দুর্ভাগ্য

● এসো , জানি । 

ব্যঞ্জনসন্ধি দু – ভাবে হতে পারে— ( ক ) ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে স্বরবর্ণের এবং 
( খ ) ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের সংযোগে । 

( ক ) নীচের উদাহরণগুলো লক্ষ করো । 

ব্যঞ্জনবর্ণ + স্বরবর্ণ।

ঋক্ + বেদ = ঋগ্বেদ।

অসৎ + উপায় = অসদুপায়।

অচ্ + অন্তা = অজন্তা ।

প্রশ্ন ১১। সন্ধি করো । 

দিক্‌ + অন্ত = ____।

বি + ছিন্ন = ____।

সৎ + চরিত্র = ____।

তরু + ছায়া = ____।

উত্তরঃ দিক্ + অন্ত = দিগন্ত

বি + ছিন্ন = বিচ্ছিন্ন

সৎ + চরিত্র = সচ্চরিত্র

তরু + ছায়া = তরুচ্ছায়া

( ক ) ব্যঞ্জনবর্ণ + ব্যঞ্জনবর্ণ( খ ) ব্যঞ্জনবর্ণ + ব্যঞ্জনবর্ণ
তদ্ + ছবি = তচ্ছবি 
যাবৎ + জীবন = যাবজ্জীবন ।
বাক্ + ময় = বাঙ্ময় ।
উৎ + ডীন = উড্ডীন ।
উৎ + হত = উদ্ধৃত ।
কন্ + পন = কম্পন ।
শম্ + কর = শঙ্কর ।
ষয্ + থ = ষষ্ঠ ।
বাক্ + ধারা = বাগ্ধারা ।
তদ্ + কাল = তৎকাল ।

প্রশ্ন ১২। সন্ধি – বিচ্ছেদ করো । 

উচ্চারণ , উজ্জ্বল , সম্ভাব , জগদীশ , মৃন্ময় , উল্লাস , উন্নয়ন , সদগুরু, তৎপর , কৃষ্টি , আচ্ছাদন । 

উত্তরঃ উচ্চারণ — উৎ + চারণ ।

উজ্জ্বল — উৎ + জ্বল ।

সম্ভাব — সৎ + ভাব ।

জগদীশ — জগৎ + ঈশ ।

মৃন্ময় — মৃৎ + ময় ।

উল্লাস — উৎ + লাস। 

উন্নয়ন — উৎ + অয়ন।

সদগুরু — সৎ + গুরু ।

তৎপর — তৎ + পর ।

কৃষ্টি — কৃঃ + টি । 

আচ্ছাদন — আৎ + ছাদন ।

প্রশ্ন ১৩। সন্ধি করো । 

অনু + ছেদ = ____।

সম্ + মান = ____।

দম্ + শন = ____।

শম্ + কর = ____।

চিৎ + ময় = ____।

সম্ + শয় = ____।

উত্তরঃ অনু + ছেদ = অনুচ্ছেদ

সম্ + মান = সম্মান

দম্ + শন = দংশন

শম্ + কর = শঙ্কর

চিৎ + ময় = চিন্ময়

সম্ + শয় = সংশয় । 

গ — জ্ঞান সম্প্রসারণ 

প্রশ্ন ১৪। দলে বসে নীচের বিষয় নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করো । এবং সঙ্গীদের কথাও শোনো । 

( ক ) ঘরে পড়া – শোনা ছাড়াও আর কী কাজ করে ভালো লাগে । 

( খ ) বিভিন্ন গল্প শুনে বা পড়ে সেগুলোর অভিজ্ঞতা । 

উত্তরঃ ( ক ) ঘরে বসে পড়াশোনা ছাড়া খেলাধূলা ভালো লাগে । পড়াশোনার মতো খেলাধূলারও বিশেষ প্রয়োজনীয়তা আছে । এর সুবিধা অসীম । খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব ছাত্রজীবনে অত্যন্ত প্রয়োজন। ইংরাজীতে একে বলা হয় স্পোর্টস ম্যানস্ স্পিরিট । আমরা যদি জীবনযুদ্ধে বিজয়ী হতে চাই তবে তার আগে খেলার যুদ্ধেও জয়লাভের প্রয়োজন । 

নিয়মিত খেলাধূলার অভ্যাস দেহ সুস্থ ও স্বাস্থ্যকে নীরোগ রাখে । কারণ স্বাস্থ্যই সম্পদ । যার স্বাস্থ্য নেই সবকিছু থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তার কিছুই থাকে না । বিশ্ব – বিখ্যাত দার্শনিক প্লেটো অলিম্পিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন । খেলার মাঠের হারজিত যে সহজ ও স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারে , জীবনের বিশাল ময়দানের জয় পরাজয় , সুখ দুঃখ সাফল্য ব্যর্থতা সেইই পারে সহজভাবে মেনে নিতে । ব্যর্থতায় সে ভেঙে পড়ে না ।

এভাবে দেখা যায় যে খেলাধূলা মানুষকে উন্নত শরীর ও মনের অধিকারী করে তোলে । শরীর গঠনে খেলাধূলার ভূমিকার গুরুত্ব অপরিসীম । 

( খ ) লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বোত্তম সাহিত্যকীর্তি পথের পাঁচালী পড়ে আমার খুব ভালো লেগেছে । ‘ পথের পাঁচালী ’ আমাদের শৈশব মনের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি ফিরিয়ে দিয়েছে । এতে বাংলার গ্রামীণ সমাজের নানা রঙের চরিত্রগুলি ভিড় করেছে । এরা যেন আমাদের প্রতিবেশী , সুখদুঃখের নিত্যসাথী । ইন্দির ঠাকুরণ , সর্বজরা , দুর্গা , হরিহর , নীলু , রানুদির আবির্ভাব আমাদের চির চেনা জগৎ থেকেই । অপুর হৃদয়ে ডুব দিলেই আমরা যেন আমাদের হারিয়ে – যাওয়া শৈশবকে খুঁজে পাই । জীবনে দারিদ্র্য আছে কিন্তু তা বলে জীবন কোনোক্রমেই দরিদ্র নয় — এটাই ছিল বিভূতিভূষণের প্রত্যয় । 

গ্রামের চিরশ্যাম বনভূমির ছায়ায় , নিবিড় লতাপাতার আলিঙ্গনে ভিটেমাটির গন্ধে এই মানুষগুলি তাঁর অন্যান্য উপন্যাসেও নানাভাবে দেখা দিয়েছে । ‘ আরণ্যক ‘ উপন্যাসে বিহারের লবটুবিয়া বইহারের বনভূমি এবং সেখানকার মানুষগুলির সঙ্গে তাঁর নিবিড় পরিচয়কে লেখক স্বকীয় মহিমায় প্রোজ্জ্বল করে রেখেছেন । 

বিভূতিভূষণের ‘ পথের পাঁচালী’র চিত্ররূপ বিশ্ববন্দিত । লেখকের অন্যান্য উপন্যাসগুলির মধ্যে দৃষ্টি প্রদীপ , আরণ্যক , আদর্শ হিন্দু হোটেল , অনুবর্তন দেবযান , ইছামতী উল্লেখযোগ্য । ‘ ইছামতী ‘ উপন্যাসের জন্য তাকে রবীন্দ্র পুরস্কার দেওয়া হয় । মেঘমল্লার , মৌরীফুল প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্পসংকলন । 

● জেনে নাও ।

এডল্ফ হিটলার — জার্মানের একজন উচ্চ আকাঙ্ক্ষী রাজনৈতিক নেতা ছিলেন । 
নাজি বাহিনী — হিটলারের উদ্যোগে গঠিত এক রাজনৈতিক দল । 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ — ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল । 
ইহুদি — প্রাচীন কাল থেকেই নিজেদের মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া জুদাধর্মের অনুসরণকারীদের ইহুদি বলে অভিহিত করা হয় ।
* তোমরা বাংলার বিশিষ্ট কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের নাম শুনেছ । এই সাহিত্যিকের জীবনের অনেক খুঁটিনাটি তথ্য আমরা তাঁর দুটি বিখ্যাত ডায়েরি থেকে জানতে পারি । এই ডায়েরি দুটির নাম হল ‘ স্মৃতির রেখা ’ ও ‘ তৃণাঙ্কুর ‘ ।

প্রশ্ন ১৫। ‘ স্মৃতির রেখা ’ ডায়েরির একটি অংশ পড়ে দেখো । 

২৭ শে জানুয়ারি ১৯২৮ এ জীবনে প্রথম দেখলাম সরস্বতী পূজার দিন এভাবের বাদল হয় । দুপুর থেকে আকাশ অন্ধকার করে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছে । অথচ এটা বসন্তকালের প্রথম দিন – যে সময় কলকাতায় গান করতাম ‘ ফাগুন লেগেছে বনে বনে ‘ । বারনা করে সরস্বতী পুজোর আয়োজন হল ঠিক আর – বছরের মতো । ঈশ্বর ঝা পুজো করতে এল , আমি ও গোষ্ঠবাবুঠাকুর সাজালাম । বাবার পশ্চিম ভ্রমণের ডায়েরিটা ও রামায়ণখানা বের করে দিলাম ঠাকুরের পিঁড়িতে । বাবার খাতাখানা নিজের হাতে চন্দন মাখিয়ে ও ফুল সাজিয়ে বড়ো আনন্দ পেলাম । 

প্রশ্ন ১৬। নীচের তারিখগুলোকে পরিবর্তিত রূপে লেখো । 

( ক ) ১৫/৮/১৯৪৭ তারিখে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয় । 

উত্তরঃ পরিবর্তিত রূপ ― ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন হয় । 

( খ ) ১২/১/১৮৬৩ তারিখে স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন। 

উত্তরঃ পরিবর্তিত রূপ ― ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১২ ই জানুয়ারী স্বামী বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেন ।

( গ ) ১৯৮৪ সালের ৪ এপ্রিল ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা মহাকাশে পাড়ি দেন । 

উত্তরঃ পরিবর্তিত রূপ ― ৪/৪/১৯৮৪ তারিখে ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা মহাকাশে পাড়ি দেন । 

ঘ — প্রকল্প 

প্রশ্ন ১। প্রতি মাসে তোমার কোনো স্মরণীয় দিনের ডায়েরি লিখে শ্রেণিতে পাঠ করে শোনাবে । 

উত্তরঃ শিক্ষক / শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে নিজেদের করতে হবে ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top