SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 16 মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Question Answer is made for Assam Seba Board students. SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 16 মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.
SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 16 মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র
SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 16 মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র Here we will provide you complete Bengali Medium SEBA Class 6 Social Science Suggestion in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Question Answer in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Notes in Bengali, SEBA Class 6 Social Science Solution in Bengali, SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 16 মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সাজেশন, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের সমাধান, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বই প্রশ্নোত্তর, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের PDF, ষষ্ঠ শ্ৰেণীর সমাজ বিজ্ঞান পাঠ্যক্রমের বাংলা প্রশ্নোত্তর Question Answer absolutely free of cost. SEBA Class 6 Social Science In Bengali Chapter 16 মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র
ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য )
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। উত্তর লেখা।
(ক) চন্দ্রগুপ্তের, প্রতিষ্ঠিত বংশের নাম কী ?
উত্তরঃ মৌর্য বংশ।
(খ) মৌর্য সাম্রাজ্যের উত্থানের বিষয়ে আমরা কী কী জানতে পারি ?
উত্তরঃ উপাদানগুলাে হল- কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, মেগাস্থিনিস রচিত ইন্ডিকা, বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্য, মুদ্রা ইত্যাদি। এছাড়া সম্রাট অশােকের শিলালিপি, স্তম্ভলিপি, মৌর্যযুগের স্থাপত্য-ভাস্কর্যের ধ্বংসাবশেষ ইত্যাদি থেকেও জানা যায়।
(গ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রজাহিতকর কাজগুলাে কী কী ছিল ?
উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য তক্ষশিলা থেকে পাটলিপুত্র পর্যন্ত রাস্তা বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হ্রদ তৈরি করেছিলেন, জলাশয় নির্মাণ করে কৃষির ব্যবস্থা করেছিলেন। বাণিজ্যের দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ ও মাপ-জোখের নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন।
S.L. No. | সূচিপত্র |
পাঠ | ভূগোল খণ্ড ( আমাদের পৃথিবী ) |
পাঠ-১ | সৌরজগতে আমাদের পৃথিবী |
পাঠ -২ | পৃথিবীর আকার ও আকৃতি |
পাঠ -৩ | পৃথিবীর গতি |
পাঠ -৪ | পৃথিবীর প্রধান মণ্ডলসমূহ |
পাঠ -৫ | ভূগোল অধ্যয়নের উপকরণ- মানচিত্র |
পাঠ -৬ | পৃথিবীর প্রধান ভূ-অবয়ব |
পাঠ -৭ | অসম: জলবায়ু, প্রাকৃতিক উদ্ভিদ, বন্যপ্রাণী ও কৃষি |
পাঠ -৮ | আমাদের ভারতবর্ষ |
পাঠ | ইতিহাস খণ্ড ( আমাদের অতীত ও ঐতিহ্য ) |
পাঠ – ৯ | কী, কোথায়, কখন ও কিভাবে |
পাঠ -১০ | আদি প্রস্তর যুগ |
পাঠ -১১ | আদিম মানুষের জীবিকা ও স্থায়ী বসবাস (নব্য প্রস্তর যুগ) |
পাঠ -১২ | প্রাচীন নাগরিক সভ্যতা |
পাঠ -১৩ | বৈদিক সভ্যতা |
পাঠ -১৪ | মহাজনপদ |
পাঠ -১৫ | নতুন ভাবের অভ্যুদয় |
পাঠ -১৬ | মৌর্য সাম্রাজ্য মহামতি অশােক ও কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র |
পাঠ | অর্থনীতি ও রাজনীতি খণ্ড (আমাদের অর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন) |
পাঠ -১৭ | আমাদের মৌলিক প্রয়ােজনসমূহ |
পাঠ -১৮ | উন্নত জীবনের প্রয়োজনসমূহ |
পাঠ -১৯ | জীবন ধারণের মান উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রভাব |
পাঠ -২০ | কৃষি, শিল্পোদ্যোগ এবং সেবাখণ্ডে প্রযুক্তির প্রভাব |
পাঠ -২১ | সরকারের ধারণা ও বিভিন্ন ধরনের সরকার |
পাঠ -২২ | গণতন্ত্র এবং এর নীতিসমূহ |
পাঠ -২৩ | কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার |
পাঠ -২৪ | স্থানীয় স্বায়ত্ত শাসনব্যবস্থা |
(ঘ) চাণক্য কে ? তিনি চন্দ্রগুপ্তকে কীভাবে সহায়তা করেছিলেন ?
উত্তরঃ চাণক্য একজন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ছিলেন।
তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাকার্যে সাহায্য করেছিলেন।
(ঙ) সম্রাট অশােককে কীজন্য রাজর্ষি অশােক বলা হয় ?
উত্তরঃ সম্রাট অশােক বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়েও সন্ন্যাসীর মত জীবন যাপন করার জন্য ইতিহাসে তিনি রাজর্ষি আশােক নামেও পরিচিত।
(চ) সম্রাট অশােক শিলালিপিগুলি কী কী ভাষায় লিখিয়েছিলেন ?
উত্তরঃ পালি ও প্রাকৃত ভাষায়। রাজ্যের পশ্চিম অংশে খরােষ্ঠী এবং পূর্ব অংশে ব্রাহ্মীলিপি।
(ছ) মৌর্য শিল্পকলার নিদর্শনসমূহ কোন্ কোন্ স্থানে দেখতে পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ মৌর্য শিল্পকলার নিদর্শন শিলাস্তম্ভ, স্তুপ, বৌদ্ধবিহার ও সারনাথের স্তন্তে দেখা যায়। ভূপসমূহের মধ্যে সাঁচীপের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ যােগ্য।
(জ) মৌর্যযুগে সমাজব্যবস্থা কী ধরনের ছিল ?
উত্তরঃ মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা এবং কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে জানা যায় যে, মৌর্যযুগে চার বর্ণ প্রথা ছিল। মৌর্যযুগে এই বর্ণপ্রথার কিছু পরিবর্তন হয়েছিল। ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যসকলের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছিল। বণিকশ্রেণির প্রাধান্য বৃদ্ধি এই যুগের একটি উল্লেখযােগ্য পরিবর্তন ছিল। অশােকের শিলালিপিতে দাসপ্রথা প্রচলনের উল্লেখ আছে। সমাজে মহিলার স্থান বিশেষ উচ্চে ছিল না।
প্রশ্ন ২। শুদ্ধ /অশুদ্ধ বিচার করাে-
(ক) কৌটিল্যের অপর নাম চাণক্য ছিল।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(খ) মেগাস্থিনিস অর্থশাস্ত্র’ লিখেছিলেন।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(গ) সম্রাট অশােক সন্তানদের বিদেশে ধর্মপ্রচারের জন্য প্রেরণ করেন।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
(ঘ) তৃতীয় বৌদ্ধ মহাসম্মেলন চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
(ঙ) উপগুপ্ত সম্রাট অশােকের ধর্মগুরু ছিলেন।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
প্রশ্ন ৩। দলে আলােচনা করে লেখাে।
(ক) মৌর্য শাসন প্রণালীর সঙ্গে বর্তমান শাসন প্রণালীর সাদৃশ কোথায় আছে ?
উত্তরঃ বর্তমান শাসনব্যবস্থায় যে সকল ব্যবস্থা আছে ঠিক তদ্রুপ সম্রাট অশােকের বিশাল সাম্রাজ্য চারটি প্রদেশে ভাগ করা হয়েছিল। বর্তমানেও রাজ্যশাসিত এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে।
এক একজন রাজ প্রতিনিধির দ্বারা প্রদেশগুলাে পরিচালনা করা হত, বর্তমানেও রাজ্যপাল রাজ প্রতিনিধি হিসাবে থাকে। প্রদেশগুলােকে বিভিন্ন জেলাতে ভাগ করা হয়েছিল, সেই ব্যবস্থা বর্তমানেও আছে। সম্রাট অশােকের সময়ে ৩০ জন সদস্যের দ্বারা পৌরসভা পরিচালনা করা হত, বর্তমানেও বিভিন্ন সদস্যের দ্বারা পৌরসভা পরিচালনা করা হয়। পৌরসভায় ৬টি উপ-সমিতি ছিল যেমন- জন্ম-মৃত্যুর হিসাব রাখা, বাণিজ্যদ্রব্যের মূল্য নির্ধারণ করা, মাপ-জোখ নিয়ন্ত্রণ করা, ক্রয়-বিক্রয়ের উপর কর লাগানাে, বিদেশী নাগরিকের হিসাব রাখা ও শ্রম-শিল্প নিরীক্ষণ করা।
(খ) ঐতিহাসিক উপাদানের কোনগুলি লিখিত এবং কোনগুলি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের অন্তর্গত তার একটি তালিকা প্রস্তুত করাে।
উত্তরঃ
লিখিত উপাদান | প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান |
১। কোটিল্যের অর্থশাস্ত্র। | ১। মৌর্য যুগের স্থাপত্যের ধবংসা-বশেষ। |
২। মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা। | ২। মুদ্রা। |
৩। বৌদ্ধ ও জৈন সাহিত্য। | ৩। সাঁচী স্থূপ। |
৪। শিলালিপি, স্তম্ভলিপি। | ৪। বৌদ্ধ বিহারের ধবংসাবশেষ। |
প্রশ্ন ৪। মানচিত্র পর্যবেক্ষণ করে নীচের প্রশ্নগুলাের উত্তর লেখাে-
(ক) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সাম্রাজ্য কোথা থেকে কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল ?
উত্তরঃ উত্তরে কাবুল থেকে দক্ষিণে অমরাবতীর পূর্ব পর্যন্ত, পশ্চিমে বেলুচিস্তান থেকে পূর্বে বঙ্গদেশ পর্যন্ত।
(খ) কলিঙ্গ, উজ্জয়িনী এবং পাটলিপুত্র বর্তমান ভারতবর্ষের কোন কোন্ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ?
উত্তরঃ কলিঙ্গ উড়িষ্যাতে, উজ্জয়িনী মধ্যপ্রদেশে এবং পাটলিপুত্র বিহারে।
(গ) অতীতে মগধ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়নি, বর্তমান ভারতবর্ষের এরকম দুটি রাজ্যের নাম লেখাে।
উত্তরঃ তামিলনাড়ু, কেরালা।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন ১। মৌর্য রাজবংশের প্রতিষ্ঠিতা কে ?
উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।।
প্রশ্ন ২। ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক সাম্রাজ্য কোনটি ?
উত্তরঃ মৌর্য সাম্রাজ্য।
প্রশ্ন ৩। ঐতিহাসিক উপাদানগুলােকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় এবং কি কি ?
উত্তরঃ দুইটি ভাগে।
(ক) লিখিত উপাদান।এবং
(খ) প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান।
প্রশ্ন ৪। লিখিত উপাদান ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের দুটো করে উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ লিখিত উপাদানগুলাে হল- কৌটিল্য লিখিত অর্থশাস্ত্র এবং মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা।
প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান হল- স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের ধবংসাবশেষ এবং স্তূপ।
প্রশ্ন ৫। চন্দ্রগুপ্তের মায়ের নাম কি ছিল ?
উত্তরঃ মুরা।
প্রশ্ন ৬ চন্দ্রগুপ্ত দ্বারা প্রতিষ্ঠিত রাজবংশটির নাম মৌর্যবংশ কেন হয়েছিল ?
উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্তের মায়ের নাম মুরা’ থেকেই বংশটির নাম মৌর্যবংশ হয়েছিল।
প্রশ্ন ৭ কোটিল্যের অপর নাম কি ছিল ?
উত্তরঃ বিষ্ণুগুপ্ত।
প্রশ্ন ৮। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য গ্রিক রাজা সেলুকাসের কাছ থেকে কোন কোন্ রাজ্য জয় করেছিল ?
উত্তরঃ কাবুল, কান্দাহার, হীরাট, বেলুচিস্তান ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৯। চন্দ্রগুপ্ত মাের্য অন্যান্য রাজ্য জয় করার কারণ কি ছিল ?
উত্তরঃ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য নিজ সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত করার জন্য।
প্রশ্ন ১০। পাটলিপুত্র নগরের পৌরসভার সদস্য সংখ্যা কত ছিল ?
উত্তরঃ ৩০ জন।
প্রশ্ন ১১। ভারতের ইতিহাসে পৌরসভা গঠন করা প্রথম শাসকের নাম কি ?
উত্তরঃ সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।
প্রশ্ন ১২। ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকার মধ্যে কোন চক্রটি দেখা যায় ?
উত্তরঃ অশােক চক্র।
প্রশ্ন ১৩। অশােক চক্রটি কোন স্থান থেকে নেওয়া হয়েছে ?
উত্তরঃ অশােক চক্রটি সারনাথের মন্দির থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ১৪। সম্রাট অশােক কত বৎসর রাজত্ব করেছিলেন ?
উত্তরঃ প্রায় ৪৩ বৎসর।
প্রশ্ন ১৫। সম্রাট অশােক কিভাবে ধর্মাশােকে পরিবর্তিত হয়েছিলেন ?
উত্তরঃ সম্রাট অশােক দক্ষিণ ভারতের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত কলিঙ্গ রাজ্য আক্রমণ করে দখল করেছিলেন। কলিঙ্গ যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর বিভীষিকা সম্রাট অশােককে মর্মাহত করে তুলেছিল। এই যুদ্ধের পর থেকেই অশােক যুদ্ধজয়ের পরিবর্তে মানুষের অন্তর জয় করার প্রতিজ্ঞা করেন এবং তিনি উপগুপ্ত নামে একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন ১৬। শিলালিপিতে ব্যবহার করা লিপিগুলােকে কি লিপি বলা হত ?
উত্তরঃ খরােষ্ঠী লিপি ও ব্রাহ্মী লিপি।
প্রশ্ন ১৭। সম্রাট অশােক জনসাধারণকে পালন করার জন্য কিছু সংখ্যক নীতি পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেগুলাে কি কি ?
উত্তরঃ নীতিগুলাে হল-
(ক) শান্ত ও নম্র হওয়া, দাস ও ভৃত্যদের প্রতি সদ্ব্যবহার করা।
(খ) জ্যেষ্ঠদেরকে সম্মান করা।
(গ) কাউকেই হিংসা না করা ও সকল প্রাণীকে দয়া করা।
(ঘ) ব্রাহ্মণ, ভিক্ষু সকলকে দান দক্ষিণা করা।
(ঙ) অন্য ধর্মকে ঘৃণা না করা, অন্য ধর্মের মূল আদর্শসমূহকে শ্রদ্ধা করা।
প্রশ্ন ১৮। ধম্ম মহামাত্র কাদের বলা হত ?
উত্তরঃ ধম্ম মহামাত্রগণ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলােতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারক ছিলেন।
প্রশ্ন ১৯। সম্রাট অশােক সিংহলদ্বীপে (বর্তমান শ্রীলঙ্কা) কাদের পাঠিয়েছিল।
উত্তরঃ সম্রাট অশােক বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য পুত্র মহেন্দ্র এবং কন্যা সংঘমিত্রাকে সিংহল দ্বীপে পাঠিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ২০। তৃতীয় বৌদ্ধ সম্মেলনের পৃষ্ঠপােষক কে ছিলেন এবং কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
উত্তরঃ পৃষ্ঠপােষক ছিলেন সম্রাট অশােক এবং এই সম্মেলন পাটলিপুত্রে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রশ্ন ২১। আধুনিক কল্যাণকামী রাষ্ট্রের ধারণার প্রবর্তক কে ছিলেন ?
উত্তরঃ সম্রাট অশােক।
প্রশ্ন ২২। সম্রাট অশােককে ‘মহামতি অশােক আখ্যা দেওয়া হয়েছিল কেন ?
উত্তরঃ অশােক একজন বিখ্যাত বিজেতা, রাষ্ট্রনির্মাতা তথা রাজনীতিজ্ঞ ও সুশাসক ছিলেন। তিনি একাধারে সমাজ সংস্কারক ও দার্শনিক ছিলেন। তার ব্যবহার, চিন্তা-চৰ্চা, কাজ-কর্ম অতুলনীয় ছিল। এ জন্য সম্রাট অশােককে ‘মহামতি অশােক আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন ২২। বলাধ্যক্ষ কাকে বলা হত ?
উত্তরঃ সামরিক বিভাগ চালানাের জন্য অধ্যক্ষকে।
প্রশ্ন ২৩। নগরাধ্যক্ষ কাকে বলা হত ?
উত্তরঃ নগরের শাসন চালানাের, জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে নগরাধ্যক্ষ বলা হত।
প্রশ্ন ২৪। বণিক শ্রেণির দান দক্ষিণার কথা, কিসে লিপিবদ্ধ আছে ?
উত্তরঃ সাঁচী ভূপের লিপিতে।
প্রশ্ন ২৫। মেগাস্থিনিসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তরঃ মেগাস্থিনিস একজন বিদেশী পর্যটক ছিলেন। গ্রিক শাসক সেলুকাস মেগাস্থিনিসকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের কাজসভায় পাঠিয়ে ছিলেন। মেগাস্থিনিস ‘ইণ্ডিকা’ নামক পুস্তকটি লিখেছিলেন। এই পুস্তক থেকে মৌর্য সাম্রাজ্যের বিষয়ে অনেক তথ্য জানতে পারি।
প্রশ্ন ২৬। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে কোন্ কোন বিষয়ের উল্লেখ আছে ?
উত্তরঃ অর্থশাস্ত্রে মৌর্য শাসনকালের সময়ের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রতিরক্ষা ইত্যাদির কথা লেখা আছে। এই পুস্তকটিতে কোন কোন উৎস থেকে কর সংগ্রহ করা যাবে তারও উল্লেখ ছিল। কর সংগ্রহের উৎসগুলাে ছিল- মাটি বা ভূমি কর, জলসিঞ্চন কর, বর্জন সম্পদসমূহের কর, কারখানা থেকে উৎপাদিত সামগ্ৰীসমূহ থেকে কর ইত্যাদি।
প্রশ্ন ২৭। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য কখন মৌর্য সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ?
উত্তরঃ খ্রিঃ পূঃ ৩২৪-এ।
প্রশ্ন ২৮। সম্রাট অশােক কবে সিংহাসনে বসেছিলেন ?
উত্তরঃ খ্রিঃ পূঃ ২৭৩-এ।
প্রশ্ন ২৯। কৌটিল্য কতদিন মৌর্য সাম্রাজ্যের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছিলেন ?
উত্তরঃ মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যর দিন থেকে মৌর্য সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট বিন্দুসারের দিন পর্যন্ত।
প্রশ্ন ৩০। অশােক স্তম্ভে কয়টি সিংহের মূর্তি দেখতে পাওয়া যায় ?
উত্তরঃ চারটি।
প্রশ্ন ৩১। সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।
(ক) মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা।
(খ) মৌর্য সাম্রাজ্যের সমাজ ব্যবস্থা।
(গ) মৌর্য সাম্রাজ্যের শিল্প কলা।
উত্তরঃ (ক) মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থা- মৌর্য সম্রাটদের মধ্যে চন্দ্রগুপ্ত ও অশােক দুজনেই সুদক্ষ শাসক ছিলেন। মৌর্য শাসনব্যবস্থায় সম্রাটই সর্বেসবা ছিলেন কিন্তু স্বেচ্ছাচারী ছিলেন না। শাসনকার্য সুচারুরূপে পরিচালনা করার জন্য কয়েকটি বিভাগ ছিল। প্রতিটি বিভাগ পরিচালনা করার জন্য একজন করে অধ্যক্ষ নিয়ােগ করা হত।
(খ) মৌর্য সাম্রাজ্যের সমাজ ব্যবস্থা- মেগাস্থিনিসের ইন্ডিকা এবং কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র থেকে মৌর্য যুগের সামাজিক ব্যবস্থার কথা জানা যায়। মৌর্য যুগে চার বর্ণের প্রথা ছিল। সমাজে ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য সকলের প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছিল। বণিক প্রাধান্যবৃদ্ধি এই যুগের একটি উল্লেখনীয় পরিবর্তন ছিল। সাঁচী ক্রুপের লিপিতে বণিকশ্রেণীর দান-দক্ষিণার কথার উল্লেখ আছে। তখনও দাসপ্রথার প্রচলন ছিল। সমাজে মহিলাদের স্থান বিশেষ উচ্চে ছিল না।
(গ) মৌর্য যুগের শিল্পকলা- মৌর্যগণ ভারতে এক নিজস্ব শিল্পকলা ও ভাস্কর্যের নিদর্শন রেখে গেছে। সম্রাট অশােকের শিলা স্তম্ভ, সেখানে খােদিত করা লিপিসমূহ, স্থূপ, বৌদ্ধ বিহারসমূহ ও সারনাথের অশােক স্তম্ভ সেই সময়কার উন্নত শিল্পকলার এবং ভাস্কর্যের উৎকৃষ্ট নিদর্শন। ভূপসমূহের মধ্যে সাঁচীপ বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
প্রশ্ন ৩২। শূন্যস্থান পূরণ কর-
(ক) আমাদের জাতীয় পতাকার মধ্যে চক্রটিকে __________ বলা হয়।
উত্তরঃ অশােক চক্র।
(খ) মেগাস্থিনিস রচিত পুঁথির নাম __________।
উত্তরঃ ইন্ডিকা।
(গ) মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজধানীর নাম ছিল__________।
উত্তরঃ পাটলিপুত্র।
(ঘ) অশােক প্রায় __________ বৎসর রাজত্ব করেছিলেন।
উত্তরঃ ৪৩
(ঙ) সম্রাট অশােক __________ নামের সন্ন্যাসীর কাছ থেকে বৌদ্ধ ধর্মগ্রহণ করেন।
উত্তরঃ উপগুপ্ত।
(চ) অশােকের পুত্রের নাম __________ এবং কন্যার নাম __________।
উত্তরঃ মহেন্দ্র, সংঘমিত্রা।
(ছ) শ্রীলঙ্কার প্রাচীন নাম __________।
উত্তরঃ সিংহল।
(জ) সম্রাট অশােক আধুনিক __________ ধারণার প্রবর্তক ছিলেন।
উত্তরঃ কল্যাণকামী রাষ্ট্র।
প্রশ্ন ৩৩। দক্ষতামূলক কার্য।
(ক) অশােক স্তম্ভের চিত্র অঙ্কন কর।
উত্তরঃ পাঠ্যপুস্তক দেখে নিজে কর।
(খ) ভারতের জাতীয় পতাকা অঙ্কন করে অশােক চক্র দেখাও।
উত্তরঃ নিজেরা কর।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.