SEBA Class 7 Bengali Chapter 11 ভালো থেকো

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 7 Bengali Chapter 11 ভালো থেকো Question Answer As Per New Syllabus of SEBA Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 7 Bengali Chapter 11 ভালো থেকো Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 7 Bengali Chapter 11 ভালো থেকো Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 7 Bengali Chapter 11 ভালো থেকো Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF সপ্তম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 7 Bengali Chapter 11 ভালো থেকো

Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 7 Ankuran Chapter 11 ভালো থেকো Suggestions with you. SEBA Class 7 Bengali Chapter 11 ভালো থেকো I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 7 Ankuran Chapter 11 ভালো থেকো Question Answer. If you liked SEBA Class 7 Ankuran Chapter 11 ভালো থেকো Notes Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

ভালো থেকো

ক্রিয়াকলাপ

ক – পাঠভিত্তিক

১। নিজেরা পড়ো এবং বল।

২। (ক) কবি ‘ভালো থেকো’ কবিতাটিতে কোন ফুলকে ভালো থাকতে বলেছেন?

উত্তরঃ কবি ‘ভালো থেকো’ কবিতাটিতে মিষ্টি বকুল ফুলকে ভালো থাকতে বলেছেন।

(খ) ভাটিয়ালী বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ ভাটিয়ালী বলতে পল্লী বাংলার গানকে বোঝায়। যেই গান আমাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, মাটিকে ছুঁয়ে যায়।

(গ) কোন মাসের কোকিলকে কবি ভালো থাকতে বলেছেন?

উত্তরঃ ফাল্গুন-চৈত্র মাসের কোকিলকে কবি ভালো থাকতে বলেছেন।

(ঘ) কবিতাটিতে উল্লেখিত দুটি সবজির নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ কবিতাটিতে উল্লেখিত দুটি সবজির নাম লাউ এবং কুমড়ো।

(ঙ) ‘লাল ছেলেবেলা’ বলতে কী বোঝো?

উত্তরঃ ছেলেবেলায় মেলায় যাওয়া, ফুচকা খাওয়া, ঘুঘনি খাওয়া, নাগরদোলায় চড়া, এগুলোকেই কবি ‘লাল ছেলেবেলা’ বলে অভিহিত  করেছেন।

৩। অর্থ ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

ভালো থেকো মাঠ, রাখালের বাঁশি।

ভালো থেকো লাউ, কুমড়োর হাসি।

উত্তরঃ জননী বসুন্ধরা তাঁর কোলে অসংখ্য মানুষ ও বিচিত্র সব পশুপাখি নিয়ে বসে আছেন। সভ্য মানুষের জীবন ও পশুপাখির আরণ্যক জীবন স্বতন্ত্র হলেও দুয়ের মধ্যে অলক্ষে একটা নিবিড় যোগসূত্র রয়েছে। মানুষের প্রয়োজনে ও প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই সৃষ্টিকর্তা অসংখ্য পশুপাখি সৃষ্টি করেছেন। প্রকৃতিকে কেন্দ্র করে এই বিশ্বসংসারের সৃষ্টি। প্রকৃতির ভারসাম্য যদি নষ্ট হয় তবে সৃষ্টি আর সৃষ্টি থাকে না তা অনাসৃষ্টি হয়ে ওঠে। তাতে মানবসমাজেও সংকট ঘনিয়ে আসে।

দুঃখের বিষয় মানুষের হাতে প্রকৃতির ভারসাম্য আজ বিপর্যস্ত। প্রকৃতির উপর মানুষ দুর্বার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। যদি এই আক্রমণ প্রতিরোধ করে প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে না পারা যায় তবে পরিবেশহীন এই পৃথিবী মানুষের বাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে।

বর্তমানে দ্রুতহারে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মানুষ বন কেটে বসত বাড়ি তৈরি করতে গাছপালা কেটে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে এবং নির্বিচারে পশুহত্যা করে চলেছে। কিছু সংখ্যক মানুষ তাদের অদ্ভুত খেয়াল চরিতার্থ করার জন্য নির্বিচারে পশুপাখী শিকার করে চলেছে। প্রকৃতির উপর এই আগ্রাসন বন্ধ না করলে মানুষের জীবনে সাংঘাতিক বিপদ ঘনিয়ে আসবে।

S.L. No.সূচি পত্র
পাঠ -১গোষ্ঠযাত্রা – যাদবেন্দ্র
পাঠ -২জাতকের গল্প
পাঠ -৩পণ্ডিত আনন্দরাম বরুয়া
পাঠ -৪মাতৃপূজা
পাঠ -৫বিজ্ঞান ও আমাদের মানসিকতা
পাঠ -৬আশার আলো
পাঠ -৭পড়ার হিসাব
পাঠ -৮মিসাইল মানব
পাঠ -৯অসম
পাঠ -১০প্ৰত্যাহ্বান
পাঠ -১১ভালো থেকো
পাঠ -১২আমার ছেলেবেলা
পাঠ -১৩প্রাকৃতিক দুৰ্যোগ
পাঠ -১৪হে ভারতের শ্ৰমজীবি
পাঠ -১৫মালেগড়

৪। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) ভালো থেকো রে, ছোটো ____________।

উত্তরঃ ভালো থেকো রে, ছোটো ছোটো কুঁড়ে ঘর, ভালো থেকো

(খ) ভালো থেকো গাছ, ____________ ভালো থেকো।

উত্তরঃ ভালো থেকো গাছ, পুকুরের মাছ, ভালো থেকো।

(গ) ভালো থেকো বক, ____________,____________।

উত্তরঃ ভালো থেকো বক, আড়িয়ল , বিল

(ঘ) ভালো থেকো ____________,____________ কোকিল।

উত্তরঃ ভালো থেকো রোদ, মাঘের , কোকিল

(ঙ) ভালো থেকো মেলা, ____________,____________ থেকো।

উত্তরঃ ভালো থেকো মেলা, লাল ছেলেবেলা, ভালো থেকো।

৫। ভালো থেকো কবিতাটিতে পরিবেশ সচেতনতার যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা নিজের মতো করে উল্লেখ করো।

উত্তরঃ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে পরিবেশের অবদান অপরিসীম। যেদিন থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা মানুষের করায়ত্ত হয়েছে, সেদিন থেকেই প্রকৃতির ওপর শুরু হয়েছে অত্যাচার। দ্রুতহারে মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় জমির প্রয়োজন বেড়েছে। তখনই মানুষের হাতে অরণ্যের অবলুপ্তি ঘটেছে। মানুষ কেড়ে নিয়েছে পশুপাখীর আশ্রয়। গাছপালা উচ্ছেদের সাথে সাথে পশুপাখির শত শত প্রজাতি চিরতরে বিলুপ্ত হয়েছে।

বৃক্ষের সাথে মানুষের সম্পর্ক চিরদিনের। মানুষ তার সুদীর্ঘ জীবন কাটিয়েছে অরণ্যের আশ্রয়ে। বৃক্ষের ফল মূল জুগিয়েছে তার খাদ্য, বল্কল। পত্র দিয়েছে তার লজ্জা নিবারণের আবরণ, বৃক্ষের কোটরে পেয়েছে সে নিরাপদ বাসস্থান। বৃক্ষের নিকট মানুষ অশেষ ঋণী। এই কৃতজ্ঞতা বোধ থেকেই বোধ হয় একদিন মানুষ বৃক্ষকে দেবতার সম্মান দিয়েছিল। কিন্তু আধুনিক সভ্যতা মানুষ ও প্রকৃতির এই নিবিড় বন্টনকে ছিন্ন করেছে। সভ্যতার অঙ্গ হিসাবে প্রসারিত হয়েছে নগরজীবন। অরণ্যকে ধ্বংস করে গগনচুম্বী প্রাসাদ কংক্রিটে মোড়া পথঘাট গড়ে তুলেছে লোভী মানুষের দল। সেদিন থেকেই প্রকৃতির অভিশাপ বর্ষিত হয়েছে মানুষের জীবনে। প্রকৃতির সান্নিধ্যবিচ্যুত মানুষের জীবন ক্রমশ হয়ে উঠেছে তাপতপ্ত, রোগজীর্ণ, অশান্ত, রুক্ষ। তাই আজ মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে আবার অরণ্যে আকাঙ্ক্ষা- দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর।

খ- ভাষা অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

৬। পদ পরিবর্তন করো।

আকা, মাঠ, নীল, জল।

উত্তরঃ আকাশ – আকাশী। 

মাঠ – মেঠো।  

নীল – নীলাভ।  

জল – জলীয়।

৭। বিশেষ্য বা নামবাচক পদ বলতে কী বোঝো? কবিতাটিতে উল্লিখিত বিশেষ্য পদের উল্লেখ করো।

উত্তরঃ যে শব্দে কোনো ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, জাতি, গুণ, ধর্ম, অবস্থা কার্য সমষ্টির নাম বোঝায় তাকে বলে বিশেষ্য।

ভালো থেকো কবিতাটিতে বিশেষ্য পদ- ফুল, বকুল, মিষ্টি ধান, মেঘ, তারা, পাখি, কুড়ে ঘর, চিল, গাছ, মাছ, জল, নদী, কাক, মাঠ, রাখাল, লাউ কুমড়ো, গ্রাম, আম, কোকিল, বক, গাও, মেলা, ঘাস।

৮। বাক্য রচনা করো।

(ক) সবুজ পাতা- _______________।

(খ) নীল আকাশ- _______________।

(গ) শ্যামলা গাই- _______________।

(গ) কালো- _______________।

উত্তরঃ (ক) সবুজ পাতা- গাছটি সবুজ পাতায় ভর্তি

(খ) নীল আকাশ- পরিস্কার নীল আকাশ দেখতে ভালোলাগে

(গ) শ্যামলা গাই- মাঠে শ্যামলা গাই চরে বেড়াচ্ছে

(গ) কালো- আকাশে কালো মেঘ করেছে

গ – জ্ঞান সম্প্রসারণ

৯। তোমাদের চারপাশের পরিবেশ বৃক্ষছেদনের ফলে যেভাবে-দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে তা নিজের ভাষায় ব্যক্ত করো।

উত্তরঃ নগরকেন্দ্রিক পাশ্চাত্য সভ্যতার দিকে তাকিয়ে মানবতন্ত্রী মহাকবি রবীন্দ্রনাথের গভীর সমবেদনা প্রকাশ পেয়েছে। সভ্যতার সর্বগ্রাসী রূপ দেখে, অরণ্যের নির্বিচার ধ্বংস দেখে কবি বেদনাবোধ করেছেন। তিনি লিখেছিলেন, সেই বিপদ থেকে যদি আমরা নিজেদের বাঁচাতে চাই, তবে আবার আমাদের আহ্বান করতে হবে সেই ‘বরদাত্রী বনলক্ষ্মীকে’। আর এই লক্ষেই তিনি শুরু করেন ‘বৃক্ষরোপণ উৎসব’- বনমহোৎসব।

প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতার উচ্চতার আদর্শ ও জীবনচর্যার মধ্যে সমন্বয়সাধনের কথা কবি বারবার বলেছেন। আধুনিক বিজ্ঞানের শক্তি ও বিজ্ঞানাশ্রিত যন্ত্রসভ্যতাকে কবি অস্বীকার করেননি। তার প্রতিবাদ বিজ্ঞান ও যন্ত্রশক্তির অপব্যবহার সম্পর্কে। আধুনিক সভ্যতা বিজ্ঞানের সভ্যতা, যুক্তির সভ্যতা ও বুদ্ধির সভ্যতা। আধুনিক সভ্যতার অন্যতম অবদান অট্টালিকা ও কলকারখানাময় নগরজীবনের সৃষ্টি। একে কবি সানন্দস্বীকৃতি জানাতেন যদি এই সভ্যতার আদর্শ পরিপূর্ণ থাকত। কিন্তু আধুনিক নগর মানুষকে সংকীর্ণ স্বার্থপর ও বিষয়বস্তুলোভে জঘন্যভাবে আত্মম্ভরী ও ভোগপরায়ণ করে তুলেছে। আধুনিক নগরগুলিতে একদিকে রয়েছে শ্রমিক ও মালিকের বিদ্বেষ, সংঘর্ষ, অন্যদিকে বিশ্রী পরিবেশে অধিকাংশ শ্রমজীবীর দুর্বিসহ জীবনযাপন। পাশ্চাত্যের নাগরিক জীবনের বিষাক্ত বায়ু ভারতবর্ষের নাগরিক জীবনেও প্রবেশ করে পরিমণ্ডলকে দূষিত করে তুলেছে। নাগরিক জীবনে মানুষের চরিত্রের স্বরূপ হ’ল- ‘ইটের মধ্যে ইট মাঝে মানুষ কীট, নাইকো ভালোবাসা, নাইকো স্নেহ।’ প্রীতি, স্নেহ, সহৃদয়তা, সহানুভূতি ও মানবতাবিহীন নাগরিক জীবন নিতান্ত স্থূল, জড়, স্বার্থপর, আত্মপরায়ণ ও বস্তুলোভী। এরকম অবস্থায় নাগরিক জীবনের প্রতি কবির বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবেই।

প্রথম ধাপে কৃষিভিত্তিক গ্রামজীবন গড়ে ওঠে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস শুরু করল। গড়ে উঠল ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড় ছোটো ছোটো, গ্রামগুলি। কাল এগিয়ে চলল, যুগ থেকে যুগান্তরে মানুষে মানুষে নিবিড় ঐক্য, সহৃদয়তা ও আত্মিকতার বন্ধনে গ্রামীণ সভ্যতা সমৃদ্ধ হ’ল। সবুজ বন-বনানীতে ছাওয়া গ্রামের পর গ্রাম -সামনে ঢেউ-তোলা প্রান্তর। নির্মল উন্মুক্ত পরিবেশ। ধীরে ধীরে কাজে কর্মে, শিক্ষা ও ধর্মে গ্রামে গ্রামে যে নতুন জীবন গড়ে উঠল তা মানবিকতায় অকৃত্রিম, হৃদয়ধর্মে শুদ্ধ, আন্তরিকতায় উজ্জ্বল, পারস্পরিক সহযোগিতা ও নিবিড় ঐক্যবন্ধনে তা এক প্রাণবন্ত জীবনের ঐক্যতান। সেই গ্রামীণ জীবনধারাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ভারতীয় আরণ্যক সভ্যতা। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্ক, শান্ত রসাস্পদ জীবনযাত্রা ও আধ্যাত্মিক চেতনা- এই সমস্ত মিলে ভারতীয় সভ্যতার বৈশিষ্ট্য এবং তা আমাদের সংস্কৃতির অমূল্য সম্পদ।

শুধু ভারতবর্ষে নয়, কৃষিভিত্তিক এই গ্রামীণ সভ্যতা পৃথিবীর সর্বত্রই ইতিহাসের প্রথম পর্বে দেখা যায়। মিলন-মধুর হৃদয়ের প্রেমরাগরঞ্জিত গ্রামীণ সভ্যতা। ভারতবর্ষের সাধনা বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয় সৃষ্টির সাধনা, ভারতবর্ষ সকলকে প্রীতির মিলনসূত্রে এক করে নিয়েছে। সকলকে গ্রহণ করার সদাজাগ্রত ইচ্ছা ছিল গ্রামীণ জীবনে। ভারতীয় আরণ্যক সভ্যতার আদর্শ, বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ এই একই। ইতিমধ্যে ভারতীয় জীবনাদর্শে প্রচণ্ড আঘাত হানল পাশ্চাত্য সভ্যতা। বিজ্ঞানের সাহায্যে সেখানকার মানুষ যন্ত্র আবিষ্কার করল। অষ্টাদশ শতকের ইউরোপে শিল্পবিপ্লব জীবনের আমূল পরিবর্তন ঘটাল। প্রকৃতিকে জয় করল মানুষ। গড়ে উঠল যানবাহন। যোগাযোগ বা পরিবহনের সুযোগ-সুবিধা দেখা দিল। গড়ে উঠল অট্টালিকায় পরিপূর্ণ অজস্র নগর। ইউরোপ বিজ্ঞানশক্তির দ্বারা পৃথিবীকে জয় করল। দেশ দেশ নন্দিত করে সে তার জয়ধবজা প্রতিষ্ঠা করল। বিভিন্ন দেশে শিক্ষাদীক্ষা ও ব্যবসাবাণিজ্যের ছোটো-বড়ো অনেক শহর নগর গড়ে উঠল। শহরের আকর্ষণে মানুষ গ্রাম ছাড়ল। ধীরে ধীরে গ্রামগুলি নিঃস্ব হয়ে পড়ল। শহর ও গ্রামের মধ্যে ব্যবধান গড়ে উঠল। শান্তি, মৈত্রী ও মানবতার কবি রবীন্দ্রনাথ লক্ষ করেছেন পাশ্চাত্যের আমদানি করা নাগরিক সভ্যতা আমাদের হৃদয় শূন্য করে তুলেছে। মানুষ সেখানে হয়ে উঠেছে কৃত্রিম, আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর ও মনুষ্যত্বহীন। এর ফলে তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন নানাপ্রকার ছোটোবড়ো সংঘর্ষে ও বিরোধে লিপ্ত। এই জড় বিভ্রান্ত জীবনচর্যার মধ্যে জাতির সর্বাঙ্গীণ অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।

বিজ্ঞান আশ্রিত যান্ত্রিকতায় আমাদের দৃষ্টিবিভ্রম যেন না ঘটে, আমরা যন্ত্রচালিত না হয়ে যন্ত্রের চালক হই এবং মনুষ্যত্বের আদর্শ থেকে বিচ্যুত না হই, এসব ব্যাপারে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। পল্লী ও নগর কৃষি-সভ্যতা ও আধুনিক যন্ত্র-সভ্যতার মধ্যে মিলন ঘটানো প্রধান কথা। পাশ্চাত্যের একশ্রেণির মানুষ যন্ত্র-সভ্যতাভিমানী। লৌহলোষ্ট্র ইঁট দিয়ে তৈরি, উপকরণ-বাহুল্যের তৈরি নগরকে তারা পূর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মনে করে। তারা ভারতীয় আরণ্যক সভ্যতায় আদর্শকে তুচ্ছজ্ঞান করে। আধুনিক শিক্ষাদীক্ষায় অনগ্রসর গ্রামের মানুষকে তারা মানুষ জ্ঞান করে না। মনুষ্যত্বের থেকে ধনদৌলত ও উপকরণ-বাহুল্যকে তারা শ্রেষ্ঠ সম্পদ মনে করে। নগর-জীবনে স্বার্থ, বস্তুরাশি ও আড়ম্বর তৃপ্তি, শান্তি মানুষের হৃদয়কে নষ্ট করেছে। মনুষ্যত্বের আদর্শবিরোধী এই নাগরিক চেতনা যদি গ্রামে-গ্রামান্তরে ছড়িয়ে পড়ে, তবে ভারতীয় সভ্যতা ও সাংস্কৃতিক জীবনে চরম সংকট ঘনিয়ে আসবে। কবি আমাদের চৈতন্যের জাগরণ ও বুদ্ধির বিকাশে যখন ‘দাও ফিরে সে অরণ্য লও এ নগর’ -তখন তার অর্থ বর্তমান বৈজ্ঞানিক সভ্যতার যুগ পরিত্যাগ করে প্রাচীনকালের মতো অরণ্যে বসবাসের নির্দেশ দেন না।

কবি আধুনিক নাগরিক জীবনের কৃত্রিমতা, সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতা বর্জনের পক্ষপাতী। জীবনে ফিরিয়ে আনতে প্রয়াসী পল্লীর আন্তরিকতা, প্রীতি, পরিতৃপ্তি, মনুষ্যত্ব ও শান্তি। আধুনিক সভ্যতা বহিরঙ্গে যতই সাজসজ্জা পরুক না কেন, তার অন্তর রিক্ত, যেখানে মানবতা নেই, সেখানে সভ্যতা নেই। ইতিহাস কখনো পিছু হটে না। আধুনিক কালের মানুষ অরণ্যবাসী কদাচ হবেন না। মনে রাখতে হবে জীবনের ধর্ম ও মানবতার আদর্শ ধ্রুব ও চিরন্তন। প্রাচীন ও আধুনিক, পল্লী ও নাগরিক জীবনের সেতুবন্ধ রচিত হলেই এর চরম সার্থকতা।

১০। নিজে করো।

১১। নিজে করো। 

১২। নিজে করো।

১৩। নারকেল গাছ, ধান গাছ।

ঘ-প্রকল্প

১৪। নিজে করো।

১৫। গাছ সংরক্ষণের জন্য শ্লোগান

উত্তরঃ (ক) একটি গাছ একটি প্রাণ।

(খ) গাছ বাঁচাও প্রাণ বাঁচাও।

(গ) গাছ বাঁচলে পৃথিবী বাঁচবে। 

(ঘ) গাছ তোমার আমার সবার বন্ধু।

(ঙ) গাছ যত দিন আছে / পৃথিবী ততদিন আছে।

১৬। নিজে করো।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস – বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রতিবছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মউদ্যোগে ও জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত দিবস। এই দিনটিতেই জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স শুরু হয়েছিল। এই কনফারেন্স হয়েছিল ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৫ থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত। এই কনফারেন্স ঐ বছরই চালু করেছিল জাতিসংঘের সাধারণ সভা। তখন থেকেই প্রতিবছর এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি প্রথম পালিত হয় ১৯৭৪ খ্রিঃ। ২০১৮ সালে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের আহ্বানে বিট প্লাস্টিক পলিউশন প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়।

১৯৬৮ সালের ২০ মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় সুইডেন সরকার। চিঠির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাদের গভীর উদ্বেগের কথা। সে বছরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলোচ্য সূচীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরের বছর জাতিসংঘের পদ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানের উপায় খুঁজতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সম্মতিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালের ৫ থেকে ১৬ জুন জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনটি ইতিহাসের প্রথম পরিবেশ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্বীকৃতি পায়।

ব্যাকরণ

বচন- যার দ্বারা বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়, তাকে বচন বলে। বচন শব্দের সাধারণ অর্থ- বলা বা উক্তি। কিন্তু বাংলা ব্যাকরণে বচন শব্দটি বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের একত্ব বা বহুত্ব বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। এক-সংখ্যক বিশেষ্য বা সর্বনাম বোঝাতে একবচন এবং একের অধিক সংখ্যক কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম বোঝাতে বহুবচন ব্যবহৃত হয়। যেমন- আমাকে একটি ফুল দাও। আমাকে ফুলগুলি দাও। বাক্য দুটিতে একটি ফুল একবচন, কারণ একটি ফুলের সংখ্যা বোঝাচ্ছে; ফুলগুলি বহুবচন, কারণ এক সংখ্যার বেশি ফুল বোঝাচ্ছে।

বাংলা ভাষায় বচন দু-রকমের। একবচন ও বহুবচন।

একবচন- (ক) বিশেষ্য পদ বা সর্বনাম পদের এক বচন বোঝাতে বাংলায় পৃথক কোনো প্রত্যয় বা শব্দ ব্যবহৃত হয় না। বিশেষ্য বা সর্বনামের মূল শব্দটিই এক বচনের হয়। যেমন- ছেলে, ছাত্র, গোরু, গাছ, তুমি, সে ইত্যাদি।

(খ) বিশেষ্য পদের পরে টি, টা, খানা, খানি, গাছা, গাছি যোগ করে অথবা কখনও বিশেষ্য পদের আগে একটা, একটি, একগাছা, একগাছি ইত্যাদি ব্যবহার করে একবচন (একসংখ্যা) প্রকাশ করা হয়। যেমন- কলমটা দাও। একখানা বই আনো। একটি ফুল। একগাছা চুড়ি।

টি, টা, খানা, খানি প্রভৃতি একবচনের চিহ্ন হলেও সংখ্যাবাচক দুই, তিন, চার ইত্যাদি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বহুবচন গঠন করা যায়। যেমন- তিনটে শালিক। দুইখানা করে আনে। তোমার ভাইদুটি তো বেশ।

বহুবচন গঠনের নিয়ম

১। রা, এরা, ওরা, গুলি, গুলো ইত্যাদি বিভক্তি ও প্রত্যয় যোগ করে বহুবচন করা যায়। যেমন- ছেলেরা খেলছে। ‘ওরা অকারণে চঞ্চল’। ‘গানগুলি মোর শৈবালেরই দল।’ এরা বাসা বাঁধে না। এদের সাথে ওদের কোনো সম্পর্ক নেই। ‘কুকুরগুলো শুঁকছে ধুলো।’ সাধু ভাষায় -দিগের, দিগকে। যেমন- ছাত্রদিগের আবেদনে বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা হইয়াছে। পুলিশদিগের উপর আস্থা রাখিবার উপায় নাই।

২। প্রাণীবাচক শব্দের শেষে বহুবচন-বোধক শব্দ যোগ করে- সমূহ, বৃন্দ, গণ, কুল, দল, বর্গ, মণ্ডলী, গোষ্ঠী, মহল ইত্যাদি শব্দ সাধারণত তৎসম শব্দের সঙ্গে সাধুভাষায় প্রয়োগ হয়। যেমন- প্রজাবৃন্দ, নেতৃবর্গ, যন্ত্রসমূহ, তারকারাজি, বস্তুপুঞ্জ ইত্যাদি। তবে, আজকাল চলিত বাংলাতেও এইসব বহুবচন-বোধক শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন – এবার কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। ঝাড়খণ্ড সরকারের মন্ত্রীমণ্ডলী পদত্যাগ করেছেন। আমার বন্ধুমহলে একটাও বাজে ছেলে নেই। বন্ধুগণ, আপনারা বসুন। বাদ্যবৃন্দ একযোগে বেজে উঠল। এমন আত্মত্যাগ মনুষ্যকুলে দেখা যায় না।

৩। অপ্রাণীবাচক শব্দের সঙ্গে পুঞ্জ, রাশি, মালা, গুচ্ছ, দাম রাজি, আদি, আবলি, শ্রেণি ইত্যাদি শব্দ যোগে বহুবচন হয়। যেমন- মেঘপুঞ্জ, পর্বতমালা, রত্নরাজি, পুষ্পগুচ্ছ, মেঘরাশি, কবিতাবলি, পর্বতশ্রেণি, কেশদাম প্রভৃতি।

এখন রবীন্দ্ররচনাবলি সর্বত্রই পাওয়া যাচ্ছে। ভারতের উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা শোভা বিস্তার করে আছে। এবার রোগীকে পথ্যাদি খাওয়ানো দরকার। তোমার হাতের পুষ্পগুচ্ছ আসল না নকল?

৪। প্রাণী ও অপ্রাণীবাচক শব্দের সঙ্গে সব, সমুদয়, সকল, শ্রেণি, সমূহ ইত্যাদি শব্দ যোগ করে বহুবচন করা যায়। যেমন- লোকসকল, কৃষকশ্রেণি, পাখিসব, লিপিসমুদয় ইত্যাদি।

‘পাখিসব করে রব রাতি পোহাইল।’ আমাদের দেশের কৃষকশ্রেণির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। রবীন্দ্রনাথের অঙ্কিত চিত্রসমূহ আজকাল সহজলভ্য।

৫। বিশেষ্য পদের পূর্বে বহুবচন-বোধক বিশেষণ পদ। যেমন- বহু, অনেক, বিস্তর, সব, অসংখ্য, অজস্র প্রভৃতি যোগ করে বহুবচন করা যায়। যেমন- বহুলোক, অসংখ্য, পাখি, বিস্তর সৈন্য। ‘অনেক কথা বলেছিলেম……। ‘সব লোকে কয়…।’ ‘বহু যুগের ওপার হতে আষাঢ় এল…।’

৬। বিশেষ্য বা বিশেষণকে দু-বার করে ব্যবহার করে বহুবচন বোঝানো যায়। যেমন- কত মধুর গানে গানে…’। কালো কালো মেঘ। দেশ দেশ নন্দিত করি…। কালে কালে কতই না দেখব।

৭। যুগ্মশব্দ ব্যবহার করেও বহুবচন প্রকাশ করা যায়। যেমন- টাকাকড়ি, বন্ধুবান্ধব, কাপড়চোপড়, মণ্ডামিঠাই ইত্যাদি।

৮। জাতি বা শ্রেণি বোঝাতে একবচনের রূপ, কিন্তু বহুবচন অর্থে প্রকাশ। যেমন- ভারতের লোককে ভারতীয় বলে (লোকেদের)। পাগলে কিনা বলে (পাগলেরা)। মানুষ মরণশীল (মনুষ্যসকল)।

৯। শব্দের আগে বা পরে সংখ্যাবাচক শব্দ যোগ করে বহুবচন করা যায়। যেমন- সাত সাগর আর তেরো নদীর পারে…। সপ্ত সিন্ধু, দশ দিগন্ত, দুটো ভাত দেবে মা। গোটা দশেক মেঠাই এনো।

১০। পাশাপাশি দু-বার সর্বনাম প্রয়োগ করে রহুবচন হয়। যেমন- যে যে বই আননি উঠে দাঁড়াও। কে কে যাবে হাত তোলো। যা যা বলেছি তাই করবে।

১১। ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য পদ অনেক সময় বহু বচন রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- সব দেশেই মিরজাফর আছে (মিরজাফরদের মতো বিশ্বাসঘাতক)।  বোসেদের তালপুকুরে…(এখানে বোস পরিবারের সকলকে বোঝাচ্ছে)।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top