SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু Question Answer As Per New Syllabus of SEBA ক্লাস 8 বাংলা প্রশ্ন উত্তর Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ প্রশ্ন উত্তর I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু

Today’s We have Shared in This Post অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু Notes with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু Solutions. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 11 উপমন্যু Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

উপমন্যু

ক্রিয়াকলাপ

ক — পাঠভিত্তিক

প্রশ্ন ১। পাঠটি শ্রেণিতে এক একজন করে পাঁচটি বাক্য স্পষ্ট উচ্চারণ দর করে জোরে জোরে পড়বে। যখন একজন পড়বে বাকিরা মন দিয়ে শুনবে। দর শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রী পড়ার সময় পাঠটি বুঝিয়ে দেবেন।

উত্তরঃ নিজেরা চেষ্টা করো।

প্রশ্ন ২। উত্তর বলো ও লেখো।

(ক) উপমন্যু চরিত্র আলোচনা করে তার চরিত্রে কী কী শিক্ষণীয় আছে লিপিবদ্ধ করো।

উত্তরঃ উপমন্যুর চরিত্রে কষ্টসহিষ্ণুতা, সত্যবাদিতা ও গুরুর প্রতি অবিচল ভক্তি নিষ্ঠার পরিচয় মেলে। সে গুরুগৃহে বিদ্যাশিক্ষার জন্য এসেছিল; গুরু তাকে গোরক্ষা ও গোচারণের দায়িত্ব দিলে সে নিষ্ঠার সাথে গুরুর আদেশ অনুযায়ী আপনার কর্তব্য পালন করেছিল। তারপর গুরু তাকে পরীক্ষা করতে প্রথমে ভিক্ষার অন্ন সমস্তই সমর্পণ করতে এবং তারপর একে একে দ্বিতীয়বার ভিক্ষা, গাভীদের দুগ্ধপান এবং বাছুরদের মুখনিঃসৃত ফেনা পান করতেও নিষেধ করলেন। সত্যবাদী উপমন্যু প্রতিবারেই গুরুর নিকট সত্য কথা বলেছে, নিজের আহারের সুযোগ করতে একবারও গুরুর নিকট মিথ্যা কথা বলেনি, অথবা কোনোরূপ প্রতারণার আশ্রয়ও নেয়নি; এই সরলতা ও সত্যবাদিতা তার চরিত্রের দুইটি মহৎ গুণ। কিন্তু তার চরিত্রের যে গুণটি পাঠে সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল হয়ে ফুটে উঠেছে তা হল গুরুর প্রতি তার অবিচল নিষ্ঠা ও ভক্তি। গুরু একের পর এক তার আহার নিষেধ করেছেন; উপমন্যু বিনাবাক্যে সেই আদেশ পালন করেছে, কিন্তু একবারও গুরুর আচরণের প্রতিবাদ করেনি, ন্যায়-অন্যায় বিচারও করেনি। অবশেষে ক্ষুধায় কাতর হয়ে আকন্দ পাতা খেয়ে অন্ধ হয়ে সে কূপে পতিত হবার পরও সে গুরুর নিকট কোনো অভিযোগ করেনি। বরং গুরুর নির্দেশে অশ্বিনীকুমারদের স্তবে সন্তুষ্ট করেছে। অশ্বিনীকুমারদ্বয় সন্তুষ্ট হয়ে তাকে অপুপ ভক্ষণ করতে দেবার পরও সে জানিয়েছে যে, গুরুর নিকট নিবেদন না করে সে অপুপ ভক্ষণ করতে পারবে না। 

অশ্বিনীকুমারেরা বললেন, তাঁরা তার গুরুকেও একবার পিঠা দিয়েছিলেন এবং তিনি গুরুকে নিবেদন না করেই তা খেয়েছিলেন; সুতরাং উপমন্যুও গুরুর কার্য অনুসরণ করতে পারে।তবুও উপমন্যু বিনয়ের সঙ্গে অশ্বিনীকুমারদের নিকট প্রার্থনা করে বলল যে, সে গুরুকে না জানিয়ে পিঠা খেতে পারবে না। যে-গুরু আহার বন্ধ করে তার ক্লেশ ও অন্ধত্বের কারণ হয়েছেন, তাঁর প্রতি এইরূপ ভক্তি ও অবিচলিত নিষ্ঠা উপমন্যুর চরিত্রকে এক দুর্লভ মহিমা দান করেছে। অশ্বিনীকুমারেরা তাই সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়ে হিরন্ময় দত্ত ও শ্রেয়ঃ লাভের বর দিয়েছিলেন। গুরুও শিষ্যকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখে সন্তুষ্ট হয়ে সর্ব ধর্মশাস্ত্র লাভের আশীর্বাদ করেছিলেন। উপমন্যুর চরিত্রে এই গুরুভক্তি, সত্যবাদিতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা আমাদের সকলের শিক্ষণীয়, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।

(খ) উপাধ্যায় যখন গোরু চরানোর সময় উপমন্যুকে সকল প্রকার আহার বারণ করলেন তখন উপমন্যু কী খেয়েছিলেন? এর পরিণতি কী  দাঁড়িয়েছিল? উপমন্যু অন্ধত্ব থেকে কীভাবে মুক্তি পেয়েছিলেন?

উত্তরঃ গরু চরানোর সময় উপাধ্যায় একে একে উপমন্যুর খাদ্য সংগ্রহের সকল প্রকার উপায়ই নিষেধ করলেন। ভিক্ষান্ন গ্রহণ, দ্বিতীয়বার ভিক্ষা করা, গাভীর দুধ পান করা, এমনকি বাছুরের দুধ পানের সময় মুখে বের হওয়া ফেনাটুকু পান করতেও নিষেধ করলেন, ফলে গুরুভক্ত উপমন্যু গুরুর আদেশ পালন। করতে গিয়ে অনাহারে খিদেয় অত্যন্ত কাতর হলেন এবং বনের মধ্যে আকন্দ গাছ দেখে তার পাতা খেয়ে খিদে নিবারণ করার চেষ্টা করেন।

এর পরিণতিতে উপমন্যুর চোখের দোষ হয়ে অন্ধ হল এবং বনের মধ্যে এক কূপের মধ্যে পড়ে গেল। উপমন্যু অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছিল অশ্বিনীকুমারদের কৃপায়। অন্ধ হয়ে কূপে পড়ে যাওয়ায় উপমন্যু গুরুগৃহে ফিরতে পারেনি। সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর উপমন্যু ফিরে না আসায় গুরু আয়োদধৌম্য চিন্তিত হয়ে শিষ্যদের সঙ্গে উপমন্যুর খোঁজ করতে আসেন। বনের কূপে পতিত উপমন্যুর অবস্থা জানতে পেরে তিনি উপমন্যুকে দেববৈদ্য অশ্বিনীকুমার-দ্বয়ের স্তব করতে বলেন। উপমন্যু ঋগ্বেদের বাক্য দ্বারা অশ্বিনীকুমার দ্বয়ের স্তব করেন। তাঁরা সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে একটি পিঠে খেতে দেন। উপমন্যু গুরুকে নিবেদন না করে পিঠে খেতে অরাজি হয়। তার এই গুরুভক্তিতে প্রীত হয়ে অশ্বিনীকুমারেরা তাকে পুনরায় চক্ষুস্মান করেন ও অন্ধত্ব থেকে মুক্তি দেন।

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

(গ) অশ্বিনীকুমার উপমন্যুকে পিঠা খেতে দিলে উপমন্যু কী বলেছিলেন ? এতে খুশি হয়ে অশ্বিনীকুমারদ্বয় তাকে কী আশীর্বাদ করেছিলেন?

উত্তরঃ অশ্বিনীকুমারেরা উপমন্যুকে পিঠে খেতে দিলে উপমন্যু বললে যে তাঁরা যা বলেন তার অন্যথা হয় না, কিন্তু সে গুরুর কাছে নিবেদন না করে পিঠে খেতে পারে না। এতে অশ্বিনীকুমারেরা জানান যে পূর্বে উপমন্যুর গুরুকেও তারা পিঠে দিয়েছিলেন এবং তিনি গুরুকে নিবেদন না করে তা খেয়েছিলেন। সুতরাং উপমন্যু সেরূপ করতে পারে। উপমন্যু একথা শুনে বিনয় সহকারে তাদের কাছে প্রার্থনা করে বলে যে তিনি গুরুদেবকে না জানিয়ে পিঠে খেতে পারবে না।

এতে খুশি হয়ে অশ্বিনীকুমারদ্বয় উপমন্যুকে আশীর্বাদ করে দিলেন যে তার দাঁত হিরন্ময় হবে এবং চোখের দৃষ্টি ফিরে পাবে।

(ঘ) আয়োদধৌম্য উপমন্যুকে কীভাবে পরীক্ষা করেছিলেন? পরীক্ষায় উপমন্যু সাফল্য লাভ করেছিলেন কী?

উত্তরঃ আয়োদধৌম্য উপমন্যুকে পরীক্ষা করার জন্য তাকে গোরুদের দেখাশোনা ও গোচারণের আদেশ দিয়েছিলেন। তারপর গোচারণের সময় উপমন্যু কি খাদ্য গ্রহণ করে তা জিজ্ঞাসা করে একে একে তার খাদ্যের সমস্ত উপায়ই নিষেধ করলেন। প্রথমে তিনি ভিক্ষার সমস্ত অন্ন তাকে দিয়ে দিতে এবং না জানিয়ে ভিক্ষান্ন গ্রহণ করতে নিষেধ করলেন। তারপর উপমন্যু দ্বিতীয়বার ভিক্ষা গ্রহণ করে জেনে তাও নিষেধ করলেন। এর পরে গাভীর দুগ্ধ পান করা, এমনকি বাছুরদের মুখ থেকে নির্গত ফেনা পান করতেও নিষেধ করে দেন। এইভাবে খাবারের সমস্ত উপায় বন্ধ করে দিয়ে আয়োদধৌম্য উপমন্যুকে পরীক্ষা করেছিলেন।

হ্যাঁ, পরীক্ষায় উপমন্যু সাফল্য লাভ করেছিল। গুরু যা নিষেধ করেছিলেন, উপমন্যু সেই আদেশ মেনে চলে অনাহারে কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু গুরুর আদেশ অমান্য না করে বা ছলনার আশ্রয় সে নেয়নি। ক্ষুধায় কাতর হয়ে অকপর ভক্ষণ করে উপমন্যু অন্ধ হয়ে কূপে পতিত হয়েছিল; তবুও অশ্বিনীকুমারেরা পিঠা খেতে দিলে গুরুর নিকট নিবেদন না করে সেটা খেতে রাজী হয়নি। এইভাবে চরম দুঃখের মধ্যেও গুরুর প্রতি অবিচলিত ভক্তির পরিচয় দিয়ে উপমন্যু পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছিল।

প্রশ্ন ৩। পাঠের কঠিন শব্দের অর্থ শব্দ-সন্তার অথবা অভিধান থেকে শিখে নাও।

উত্তরঃ উপমন্যু- গুরু আয়োদধৌম্যের শিষ্য। 

প্রত্যাগমণপূর্বক- ফিরে এসে। 

অবলোকন- দেখা। 

সমভিব্যহারে- সাথে। 

কুপিত- ক্রুদ্ধ। 

বৃত্তি- পেশা/ জীবিকা। 

অনুকম্পা- দয়া, অনুগ্রহ। 

সংগৃহীত- সংগ্রহ করা। 

ভিক্ষাজীবী- ভিক্ষাকে জীবিকা করা। 

আদ্যোপান্ত- আগাগোড়া।

প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ অংশ চিহ্নিত করো।

(ক) উপমন্যু আয়োদধৌম্যের উপাধ্যায়/শিক্ষক/শিষ্য ছিলেন।

উত্তরঃ শিষ্য ছিলেন [শুদ্ধ]।

(খ) আকন্দ পাতা খেয়ে অন্ধ হয়ে উপমন্যু কূপে পতিত/কুপিত/ চক্ষুষ্মান হয়েছিলেন।

উত্তরঃ পতিত [শুদ্ধ]।

(গ) উপমন্যু উপাধ্যায়ের আদেশ অনুসারে গীতা/ সামবেদ/ঋগ্বেদ বাক্যদ্বারা অশ্বিনীকুমারদ্বয়ের স্তব আরম্ভ করলেন।

উত্তরঃ ঋগ্বেদ [শুদ্ধ]।

(ঘ) অশ্বিনীকুমারদ্বয় উপমন্যুর স্তবে সন্তুষ্ট হয়ে তাঁকে অপূপ, অর্থাৎ গোবর/ পিঠা/ এক জাতের ফল খেতে দিয়েছিলেন।

উত্তরঃ অপূপ অর্থাৎ গোবর [শুদ্ধ]

(ঙ) অশ্বিনীকুমারদ্বয় দেববৈদ্য অর্থাৎ দেবতাদের, শিক্ষক/ সেনাপতি/ কবিরাজ ছিলেন।

উত্তরঃ কবিরাজ [শুদ্ধ]।

খ – ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

☐ জেনে নাও।

বাংলা ভাষাকে সাধারণত দুইভাগে ভাগ করা যায়- মৌখিক এবং লৈখিক। লোক মুখে প্রচলিত কথাবার্তায় যে ভাষা প্রয়োগ করা হয় তা-ই মৌখিক ভাষা। আবার সাহিত্যে যে ভাষার ব্যবহার করা যায় তাকে লৈখিক ভাষা বলে। লৈখিক ভাষাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়- সাধু ভাষা ও চলিত ভাষা।
এবার সাধু ভাষা থেকে চলিত ভাষায় রূপান্তর লক্ষ করো। 
সাধু ভাষা- “পরদিবস প্রাতঃকালে সেই পর্বতশ্রেণির মধ্যে যে পর্বত বনাকীর্ণ, সেই পর্বতের পথ দিয়া নিম্নে পদব্রজেই অবরোহণ করিতে লাগিলাম।”
চলিত ভাষা- “পরের দিন ভোরবেলায় সেই পাহাড়ের সারির মধ্যে যে পাহাড় বনে ঢাকা, সেই পাহাড়ের পথ দিয়ে নীচে পায়ে হেঁটেই নামতে লাগলাম।”

প্রশ্ন ৫। নীচে সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য বুঝে নাও।

উদাহরণ – সর্প – সাপ

হস্ত –

কৃষ্ণ – 

রাত্রি –

চক্ষু –

দুগ্ধ –

উত্তরঃ সর্প – সাপ।

হস্ত – হাত।

কৃষ্ণ – কালো।

রাত্রি – রাত।

চক্ষু – চোখ।

দুগ্ধ – দুধ।

প্রশ্ন ৬। চলিত ও সাধু ভাষায় সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়াপদের ব্যবহার বুঝে নিয়ে চলিত ভাষায় লেখো।

সমাপিকা ক্রিয়া       

যেমন- করিতেছে – করছে

করিয়াছে ………………..

করিলাম ………………..

করিতাম ………………..

করিবে ………………..

অসমাপিকা ক্রিয়া

যেমন- পড়িয়া – পড়ে

চলিতে ………………..

বলিবার ………………..

ধরিবার ………………..

করিবার ………………..

উত্তরঃ 

সমাপিকা ক্রিয়া       

যেমন- করিতেছে – করছে

করিয়াছে – করেছে

করিলাম – করলাম

করিতাম – করতাম

করিবে – করবে

অসমাপিকা ক্রিয়া

যেমন- পড়িয়া – পড়ে

চলিতে – চলতে

বলিবার – বলবার

ধরিবার – ধরবার

করিবার – করবার

প্রশ্ন ৭। সর্বনাম পদেও সাধু ও চলিতের মধ্যে পার্থক্য সহজেই চোখে পড়ে, নীচের সর্বনাম পদগুলো চলিত ভাষায় লেখো।

তাহারা – তারা

যাহারা – ………………

কাহারা – ………………

তাহার – ………………..

যাহার – ………………. 

এই – ………………..

মনে রাখবে সাহিত্য বা কথোপকথনে সাধু এবং চলিত ভাষার মিশ্রণ সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করা উচিত।

উত্তরঃ তাহারা – তারা

যাহারা – যারা

কাহারা – কারা

তাহার – তার

যাহার – যার

এই – এই

প্রশ্ন ৮। নিম্নলিখিত বাক্যগুলো শুদ্ধরূপে লেখো।

(ক) আমি যখন যাইতেছিলাম তখন সে বাঁশি বাজাচ্ছিল।

(খ) সে পড়িতে বসিয়াই কাঁদতে শুরু করল।

(গ) তাঁহার কথা মন দিয়ে শুনবে।

(ঘ) আমি খেতে গিয়ে জিনিসটি লক্ষ করিলাম।

উত্তরঃ (ক) আমি যখন যাইতেছিলাম তখন সে বাঁশী বাজাইতেছিল।

(খ) সে পড়িতে বসিয়াই কাঁদিতে শুরু করিল।

(গ) তাঁহার কথা মন দিয়ে শুনিবে।

(ঘ) আমি খাইতে যাইয়া জিনিসটি লক্ষ করিলাম।

প্রশ্ন ৯। বিপরীতার্থক শব্দ লেখো।

শিষ্য ………………..

সুশীল ………………

স্থূলকায় ……………..

অধিক …………….

গ্রহণ ………………

প্রস্থান ………………

আহার ……………..

উচ্চৈঃস্বরে ………………

উত্তরঃ শিষ্য – গুরু

স্থূলকায় – শীর্ণকায়

গ্রহণ – বর্জন

আহার – অনাহার

সুশীল – খারাপ

অধিক – কম

প্রস্থান – গমন

উচ্চৈঃস্বরে – নিচুস্বরে

প্রশ্ন ১০। অর্থের পার্থক্য দেখিয়ে বাক্য রচনা করো।

আদেশ ………………………………….

আদিষ্ট …………………………………

কূপ …………………………………

কুপিত …………………………………

উত্তরঃ আদেশ- গুরু শিষ্যকে আদেশ দিচ্ছেন

আদিষ্ট- আমি শিক্ষকের দ্বারা আদিষ্ট হলাম

কূপ- যদুবাবুর বাড়িতে কূপ খনন হয়েছে

কুপিত- শিক্ষক ছাত্রের উপর কুপিত হয়েছিলেন

প্রশ্ন ১১। অশুদ্ধ সংশোধন করো।

প্রেরন ………………..

বিলক্ষন ………………..

বাক্যনুসারে ………………..

সুশিল ………………..

স্থূল ………………..

প্রদাণ ………………..

আদিস্ট ………………..

অপুপ ………………..

জিবীকা ………………..

অন্বেষণ ………………..

উত্তরঃ প্রেরন – প্রেরণ

বিলক্ষন – বিলক্ষণ

বাক্যনুসারে – বাক্যানুসারে

সুশিল – সুশীল

স্থুল – স্থুল

প্রদাণ – প্রদান

আদিস্ট – আদিষ্ট

অপুপ – অপূপ

জিবীকা – জীবিকা

অন্বেষন – অন্বেষণ

প্রশ্ন ১২। সন্ধি-বিচ্ছেদ করো।

বাক্যানুসারে, প্রত্যাগমন, ভিক্ষান্ন, পুরোভাগ, অস্তাচল, প্রত্যাগত, অন্বেষণ, আদ্যোপান্ত।

উত্তরঃ বাক্যানুসারে- বাক্য + অনুসারে।

প্রত্যাগমন- প্রতি + আগমন।

ভিক্ষান্ন- ভিক্ষা + অন্ন।

পুরোভাগ- পুরো + ভাগ।

অস্তাচল- অস্ত + আঁচল।

প্রত্যাগত- প্রতি + আগত।

অন্বেষণ- অনু + এষণ।

আদ্যোপান্ত- আদি + উপাত্ত।

প্রশ্ন ১৩। কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।

(ক) আমি ভিক্ষালব্ধ অন্ন দ্বারা উদরপূর্তি করি।

(খ) উপমন্যু আর এইরূপ করিব না বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিল।

(গ) তোমার ফেন পান করা উচিত নহে।

(ঘ) তোমার দত্ত সকল হিরন্ময় হইবে।

উত্তরঃ (ক) অপাদান- পঞ্চমী বিভক্তি।

(খ) কর্তৃকারক- প্রথমা বিভক্তি।

(গ) কর্মকারক- দ্বিতীয়া বিভক্তি।

(ঘ) কর্তৃকারক- প্রথমা বিভক্তি।

প্রশ্ন ১৪। নীচের বাক্যগুলো পড়ে বাক্যের প্রকার বুঝে নাও।

(ক) উপমন্যু গোরক্ষা করিতে লাগিলেন।

(খ) উপমন্যু ভিক্ষা করিও না।

যে বাক্যে একটি মাত্র কর্তা (উদ্দেশ্য) এবং একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া (বিধেয়) থাকে তাকে সরল বাক্য বলে।

(গ) যে পরিশ্রম করে সে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়।

(ঘ) সে যে ক্ষুধার্ত তা তার মুখ দেখেই বোঝা যায়।

দুটি খণ্ড বাক্য সংযুক্ত হয়ে যে একটি পূর্ণ বাক্য গঠিত হয় তাকে জটিল বা মিশ্র বাক্য বলে।

(ঙ) তিনি না খেয়ে থাকবেন, তবু ভিক্ষা করবেন না।

(চ) আমি বাজারে গেলাম ও মাছ-সব্জি কিনলাম।

পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা অধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।

প্রশ্ন ১৫। এবার বাক্যের প্রতিটি প্রকারের একটি করে উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ সরল বাক্য- কৌস্তভ পড়া শেখেনি।

যৌগিক বাক্য- মেয়েটি সম্পর্কে সতর্ক থেকো, নতুবা ভীষণ বিপদে পড়বে।

জটিল বাক্য- যাঁরা বৈজ্ঞানিক তাঁরা নাকি ভূত মানেন না।

গ – জ্ঞান সম্প্রসারণ

ロ এসো, জানি

আয়োদধৌম্য- প্রাচীন ভারতের অন্যতম ঋষি। আরুণি, উপমন্যু এবং বেদ নামক তাঁর তিনজন বিখ্যাত শিষ্য ছিলেন।
অশ্বিনীদ্বয়- স্বর্গের যমজ চিকিৎসক। তাঁরা সূর্যের পুত্র ছিলেন। অশ্বিনীকুমার দুজন ‘চিকিৎসার সার-তন্ত্র’ নামক একখানি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।
বেদ চারভাগে বিভক্ত- ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ, অথর্ববেদ।
ঋগ্বেদ – প্রাচীনতম বেদ। এই গ্রন্থে প্রাচীন আর্য ঋষিদের ইন্দ্র আদি দেবগণের উদ্দেশে স্তুতির জন্য রচিত শ্লোকসমূহ স্থান পেয়েছে। এই শ্লোকগুলোর মধ্যে প্রাচীন ভারতের রীতি-নীতি, আচার ব্যবহার সম্বন্ধেও আভাস পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ১৬। নীচের অনুচ্ছেদটি চলিত ভাষায় লেখো।

মনুষ্যেরা ফলমূল, লতাগুল্মাদি ভোজন করে বটে, কিন্তু ঘাস খায় কি না, বলিতে পারি না। কখনও কোনো মনুষ্যকে ঘাস খাইতে দেখি নাই। কিন্তু এ বিষয়ে আমার সংশয় আছে। মনুষ্যেরা বহু যত্নে আপন উদ্যানে ঘাস তৈয়ার করে। আমার বিবেচনায় উহারা ঘাস খাইয়া থাকে। নতুবা ঘাসে তাহাদের এত যত্ন কেন?

উত্তরঃ মনুষ্যেরা ফলমূল, লতা গুল্মাদি ভোজন করে বটে, কিন্তু ঘাস খায় কি না, বলতে পারি না। কখনও কোনো মনুষ্যকে ঘাস খেতে দেখিনি। কিন্তু এ বিষয়ে আমার সংশয় আছে। মনুষ্যেরা বহু যত্নে আপন উদ্যানে ঘাস তৈরি করে। আমার বিবেচনায় তারা ঘাস খেয়ে থাকে। নতুবা ঘাসে তাদের এত যত্ন। কেন?

ঘ-প্রকল্প

প্রশ্ন ১৭। সাধু ভাষায় দশটি বাক্য লিখে শ্রেণিতে সবাইকে পড়ে শোনাবে।

উত্তরঃ আমাদের দুর্ভাগ্যক্রমে যে সময়ে ইংরেজ মহাপুরুষেরা বাঙালীদিগকে বাংলা শিখাইবার জন্য উদ্যোগী হইলেন, সেই সময়ে যে-সকল পণ্ডিতের সহিত তাঁহাদের আলাপ ছিল তাঁহারা সংস্কৃত কলেজের ছাত্র।

তখন সংস্কৃত কলেজ বাংলায় একঘরে।

ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা তাঁহাদিগকে যবনের দাস বলিয়া সঙ্গে মিশিতে দিতেন না। তাঁহারা যে-সকল গ্রন্থাদি পড়িতেন তাহা এ দেশমধ্যে চলিত না।

এমনকি দেশীয় ভদ্রসমাজে তাঁহাদের বিন্দুমাত্র আদর ছিল না।

সুতরাং তাঁহারা দেশে কোন ভাষা চলিত কোন ভাষা অচলিত তাহার কিছুই বুঝিতেন না।

হঠাৎ তাঁহাদিগের উপর বাংলা পুস্তক প্রণয়নের ভার হইল।

রবীন্দ্র প্রভাব হইতে মুক্তির প্রয়াস মাত্রই যে শ্রদ্ধেয়, তাহার কোনো অর্থ নাই।

সে প্রভাবকে সম্পূর্ণ বর্জন করার চেষ্টা হইতেছে হাস্যকর ব্যাপার।

রবীন্দ্রনাথ পড়ি নাই বা ভুলিয়া গিয়াছি বলিয়া বড়াই করা হয় অমৃতবাদন, নয় দুঃশীলতা।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top