SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন

Join Roy Library Telegram Groups

SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন Question Answer As Per New Syllabus of SEBA ক্লাস 8 বাংলা প্রশ্ন উত্তর Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন Notes is made for SEBA Board Bengali Medium Students. SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন Solutions We ensure that You can completely trust this content. SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন Suggestions If you learn PDF from then you can BUY PDF Class 8 Bengali textbook Solutions. অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ প্রশ্ন উত্তর I hope You Can learn Better Knowledge.

SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন

Today’s We have Shared in This Post অষ্টম শ্রেণীর অঙ্কুরণ সমাধান SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন Notes with you. SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন Solutions. If you liked SEBA Class 8 Bengali Chapter 14 সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন Question Answer Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন

ক্রিয়াকলাপ

ক – পাঠভিত্তিক

প্রশ্ন ১। পাঠটি স্পষ্ট উচ্চারণে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পড়ে উত্তর বলো ও লেখো।

(ক) রূপকোঁয়র জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার মতে সংস্কৃতি কী?

উত্তরঃ রূপকোঁয়র জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার মতে সংস্কৃতি হল যে কথা, যে কাজ বা চিন্তা মানুষকে বর্বর প্রকৃতি থেকে তুলে নিয়ে দিব্য প্রকৃতি দেয়। এই পৃথিবীটি সুন্দর করে মানুষের জীবনের পরিপূর্ণ আনন্দ লাভের রাস্তা দেখায়- মানুষের সেই কথা, সেই চিন্তা বা সেই কাজই হল সংস্কৃতি।

(খ) ভারতীয় জাতি কীভাবে গড়ে উঠেছে?

উত্তরঃ বিভিন্ন জাতির সমিলন ও সংমিশ্রণের ফলে ভারতীয় জাতি গড়ে উঠেছে।

(গ) ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে বড়ো কথা কী ?

উত্তরঃ ভারতীয় সংস্কৃতির সবচেয়ে বড়ো কথা হল পরমত সহিষ্ণুতা।

(ঘ) ভারতীয় সংস্কৃতির দ্বিতীয় বড়ো কথা কী?

উত্তরঃ ভারতীয় সংস্কৃতির দ্বিতীয় বড়ো কথা তত্ত্বানুসন্ধিৎসা।

(ঙ) ভারতীয় সংস্কৃতির তৃতীয় কথাটি কী?

উত্তরঃ ভারতীয় সংস্কৃতির তৃতীয় কথা হল অহিংসা।

(চ) ইউরোপীয় সভ্যতা-সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসার পর ভারতীয় সংস্কৃতিতে কী কী বৈশিষ্ট্যের সংযোজন হয়?

উত্তরঃ ইউরোপীয় সভ্যতা সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসার পর ভারতীয় সংস্কৃতিতে মিশেছে বিভিন্ন ধরনের খ্রিস্টান মত ও সাধনা, জনসেবা, নানা নতুন দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আর সাহিত্যিক প্রকাশ, নানা নব-নব শিল্প সৃষ্টি।

(ছ) আমাদের আদর্শ কেমন হওয়া চাই?

উত্তরঃ আমাদের আদর্শ হওয়া চাই এক মৌলিক বিশ্ব-সংস্কৃতি, বিভিন্ন দেশের প্রাকৃতিক আবেষ্টনী অনুসারে, বিভিন্ন জাতির ঐতিহ্য, ভাষা প্রভৃতির বৈচিত্র্যকে আশ্রয় করে বস্তুরূপে যা বিরাজ করবে, পৃথিবীর তাবৎ মানব জাতি বা মানব সমাজকে তাদের সহজ সাধারণ মানবিকতার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত করে এক করে তুলবে।

S.L. No.সূচীপত্র
পাঠ -১জোনাকি
পাঠ -২চিরকালের শরাইঘাট
পাঠ -৩অ্যান ফ্রাঙ্কের ডায়েরি
পাঠ -৪জাগো, জাগো ভারত সন্তান
পাঠ -৫হৈমবতীর আত্মবিশ্বাস
পাঠ -৬পুত্রভিক্ষা
পাঠ -৭মন্ত্ৰের সাধন
পাঠ -৮প্ৰশ্ন
পাঠ -৯আদাব
পাঠ -১০হারানো সভ্যতার খোঁজে
পাঠ -১১উপমন্যু
পাঠ -১২সুখ
পাঠ -১৩হোমি জাহাংগির ভাবা
পাঠ -১৪সংস্কৃতি এবং আমাদের জীবন
পাঠ -১৫শ্ৰীকৃষ্ণের মৃত্তিকা ভক্ষণ

প্রশ্ন ২। পাঠের কঠিন শব্দের অর্থ শব্দ-সম্ভার বা অভিধান দেখে শিখে নাও।

উত্তরঃ অন্তরালে – আড়ালে। 

সংস্পর্শ – সান্নিধ্যে। 

আবেষ্টনী – ঘিরে থাকা। 

সম্মিলিত – মিলিতভাবে। 

মজ্জা – হাড়ের মধ্যের শাঁস। 

বিলীন – মিশে যাওয়া। 

শাশ্বত – চিরন্তন। 

চিত্রবিদ্যা – অঙ্কনবিদ্যা। 

ঐক্য – একতা। 

অনুপ্রেরণা – উৎসাহ।

প্রশ্ন ৩। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

প্রকৃতিতে এই ……………………অন্য পাঁচটি দেশের পার্থিব সভ্যতার …………………… বস্তু, ভারতের …………………… ভারতের বস্তু, ভাস্কর্য, …………………… ভারতের দর্শন আর ধর্ম, …………………… এ-সব তো আছে; কিন্তু এর ……………………কোথায়?

উত্তরঃ প্রকৃতিতে এই পার্থিব সভ্যতা অন্য পাঁচটি দেশের পার্থিব সভ্যতার সমপর্যায়েরই বস্তু, ভারতের জ্ঞান-বিজ্ঞান, ভারতের বস্তু, ভাস্কর্য, চিত্রবিদ্যা ও নানা হস্তশিল্প, ভারতের দর্শন আর ধর্ম, ভারতের সাহিত্য এ-সব তো আছে; কিন্তু এর প্রাণ কোথায়?

প্রশ্ন ৪। প্রসঙ্গের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যাখ্যা করো।

(ক) ভারতের সভ্যতা এবং সংস্কৃতি যুগে যুগে নতুন ভাব-পরম্পরা আত্মসাৎ করবার চেষ্টা করছে, সমর্থও হয়েছে,

উত্তরঃ (ক) জাতির সামগ্রিক পরিচয় পত্র হল সংস্কৃতি। এর মধ্যে থাকে মার্জিত মানসিকতা, থাকে পূর্ণতার সাধনা। যুগযুগান্তর ধরে জাতির বিশিষ্ট হয়ে ওঠার যে স্বপ্ন-সাধ, যে স্বতন্ত্র সীমা, যে অধ্যাত্ম আকৃতি, নৃত্য শিল্পে-সাহিত্যে সঙ্গীতে ভাস্কর্যে, স্থাপত্যে, আচার অনুষ্ঠানে ধর্মীয় সহিষ্ণুতায়, দার্শনিক ভাবনায় যে সকল গৌরবময় প্রকাশ সেটিই তার সংস্কৃতি। এর ভাবরসেই জাতির পুষ্টি। তার সামগ্রিক বিকাশ। সংস্কৃতি জাতির সর্ববিধ বিষয়ে সর্বাঙ্গীণ উন্নতির চরমতম পরিণাম ফল। সংস্কৃতি সেইজন্য জাতির সমন্বয়-চেতনা। পরমত সহিষ্ণুতা আর তত্ত্ব অনুসন্ধিৎসার বিচিত্র ভাবপুঞ্জের যোগফল। সংস্কৃতির মধ্যেই জাতির ন্যায়দৃষ্টি সহানুভূতি, মৈত্রী বোধের প্রকাশ, সত্য-শিব-সুন্দরের আবাহনের মধ্যেই সংস্কৃতির অভিব্যক্তি।

ইতিহাসের কোনো প্রদোষ মুহূর্তে বাংলার ভারতবর্ষের সংস্কৃতির সূত্রপাত, কোনো প্রায় অন্ধকারে তার জন্ম-উৎস রহস্যাবৃত, সে কথা স্পষ্ট করে বলা না গেলেও এই সংস্কৃতি যে সুপ্রাচীন ও আর্থ অভ্যুদয়ের বহু পূর্বেই এর উদ্ভব ও বিকাশ, তা নির্দ্বিধায় বলা চলে। কোন্ প্রাগৈৗতিহাসিক কালে অস্ট্রিক-গোষ্ঠীর মানুষ এই সংস্কৃতির প্রথম ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিল। এলো আর্য জাতি। মিশ্রণ ঘটল বিভিন্ন ভাষাভাষীর। কালক্রমে সকলেই স্ব স্ব জাতিত্ত্ব ও সত্তা গেল ভুলে। সকলেই এক নবসৃষ্ট জাতিতে বিলীন হল।

(খ) ঝড়ের পরে মৃদু সমীরণের মতো সুফি মতবাদের আর ভারতীয় ভক্তিবাদের সমীকরণই হচ্ছে ভারতে ইসলামি আর হিন্দু সংস্কৃতির সংযোগ বা সংস্পর্শের মুখ্য কথা।

উত্তরঃ আবেগঋদ্ধ ভাষায় ভারতের প্রকৃতি ও মানুষের আপাত বৈচিত্র্যের অন্তরালে ঐক্যের সুর ধ্বনিত একথা আমরা বারবার বলে থাকি। কিন্তু বিশাল এই দেশ বহুভাষা, বহু ধর্ম অধ্যুষিত। একটি উদারনীতির আশ্রয়ে পুষ্ট ভারতবর্ষের কোটি কোটি মানুষ। তবু একই পতাকার তলায় অবস্থান করেও সব সময় ঐক্যর ধারাটিকে অক্ষুণ্ণ রাখা গেছে এমন দাবি করা যায় না।

ইসলামিক সংস্কৃতি আর ভারতীয় সংস্কৃতি পরস্পরের সঙ্গে সংস্পর্শ শুধু বিরোধের সংঘাত নয়, উগ্র পরমত অসহিষ্ণুতার কাছে নম্র পরমত সহিষ্ণুতাকে আপাত দৃষ্টিতে লাঘব স্বীকার করতে হয়েছিল সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু ঝড়ের পরে মৃদু সমীরণের মতো সুফি মতবাদের আর ভারতীয় ভক্তিবাদের সমীকরণই হল ভারতে ইসলামি আর হিন্দু সংস্কৃতির সংযোগ বা সংস্পর্শের মুখ্য কথা। নবীন যুগের এই মিশ্র ভারতীয় সংস্কৃতি যা বিশুদ্ধ হিন্দু নয় বিশুদ্ধ আরবজাত ইসলামও নয়, এ হচ্ছে সত্যকার ভারতীয় হিন্দু-ইসলামীয় সংস্কৃতি। এই মিশ্র ভারতীয় সংস্কৃতিতে এখন আবার আধুনিক ইউরোপের সংস্কৃতির সূক্ষ্ম, স্থূল নানা ভাবধারা এসে মিশেছে নানা ধরনের খ্রিস্টান মত ও সাধনা, জনসেবা, নানা নতুন দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আর সাহিত্যিক প্রকাশ, নানা নব-নব শিল্প সৃষ্টি।

প্রশ্ন ৫। বুঝিয়ে লেখো।

(ক) বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণ সংস্কৃতির প্রভেদগুলো বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ ব্রহ্মার দশবিধ সৃষ্টির মধ্যে শেষ ও সর্বোৎকৃষ্ট সৃষ্টি হল মানুষ। মনুষ্যত্বের উদ্বোধনেই মানুষ শ্রেষ্ঠ। আধুনিক একদল মানুষ ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধানে’ একদিকে যেমন মিলনে উন্মুখ অন্য দিকে তেমনি কিছু মানুষ স্বাতন্ত্র্যের গর্বান্ধ নিশান উড়িয়ে পরস্পরকে অস্বীকারে ব্যস্ত।

সমাজবিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেছেন, দ্রাবিড়, মোঙ্গল, অস্ট্রিক, ইন্দো-এরিয়ান, গ্রিক, রোমান ইত্যাদি গোষ্ঠীতে বিভক্ত মানুষ বৃহত্তর মানব সমাজেরই অঙ্গ। মানব সমাজের বিবর্তনের কয়েকটা স্তর আছে। সব দেশের ইতিহাসেই এই স্তরগুলির সাক্ষ্য আছে। একটি স্তর পেরিয়ে অন্য উন্নততর স্তরে যেতে হয়। ছোটো ছোটো দেশজ মানবগোষ্ঠীর দল সে কারণেই বৃহত্তর মানব সমাজেরই অঙ্গ। বর্ণ-ধর্ম-ভাষার বিভিন্নতা বৈচিত্র্য থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বজননীর সন্তান সবাই। ভারতের সভ্যতা এবং সংস্কৃতি যুগে যুগে নতুন ভাব পরম্পরা আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে, সমর্থও হয়েছে। প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা আর সংস্কৃতি তার বিশিষ্ট রূপ পাওয়ার পরে ভারতবর্ষে ইসলামি সংস্কৃতির আবির্ভাব ঘটেছে। ইসলামি সংস্কৃতি আর ভারতীয় সংস্কৃতি পরস্পরের সঙ্গে সংস্পর্শ শুধু বিরোধের সংঘাতের নয়। একটি বিষয়ে সন্দেহ নেই যে উগ্র পরমত অসহিষ্ণুতার কাছে নম্র পরমত সহিষ্ণুতাকে আপাত দৃষ্টিতে লাঘব স্বীকার করতে হয়েছিল। ভারতবর্ষে ইসলামি আর হিন্দু সংস্কৃতির সংযোগ বা সংস্পর্শের মুখ্য কথা হল সুফি মতবাদ আর ভারতীয় ভক্তিবাদের সমীকরণ। নতুন যুগের এই মিশ্র ভারতীয় সংস্কৃতি যা বিশুদ্ধ হিন্দুও নয় বিশুদ্ধ আরবজাত ইসলামও নয়, এ হচ্ছে সত্যকার ভারতীয় হিন্দু ইসলামীয় সংস্কৃতি। এই মিশ্র ভারতীয় সংস্কৃতিতে এখন আবার আধুনিক ইউরোপের সংস্কৃতির স্থূল সূক্ষ্ম নানা ভাবধারা এসে মিশেছে নানা ধরনের খ্রিস্টান মত ও সাধনা, জনসেবা, নানা নতুন দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি আর সাহিত্যিক প্রকাশ, নানা নব-নব শিল্প সৃষ্টি। আমাদের আদর্শ হওয়া উচিত বিভিন্ন জাতির ঐতিহ্য ভাষাকে বজায় রেখে পৃথিবীর সমগ্র মানব জাতির বা মানব সমাজকে তাদের সহজ সাধারণ মানবিকতার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত করা।

(খ) ভারত-সভ্যতা-তরুর সংস্কৃতি পুষ্প কীভাবে ফুটে উঠেছে?

উত্তরঃ নানা জাতির মিলন ও সংমিশ্রণের ফলে ভারতীয় জাতি গড়ে উঠেছে। এই সব জাতির ভাষা আর সভ্যতা, এদের সংস্কৃতি ঐতিহ্য মূলত পৃথক ছিল। এদের নিজের নিজের পৃথক জাতিত্ব আর সত্তা সম্বন্ধে সে বোধ ছিল। আর এই বোধ নিয়ে যে স্বাভাবিক গর্ব ছিল সেটা লোপ পেলে সকলেই এক নবসৃষ্ট জাতিতে বিলীন হয়ে গিয়ে এক বিরাট সমন্বয়ে সকলেই যেন নিজ সার্থকতা লাভ করল।

ভারতীয় তথা হিন্দু সংস্কৃতির প্রথম বড়ো কথা হল সমন্বয়। বিভিন্ন ধর্মমত বা বিচার একই সত্যে পৌঁছবার বিভিন্ন পথ মাত্র, এই বোধ ভারতীয় জাতির মজ্জায় প্রবেশ করল। এই পরমত সহিষ্ণুতা ভারতের সংস্কৃতির সবচেয়ে বড়ো কথা।

ভারতীয় সংস্কৃতির দ্বিতীয় বড়ো কথা হল এর তত্ত্ব অনুসন্ধিৎসা। বিচারের পথে বা অনুভূতির পথে দৃশ্যমান জীবনের অন্তরালে অবস্থিত শাশ্বত সত্য বা সত্তার অনুসন্ধান ও জীবনে তার উপলব্ধি এই-ই হচ্ছে মানুষের প্রধান কাজ।

ভারতীয় সংস্কৃতির তৃতীয় বড়ো কথা হল অহিংসা। এ অহিংসা কেবল প্রাণী হত্যা থেকে বিরতি নয়। এর পিছনে আছে করুণা অর্থাৎ সমস্ত প্রাণীর সম্বন্ধে দার্শনিকের চোখে দেখা দরদ আর আছে মৈত্রী অর্থাৎ সকলকে মিত্রভাবে দেখে তাদের মঙ্গল করার চেষ্টা। ভারতীয় সংস্কৃতির আরও কয়েকটি লক্ষণ হল- দাম বা আত্মদমন, ত্যাগ বা শাশ্বত সত্তার দিকে দৃষ্টি রেখে নশ্বর বস্তু-জগতের প্রতি উপেক্ষা, অপ্রমাদ অর্থাৎ নিজের বুদ্ধিকে প্রমত্ত বা ঘোলাটে না করা। জীবনের সবক্ষেত্রে সত্য শিব আর সুন্দরের আহ্বান ইত্যাদি অনেক বিষয়ে এই সংস্কৃতির প্রকাশ হয়েছে।

খ – ভাষা-অধ্যয়ন (ব্যবহারিক ব্যাকরণ)

প্রশ্ন ৬। সংস্কৃতি-সম্ কৃত্তি, এভাবে শব্দের আগে সম উপসর্গ যোগ করে সংস্কার, সংযম, সঞ্চয় ইত্যাদি শব্দ লিখতে পারা যায়। সেইভাবে নিম্নলিখিত উপসর্গের সাহায্যে পাঁচটি করে শব্দ লেখো এবং সেই শব্দগুলো দিয়ে তোমার খাতায় বাক্য রচনা করো।

উত্তরঃ 

প্রশ্ন ৭। নীচের বাক্যগুলোর নিম্নরেখ পদের কারক-বিভক্তি নির্ণয় করো।

(ক) বৃষ্টি পড়ছে।

(খ) কমল চাবি দিয়ে তালা খুলছে।

(গ) গ্রন্থাগারে রবীন্দ্র রচনাবলি আছে।

(ঘ) টাকায় কিনা হয়।

(ঙ) পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়।

উত্তরঃ (ক) বৃষ্টি পড়ছে – কর্তৃকারকে শূন্য বিভক্তি।

(খ) কমল চাবি দিয়ে তালা খুলছে – করণ কারকে শূন্য-বিভক্তি।

(গ) গ্রন্থাগারে রবীন্দ্র রচনাবলি আছে।- অধিকরণ কারকে শূন্য-বিভক্তি

(ঘ) টাকায় কিনা হয় – করণ কারকে য় যোগে।

(ঙ) পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায় – অপাদান কারকে এ যোগে।

প্রশ্ন ৮। পাঠ থেকে উপযুক্ত শব্দ খুঁজে নিয়ে সন্ধি-বিচ্ছেদ করো।

উত্তরঃ সংস্কৃতি – সম্ + কৃতি।

অন্তর্নিহিত – অন্তঃ + নিহিত।

তত্ত্বানুসন্ধিৎসা – তত্ত্ব + অনুসন্ধিৎসা।

প্রশ্ন ৯। নীচের বাক্যগুলো পড়ো।

(ক) মৃৎশিল্পীরা পুতুল নির্মাণ করেন।

(এখানে বাক্যে ‘করেন’ ক্রিয়ার দ্বারা ‘মৃৎশিল্পী’ কর্তৃপদের প্রাধান্যই সূচিত হয়েছে।)

(খ) মৃৎশিল্পীদের দ্বারা পুতুল নির্মিত হয়।

(এই বাক্যে ‘নির্মিত হয়’ ক্রিয়ার দ্বারা ‘পুতুল’ কর্মপদেরই প্রাধান্য সূচিত হয়েছে।)

🔹 জেনে নাও।

বাক্যে ক্রিয়ার কর্তা-কর্ম প্রভৃতির কোন একটি প্রধানরূপে বোঝাবার শক্তিকে বাচ্য বলে। বাক্যে ক্রিয়ার কার্য কখনও কর্তাকে অবলম্বন করে সম্পন্ন। হয়, কখনও কর্মকে অবলম্বন করে সম্পন্ন হয়; আবার কখনও ক্রিয়াকে স্বাবলম্বী হয়ে স্বয়ংসম্পন্ন হতে দেখা যায়। ক্রিয়ার এই বিশেষ রূপভেদের নামই বাচ্য।

প্রশ্ন ১০। উদাহরণ দেখে নীচের বাক্যগুলোর বাচ্য পরিবর্তন করো।

কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে –

(ক) কর্তৃবাচ্য – পুলিস চোর ধরে।

কর্মবাচ্য – পুলিস কর্তৃক চোর ধৃত হয়।

(খ) কর্তৃবাচ্য – ‘নতুন-দাকে বাঘে নিলে না ত রে?’

কর্মবাচ্য – …………………………………..

(গ) কর্তৃবাচ্য – শিক্ষক মহাশয় ছেলেদের বিষয়টি বুঝিয়ে দিলেন।

কর্মবাচ্য – …………………………………..

বাক্যে ক্রিয়ার দ্বারা কর্তার অর্থের প্রাধান্য সূচিত হলে যে বাচ্য হয়, তার নাম কর্তৃবাচ্য।

উত্তরঃ কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্যে-

(ক) কর্তৃবাচ্য – পুলিস চোর ধরে।

কর্মবাচ্য – পুলিস কর্তৃক চোর ধৃত হয়।

(খ) কর্তৃবাচ্য – ‘নতুন-দাকে বাঘে নিলে না ত রে?’

কর্মবাচ্য – নতুন দাকে বাঘের দ্বারা নেওয়া হল না তো।

(গ) কর্তৃবাচ্য – শিক্ষক মহাশয় ছেলেদের বিষয়টি বুঝিয়ে দিলেন।

কর্মবাচ্য – শিক্ষক মহাশয়ের দ্বারা ছেলেদের বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া হল।

কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে-

(ক) কর্মবাচ্য – আমার বই পড়া হয়েছে।

কর্তৃবাচ্য – আমি বই পড়েছি।

(খ) কর্মবাচ্য – আমার হাতে তুমি ধরা পড়বেই।

কর্তৃবাচ্য – ………………………………….

(গ) কর্মবাচ্য – তাঁর দ্বারা টিকিট কেনা হয়নি।

কর্তৃবাচ্য – ………………………………….

ক্রিয়ার দ্বারা কর্মের অর্থের প্রাধান্য সূচিত হলে যে বাচ্য হয়, তার নাম কর্মবাচ্য।

উত্তরঃ কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে-

(ক) কর্মবাচ্য – আমার বই পড়া হয়েছে।

কর্তৃবাচ্য – আমি বই পড়েছি।

(খ) কর্মবাচ্য – আমার হাতে তুমি ধরা পড়বেই।

কর্তৃবাচ্য – আমার হাতে তুমি ধরা পড়বে।

(গ) কর্মবাচ্য – তাঁর দ্বারা টিকিট কেনা হয়নি।

কর্তৃবাচ্য – তাঁর টিকিট কেনা হয়নি।

কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্যে-

(ক) কর্তৃবাচ্য – মশাই, কলকাতা যাবেন কবে?

ভাববাচ্য – মহাশয়ের, কলকাতা যাওয়া হবে কবে?

(খ) কর্তৃবাচ্য – ছবিটা আমি দেখেছি।

ভাববাচ্য – ………………………………….

(গ) কর্তৃবাচ্য – তুমি কি আজ গান গেয়েছ?

ভাববাচ্য – ………………………………….

ক্রিয়ার দ্বারা কর্তা বা কর্মের প্রাধান্য সূচিত না হয়ে যেখানে ক্রিয়ার প্রাধান্যই সূচিত হয় তাকে ভাববাচ্য বলে।

উত্তরঃ কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্যে –

(ক) কর্তৃবাচ্য – মশাই, কলকাতা যাবেন কবে?

ভাববাচ্য – মহাশয়ের, কলকাতা যাওয়া হবে কবে?

(খ) কর্তৃবাচ্য – ছবিটা আমি দেখেছি।

ভাববাচ্য – ছবি আমার দেখা হয়েছে।

(গ) কর্তৃবাচ্য – তুমি কি আজ গান গেয়েছ?

ভাববাচ্য – তোমার কি আজ গান গাওয়া হয়েছে।

ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে

(ক) ভাববাচ্য – তোমাকে আজ যেতে হবে।

কর্তৃবাচ্য – তুমি আজ যাবেই।

(খ) ভাববাচ্য – ছেলেটির কি করা হয়?

কর্তৃবাচ্য – ………………………………….

(গ) ভাববাচ্য – খাবার সময় বোঝা যাবে।

কর্তৃবাচ্য – ………………………………..

কতকগুলো ক্রিয়ার কর্তা কে তা নির্ণয় করা কঠিন; কর্মই যেন নিজের উপরে ক্রিয়া করে; এরূপ ক্রিয়ার কর্ম-কর্তৃবাচ্য হয়। যেমন- কলসি ভরে, ফল পাকে, পাহাড় ভাঙে ইত্যাদি।

উত্তরঃ ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্যে-

(ক) ভাববাচ্য – তোমাকে আজ যেতে হবে।

কর্তৃবাচ্য – তুমি আজ যাবেই।

(খ) ভাববাচ্য – ছেলেটির কি করা হয়?

কর্তৃবাচ্য – ছেলেটি কি করে?

(গ) ভাববাচ্য – খাবার সময় বোঝা যাবে।

কর্তৃবাচ্য – খেলে বোঝা যাবে।

প্রশ্ন ১১। নির্দেশ অনুযায়ী বাচ্য পরিবর্তন করো।

(ক) আমি আজ যাইব না। (ভাববাচ্য)

(খ) আমি কাজটি করেছি। (কর্মবাচ্য)

(গ) আমার যাওয়া চাই। (কর্তৃবাচ্য)

(ঘ) কোথায় থাকা হয়। (কর্তৃবাচ্য)

(ঙ) তুমি কোথা হতে এলে? (ভাববাচ্য)

(চ) ছেলেদের ন্যায় মেয়েদেরও লেখাপড়া শেখানো উচিত। (কর্তৃবাচ্য)

উত্তরঃ (ক) আমার আজ যাওয়া হবে না।

(খ) আমার দ্বারা কাজটি করা হয়েছে।

(গ) আমি যাব।

(ঘ) কোথায় যাবে?

(ঙ) তোমার কোথা থেকে আসা হল।

(চ) ছেলে ও মেয়েদের লেখাপড়া শেখা উচিত।

গ – জ্ঞান সম্প্রসারণ

প্রশ্ন ১২। ‘একটি অঞ্চলের পরিধেয়, খাদ্যাভ্যাস, জলবায়ু, সামাজিক রীতি-নীতি, আচার-আচরণ, গান-বাজনা, খেলা-ধূলা, বিবাহ ইত্যাদিতে সেই অঞ্চলের মানুষের রুচিবোধ প্রতিফলিত করে।

এবার আমাদের সাজ-পোশাক, খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি কীভাবে একটি নির্দিষ্ট স্থানের সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরে, উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ তোমাদের অঞ্চল অনুযায়ী লেখার চেষ্টা করো।

প্রশ্ন ১৩। গান-বাজনা-নাচ, চিত্রকলা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য এবং উৎসব-পার্বণ ইত্যাদি আমাদের সমাজ জীবনের অপরিহার্য অঙ্গস্বরূপ। এই উপাদানগুলো সংস্কৃতি গড়ে তুলতে কীভাবে সাহায্য করে? তুমি ভেবে বুঝিয়ে লেখো।

উত্তরঃ নিজে চেষ্টা করো।

📂 জেনে নাও।

অসংখ্য ভাষা, অসংখ্য জনগোষ্ঠী, নানা ধর্ম, অসংখ্য লোকাচার নিয়ে গড়ে উঠেছে আমাদের ভারতীয় সভ্যতা। বোড়ো, গারো, কছারি, রাভা, মিসিং, কাৰ্বি, তিওয়া, কোচ প্রভৃতি জনগোষ্ঠীর ভাষা-সংস্কৃতির সঙ্গে অসমিয়া ও বাঙালির ভাষা সংস্কৃতির সমন্বয়ের ফলে গড়ে উঠেছে অসমের সমন্বয়মূলক সংস্কৃতি।                
বঙ্গভূমির প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী জনসাধারণকে নিয়েই গড়ে উঠেছে বাঙালি সংস্কৃতি। ভাষাভিত্তিক এক জনসম্প্রদায়ের সংস্কৃতিরও মূল কথা সমন্বয়।

প্রশ্ন ১৪। নীচের পংক্তিগুলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভারত তীর্থ’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত। পংক্তিগুলো পড়ে শিক্ষক/শিক্ষয়িত্রীর কাছ থেকে তাৎপর্য জেনে নিয়ে লেখো।

কেহ নাহি জানে কার আহ্বানে কত মানুষের ধারা

দুর্বার স্রোতে এল কোথা হতে, সমুদ্রে হল হারা।

হেথায় আর্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড় চীন-

শক-হুন-দল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন।

পশ্চিমে আজি খুলিয়াছে দ্বার, সেথা হতে সবে আনে উপহার,

দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে-

এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।।

ঘ – প্রকল্প

প্রশ্ন ১৫। অসমিয়া ও বাঙালি সংস্কৃতির তুলনামূলক আলোচনা করে লেখো এবং শ্রেণিতে পাঠ করে শোনাও।

উত্তরঃ শ্রেণীতে শিক্ষক/ শিক্ষয়িত্রীর সাহায্যে নিজেরা চেষ্টা করো।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top