Class 11 Political Science Chapter 1 সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Political Science Chapter 1 সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 1 সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে? The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 1 সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে? Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Political Science Chapter 1 সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question Answer in Bengali The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.

সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে? 

একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সংবিধান বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ সংবিধান বলতে বোঝায় একগুচ্ছ প্রয়োজনীয় আইন – কানুন এবং বাধানিষেধ ও প্রথা যেগুলি অনুসরণ করে রাষ্ট্র শাসনকার্য পরিচালনা করে। এতে রাষ্ট্রের জনগণের সম্মতি থাকে।

প্রশ্ন ২। সংবিধানে সরকারের ক্ষমতার উপর কি কোন সীমাবদ্ধতা আছে? 

উত্তরঃ হ্যাঁ। সংবিধানে সরকারের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। কারণ সীমাবদ্ধতা না থাকলে সরকার স্বৈরচারী হয়ে ওঠবে।

প্রশ্ন ৩। ভারতের সংবিধান কে রচনা করেন? 

উত্তরঃ গণপরিষদ বা সংবিধান সভা।

প্রশ্ন ৪। সংবিধান তৈরির সময় সুবিবেচনার নীতি (The principle of Deliberation) গ্রহণ করা হয়েছিল কি?

উত্তরঃ হ্যাঁ। সংবিধান তৈরির সময় সুবিবেচনার নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল।

প্রশ্ন ৫। ভারতীয় সংবিধানের যে কোনো একটি বৈশিষ্ট্যের নাম কর যা ব্রিটিশ সংবিধান থেকে অনুকরণ করা হয়েছে? 

উত্তরঃ সংসদীয় ধাঁচের সরকার।

প্রশ্ন ৬। কে ‘উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রস্তাব’ উত্থাপন করেন। 

উত্তরঃ পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।

প্রশ্ন ৭। ভুল উত্তরটি বের করঃ 

(ক) সংবিধান হল কতকগুলি মৌলিক নীতির সমষ্টি।

(খ) সংবিধান নাগরিকের স্বাধীনতার ও অধিকারের সুরক্ষা প্রদান করে। 

(গ) সংবিধান ভালো মানুষের ক্ষমতায় আসা সুনিশ্চিত করে।

(ঘ) সংবিধান  উদ্দেশ্যসমূহকে তুলে ধরে। 

উত্তরঃ (গ) সংবিধান ভালো মানুষের ক্ষমতায় আসা সুনিশ্চিত করে।

প্রশ্ন ৮। সত্য অথবা মিথ্যা লেখঃ 

(ক) ডা বি. আর. আম্বেদকর গণপরিষদের খসড়া কমিটির সভাপতি ছিলেন।

উত্তরঃ সত্য।

(খ) গণ পরিষদ সমাজের সকল শ্রেণীর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল।

উত্তরঃ সত্য।

(গ) গণ পরিষদের সকল সদস্যগণ প্রত্যক্ষভাবে জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

উত্তরঃ মিথ্যা।

(ঘ) ভারতীয় সংবিধানের অনেক বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন দেশের সংবিধানের অনুকরণে রচিত হয়েছিল।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৯। সত্য অথবা মিথ্যা লেখঃ

(ক) গণ পরিষদের খসড়া কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা সভাপতি সহ সাতজন ছিল।

উত্তরঃ সত্য।

(খ) সংবিধান সরকারের কার্যপ্রণালী নির্ণয় করে। 

উত্তরঃ সত্য।

(গ) অলিখিত সংবিধান বিভিন্ন প্রথা ও আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তির উপর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে।

উত্তরঃ সত্য। 

(ঘ) ইংল্যাণ্ডের সংবিধান অলিখিত সংবিধানের প্রকৃষ্টতম উদাহরণ।

উত্তরঃ সত্য।

(ঙ) ভারতীয় সংবিধান অনমনীয়। 

উত্তরঃ মিথ্যা।

প্রশ্ন ১০। “অবশিষ্ট ক্ষমতা”র ধারণা কোন রাষ্ট্রের সংবিধান হতে ভারতের সংবিধানে গৃহীত হয়েছে?

উত্তরঃ কানাডার সংবিধান হতে। 

প্রশ্ন ১১। সাম্য, স্বাধীনতা ও সৌভ্রাতৃত্বের নীতি ভারতের সংবিধানে কোন দেশের সংবিধান হতে গৃহীত হয়? 

উত্তরঃ ফ্রান্সের সংবিধান হতে।

প্রশ্ন ১২। ভারতের সংবিধানের প্রস্তাবনার মূল ভিত্তি কী? 

উত্তরঃ উদ্দেশ্য – সম্পর্কিত প্রস্তাব।

প্রশ্ন ১৩। কত তম সংশোধনী দ্বারা ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দুইটি সংযোজন করা হয়েছিল?

উত্তরঃ ৪২ – তম সংশোধনী। 

প্রশ্ন ১৪। “আমরা ভারতীয়গণ” এর অর্থ কী? 

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার প্রথমেই “আমরা ভারতীয় জনগণ” উল্লেখ করা হয়েছে। এর অর্থ হল জনগণ প্রকৃত শাসন ক্ষমতার অধিকারী। 

S.L. No.সূচীপত্র
প্রথম খণ্ড
পাঠ – ১সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?
পাঠ – ২ভারতীয় সংবিধানে অধিকার
পাঠ – ৩নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব 
পাঠ – ৪সংসদীয় সরকারের কার্যপালিকা
পাঠ – ৫কেন্দ্র ও রাজ্য
পাঠ – ৬বিচার বিভাগ 
পাঠ – ৭যুক্তরাষ্ট্রবাদ 
পাঠ – ৮স্থানীয় সরকার 
পাঠ – ৯জীবন্ত দলিলরূপে সংবিধান
পাঠ – ১০সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন
দ্বিতীয় খণ্ড
পাঠ – ১১রাজনৈতিক তত্ত্বঃ এক ভূমিকা
পাঠ – ১২স্বাধীনতা
পাঠ – ১৩ সমতা
পাঠ – ১৪সামাজিক ন্যায়
পাঠ – ১৫অধিকার
পাঠ -১৬নাগরিকত্ব
পাঠ -১৭জাতীয়তাবাদ
পাঠ -১৮ধর্মনিরপেক্ষতা
পাঠ -১৯শান্তি
পাঠ -২০উন্নয়ন

প্রশ্ন ১৫। গণপরিষদের মোট সদস্যসংখ্যা কত ছিল?

উত্তরঃ ৩৮১ জন। 

প্রশ্ন ১৬। ভারতের সংবিধান সভা (গণ পরিষদ) কতসালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৪৬ সালে।

প্রশ্ন ১৭। কার সুপারিশক্রমে গণপরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? 

উত্তরঃ মন্ত্রী মিশনের সুপারিশক্রমে। 

প্রশ্ন ১৮। ভারতের সংবিধান কখন গৃহীত হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১৯৪৯ সালের ২৬শে নভেম্বর।

প্রশ্ন ১৯। ভারতের সংবিধান কখন বলবৎ হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি।

প্রশ্ন ২০। গণ পরিষদের স্থায়ী সভাপতি কে ছিলেন?

অথবা, 

ভারতের সংবিধান সভার সভাপতি কে ছিলেন?

উত্তরঃ ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ।

প্রশ্ন ২১। গণ পরিষদের অস্থায়ী সভাপতি কে ছিলেন? 

উত্তরঃ ডঃ সচ্চিদানন্দ সিনহা।

প্রশ্ন ২২। গণপরিষদের নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

 উত্তরঃ ১৯৪৬ সালের জুলাই মাসে।

প্রশ্ন ২০। গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন কখন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

অথবা, 

অবিভক্ত ভারতবর্ষের সংবিধান সভার প্রথম বৈঠক কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ২৪। ভারতের সংবিধানের একটি উৎস লেখো।

উত্তরঃ ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন।

প্রশ্ন ২৫। ভারতের সংবিধানের খসড়া কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?

উত্তরঃ ডাঃ বি. আর. আম্বেদকর।

প্রশ্ন ২৬। ভারতের সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ (Articles) আছে?

উত্তরঃ মোট ৩৯৫টি অনুচ্ছেদ বা ধারা আছে। 

প্রশ্ন ২৭। ভারতের সংবিধানে মোট কয়টি অংশ (Part) আছে?

উত্তরঃ ২২টি অংশ বা অধ্যায়। 

প্রশ্ন ২৮। ভারতের সংবিধানে কয়টি তপশীল বা অনুসূচী (Schedule) আছে?

উত্তরঃ ১২টি তপশীল বা অনুসূচী।

প্রশ্ন ২৯। ভারতের সংবিধানের যে কোনো একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ ভারতের সংবিধান বিশ্বের দীর্ঘতম লিখিত সংবিধান।

প্রশ্ন ৩০। সংবিধানের যে কোনো একটি কার্য উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ সরকারের কার্যপ্রণালী নির্ধারণ করে।

প্রশ্ন ৩১। সংবিধান বা ইংরেজি Constitution শব্দটি কোন্ শব্দ হতে গৃহীত হৈয়েছে? 

উত্তরঃ ল্যাটিন শব্দ Constitute.

প্রশ্ন ৩২। ‘ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার প্রথমেই “আমরা ভারতীয় জনগণ উল্লেখ করা হয়েছে। এই “আমরা ভারতীয় জনগণ’ কথাটির অর্থ কী?

উত্তরঃ জনগণ প্রকৃত শাসন ক্ষমতার অধিকারী।

প্রশ্ন ৩৩। কখন ড. রাজেন্দ্র প্রসাদকে গণ পরিষদের সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৪৬ সালের ৯ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ৩৪। সংবিধানের একটি কার্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্য হলো সরকারের কার্যপ্রণালী স্থির করা।

প্রশ্ন ৩৫। ব্রিটিশ সংবিধান হতে গৃহীত ভারতের সংবিধানের যে কোনো একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ সংসদীয় ধাঁচের সরকার। 

প্রশ্ন ৩৬। আইরিশ সংবিধান হতে গৃহীত ভারতের সংবিধানের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 

উত্তরং রাষ্ট্র পরিচালনার নির্দেশাত্মক নীতি।

প্রশ্ন ৩৭। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান হতে গৃহীত ভারতের সংবিধানের যে কোনো একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ন্যায়ালয়ের স্বাধীনতা।

প্রশ্ন ৩৮। ভারতে সংবিধান স্বীকৃত ভাষার সংখ্যা কয়টি ?

উত্তরঃ ২২টি।

প্রশ্ন ৩৯। ভারতের সংবিধান সভার (গণ পরিষদের) যে কোনো দু’জন সদস্যের নাম লেখো। 

উত্তরঃ (ক) পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।

(খ) ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ।

প্রশ্ন ৪০। কংগ্রেসের কোন্ অধিবেশনে ‘পূর্ণ স্বরাজ’ ঘোষণা করা হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯২৯ সালের ডিসেম্বর মাসে লাহোর অধিবেশনে।

প্রশ্ন ৪১। বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দশ কোনটি?

উত্তরঃ ভারতবর্ষ। 

প্রশ্ন ৪২। ভারতের সংবিধানটির প্রস্তুতকল্পে সংবিধান সভার মোট কয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল? 

উত্তরঃ ১১টি।

প্রশ্ন ৪৩। সংবিধান সভা (Constituent Assembly) এর প্রথম অধিবেশ কখন অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তরঃ ১৯৪৬ সালের ১ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন ৪৪। সংবিধান সভার প্রথম অধিবেশনে কে সভাপতিত্ব করেন? 

উত্তরঃ ড. সচ্চিদানন্দ সিনহা।

প্রশ্ন ৪৫। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নাম কী?

উত্তরঃ কংগ্রেস।

প্রশ্ন ৪৬। একটি সংবিধান জনসাধারণের মৌলিক পরিচয়। (সত্য না মিথ্যা লেখো)

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ৪৭। সংবিধান সভাতে ‘উদ্দেশ্য সম্বলিত প্রস্তাব’টি কে উত্থাপন করেছিলেন? 

উত্তরঃ পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। কোন্ পরিকল্পনার অধীনে সংবিধান সভা গঠিত হয়েছিল?

উত্তরঃ কেবিনেট মিশন প্ল্যান – এর অধীনে ১৯৪৬ সালের ১৬মে সংবিধান সভা গঠিত হয়েছিল। এই সংবিধান সভা গণ পরিষদ নামে পরিচিত। কেবিনেট মিশন পরিকল্পনায় তিনজন ব্রিটিশ কেবিনেট সদস্য ছিলেন। এই তিনজন সদস্য হলেন লর্ড পেথিক লরেন্স, স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস এবং এ. ভি. আলেকজাণ্ডার। 

প্রশ্ন ২। সংবিধানের নমনীয়তা ও অনমনীয়তা বলতে কী বোঝায়?

অথবা, 

নমনীয় সংবিধান ও অনমনীয় সংবিধান বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতির সরলতা ও জটিলতার উপর ভিত্তি করে সংবিধানকে নমনীয় বা অনমনীয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যে সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি সহজ তাকে নমনীয় সংবিধান বলা হয়। আর যে সংবিধান সংশোধন করার ক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাকে অনমনীয় সংবিধান বলা হয়।

প্রশ্ন ৩। ভারতীয় সংবিধানের দুইটি উৎসের উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানের দুইটি উৎস হলঃ 

(ক) ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন।

(খ) বিভিন্ন দেশের সংবিধান।

প্রশ্ন ৪। উদ্দেশ্য – সম্পর্কিত প্রস্তাব কী? 

উত্তরঃ গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু কর্তৃক উদ্দেশ্য – সম্পর্কিত প্রস্তাব’ (Objective Resolution) উত্থাপিত হয়েছিল। এই উদ্দেশ্য – সম্পর্কিত প্রস্তাব হল কতকগুলি আদর্শ ও লক্ষ্য যা সংবিধান প্রণয়ন কালে অনুসরণ করা হয়। এই উদ্দেশ্য – সম্পর্কিত প্রস্তাব’ দ্বারা সংবিধানের দিশা এবং ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। সংবিধান প্রণয়ন কালে সংবিধান প্রণেতাগণ উদ্দেশ্য – সম্পর্কিত প্রস্তাব’ তাদের বিবেচনায় রেখেছিলেন। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু একে ভারতের জনগণের পবিত্র প্রতিজ্ঞা (Solemn pledge) বলে অভিহিত করেছিলেন।

প্রশ্ন ৫। সংবিধানের দুইটি কার্য উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ সংবিধানের দুইটি কার্য হল নিম্নরূপঃ

(ক) সংবিধান সরকারের কার্যপ্রণালী স্থির করে। 

(খ) সংবিধান সমাজের সকল আশা আকাঙ্খা ও অবস্থাকে স্বীকৃতি দেয় ও কতকগুলি শর্ত আরোপ করে।

(গ) সংবিধান জনগণের পক্ষে সরকারের কার্য প্রণালী নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রশ্ন ৬। সংবিধান সভার কমিটিগুলি কী কী? 

অথবা, 

গণ পরিষদের কমিটি সমূহ কী কী?

উত্তরঃ গণ পরিষদে বিভিন্ন বিষয়ের উপর মুখ্য আটটি কমিটি ছিল। নিয়ম বা বিধি, দিশা নির্ণয়, পরামর্শ, খসড়া, কেন্দ্রীয় বিষয় সমূহ কেন্দ্রীয় সংবিধান, প্রাদেশিক সংবিধান এবং রাজ্যসমূহ প্রভৃতি বিষয়ের উপর ঐ কমিটিসমূহ গঠন করা হয়েছিল। সংবিধানের খসড়া কমিটিতে সাতজন সদস্য ছিলেন এবং এই কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. বি. আর আম্বেদকর।

প্রশ্ন ৭। ‘উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রস্তাব’ – এর দুইটি নীতি উল্লেখ কর। 

অথবা, 

‘উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রস্তাব’ – এর যে কোন দুইটি প্রস্তাবের উল্লেখ কর। 

অথবা, 

জওহরলাল নেহরুর ‘উদ্দেশ্য প্রস্তাব’ এর দুটি মূল দিক লেখো।

উত্তরঃ গণ পরিষদের প্রথম অধিবেশনে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু ‘উদ্দেশ্য সম্পর্কিত প্রস্তাব’ উত্থাপন করেন। 

এই প্রস্তাবগুলোর অন্যতম দুইটি হল নিম্নরূপঃ 

(ক) গণপরিষদ ভারতকে ‘স্বাধীন সার্বভৌম, সাধারণ তন্ত্র’ (Independent sovereign republic) বলে ঘোষণা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কিন্তু ‘স্বাধীন’ (Independent) শব্দটি পরে বাদ দেওয়া হয়। কারণ ‘সার্বভৌম’ (Sovereign) শব্দটির মধ্যে স্বাধীনতার তাৎপর্য নিহিত আছে। 

(খ) সমগ্র ভূখণ্ড যা সমগ্র ব্রিটিশ – ভারত অন্তর্ভুক্ত করে এবং দেশীয় রাজ্যগুলি এবং অন্যান্য ভূ – খণ্ড যা স্বাধীন ভারতে অন্তর্ভুক্ত হতে ইচ্ছুক তাদের সকলকে নিয়ে একটি ‘সংঘ’ গঠিত হবে।

প্রশ্ন ৮। ভারতের সংবিধান কি একটি জীবন্ত দলিল’?

উত্তরঃ ব্রিটিশ সংবিধানের মতো ভারতীয় সংবিধানও একটি জীবন্ত দলিল। আমাদের সংবিধান সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে সর্বদাই পরিবর্তিত হয়। তাছাড়া সংবিধানের কার্যকারিতায় এটাই দর্শায় যে ভারতের সংবিধান সুপরিবর্তনীয়। বাস্তবিক অর্থে এটি একটি ‘জীবন্ত দলিল’।

প্রশ্ন ৯। ভারতের সংবিধান রচনায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মুখ্য অবদান কী ছিল? 

উত্তরঃ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ফলে সংবিধানের মূল নীতি গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছিল। ১৯৪৬ সালে জওহরলাল নেহরু জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে সংবিধানের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তুলে ধরেন। ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা ও অন্যান্য অংশে নেহরুর এই উদ্দেশ্য -সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলো অন্তর্নিহিত হয়েছে।

প্রশ্ন ১০। দেশ বিভাজন কীভাবে গণপরিষদের কার্য প্রণালীকে প্রভাবিত করেছিল? 

উত্তরঃ দেশ বিভাজনের ফলে গণ পরিষদের কার্য প্রণালী প্রভাবিত হয়েছিল। পাকিস্তান সৃষ্টির ফলে গণ পরিষদের সদস্য সংখ্যা হ্রাস পায়। পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল হতে নির্বাচিত সদস্যগণের সদস্যপদ বিলোপ হয়ে যায়। ফলস্বরূপ গণ পরিষদের সদস্য সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ২৯১তে দাঁড়ায়। তাছাড়া দেশবিভাজনের ফলে সংঘটিত ঘটনা ও পরিস্থিতির প্রভাব সংবিধান রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে। 

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top