Class 11 Political Science Chapter 5 কেন্দ্র ও রাজ্য

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Political Science Chapter 5 কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের আইনসভা, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 5 কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের আইনসভা The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 5 কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের আইনসভা Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Political Science Chapter 5 কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের আইনসভা

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question Answer in Bengali Class 11 Political Science Chapter 5 কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের আইনসভা The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, Class 11 Political Science Chapter 5 কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের আইনসভা The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.

কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের আইনসভা 

একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। আইন বিভাগের প্রধান কার্য কী?

উত্তরঃ আইন প্রণয়ন।

প্রশ্ন ২। লোকসভার কোরাম কী? 

উত্তরঃ লোকসভায় কোনো সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য লোকসভার মোট সদস্য সংখ্যার দশ শতাংশ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হয় তাকে কোরাম বলে।

প্রশ্ন ৩। লোকসভায় কে সভাপতিত্ব করেন? 

উত্তরঃ লোকসভার অধ্যক্ষ (Speaker)

প্রশ্ন ৪। রাজ্যসভার পদেন সভাপতি কে? 

উত্তরঃ ভারতের উপরাষ্ট্রপতি (পদাধিকার বলে)।

প্রশ্ন ৫। ভারতের রাষ্ট্রপতি লোকসভায় কত জন সদস্য মনোনীত করতে পারেন?

উত্তরঃ ২জন সদস্য।

প্রশ্ন ৬। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনবোধে রাজ্যসভায় কতজন সদস্য মনোনীত করতে পারেন?

উত্তরঃ ১২ জন।

প্রশ্ন ৭। সংসদের যৌথ অধিবেশনে কে সভাপতিত্ব করেন?

উত্তরঃ লোকসভার অধ্যক্ষ।

প্রশ্ন ৮। কে সংসদের উভয়কক্ষের যৌথ অধিবেশন আহ্বান করেন? 

উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি।

প্রশ্ন ৯। কে লোকসভার অধিবেশন আহ্বান /স্থগিত ঘোষণা করতে পারেন?

উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি। 

প্রশ্ন ১০। লোকসভা কে ভঙ্গ করতে পারেন?

উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি। 

প্রশ্ন ১১। আসাম হতে লোকসভায় কতজন সদস্য নির্বাচিত হন?

উত্তরঃ ১৪জন সদস্য। 

প্রশ্ন ১২। আসাম হতে কতজন সদস্য রাজ্যসভার জন্য নির্বাচিত হন?

উত্তরঃ ৭জন সদস্য।

প্রশ্ন ১৩। কে রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচিত করেন?

উত্তরঃ রাজ্যিক বিধানসভার সদস্যগণ।

প্রশ্ন ১৪। কে লোকসভায় সাধারণ বাজেট পেশ করেন?

উত্তরঃ রাষ্ট্রপতির সুপারিশে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

প্রশ্ন ১৫। রাজ্যসভার অর্থবিল স্থগিত রাখার ক্ষমতা –

(ক) ১২ দিন।

(খ) ১৮ দিন।

(গ) ১৪ দিন।

(ঘ) ১৬ দিন।

উত্তরঃ (গ) ১৪ দিন।

প্রশ্ন ১৬। ভারতীয় সংসদ কয় কক্ষ বিশিষ্ট?

উত্তরঃ দুই কক্ষ-বিশিষ্ট।

প্রশ্ন ১৭। ভারতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষ কোনটি ? 

উত্তরঃ রাজ্যসভা।

প্রশ্ন ১৮। ভারতীয় সংসদের নিম্ন কক্ষ কোনটি?

উত্তরঃ লোকসভা। 

প্রশ্ন ১৯। লোকসভার বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত?

উত্তরঃ ৫৪৩ জন। 

প্রশ্ন ২০। লোকসভার সদস্য হওয়ার নিম্নতম বয়স সীমা কত?

উত্তরঃ ২৫ বছর।

প্রশ্ন ২১। রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার নিম্নতম বয়স সীমা কত?

উত্তরঃ ৩০ বছর। 

প্রশ্ন ২২। দলত্যাগ নিরোধক আইন কখন প্রণীত হয়?

উত্তরঃ ১৯৮৫ সালে।

প্রশ্ন ২৩। সংবিধানের কোন্ সংশোধনীর মাধ্যমে দলত্যাগ রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়?

উত্তরঃ ৫২-তম।

প্রশ্ন ২৪। রাজ্য বিধানসভার সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা কত হতে পারে?

উত্তরঃ ৫০০ জন।

প্রশ্ন ২৫। রাজ্য বিধানসভার নূন্যতম সদস্য সংখ্যা কত?

উত্তরঃ ৬০ জন।

প্রশ্ন ২৬। রাজ্যসভার শূন্য পদ পূরণের জন্য কত বছর অন্তর অন্তর নির্বাচন হয়? 

উত্তরঃ প্রতি ২ বছর অন্তর অন্তর।

প্রশ্ন ২৭। রাজ্যসভায় কে সভাপতিত্ব করেন? 

উত্তরঃ ভারতের উপরাষ্ট্রপতি।

প্রশ্ন ২৮। সংসদের নিম্নকক্ষে কোন প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে সমান সংখ্যক ভোট পড়লে কে নির্ণায়ক ভোট (Casting vote) প্রধান করেন?

উত্তরঃ লোকসভার স্পিকার (Speaker)|

প্রশ্ন ২৯। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার নীতি অনুযায়ী মন্ত্রিসভা কার কাছে দায়বদ্ধ থাকে? 

উত্তরঃ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার কাছে। 

প্রশ্ন ৩০। রাজ্যসভার সভাপতির পদ কে অলংকৃত করেন?

উত্তরঃ উপরাষ্ট্রপতি।

প্রশ্ন ৩১। এককভাবে রাজ্যসভার যে কোনো সদস্যের কার্যকাল কত? 

উত্তরঃ ছয় বছর।

S.L. No.সূচীপত্র
প্রথম খণ্ড
পাঠ – ১সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?
পাঠ – ২ভারতীয় সংবিধানে অধিকার
পাঠ – ৩নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব 
পাঠ – ৪সংসদীয় সরকারের কার্যপালিকা
পাঠ – ৫কেন্দ্র ও রাজ্য
পাঠ – ৬বিচার বিভাগ 
পাঠ – ৭যুক্তরাষ্ট্রবাদ 
পাঠ – ৮স্থানীয় সরকার 
পাঠ – ৯জীবন্ত দলিলরূপে সংবিধান
পাঠ – ১০সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন
দ্বিতীয় খণ্ড
পাঠ – ১১রাজনৈতিক তত্ত্বঃ এক ভূমিকা
পাঠ – ১২স্বাধীনতা
পাঠ – ১৩ সমতা
পাঠ – ১৪সামাজিক ন্যায়
পাঠ – ১৫অধিকার
পাঠ -১৬নাগরিকত্ব
পাঠ -১৭জাতীয়তাবাদ
পাঠ -১৮ধর্মনিরপেক্ষতা
পাঠ -১৯শান্তি
পাঠ -২০উন্নয়ন

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। প্রশ্নোত্তর কাল (Question Hour) কী?

উত্তরঃ সংসদের উভয় কক্ষের প্রথম ঘণ্টার অধিবেশনকে প্রশ্নোত্তর কাল বলে। এই প্রশ্নোত্তর কালে কোনো সাংসদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারেন এবং মন্ত্রী প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য। সাধারণত প্রশ্নোত্তরকালের সময়সীমা সকাল ১১ .০০ হতে দুপুর ১২ .০০টা পর্যন্ত (11-12 A M)

প্রশ্ন ২। রাজ্যসভার যে কোনো দুটি বিশেষ ক্ষমতা উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যসভার বিশেষ ক্ষমতা নিম্নরূপঃ

(ক) রাজ্যসভা জাতীয় স্বার্থে রাজ্য-তালিকাভুক্ত কোন বিষয়ের উপর আইন প্রণয়নের জন্য সংসদকে সুপারিশ করতে পারে।

(খ) কেবল রাজ্যসভাই উপরাষ্ট্রপতির অপসারণ প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে। 

প্রশ্ন ৩। লোকসভার যে কোনো দুটি বিশেষ ক্ষমতার উল্লেখ করো। 

উত্তরঃ সংবিধান অনুযায়ী লোকসভার কতকগুলি বিশেষ ক্ষমতা আছে যা রাজ্যসভার অধিকারে নেই। এগুলোর দুটি নিম্নরূপঃ

(ক) কেবল লোকসভাই অনাস্থা প্রস্তাব দ্বারা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে। 

(খ) অর্থ বিল (Money Bill) লোকসভাতেই উত্থাপিত হয়। 

প্রশ্ন ৪। বাজেট কি? ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট কে অনুমোদন করেন?

উত্তরঃ বাজেট হল সরকারের পরবর্তী বৎসরের জন্য আয় ও ব্যায় সংক্রান্ত আর্থিক লিপিবন্ধ বয়ান। 

রাষ্ট্রপতির সুপারিশক্রমে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লোকসভায় বাজেট পেশ করেন এবং লোকসভা বাজেট অনুমোদন করে।

প্রশ্ন ৫। রাজ্যিক আইনসভার সদস্য হওয়ার যে কোনো দুটি যোগ্যতা উল্লেখ করো? 

উত্তরঃ রাজ্যিক আইনসভার সদস্য হওয়ার যোগ্যতা নিম্নরূপঃ

(ক) ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

(খ) তাঁকে কমপক্ষে ২৫ বছর বয়স্ক হতে হবে। 

প্রশ্ন ৬। ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় কত জন সদস্য মনোনীত করেন? কোন বিষয়ে পারদর্শী ব্যক্তিগণের মধ্য হতে রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার জন্য সদস্য মনোনীত কেন? 

উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি রাজ্যসভায় ১২জন সদস্যকে মনোনীত করেন। তিনি সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা, সমাজসেবা প্রভৃতি বিষয়ে পারদর্শী ব্যক্তিগণের মধ্যে হতে এই ১২ জন সদস্যকে মনোনীত করেন। 

প্রশ্ন ৭। খসড়া (Bill) ও আইনের মধ্যে পার্থক্য কী?

উত্তরঃ খসড়া হল আইন তৈরির জন্য লিপিবন্ধ প্রস্তাব। এই প্রস্তাবিত খসড়া যখন সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করে, তখন তা আইনে পরিণত হয়। 

প্রশ্ন ৮। লোকসভা কেন কার্যপালিকাকে রাজ্যসভা অপেক্ষা অধিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। 

উত্তরঃ ভারতের প্রকৃত কাপালিকা (Executive) হল প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা। 

সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভা নিম্নলিখিত কারণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেঃ

(ক) কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা তার কাজের জন্য লোকসভার নিকট দায়বদ্ধ।

(খ) লোকসভা মন্ত্রীসভার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তা পাস করে মন্ত্রীসভার পতন ঘটাতে পারে।

প্রশ্ন ৯। আমাদের দ্বি-কক্ষযুক্ত আইনসভার প্রয়োজন কেন? 

উত্তরঃ নিম্নলিখিত কারণে আমাদের দ্বি-কক্ষযুক্ত আইনসভার প্রয়োজন হয়:

(ক) ভারতবর্ষ বিশাল দেশ। ভারতীয় সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে। তাই সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব আইনসভায় থাকা প্রয়োজন। এজন্য দ্বি-কক্ষীয় আইনসভা উপযুক্ত।

(খ) যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলোর স্বার্থ রক্ষাকল্পে দ্বিতীয় কক্ষ একান্ত আবশ্যক। বিভিন্ন রাজ্য হতে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে উচ্চ কক্ষ গঠিত হয়।

প্রশ্ন ১০। ভারতীয় সংসদের কক্ষ কয়টি ও কী কী?

উত্তরঃ ভারতীয় সংসদের কক্ষ দুটি- 

(ক) লোকসভা। ও 

(খ) রাজ্যসভা। 

প্রশ্ন ১১। সংসদের দুটি কার্য লেখো?

উত্তরঃ (ক) আইন রচনা করা।

(খ) বার্ষিক বাজেট অনুমোদন করা। 

প্রশ্ন ১২। লোকসভায় কতজন সদস্য মনোনীত করা যায়? কোন্ সম্প্রদায়ের লোকের মধ্যে থেকে এই সদস্যদের মনোনীত করা হয়? 

উত্তরঃ লোকসভায় দুজন ইঙ্গ-ভারতীয় সদস্য মনোনীত করা হয়। যদি লোকসভায় ইঙ্গ-ভারতীয় সদস্য নির্বাচিত না হয় তবে ভারতের রাষ্ট্রপতি সেই সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে তাদের মনোনীত করেন।

প্রশ্ন ১৩। রাজ্যসভায় কতজন সদস্য মনোনীত করা হয়? কীভাবে তারা মনোনীত হন? 

উত্তরঃ রাজ্যসভায় ১২জন সদস্য মনোনীত করা হয়। ভারতের রাষ্ট্রপতি সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা, সমাজসেবায় পারদর্শী ব্যক্তিগণের মধ্যে হতে মোট ১২ জনকে রাজ্যসভার সদস্যরূপে মনোনীত করেন।

প্রশ্ন ১৪। সরকারি বিল ও বেসরকারি বিলের মধ্যে পার্থক্য লেখো?

উত্তরঃ সরকারি বিল মন্ত্রীগণ উত্থাপন করেন এবং বেসরকারি বিল সাধারণ সদস্যগণ উত্থাপন করেন।

প্রশ্ন ১৫। সংসদের যে কোনো দুটি কমিটির নাম লেখো? 

উত্তরঃ (ক) স্ট্যান্ডিং কমিটি।

(খ) যৌথ সংসদীয় কমিটি।

প্রশ্ন ১৬। জার্মানির পার্লামেন্টের দুটি কক্ষের নাম লেখো? 

উত্তরঃ (ক) ফেডারেল অ্যাসেমরি। ও 

(খ) ফেডারেল কাউন্সিল। 

প্রশ্ন ১৭। সংসদ কর্তৃক কার্যপালিকা নিয়ন্ত্রণের দুটি উপায় লেখো?

উত্তরঃ (ক) সংসদে আলোচনা ও বিতর্ক। 

(খ) অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন ও অনুমোদন।

প্রশ্ন ১৮। দ্বি-সদন-বিশিষ্ট আইনসভা থাকা যে কোনো দুটি রাজ্যের নাম লেখো?

উত্তরঃ (ক) বিহার। ও 

(খ) উত্তরপ্রদেশ।

প্রশ্ন ১৯। অধ্যাদেশ কী? কীভাবে তা ঘোষণা করা হয়? 

উত্তরঃ সংসদের অধিবেশন না চলা অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন দেখা দিলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেন।

প্রশ্ন ২০। ব্রিটিশ সংসদের দুটি কক্ষের নাম উল্লেখ করো?

উত্তরঃ (ক) হাউস অব লর্ডস। এবং 

(খ) হাউস অব কমন্স। 

প্রশ্ন ২১। লোকসভায় কে সভাপতিত্ব করেন?

উত্তরঃ লোকসভায় লোকসভার অধ্যক্ষ (Speaker) সভাপতিত্ব করেন। তাঁর অনুপস্থিতে উপাধ্যক্ষ লোকসভায় সভাপতিত্ব করেন। 

প্রশ্ন ২২। কোন্ প্রকার ব্যয়ের জন্য সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না?

উত্তরঃ ভারতের সম্মিলিত তহবিলের অন্তর্ভুক্ত ব্যয়ের জন্য সংসদের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। এই প্রকার ব্যয় নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত থাকার জন্য সংসদের অনুমোদনযোগ্য নয়। 

প্রশ্ন ২৩। ভারতের কেন্দ্রীয় আইন সভার কক্ষ দুটির নাম উল্লেখ করো?

উত্তরঃ রাজ্যসভা (Council of states) এবং লোকসভা (House of the People)।

প্রশ্ন ২৪। রাজ্যসভার সদস্যদের জন্য নির্ধারণ করা যে কোনো দুটি যোগ্যতা উল্লেখ করো?

উত্তরঃ রাজ্যসভার সদস্যদের জন্য নির্ধারণ করা যোগ্যতাসমূহের মধ্যে দুটি যোগ্যতা হলো নিম্নরূপঃ 

(ক) ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

(খ) অন্তত ৩০ বছর বয়স্ত হতে হবে।

প্রশ্ন ২৫। লোকসভার সদস্যদের জন্য নির্ধারণ করা যে কোনো দুটি যোগ্যতা উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ভারতীয় সংবিধানে লোকসভার সদস্যদের জন্য নির্ধারণ করা যোগ্যতাসমূহের মধ্যে দুটি যোগাতা নিম্নরূপঃ

(ক) সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে ভারতীয় হতে হবে। 

(খ) তাঁকে অন্তত ২৫ বছর বয়স্ক হতে হবে।

প্রশ্ন ২৬। লোকসভার অধ্যক্ষের দুটি মূল ভূমিকা লেখো?

উত্তরঃ লোকসভার অধ্যক্ষের দুটি মূল ভূমিকা হলোঃ 

(ক) লোকসভার বিতর্ক ও আলোচনা পরিচালন ও নিয়ন্ত্রণ করা।

(খ) লোকসভার শৃঙ্খলা ও মর্যাদা রক্ষা করা। 

প্রশ্ন ২৭। সংসদের যৌথ অধিবেশন কে এবং কেন আহ্বান করেন?

উত্তরঃ একটি বিল দুটো সভায় (রাজ্যসভা এবং লোকসভা) গৃহীত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সম্মতি দানের পর উক্ত বিলটি আইনে পরিণত হয়। কিন্তু প্রস্তাবিত বিলের বিষয়ে যদি রাজ্যসভা ও লোকসভার মধ্যে কোনো মতানৈক্য হয়, তবে ভারতের রাষ্ট্রপতি যৌথ অধিবেশন আহ্বান করেন। যৌথ অধিবেশন দ্বারা এই মতানৈক্যের অবসান ঘটে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। রাজ্যসভা কীভাবে গঠিত হয়?

উত্তরঃ রাজ্যসভা হল সংসদের উচ্চ সদন। এটি অধিকতম ২৫০জন সদস্য নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ১২ জন সদস্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা, সমাজসেবা প্রভৃতি বিষয়ে পারদর্শী ব্যক্তিগণের মধ্য হতে মনোনীত। এই মনোনীত ১২জন সদস্য বাতীত রাজ্যসভার অন্যান্য সদস্যগণ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হতে পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হয়ে আসেন।

ভারতের উপরাষ্ট্রপতি রাজ্যসভার পদাধিকারী সভাপতি। তিনি রাজ্যসভার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। তাঁর অনুপস্থিতে রাজ্যসভার কার্য পরিচালনা করবার জন্য সদস্যগণ তাদের মধ্য হতে একজনকে সহসভাপতিরূপে নির্বাচিত করেন। 

প্রশ্ন ২। লোকসভা কীভাবে গঠিত হয়?

উত্তরঃ ভারতীয় সংসদের নিম্নসদনকে লোকসভা (House of people) বলে। লোকসভার সদস্যগণ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন এবং ২জন সদস্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায় হতে মনোনীত হন। লোকসভায় ইঙ্গ-ভারতীয় সম্প্রদায় হতে প্রতিনিধি নির্বাচিত না হলে রাষ্ট্রপতি দুজন ইঙ্গ-ভারতীয় সদস্য নির্বাচন করেন। 

লোকসভার মোট সদস্য সংখ্যা ৫৫২ জন। এর মধ্যে অনুসূচীত জাতি ও উপজাতির জন্যও আসন সংরক্ষিত আছে। লোকসভার সদস্যগণ সার্বজনীন প্রাপ্তবয় ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। 

লোকসভার সদস্যগণ তাদের মধ্য হতে একজন অধ্যক্ষ ও একজন উপাধ্যক্ষ নির্বাচিত করেন। অধ্যক্ষ এবং তাঁর অনুপস্থিতে উপাধ্যক্ষ লোকসভার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। 

প্রশ্ন ৩। লোকসভা ও রাজ্যসভার সমান ক্ষমতাসমূহ উল্লেখ করো?

উত্তরঃ সংবিধান অনুযায়ী কতকগুলি বিষয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভাকে সমান ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলো নিম্নরূপঃ

(ক) সাধারণ আইন প্রণয়নের ব্যাপারে উভয় কক্ষই প্রায় সমান ক্ষমতা প্রয়োগের অধিকারী। উভয় কক্ষের সম্মতি ব্যতীত সাধারণ আইন অনুমোদিত হয় না।

(খ) সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে উভয় কক্ষই সমান ক্ষমতার অধিকারী।

(গ) উভয় কক্ষই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ও অপসারণের ব্যাপারে সমান ক্ষমতা প্রয়োগ করে।

প্রশ্ন ৪। রাজ্যসভার তিনটি বিশেষ ক্ষমতার উল্লেখ করো।

উত্তরঃ সংবিধান অনুযায়ী কতকগুলি বিষয়ে রাজ্যসভা বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে। 

এগুলো হল–

(ক) রাজ্যসভা দেশের স্বার্থে রাজ্য – তালিকাভুক্ত কোন বিষয়ের উপর আইন প্রণয়নের জন্য সংসদকে সুপারিশ করতে পারে। 

(খ) রাজ্যসভাই কেবলমাত্র উপরাষ্ট্রপতি অপসারণের প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারে।

(গ) রাজ্যসভা কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারের জন্য নতুন সর্বভারতীয় সেবা (All India Services) ব্যবস্থা গঠনের সুপারিশ করতে পারে।

প্রশ্ন ৫। দলত্যাগ বলতে কী বোঝ? দলত্যাগ রোধে সাংবিধানিক ব্যবস্থাসমূহ কী কী?

উত্তরঃ আইনসভার কোন সদস্য যদি দলীয় নির্দেশ অমান্য করে সদনে অনুপস্থিত থাকে অথবা দলীয় নির্দেশের বিরুদ্ধে ভোটদান করে অথবা স্বেচ্ছায় দলীয় সদস্যপদ ত্যাগ করে তাহলে তাকে দলত্যাগী বলে গণ্য করা হয়। ১৯৮৫ সালে সংবিধানের ৫২তম সংশোধনী আইনদ্বারা দলত্যাগ প্রতিহত করতে কতকগুলি ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়। দলত্যাগ নিরোধক আইন সংবিধানের দশম তপশীল হিসাবে ভারতীয় সংবিধানে লিপিবন্ধ করা হয়েছে। এই আইনের অধীন প্রধান ব্যবস্থাসমূহ নিম্নরূপঃ 

(ক) যদি কোন সাংসদ বা বিধায়ক কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে সেই দল স্বেচ্ছায় ত্যাগ করেন অথবা সননে দলীয় নির্দেশ অমান্য করায় দল কর্তৃক দলছুট বলে শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে আইনসভার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। 

(খ) নির্দল কোন সদস্য নির্বাচনের ৬মাস পর কোন রাজনৈতিক দলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করলে তার সদস্যপদ নাকচ হয়ে যাবে। 

(গ) দলীয় নির্দেশ অমান্য করে সদস্য আইনসভায় তাঁর দলের বিপক্ষে ভোটদান করলে তার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে। 

প্রশ্ন ৬। লোকসভার অধ্যক্ষের পদমর্যাদা ও তাঁর ভূমিকা আলোচনা করো?

উত্তরঃ লোকসভার সদস্যগণ তাদের মধ্য হতে একজনকে অধ্যক্ষ বা স্পীকার নির্বাচিত করেন। তার কার্যকাল ৫ বছর। তবে লোকসভার অধিকাংশ সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তা পাস করে অধ্যক্ষকে অপসারিত করতে পারেন।

অধ্যক্ষ লোকসভার মুখপাত্র হিসাবে কার্য সম্পাদন করেন। তিনি লোকসভার অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। অধ্যক্ষ লোকসভার বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন না, তবে কোন প্রস্তাবের পক্ষে এবং বিপক্ষে সমান সমান ভোট হলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এই অচলাবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য অধ্যক্ষ তাঁর নির্ণায়ক ভোট (Casting Vote) প্রয়োগ করতে পারেন। তার অনুমতি ব্যতীত কোন সদস্য সদনে বক্তব্য রাখতে পারেন। না। লোকসভার কার্যপরিচালনা এবং সভার নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষা করা হল অধ্যক্ষের প্রধান দায়িত্ব। তিনি লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি রাখার প্রস্তাবে সম্মতি দিতে পারেন। তিনি সংসদের যৌথ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। কোন বিল অর্থ বিল কিনা এ বিষয়ে তার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি বিভিন্ন কমিটির সভাপতি মনোনীত করেন। লোকসভার অধ্যক্ষ নিরপেক্ষ ভূমিকা বজায় রেখে লোকসভার কার্য পরিচালনা করেন।

প্রশ্ন ৭। ভারতীয় সংসদের কমিটি সমূহের ভূমিকা সংক্ষেপে বর্ণনা করো?

উত্তরঃ সংসদের কার্যপ্রণালী সংক্রান্ত নিয়ম-নীতিতে কমিটি নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংসদের বিভিন্ন কমিটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যগুলি সম্পাদন করে। কমিটিগুলো কেবল আইন প্রণয়ন করে না, সংসদের দৈনন্দিন কার্যও গুরুত্ব সহকারে পালন করে। আইন প্রণয়নের ব্যাপারে সময়ের প্রয়োজন হয়। কারণ দীর্ঘ আলোচনা ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে বিল অনুমোদিত হয়। এজন্য সুষ্ঠুভাবে আইন অনুমোদন ও অন্যান্য কার্য সম্পাদনে কমিটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রতিটি কমিটিতে রাজনৈতিক দলসমূহ যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করে এবং বিরোধী দল বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সরকারের সমালোচনার সুযোগ পায়। তারা তাদের অভিমত কমিটির মাধ্যমে প্রকাশ করে। বিভিন্ন কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে সদন বিল সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। বিজনেস অ্যাডভাইসারি কমিটি, রুলস কমিটি, পাব্লিক আণ্ডারটেকিং কমিটি, এসটিমেট কমিটি, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি প্রভৃতি সংসদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটি। 

প্রশ্ন ৮। ভারতীয় সংসদের আইন–প্রণয়ন পদ্ধতি আলোচনা করো। 

উত্তরঃ সংসদের প্রধান কাজ হল আইন প্রণয়ন। ভারতীয় সংসদে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে আইন প্রণয়ন করা হয়ঃ

(ক) বিল উত্থাপন ও প্রথম পাঠঃ মন্ত্রীগণ সরকারি বিল উত্থাপন করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বিল উত্থাপনের জন্য অনুমতি নিয়ে বিলটিকে যে কোনো কক্ষে উত্থাপন করেন। এই পর্যায়ে কোন প্রকার আলোচনা করা হয় না। বিলটি অধ্যক্ষের অনুমতিক্রমে সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হয়।

(খ) ২য় পাঠঃ বিলটি পেশ করবার অন্তত দুদিন পর এর ২য় পাঠ আরম্ভ হয়। ২য় পাঠের ১ম স্তরে বিলটির অন্তর্নিহিত মূল নীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে তা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়। এই স্তরে বিলটির কোন সংশোধন (পরিবর্তন) প্রস্তাব করা যায় না। 

(গ) কমিটি ও রিপোর্ট পর্যায়ঃ সিলেক্ট কমিটিতে আলোচনার পর বিলটি বিবরণী কমিটির সভাপতি সংসদে পাঠান। কমিটির প্রতিবেদন (report) পেশ হবার পর প্রস্তাব করা হয়- “কমিটি কর্তৃক প্রেরিত বিলের বিচার-বিবেচনা করা হোক।”

(ঘ) ৩য় পাঠঃ বিলের বিভিন্ন ধারার আলোচনা সমাপ্ত হলে বিলটি ৩য় পাঠের জন্য প্রস্তাব করা হয়। এই সময় প্রস্তাব করা হয় – বিলটিকে বা সংশোধিত বিলটিকে পাস করা হোক। তখন বিলটি সামগ্রিকভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যানের প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক হয়। এই পর্যায়ে গৃহীত হলে বিলটি ওই কক্ষের দ্বারা গৃহীত হয়েছে বলে স্থির করা হয়।

(ঙ) অন্য কক্ষে প্রেরণঃ এভাবে এক কক্ষের গৃহীত বিলটি অন্য কক্ষে পাঠানো হয়। অপর কক্ষে পূর্বে উল্লেখ করা প্রত্যেক পর্যায়ের মধ্য দিয়ে বিলটিকে অতিক্রম করতে হয়। উভয় কক্ষের মধ্যে মতানৈক্য ঘটলে সংসদের যৌথ অধিবেশনের মাধ্যমে বিরোধের মীমাংসা করা হয়।

(চ) রাষ্ট্রপতির সম্মতিঃ উভয় কক্ষের দ্বারা বিলটি গৃহীত হলে তা রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণ করা হয়। রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলে বিলটি আইনে পরিণত হয়। উপরোক্ত পদ্ধতিতে একটি বিল আইনে হয়।

প্রশ্ন ৯। কীভাবে একটি বিল আইনে পরিণত হয়?

উত্তরঃ (ক) বিল উত্থাপন ও প্রথম পাঠঃ মন্ত্রীগণ সরকারি বিল উত্থাপন করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বিল উত্থাপনের জন্য অনুমতি নিয়ে বিলটিকে যে কোনো কক্ষে উত্থাপন করেন। এই পর্যায়ে কোন প্রকার আলোচনা করা হয় না। বিলটি অধ্যক্ষের অনুমতিক্রমে সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হয়।

(খ) ২য় পাঠঃ বিলটি পেশ করবার অন্তত দুদিন পর এর ২য় পাঠ আরম্ভ হয়। ২য় পাঠের ১ম স্তরে বিলটির অন্তর্নিহিত মূল নীতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। পরে তা সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়। এই স্তরে বিলটির কোন সংশোধন (পরিবর্তন) প্রস্তাব করা যায় না।

প্রশ্ন ১০। ভারতীয় সংসদের কার্যাবলী আলোচনা করো?

 উত্তরঃ ভারতীয় গণতন্ত্রে জনগণের সর্বোচ্চ প্রতিনিধিমূলক সংস্থা হল সংসদ। সংসদ বিভিন্ন কার্য সম্পাদন করে। 

সংসদের কার্যাবলী নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

(ক) আইন–বিষয়কঃ আইন প্রণয়ন সংসদের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেন্দ্রীয় ও যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংসদ আইন প্রণয়ন করে। বিশেষ পরিস্থিতিতে সংসদ রাজ্য-তালিকাভুক্ত বিষয়ের উপরও আইন প্রণয়ন করে। রাজ্যসভা সংসদকে রাজ্যতালিকা বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করে।

(খ) অর্থ-বিষয়কঃ সংসদে অর্থ সংক্রান্ত প্রস্তাব লোকসভায় উত্থাপিত হয়। অর্থ-সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপনের ক্ষমতা রাজ্যসভার নেই। জাতীয় বাজেট সংসদ পাস করে। ভারত সরকার কর্তৃক কর ধার্য এবং অর্থ ব্যয় করবার জন্য সংসদের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। সংসদ সরকারের সঠিকভাবে অর্থ ব্যয় করার উপর সঠিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। 

(গ) কার্যপালিকা বা শাসনবিভাগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়কঃ সংসদ কার্যপালিকার কাজের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে এবং কার্যপালিকার সংসদের নিকট তার দায়বদ্ধতা সুনিশ্চিত করে। শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করা সংসদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। 

(ঘ) প্রতিনিধিত্ব বিষয়কঃ সংসদ ভারতের সকল জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। ভারতের সকল শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষার্থে তাদের মতামত সাংসদরা সংসদে তুলে ধরেন। বিভিন্ন অঞ্চল এবং জাতি, ধর্ম, সামাজিক ও আর্থিক পদ মর্যাদা সম্পন্ন সকল জনসাধারণের প্রতিনিধি স্বরূপ সংসদ তাদের যথাযথ স্বার্থ প্রতিষ্ঠাকল্পে কার্যপালিকার উপর চাপ সৃষ্টি করে।

(ঙ) বিতর্ক-সংক্রান্তঃ সংসদে দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনা করা হয়। দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক করার সবচেয়ে ভাল মঞ্চ হচ্ছে সংসদ। সংসদের সকল সদস্য নির্ভয়ে ও স্বাধীন ভাবে যে কোনো বিষয় নিয়ে সংসদে বক্তব্য রাখতে পারেন। 

(চ) সংবিধান-সংক্রান্তঃ সংসদ সংবিধান সংশোধন করতে পারে। এই বিষয়ে সংসদের উভয় কক্ষের সমান ক্ষমতা। গতিশীল, আর্থ- সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে সংসদ সংবিধান সংশোধন করে। সংসদ মৌলিক কাঠামো বাতীত সংবিধানের বিভিন্ন অংশের পরিবর্তন সাধন করতে পারে।

(ছ) নির্বাচন-সংক্রান্তঃ সংসদের সদস্য ও রাজ্যিক আইনসভার নির্বাচিত সদস্যাগণ রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচিত করেন। সংসদ উপরাষ্ট্রপতিকেও নির্বাচিত করে। এইক্ষেত্রে রাজ্যিক আইনসভার প্রয়োজন হয় না।

(জ) বিচার-বিষয়কঃ সংসদ ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং সুপ্রীমকোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের অপসারণ করতে পারে।

প্রশ্ন ১১। পার্লামেন্ট বলতে কী বোঝ? 

উত্তরঃ সরকারের প্রধান বিভাগ তিনটি; যথা- 

(ক) আইন বিভাগ। 

(খ) শাসন বিভাগ। ও 

(গ) বিচার বিভাগ।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগটি হল আইনবিভাগ। আইনবিভাগকে সাধারণত পার্লামেন্ট বলা হয়। Parliament শব্দটি ফরাসি শব্দ ‘Parlar’ হতে উদ্ভূত। এই শব্দের অর্থ হল ‘কথা বলা’। আলোচনার জন্য যখন কিছু লোকের একত্রে সমাবেশ ঘটে তখন তাকে পার্লামেন্ট বলে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে Parliament বা সংসদ আইন-কানুন রচনা করে। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পার্লামেন্টই আইনের প্রধান উৎস। 

প্রশ্ন ১২। আইন সভা বা আইন বিভাগের কার্যাবলী সংক্ষেপে উল্লেখ করো?

উত্তরঃ আইনসভা নিম্নোক্ত কার্যাবলী সম্পাদন করেঃ

(ক) আইন সভার প্রধান কার্য হল আইন-কানুন রচনা করা। সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে নতুন নতুন আইন-কানুন রচনা করা আইনসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্য। পুরনো আইন সংশোধন করা বা প্রয়োজনানুসারে বাতিল করাও আইনসভার অন্যতম প্রধান কার্য। 

(খ) সংসদীয় শাসন-ব্যবস্থায় আইনসভার সদস্যগণ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হয়। মন্ত্রী পরিষদ আইন সভারই একটি অংশ। মন্ত্রী পরিষদকে আইনসভা নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। আইনসভার আস্থার উপর মন্ত্রিপরিষদের স্থায়িত্ব নির্ভর করে।

(গ) আইনসভার অনুমোদন ছাড়া কোন কর ধার্য করা যায় না। আইনসভা বার্ষিক বাজেট অনুমোদন করে। আইনসভা জাতীয় অর্থের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে। 

(ঘ) আইনসভা বিচার-সংক্রান্ত কার্যও সম্পাদন করে। ইংল্যাণ্ডের সংসদের উচ্চকক্ষ লর্ডসভা দেশের সর্বোচ্চ আদালত হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। 

প্রশ্ন ১৩। ভারতের সংসদ কীভাবে গঠিত হয়?

উত্তরঃ ভারতের সংসদ (Parliament) রাষ্ট্রপতি ও দুই কক্ষ রাজ্যসভা ও লোকসভা নিয়ে গঠিত। লোকসভা সংসদের নিম্নকক্ষ। এর সদস্যগণ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত। লোকসভার কার্যকাল সাধারণত পাঁচ বছর।

রাজ্যসভা হল উচ্চকক্ষ। এটি সর্বাধিক ২৫০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত। রাজ্যসভা স্থায়ী কক্ষ। এর সদস্যদের কার্যকাল ছয় বছর। প্রতি দুই বৎসর অস্তর এক-তৃতীয়াংশ সদস্য অবসর গ্রহণ করেন এবং সম-সংখ্যক সদস্য নির্বাচিত হয়ে রাজ্যসভায় আসেন। 

রাজ্যসভার পদাধিকারী সভাপতি হলেন উপরাষ্ট্রপতি এবং লোকসভার সভাপতি হলেন অধ্যক্ষ (Speaker)| 

প্রশ্ন ১৪। ভারতীয় সংসদের চারটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ভারতীয় সংসদের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপঃ

(ক) ভারতীয় সংসদের দুটি কক্ষ আছে। 

(খ) ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা স্থায়ী কক্ষ।

(গ) নিম্নকক্ষ লোকসভার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তা ভঙ্গ হতে পারে। 

(ঘ) উভয় কক্ষের সদস্যসংখ্যা সমান নয়। 

প্রশ্ন ১৫। ভারতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলী উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ভারতীয় সংসদের ক্ষমতা ও কার্যাবলীর কয়েকটি নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

(ক) সমগ্র দেশের জন্য আইন প্রণয়ন করা। 

(খ) কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপরিষদকে নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

(গ) দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতি ও পরিকল্পনা তৈরি করা।

(ঘ) দেশের আর্থিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা ও বাজেট অনুমোদন করা।

প্রশ্ন ১৬। সংসদের যৌথ অধিবেশন বলতে কী বোঝ? 

উত্তরঃ সাধারণ বিলের ক্ষেত্রে রাজ্যসভা ও লোকসভা সমান ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকে। সাধারণ বিল এক কক্ষে অনুমোদিত হওয়ার পর অন্য কক্ষে সেই বিল পাঠানো হয়। যদি অন্যকক্ষ বিলটি অনুমোদন না করে তাহলে উভয় কক্ষের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়। এই বিরোধ মীমাংসা করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশন আহ্বান করতে পারেন। এই যৌথ অধিবেশনে লোকসভার অধ্যক্ষ সভাপতিত্ব করেন। যৌথ অধিবেশনে উভয় কক্ষের মতভেদ দূর করে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে বিলটি অনুমোদন করা হয়।

প্রশ্ন ১৭। অর্থ বিলের উপর আলোকপাত করো? 

উত্তরঃ সংবিধানের ১১০নং ধারানুসারে যে বিলে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহের মধ্যে যে কোনো একটি বিষয় উল্লেখ থাকে, তাকে অর্থবিল বা Money Bill বলে গণ্য করা হয়। 

(ক) কোন কর ধার্থ, বিলোপ, পরিবর্তন। 

(খ) ভারত সরকার যারা ঋণ গ্রহণ।

(গ) কেন্দ্রীয় সঞ্চিত তহবিল হতে অর্থ-বিনিয়োগ। 

(ঘ) কোন ব্যয় যা কেন্দ্রীয় তহবিলের উপর ধার্য বলে ঘোষণা বা ঐরূপ ব্যয় বৃদ্ধি। 

(ঙ) কেন্দ্রীয় সঞ্চিত তহবিল বা সরকারি গাণিতিক খাতে গৃহীত ব্যয়।

(চ) উপরের বর্ণিত যে-কোনটির আনুমানিক বিষয়। 

কোন বিল অর্থ বিল কি না সে বিষয়ে লোকসভার অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হয়।

প্রশ্ন ১৮। লোকসভার প্রধান চারটি কার্য লেখো? 

উত্তরঃ লোকসভার প্রধান কার্যাবলী নিম্নরূপঃ

(ক) কেন্দ্রীয় ও যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়ের উপর আইন প্রণয়ন করা।

(খ) বার্ষিক বাজেট, কর ধার্য, ও বিলোপ প্রভৃতি অনুমোদন করা। 

(গ) সংবিধান সংশোধনী বিল অনুমোদন করা।

(ঘ) মন্ত্রী পরিষদকে নানা উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top