Class 11 Political Science Chapter 6 বিচার বিভাগ 

Join Roy Library Telegram Groups

Class 11 Political Science Chapter 6 বিচার বিভাগ, AHSEC Class 11 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 11 Political Science Chapter 6 বিচার বিভাগ The experts of Roy Library provide solutions for every textbook question to help students understand and learn the language quickly. Class 11 Political Science Chapter 6 বিচার বিভাগ Solutions are free to use and easily accessible.

Class 11 Political Science Chapter 6 বিচার বিভাগ

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই PDF, Assam Board Class 11 Political Science Question Answer in Bengali Class 11 Political Science Chapter 6 বিচার বিভাগ The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 1st Year Political Science Notes in Bengali, Class 11 All Books PDF File Download in Bengali Solution gives you a better knowledge of all the chapters. AHSEC Class 11 Political Science Solution in Bengali, HS 1st Political Science Suggestion in Bengali, একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান Question answer in Bengali, Class 11 Political Science Chapter 6 বিচার বিভাগ The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. NCERT Class 11 Political Science Solution, will be able to solve all the doubts of the students. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর, Class XI Political Science Question Answer in Bengali provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the NCERT/AHSEC Class 11 Political Science Textbooks Solution. একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান সাজেশন Assam AHSEC Class 11 Political Science Suggestion are present on Roy Library’s website in a systematic order.

বিচার বিভাগ 

একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বিচার বিভাগ কী?

উত্তরঃ সরকারের যে বিভাগ দেশের প্রচলিত আইনগুলির ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ পূর্বক যথাযথভাবে বিচারকার্যে প্রয়োগ করে তাকে বিচার বিভাগ বলে।

প্রশ্ন ২। বিচার বিভাগের প্রধান ভূমিকা কী?

অথবা, 

বিচার বিভাগের প্রধান কার্য কী?

উত্তরঃ বিচার বিভাগের প্রধান কার্য হল সমগ্র দেশে ন্যায় বিচার প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং ব্যক্তি–স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করা। 

প্রশ্ন ৩। ভারতের বিচারবিভাগ কি শাসনবিভাগের অধীন?

উত্তরঃ না; ভারতের বিচারবিভাগ শাসন বিভাগের অধীন নয়। বিচার বিভাগ শাসন বিভাগ হতে পৃথক।

প্রশ্ন ৪। সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতিগণকে কে নিয়োগ করেন?

উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি।

প্রশ্ন ৫। PIL – এর সম্পূর্ণ নাম কী?

উত্তরঃ Public Interest Litigation (জনস্বার্থ-সংক্রান্ত মামলা)। 

প্রশ্ন ৬। কত বছর বয়সে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি অবসরগ্রহণ করেন?

উত্তরঃ ৬৫ বছর। 

প্রশ্ন ৭। হাইকোর্টের বিচারপতি কত বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন?

উত্তরঃ ৬২ বছর।

প্রশ্ন ৮। সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা কত? 

উত্তরঃ প্রধান বিচারপতি ও ৩০জন অন্যান্য বিচারপতি নিয়ে মোট বিচারপতির সংখ্যা ৩১ জন। (এপ্রিল, ২০০৮ সাল পর্যন্ত)। 

প্রশ্ন ৯। কে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণ করেন।

উত্তরঃ ভারতের কেন্দ্রীয় সংসদ। 

প্রশ্ন ১০। সুপ্রীম কোর্ট কি হাইকোর্টের বিচারপতিদের বদলি (transfer) করতেপারেন?

উত্তরঃ হ্যাঁ; সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্টের বিচারপতিদের অন্য হাইকোর্টে বদলি করতে পারেন। 

প্রশ্ন ১১। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কার্যকাল সংক্রান্ত কোন্ বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়?

উত্তরঃ সিনিয়রিটি।

প্রশ্ন ১২। আইনের শাসন বলতে তুমি কি বোঝ?

উত্তরঃ আইনের শাসন বলতে দেশে প্রচলিত আইনের প্রাধান্যকে বোঝায়। আইনের দৃষ্টিতে সকল সমান। সকল মানুষই একই আইন ও আদালতের বিচারাধীন। এটি আইনের শাসনের মূল বক্তব্য।

প্রশ্ন ১৩। আইনের শাসন তত্ত্বটির প্রবক্তা কে? 

উত্তরঃ প্রখ্যাত ব্রিটিশ আইনবিদ ডাইসি।

প্রশ্ন ১৪। কে প্রথম দিল্লিতে লোক আদালত উদ্বোধন করেন? 

উত্তরঃ বিচারপতি পি. এন. ভগবতী (১৯৮৫ সালে)।

প্রশ্ন ১৫। ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার সর্বোচ্চ আদালত কোনটি?

উত্তরঃ সুপ্রীম কোর্ট।

প্রশ্ন ১৬। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতবর্ষে দ্বৈত বিচার ব্যবস্থা আছে? (‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ লেখো)

উত্তরঃ না।

প্রশ্ন ১৭। ভারতের বিচার ব্যবস্থা হল এক এবং অখণ্ড? (হ্যাঁ বা না লেখো)

উত্তরঃ হ্যাঁ।

প্রশ্ন ১৮। ভারতের অখণ্ড বিচার ব্যবস্থা (integrated chain of Judiciary)-র শীর্ষে আছে ……..? (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)

উত্তরঃ সুপ্রিম কোর্ট।

প্রশ্ন ১৯। বর্তমানে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সংখ্যা কত? 

উত্তরঃ ৩১জন (প্রধান বিচারপতিসহ)।

প্রশ্ন ২০। কোথায় প্রথম লোক আদালত অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ দিল্লিতে।

প্রশ্ন ২১। ভারতের বিচার ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যটি উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ভারতের বিচার ব্যবস্থা হল এক এবং অখণ্ড।

প্রশ্ন ২২। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় কী ধরনের বিচার ব্যবস্থা থাকে? 

উত্তরঃ দ্বৈত বিচার ব্যবস্থা।

প্রশ্ন ২৩। উচ্চতম ন্যায়ালয় দ্বারা জারি করতে পারা একটি লেখ উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বন্দী প্রত্যক্ষকরণ।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে কীভাবে নিযুক্ত করা হয়? 

উত্তরঃ ভারতের সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করেন। সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি সপ্রীম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে তার সিনিয়রিটির প্রতি দৃষ্টি রাখা হয়। রাষ্ট্রপতি সবচেয়ে সিনিয়র বিচারপতিকে অন্যান্য বিচারপতিদের সঙ্গে পরামর্শ করে সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতিরূপে নিয়োগ করেন। 

প্রশ্ন ২। সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের কীভাবে নিযুক্ত করা হয়?

উত্তরঃ সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিগণকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করেন। সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে অন্যান্য বিচারপতিগণকে নিয়োগ করেন। যদি তিনি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে সুপ্রীমকোর্টের অন্যান্য বিচারপতি ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণের সঙ্গে পরামর্শ করেই নুতন বিচারপতি নিয়োগ করতে পারেন। সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি একজন অতিরিক্ত বিচারপতিও নিয়োগ করতে পারেন।

প্রশ্ন ৩। সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতির যে কোনো দুটি যোগ্যতা উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ভারতের সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি হতে হলে একজন ব্যক্তির বিশেষ কতিপয় যোগ্যতা থাকতে হবে। 

এইগুলির মধ্যে অন্যতম দুইটি হলঃ

(ক) তাঁকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।

(খ) কোন একটি হাইকোর্টের অথবা একাধিক হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে অন্ততঃ ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

প্রশ্ন ৪। হাইকোর্টের বিচারপতির যে কোনো দুটি যোগ্যতা উল্লেখ করো?

উত্তরঃ হাইকোর্টের বিচারপতির দুটি যোগ্যতা নিম্নরূপঃ

(ক) তাঁকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। 

(খ) কোন একটি বা একাধিক হাই কোর্টে অন্ততঃ এক নাগাড়ে আইনজীবি হিসাবে দশ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

প্রশ্ন ৫। সুপ্রীম কোর্টের মূল এলাকা বলতে তুমি কী বোঝ?

অথবা, 

ভারতের উচ্চতম ন্যায়ালয়ের মৌলিক অধিকার ক্ষেত্র কী সূচিত করে? 

উত্তরঃ সুপ্রীম কোর্টের মূল এলাকা বলতে নিম্নোক্ত তিনটি বিষয় সম্পর্কিত বিবাদ মীমাংসার ক্ষেত্র বোঝায় – 

(ক) ভারত সরকার বনাম এক বা একাধিক রাজ্যের বিবাদ।

(খ) একদিকে ভারত সরকার ও কোন রাজ্য এবং অপরদিকে এক বা একাধিক রাজ্যের মধ্যের বিবাদ। এবং

(গ) দুই বা ততোধিক রাজ্যের মধ্যের বিবাদ।

প্রশ্ন ৬। বিচার পুনর্বিচার এবং লেখসমূহের মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো?

উত্তরঃ বিচার পুনর্বিচার (Judicial Review) এবং লেখ (Writ)-এর মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। বিচার পুনর্বিচারের ক্ষমতা বিচারালয়কে সংবিধান রক্ষা করার এবং নাগরিকের অধিকারকে সুরক্ষা করার ক্ষমতা প্রদান করে। লেখ- এর মাধ্যমে সুপ্রীম কোর্ট ও হাই কোর্ট কেবল নাগরিকের অধিকার রক্ষা করে। সংবিধান সুরক্ষার অধিকার বিচার–পুনর্বিচার প্রক্রিয়ায় থাকলেও লেখ জারির মাধ্যমে সংবিধান রক্ষার বিষয় পরিলক্ষিত হয় না। লেখ জারির মাধ্যমে সুপ্রীম কোর্ট নাগরিকের কেবল মৌলিক অধিকার রক্ষা করে। 

S.L. No.সূচীপত্র
প্রথম খণ্ড
পাঠ – ১সংবিধান প্রণয়নঃ সংবিধানঃ কেন এবং কিভাবে?
পাঠ – ২ভারতীয় সংবিধানে অধিকার
পাঠ – ৩নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্ব 
পাঠ – ৪সংসদীয় সরকারের কার্যপালিকা
পাঠ – ৫কেন্দ্র ও রাজ্য
পাঠ – ৬বিচার বিভাগ 
পাঠ – ৭যুক্তরাষ্ট্রবাদ 
পাঠ – ৮স্থানীয় সরকার 
পাঠ – ৯জীবন্ত দলিলরূপে সংবিধান
পাঠ – ১০সংবিধানের রাজনৈতিক দর্শন
দ্বিতীয় খণ্ড
পাঠ – ১১রাজনৈতিক তত্ত্বঃ এক ভূমিকা
পাঠ – ১২স্বাধীনতা
পাঠ – ১৩ সমতা
পাঠ – ১৪সামাজিক ন্যায়
পাঠ – ১৫অধিকার
পাঠ -১৬নাগরিকত্ব
পাঠ -১৭জাতীয়তাবাদ
পাঠ -১৮ধর্মনিরপেক্ষতা
পাঠ -১৯শান্তি
পাঠ -২০উন্নয়ন

প্রশ্ন ৭। মৌলিক অধিকার সুরক্ষার দুটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা কী কী?

উত্তরঃ বিচারালয় কর্তৃক মৌলিক অধিকার রক্ষা করার দুটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা হলঃ

(ক) সুপ্রীম কোটি বিভিন্ন লেখ জারি করে নাগরিকের মৌলিক অধিকার বলবৎ করে।

(খ) মৌলিক অধিকারকে খর্ব করে এমন কোনো আইনকে সুপ্রীম কোর্ট অসাংবিধানিক ঘোষণা করে মৌলিক অধিকার রক্ষা করে। 

প্রশ্ন ৮। বিচার বিভাগ ও সংসদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল এরূপ যে কোনো দুটি বিষয় লেখো।

উত্তরঃ (ক) সম্পত্তির অধিকার সংক্রান্ত বিতর্ক।

(খ) সংসদের সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা বিষয়ক। 

প্রশ্ন ৯। বিচারালয়ের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষার যে কোনো দুটি উপায় উল্লেখ করো?

উত্তরঃ বিচারালয়ের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা রক্ষার দুটি উপায় নিম্নরূপঃ

(ক) বিচারপতিগণের উচ্চ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তির নিযুক্তি ও নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া।

(খ) বিচার বিভাগের উপর কার্যপালিকার ও আইনবিভাগের হস্তক্ষেপ না করা। 

প্রশ্ন ১০। বিচারালয়ের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা কী?

উত্তরঃ বে‌ন্থাম (Bentham) এর মতে, বিচার বিভাগের কার্য সম্পাদন ও বিচার পরিচালনার উপরই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সফলতা নির্ভর করে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিচার বিভাগ সরকারের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। স্বাধীন বিচার বিভাগ ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারে। তাই বিচারবিভাগ সরকারের শাসনবিভাগ বা আইনবিভাগ হতে মুক্ত থাকা প্রয়োজন। এজন্য ভারতীয় গণতন্ত্রে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারবিভাগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রশ্ন ১১। উচ্চতম ন্যায়ালয়ের মুখ্য ন্যায়াধীশকে কে নিযুক্ত করেন? মুখ্য ন্যায়াধীদের কার্যকালের মেয়াদ কতদিন?

উত্তরঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি উচ্চতম ন্যায়ালয়ের মুখ্য ন্যায়াধীশকে নিযুক্ত করেন। মুখ্য ন্যায়াধীশ সাধারণত ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকেন। 

অবশ্য –

(ক) মুখ্য ন্যায়াধীশ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে।

(খ) তার মৃত্যু হলে, কিংবা।

(গ) তাঁকে পদচ্যুত করা হলে।

কার্যকাল পরিসমাপ্তির পূর্বেই মুখ্য ন্যায়াধীশের পদ শূন্য হতে পারে।

প্রশ্ন ১২। ভারতের উচ্চতম ন্যায়ালয় কখন পরামর্শমূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে?

উত্তরঃ ভারতের উচ্চতম ন্যায়ালয় দু’ ধরনের ক্ষেত্রে পরামর্শমূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। 

এই দু’ধরনের ক্ষেত্র হলঃ

(১) সংবিধানের ১৪৩ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুসারে যদি কোনো সময় রাষ্ট্রপতির এরকম মনে হয় যে সর্বজনীন গুরুত্ব সম্পন্ন আইন বা তথ্য সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেক্ষেত্রে তিনি উচ্চতম ন্যায়ালয়ের কাছে বিচার বিবেচনার জন্য পাঠাতে পারেন এবং উচ্চতম ন্যায়ালয় সে বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে। 

(২) সংবিধান কার্যকরী হওয়ার পূর্বে যে সব চুক্তি, সন্ধি, সনদ ইত্যাদি সম্পাদিত হয়েছিল সে সব বিষয়ে কোনো বিবাদ দেখা দিলে সে সম্বন্ধে উচ্চতম ন্যায়ালয়ের কাছে রাষ্ট্রপতি মতামত চেয়ে পাঠাতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে উচ্চতম ন্যায়ালয় পরামর্শ দিতে বাধ্য থাকে। তবে রাষ্ট্রপতি উচ্চতম ন্যায়ালয়ের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতে বাধ্য নন। 

প্রশ্ন ১৩। ভারতের উচ্চতম ন্যায়ালয়ে কী কী ধরনের আপীল করা যায়? 

উত্তরঃ ভারতের উচ্চতম ন্যায়ালয়ে চার ধরনের আপীল করা যেতে পারে – 

(ক) সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত আপীল।

(খ) দেওয়ানি আপীল।

(গ) ফৌজদারী আপীল। 

(ঘ) বিশেষ অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে আপীল । 

প্রশ্ন ১৪। জাতীয় আইনমূলক সাহায্য আইন (National Legal Services Act) সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো?

উত্তরঃ ভারতের বিচার ব্যবস্থার সংস্কার সাধনের লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালের আগষ্ট মাসে দিল্লীতে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে গৃহীত প্রস্তাবের মাধ্যমে যে আইনটি পাশ করা হয়েছিল তার নাম জাতীয় আইনমূলক সাহায্য আইন। এই আইন অনুসারে ১৯৮৫ সালের ৬ই অক্টোবর দিল্লীতে প্রথম লোক আদালতের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন বিচারপতি পি. এন. ভগবতী।

প্রশ্ন ১৫। ভারতের বিচার ব্যবস্থার যে কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো?

উত্তরঃ ভারতের বিচার ব্যবস্থার দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপঃ 

(ক) ভারতের বিচার ব্যবস্থা এক এবং অখণ্ড।

(খ) ভারতের উচ্চতম ন্যায়ালয় সংবিধানের অভিভাবক ও মৌলিক অধিকারের রক্ষাকর্তা।

প্রশ্ন ১৬। জনস্বার্থজনিত আবেদন বলতে কী বোঝো? 

উত্তরঃ যখন কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান পীড়িত ব্যক্তির পক্ষে অধিকার ভঙ্গের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় এবং তা যদি সমাজ বা জনস্বার্থ সম্পর্কিত হয় তখন একে জনস্বার্থজনিত আবেদন বলে।

যে কোনো নাগরিক বা নাগরিক গোষ্ঠী বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুপ্রীম কোর্ট বা হাইকোর্টে জনস্বার্থ রক্ষার্থে মামলা দায়ের করতে পারে। আদালত আবেদনের গুণাগুণ যাচাই করে বিচারের জন্য গ্রহণ করে। 

প্রশ্ন ১৭। ভারতীয় ন্যায়ালয়ে জারি করা দুটি আদেশপত্রের নাম লেখো?

উত্তরঃ (১) বন্দী প্রত্যক্ষকরণ।

(২) পরমাদেশ।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ 

প্রশ্ন ১। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার্থে সাংবিধানিক ব্যবস্থাসমূহ ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ ভারতের সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার্থে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো বিধিবদ্ধ করা হয়েছেঃ

(ক) ভারতের রাষ্ট্রপতি সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিগণকে নির্দিষ্ট কতিপয় যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করেন। বিচারপতি নিয়োগের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির নিজস্ব কোন মতামত নেই। সংসদও এই নিয়োগের ব্যাপারে অংশ গ্রহণ করে না।

(খ) বিচারপতির নির্দিষ্ট কার্যকাল আছে। সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিগণ ৬৫ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন এবং হাইকোর্টের বিচারপতিগণ ৬২ বছর বয়সে অবসর গ্রহণ করেন।

(গ) সংবিধানের ১২৫ নং ধারায় সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিগণের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার উল্লেখ আছে। 

(ঘ) বিচারপতিদের নিয়োগের পর বেতন, ভাতা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পরিবর্তন করা যায় না।

(ঙ) বিচারপতিদের সিদ্ধান্ত ও কার্যাবলীর সমালোচনা করা যায় না। তাদের সিদ্ধান্ত বা কার্যকে সমালোচনা করলে আদালত অবমাননার দায়ে শাস্তি ভোগ করতে হয়। 

(চ) সংসদও বিচারপতিদের কার্যপ্রণালীর সমালোচনা করতে পারে না। 

(ছ) স্বয়ং রাষ্ট্রপতিও আদালতের কার্যের সমালোচনা করতে পারেন না।

(জ) বিশেষ কোন বিষয়ে রাষ্ট্রপতি বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

প্রশ্ন ২। সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের কীভাবে নিয়োগ করা হয়? 

উত্তরঃ রাষ্ট্রপতি সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিগণকে নিয়োগ করেন। সুপ্রীম কোর্টের সাধারণ বিচারপতি নিয়োগের সময় রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করেন। রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন বোধ করলে সুপ্রীমকোর্টের অন্যান্য বিচারপতি ও হাইকোর্টের বিচারপতিগণের সঙ্গে পরামর্শ করেই বিচারপতিদের নিয়োগ করতে পারেন। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির নিজস্ব কোন অভিমত নেই। সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি একজন অতিরিক্ত বিচারপতিও নিয়োগ করতে পারেন।

প্রশ্ন ৩। ভারতের সুপ্রীম কোর্টকে চূড়ান্ত কোর্ট বলা হয় কেন? 

উত্তরঃ আমাদের বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের অভিভাবক এবং ব্যাখ্যা কর্তা। সুপ্রীম কোর্ট নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের রক্ষা কর্তা।

আমাদের বিচার ব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে সুপ্রীমকোর্ট। এই সুপ্রীমকোর্টের অধীনে রয়েছে হাইকোর্টসমূহ এবং হাইকোর্টের অধীনে অন্যান্য আদালতসমূহ রয়েছে। সুপ্রীম কোর্টের উপরে আর কোনও বিচারালয় নেই। তাঁর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সুপ্রীমকোর্টের সিদ্ধান্ত মানতে অন্যান্য সকল বিচারালয় বাধ্য। তাই ভারতের বিচার ব্যবস্থায় সুপ্রীম কোর্টই চূড়ান্ত আদালত।

প্রশ্ন ৪। “সুপ্রীমকোর্ট ভারতের সর্বোচ্চ আপীল আদালত।”- ব্যাখ্যা করো? 

উত্তরঃ সুপ্রীম কোর্ট ভারতের সর্বোচ্চ আপীল আদালত। ভারতের সুপ্রিমকোর্টের তিন ধরনের আপীল শোনার ক্ষমতা আছে। 

যথা–

(ক) দেওয়ানী আপীলঃ সুপ্রীমকোর্টের দেওয়ানী সংক্রান্ত মামলার আপীল শোনার ক্ষমতা আছে।

(খ) ফৌজদারী আপীলঃ সুপ্রীমকোর্টের ফৌজদারী–সংক্রান্ত মামলার আপীল শোনার ক্ষমতা আছে। 

(গ) সাংবিধানিক আপীলঃ সাংবিধানিক বিষয় – সম্পর্কিত মামলা নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রীম কোর্টে আপীল করা যায়। এক্ষেত্রে সংবিধান ব্যাখ্যার প্রশ্ন জড়িত থাকে।

প্রশ্ন ৫। বিচার পুনর্বিচারের উদ্দেশ্যসমূহ লেখো?

উত্তরঃ বিচার পুনর্বিচার (Judicial Review)-এর মূল উদ্দেশ্য হল নিম্নরূপঃ

(ক) আইনবিভাগ এবং শাসন বিভাগ যাতে সংবিধানের কোন ব্যবস্থা অতিক্রম করতে না পারে তার সুনিশ্চয়তা প্রদান করা।

(খ) নাগরিকের অধিকারসমূহ রক্ষা করা। 

প্রশ্ন ৬। হাইকোর্টের গঠন প্রণালী আলোচনা করো?

উত্তরঃ প্রত্যেক হাইকোর্ট একজন প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য বিচারপতি নিয়ে গঠিত। রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনানুসারে অন্যান্য বিচারপতিদের নিযুক্ত করেন। রাষ্ট্রপতি অনধিক দু বৎসরের জন্য অতিরিক্ত বিচারপতিও নিয়োগ করতে পারেন। হাইকোর্টের বিচারপতিগণের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।

৭। ভারতের সুপ্রীমকোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলী ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ ভারতীয় বিচার – ব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছে সুপ্রীম কোর্ট। সুপ্রীম কোর্ট ভারতের সংবিধানের অভিভাবক ও ব্যাখ্যা কর্তা। সুপ্রীম কোর্ট নাগরিকের মৌলিক অধিকারের রক্ষাকর্তা। 

ক্ষমতা ও কার্যাবলীঃ সুপ্রীমকোর্টের বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতা ও কার্যাবলী রয়েছে। এগুলোকে নিম্নোক্ত চার ভাগে ভাগ করা যায়ঃ 

(ক) মূল এলাকা।

(খ) আপীল এলাকা। 

(গ) পরামর্শ দান এলাকা। 

(ঘ) লেখ জালি এলেকা।

(ক) মূল এলাকাঃ সুপ্রীম কোর্ট নিম্নোক্ত বিবাদগুলির সমাধান করে –

(অ) ভারত সরকার বনাম এক বা একাধিক রাজ্য সরকারের মধ্যের বিবাদ।

(আ) ভারত সরকার ও কোনো রাজ্য বনাম এক বা একাধিক রাজ্যের মধ্যের বিবাদ। এবং

(ই) দুই বা ততোধিক রাজ্যের মধ্যের বিবাদ। 

(খ) আপীল এলাকাঃ সুপ্রীমকোর্ট ভারতের সর্বোচ্চ আপীল আদালত। সুপ্রীমকোর্টের তিন ধরনের আপীল শোনার ক্ষমতা আছে। 

যথা – 

(অ) দেওয়ানী আপীল (Civil Appeal)

(আ) ফৌজদারী আপীল (Criminal Appeal) 

(ই) সাংবিধানিক আপীল (Constitutional Appeal)

(গ) পরামর্শদান এলাকাঃ ভারতের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ১৪৩নং অনুচ্ছেদ মতে আইন-সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রীমকোর্টের পরামর্শ চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতিকে সুপ্রীমকোর্ট সেই ব্যাপারে পরামর্শ দান করতে পারে। তবে এরূপ পরামর্শ রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করতে পারেন আবার নাও করতে পারেন।

(ঘ) লেখ জারিঃ সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারগুলির সংরক্ষণের দায়িত্ব সুপ্রীমকোর্টের উপর ন্যস্ত। সুপ্রীমকোর্ট নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় লেখ জারি করতে পারে।

সুপ্রীমকোর্টের রায় বা আদেশ ভারতে অবস্থিত অন্যান্য আদালত মেনে নিতে বাধ্য। সুপ্রীমকোর্ট সকল হাইকোর্টের কার্যাবলি দেখাশোনা করে।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top