AHSEC Class 11 Economics Chapter 5 বাজার ভারসাম্য

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share AHSEC Class 11 Economics Chapter 5 বাজার ভারসাম্য Question Answer in Bengali. The Complete Syllabus of AHSEC Class 11 Economics Chapter 5 বাজার ভারসাম্য Notes in Bengali PDF Share with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 5 বাজার ভারসাম্য Solutions in Bengali Which you Can Download PDF Notes HS 1st Year Economics Solutions in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.

AHSEC Class 11 Economics Chapter 5 বাজার ভারসাম্য

Today’s We have Shared in This Post AHSEC Class 11 Economics Chapter 5 বাজার ভারসাম্য Suggestions with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 5 বাজার ভারসাম্য Questions Answers in Bengali I Hope, you Liked The information About The Class 11 Economics Textbook Solutions in Bengali. If you liked Class 11 Economics Textbook PDF Notes in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

বাজার ভারসাম্য

ক – অংশ (ব্যষ্টিগত অৰ্থবিজ্ঞান)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারসাম্য কী?

উত্তরঃ কোন একটা নির্দিষ্ট বিন্দুতে যখন দুটো বিপরীত শক্তি সমান হয়, সেই অবস্থাকে ভারসাম্য বলা হয়।

প্রশ্ন ২। অতিরিক্ত যোগান কী?

উত্তরঃ যদি একটি দ্রব্যের বাজার চাহিদা থেকে বাজার যোগান অধিক হয়, এরূপ অবস্থাকে অতিরিক্ত যোগান বলে।

প্রশ্ন ৩। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রচলিত এরূপ একটা অবস্থার নাম লেখো যেখানে অতিরিক্ত চাহিদা ও অতিরিক্ত যোগান শূন্য হয়।

উত্তরঃ ভারসাম্য অবস্থাতে অতিরিক্ত চাহিদা ও অতিরিক্ত যোগান শূন্য হয়।

প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ বা অশুদ্ধ লেখো।

যখন মজুরির হার বৃদ্ধি হয়, বিশ্রামের সুযোগ ব্যয় হ্রাস পায়।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

প্রশ্ন ৫। দাম স্থিতিস্থাপকতা কী?

উত্তরঃ যখন বাজারে একটি বস্তুর চাহিদা বা যোগানের হ্রাস-বৃদ্ধি হয়, তখন বস্তুটির দামের ওপর প্রভাব পড়ে। এইভাবে দামের ওপর প্রভাব বিস্তার করাকে দাম বা দর স্থিতিস্থাপকতা বলে।

প্রশ্ন ৬। উপভোক্তাকে গমের জন্য সরকার কেন রেশনকার্ড প্রদান কে?

উত্তরঃ রেশন কার্ডের মাধ্যমে ধনী গরীব নির্বিশেষে প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য গম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

প্রশ্ন ৭। দামের নিম্নতম সীমা কী?

উত্তরঃ উৎপাদকের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য একটি নির্দিষ্ট দ্রব্য, বা সেবার দামের উপর সরকার সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দেওয়াকে দামের নিম্নতম সীমা বলে।

প্রশ্ন ৮। নির্দিষ্ট দ্রব্যের দামের উর্দ্ধসীমা সরকার বেঁধে দেওয়া কার্যকে বলা হয়_____। (দামের মৃধাবরণ/ দামের ভেটি)

উত্তরঃ দামের মৃধাবরণ (Maximum price fixation)।

প্রশ্ন ৯। সরকার কেন ‘দ্রব্যসামগ্রীর সর্বোচ্চ দাম’ আরোপ করে?

উত্তরঃ সরকার দাম নিয়ন্ত্রণ করে উপভোক্তা শ্রেণির কল্যাণ সাধনের জন্য ‘দ্রব্যসামগ্রীর সর্বোচ্চ দাম’ আরোপ করে।

প্রশ্ন ১০। শ্রমের প্রান্তিক আয় উৎপাদন কী?

উত্তরঃ শ্রমিকের একটি অতিরিক্ত একক বেশি করে নিয়োগ করলে মোট আয় যতটা বৃদ্ধি পাবে সেটাকেই ঐ এককের প্রান্তিক আয় উৎপাদন (MRP) বলে।

প্রশ্ন ১১। শূন্যস্থান পূর্ণ করো:

মজুরির হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম _______ হয়ে যায়। (ব্যয়বহুল/ সম্ভা)

উত্তরঃ ব্যয়বহুল।

প্রশ্ন ১২। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো।

ভারসাম্য দাম হল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম গড় ব্যয়ের সমান।

উত্তরঃ শুদ্ধ।

প্রশ্ন ১৩। ভারসাম্য অবস্থায় কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক লাভ অর্জন করতে পারে না। (শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো)

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

প্রশ্ন ১৪। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো।

ভারসাম্য দামের ওপর বাজার দাম নিয়ন্ত্রণ করে।

উত্তরঃ অশুদ্ধ।

প্রশ্ন ১৫। ভারসাম্য দামের নিচে সরকার দামের উর্দ্ধসীমা আরোপ করলে (অতিরিক্ত চাহিদার/অতিরিক্ত যোগানের) সৃষ্টি হয়। (শুদ্ধ অংশটি বের করো)

উত্তরঃ অতিরিক্ত চাহিদার।

প্রশ্ন ১৬। শুদ্ধ উত্তরটি বের করো।

দামের উচ্চসীমা সাধারণত, _____ উপর আরোপ করা হয়। (প্রয়োজনীয় সামগ্রী/ বিলাস দ্রব্য)

উত্তরঃ প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

প্রশ্ন ১৭। সত্য না অসত্য লেখো।

কৃষি দাম সাহায্য প্রকল্প হল দামের নিম্নতম সীমার একটা উদাহরণ।

উত্তরঃ সত্য।

প্রশ্ন ১৮। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

ভারসাম্য দর প্রতিষ্ঠানের______ র সমান হয়।

উত্তরঃ গড় ব্যয়ের।

S.L No.CONTENTS
ক – অংশ (ব্যষ্টিগত অৰ্থবিজ্ঞান)
Chapter 1অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter 2ভোক্তার আচরণ এবং চাহিদা
Chapter 3উৎপাদকের আচরণ ও যোগান
Chapter 4পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র
Chapter 5বাজার ভারসাম্য
Chapter 6অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার
খ – অংশ (অর্থনীতিতে পরিসংখ্যান)
Chapter 1অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter 2তথ্য সংগ্ৰহ
Chapter 3তথ্যরাশির সংবদ্ধকরণ
Chapter 4রাশিতথ্যের উপস্থাপন
Chapter 5কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ
Chapter 6বিচ্যুতির পরিমাপ
Chapter 7সহসম্বন্ধ
Chapter 8সূচক সংখ্যা
Chapter 9পরিসংখ্যান হাতিয়ারের ব্যবহার

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অতিরিক্ত চাহিদা কী?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট দামে যোগান থেকে বেশি চাহিদাকে অতিরিক্ত চাহিদা বলে।

প্রশ্ন ২। অতিরিক্ত যোগান কী?

উত্তরঃ নির্দিষ্ট দামে চাহিদা থেকে বেশি যোগানকে অতিরিক্ত যোগান বলে।

প্রশ্ন ৩। ভারসাম্য দর (দাম) বলতে কী বোঝায়?

উত্তরঃ কোন একটি দ্রব্যের ভারসাম্য দর হল এমন একটি দাম যেখানে চাহিদা এবং যোগান পরস্পর সমান হয়।

প্রশ্ন ৪। শুদ্ধ উত্তর বের করো।

(ক) কোন একটা দ্রব্যের ভারসাম্য দাম হল এমন একটা দাম যাতে-

(a) যোগান সর্বোচ্চ হয়।

(b) চাহিদা সর্বোচ্চ হয়।

(c) চাহিদা এবং যোগান সমান হয়।

(d) চাহিদা এবং যোগান উভয়ই বৃদ্ধি পায়।

উত্তরঃ (c) চাহিদা এবং যোগান সমান হয়।

(খ) চাহিদা রেখা এবং যোগান রেখার ছেদবিন্দুটি দেখায়-

(a) ভারসাম্য পরিমাণ।

(b) ভারসাম্য দাম।

(c) (a) এবং (b) উভয়ই।

(d) উপরের কোনটাই নয়।

উত্তরঃ (c) (a) এবং (b) উভয়ই।

(গ) যদি কোন একটি দ্রব্যের নির্দিষ্ট দামে এর চাহিদা যোগানের পরিমাণ থেকে বেশি হয় তাহলে-

(a) দাম বৃদ্ধি পায়।

(b) চাহিদা হ্রাস পাবে।

(c) যোগানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

(d) ওপরের সবগুলিই সংঘটিত হয়।

উত্তরঃ (d) ওপরের সবগুলিই সংঘটিত হয়।

শূন্যস্থান পূর্ণ করো:

প্রশ্ন ৫। যখন চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং যোগান অনুসূচি একই থাকে, তখন দাম______।

উত্তরঃ বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন ৬। কোন একটি দ্রব্যের দাম _____ যদি এর চাহিদা বৃদ্ধি পায় এবং যোগান হ্রাস পায়।

উত্তরঃ বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন ৭। যদি চাহিদার সমানুপাতিক হ্রাস যোগানের সমানুপাতিক হ্রাস থেকে কম হয়, তাহলে চাহিদা ______ পায়।

উত্তরঃ হ্রাস।

প্রশ্ন ৮। _____ কোন একটি দ্রব্যের চাহিদা এবং যোগান সর্বদা সমান থাকে।

উত্তরঃ ভারসাম্য দামে।

প্রশ্ন ৯। ______ ভারসাম্য দর নির্ধারিত হয়।

উত্তরঃ চাহিদা এবং যোগানের দ্বারা।

প্রশ্ন ১০। যোগান রেখা সর্বদা______।

উত্তরঃ উর্দ্ধমুখী।

প্রশ্ন ১১। বাজারকালীন যোগান রেখাটির আকৃতি কী ধরনের?

উত্তরঃ উল্লম্ব আকৃতির।

প্রশ্ন ১২। বন্ধনীর ভিতরে দেওয়া উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করে শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) কোন একটি দ্রব্যের যোগান একই দামে______ (বৃদ্ধি পায়/হ্রাস পায়), যদি অন্যান্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায়।

উত্তরঃ হ্রাস পায়।

(খ) উৎপাদনের প্রযুক্তি বা কৌশলের উন্নয়ন দ্রব্যের______ (ব্যয়/যোগান) বৃদ্ধি করে।

উত্তরঃ যোগান।

(গ) উৎপাদনের উপাদানের মূল্যবৃদ্ধি দ্রব্যের______ (যোগান/ব্যয়) বৃদ্ধি করে।

উত্তরঃ ব্যয়।

(ঘ) অন্যান্য উপাদানের পরিবর্তন দ্রব্যের______  (যোগান/ব্যয়)র পরিবর্তন ঘটায়।

উত্তরঃ যোগান।

(ঙ) ভারসাম্য দামের নিচে দামের উচ্চসীমা আরোপ করলে অতিরিক্ত _____ (চাহিদা/যোগান) এর সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ চাহিদা।

প্রশ্ন ১৩। বন্ধনীর ভিতরে দেওয়া উপযুক্ত শব্দ ব্যবহার করে শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

(ক) দ্রব্যমূল্য হ্রাসের ফলে যদি চাহিদা হ্রাস পায়, তাহলে এর চাহিদাকে _____ (সম্প্রসারণ/ সংকোচন) বলা হয়।

উত্তরঃ সম্প্রসারণ।

(খ) চাহিদা রেখা ডানদিকে স্থানান্তর হলে, এর চাহিদাকে ______ (বৃদ্ধি হওয়া/ হ্রাস হওয়া) বলা হয়।

উত্তরঃ বৃদ্ধি পায়।

(গ) চাহিদা হ্রাস পেলে চাহিদা রেখা _____ (বামদিকে/ ডানদিকে) স্থানান্তর হয়।

উত্তরঃ বামদিকে।

(ঘ) একটি চাহিদা রেখা উর্ধমুখী গতি করলে চাহিদার _____ (সম্প্রসারণ/ সংকোচন) বুঝায়।

উত্তরঃ সংকোচন।

(ঙ) ভারসাম্য দামের নিচে নিম্নতম সীমা আরোপ করলে অতিরিক্ত______ (চাহিদা/ যোগান) এর সৃষ্টি হয়।

উত্তরঃ যোগানের।

প্রশ্ন ১৪। ন্যায্য মূল্যের দোকান (Fair price shop) কী?

উত্তরঃ রেশনের দ্রব্যগুলি রেশনকার্ডের মাধ্যমে যে সকল নির্দিষ্ট দোকান থেকে ক্রেতারা ক্রয় করতে হয়, এই দোকানগুলিকে ন্যায্যমূল্যের দোকান বলে।

প্রশ্ন ১৫। সমর্থন মূল্য (Support price) কী?

উত্তরঃ সমর্থন মূল্য হল সরকার কর্তৃক আরোপিত দাম যা ভারসাম্য দাম থেকে উর্ধে থাকে। উৎপাদক শ্রেণির স্বার্থে তা করা হয়।

প্রশ্ন ১৬। প্রান্তিক ব্যয় (MC) কী?

উত্তরঃ অতিরিক্ত এক একক উৎপাদনের জন্য যে অতিরিক্ত বা বাড়তি ব্যয় হয় তাকেই প্রান্তিক ব্যয় বলে।

প্রশ্ন ১৭। ভোক্তার ভোগ অভ্যাসে সীমাবদ্ধতা আনার একটি উপায় লেখো।

উত্তরঃ রেশন ব্যবস্থা।

প্রশ্ন ১৮। দামের উচ্চ-সীমা কী?

উত্তরঃ সরকার কর্তৃক দ্রব্যসামগ্রীর দামের ঊর্দ্ধসীমা বেঁধে দেওয়া কার্যকে বলা হয় দামের উচ্চ-সীমা। উপভোক্তা শেণির স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য সরকার দামের উচ্চ-সীমা নির্ধারণ করে।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বাজার ভারসাম্যের স্বীকার্য বা অভিধারণাগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ বাজার ভারসাম্য নির্ধারণ করতে হলে চাহিদা এবং যোগান বিধির শর্তসমূহ মেনে নিতে হবে। চাহিদা বিধি অনুসারে, ভোক্তার আয় অপরিবর্তিত থাকতে হবে, সম্পর্কিত দ্রব্যের দাম একই থাকতে হবে, উপভোক্তার রুচি, অভ্যাস, পছন্দ অপরিবর্তিত থাকতে হবে। তদ্রূপ, যোগান বিধি অনুসারে, উৎপাদন কৌশল, উৎপাদন ব্যয় ও উৎপাদনের উপাদানের দাম অপরিবর্তিত থাকতে হবে।

প্রশ্ন ২। দামের উর্ধতম সীমা এবং দামের নিম্নতম সীমার মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ (১) সরকার কর্তৃক দ্রব্যসামগ্রীর সর্বোচ্চ দাম স্থির করে দেওয়াকে দামের উর্ধতন সীমা বলে। অন্যদিকে, সরকার কর্তৃক দ্রব্যসামগ্রীর সর্বনিম্ন দাম স্থির করে দেওয়াকে দামের নিম্নতম সীমা বলে।

(২) উপভোক্তা শ্রেণির স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য সরকার দামের উর্ধতম সীমা নির্ধারণ করে। অন্যদিকে উৎপাদকদের বিশেষ করে কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য দামের নিম্নতম সীমা সরকার নির্ধারণ করে।

প্রশ্ন ৩। পূর্ণ প্রতিযোগী বাজারের কাঠামোগত শর্তগুলি লেখো।

উত্তরঃ (ক) অসংখ্য ক্রেতা বিক্রেতার উপস্থিতি।

(খ) সমজাতীয় দ্রব্য।

(গ) মুক্ত প্রবেশ এবং প্রস্থানের সুবিধা।

(ঘ) পরিবহন ব্যয় শূন্য।

(ঙ) একই দাম।

(চ) ক্রেতা বিক্রেতার বাজার সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান।

প্রশ্ন ৪। অতিরিক্ত চাহিদা কী?

উত্তরঃ কোন একটি দামে যখন দ্রব্যটির চাহিদা এর যোগানের পরিমাণ থেকে বেশি হয়, সেই অবস্থাকে অতিরিক্ত চাহিদা (Excess demand) বলে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট দামে যদি বাজার চাহিদা বাজার যোগানকে অতিক্রম করে, তাহলে সেই দামে অতিরিক্ত চাহিদা সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ৫। একটি বাজার দরে বস্তুর চাহিদা এবং বস্তুর যোগানে ভারসাম্যের সমীকরণটি লেখো।

উত্তরঃ একটি বাজার দরে, বস্তুর চাহিদা এবং বস্তুর যোগানের ভারসাম্যের সমীকরণটি হল –

QD (P) = QS (P) এখানে, P = ভারসাম্য দাম

QD (P) = P দামে বাজার চাহিদা

QS (P) = P দামে বাজার যোগান

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ভারসাম্য দাম প্রভাবান্বিত করা দুটি কারকের নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) চাহিদার পরিবর্তন এবং 

(২) যোগানের পরিবর্তন।

প্রশ্ন ২। চাহিদা বিধির দুটি অনুমান লেখো।

উত্তরঃ (১) ভোক্তার আয় সমান থাকবে।

(২) ভোক্তার রুচি, অভ্যাস, ফ্যাশন প্রভৃতি অপরিবর্তিত থাকবে।

প্রশ্ন ৩। যোগান বিধির দুটি অনুমান/স্বীকার্য/অভিধারণা লেখো।

উত্তরঃ (১) বস্তুটির উৎপাদন ব্যয়ের কোন পরিবর্তন হবে না।

(২) বিকল্প দ্রব্যের দামের কোন পরিবর্তন হবে না।

(৩) ভবিষ্যতে বস্তুটির মূল্যবৃদ্ধির কোন সম্ভাবনা নেই।

প্রশ্ন ৪। ‘চাহিদার পরিবর্তন’ কাকে বলে?

উত্তরঃ দাম নিরপেক্ষভাবে চাহিদার হ্রাস-বৃদ্ধি হওয়াকে চাহিদার পরিবর্তন বলে। উদাহরণস্বরূপ, ভোক্তার আয় কিংবা রুচি, অভ্যাস, ফ্যাশানের পরিবর্তন হলে চাহিদার পরিবর্তন হয়।

প্রশ্ন ৫। ‘যোগানের পরিবর্তন’ কাকে বলে?

উত্তরঃ যোগানের পরিবর্তন বলতে দাম নিরপেক্ষভাবে যোগানের পরিবর্তনকে বোঝায় যেমন – উৎপাদন ব্যয় কিংবা কলাকৌশলগত প্রভাবে যোগান পরিবর্তন হতে পারে।

প্রশ্ন ৬। রেশন ব্যবস্থা বা ভোগ বরাদ্দ প্রথা কী?

উত্তরঃ যে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী যোগানে ঘাটতি থাকে তাদের ভোগের ওপর নিয়ন্ত্রণ জারি করে ধনী গরিব নির্বিশেষে প্রত্যেক পরিবারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ দেওয়ার ব্যবস্থাকে ভোগ বরাদ্দ প্রথা বা রেশন ব্যবস্থা বলে।

প্রশ্ন ৭। রেশন ব্যবস্থার দুটি সুবিধা লেখো।

উত্তরঃ (১) রেশন কার্ডের মাধ্যমে সকল ক্রেতাই নির্ধারিত পরিমাণ দ্রব্য নির্দিষ্ট দামে ক্রয় করতে পারে। ফলে ন্যায্য ভাবে বণ্টন সম্ভবপর হয়।

(২) রেশন ব্যবস্থার দ্বারা কালো বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

প্রশ্ন ৮। মজুরির প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা তত্ত্বের দুটি অনুমান/ স্বীকার্য/ অভিধারণা লেখো।

উত্তরঃ (১) শ্রমের বাজারে পূর্ণ প্রতিযোগিতা থাকে।

(২) শ্রমিকরা সমজাতীয়৷

(৩) ক্রমহ্রাসমান উৎপাদন বিধি প্রযোজ্য।

প্রশ্ন ৯। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে MRPL = MR x MPL বর্ণনা করো।

উত্তরঃ শ্রমিকের একটি অতিরিক্ত একক নিয়োগের ফলে যে পরিমাণ আয় উৎপন্ন হয়, তাকে শ্রমিকের প্রান্তিক আয় উৎপাদন (MRPL) বলে। পূর্ণাঙ্গ বাজারে প্রান্তিক আয় বস্তুর দামের সমান হয়, এই অবস্থায় শ্রমের প্রান্তিক আয় উৎপাদন শ্রমের প্রান্তিক উৎপাদন মূল্যের সমান হয় অর্থাৎ MRPL = MR x MPL (এখানে MR = প্রান্তিক আয়, MPL = শ্রমের প্রান্তিক উৎপাদন মূল্য)।

প্রশ্ন ১০। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে শূন্য অতিরিক্ত চাহিদা এবং শূন্য অতিরিক্ত যোগান অবস্থা বর্ণনা করো।

উত্তরঃ যখন বাজার যোগান বাজার চাহিদার সমান হয় না, তখন বাজারে ভারসাম্য হয় না, দাম পরিবর্তনের প্রবণতা থাকে। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে শুন্য অতিরিক্ত চাহিদা এবং শূন্য অতিরিক্ত যোগান বোঝাতে বাজার ভারসাম্য অবস্থাকেই বোঝায়।

প্রশ্ন ১১। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভারসাম্যহীনতার আচরণ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কোন দ্রব্যের বাজার চাহিদা এবং বাজার যোগানের মধ্যে যখন অসমতার সৃষ্টি হয়ে বাজার ভারসাম্য অর্জনের পথে বাধার সৃষ্টি হয়, তখন এক ‘অদৃশ্য হাতের’ ক্রিয়া আরম্ভ হয়। ওই ‘অদৃশ্য হাত’ যোগান অতিরিক্ত চাহিদার অবস্থায় দাম বৃদ্ধি করবে এবং চাহিদা অতিরিক্ত যোগানের অবস্থায় দাম কমিয়ে দেবে। এই প্রক্রিয়ার সাহায্যে ‘অদৃশ্য হাত’ ভারসাম্য স্থাপন করে।

প্রশ্ন ১২। বাজার চাহিদা কাকে বলে?

উত্তরঃ বিভিন্ন দামে বাজারে কোনো দ্রব্যের যে বিভিন্ন পরিমাণ সকল ক্রেতা ক্রয় করতে ইচ্ছুক তাকে বাজার চাহিদা বলে। 

প্রশ্ন ১৩। বাজার যোগান কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট দামে সকল উৎপাদন প্রতিষ্ঠান মোট যে পরিমাণ দ্রব্য বিক্রি করতে প্রস্তুত থাকে তাকে বাজার যোগান বলে।

প্রশ্ন ১৪। নির্ধারিত উচ্চতম দামের দুটি প্রতিকূল প্রভাব উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) অতিরিক্ত চাহিদা।

(২) কালো বাজারের আগমন।

(৩) নিম্নমানের দ্রব্যাদির যোগান।

প্রশ্ন ১৫। নিম্নতম নির্ধারিত দামের দুটো উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ (১) কৃষি সমর্থক দাম কার্যক্রম।

(২) ন্যূনতম মজুরি আইন।

প্রশ্ন ১৬। মজুরির হার বৃদ্ধির দুটো ফল লেখো।

উত্তরঃ (১) মজুরির হার বৃদ্ধির ফলে বিশ্রাম বা বিলাসের সুযোগ ব্যয় বৃদ্ধি পাবে যার জন্যে বিশ্রাম পূর্ব অপেক্ষা ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।

(২) মজুরির হার বৃদ্ধি হলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং তারা অবসর বিনোদনে অধিক সময় ব্যয় করতে চাইবে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। শ্রমিকের বাজার যোগান রেখা কীভাবে নির্ধারণ করা হয় – ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ শ্রমিকের পরিমাণের দ্বারা যোগান রেখা নির্ধারণ হয়। শ্রমিকের আয় এবং বিশ্রামের মধ্যে কোনটি অগ্রাধিকার পায় তার ওপর ভিত্তি করে শ্রমিকের যোগান নির্ভর করে। বিশ্রামের আনন্দ এবং কর্মের মধ্যে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করার মধ্যে বিপরীত সম্পর্ক আছে। শ্রমিকের মজুরির হার বৃদ্ধি পেলে বিশ্রামের বিকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পাবে যা বিশ্রামকে অধিক মূল্যবান করে। তাই শ্রমিক অধিক সময় কাজ করতে চাইবে। অন্যদিকে, মজুরির হার বৃদ্ধি পেলে শ্রমিকের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যার ফলস্বরূপ, শ্রমিক বিশ্রামজনিত।কার্যে অর্ধেক সময় ব্যয় করতে চাইবে। এই।দুই বিপরীতমুখী সম্পর্কের জন্য প্রথমে শ্রমের যোগান রেখা এবং এরপর শ্রমের চাহিদা রেখা পিছনদিকে ভাঁজ হওয়া আকৃতির হয়। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে মজুরির হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে শ্রমের যোগান এবং শ্রমের চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য দরকার।

এটি পাশের চিত্রের সাহায্যে দেখানো হল।

চিত্রে DL হল শ্রমের চাহিদা এবং SL হল শ্রমের যোগান রেখা। দুটি রেখা বিন্দুতে ভারসাম্য লাভ করেছে এবং OW মজুরি নির্ধারণ করেছে।

প্রশ্ন ২। চাহিদা রেখার পরিবর্তন ঘটাতে পারে এমন চারটি কারণ লেখো।

উত্তরঃ নিম্নলিখিত কারণে চাহিদার পরিবর্তন ঘটতে পারে।

(১) রুচি, স্বভাব ও ফ্যাশনের পরিবর্তন: ক্রেতার রুচি, পছন্দ, স্বভাব বা ফ্যাশনের পরিবর্তন ঘটলে জিনিসের চাহিদার পরিবর্তন ঘটে। যেমন- টিভির প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেলে রেডিওর চাহিদা হ্রাস পাবে, চা এর পরিবর্তনে কফি পান করার অভ্যাস হলে চা-এর চাহিদা হ্রাস পেয়ে কফির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।

(২) আয়ের পরিবর্তন: ক্রেতার আয় বেড়ে গেলে বা কমে গেলে ক্রেতার চাহিদা বেড়ে বা কমে যাবে, যেহেতু আয়ের হ্রাস-বৃদ্ধির ফলে ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস-বৃদ্ধি পায়।

(৩) পরস্পর সম্পর্কিত দ্রব্যের পরিবর্তন: বিকল্প দ্রব্য ও পরিপুরক দ্রব্যের দাম চাহিদাকে প্রভাবান্বিত করে। যেমন- চালের দাম বৃদ্ধি পেলে গমের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি পেলে মোটর গাড়ির চাহিদা হ্রাস পায়।

(8) অন্যান্য কারণসমূহ: দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, নূতন দ্রব্যের উদ্ভাবন, আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন, সরকারের কর নীতি ইত্যাদি চাহিদাকে বিশেষভাবে প্রভাবান্বিত করে।

প্রশ্ন ৩। ভোক্তার গুণগুলি কী কী?

উত্তরঃ (১) ভোক্তা পছন্দের ভিত্তিতে দ্রব্য নির্বাচন করে।

(২) ভোক্তা একজন বিচার বিবেচনাশীল।

(৩) ভোক্তা নির্দিষ্ট দাম এবং আয়ে বস্তু পছন্দ করে উপযোগিতা সর্বাধিক লাভ করে।

(৪) উপযোগিতা সর্বাধিক লাভই হল ভোক্তার ভারসাম্যতা।

প্রশ্ন ৪। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে চাহিদা এবং যোগানের একই সময়ে পরিবর্তনের জন্য ভারসাম্য পরিমাণ এবং দামের ওপর কীভাবে প্রভাব পড়ে একটি তালিকার সাহায্যে দেখাও।

উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে চাহিদা এবং যোগানের স্থানান্তরের জন্য ভারসাম্য পরিমাণ এবং দামের ওপর প্রভাব নিচের তালিকায় দেখানো হল –

চাহিদার স্থানান্তরযোগানের স্থানান্তরপরিমাণদাম
বামদিকেবামদিকেহ্রাস পায়বৃদ্ধি, হ্রাস বা অপরিবর্তনীয় হবে
ডানদিকেডানদিকেবৃদ্ধি পায়বৃদ্ধি, হ্রাস বা অপরিবর্তনীয় হবে
বামদিকেডানদিকেবৃদ্ধি, হ্রাস বা পরিবর্তনীয় থাকতে পারেহ্রাস পায়
ডানদিকেবামদিকেবৃদ্ধি, হ্রাস বা পরিবর্তনীয় হয়ে থাকতে পারেবৃদ্ধি পায়

প্রশ্ন ৫। প্রচলিত বাজার দামে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মুক্ত প্রবেশ ও মুক্ত প্রস্থানের জন্য কেন স্বাভাবিক লাভ অর্জন করে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কোন প্রতিষ্ঠান অস্বাভাবিক লাভ অর্জন করলে নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লাভের প্রতি আকর্ষিত হবে এবং বাজারে প্রবেশ করবে। এর ফলে দ্রব্যের যোগান বৃদ্ধি পাবে এবং দাম হ্রাস পাবে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অস্বাভাবিক লাভের পরিবর্তে স্বাভাবিক লাভই- পুনরায় অর্জন করবে। ঠিক সেইভাবে, দ্রব্যের দাম স্বাভাবিক দামের নিচে থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলির লোকসান হবে। ফলস্বরূপ, দুর্বল প্রতিষ্ঠানসমূহ বাজার ছেড়ে চলে যাবে। এর ফলে দ্রব্যের যোগান হ্রাস পাবে এবং দাম বৃদ্ধি পাবে। এই দাম স্বাভাবিক দামের সমান হবে। প্রতিষ্ঠানগুলি শুধু স্বাভাবিক লাভ পাবে।

প্রশ্ন ৬। দামের ঊর্ধ্বসীমা সম্পর্কে রেশন ব্যবস্থা কী? রেশন ব্যবস্থার দুটি বিরূপ ফল দেখাও।

উত্তরঃ অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যাদির সীমিত যোগান দেশের লোকদের মধ্যে ন্যায্যভাবে বণ্টন করার উত্তম পদ্ধতি হল রেশন ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা না থাকলে ধনী ক্রেতারা অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যাদির দাম এত চড়া করে দিতে পারে যে ওই সকল দ্রব্য দরিদ্র শ্রেণির ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

রেশন ব্যবস্থার অসুবিধাগুলি হল –

(১) রেশন ব্যবস্থার সাফল্যের অন্যতম শর্ত হল, রেশনের মাধ্যমে যে পরিমাণ দ্রব্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয় সেই পরিমাণ যোগান সরকারকে বাজার থেকে সংগ্রহ করতে হবে। কিন্তু বাস্তব সত্য হল, সরকারি সংগ্রহ ও বণ্টন ব্যবস্থার অদক্ষতার জন্য বরাদ্দকৃত পরিমাণ দ্রব্যাদি রেশন দোকানের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে বণ্টন করা সম্ভব হয় না।

(২) রেশন ব্যবস্থা লোকের পছন্দ-অপছন্দের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে। রেশন দোকানের মাধ্যমে যে মানের দ্রব্যাদি দেওয়া হয়, তা ক্রেতার পছন্দসই না হলেও তাকে তা ক্রয় করতে হয়।

প্রশ্ন ৭। দামের ঊর্ধ্বসীমা এবং রেশন ব্যবস্থা তুমি কি সমর্থন কর? তোমার উত্তরের সমর্থনে যুক্তি দর্শাও।

উত্তরঃ হ্যাঁ, আমি দামের ঊর্ধ্বসীমা ও রেশন ব্যবস্থাকে সমর্থন করি। আমার সমর্থনের পেছনে যুক্তিগুলো হল –

(১) যখন কোন অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের ঘাটতি দেখা দেয় তখন চাহিদা ও যোগানের শক্তিকে ইচ্ছামত কাজ করতে দিলে অনিয়ন্ত্রিত বাজারে এর দাম অত্যধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে। তখন বিশেষ করে দরিদ্রশ্রেণির ক্রেতাদের দুর্দশা বেড়ে যায়।

(২) সীমিত যোগানের যুক্তিযুক্ত বণ্টন একমাত্র রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সম্ভব হয়। এই ব্যবস্থার দ্বারা সমাজের মোট চাহিদাকে সংকুচিত করে তা সীমিত যোগানের সঙ্গে সমান করার প্রচেষ্টা করা হয়।

(৩) দামের ঊর্ধ্বসীমা এবং রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের স্থিরতা রক্ষা করা যায়।

(৪) দামের ঊর্ধ্বসীমা এবং রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে অসৎ ব্যবসায়ীদের কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

প্রশ্ন ৮। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মুক্ত প্রবেশ এবং মুক্ত প্রস্থানের ধারণা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মুক্ত প্রবেশ বলতে বুঝায় যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে কোন সময় বাজারে প্রবেশ করতে পারে। এই বাজারে দীর্ঘকালে অস্বাভাবিক লাভ দেখলে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাজারে প্রবেশ করতে পারে। মুক্ত প্রস্থান বলতে বুঝায় এই বাজারে যে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যে কোন সময় এই বাজার ছেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ বাজারে প্রবেশ ও প্রস্থানে কোন বাধা নিষেধ নেই।

প্রশ্ন ৯। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের চাহিদা ও যোগান রেখা নিচে দেওয়া হল।

D = 500 – P, S = 250 + 4P, যেখানে P = দাম, D = চাহিদা, S = যোগান।

ভারসাম্য দাম নির্ণয় করো।

উত্তরঃ আমরা জানি যে, ভারসাম্য দামে –

D = S

= 500 – P = 250 + 4P

= – P – 4P = – 500 + 250

= – 5P = – 250

= P = 50

∴ ভারসাম্য দাম = 50 টাকা।

প্রশ্ন ১০। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা (D) এবং যোগান (S) নিচে দেওয়া হল-

D = 100 – P

S = 25 + 4P

এখানে D = চাহিদার পরিমাণ

S = যোগানের পরিমাণ

P = দাম

ভারসাম্য দাম নির্ণয় করো।

উত্তরঃ আমরা জানি যে, ভারসাম্য অবস্থাতে –

D = S

= 100 – P = 25 + 4P

= 100 – 25 = 4P + P

= 5P = 75

= P = 15

∴ ভারসাম্য দাম = 15 টাকা।

প্রশ্ন ১১। নীচে একটি দ্রব্যের যোগান এবং চাহিদা অপেক্ষক দেওয়া হয়েছে –

(i) Qd = 100 – 2P

(ii) Qₛ = 2P-60

নির্ণয় করো:

(i) ভারসাম্য দাম।

(ii) ভারসাম্য উৎপাদনের পরিমাণ।

উত্তরঃ (i) আমরা জানি যে, ভারসাম্য অবস্থাতে,

D = S

= 100 – 2P = 2P – 60

= -2P – 2P = – 60 – 100

= – 4P = -160

= P = – 160/4

= 40

ভারসাম্য দাম = 40 টাকা

(ii) ভারসাম্য উৎপাদনের পরিমাণ (Qd) = 100 – 2P

= 100 – 2 x 40

= 100 – 80

= 20

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। কোন একটি দ্রব্যের দামের ওপর আতরিক্ত চাহিদার প্রভাব/ প্রতিক্রিয়া কা হবে? আলোচনা করো।

উত্তরঃ অতিরিক্ত চাহিদা নিম্নলিখিত পরিবর্তন সংঘটিত করে।

(১) ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হওয়ার জন্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাবে।

(২) দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই দ্রব্যের চাহিদা হ্রাস পাবে।

(৩) দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যোগান বৃদ্ধি পাবে।

(৪) দ্রব্যটির দাম বৃদ্ধি চাহিদার সংকোচন ঘটায় এবং যোগানের সম্প্রসারণ ঘটায় এবং এই কার্য চলার সময় দাম এমন একটা পর্যায়ে আসে যেখানে চাহিদার পরিমাণ এবং যোগানের পরিমাণ সমান হয়।

(৫) এই দামটাই হবে ভারসাম্য দাম এবং এই দামই ভারসাম্য পরিমাণ নির্ধারণ করে।

প্রশ্ন ২। কোন একটি দ্রব্যের দামের ওপর অতিরিক্ত যোগানের প্রভাব/ প্রতিক্রিয়া কী হবে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ অতিরিক্ত যোগান নিম্নলিখিত পরিবর্তন সংঘটিত করে।

(১) বিক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হওয়ায় দ্রব্যের দাম হ্রাস পাবে।

(২) দ্রব্যের দাম হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদার সম্প্রসারণ ঘটবে এবং যোগানের সঙ্কোচন হবে। এর ফলে অতিরিক্ত যোগান হ্রাস পাবে।

(৩) যতক্ষণ পর্যন্ত দাম চাহিদা এবং যোগানের সমান হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এই পরিবর্তন চলতে থাকবে।

(৪) এইভাবে অতিরিক্ত যোগান নিঃশেষ হবে। ভারসাম্য দর এবং ভারসাম্যের পরিমাণ নির্ধারণ হবে।

প্রশ্ন ৩। ধরে নাও, এপার্টমেন্টের বাজারে নির্ধারিত ভাড়া এত বেশি যে, তা সাধারণ লোকের বহন করা সম্ভব নয়। যদি সরকার ভাড়াতে এপার্টমেন্ট নিতে আগ্রহীদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে, তাহলে এটার এপার্টমেন্ট বাজারের ওপর কী প্রভাব পড়বে?

উত্তরঃ যদি সরকার এপার্টমেন্ট ভাড়া নিতে আগ্রহীদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে, তাহলে এটি এপার্টমেন্ট বাজারে নিম্নলিখিত প্রভাব ফেলতে পারে।

(১) বাজারে এপার্টমেন্টের অতিরিক্ত চাহিদার সৃষ্টি হবে।

(২) বাজারে এপার্টমেন্টের মালিকরা ভাড়া নিতে আগ্রহী লোকদের কাছ থেকে অবৈধ চুক্তি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করবে অর্থাৎ কালো টাকার সৃষ্টি হবে।

(৩) সুদক্ষ প্রশাসন থাকলে সাধারণ মানুষেরা কম ভাড়ায় এপার্টমেন্ট পাবে।

প্রশ্ন ৪। কফির দাম পরিবর্তন, চায়ের ভারসাম্য দামকে কীভাবে প্রভাবিত করে? চিত্রের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ চা এবং কফি বিকল্প দ্রব্য। কফির দাম পরিবর্তন হলে তা চায়ের ভারসাম্য দাম এবং চায়ের পরিমাণের ওপর প্রভাব ফেলবে। কফির দাম বৃদ্ধি পেলে চায়ের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। ফলে চায়ের চাহিদা রেখা ডানদিকে স্থানান্তরিত হবে। অর্থাৎ অধিক চাহিদার উদ্ভব হবে। চায়ের ভারসাম্য দাম এবং ভারসাম্য পরিমাণ উভয়ই বৃদ্ধি পাবে।

নিচে রেখাচিত্রের সাহায্যে বিষয়টি দেখানো হল।

প্রশ্ন ৫। বস্তু এবং শ্রমের বাজারে চাহিদা এবং যোগান রেখা কীভাবে ভিন্ন হয়?

উত্তরঃ বস্তু এবং শ্রমের বাজারে চাহিদা এবং যোগান রেখা নিম্নলিখিতভাবে ভিন্ন হয়।

(১) শ্রম বাজারে পরিবার বা পরিজন থেকে শ্রমের যোগান আসে এবং শ্রমের চাহিদা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান থেকে আসে। বস্তুর বাজারে, উৎপাদন প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রব্যের যোগান আসে এবং পরিবার-পরিজন থেকে দ্রব্যের চাহিদা আসে।

(২) শ্রম বাজারে শ্রমের চাহিদা এবং যোগান মজুরির হারের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু বস্তুর বাজারে দ্রব্যের চাহিদা ও যোগান দামের ওপর নির্ভর করে।

(৩) শ্রমের চাহিদা এবং যোগান রেখা ভারসাম্য মজুরি নির্ধারণ করে। কিন্তু বস্তুর চাহিদা এবং যোগান রেখা ভারসাম্য দাম নির্ধারণ করে।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। চাহিদা ও যোগান রেখার সাহায্যে বাজার ভারসাম্যের ধারণাটি ব্যাখ্যা করো। একটি চিত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত চাহিদা এবং অতিরিক্ত যোগানের পরিস্থিতি চিহ্নিত করো।

উত্তরঃ নির্দিষ্ট সংখ্যক উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে দ্রব্যের চাহিদা এবং যোগান সমান হওয়া অবস্থাকে বাজার ভারসাম্য বলে। সহজ কথায়, পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে বাজার ভারসাম্য হল এমন এক অবস্থা যেখানে অতিরিক্ত যোগান এবং অতিরিক্ত চাহিদা শূন্য থাকে। বাজার ভারসাম্য অবস্থায় বাজারের চাহিদা এবং বাজারের যোগানের দাম একই থাকে।

চিত্রে, পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারের SS হল যোগান রেখা, DD হল বাজার চাহিদা রেখা। E বিন্দুতে বাজার চাহিদা রেখা ও বাজার যোগান রেখা পরস্পর ছেদ করেছে এবং এই বিন্দুতে বাজার চাহিদা এবং যোগান সমান। OQ হল ভারসাম্য উৎপাদনের পরিমাণ।

প্রশ্ন ২। পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে মজুরির হার কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

উত্তরঃ পূর্ণ প্রতিযোগিতা বাজারে শ্রমিকের প্রান্তিক উৎপাদনশীলতার ভিত্তিতে শ্রমিকের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। একটি রেখাচিত্রের সাহায্যে বিষয়টি বোঝানো হল।

এখানে OX অক্ষে শ্রমিকের সংখ্যা এবং OY অক্ষে প্রান্তিক আয় উৎপাদন পরিমাণ করা হয়েছে। ST সরলরেখাটি শ্রমের প্রান্তিক আয় উৎপাদন রেখা। নিম্নমুখী রেখার মাধ্যমে বুঝানো হচ্ছে যে, উৎপাদনের ক্ষেত্রে ক্রমহ্রাসমান প্রতিদান বিধি কার্যকরী হচ্ছে। এখন মজুরির হার যদি OP হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটি R বিন্দুতে ভারসাম্য অর্জন করবে। মুনাফা সর্বাধিক করার জন্য শ্রমিক নিয়োগ এমন একটি স্তর পর্যন্ত চলবে যেখানে শ্রমের প্রান্তিক আয় উৎপাদন মজুরির হারের সমান হবে। OQ পর্যন্ত শ্রমিক নিয়োগ করলে শ্রমের প্রান্তিক আয় উৎপাদন মজুরির হারের সঙ্গে সমান হয়। আসল কথা এই যে, যত সংখ্যক শ্রমিক নিয়োগ করা হবে তার শেষ শ্রমিকের প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা অনুসারে মজুরি প্রত্যেকেই পাবে।

প্রশ্ন ৩। চাহিদা রেখার পরিবর্তনের ফলে বাজার ভারসাম্য কীভাবে পরিবর্তন হয় দেখাও।

উত্তরঃ যখন পূর্বের দামে কোন একটি দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তাকে চাহিদা বৃদ্ধি বলা হয়। যদি যোগান অনুসূচি একই থাকে, তাহলে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে দ্রব্যটির ভারসাম্য দাম বাড়ে। নিম্নে চিত্রের সাহায্যে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হল।

DD এবং SS হল যথাক্রমে চাহিদা এবং যোগান রেখা। এই দুই রেখা পরস্পর A বিন্দুতে ছেদ করেছে। এজন্য ভারসাম্য দাম হল OP এবং ভারসাম্যের পরিমাণ হল OQ। যখন চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তখন চাহিদা রেখা ডানদিকে অর্থাৎ D₁D₁ বিন্দুতে স্থানান্তরিত হয়। নতুন চাহিদা রেখা অপরিবর্তিত SS রেখাকে A₁ বিন্দুতে ছেদ করে। নতুন ভারসাম্য দর হল OP₁ এবং নতুন ভারসাম্যের পরিমাণ হল OQ₁।

চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় অর্থ হল একই দামে কম পরিমাণে চাহিদা। চাহিদা হ্রাস পেলে চাহিদা রেখা বামদিকে স্থানান্তরিত হয়। নিচে চিত্রের সাহায্যে দেখানো হল।

মূল ভারসাম্য দর হল OP এবং ভারসাম্যের পরিমাণ OQ । নতুন চাহিদা, রেখা D₁D₁। অপরিবর্তিত যোগান রেখা SS এবং নতুন চাহিদা রেখা D₁D₁ র ছেদবিন্দু A₁। এই A₁ বিন্দুতে নতুন ভারসাম্য দাম OP₁ এবং নতুন ভারসাম্য পরিমাণ OQ₁। এর থেকে বোঝা যায়, যখন চাহিদা হ্রাস পায়, ভারসাম্য দাম এবং ভারসাম্য পরিমাণ উভয়ই হ্রাস পায়।

We Hope the given Economics Class 11 Bengali Medium Question Answer will help you. If you Have any Regarding AHSEC Board HS 1st Year Economics Question Answer in Bengali PDF download, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top