AHSEC Class 11 Economics Chapter 7 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share AHSEC Class 11 Economics Chapter 7 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Question Answer in Bengali. The Complete Syllabus of AHSEC Class 11 Economics Chapter 7 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Notes in Bengali PDF Share with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 7 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Solutions in Bengali Which you Can Download PDF Notes HS 1st Year Economics Solutions in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.

AHSEC Class 11 Economics Chapter 7 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা

Today’s We have Shared in This Post AHSEC Class 11 Economics Chapter 7 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Suggestions with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 7 অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা Questions Answers in Bengali I Hope, you Liked The information About The Class 11 Economics Textbook Solutions in Bengali. If you liked Class 11 Economics Textbook PDF Notes in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা

খ – অংশ (অর্থনীতিতে পরিসংখ্যান)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অর্থনীতি শব্দটি কোন ভাষা থেকে এসেছে?

উত্তরঃ গ্রিক ভাষা।

প্রশ্ন ২। অর্থনীতি শব্দটি কোন্ শব্দ থেকে নেওয়া হয়েছে?

উত্তরঃ অর্থনীতি শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘Oikos’ এবং ‘nomos’ থেকে এসেছে।

প্রশ্ন ৩। অর্থবিজ্ঞানের পিতৃস্বরূপ কে?

উত্তরঃ আদাম স্মিথ।

প্রশ্ন ৪। অর্থবিজ্ঞানের সম্পদ ভিত্তিক সংজ্ঞাটি কার?

উত্তরঃ আদাম স্মিথের।

প্রশ্ন ৫। অর্থবিজ্ঞানের কল্যাণভিত্তিক সংজ্ঞাটি কার?

উত্তরঃ আলফ্রেড মার্শালের।

প্রশ্ন ৬। অর্থবিজ্ঞানের দুষ্প্রাপ্যতার সংজ্ঞাটি কার?

উত্তরঃ লায়নেল রবিন্সের।

প্রশ্ন ৭। দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কে অর্থনীতির সংজ্ঞা দিয়েছেন?

উত্তরঃ সেমুয়েলসন।

প্রশ্ন ৮। অর্থনীতি শাস্ত্রের জনক হিসাবে কাকে ধরা হয়?

উত্তরঃ অ্যাডাম স্মিথকে অর্থনীতির জনক হিসাবে ধরা হয়।

প্রশ্ন ৯। An inquiry into the Nature and causes of the wealth of Nations’ বইটির লেখক কে?

উত্তরঃ অ্যাডাম স্মিথ এই বইটির লেখক।

প্রশ্ন ১০। ‘Principles of Economics’ – বইটির লেখক কে?

উত্তরঃ আলফ্রেড মার্শাল এই বইটির লেখক।

প্রশ্ন ১১। ‘Nature and significance of Economic Science’ – গ্রন্থটির লেখক কে?

উত্তরঃ গ্রন্থটির লেখক রবিন্স।

প্রশ্ন ১২। অর্থনৈতিক কাজকর্ম কাকে বলে?

উত্তরঃ যে কাজকর্মের উদ্দেশ্য হল অর্থ উপার্জন করা তাকে অর্থনৈতিক কাজকর্ম বলে।

প্রশ্ন ১৩। অন-অর্থনৈতিক কাজকর্ম কাকে বলে?

উত্তরঃ নিছক আনন্দ বা সন্তুষ্টির জন্যই যে কাজকর্ম করা হয় তাকে অন-অর্থনৈতিক কাজকর্ম বলে।

প্রশ্ন ১৪। কে আদাম স্মিথের সংজ্ঞাটিকে যক্ষের বাণী (Gospel of the mamon) বলেছেন?

উত্তরঃ রাস্কিন।

প্রশ্ন ১৫। অর্থনীতির তিনটি মৌলিক সমস্যা কী থেকে হয়?

উত্তরঃ অর্থনীতির তিনটি মৌলিক সমস্যাই সম্পদের অপ্রাচুর্য থেকে উদ্ভূত হয়।

প্রশ্ন ১৬। উপযোগিতা কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো দ্রব্যের উপযোগিতা হল সেই দ্রব্যের অন্তর্নিহিত অভাব পূরণের ক্ষমতা।

প্রশ্ন ১৭। সেবার সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ কোনো একজন ব্যক্তি অন্য একজন ব্যক্তির সুবিধার্থে যে কাজ করে, তাকে সেবা বলে। যেমন – শিক্ষকের শিক্ষাদান।

প্রশ্ন ১৮। দ্রব্যের সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ মানুষের চাহিদা মেটানোর ক্ষমতা সম্পন্ন বস্তুগত সামগ্রীকে দ্রব্য বলে। যেমন – বই, কলম।

প্রশ্ন ১৯। অভাব কাকে বলে?

উত্তরঃ অভাব হল কোনো দ্রব্য বা সেবা কার্য পাওয়ার ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা।

প্রশ্ন ২০। অর্থবিজ্ঞানের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা কী?

উত্তরঃ অর্থবিজ্ঞান সমাজবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সমাজবিজ্ঞানের যে বিভাগটি সমাজ এবং সমাজের অংশ হিসেবে ব্যক্তির আর্থিক কাজগুলো অধ্যয়ন করে, তাকেই অর্থবিজ্ঞান বা অর্থনীতি বলা হয়।

প্রশ্ন ২১। “পরিসংখ্যান হল গণনা সংক্রান্ত বিজ্ঞান” – কে বলেছেন?

উত্তরঃ বাওলে (Bowley)।

প্রশ্ন ২২। তথ্য কী?

উত্তরঃ কোনো একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার জন্য সেই বিষয় সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হয়, তাই হল তথ্য।

প্রশ্ন ২৩। “বিভিন্ন লক্ষ্যের মধ্যে অর্থনীতি নিরপেক্ষ” – এই উক্তিটি কে করেছেন?

উত্তরঃ অধ্যাপক রবিন্স।

প্রশ্ন ২৪। উৎপাদন মানে কী বুঝায়?

উত্তরঃ উৎপাদন মানে উপযোগ সৃষ্টি। উপযোগী সামগ্রী অথবা সেবার সৃষ্টিই হচ্ছে উৎপাদন।

প্রশ্ন ২৫। উৎপাদনের চারটি কারক বা উপাদানের নাম লেখো।

উত্তরঃ উৎপাদনের চারটি কারক বা উপকরণ হল – 

(ক) ভূমি। 

(খ) শ্রম। 

(গ) মূলধন। ও 

(ঘ) সংগঠন।

প্রশ্ন ২৬। তথ্যের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে আমরা তথ্যকে কয়ভাগে ভাগ করে থাকি?

উত্তরঃ দুইভাগে – 

(ক) গুণগত তথ্য। ও 

(খ) পরিমাণগত তথ্য।

প্রশ্ন ২৭। কোনো বস্তুর মানুষের অভাব পূরণ করতে পারার ক্ষমতাকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ উপযোগিতা।

প্রশ্ন ২৮। নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ভারতীয় অর্থনীতিবিদের নাম কী?

উত্তরঃ অমর্ত্য সেন।

প্রশ্ন ২৯। ভোগ মানে কী বুঝায়?

উত্তরঃ আমাদের অভাব দূর করার কার্যকলাপই ভোগ।

প্রশ্ন ৩০। বিতরণ বা বন্টন মানে কী বুঝায়?

উত্তরঃ দ্রব্যসামগ্রীর উৎপাদনকার্য সমাধার পর উপভোক্তারা যাতে ভোগকার্য সম্পন্ন করে, এই প্রক্রিয়াকে বিতরণ বলে।

প্রশ্ন ৩১। দুইজন কল্যাণকামী অর্থনীতিবিদের নাম লেখো।

উত্তরঃ ডঃ অমর্ত্য সেন, এ. সি. পিগু।

প্রশ্ন ৩২। “অর্থনীতিকে শুধু ‘আলোবাহক’ নয় ‘ফলপ্রদ’ও হতে হবে” – উক্তিটি কার?

উত্তরঃ এ. সি. পিগু।

প্রশ্ন ৩২। পরিসংখ্যান বিজ্ঞান-এর একটি সীমাবদ্ধতা লেখো।

উত্তরঃ পরিসংখ্যা বিজ্ঞান কেবলমাত্র সংখ্যাভিত্তিক বিষয়বস্তুর উপর প্রযোজ্য। যে সব তথ্যের সংখ্যাভিত্তিক গুণাগুণ নেই পরিসংখ্যান বিজ্ঞানে তাদের কোনো ভূমিকা নেই।

S.L No.CONTENTS
ক – অংশ (ব্যষ্টিগত অৰ্থবিজ্ঞান)
Chapter 1অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter 2ভোক্তার আচরণ এবং চাহিদা
Chapter 3উৎপাদকের আচরণ ও যোগান
Chapter 4পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র
Chapter 5বাজার ভারসাম্য
Chapter 6অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার
খ – অংশ (অর্থনীতিতে পরিসংখ্যান)
Chapter 1অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter 2তথ্য সংগ্ৰহ
Chapter 3তথ্যরাশির সংবদ্ধকরণ
Chapter 4রাশিতথ্যের উপস্থাপন
Chapter 5কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ
Chapter 6বিচ্যুতির পরিমাপ
Chapter 7সহসম্বন্ধ
Chapter 8সূচক সংখ্যা
Chapter 9পরিসংখ্যান হাতিয়ারের ব্যবহার

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো।

প্রশ্ন ১। কোনো অর্থনীতির তিনটি মৌলিক সমস্যা______ থেকে উদ্ভূত।

(ক) উপকরণে দুষ্প্রাপ্যতা।

(খ) উপকরণের সহজলভ্যতা।

(গ) আয় বৈষম্য।

(ঘ) বাজার ব্যবস্থার ব্যর্থতা।

উত্তরঃ (ক) উপকরণের দুষ্প্রাপ্যতা।

প্রশ্ন ২। গুণবাচক নয় এমন সংখ্যা সূচক তথ্যাবলি নীচের কোনটি?

(ক) পরিসংখ্যানের তথ্য।

(খ) পরিসাংখ্যানিক।

(গ) সারণি।

(ঘ) ব্যাপ্তি।

উত্তরঃ (ক) পরিসংখ্যানের তথ্য।

প্রশ্ন ৩। পরিসংখ্যান কোন তথ্যকে প্রকাশ করে?

(ক) গুনবাচক আকারে।

(খ) সংখ্যার আকারে।

(গ) সমষ্টিবাচক আকারে।

(ঘ) কোনোটিই নয়।

উত্তরঃ (খ) সংখ্যার আকারে।

প্রশ্ন ৪। পরিসংখ্যান এর অর্থ কী?

(ক) বিজ্ঞানবিষয়ক তথ্য।

(খ) সংখ্যাসূচক তথ্য

(গ) ব্যক্তিগত তথ্য।

(ঘ) পরিবেশ বিষয়ক তথ্য।

উত্তরঃ (খ) সংখ্যাসূচক তথ্য।

প্রশ্ন ৫। তথ্যে ব্যবহৃত সংখ্যাসমূহকে কী বলে?

(ক) চলক।

(খ) পরিসংখ্যা।

(গ) মধ্যক।

(ঘ) রাশি।

উত্তরঃ (ক) চলক।

প্রশ্ন ৬। পরিসংখ্যানের ব্যবহার ক্ষেত্র কোনটি?

(ক) কৃষি গবেষণা।

(খ) সমাজবিজ্ঞান গবেষণা।

(গ) অর্থনীতি গবেষণা।

(ঘ) সবগুলিই।

উত্তরঃ (ঘ) সবগুলিই।

প্রশ্ন ৭। পরিসংখ্যান কোন্ লাতিন শব্দের প্রতিশব্দ?

(ক) Statistia.

(খ) Status.

(গ) Statistik.

(ঘ) Statistic.

উত্তরঃ (খ) Status.

প্রশ্ন ৮। নিম্নের কোনটি সরকারি দ্রব্য নয়?

(ক) রাস্তাঘাট ও সেতু।

(খ) প্রশাসন।

(গ) খাদ্যদ্রব্য।

(ঘ) প্রতিরক্ষা।

উত্তরঃ (গ) খাদ্যদ্রব্য।

প্রশ্ন ৯। নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে কোন্‌টি ভোগ কার্য নয়-

(ক) একটি বই ছেঁড়া।

(খ) সিনেমা দেখা।

(গ) এক গ্লাস জল খাওয়া।

(ঘ) ঘড়িতে সময় দেখা।

উত্তরঃ (ক) একটি বই ছেঁড়া।

প্রশ্ন ১০। নিম্নের কোন্‌টি অর্থবিজ্ঞানের পরিসরের বহির্ভূত?

(ক) গৃহশিক্ষিকা কর্তৃক শিক্ষাদান উৎপাদন।

(খ) চা বাগানের চা।

(গ) বারান্দার টবে গৃহসৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুল উৎপাদন।

(ঘ) পোশাক বিক্রয়।

উত্তরঃ (গ) বারান্দার টবে গৃহসৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুল উৎপাদন।

সত্য না মিথ্যা লেখো।

১। অর্থবিজ্ঞানে অর্থকে মূলধন হিসাবে গণ্য করা হয়।

উত্তরঃ মিথ্যা।

২। উৎপাদন হল মানুষ ও প্রকৃতির ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফল।

উত্তরঃ সত্য।

৩। অর্থনীতি একটি সমাজ বিজ্ঞান।

উত্তরঃ সত্য।

৪। কোনো ব্যক্তির সব অভাব মেটানো সম্ভব।

উত্তরঃ মিথ্যা।

৫। যেহেতু অভাব অনন্ত এবং উপকরণ সীমিত, উপকরণের ব্যবহার দক্ষতম হওয়া প্রয়োজন।

উত্তরঃ সত্য।

৬। পরিসংখ্যা বিজ্ঞান কেবলমাত্র সংখ্যাগত তথ্য বিচার করে।

উত্তরঃ সত্য।

৭। তথ্য ছাড়া অর্থবিজ্ঞানে পরিসংখ্যানের কোনো প্রয়োজন নাই।

উত্তরঃ সত্য।

৮। অধ্যাপক রবিন্সের মতে, ‘লক্ষ্যসমূহের মধ্যে অর্থবিজ্ঞান নিরপেক্ষ।

উত্তরঃ সত্য।

৯। সম্পদের অপ্রাচুর্যতা পছন্দের সমস্যা সৃষ্টি করে।

উত্তরঃ সত্য।

১০। অর্থবিজ্ঞানে বাজার বলতে নির্দিষ্ট স্থানকে বোঝায়।

উত্তরঃ মিথ্যা।

শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

১। ______হল উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান।

উত্তরঃ মূলধন।

২। যে কোনো সমাজে সম্পদের পরিমাণ ______।

উত্তরঃ সীমিত।

৩। নয়া-ধ্রুপদী মত অনুযায়ী উৎপাদন হল বিনিময়ের মাধ্যমে_______ সৃষ্টি।

উত্তরঃ উপযোগিতা।

৪। সংগীত শিল্পী অর্থ উপার্জনের জন্য গান করলে তা হবে_______ কাজ।

উত্তরঃ অর্থনৈতিক।

৫। কোনো সাধু নিজের পরমার্থের জন্য জপতপে লিপ্ত থাকলে তা হবে _______ কাজ।

উত্তরঃ অনাঅর্থনৈতিক।

৬। উৎপাদনের প্রাকৃতিক উপাদান হল_______।

উত্তরঃ ভূমি।

৭। অ্যাডাম স্মিথের ‘Wealth of Nations’ বইটি প্রকাশিত হয়______ সালে।

উত্তরঃ ১৭৭৬ সালে।

৮। মার্শালের ‘Principles of Economics’ গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ________ সালে।

উত্তরঃ ১৮৯০ সালে।

৯। মানুষের অভাব ______ কিন্তু উপকরণ _______।

উত্তরঃ অসীম, সীমিত।

১০। সম্পদের দুষ্প্রাপ্যতার কারণেই _______ সমস্যার উদ্ভব হয়।

উত্তরঃ পছন্দ।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। রাশিতথ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ অনুসন্ধান কাজের জন্য সংগৃহীত তথ্যকে রাশিতথ্য বলে।

প্রশ্ন ২। বিন্যস্ত তথ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সমস্ত তথ্য ছোটো থেকে বড়ো বা বড়ো থেকে ছোটো ক্রমে সাজানো থাকে, তাদের বিন্যস্ত তথ্য বলা হয়। যেমন – 5, 8, 12, 15, 20, 25, ………. ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩। অবিন্যস্ত তথ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সমস্ত তথ্য ছোটো থেকে বড়ো বা বড়ো থেকে ছোটো কোনো ক্রমেই সাজানো থাকে না, তাদের অবিন্যস্ত তথ্য বলা হয়। যেমন – 18, 20, 15, 11, 25, 19, 29, ………..ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৪। গুণগত তথ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল তথ্য সাধারণত পর্যবেক্ষণ, সাক্ষাৎকার ইত্যাদির মাধ্যমে সরাসরি কথোপকথনের দ্বারা সংগ্রহ করা হয়, তাদের গুণগত তথ্য বলা হয়।

প্রশ্ন ৫। পরিমাণগত তথ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সকল তথ্য সাধারণত বিভিন্ন ধরনের টুল ও অভীক্ষার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় ও যা বিভিন্ন পরিমাপক স্কেলের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়, তাদের পরিমাণগত তথ্য বলা হয়।

প্রশ্ন ৬। রাশিবিজ্ঞান বা পরিসংখ্যানের সংজ্ঞা লেখো।

উত্তরঃ Bowley-র মতে, “Statistics are numerical statements of facts in any department of enquiry, placed in relation to each other” efte পরিসংখ্যান হল কোন ক্ষেত্রের অনুসন্ধানের সংখ্যাগত বিবরণ, যা একটি অন্যটির সঙ্গে সম্পর্কিত। কোনো একটি বিষয়ে সংখ্যামূলক তথ্যাদি সংগ্রহ করে সুচারুরূপে সাজিয়ে ঐ তথ্যরাশির তুলনা, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা যে শাস্ত্রের আলোচ্য বিষয় তাকে পরিসংখ্যান বলে।

প্রশ্ন ৭। অ্যাডাম স্মিথ প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ অ্যাডাম স্মিথের মতে, অর্থনীতি হ’ল সম্পদের বিজ্ঞান।

প্রশ্ন ৮। মার্শাল প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ মার্শালের মতে, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করা যে শাস্ত্রের কাজ তাই হল অর্থনীতি।

প্রশ্ন ৯। রবিন্স প্রদত্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও।

উত্তরঃ রবিন্সের মতে, অর্থনীতি এমন একটি বিজ্ঞান যার কাজ বিভিন্ন ব্যবহার আছে এরকম সীমাবদ্ধ উপকরণকে কীভাবে অসংখ্য উদ্দেশ্য সিদ্ধির কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা।

প্রশ্ন ১০। পছন্দের সমস্যা কাকে বলে?

উত্তরঃ মানুষের অনন্ত অভাব কিন্তু উপকরণ সীমিত। কাজেই ব্যক্তিকে ঠিক করতে হবে কোন অভাবটি আগে মেটাতে হবে, কোনটি পরে মেটাতে হবে। একেই বলে পছন্দের সমস্যা।

প্রশ্ন ১১। অধ্যাপক মার্শালের লিখিত বইটির কী নাম এবং কোন্ সনে প্রকাশিত হয়?

উত্তরঃ অধ্যাপক মার্শালের লিখিত বইটির নাম হল – ‘Principles of Economics এটি 1890 সালে প্রকাশিত হয়।

প্রশ্ন ১২। অধ্যাপক রবিন্সের লিখিত বইটির কী নাম এবং কোন্ সনে প্রকাশিত হয়?

উত্তরঃ অধ্যাপক রবিন্সের লিখিত বইটির নাম হল – ‘An essay on the nature and significance of Economic Science’ এবং এটি 1932 সালে প্রকাশিত হয়।

প্রশ্ন ১৩। অর্থনৈতিক তত্ত্ব অধ্যয়নের মার্গ/শাখা দুটি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ অর্থনৈতিক তত্ত্ব অধ্যয়নের দুটি মার্গ/শাখা হল:

(ক) ব্যষ্টিবাদী/সূক্ষ্ম অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ।

(খ) সমষ্টিবাদী/স্থূল অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ।

প্রশ্ন ১৪। সেমুয়েলসনের মতে, অর্থবিজ্ঞানের মূল বিষয়বস্তু কী হওয়া উচিত?

উত্তরঃ সেমুয়েলন ‘দুষ্প্রাপ্যতার’ ধারণাটির সঙ্গে ‘দক্ষতার’ ধারণাটিকেও যোগ করে অর্থনীতির একটি সংজ্ঞা দিয়েছেন। তাঁর মতে, দুষ্প্রাপ্যতার বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়ে সম্পদগুলোর সর্বোত্তম দক্ষতাপূর্ণ ব্যবহারের জন্য সমাজ গঠন করাই হল অর্থনীতির মূল বিষয়বস্তু।

প্রশ্ন ১৫। পরিসংখ্যানের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) পরিসংখ্যান কোনো তথ্যের বৈশিষ্ট্য বা তার গুণাগুণকে কেবলমাত্র সংখ্যার আকারে তুলে ধরে।

(২) পরিসংখ্যানের তথ্যগুলি তুলনাযোগ্য এবং পূর্ব নির্ধারিত উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা হয়।

প্রশ্ন ১৬। পরিসংখ্যা কীভাবে অর্থবিদ্যায় সহায়ক হতে পারে?

উত্তরঃ অর্থবিদ্যায় পরিসংখ্যানের ব্যবহারের কতিপয় ক্ষেত্র নীচে উল্লেখ করা হল: 

(১) কিছু অর্থনৈতিক সমস্যা যেমন – দারিদ্র ও বেকারত্ব, জনবিস্ফোরণ, আর্থিক বৈষম্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

(২) দর বা মূল্য সংক্রান্ত গবেষণার জন্য পরিসাংখ্যিক গবেষণার প্রয়োজন হয়।

(৩) অর্থবিদ্যার বিধিসমূহ প্রস্তুত করতে পরিসংখ্যার ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ১৭। অর্থনৈতিক এবং অনা-অর্থনৈতিক কাজকর্ম বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ যে সকল কাজকর্ম অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়, তাকে অর্থনৈতিক কাজকর্ম বলে। যেমন – পেশাধারী নর্ত্তকীর নৃত্য প্রদর্শন, মক্কেলকে উকিলের পরামর্শদান, শ্রেণিতে শিক্ষকের পাঠদান ইত্যাদি।

যে সকল কাজকর্মের সঙ্গে অর্থ উপার্জনের কোন প্রত্যক্ষ সম্পর্ক থাকে না, তাকে অনা-অর্থনৈতিক কাজকর্ম বলে। যেমন মাতার সন্তান প্রতিপালন, বাড়ীতে নিজের পুত্রকে শিক্ষাদান, প্রাতঃভ্রমণ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৮। অ্যাডাম স্মিথের সংজ্ঞার দুইজন সমালোচকের নাম লেখো।

উত্তরঃ কার্লাইল, রাস্কিন।

প্রশ্ন ১৯। অ্যাডাম স্মিথের অর্থবিজ্ঞানের সংজ্ঞার দুটি ত্রুটি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) সম্পদ মানব জীবনের মূল লক্ষ্য কখনো হতে পারে না। এটা মানব জীবনের মূল লক্ষ্য প্রাপ্তির একটি পাথেয় মাত্র। সম্পদকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করলে অর্থবিজ্ঞান এক নিরাশাব্যঞ্জক বিজ্ঞানে পর্যবসিত হবে।

(২) অ্যাডাম স্মিথের সম্পদের সংজ্ঞাতে মানব কল্যাণের কিছুই উল্লেখ পাওয়া যায় না। মানুষকে আলোচনা থেকে দূরে রাখা সংজ্ঞাটির আরেকটি প্রধান ত্রুটি।

প্রশ্ন ২০। সবুজ অর্থনীতি কাকে বলে?

উত্তরঃ যে অর্থনীতির মূল লক্ষ পরিবেশের বিপদাবস্থা এবং পরিস্থিতিতন্ত্রের সমস্যা দূর করা এবং বহনক্ষম উন্নয়নকে প্রসারিত করা তাকে সবুজ অর্থনীতি বলে।

প্রশ্ন ২১। অর্থনৈতিক কার্যের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) অর্থনৈতিক কার্যাবলী আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কার্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

(২) অর্থনৈতিক কার্যাবলী অর্থ উপার্জন ও ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত।

প্রশ্ন ২২। মার্শালের অর্থবিজ্ঞানের সংজ্ঞার দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) অর্থবিজ্ঞান একদিকে সম্পদের বিজ্ঞান, অন্যদিকে মানবজাতির আলোচনার অংশ।

(২) মানুষের অভাব মোচনের জন্য ধন আহরণ করা এবং ধন হল কল্যাণ সাধনের মাধ্যম।

প্রশ্ন ২৩। পরিসংখ্যানের দুটি কাজ লেখো।

উত্তরঃ পরিসংখ্যানের দুটি কাজ হলো-

(১) কোনো ঘটমান বিষয়ের পরিমাণ সংক্রান্ত মাত্রা নির্ণয় করো।

(২) নীতি প্রণয়নের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা।

প্রশ্ন ২৪। অর্থবিজ্ঞানে পরিসংখ্যানের দুটি গুরুত্ব লেখো।

উত্তরঃ (১) পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি উৎপাদন, আয়-ব্যয় ও আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পরিমাণগত পদ্ধতি উৎপাদন, আয়-ব্যয় ও আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে পরিমাণগত তথ্য প্রদান করে।

(২) যে কোনো ধরনের অভীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা এবং যথার্থতা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানকে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ২৫। অর্থনীতিতে পছন্দের সমস্যা কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তরঃ অপ্রাচুর্য অর্থাৎ মানুষের অভাব সীমাহীন হলেও অভাবমোচনকারী উপকরণগুলি চাহিদার তুলনায় খুবই সীমিত। উপকরণগুলি অপ্রাচুর্য থাকায় পছন্দের সমস্যার সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ২৬। দ্রব্য কী?

উত্তরঃ মানুষের অভাব পূরণ করে সন্তুষ্ট করতে পারা এমন সব বস্তুগত জিনিসকে অর্থবিজ্ঞানে দ্রব্য বলা হয়। যেমন – চেয়ার, টেবিল, খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি।

প্রশ্ন ২৭। সেবা কী?

উত্তরঃ মানুষের অভাব পূরণ করে সন্তুষ্ট করতে পারা এমন সব অবস্তুগত জিনিসকে অর্থবিজ্ঞানে সেবা বলা হয়। যেমন – শিক্ষক, চিকিৎসক, পুলিশ, অধিবক্তা ইত্যাদির সেবা।

প্রশ্ন ২৮। উৎপাদনের উপাদান কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো দ্রব্য উৎপাদন করার জন্য যে সমস্ত জিনিষের প্রয়োজন তাকে উৎপাদনের উপাদান বলে। যেমন – ভূমি, শ্রম, মূলধন।

প্রশ্ন ২৯। বহুবচনে পরিসংখ্যানের অর্থ লেখো।

উত্তরঃ বহুবচন অর্থে, পরিসংখ্যান হল পূর্ব নির্ধারিত উদ্দেশ্যে প্রণালীবদ্ধভাবে সংগৃহীত তথ্যের সমষ্টি যা সংখ্যার দ্বারা প্রকাশ করা হয় এবং তথ্যগুলো পরস্পরের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হয়।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। পরিসংখ্যান বিদ্যার সীমাবদ্ধতা লেখো।

উত্তরঃ (১) পরিসংখ্যান বিদ্যা কেবলমাত্র সংখ্যাভিত্তিক বিষয়বস্তুর উপর প্রযোজ্য। যে সব তথ্যের সংখ্যাভিত্তিক গুণাগুণ নেই পরিসংখ্যান বিদ্যায় তাদের কোনো ভূমিকা নেই।

(২) কোনো রাশিতথ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ না থাকলে ফলাফল অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণার সৃষ্টি করে।

(৩) পরিসংখ্যান সমষ্টিগত আলোচনার উপর গুরুত্ব দেয়, ব্যক্তির উপর নহে। ব্যক্তি বা এককের আলোচনা এখানে হয় না।

(৪) পরিসংখ্যান কোনও সমস্যা অধ্যয়নের একটি পদ্ধতি। পরিসংখ্যানের সিদ্ধান্তকে অন্যান্য পদ্ধতি দ্বারা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজন আছে।

প্রশ্ন ২। অর্থবিজ্ঞান অধ্যয়ন করার কারণ কী কী?

অথবা, 

অর্থবিজ্ঞান অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তা উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ অর্থবিজ্ঞান হল একটি সমাজবিজ্ঞান। বৈচিত্রময় বিশ্বে একদিকে রয়েছে মানুষের সীমাহীন অভাব এবং অন্যদিকে রয়েছে মানুষের অভাবমোচনের প্রকৃতি প্রদত্ত সামগ্রী। সমাজবদ্ধ মানুষের অসীম অভাব এবং ওই অভাববোধ মোচনের সীমিত সামগ্রীর সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে বস্তুসামগ্রীর উৎপাদন, ব্যবহার, দুষ্প্রাপ্যতা, নির্বাচন, বন্টন প্রভৃতির পর্যালোচনাই অর্থবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু।

অর্থবিজ্ঞান একজন ব্যক্তি এবং একটি সমাজকে কীভাবে সীমিত সম্পদের যথোচিত ব্যবহার করা সম্ভব, সে সম্পর্কে জ্ঞান দান করে।

সুস্থ গণতন্ত্রে নাগরিকের সচেতনতা অপরিহার্য। একজন করদাতার জানা উচিত – সরকার কীভাবে কর সংগ্রহ করে, সংগৃহীত কর কীভাবে ব্যয় করে, ব্যয় করতে গিয়ে কোন নীতি মেনে চলে, সংগৃহীত করের উচিত ব্যবহার হচ্ছে কি না ইত্যাদি।

একজন সমাজচিন্তাশীল ব্যক্তি দরিদ্রতার কারণগুলো খুব সূক্ষ্মভাবে অধ্যয়ন করতে চাইবেন। এটা করতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারবেন যে সমস্যাটির অনেকগুলো কারণই অর্থনৈতিক।

সচেতন গ্রাহক হিসাবে আমরা জানতে চাইব যে, বাজারে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণগুলো কী? বিশ্বায়ন মানে কী? এর সুফল এবং কুফলগুলো কী কী? পরিবেশ অর্থনীতি কী? এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থনীতিতে অধ্যয়ন করা হয়।

প্রশ্ন ৩। অর্থবিজ্ঞানের পরিসর/পরিধি আলোচনা করো।

অথবা, 

অর্থবিজ্ঞানের বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ অর্থবিজ্ঞান একটি গতিশীল সমাজবিজ্ঞান। মানুষের অর্থনৈতিক কাজকর্মের আলোচনা করাই অর্থবিজ্ঞানের মুখ্য বিষয়বস্তু।

মানুষের অভাব সীমাহীন অথচ অভাব মোচনের উপকরণগুলি খুবই সীমিত। এই সীমিত উপকরণের সাহায্যে মানুষ কীভাবে তার অনন্ত অভাব পূরণের মোকাবিলায় অগ্রসর হয় অর্থবিজ্ঞানে এই দিকটি পর্যালোচনা করা হয়।

অর্থ উপার্জন করার জন্য মানুষের কর্মযজ্ঞ নিত্য চলতে থাকে। কিন্তু অর্থ চিবিয়ে খেয়ে কেহই ক্ষুধানিবৃত্তি করতে পারে না। অর্থ হল বিনিময়ের মাধ্যম। মানুষ অর্থের সাহায্যে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সংগ্রহ করে অভাব হতে মুক্তিলাভের চেষ্টা করে। অতএব অভাব এবং অভাব থেকে মুক্তি লাভের জন্য অবিরাম প্রচেষ্টায় আলোচনা অর্থবিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু।

মানুষের প্রয়োজনীয় অধিকাংশ দ্রব্য ও সেবা দুর্লভ। দ্রব্যাদির দুষ্প্রাপ্যতা বা অপ্রাচুর্যতা-ই অর্থনৈতিক সমস্যার প্রধান কারণ। শুধু তাহা নহে, দ্রব্যগুলি একদিকে চাহিদার তুলনায় অপ্রচুর অন্যদিকে একাধিক ব্যবহারে উপযোগী। এতে সমস্যাটি আরও জটিল হয়ে পড়ে। ব্যয় সংক্ষেপ ও নির্বাচনের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের পথ নির্দেশ করাই অর্থবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়।

মানবসভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অর্থবিজ্ঞানে নিত্য নতুন বিষয় সংযোজিত হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বিশ্ব অর্থনীতির জটিল ঘটনাপ্রবাহ অর্থবিজ্ঞানের পরিসরে প্রসারতা এনেছে।

প্রশ্ন ৪। পরিসংখ্যান ও অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।

অথবা, 

অর্থনীতিতে পরিসাংখ্যিকভিত্তিক বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ পরিসংখ্যান ও অর্থনীতির মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মার্শাল বলেন, ‘Statistics are the straw out of which I like every other economist have to make bricks’ পরিসংখ্যান তথ্য ছাড়া বর্তমান বা ভবিষ্যতের কোনো অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ করা সম্ভব নহে। কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে আর্থিক নীতি গ্রহণ করা হয়। মুদ্রা, ব্যাঙ্কিং, ব্যক্তিগত ফিনান্স, সরকারি আয়-ব্যয়, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বাজার দর, ব্যয়, মুনাফা, দারিদ্রতা, আর্থিক বৈষম্য ইত্যাদিতে পরিসংখ্যান ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। পরিসংখ্যান ব্যবহার করে কোনো দেশের অর্থনীতির অবস্থান অন্যান্য দেশের অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা করা যায়। পরিসংখ্যানের সাহায্যে অর্থনৈতিক ধারণার বিশ্লেষণ সহজবোধ্য হয়। পরিসংখ্যানের সাহায্যেই ভোক্তার অভিরুচি বা ভবিষ্যত চাহিদার রূপরেখা পূর্বাহ্নেই নির্ণয় করা যায়। তাই অর্থনীতিতে পরিসংখ্যান তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রশ্ন ৫। রবিন্সের অর্থবিজ্ঞানের সংজ্ঞাটির মৌলিক ধারণাগুলো কী কী?

উত্তরঃ রবিন্সের অর্থবিজ্ঞানের সংজ্ঞার তিনটি মৌলিক ধারণা হল-

(১) মানুষের অভাব অসীম (Human wants are limited)।

(২) অভাব পূরণের উপায় সীমিত (Resources to satisfy human wants are limited)।

(৩) সীমিত সম্পদগুলো বিকল্প ব্যবহারযোগ্য (Scarce resources have alternative uses)।

প্রশ্ন ৬। কোনো অর্থনীতির মৌলিক সমস্যা কয়টি ও কী কী?

উত্তরঃ কোনো অর্থনীতির মৌলিক সমস্যা তিনটি মূল প্রশ্নের সমাধান করা। 

সেই তিনটি প্রশ্ন হল-

(ক) কোন্ কোন্ দ্রব্যসামগ্রী কত পরিমাণে উৎপাদন করা হবে?

(খ) কীভাবে দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করা হবে?

(গ) কাদের জন্য দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করা হবে?

প্রশ্ন ৭। “অর্থবিজ্ঞান মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কার্যাবলীর অধ্যয়ন” – ব্যাখ্যা করো।

অথবা, 

আলফ্রেড মার্শালের অর্থবিজ্ঞানের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কেমব্রিজ অর্থনীতিবিদ আলফ্রেড মার্শাল তাঁর 1980 সালে প্রকাশিত গ্রন্থ ‘Principles of Economics’ এ অর্থনীতির কল্যাণভিত্তিক সংজ্ঞাটি উপস্থাপন করেছেন। তাঁর মতে, ‘মানবজাতির দৈনন্দিন জীবনের কার্যগুলো অধ্যয়নই হল অর্থনীতি’ (“Economics is the study of mankind in the ordinary business of life”) এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক কার্যগুলোর সেই অংশটি অধ্যয়ন করে, যে অংশটি পার্থিব কল্যাণসাধন এবং তার ব্যবহারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তাই একদিকে অর্থনীতি হল সম্পদের অধ্যয়ন, অন্যদিকে বেশ গুরুত্বপূর্ণভাবে এটি মানব অধ্যয়নের একটি অংশ। অ্যাডাম স্মিথের সংজ্ঞার চেয়ে মার্শালের সংজ্ঞা অনেক ক্ষেত্রে উন্নত। তথাপি ও তার সংজ্ঞাটি সমালোচনার হাত থেকে নিস্তার পায় নি। কেননা, মার্শাল শুধু পার্থিব কল্যাণের কথাই উল্লেখ করেছেন। অপার্থিব কল্যাণসাধন যেমন – শিক্ষক, চিকিৎসকের সেবা ইত্যাদির কথা উল্লেখ করেননি। এছাড়াও বস্তু সামগ্রী সব ধরনের কল্যাণসাধন নাও করতে পারে। যেমন মদ, ভাং, সিগারেট সেবনে মানব জাতির অকল্যাণ হয়। অথচ এসব সামগ্রীর উৎপাদন, উপভোগ, বিতরণ সম্পর্কে অর্থবিজ্ঞানে আলোচনা করা হয়।

প্রশ্ন ৮। একবচন ও বহুবচন উভয় অর্থে পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখো।

উত্তরঃ একবচন অর্থে Statistics শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ পরিসংখ্যা প্রণালী, অর্থাৎ তথ্যের সংগ্রহ, তথ্যের শ্রেণিবিভাজন, তথ্যের উপস্থাপন, তথ্যের বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা করিবার জন্য প্রয়োজনীয় পদ্ধতি এবং কৌশলকে বোঝায়।

বহুবচন অর্থে, পরিসংখ্যানের বৈশিষ্ট্য হল-

(১) পরিসংখ্যান হল তথ্যের সমষ্টি।

(২) পরিসংখ্যান সংখ্যার দ্বারা প্রকাশ করা যায়।

(৩) পরিসংখ্যান তথ্য পূর্ব নির্ধারিত উদ্দেশ্যে প্রণালীবদ্ধভাবে সংগ্রহ করা হয়।

(৪) পরিসংখ্যান তথ্যগুলো পরস্পরের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত হতে হবে।

(৫) পরিসংখ্যান তথ্য নির্ভুল হতে হবে।

(৬) পরিসংখ্যান বিভিন্ন কারণের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়।

প্রশ্ন ৯। “পরিসংখ্যান সাধারণ জ্ঞানের বিকল্প নহে।” দৈনন্দিন জীবনের উদাহরণ দিয়ে বিবৃতিটি ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ Statistical methods are no substitute for common sense অর্থাৎ পরিসংখ্যান পদ্ধতি সাধারণ জ্ঞানের বিকল্প নহে। সুতরাং পরিসংখ্যান তথ্য অন্ধভাবে প্রয়োগ করা উচিত নহে। উদাহরণস্বরূপ, একটি নদী পার হওয়ার পূর্বে একটি পরিবারের গড় উচ্চতা এবং নদীর জলের গড় গভীরতার হিসাব নির্ণয় করার প্রয়োজন নেই। কারণ যদি পরিবারের সদস্যের গড় উচ্চতা নদীর জলের গড় গভীরতা থেকে অধিক হয়, তার ওপর ভিত্তি করে নদী পার হতে যান, তাহলে বিপদ হবে। আমাকে নদীর জলের নিম্নতম এবং সর্বাধিক গভীরতা সম্পর্কে অবহিত হতে হবে। পরিসাংখ্যিক পদ্ধতি সাধারণ বোধশক্তির বিকল্প হতে পারে না।

প্রশ্ন ১০। ব্যষ্টিগত ও সমষ্টিগত অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করো।

উত্তরঃ (১) ব্যক্তিগত অর্থনীতির অধ্যয়ন হল ব্যক্তিগত কিন্তু সমষ্টিবাদী অর্থনীতির অধ্যয়ন হল সামগ্রিক।

(২) ব্যক্তিগত অর্থনীতির ভিত্তি হল দরকৌশল, যা চাহিদা এবং যোগানের পারস্পরিক ক্রিয়ার দ্বারা নির্ধারিত হয়। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থনীতির ভিত্তি হল সামগ্রিক চাহিদা এবং সামগ্রিক যোগানের দ্বারা নির্ধারিত জাতীয় আয়, জাতীয় উৎপাদন, পূর্ণ নিয়োগ এবং সাধারণ মূল্যস্তর।

(৩) ব্যষ্টিগত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সমগ্র অর্থনীতির ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের ওপর আলোকপাত করে। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সমগ্র অর্থনীতির গতি প্রকৃতি বিশ্লেষণ করে।

(৪) ব্যক্তিগত অর্থনীতিকে দাম তত্ত্ব বলা হয়। কিন্তু সমষ্টিগত অর্থনীতিকে আয় তত্ত্ব বলা হয়।

We Hope the given Economics Class 11 Bengali Medium Question Answer will help you. If you Have any Regarding AHSEC Board HS 1st Year Economics Question Answer in Bengali PDF download, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top