AHSEC Class 11 Economics Chapter 8 তথ্য সংগ্ৰহ

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share AHSEC Class 11 Economics Chapter 8 তথ্য সংগ্ৰহ Question Answer in Bengali. The Complete Syllabus of AHSEC Class 11 Economics Chapter 8 তথ্য সংগ্ৰহ Notes in Bengali PDF Share with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 8 তথ্য সংগ্ৰহ Solutions in Bengali Which you Can Download PDF Notes HS 1st Year Economics Solutions in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.

AHSEC Class 11 Economics Chapter 8 তথ্য সংগ্ৰহ

Today’s We have Shared in This Post AHSEC Class 11 Economics Chapter 8 তথ্য সংগ্ৰহ Suggestions with you. AHSEC Class 11 Economics Chapter 8 তথ্য সংগ্ৰহ Questions Answers in Bengali I Hope, you Liked The information About The Class 11 Economics Textbook Solutions in Bengali. If you liked Class 11 Economics Textbook PDF Notes in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

তথ্য সংগ্ৰহ

খ – অংশ (অর্থনীতিতে পরিসংখ্যান)

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। তথ্য কী?

উত্তরঃ পরস্পর সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণের সংগ্রহই হল তথ্য।

প্রশ্ন ২। প্রাথমিক তথ্য কী?

উত্তরঃ কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে সরাসরি অনুসন্ধান ক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত রাশিতথ্যকে প্রাথমিক রাশিতথ্য বলে।

প্রশ্ন ৩। গৌণ তথ্যরাশি কাকে বলে?

উত্তরঃ কোনো সংস্থা থেকে সংগৃহীত রাশিতথ্য অপর কোনো সংস্থা ব্যবহার করলে অপর সংস্থার কাছে এটি গৌণ রাশিতথ্য।

প্রশ্ন ৪। পারিসাংখ্যিক অনুসন্ধান বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ পারিসাংখ্যিক পদ্ধতির সাহায্যে একটি সমস্যা অধ্যয়নের কৌশলকে পারিসাংখ্যিক অনুসন্ধান বলে। সহজ কথায়, কোনো বিষয়ের উপর কোনো সংস্থা কর্তৃক প্রণালীবদ্ধভাবে তথ্য সংগ্রহ, সংকলন, বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যাকরণকে পারিসাংখ্যিক অনুসন্ধান বলে।

প্রশ্ন ৫। গৌণতথ্যের একটি উৎসের নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ জনগণনার রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত মোট সাক্ষর জনসংখ্যা।

প্রশ্ন ৬। প্রাথমিক তথ্যের একটি উৎসের নাম উল্লেখ করো।

উত্তরঃ NSSO দ্বারা সংগৃহীত তথ্য NSSO এর কাছে প্রাথমিক তথ্য।

প্রশ্ন ৭। প্রাথমিক রাশিতথ্য কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়?

উত্তরঃ অনুসন্ধানকারী মারফত প্রাথমিক রাশিতথ্য সংগ্রহ করা হয়।

প্রশ্ন ৮। ভারতে কত সালে প্রথম লোকগণনা হয়?

উত্তরঃ 1872 সালে।

প্রশ্ন ৯। ভারতে সর্বশেষ লোকগণনা কত সালে হয়েছিল?

উত্তরঃ 2011 সালে।

প্রশ্ন ১০। ভারতে কত বছর অন্তর জনগণনা হয়?

উত্তরঃ দশ বছর।

প্রশ্ন ১১। NSSO-এর পূর্ণ রূপ লেখো।

উত্তরঃ National Sample Survey Organisation.

প্রশ্ন ১২। ভারতের কোন্ সংস্থাটি রাষ্ট্রীয় স্তরে সামাজিক ও আর্থিক বিষয়ে সমীক্ষা করে?

উত্তরঃ National Sample Survey Organisation (NSSO).

প্রশ্ন ১৩। ‘স্কোর’ কাকে বলে?

উত্তর। কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর বৈশিষ্ট্যকে সংখ্যার দ্বারা প্রকাশ করলে তাকে স্কোর (Score) বলা হয়।

প্রশ্ন ১৪। চলক কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সব রাশির মান সর্বদা পরিবর্তনশীল, সেইসব রাশিকে চলক বলা হয়।

প্রশ্ন ১৫। বিন্যস্ত স্কোর কী?

উত্তরঃ যে সমস্ত স্কোর একটি নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে সজ্জিত থাকে, তাদের বিন্যস্ত স্কোর বলে।

প্রশ্ন ১৬। অবিন্যস্ত স্কোর কী?

উত্তরঃ স্কোরগুলি যদি নির্দিষ্ট ক্রমানুসারে সজ্জিত থাকে তখন সেই স্কোরগুলিকে অবিন্যস্ত স্কোর বলে।

প্রশ্ন ১৭। যে পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয় তাকে কী বলা হয়?

উত্তরঃ নমুনায়ন।

প্রশ্ন ১৮। কত খ্রিষ্টাব্দে Indian Statistical Institute (ISI) প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তরঃ 1931 সালে।

প্রশ্ন ১৯। রাশিবিজ্ঞান শব্দটি কী কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?

উত্তরঃ রাশিবিজ্ঞান শব্দটি একক এবং বহুবাচনিক অর্থে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন ২০। সমগ্রক কী?

উত্তরঃ রাশিবিজ্ঞানে তথ্য আহরণের সমগ্র ক্ষেত্রকে সমগ্রক বলে।

প্রশ্ন ২১। নমুনা কী?

উত্তরঃ সমগ্রকের কিছু নির্বাচিত অংশকে নমুনা বলে।

প্রশ্ন ২২। প্রশ্নমালা কী?

উত্তরঃ কোনো বিশেষ রাশিতথ্য সংগ্রহ ও অনুসন্ধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একগুচ্ছ মুদ্রিত প্রশ্নের সমাবেশকে রাশিবিজ্ঞানে প্রশ্নমালা বলে।

প্রশ্ন ২৩। রাশিবিজ্ঞানে ভ্রান্তি কী কী?

উত্তরঃ রাশিবিজ্ঞানে ভ্রান্তি দুটি-

(ক) নমুনাজ ভ্রান্তি।

(খ) অনমুনাজ ভ্রান্তি।

প্রশ্ন ২৪। রাশিবিজ্ঞানের গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা লেখো।

উত্তরঃ According to croxton and cowden, ‘Statistics may be defined as the science of collection, presentation, analysis and interpretation of numerical data’ অর্থাৎ “রাশিবিজ্ঞান হল সংখ্যাভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ করা, উপস্থাপন করা, বিশ্লেষণ করা ও ব্যাখ্যা করার বিজ্ঞান।”

প্রশ্ন ২৫। পরিসংখ্যান বিজ্ঞানের পিতৃস্বরূপ কাকে জানা যায়?

উত্তরঃ স্যার রোনাল্ড ফিসার।

S.L No.CONTENTS
ক – অংশ (ব্যষ্টিগত অৰ্থবিজ্ঞান)
Chapter 1অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter 2ভোক্তার আচরণ এবং চাহিদা
Chapter 3উৎপাদকের আচরণ ও যোগান
Chapter 4পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সূত্র
Chapter 5বাজার ভারসাম্য
Chapter 6অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার
খ – অংশ (অর্থনীতিতে পরিসংখ্যান)
Chapter 1অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা
Chapter 2তথ্য সংগ্ৰহ
Chapter 3তথ্যরাশির সংবদ্ধকরণ
Chapter 4রাশিতথ্যের উপস্থাপন
Chapter 5কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ
Chapter 6বিচ্যুতির পরিমাপ
Chapter 7সহসম্বন্ধ
Chapter 8সূচক সংখ্যা
Chapter 9পরিসংখ্যান হাতিয়ারের ব্যবহার

সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো

প্রশ্ন ১। কোনো খবরের কাগজ থেকে প্রাপ্ত তথ্য কী ধরনের তথ্য?

(ক) প্রাথমিক তথ্য।

(খ) গৌণ তথ্য।

(গ) গুণগত তথ্য।

(ঘ) পরিমাণ তথ্য।

উত্তরঃ (খ) গৌণ তথ্য।

প্রশ্ন ২। সরাসরি উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের বৈশিষ্ট্য কোনটি?

(ক) নির্ভরযোগ্য বেশি।

(খ) নির্ভরযোগ্যতা কম।

(গ) তথ্য কম সঠিক।

(ঘ) সময় কম লাগে।

উত্তরঃ (ক) নির্ভরযোগ্যতা বেশি।

প্রশ্ন ৩। গৌণ তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা-

(ক) বেশি।

(খ) অনেক বেশি।

(গ) অনেক কম।

(ঘ) একটু বেশি।

উত্তরঃ (গ) অনেক কম।

প্রশ্ন ৪। (i) প্রাথমিক তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেশি।

(ii) গৌণ তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা কম।

(iii) গৌণ তথ্য সংগ্রহ করতে প্রাথমিক তথ্যের থেকে বেশি সময় লাগে।

(ক) (i)

(খ) (ii) 

(গ) (i) ও (ii)

(ঘ) (ii) ও (iii)

উত্তরঃ (গ) (i) ও (ii)

প্রশ্ন ৫। তথ্য রাশিকে তাদের মানের ক্রমানুসারে সজ্জিত করলে সেগুলি কী ধরণের তথ্যে পরিণত হয়?

(ক) বিন্যস্ত তথ্য।

(খ) অবিন্যস্ত তথ্য।

(গ) প্রাথমিক তথ্য।

(ঘ) গৌণ তথ্য।

উত্তরঃ (ক) বিন্যস্ত তথ্য।

প্রশ্ন ৬। প্রাথমিক রাশিতথ্য সংগ্রহ করা হয়-

(ক) অনুসন্ধানকারী মারফত।

(খ) সরকারের সংস্থার মারফত।

(গ) প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে।

(ঘ) গবেষণাপত্র থেকে।

উত্তরঃ গৌণ।

প্রশ্ন ৭। ইতিমধ্যে প্রকাশিত রাশিতথ্যের উৎস থেকে সংগৃহীত রাশি তথ্যকে ______ রাশিতথ্য বলে।

(ক) প্রাথমিক।

(খ) গৌণ।

(গ) কাঁচা।

(ঘ) সরল।

উত্তরঃ (ক) প্রাথমিক।

প্রশ্ন ৮। কোনো নমুনা সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত রাশিতথ্যকে______ রাশি তথ্য বলে।

(ক) প্রাথমিক।

(খ) গৌণ।

(গ) কাঁচা।

(ঘ) সরল।

উত্তরঃ (ক) অনুসন্ধানকারী মারফত।

প্রশ্ন ৯। সাক্ষাৎকার পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয় রাশিতথ্য সংগ্রহের জন্য অনুসন্ধানকারী একটি _____ প্রস্তুত করে।

(ক) সারণি।

(খ) তালিকা।

(গ) পাইচিত্র।

(ঘ) লেখচিত্র।

উত্তরঃ (খ) তালিকা।

প্রশ্ন ১০। গবেষণার জন্য ভারত সরকার প্রকাশিত Economic Survey থেকে নেওয়া রাশিতথ্যকে কোন ধরনের রাশিতথ্য বলা হবে?

(ক) প্রাথমিক।

(খ) গৌণ।

(গ) বিস্তৃত।

(ঘ) সংক্ষিপ্ত।

উত্তরঃ (খ) গৌণ।

প্রশ্ন ১১। অনুসন্ধানকারী রাশিতথ্য সংগ্রহের জন্য যে প্রশ্নমালা তৈরি করে উত্তরদাতাদের কাছে হাজির হয় তাকে কী বলে?

(ক) তালিকা।

(খ) পুস্তিকা।

(গ) প্রশ্নপত্র।

(ঘ) পাইচিত্র।

উত্তরঃ (ক) তালিকা।

প্রশ্ন ১২। সংগৃহীত রাশিতথ্যের উৎসের প্রকৃতি অনুযায়ী রাশিতথ্যকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?

(ক) দুই।

(খ) তিন।

(গ) চার।

(ঘ) পাঁচ।

উত্তরঃ (ক) দুই।

প্রশ্ন ১৩। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যা সংগঠন (CSO) কি তথ্য প্রকাশ করে?

(ক) জনসংখ্যার।

(খ) রাষ্ট্রীয় আয়।

(গ) দরিদ্রতা।

(ঘ) কৃষি।

উত্তরঃ (খ) রাষ্ট্রীয় আয়।

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বিচ্ছিন্ন চলক (discrete variable) কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে চলরাশি কেবলমাত্র অখণ্ড সংখ্যাসমূহকেই মান হিসাবে গ্রহণ করতে সমর্থ তাকে বিচ্ছিন্ন চলক বলে। একটি বাড়িতে ঘরের সংখ্যা, একটি পরিবারের সদস্য সংখ্যা, একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা ইত্যাদি হল বিচ্ছিন্ন চলকের উদাহরণ।

প্রশ্ন ২। অবিচ্ছিন্ন চলক কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে চলরাশি দুটি নির্দিষ্ট সংখ্যার সীমার মধ্যে যে কোনো মান গ্রহণ করতে পারে তাকে অবিচ্ছিন্ন চলক বলে। যেমন – উচ্চতা, ওজন, বয়স, তাপমাত্রা প্রভৃতি হল অবিচ্ছিন্ন চলক।

প্রশ্ন ৩। প্রাথমিক তথ্য বা মূখ্য তথ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ যে সব তথ্যসমূহ মৌলিক অনুসন্ধান বা সরাসরি পর্যবেক্ষণের দ্বারা মূল উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয় তাদের প্রাথমিক তথ্য বলা হয়।

প্রশ্ন ৪। গৌণ তথ্য কাকে বলে?

উত্তরঃ পূর্বে কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃক কোনো একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে সংগৃহীত প্রাথমিক রাশিতথ্য থেকে যদি বর্তমানে অনুসন্ধানের উপযোগী তথ্য সংগ্রহ করা যায়, তবে তাকে গৌণ তথ্য বলে।

প্রশ্ন ৫। প্রাথমিক রাশিতথ্য সংগ্রহের দুটি পদ্ধতি কী কী?

উত্তরঃ (১) প্রত্যক্ষ ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ।

(২) ডাকযোগে প্রশ্নমালা পাঠিয়ে তথ্যসংগ্রহ পদ্ধতি।

প্রশ্ন ৬। গৌণ তথ্য সংগ্রহের দুটি পদ্ধতি লেখো।

উত্তরঃ (১) প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহকারী সরকার বা কোনো সংস্থা থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন।

(২) অপ্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে অনুসন্ধানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অপ্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন।

প্রশ্ন ৭। পরিসংখ্যান গত দিক থেকে তথ্য বিশ্লেষণকে কয়ভাগে ভাগ করতে পারি?

উত্তরঃ পরিসংখ্যানগত দিক থেকে তথ্য বিশ্লেষণকে আমরা প্রধানত দুইভাগে ভাগ করতে পারি –

(১) বর্ণনামূলক বিশ্লেষণ (Descriptive Analysis)।

(২) সিদ্ধান্তমূলক বিশ্লেষণ (Inferential Analysis)।

প্রশ্ন ৮। অর্থবিজ্ঞানে পরিসংখ্যা-বিজ্ঞান অধ্যয়নের দুটি গুরুত্ব লেখো।

উত্তরঃ (১) অর্থবিজ্ঞানে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব খুব বেশি।

(২) পরিসংখ্যান অর্থবিজ্ঞানের জটিল তত্ত্বকে অতি সহজে ব্যাখ্যা করে থাকে।

প্রশ্ন ৯। তালিকার সাহায্যে রাশিতথ্য সংগ্রহ কাকে বলে?

উত্তরঃ অনুসন্ধানকারী বা তার মনোনীত সহায়ক ব্যক্তি প্রশ্নমালা নিয়ে উত্তরদাতাদের কাছে হাজির হন। উত্তরদাতাদের প্রশ্নগুলি করেন এবং উত্তরগুলি লিখে আনেন। এইভাবে রাশিতথ্য সংগ্রহকে বলে তালিকার সাহায্যে রাশিতথ্য সংগ্রহ।

প্রশ্ন ১০। তালিকার সাহায্যে রাশিতথ্য সংগ্রহের দুটি সুবিধা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ তালিকার সাহায্যে রাশিতথ্য সংগ্রহ পদ্ধতির দুটি সুবিধা নিম্নরূপ:

(১) উত্তরদাতা নিরক্ষর হলেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যায় কারণ অনুসন্ধানকারী উত্তরদাতার উত্তর শুনে নিজেই এটি লিপিবদ্ধ করেন।

(২) এই পদ্ধতিতে উৎকৃষ্ট রাশিতথ্য দ্রুত পাওয়া সম্ভব।

প্রশ্ন ১১। ডাকযোগে প্রশ্নমালা পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতির দুটি অসুবিধা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ ডাকযোগে প্রশ্নমালা পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহের দুটি অসুবিধা নিম্নরূপ:

(১) যদি উত্তরদাতা নিরক্ষর হয় তাহলে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় না।

(২) অনেক উত্তরদাতা প্রশ্নপত্রটি পূরণ করে ফেরত দেন না বা আংশিক পূরণ করে ফেরত পাঠান।

প্রশ্ন ১২। প্রাথমিক রাশিতথ্য ও গৌণ রাশিতথ্যের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

উত্তরঃ (১) প্রাথমিক রাশিতথ্য কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যে সরাসরি অনুসন্ধান ক্ষেত্র থেকে সংগৃহীত হয় এবং প্রকৃতিগতভাবে এই রাশিতথ্য পুরোপুরিভাবে মৌলিক। অন্যদিকে গৌণ রাশিতথ্য কোনো অনুসন্ধানকারী নিজে সরাসরি অনুসন্ধান ক্ষেত্র থেকে সংগ্রহ করেন না বরং তা অন্য ব্যক্তি বা সংস্থার রেকর্ড থেকে সংগৃহীত হয়।

(২) প্রাথমিক রাশিতথ্য হল অপরিণত তথ্য (raw data) যা ব্যাখ্যা করার জন্য রাশিবিজ্ঞানে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গৌণ রাশিতথ্য হল অনেকটা পরিপূর্ণ দ্রব্যের মতো কেননা গৌণ রাশিতথ্য রাশিবিজ্ঞানের বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও সংক্ষিপ্ত ও সুন্দরভাবে সাজিয়ে প্রকাশ করা হয়।

প্রশ্ন ১৩। তথ্য সংগ্রহের দুটি পদ্ধতির নাম লেখো।

উত্তরঃ (১) জনগণনা পদ্ধতি/ সমগ্রক (Census method)।

(২) নমুনা পদ্ধতি/ প্রতিচয়ন/ প্রতিদর্শ সমীক্ষা (Sampling method)।

প্রশ্ন ১৪। সমগ্রকের অর্থ স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সমগ্রক বলতে দেশের সকল মানুষকে বুঝায় না। জনসংখ্যা সমগ্রক বলতে বুঝায় একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সকল ব্যক্তি/ বস্তুকে। যেমন – আমরা যদি প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের বিষয়ে কোনো তথ্য জানতে চাই, তাহলে ভারতের সব 18 বছরের ঊর্ধের প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে জনসংখ্যা সমগ্রক বলা হবে।

প্রশ্ন ১৫। নমুনা বা প্রতিচয়ন পদ্ধতি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ নমুনা হলো জনসংখ্যা সমগ্রকের একটি অংশ যা জনসংখ্যার প্রতিনিধিত্ব করে। জনসংখ্যা সমগ্রকের আকার অনেক সময় এতো বড়ো থাকে যে সমগ্রকের উপর জরিপ চালানো বা তথ্য সংগ্রহ প্রায় অসম্ভব। সেজন্য জনসংখ্যার একটি অংশকে নমুনা হিসাবে নির্বাচন করা হয় এবং তার উপর জরিপ চালানো হয়।

প্রশ্ন ১৬। তথ্য সংগ্রহের দুটি কৌশলের নাম লেখো।

উত্তরঃ (ক) পর্যবেক্ষণ (observation)।

(খ) সাক্ষাৎকার (interview)।

প্রশ্ন ১৭। সাক্ষাৎকার কৌশলের দুটি সুবিধা লেখো।

উত্তরঃ (১) সাক্ষাৎকারক ও সাক্ষাৎকারীর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে কথাবার্তা ও প্রশ্নোত্তর খুব উন্মুক্ত পরিবেশে হয় এবং সাক্ষাৎকারক সাক্ষাৎকারী সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

(২) তথ্য সংগ্রহের অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায়, সাক্ষাৎকার পদ্ধতি সহজ ও নমনীয়। ব্যক্তি লিখিতভাবে জানানো থেকে বক্তব্যের মাধ্যমে জানাতে অধিক আগ্রহ প্রকাশ করে।

প্রশ্ন ১৮। তথ্য সংগ্রহের কৌশল হিসেবে সাক্ষাৎকার কৌশলের দুটি অসুবিধা লেখো।

উত্তরঃ (১) এই পদ্ধতির প্রধান অসুবিধা হল, সাক্ষাৎকারকের ব্যক্তিগত প্রভাব। সাক্ষাৎকারক তাঁর চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্বাসের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেন যা সাক্ষাৎকারীর প্রতিক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলে।

(২) লজ্জা, ভয়, সংকোচ, আত্মবিশ্বাসের অভাবে সাক্ষাৎকারী অনেক সময় সাক্ষাৎকারকের সামনে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে পারে না।

প্রশ্ন ১৯। প্রশ্নমালা (questionnaire) কাকে বলে?

উত্তরঃ সংগঠিত ও পর্যায়ক্রমিকভাবে তৈরি কিছু প্রশ্নের একটি সেট যেটি কোনো বিশেষ সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জনগণের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা হয় তাকে প্রশ্নমালা বলে।

প্রশ্ন ২০। তথ্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে প্রশ্নমালার দুটি সুবিধা লেখো।

উত্তরঃ (১) এই পদ্ধতি তুলনামূলকভাবে সস্তা, সময় এবং অর্থের অপচয় কম হয়। চটজলদি তথ্য আহরণ করা যায়।

(২) এই পদ্ধতি আত্মগোপণের সুযোগকে সুনিশ্চিত করে।

প্রশ্ন ২১। প্রশ্নমালা পদ্ধতির দুটি অসুবিধা লেখো।

উত্তরঃ (১) নিরক্ষর ব্যক্তিদের নিকট এই পদ্ধতি উপযোগী নয়।

(২) যদি উত্তরদাতারা সহযোগিতা না করে তাহলে এক্ষেত্রে সময় ও অর্থের অপচয় ঘটবে।

প্রশ্ন ২২। তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির দুটি সুবিধা লেখো।

উত্তরঃ (১) পর্যবেক্ষণ পদ্ধতিতে ব্যক্তিকে কার্যকালীন অবস্থায় নিরীক্ষণ করা হয়, যার ফলে ফাঁক থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

(২) ব্যক্তির আচরণ বিশ্লেষণ এবং তথ্য সংগ্রহে পর্যবেক্ষণ নির্ভরযোগ্য ও যথার্থ কৌশল। শিক্ষকের পাঠদান দক্ষতা অনুধাবনে পর্যবেক্ষণই সর্বোৎকৃষ্ট উপায়।

প্রশ্ন ২৩। পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির অসুবিধা লেখো।

উত্তরঃ (১) পর্যবেক্ষণে ধৈর্য ও সময়ের দরকার, যা অনেক সময় অসুবিধার কারণ হয়ে ওঠে।

(২) একাধিক ব্যক্তি দ্বারা পর্যবেক্ষণ বাঞ্ছনীয়। এর আবার একটি অসুবিধা হল বিভিন্ন ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে পার্থক্য থাকায় সংগৃহিত তথ্যের সামান্যীকরণে বিশেষ অসুবিধা দেখা যায়।

প্রশ্ন ২৪। Pilot Survey বা নির্দেশক সমীক্ষা কাকে বলে?

উত্তরঃ অতি বিস্তারিত অনুসন্ধানের পূর্বে হাতে লওয়া ক্ষুদ্র পরিসরের সমীক্ষাকে নির্দেশক সমীক্ষা বা Pilot Survey বলে। সমীক্ষা বিষয়ে প্রাথমিক অনুমান দিতে Pilot Survey সাহায্য করে। Pilot Survey প্রশ্নের স্থায়িত্ব, নির্দেশের স্পষ্টতা, সমীক্ষকের কর্মদক্ষতা এবং সঠিক পর্যবেক্ষণের খরচ এবং সময়ের অনুমান করতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ২৫। যাদৃচ্ছিক প্রতিদর্শ বা Random Sampling কাকে বলে?

উত্তরঃ যাদৃচ্ছিক প্রতিচয়ন হল প্রত্যেক উত্তরদাতার অন্তর্ভুক্তির সমান সুযোগ থাকা একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক উত্তরদাতা নির্বাচিত করা হয়।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। প্রাথমিক রাশিতথ্য সংগ্রহের বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি আলোচনা করো।

উত্তরঃ প্রাথমিক রাশিতথ্য সংগ্রহের জন্য একজন অনুসন্ধানকারী নিম্নের যে কোনো একটি পদ্ধতির সাহায্যে নিতে পারেন।

(১) প্রত্যক্ষ ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে অনুসন্ধানকারী নিজে তদন্তের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে যান এবং সেই সমস্ত ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যারা প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে পারেন। যেমন একজন সমাজবিজ্ঞানী কোনো একটি উপজাতি সমাজের আর্থসামাজিক অবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য একটি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় যান এবং সেখানে কয়েকদিন থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্র করেন। তবে এই পদ্ধতি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।

(২) পরোক্ষ মৌখিক সাক্ষাৎকার: এই পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের জন্য কিছু তৃতীয় ব্যক্তি নির্বাচন করা হয় যারা তদন্তের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝেন বা জানেন। এরূপ তথ্যের নির্ভুলতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্ভর করে নির্বাচিত ব্যক্তির উপর। সুতরাং ওইসব ব্যক্তি নির্বাচন বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত।

(৩) ডাকযোগে প্রশ্নমালা প্রেরণ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য মনে রেখে একটি উপযুক্ত প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়। এই প্রশ্নগুলি ডাকযোগে নির্বাচিত ব্যক্তিদের কাছে ফেরত ডাকে তাদের উত্তরগুলি লিখে পাঠানোর অনুরোধসহ প্রেরণ করা হয়। প্রশ্নমালার মধ্যে কিছু প্রশ্ন থাকে এবং প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য জায়গা দেওয়া থাকে। এই পদ্ধতিতে খুব কম সময়ে ও কম খরচে একটি বিস্তীর্ণ এলাকার তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব।

(8) অনুসন্ধানকারী মারফত তালিকা পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্য মনে রেখে একটি উপযুক্ত প্রশ্নমালা তৈরি করা হয় এবং অনুসন্ধানকারীকে অনুসন্ধান বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশ্নমালা সম্পর্কে অবগত করা হয়। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনুসন্ধানকারী ওই প্রশ্নমালা নিয়ে সরাসরি অনুসন্ধান ক্ষেত্রে যান ও উত্তরদাতাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেন।

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলির মধ্যে অনুসন্ধানকারী মারফত তালিকা পাঠিয়ে তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট।

প্রশ্ন ২। অ্যানেকডোটাল রেকর্ড সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তরঃ তথ্য সংরক্ষণের একটি কৌশল হত অ্যানেকডোটাল রেকর্ড। যে নথিতে বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে ব্যক্তির আচরণ সংক্রান্ত তথ্যগুলি সংরক্ষিত থাকে তাই হল অ্যানেকডোটাল রেকর্ড। এই ধরনের নথিতে শিক্ষার্থীদের বিশেষ কিছু আচরণ বা নির্দিষ্ট কিছু ঘটনার বিবরণ লিপিবদ্ধ থাকে। প্রতিটি ঘটনা ঘটার পর বা আচরণ সম্পাদনের পর সেগুলিকে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা ও লিপিবদ্ধ করা হয়। Anecdotal Record থেকে ব্যক্তির আচরণের ধারা সম্পর্কে একটা অনুমান পাওয়া যায় যা নির্দেশনার কাজে পরামর্শদাতার খুবই উপকারী এবং ধারাবাহিক মূল্যায়নের কাজ সহজতর হয়।

প্রশ্ন ৩। একটি আদর্শ প্রশ্নাবলীর গুণগুলো কী কী?

অথবা, 

উত্তম প্রশ্নমালার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।

উত্তরঃ একটি উত্তম প্রশ্নমালাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে হয়। 

এগুলি হল –

(১) প্রশ্নপত্র সর্বদাই উদ্দেশ্যমূলক হওয়া উচিত।

(২) প্রশ্নপত্রের ভাষা সহজ, সরল ও বোধগম্য হওয়া উচিত।

(৩) প্রশ্নপত্রে প্রশ্নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা উচিত।

(8) ব্যক্তিগত ও গোপনীয় প্রশ্ন পরিহার করা উচিত।

(৫) যে-কোনো প্রকার সংবেদনশীল প্রশ্ন পরিহার করা উচিত।

(৬) একটি মাত্র বিষয়কে নিয়ে প্রশ্নপত্র করা উচিত।

(৭) প্রতিটি প্রশ্নের পূর্ব যাচাইকরণ করা উচিত।

প্রশ্ন ৪। পূর্ণ তদন্তের তুলনায় নমুনা পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের সুবিধাগুলি কী কী?

অথবা, 

জনগণনা পদ্ধতির তুলনায় নমুনা পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহের সুবিধাগুলি কী কী?

উত্তরঃ (ক) জনগণনা পদ্ধতির তুলনায় নমুনা পদ্ধতিতে সময়, শ্রম এবং অর্থ এই তিনটি ক্ষেত্রেই সাশ্রয় হয়; কারণ সমগ্রকের একটি অংশেই তদন্ত করা হয়।

(খ) নমুনা পদ্ধতিতে সঠিকরূপে অনুসন্ধানের সুযোগও বেশি থাকে। অল্পসংখ্যক দক্ষ ও অভিজ্ঞ সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহের দায়িত্বে থাকেন। তাঁরা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়ায় সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

(গ) জনগণনা পদ্ধতিতে অপ্রতিচয়নের ভ্রান্তি এত বেশি থাকে যা তদন্তের ফলকে প্রভাবিত করে। নমুনা পদ্ধতির ক্ষেত্রে প্রতিচয়নের ভ্রান্তি কিছুটা থাকে কিন্তু অপ্রতিচয়নের ভ্রান্তি প্রায় থাকেই না, ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক ফল পাওয়া যায়।

(ঘ) নমুনা পদ্ধতির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা এই যে প্রতিচয়নের ত্রুটির পরিমাণ জানা যায় এবং সম্ভাবনা তত্ত্বের দ্বারা সেটা কমানোর চেষ্টাও করা যায়। অপরপক্ষে অপ্রতিচয়নের ত্রুটি সম্ভাবনা তত্ত্ব মেনে চলে না, ফলে ভ্রান্তির পরিমাপ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

(ঙ) কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমনও দেখা গেছে যে জনগণনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে যেমন – কোনো ব্যবসায়ী যদি বিক্রির জন্য প্রচুর শস্য কেনেন, তার গুণমান বিচারের জন্য প্রতিটি শস্য পরীক্ষা করে দেখা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে নমুনা পদ্ধতির উপরেই নির্ভর করতে হয়।

উপরের আলোচিত এই সুবিধাগুলির জন্য বর্তমানে জনগণনা পদ্ধতির তুলনায় নমুনা পদ্ধতি অধিক জনপ্রিয়।

প্রশ্ন ৫। নমুনার প্রকার ভেদ করো।

উত্তরঃ নমুনা বিভিন্ন প্রকারের। 

এগুলি হল –

(১) যাদৃচ্ছিক নমুনা বা প্রতিচয়ন (Simple random sampling)।

(২) প্রণালীবদ্ধ বা নিয়মতান্ত্রিক নমুনা (Systematic random sampling)।

(৩) স্তরবিন্যাসকৃত নমুনা (Stratified sampling)।

(৪) স্তূপীকৃত বা গুচ্ছ নমুনা (Cluster sampling)।

(৫) উদ্দেশ্যমূলক নমুনা (Purposive sampling)।

(৬) আকস্মিক নমুনা (Accidental sampling)।

(৭) কোটা নমুনা বা আনুপাতিক অংশ নমুনা (Quota sampling)।

প্রশ্ন ৬। যাদৃচ্ছিক নমুনার ধারণা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ Simple random sampling অর্থাৎ যাদৃচ্ছিক নমুনা পদ্ধতিতে জনসংখ্যাকে কোনো স্তরবিন্যাস না করেই সমগ্র জনসংখ্যাকে থেকে দৈবক্রমে নির্দিষ্ট সংখ্যক নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই পদ্ধতিতে সমগ্রকের প্রতিটি এককের নমুনায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা সমান। ফলে পক্ষপাতমুক্ত ফলাফল পাওয়া যায়। যেমন – জনসংখ্যা সমগ্রকের মোট সংখ্যা যদি 500 হয়, তাহলে উক্ত সমগ্রকের প্রতিটি এককের নমুনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সমান অর্থাৎ 500/1। কিন্তু উক্ত জনসংখ্যা থেকে যদি 50 জনকে নির্বাচন করতে হয়, তাহলে প্রতিটি এককের নমুনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা হবে 50/500 x 100 = 10%

প্রশ্ন ৭। স্তরবিন্যাসকৃত নমুনার ধারণা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সমগ্রকের বিভিন্ন এককের মধ্যে অসমতা বা বৈষম্য বা পার্থক্য থাকলে, সমগ্র জনসংখ্যাকে কতকগুলো স্তরে ভাগ করতে হয়। এ স্তরবিন্যাসের ভিত্তি হতে পারে ভৌগোলিক অবস্থান, লিঙ্গ, ধর্ম অর্থনৈতিক অবস্থা ইত্যাদি। স্তরবিন্যাসকৃত নমুনায়নে করতে চাইলে নমুনায়নের পূর্বেই স্থির করতে হবে কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে সমগ্রক বা জনসমষ্টিকে স্তরাবন্যাস করতে হবে। প্রত্যেক স্তরের জনসংখ্যা থেকে আনুপাতিক হারে নমুনা নির্বাচন করতে হয়। যেমন একটি গ্রামে যদি ভূমির মালিক ও ভূমিহীনের অনুপাত 60 : 40 হয় এবং এসব লোকদের মধ্যে থেকে 100 জন নমুনা নির্বাচন করতে হয়, তাহলে নমুনায় ভূমির মালিকের সংখ্যা হবে 60 জন এবং ভূমিহীনের সংখ্যা হবে 40 জন।

স্তরবিন্যাস নমুনা পদ্ধতির কিছু ত্রুটি আছে। যেমন-

(১) এ পদ্ধতিটি জটিল।

(২) সমগ্রকের গঠন পদ্ধতি বা স্তরবিন্যাস অনেক সময় স্পষ্ট নয় এবং বিভিন্ন স্তরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা কঠিন।

(৩) পরিমাপে ভুলের পরিমাণ বেশি হয় এবং বিশুদ্ধতার মাত্রা কম হয়।

প্রশ্ন ৮। গৌণ তথ্যের চারটি উৎস লেখো।

অথবা, 

ভারতের চারটি প্রকাশিত তথ্য উৎসের নাম লেখো।

উত্তরঃ গৌণ তথ্য বা প্রকাশিত তথ্যের উৎস হল-

(১) কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যা সংগঠন (Central Statistical Organisation)।

(২) রাষ্ট্রীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থা (National Sample Survey Organisation)।

(৩) ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (Reserve Bank of India)।

(৪) লোকগণনা (Population Census)।

প্রশ্ন ৯। জনগণনা পদ্ধতি ও নমুনা পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য লেখো।

উত্তরঃ জনগণনা পদ্ধতি ও নমুনা পদ্ধতির মধ্যে পার্থক্য হল-

(১) জনগণনা পদ্ধতিতে সমষ্টির প্রতিটি একক অধ্যয়ন করা হয় কিন্তু নমুনা পদ্ধতিতে সমগ্রকের নির্বাচিত অংশ অধ্যয়ন করা হয়।

(২) জনগণনা পদ্ধতিতে সময় এবং টাকা দুটিই অধিক লাগে কিন্তু নমুনা পদ্ধতিতে সময় এবং টাকা দুটিই কম লাগে।

(৩) জনগণনা পদ্ধতিতে বহুসংখ্যক গণনাকারীর প্রয়োজন হয় কিন্তু নমুনা পদ্ধতিতে অল্প সংখ্যক গণনাকারী নমুনা সংগ্রহ করে তথ্য সংগ্রহ করেন।

(৪) জনগণনা পদ্ধতিতে উচ্চ মাত্রায় শুদ্ধতা পাওয়া যায় কিন্তু নমুনা পদ্ধতিতে উচ্চমাত্রায় নির্ভুলতা পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন ১০। প্রতিচয়ন কী? প্রতিচয়ন এবং অপ্রতিচয়নের ত্রুটিসমূহ আলোচনা করো।

উত্তরঃ নমুনা বা প্রতিচয়ন হল সমষ্টির একটি অংশ যেটি সমষ্টির বৈশিষ্ট্যসমূহ প্রতিফলিত করে এবং সমষ্টির বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত উপনীত হওয়ার লক্ষ্যে অনুসন্ধানকারীকে সাহায্য করে।

প্রতিচয়ন ত্রুটি হল নমুনার মান এবং সমষ্টির কোনো একটি বৈশিষ্ট্যের প্রকৃত মানের মধ্যে পার্থক্য বোঝায়। নমুনার আকার বৃদ্ধি করে প্রতিচয়ন ত্রুটি দূর করা সম্ভব হয়।

অপ্রতিচয়ন ত্রুটি জনগণনা ও নমুনা পদ্ধতি উভয়ে পরিলক্ষিত হয়। যখন তথ্য ভালভাবে পর্যবেক্ষণ ও সংকলন করা হয় না, তখন অপ্রতিচয়ন ত্রুটির উদ্ভব হয়।

অপ্রতিচয়ন ত্রুটির প্রধান কারণ হল-

(১) বিভিন্ন আইটেমের অনুপযুক্ত সংজ্ঞা।

(২) অসম্পূর্ণ প্রশ্নমালা এবং ভুল সাক্ষাৎকার পদ্ধতি।

(৩) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অনুসন্ধানকারীর অভাব।

(৪) তালিকাভুক্ত করার সময় অনুসন্ধানকারীর অনিচ্ছাকৃত ভুল।

(৫) প্রতিচয়নে পক্ষপাতিত্ব।

প্রতিচয়নে ত্রুটি অপেক্ষা অপ্রতিচয়ন ত্রুটি অধিক মারাত্মক কারণ এই ত্রুটি সংশোধনযোগ্য নয়।

প্রশ্ন ১১। জনগণনা পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।

উত্তরঃ জনগণনা পদ্ধতির সুবিধাগুলি হল-

(১) জনগণনা পদ্ধতিতে সমগ্রকের প্রতিটি একক অধ্যয়ন করা হয়। ফলে এই পদ্ধতিতে ভুলত্রুটির পরিমাণ খুবই কম। জনগণনা পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে পাওয়া ফলাফলসমূহের নির্ভরযোগ্যতা অধিক হয়।

(২) বিস্তৃত অধ্যয়নের জন্য জনগণনা পদ্ধতি অত্যন্ত উপযোগী। উদাহরণস্বরূপঃ আমাদের দেশে প্রতি দশ বছর অন্তর আদমসুমারি গণনা করা হয়। এই জনগণনার সাহায্যে আমাদের দেশের জনসংখ্যা, বিভিন্ন রাজ্যের জনসংখ্যা, স্ত্রীপুরুষের অনুপাত, সাক্ষরতার হার, বৃত্তিগত বিভাজন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য আহরণ করতে পারা যায়।

জনগণনা পদ্ধতির অসুবিধাগুলি হলঃ

(১) জনগণনা পদ্ধতি সময় সাপেক্ষে ও ব্যয়সাপেক্ষ।

(২) জনগণনা পদ্ধতিতে সমষ্টির প্রতিটি উপাদান অধ্যয়ন করতে হয়। ফলে বৃহৎ সংখ্যক অনুসন্ধানকারীর দরকার হয়।

(৩) সমষ্টির আকার বিশাল হলে জনগণনা পদ্ধতি অনুপযোগী।

We Hope the given Economics Class 11 Bengali Medium Question Answer will help you. If you Have any Regarding AHSEC Board HS 1st Year Economics Question Answer in Bengali PDF download, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top