Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 10 Science Chapter 8 জীবের প্রজনন কিভাবে হয়? Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 10 Science Chapter 8 জীবের প্রজনন কিভাবে হয়? Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 10 Science Chapter 8 জীবের প্রজনন কিভাবে হয়? Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes Class 10 Science Textbook Question Answer in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 10 Science Chapter 8 জীবের প্রজনন কিভাবে হয়?
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 10 Science Chapter 8 জীবের প্রজনন কিভাবে হয়? Suggestions in Bengali. SEBA Class 10 Science Chapter 8 জীবের প্রজনন কিভাবে হয়? Notes in Bengali PDF Download. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 10 Science Question Answer in Bengali Chapter 8 জীবের প্রজনন কিভাবে হয়? If you liked SEBA Class 10 Science Question Answer in Bengali Chapter 8 জীবের প্রজনন কিভাবে হয়? Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
জীবের প্রজনন কিভাবে হয় ?
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। প্রজননে DNA কপিং পদ্ধতির কি প্রয়ােজনীয়তা আছে ?
উত্তরঃ কোষের নিউক্লিয়াসের ক্রোমসােমের DNA দ্বারা মাতা-পিতার থেকে বৈশিষ্ট্য নতুন প্রজন্মের জীবের শরীরে প্রবেশ করে। কোষের নিউক্লিয়াসের DNA প্রােটিন সৃষ্টি করার তথ্যের উৎস। প্রজননের মূল কাজই হল এক ধরনের DNA সৃষ্টি করা। নতুন প্রজন্মের কোষে DNA র দুইটি প্রতিচিত্র সৃষ্টি হয় এবং একটি থেকে অন্যটিতে আলাদা হয়। DNA প্রতিচিত্র জানানাের সাথে সাথে অন্যান্য কোষীয় গঠনেরও প্রয়ােজন এবং তখনই নতুন DNA গঠনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে নতুন কোষে যায় অর্থাৎ একটি কোষ থেকে দুইটি সম্পূর্ণ অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়।
২। প্রজাতির জন্য প্রকারণ প্রয়ােজন কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট জীরের জন্য নয় কেন ?
উত্তরঃ প্রজননের সময় DNA-র ঘনত্বের প্রতিকৃতি দেহের গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ এর দ্বারাই জীব নির্দিষ্ট অঞ্চল বা নাইকি ব্যবহার করতে পারে। অতএব কোনও জীবের প্রজাতির জনসংখ্যার স্থিরতার সঙ্গে প্রজননের সম্পর্ক আছে। জীবের বাসস্থানে জনসংখ্যার আয়তন জীবের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা কারণের উপর নির্ভর করে। কোনাে বাসস্থানে জীবের প্রজনন উপযুক্ত হলে প্রজনন শুরু হওয়ার পর যদি হঠাৎ বাসস্থানের জলবায়ুতে পরিবর্তন আসে, জনসংখ্যা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যদি কোনও কোনও প্রজাতির ভিতরে প্রকারণ হয় তবে তারা বেঁচে যেতে পারে। কোনও জলাশয়ে থাকা ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষেত্রে হঠাৎ জলাশয়ের তাপ বেড়ে যায় তবে বেশির ভাগ ব্যাক্টেরিয়ার মৃত্যু হবে। যদি কোনাে কোনাে ব্যাক্টেরিয়ার প্রকার তাপ সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করতে পারে তবে তারা বেঁচে থাকবে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তাই প্রজাতির বেশিদিন ধরে টিকে থাকার জন্য প্রকারণ গুরুত্বপূর্ণ।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। দ্বি-বিভাজন বহু বিভাজন থেকে কিভাবে আলাদা ?
উত্তরঃ এককোষী জীবের কোষ বিভাজন দ্বারা নতুন অপত্য জীবের সৃষ্টি হয়। এই বিভাজন দুই প্রকার—দ্বি-বিভাজন এবং বহু-বিভাজন।
অনেক ব্যাক্টেরিয়া এবং প্রােটজোয়ার ক্ষেত্রে কোষ বিভাজনের সময় সহজ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এরা দ্বি-বিভাজন। যেমন এমিবার কোষ বিভাজন। কিছু এককোষী জীব তাদের দেহে কিছু কিছু সংগঠন দেখায় যেমন কালাজ্বর-এর অণুজীব লেসফানিয়াতে চাবুকের মতাে এক গঠন কোষের এক প্রান্তে দেখা যায়। এই ধরনের জীবে এই গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোষ বিভাজন হয়। অন্যান্য এককোষী জীব, যেমন- প্লাসমেডিয়াম ম্যালেরিয়ার অণুজীব বহু বিভাজন দ্বারা অনেক অপত্য কোষের সৃষ্টি করে।
২। রেণু গঠন দিয়ে প্রজনন হলে জীব কিভাবে উপকৃত হয় ?
উত্তরঃ সরল বহুকোষী জীবে নির্দিষ্ট প্রজনন অঙ্গ হিসাবে রেণুস্থলী চিহ্নিত করা হয়। এরা ছােট ছােট কাঠির মাথায় গােল গােল গঠন প্রজননে জড়িত। এইগুলির মধ্যে রেণু থাকে এবং এই রেণু রাইজোপাসে পরিণত হয়। এই রেণুগুলি মােটা আবরণে আবৃত থাকে এবং এই আবরণ রেণুগুলিকে সুরক্ষিত করে রাখে যতদিন না পর্যন্ত রেণুগুলি আবার কোনাে ভেজা জায়গার স্পর্শ পায় এবং রেণুগুলি থেকে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়। রেণু সুরক্ষিত থাকার ফলে জীব উপকৃত হয়।
৩। বেশি জটিল জীব পুনরােৎপত্তি পদ্ধতিতে নতুন জীবের জন্ম দিতে পারে না তার কারণ কি ?
উত্তরঃ অনেক বহুকোষী জীবের দেহ থেকে নতুন জীবের সৃষ্টি করার ক্ষমতা আছে। যেমন- হাইড্রা এবং প্ল্যানেরিয়ার মতাে নিম্নশ্রেণির জীবের অনেকগুলি অংশ কাটা যেতে পারে এবং প্রত্যেকটি অংশ নতুন জীবের সৃষ্টি করতে পারে। একেই পুনরােৎপত্তি বলে। এই পদ্ধতিতে বেশি জটিল জীব জন্ম দিতে পারে না কারণ সব জীব প্রজনন করার জন্য নিজেদের শরীর খণ্ডিত হওয়ার উপর নির্ভরশীল নয়।
৪। অঙ্গজ জনন পদ্ধতি শুধুমাত্র কয়েকটি উদ্ভিদের প্রজননের জন্য ব্যবহার হয় কেন ?
উত্তরঃ অঙ্গজ জনন পদ্ধতি শুধুমাত্র কয়েকটি উদ্ভিদের প্রজননের জন্য ব্যবহার করা হয় কারণ কিছু উদ্ভিদ যেমন- কলা, কমলা, গােলাপ, যুঁইফুল ইত্যাদি বীজ ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে এবং তখন অঙ্গজ জনন পদ্ধতিতে এই উদ্ভিদ প্রজনন করে।
৫। DNA কপিং পদ্ধতি প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ কেন ?
উত্তরঃ DNA (Deoxyribonucleic Acid) দ্বারা পিতা-মাতার থেকে বৈশিষ্ট্য নতুন প্রজন্মের জীবের শরীরে প্রবেশ করে। কোষের নিউক্লিয়াসে প্রােটিন সৃষ্টি করে DNA। যদি তথ্য পরিবর্তিত হয় তবে ভিন্ন ভিন্ন প্রােটিন সৃষ্টি হয়। প্রােটিনের ভিন্নতার ফলেই জীবের পরিবর্তিত আকৃতি সৃষ্টি হয়। সেইজন্যই DNA কপিং পদ্ধতি প্রজননে গুরুত্বপূর্ণ।
S.L. No. | সূচি-পত্র |
অধ্যায় -১ | রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং সমীকরণ |
অধ্যায় -২ | এসিড ক্ষার ও লবণ |
অধ্যায় -৩ | ধাতু এবং অধাতু |
অধ্যায় -৪ | কার্বন এবং ইহার যৌগ |
অধ্যায় -৫ | মৌলসমূহের পর্যায়গত শ্রেণিবিভাজন |
অধ্যায় -৬ | জীবন প্রক্রিয়া |
অধ্যায় -৭ | নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় |
অধ্যায় -৮ | জীবের প্রজনন কিভাবে হয় ? |
অধ্যায় -৯ | বংশগতি এবং বিবর্তন |
অধ্যায় -১০ | আলােক প্রতিফলন এবং প্রতিসরণ |
অধ্যায় -১১ | মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব |
অধ্যায় -১২ | বিদ্যুৎ বিজ্ঞান |
অধ্যায় -১৩ | বিদ্যুত-প্রবাহের চুম্বকীয় প্রভাব |
অধ্যায় -১৪ | শক্তির উৎস |
অধ্যায় -১৫ | আমাদের পরিবেশ |
অধ্যায় -১৬ | প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা |
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। পরাগযােগ পদ্ধতি নিযেচন থেকে কিভাবে পৃথক বলে মনে হয় ?
উত্তরঃ ফুলের গর্ভাশয় বা ডিম্বাশয়ে ডিম্বাণু (Ovules) থাকে এবং প্রত্যেক ডিম্বাণুতে একটি করে জনন কোষ থাকে। পরাগরেণু থেকে উৎপন্ন হওয়া পুরুষ জনন কোষ ডিম্বাণুর স্ত্রী-জননকোষের সঙ্গে মিলিত হয়। এই পুরুষ ও স্ত্রী-জনন কোষের মিলনে নিষেচন হয় ফলে যােজন কোষ (Zygote) উৎপন্ন হয় এবং এই যােজন কোষ হতেই নতুন উদ্ভিদ জন্মায়। পুংকেশর থেকে পরাগরেণু গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তর একই ফুলে হলে তাকে স্বপরাগযােগ বলে এবং অন্য ফুলে হলে ইতর পরাগযােগ বলে।
২। শুক্ৰাধার (Seminal vesicle) এবং প্রষ্টেট গ্রন্থি (Prostate gland) এর ভূমিকা কি ?
উত্তরঃ শুক্রাশয়ে জননকোষ বা শুক্রাণু উৎপন্ন হয়। এই শুক্রাণু শুক্ৰবাহী নালী দ্বারা বাহিত হয়। শুক্রবাহী নালী মূত্রাশয় থেকে আগত একটি নলীর সঙ্গে মিলিত হয়। শুক্রাণু এবং মূত্র বহন করে মূত্রনালী। শুক্ৰবাহী নালীর পাশাপাশি প্রষ্টেট গ্রন্থি (Prostate gland) এবং শুক্ৰাধার (Seminal vesicle) থাকে এবং এই গ্রন্থিগুলি হরমােন বা রস নিঃসরণ করে যার ফলে শুক্রাণুর গতি সুবিধাজনক বা সহজ হয় এবং পুষ্টিও পায়। শুক্রাণু ক্ষুদ্র আকারের হয় এবং এর ভিতরে জিনগত সাহায্যে স্ত্রীজমনকোষের নিকটে যেতে পারে।
৩। পিউবারটি বা যৌবনারম্ভের সময়ে মেয়েদের শরীরে কি কি পরিবর্তন দেখা যায় ?
উত্তরঃ একটি মেয়ে শিশু যখন জন্মায় তখন তার ডিম্বাশয়ে হাজার হাজার ডিম্বাণু থাকে এবং সেই ডিম্বাণুগুলি অপরিণত অবস্থায় থাকে। যৌবনারম্ভে এরা কিছু কিছু পরিণত হতে আরম্ভ করে। একটি ডিম্বাশয়ে প্রত্যেক মাসে একটি করে ডিম্বাণু পরিণত হয়। ডিম্বাণুটি ডিম্বাশয় থেকে একটি সরু ডিম্ববাহী নালী (Oviduct) বা ফ্যালােপিয়ান নালী দ্বারা গর্ভাশয়ে বাহিত হয়। দুইটি ডিম্ববাহী নালী একটি পেশীবহুল স্থিতিস্থাপক ব্যাগের ন্যায় গঠনে মিলিত হয় যাকে জরায়ু বলে। জরায়ু নালীর মাধ্যমে যােনির সাথে যুক্ত হয়। এই সময় স্তনের আকার বৃদ্ধি পায়, মাসিক চক্র (Menstruation) শুরু হয় এবং এই চক্র ২ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত চলে।
৪। মায়ের শরীরের ভিতরে থাকা অবস্থায় ভ্রণ কি উপায়ে পুষ্টি ধারণ করে ?
উত্তরঃ জ্বণ মায়ের শরীরে প্ল্যাসেন্টা নামক বিশেষ কলার সাহায্যে প্রয়ােজনীয় পুষ্টি পায়।
৫। যদি কোনও মহিলা কপার-টি (Copper-T) ব্যবহার করে তবে সে কি যৌন সংস্পর্শে হওয়া রােগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে ?
উত্তরঃ কপারটি (Copper-T) হল একপ্রকার গর্ভনিরােধক। ইহা জরায়ুতে লাগানাে লুপ। এর দ্বারা জরায়ুতে প্রদাহ জনিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ কপারটি ব্যবহার করেও যৌন সংস্পর্শে আসা মহিলারা সুরক্ষিত নহে।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
১। মুকুলােম পদ্ধতিতে অযৌন প্রজনন নিম্নলিখিত কোন জীবে হয় ?
(ক) এ্যামিবা।
(খ) ইষ্ট।
(গ) প্লাসমােডিয়াম।
(ঘ) লেসমানিয়া।
উত্তরঃ (খ) ইষ্ট।
২। মানুষের দেহে নীচের কোনটি স্ত্রীজনন অঙ্গ নয় ?
(ক) ডিম্বাশয়।
(খ) জরায়ু।
(গ) শুক্ৰবাহী নালী।
(ঘ) ফ্যালােপিয়ান নালী।
উত্তরঃ (গ) শুক্ৰবাহী নালী।
৩। পরাগ কোষে থাকে-
(ক) বৃতি।
(খ) ডিম্বাণু।
(গ) ডিম্বক।
(ঘ) পরাগরেণু।
উত্তরঃ (ঘ) পরাগরেণু।
৪। অযৌন প্রজনন থেকে যৌন প্রজননে কি কি সুবিধা বেশি ?
উত্তরঃ DNA এবং অঙ্গানুর কপিং থেকে দুইটি নতুন কোষের সৃষ্টি হয়। জীবের প্রজনন যৌন পদ্ধতিতে হয় তবে নতুন প্রজন্মে অনেক প্রকরণ থাকে। যৌন প্রজনন এমন একটি পদ্ধতি যে পদ্ধতিতে দুইটি জীবের কোষের DNA মিলিত হয় এবং নতুন জীবের সৃষ্টি হয়।
পরাগযােগ, অঙ্গজ প্রজনন ইত্যাদি অযৌন প্রজনন। অধিক মাত্রায় প্রকারণ হওয়ার জন্য যৌন প্রজনন হওয়া প্রয়ােজন।
৫। মানুষের দেহে অণ্ডকোষ (Tests) কি কি কাজ করে ?
উত্তরঃ অণ্ডকোষ হল পুরুষের প্রজনন অঙ্গ যা শুক্রাণু উৎপন্ন করে। শুক্ৰবাহক নলী, শুক্ৰাধার, প্রষ্টেট গ্রন্থি, মূত্রনালী এবং লিঙ্গ ইত্যাদি এর অঙ্গ।
৬। মাসিক ঋতুচক্র কেন হয় ?
উত্তরঃ ডিম্বাশয় প্রত্যেক মাসে একটি করে ডিম্বানু ছাড়ে, জরায়ু প্রত্যেক মাসে একটি নিষেচিত ডিম্বাণু পাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে রাখে, এর ভিতরের স্তর মােটা ও স্পঞ্জি হয়। যদি ডিম্বানু নিষেচিত হয় তবে জ্বণ-এর প্রয়ােজন হয়। যদি ডিম্বাণু নিষেচিত হয়ে প্রাণের জন্ম না হয় তবে জরায়ুর এই স্তরের আর প্রয়ােজন হয় না। এই স্তরটি ধীরে ধীরে ভেঙ্গে যায় এবং যােনিপথ দিয়ে রক্ত এবং মিউকাস হিসাবে বের হয়ে যায়। এই চক্র প্রত্যেক মাসে হয় এবং এই চক্রকে মাসিক চক্র বলে। এই চক্র সাধারণত ২ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত চলে।
৭। একটি ফুলের লম্বা ব্যবচ্ছেদের চিত্র এঁকে বিভিন্ন অংশ চিহিত করাে।
৮। গর্ভনিরােধ করার বিভিন্ন পদ্ধতি আলােচনা কর।
উত্তরঃ গর্ভনিরােধ করতে অবলম্বন করা বিভিন্ন পদ্ধতিগুলি হল- কনডােম, মৌখিক বড়ি, কপারটি ইত্যাদি। এই সকল ছাড়াও আজকাল অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে গর্ভনিরােধ করা হয়।
৯। এককোষী এবং বহুকোষী জীবের প্রজননের উপায়ের কি কি কি পার্থক্য আছে ?
উত্তরঃ এককোষী জীবের ক্ষেত্রে কোষ বিভাজন বা বিভাজন দ্বারা নতুন অপত্য জীবের সৃষ্টি হয়।
কিছু এককোষী জীর যেমন এমিবা দ্বি-বিভাজন দ্বারা বিভাজিত হয়। আবার কিছু এককোষী জীব যেমন প্লাসমােডিয়াম (ম্যালেরিয়ার অণুজীব) বহু-বিভাজন দ্বারা অপত্য কোষের সৃষ্টি করে।
সরল দেহধারী বহুকোষী জীবের সরল প্রজনন পদ্ধতি কার্যকর হয়। যেমন স্পাইরােগাইরা উপযুক্ত সময়ে সহজভাবে কয়েকটি ছােট ছােট অংশে বিভক্ত হয়। একে খণ্ডন (Fragmentation) বলে। অনেক বহুকোষী জীবের দেহ থেকে নতুন জীবের সৃষ্টি করার ক্ষমতা আছে। যদি জীবটির দেহের কোনাে অংশ কাটা হয় তবে ছােট ছােট অনেক অংশে বিভাজিত হয়। এই অংশগুলি এক-একটি জীবের সৃষ্টি করতে পারে। যেমন হাইড্রা, প্লেনেরিয়া ইত্যাদি। একে পুনরােৎপত্তি (Regeneration) বলে।
এছাড়া মুকুলােদগােম (Budding), অঙ্গজ জনন (Vegetative propagation), রেণু গঠন এবং যৌন প্রজনন হয়ে থাকে।
১০। কোনও জীবের প্রজাতির জনসংখ্যার স্থিরতা সঠিক রাখার জন্য প্রজনন কিভাবে সাহায্য করে ?
উত্তরঃ প্রজনন পদ্ধতি আছে বলেই আমরা বিভিন্ন জীব দেখতে পাই। যদি কোনাে নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রজনন না হত তবে সেই জীবের কোনও অস্তিত্ব থাকত না। কোনাে জীবের প্রজনন হয় বলেই অনেক সংখ্যায় সেই জীবের প্রজাতি আমাদের চোখে পড়ে। দুইটি ভিন্ন দেখতে জীব একই প্রজাতির অন্তর্গত হলে সাধারণত একই ধরনের আকৃতি এবং গঠন হয়। তাই জীবের প্রজনন হয় বলেই অনেকটা এক রকমের দেখতে নতুন জীবের সৃষ্টি হয়। প্রজননে, যেমন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় তেমনি মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে জনসংখ্যা হ্রাস পায়। অর্থাৎ এইভাবে প্রজনন জনসংখ্যার স্থিরতা বজায় রাখে।
১১। গর্ভনিরােধক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কি কি কারণ থাকতে পারে ?
উত্তরঃ যেহেতু যৌন সংসর্গ দুইটি দেহের পারস্পরিক সংস্পর্শে হয় তাই আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে যৌন সংসর্গের ফলেই অধিক রােগ সংক্রামিত হয়। এই সব রােগের মধ্যে গনােরিয়া বা সিফিলিস্ জাতীয় ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ এবং নানা ধরনের ভাইরাল সংক্রমণ যেমন—আঁচিল বা আর (wart) এবং HIV-AIDS. যৌন সংসর্গের সময়ে এই রােগ সংক্রমণ থেকে কিছুটা প্রতিরক্ষা সম্ভব হয় যদি কনডােম নামক একটি আবরণী ব্যবহার করে পুরুষের লিঙ্গ আবৃত করে নেওয়া হয়। অন্য ধরনের গর্ভনিরােধক আছে যেমন জরায়ুতে লাগানাে লুপ বা কপারটি (Copper-T) এর দ্বারা জরায়ুতে প্রদাহ জনিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। অঙ্গজ জনন ও অযৌন জননের মধ্যে দুইটি পার্থক্য লিখ।
উত্তরঃ (i) অঙ্গজ জনন সাধারণত উদ্ভিদের ক্ষেত্রে দেখা যায় কিন্তু অযৌন জনন উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
(ii) অঙ্গজ জনন উদ্ভিদ দেহের কোনও অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করে। কিন্তু অযৌন জননে দেহের নির্দিষ্ট অঙ্গে উৎপন্ন অযৌন জননের এককের সাহায্যে অপত্য জীব সৃষ্টি হয়।
২। জনন কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় জনিতৃ জীব থেকে অপত্যজীব সৃষ্টি হয় তাকে জনন বলে।
৩। যােন জনন কাকে বলে ?
উত্তরঃ যে প্রক্রিয়ায় দুই যৌন জনন কোষ বা গ্যাঘেটের মিলনের মাধ্যমে অপত্যজীব সৃষ্টি হয় তাকে যৌন জনন বলে। যেমন- ব্যাঙ, সপুষ্পক উদ্ভিদ ইত্যাদির জনন।
৪। উদ্ভিদের অজৈব জননের একক কি ?
উত্তরঃ স্পাের বা রেণু।
৫। যৌন জননের একক কি ?
উত্তরঃ জনন কোষ বা গ্যাঘেট।
৬। প্রজনন স্বাস্থ্যের অন্তর্গত বিষয়সমূহ কি কি ?
উত্তরঃ প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়গুলি হল-
(i) প্রজনন এবং শিশুর স্বাস্থ্যের যত্ন।
(ii) পরিবার পরিকল্পনা।
(iii) জননী সুরক্ষা আঁচনি।
(iv) শিশু কল্যাণ আঁচনি, ইত্যাদি।
৭। প্রজনন স্বাস্থ্যের সঙ্গে কৈশাের দশার কি সম্পর্ক সংক্ষেপে লিখ।
উত্তরঃ কৈশাের দশা হল 10 হতে 19 বৎসরের মধ্যে থাকা সময়। এই সময়ে ছেলে-মেয়েদের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখা যায়। এই সময়ে ছেলে-মেয়েরা শৈশব হতে যৌবন অবস্থা প্রাপ্ত হয়।
কৈশাের দশার শেষে সম্পূর্ণ প্রজনন ক্ষমতা অর্জন করাকে যৌবনারম্ভ বা পিউবারটি বলে। শুক্রাশয়ের লেইডিগ কোষে ক্ষরণ করা টেষ্টোষ্টেরণ হরমােন পুরুষের পিউবারটি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্ত্রীর ক্ষেত্রে যৌবনারম্ভে মাসিক ঋতুচক্র আরম্ভ হয়। এই সময় হতেই স্ত্রী গর্ভধারণ ক্ষমতা লাভ করে। কৈশাের প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে বিপরীত লিংগের প্রতি আকর্ষিত হওয়াটি উল্লেখযােগ্য লক্ষণ। যৌন অংগের বিকাশে ছেলে-মেয়েদের মন প্রভাবান্বিত করার সঙ্গে তাদের মন অস্থির করে তুলে। ফলে বিভিন্ন বিষয়ে যেমন যৌন মিলন, মাদকদ্রব্য সেবন আদির প্রতি আকর্ষিত হয়। ফলে কিছু সমস্যা, যেমন- মেয়েদের অবৈধ গর্ভধারণ, বিভিন্ন যৌন সংক্রামিত রােগ যেমন- এইডস্, গনােরিয়া, সিফিলিজ আদিতে আক্রান্ত হয়। প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে সমাজের প্রত্যেক কিশাের-কিশােরীকে এই সমস্যাগুলির বিষয়ে নির্ভরযােগ্য এবং বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান আহরণ করতে হবে।
৮। এইডস্ কারক বীজাণুর নাম লিখ।
উত্তরঃ এইচ. আই. ভি (HIV) ভাইরাস।
৯। এইচ. আই. ভির সম্পূর্ণ নাম কি ?
উত্তরঃ হিউম্যান ইমিউনডেফিসিয়েনসি ভাইরাস (Human immunodeficiency Virus)।
১০। এইড্রক্স (AIDS) এর সম্পূর্ণ নাম লিখ।
উত্তরঃ অ্যাকোয়ার্ড ইমিউনডেফিসিয়েন্সি-সিনড্রোম (Acquired immunodeficiency Syndrome)।
১১। এইডস-এর চারিটি লক্ষণ উল্লেখ কর।
উত্তরঃ এইডস রােগের লক্ষণসমূহ হল-
(i) দেহের সাধারণ দুর্বলতা।
(ii) দেহের রােগ প্রতিরােধী তন্ত্র সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়। এই অবস্থায় ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, প্রােটোজোয়াজনিত যে কোন রােগ দেখা দিতে পারে। সাধারণত জ্বর, কাশি, পেটের রােগ, পেশীর যন্ত্রণা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদির লক্ষণ সমূহই প্রধান।
(iii) বিভিন্ন ত্বকের রােগ, ফুসফুস, মুখ এবং গ্রীবার রােগ আক্রান্ত ব্যক্তির আরও কিছু লক্ষণ।
(iv) স্নায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার ফলে মস্তিষ্কের রােগ হয়, ফলে চিন্তাশক্তি বা স্মৃতিশক্তি লুপ্ত হয়।
(v) ব্যক্তিটির সর্বদা জ্বর আসে, রক্তে থাকা অণুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়।
১২। HIV -র কিভাবে সংক্রমণ হয় ?
উত্তরঃ এইডস ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত লােক হতে একজন সুস্থ মানুষের কিভাবে পরিবাহিত হয় তাহা নিম্নে উল্লেখ করা হল-
(i) যৌন সংস্পর্শে (Sexual Contact)- এইচ. আই. ভি (HIV) আক্রান্ত ব্যক্তির শুক্রাণুরস (Semen), যােনিরস (Vaginal secretion) স্তনের দুগ্ধে পাওয়া যায়। সেই কারণে যৌন সংস্পর্শের দ্বারা এই ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে সুস্থ মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়। পৃথিবীর প্রায় 70-80% সংক্রমণ যৌন সংস্পর্শ দ্বারাই সংঘটিত হয়।
(ii) রক্ত সঞ্চারণ (Blood transaction)- যদি সংক্রামিত ব্যক্তির রক্তথলি কোনাে সুস্থ মানুষের দেহে অজান্তে সঞ্চারিত করা হয়, তাহলে এই রােগ সুস্থ মানুষের দেহে সংক্রামিত হয়। এছাড়া কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের (transplantation) সময় এই ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(iii) নেশাযুক্ত দ্রব্যসমূহ ইনজেকসনের দ্বারা ব্যবহার করা ব্যক্তিগণ একই ক্ষুর এবং সিরিঞ্জ ব্যবহার করলে আক্রান্ত ব্যক্তি হতে এই ভাইরাস অপর একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে সংক্রামিত হয়।
(iv) নাপিতের দ্বারা বিভিন্ন জনের একই ক্ষুর (razor) ব্যবহার করলে সংক্রামিত ব্যক্তি হতে ক্ষুরের মাধ্যমে সুস্থ মানুষের দেহ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়।
(v) চিকিৎসালয়ের অস্ত্রোপচারের সামগ্রীগুলি ঠিকমতাে পরিশােধিত না করলে এই ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
(vi) এইচ. আই. ভি (HIV) এর দ্বারা আক্রান্ত মাতার জনন ফুল (Placenta) থেকে ভবিষ্যৎ সন্তানের দেহে অথবা মাতার দুগ্ধ থেকে সন্তানের দেহে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে।
১৩। প্রজনন স্বাস্থ্য বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ সাধারণত ‘প্রজনন স্বাস্থ্য’ বলতে জননতন্ত্র এবং যৌনাংগের সুস্থ স্বাভাবিক কার্যক্ষম অবস্থাকে বুঝায়। প্রজনন স্বাস্থ্যের ভিতর কেবল যৌনাংগের সুস্থ অবস্থা অটুট রাখা সম্পর্কীয় কথা ছাড়াও প্রজনন সম্পৰ্কীয় নানান বিষয় যেমন- যৌবনপ্রাপ্তির সময়ে ব্যক্তির মানসিক এবং শারীরিক পরিবর্তনের বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান আহরণ, প্রজনন সম্পৰ্কীয় বিষয়সমূহের সহিত জড়িত আচার-ব্যবহার, সামাজিক আচরণবিধি, সুরক্ষিত প্রজনন, যৌন সংক্রামিত রােগ নিয়ন্ত্রণ, পরিবার পরিকল্পনা, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, জননীর স্বাস্থ্যসুরক্ষা, শিশুকল্যাণ ইত্যাদি দিকসমূহ বিবেচনা করা হয়।
১৪। জনুক্রম কাকে বলে ?
উত্তরঃ যখন কোনও একটি জীবনচক্রে অযৌন জনু বা ডিপ্লয়েড (Zn) রেণুধর জনু এবং যৌন জনু বা হ্যাপ্লায়েড (n) লিঙ্গধর জনু পর্যায়ক্রমে ঘটে জীবনচক্রটি সম্পূর্ণ হয় তখন তাকে জনুক্রম বলে।
১৫। যৌনস্বাস্থ্যের সঙ্গে কৈশাের দশার কি সম্পর্ক সংক্ষেপে লেখ ?
উত্তরঃ কৈশাের শিক্ষা যৌনস্বাস্থ্যের এক অংশবিশেষ। বেশির ভাগ কিশাের কিশােরীই নিজের শরীরের বিশেষ করে মানসিক তথা শারীরিক যৌন-স্বাস্থ্যের বিষয়ে অবগত থাকে না। কিশাের অবস্থায় ছেলেরা পুরুষত্ব এবং মেয়েরা নারীত্ব লাভ করে। এইসময় এদের শারীরিক পরিবর্তন হয়। এই পরিবর্তন দেহ থেকে নিঃসরণ হওয়া কিছু হরমােন দ্বারা সংঘটিত হয় ফলে বিপরীত লিংগের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। এই অবস্থায় যৌনস্বাস্থ্যের বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান কিশাের কিশােরীকে বিপথে চালিত করা থেকে রক্ষা করতে পারে।
১৬। সামাজিক যৌনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য ভারত সরকার কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ সুস্থ সমাজ গঠনের জন্য যৌনজনিত সমস্যার বিষয়ে প্রত্যেক ব্যক্তির সুস্থ মানসিকতার প্রয়ােজন। এই কথাগুলির প্রয়ােজনীয়তার উপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষে সরকারীভাবে 1952 সনে সর্বপ্রথম পরিবার পরিকল্পনা কাৰ্যসূচী গ্রহণ করা হয়। এই কাৰ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত প্রজনন এবং শিশু-স্বাস্থ্যের যত্ন নামে অন্য এক কাৰ্যসূচীর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে যৌনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতা বৃদ্ধি করা হয়। দেশের প্রতিটি নাগরিকই যৌন সংক্রামিত শিশু এবং মাতৃর সুস্বাস্থ্য ছাড়া ভবিষ্যতে সুস্থ সমাজ গঠন হতে পারে না এই কথা মাথায় রেখে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারা জননী সুরক্ষা এবং শিশু কল্যাণ বিধি সমগ্র ভারতবর্ষে সক্রিয় করে তােলা হয়েছে। এই কার্যসূচীর মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে 24 ঘন্টা মহিলাদের প্রসবের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং শিশুরা যাতে জন্মের পর প্রয়ােজনীয় যত্ন পায় তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন কার্যসূচীর মাধ্যমে জনগণকে প্রজনন এবং যৌন সম্পর্কীয় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
১৩। যৌনস্বাস্থ্যের সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা কার্যসূচী কিভাবে জড়িত ?
উত্তরঃ পরিবার পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ। জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতবর্ষের চাপ ভারতের নাগরিকের উপর খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, সাধারণ স্বাস্থ্য, আশ্রয়ের জন্য নিরাপদ স্থান ইত্যাদি প্রায় সবদিকের প্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করছে। এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তির জন্য আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির পরিকল্পনা কার্যসূচীর নীতি অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত প্রজননের দ্বারা জনসংখ্যা হ্রাস করার বিষয়ে শিক্ষা আহরণ করা অত্যন্ত প্রয়ােজন। জনসাধারণ যৌনস্বাস্থ্যের বিষয় অবগত হলেই পরিবার পরিকল্পনা কার্যসুচী সাফল্য লাভ করবে নতুবা এর সুফল আমরা বুঝতে পারব না।
১৮। নিষেচন কাকে বলে ?
উত্তরঃ পুংগ্যামেট ও স্ত্রীগ্যামেটের মিলনকে নিষেক বা নিষেচন (Fertilization) বলে। নিষেকে অংশগ্রহণকারী পুংগ্যামেটটি আকারে ছােট ও সচল এবং স্ত্রীগ্যামেটটি আকারে বড় ও নিশ্চল হয়।
১৯। সপুষ্পক উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ঘটা চার প্রকার অযৌন প্রজননের নাম ও উদাহরণ লেখ।
উত্তরঃ সপুষ্পক উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ঘটা চার প্রকার অযৌন প্রজনন হল-
(i) রাইজোম (Rhizome)- যেমন- আদা, হলুদ।
(ii) স্থূলকাণ্ড (Cornz)- যেমন- ওল, জাফরান।
(iii) স্ফীতকাণ্ড (Tuber)- যেমন- আলু, কচু।
(iv) ধাবক (Runner)- যেমন- থানকুনি, গাঁদাল।
(v) শিকড় দ্বারা- ডালিয়া।
(vi) কন্দ- পিয়াজ।
২০। দুই প্রকার কৃত্রিম প্রজননের নাম লিখে, একটির বিষয়ে সংক্ষেপে লেখ।
উত্তরঃ দুই প্রকার কৃত্রিম প্রজননের নাম হল-
(i) কলাকৰ্ষণ।ও
(ii) কলম পদ্ধতি।
(i) কলাকৰ্ষণ পদ্ধতি- কলাকর্ষণ হল অংগজ প্রজননের কৃত্রিম পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে উদ্ভিদদেহের কোষ থেকে নতুন উদ্ভিদের সৃষ্টি হওয়াকে কলাকর্ষণ বলে। কলাকর্ষণে গাছের যেকোন অংশ বা যেকোন জীবিত কলা ব্যবহার করা যায়। এই পদ্ধতিতে অতি অল্প পরিমাণ কলা থেকে কম সময়ে এক সংগে অনেক গাছ সৃষ্টি করা যায়।
২১। শূন্যস্থান পূরণ করাে-
১। গর্ভধারণের পর ডিম্ব হতে___________ও গর্ভাশয় হতে ___________ হয়।
উত্তরঃ বীজ, ফল।
২। ইষ্ট এবং ব্যাক্টেরিয়া _________ প্রক্রিয়া দ্বারা বংশবৃদ্ধি করে।
উত্তরঃ দ্বি-বিভাজন।
৩। __________ এর দ্বারা জীব বংশরক্ষা করে।
উত্তরঃ জনন।
৪। পুংজনন কোষকে __________ও স্ত্রীজনন কোষকে __________বলে।
উত্তরঃ শুক্রাণু ও ডিম্বাণু।
৫। __________ কাণ্ড মাটির নীচে থাকা কাণ্ড।
উত্তরঃ স্ফীত।
৬। __________ মাটির উপরে লতানাে কাণ্ড।
উত্তরঃ ধাবক।
৭। রেণুর উৎপত্তিস্থলকে _________ বলে।
উত্তরঃ রেণুস্থলী।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.