Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 10 Science Chapter 14 শক্তির উৎস Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 10 Science Chapter 14 শক্তির উৎস Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 10 Science Chapter 14 শক্তির উৎস Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes Class 10 Science Textbook Question Answer in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 10 Science Chapter 14 শক্তির উৎস
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 10 Science Chapter 14 শক্তির উৎস Suggestions in Bengali. SEBA Class 10 Science Chapter 14 শক্তির উৎস Notes in Bengali PDF Download. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 10 Science Question Answer in Bengali Chapter 14 শক্তির উৎস If you liked SEBA Class 10 Science Question Answer in Bengali Chapter 14 শক্তির উৎস Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
শক্তির উৎস
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। শক্তির উত্তম উৎস কাকে বলে ?
উত্তরঃ শক্তির উত্তম উৎস হবে সেটা-
(i) যার প্রতি একক আয়তন বা ভর অধিক কার্য সম্পাদন করতে পারে।
(ii) যা সহজে পাওয়া যায়।
(iii) যার সংরক্ষণ, পরিবহন সহজত্র।
(iv) যা সবচেয়ে কম খরচ সাপেক্ষ।
২। উত্তম জ্বালানী কোনটি ?
উত্তরঃ (i) যা অতি সহজলভ্য।
(ii) যার মূল্য কম।
(iii) অধিক তাপ উৎপন্ন হয় এমন ইন্ধন।
(iv) যা সহজে পরিবহনযােগ্য।
(v) ইন্ধনের দহনে বিষাক্ত গ্যাসের সৃষ্টি না হওয়া।
(vi) জ্বলনের হার একই এবং নিয়ন্ত্রণ যুক্ত।
(vii) জ্বলনের ফলে কোনাে অবশিষ্ট না থাকা ইত্যাদি।
৩। তােমার পক্ষে খাদ্য গরম করার জন্য যদি যে কোন শক্তির উৎস মজুত থাকে, তুমি কোন প্রকারের শক্তি ব্যবহার করবে এবং কেন ?
উত্তরঃ আমরা সাধারণত খাদ্য গরম করার জন্য L.P.G বা P.N.G ব্যবহার করব। কারণ এতে উত্তম উৎসের সব লক্ষণগুলি বর্তমান। অধিক উত্তাপ, ভাজন কিরী মান ইত্যাদি এতে থাকে।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহারের অসুবিধা কি ?
উত্তরঃ জীবাশ্ম জ্বালানীর দহনে কার্বন, নাইট্রোজেন এবং সালফারের অক্সাইড উৎপন্ন হয় যা এসিড বৃষ্টির সৃষ্টি করে এবং ভূপৃষ্ঠের জল এবং মাটির ক্ষতিসাধন করে। এই গ্যাস স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক বিশেষ করে হাঁপানী রােগীদের ক্ষতিসাধন করে।
২। আমরা বিকল্প শক্তির উৎসের সন্ধান করি কেন ?
উত্তরঃ জীবাশ্ম জ্বালানী একদিন না একদিন যেমন শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে তেমনই বিকল্প শক্তির উৎসের সন্ধান খুবই প্রয়ােজন।
শক্তির বিকল্প উৎসের ভিতর সৌরশক্তি, নিউক্লীয় শক্তি এবং জৈবভর বা জীবাবশেষের থেকে আহরণ করা শক্তি উল্লেখযােগ্য।
৩। আমাদের সুবিধার জন্য কিভাবে প্রচলিত বায়ু ও জলশক্তি ব্যবহারের উন্নতি সাধন করা হয়েছে ?
উত্তরঃ বায়ুশক্তি- বায়ুশক্তি পরিবেশ বান্ধব এবং নবীকরণযােগ্য শক্তির কার্যকরী উৎস। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বায়ুশক্তি ব্যবহারের বারংবার খরচ করতে হয় না। কিন্তু বায়ুশক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। প্রথমতঃ বায়ুশক্তি কার্য কেবল মাত্র সেই সকল স্থানে স্থাপন করা যায় যেখানে বৎসরের অধিকাংশ সময় বায়ুপ্রবাহ ঘটে। টারবাইন এবং সংরক্ষণ কোষের মতাে ব্যবস্থা থাকা প্রয়ােজন। প্রয়ােজনীয় বিদ্যুৎ থাকা আবশ্যক।
জলশক্তি- আরেকটি স্বাভাবিক শক্তির উৎস হল জলের অতি শক্তি অথবা উচ্চ অঞ্চলে থাকা জলের স্থিতি শক্তি। জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে পতনশীল জলের স্থিতি শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করা হয়। কিন্তু স্থিতি শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহারযােগ্য জলপ্রপাতের সংখ্যা অতি নগণ্য। সেইজন্য বাঁধ দেওয়া অঞ্চলে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তােলা হয়েছে।
S.L. No. | সূচি-পত্র |
অধ্যায় -১ | রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং সমীকরণ |
অধ্যায় -২ | এসিড ক্ষার ও লবণ |
অধ্যায় -৩ | ধাতু এবং অধাতু |
অধ্যায় -৪ | কার্বন এবং ইহার যৌগ |
অধ্যায় -৫ | মৌলসমূহের পর্যায়গত শ্রেণিবিভাজন |
অধ্যায় -৬ | জীবন প্রক্রিয়া |
অধ্যায় -৭ | নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় |
অধ্যায় -৮ | জীবের প্রজনন কিভাবে হয় ? |
অধ্যায় -৯ | বংশগতি এবং বিবর্তন |
অধ্যায় -১০ | আলােক প্রতিফলন এবং প্রতিসরণ |
অধ্যায় -১১ | মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব |
অধ্যায় -১২ | বিদ্যুৎ বিজ্ঞান |
অধ্যায় -১৩ | বিদ্যুত-প্রবাহের চুম্বকীয় প্রভাব |
অধ্যায় -১৪ | শক্তির উৎস |
অধ্যায় -১৫ | আমাদের পরিবেশ |
অধ্যায় -১৬ | প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা |
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। সৌর কুকার নির্মাণে অবতল, উত্তল বা সমতল আয়নার মধ্যে কোনটি সবচেয়ে উপযুক্ত ? কারণ দর্শাও।
উত্তরঃ সমতল আয়না, কারণ এর দ্বারা সমস্ত আলােককে প্রতিফলিত করে নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠানাে যায়।
২। সমুদ্র থেকে সংগৃহীত শক্তির সীমাবদ্ধতা কি কি ?
উত্তরঃ সমুদ্র থেকে সংগৃহীত শক্তির উৎস হল-
(i) জোয়ার শক্তি (Tidal Energy).
(ii) তরঙ্গ শক্তি (Wave Energy).
(iii) তাপশক্তি (Thermal Energy).
জোয়ার শক্তির সীমাবদ্ধতা হল ইহা কেবল মাত্র জোয়ার এবং ভাটার সময় টারবাইনের দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
তরঙ্গ শক্তির সীমাবদ্ধতা হল সাগরের উপকূলবর্তী স্থানে বিশালাকায় তরঙ্গ সমূহের গতিশক্তি থেকে অনুরূপভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
তাপশক্তির সীমাবদ্ধতা হল এই যে সমুদ্রের তাপশক্তির থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যার জন্য জলের তলের তাপমাত্রার পার্থক্য 20°C বেশি হতে হয়।
৩। ভূতাপ শক্তি বলতে কি বুঝায় ?
উত্তরঃ ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনের ফলে ভূপৃষ্ঠের অভ্যন্তরে উষ্ণ অঞ্চলে গলিত শিলা উৎপন্ন হয়। এই গলিত শিলা উপর দিকে ধাবিত হওয়া কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠে তলদেশ আবদ্ধ অবস্থায় থাকে। এমন স্থানকে হটস্পট বলে। ভূগর্ভস্থ জল এই হটস্পটের সংস্পর্শে বাষ্পে পরিণত হয়। কখনাে ভূগর্ভস্থ উচ্চ জল ফাটল পথে ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয়। একে উষ্ণ প্রস্রবণ বলে। শিলাস্তরের আবদ্ধ বাম্পকে নলের সাহায্যে টারবাইনের ঘূর্ণনের জন্য ব্যবহার করা হয় এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ সামান্য।
৪। নিউক্লীয় শক্তির সুবিধাগুলি কি কি ?
উত্তরঃ ফিশন প্রক্রিয়ায় ইউরেনিয়ামের পরমাণু থেকে নির্গত নিউক্লীয় শক্তির পরিমাণ কয়লার কার্বন পরমাণু দহনের ফলে উৎপাদিত শক্তির প্রায় 10 মিলিয়ন গুণ অধিক। নিউক্লীয় শক্তির সাহায্যে জলকে বাষ্পে পরিণত করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। কোন শক্তির উৎস দূষণ মুক্ত হতে পারে কি ? কেন বা কেন নয় ?
উত্তরঃ না, শক্তির উৎস দূষণমুক্ত হতে পারে না কারণ, যদিও ইহা পরিষ্কারবাতবুও ইহা পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে।
২। রকেটে জ্বালানী হিসাবে হাইড্রোজেন ব্যবহার করা হয়। একে CNG থেকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানী মনে কর কি ? কেন বা কেন নয় ?
উত্তরঃ হাইড্রোজেন হল পরিষ্কার ইন্ধন। CNG অপেক্ষা হাইড্রোজেন পরিচ্ছন্ন জ্বালানী। কিন্তু CNG -র জায়গায় হাইড্রোজেন ব্যবহার করতে সরঞ্জামের পরিবর্তন করতে হবে।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। দুইটি নবীকরণযােগ্য শক্তির উৎসের নাম কর। তােমার পছন্দের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ দুইটি নবীকরণযােগ্য শক্তির উৎসের নাম হল- বায়াে গ্যাস এবং মােটর শক্তি।
কারণ এরা গাছ, জলের স্রোত, বায়ুপ্রবাহ, সূর্য এবং সমুদ্রের সঙ্গে জড়িত।
২। দুইটি নিঃশেষিত প্রায় শক্তির উৎসের নাম কর। তােমার পছন্দের কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ জীবাশ্ম ইন্ধন, যেমন- কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি নিঃশেষিত প্রায় শক্তির উৎস। একদিন না একদিন এই উৎসের শেষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বহুল ব্যবহারের ফলেই এইরূপ হয়।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
১। গরম জলের জন্য সৌর-জল উত্তাপক যন্ত্র ব্যবহার করা যায় না।
(a) সূর্য করােজ্জ্বল দিনে।
(b) মেঘলা দিনে।
(c) গরম দিনে।
(d) বায়ুপ্রবাহ যুক্ত দিনে।
উত্তরঃ (b) মেঘলা দিনে।
২। নিম্নলিখিত কোনটি জৈব ভরশক্তির উৎস নয় ?
(a) কাঠ।
(b) গােবর গ্যাস।
(c) নিউক্লীয় শক্তি।
(d) কয়লা।
উত্তরঃ (c) নিউক্লীয় শক্তি।
৩। ব্যবহার করা অধিকাংশ শক্তির উৎস প্রকৃতপক্ষে সঞ্চিত সৌরশক্তি। নিম্নলিখিত কোন উৎস আসলে সৌরশক্তি থেকে সংগৃহিত নয় ?
(a) ভূ-তাপশক্তি।
(b) বায়ুশক্তি।
(c) নিউক্লীয় শক্তি।
(d) জৈব শক্তি।
উত্তরঃ (a) ভূ-তাপশক্তি।
৪। জীবাশ্ম জ্বালানী এবং প্রত্যক্ষ সৌরশক্তির তুলনাও লিখ।
উত্তরঃ
জীবাশ্ম জ্বালানী | সৌরশক্তি |
(i) এরা নবীকরণযােগ্য নয়। | (i) এরা নবীকরণযােগ্য। |
(ii) এরা প্রচুর পরিমাণ বায়ু প্রদূষণ করে। | (ii) এটি প্ৰদূষণ মুক্ত। |
(iii) এটি সহজেই প্রাপ্ত। | (iii) এটি সহজপ্রাপ্ত নহে। |
৫। শক্তির উৎস হিসাবে জৈব ভর এবং জলবিদ্যুৎ শক্তির তুলনা কর এবং পার্থক্য লিখ।
উত্তরঃ জৈব ভর নবীকরণ যুক্ত স্বচ্ছ শক্তির উৎস এবং সহজলভ্য।
জলবিদ্যুৎ শক্তিও নবীকরণ যুক্ত স্বচ্ছ শক্তির উৎস কিন্তু ইহা পরিবেশ দূষণ করে।
৬। নিম্নলিখিত উৎসসমূহ থেকে শক্তি উৎপাদনের সীমাবদ্ধতা কি ?
(a) বায়ু।
(b) তরঙ্গ।
(c) জোয়ার ভাটা।
উত্তরঃ (a) বায়ুর জন্য প্রচুর জায়গার প্রয়ােজন কারণ সেখানে উহিণ্ড মিল স্থাপন করতে হয়। 15km/h হতে অধিক বেগে বায়ুর স্রোত প্রবাহিত হলে উইণ্ডমিল কাজ করে। এর যন্ত্রাংশ খুবই ব্যয়বহুল।
(b) তরঙ্গ যখন খুব উচ্চ হয় তখন ইহা ব্যবহৃত হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট সময় এবং স্থানের প্রয়ােজন।
(c) জোয়ার ভাটার দ্বারা শক্তি উৎপাদন নির্ভর করে জোয়ারের
উচ্চতার উপর। সেইজন্য উপযুক্ত বাঁধ তৈরি করতে হয়।
৭। কিসের ভিত্তিতে নিম্নলিখিত শক্তি উৎসের শ্রেণিবিভাজন করবে ?
(a) নবীকরণযােগ্য এবং নবীকরণ অযােগ্য শক্তির উৎস।
(b) নিঃশেষযােগ্য এবং অনিঃশেষ শক্তি উৎস।
উত্তরঃ (a) যতদিন পর্যন্ত সৌরশক্তি আছে ততদিন শক্তির উৎস নবীকরণ যােগ্য। যেমন- প্রবাহিত জল, বায়ু, জোয়ার, সাগরের ঢেউ, কাঠ এবং আণবিক শক্তিই এর উৎস।
কিন্তু জীবাশ্ম ইন্ধন, যেমন- কয়লা, পেট্রোলিয়াম ইত্যাদি অনবীকরণযােগ্য। এরা একবার দাহিত হলে পুনরায় ব্যবহার করা যায় না।
(b) নিঃশেষযােগ্য উৎস হল অনবীকরণযােগ্য এবং অনিঃশেষ শক্তি হল নবীকরণযােগ্য।
৮। আদর্শ শক্তি উৎসের কি কি গুণাগুণ থাকা প্রয়ােজন ?
উত্তরঃ আদর্শ শক্তির উৎসের গুণাগুণ হল-
(i) এরা নির্দিষ্ট পরিমাণের শক্তি প্রদান করে।
(ii) এরা একই মাত্রায় শক্তি প্রদান করে।
(iii) সহজেই জমা করা বা পরিবহন করা যায়।
৯। সৌর কুকার ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা লিপিবদ্ধ কর। কোন অঞ্চলে সৌর কুকারের ব্যবহার সীমিত ?
উত্তরঃ সুবিধা- ইহা কম খরচে প্ৰদূষণ মুক্ত ব্যবস্থা।
অসুবিধা- সৌর কুকারে 100°C হতে 140°C সে. তাপমাত্রার প্রয়ােজন। মেঘাচ্ছন্ন দিনে এর ব্যবহার সম্ভব নহে।
১০। শক্তির বর্ধিত চাহিদার পরিবেশগত প্রভাব কি ? শক্তির ব্যবহার হ্রাস করার জন্য কি কি উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে ?
উত্তরঃ কোনাে না কোনাে ভাবে যেকোন শক্তির উৎসের ব্যবহারের ফলে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়। যেকোন পরিস্থিতিতে আমাদের শক্তির উৎসের নির্বাচন কতকগুলাে কারকের উপর নির্ভরশীল, যেমন- সেই উৎস থেকে শক্তি নিষ্কাশনের সহজতা, লব্ধপ্রযুক্তির দক্ষতাও সেই উৎস ব্যবহারের ফলে সংঘটিত পরিবেশীয় ক্ষতির পরিমাণ।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে সৌরকোষের মতাে কৌশল দূষণমুক্ত হতে পারে, কিন্তু এই কৌশল সংস্থাপনের ফলে পরিবেশগত ক্ষতিসাধন হতে পারে।
শক্তির ব্যবহার হ্রাস করার জন্য নীচের ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করা যায়-
(i) উৎস থেকে সহজ এবং সুলভ শক্তির সন্ধান করতে হবে।
(ii) প্রচলিত প্রথা প্রয়ােগ করে শক্তি সঞ্চয়।
(iii) উৎসে পরিবেশের দূষণের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়া ইত্যাদি।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। শূন্যস্থান পূর্ণ কর।
(ক) __________এবং __________উৎপাদন করতে ব্যবহার করা পদার্থই হল ইন্ধন।
উত্তরঃ তাপ এবং আলাে।
(খ) উদ্ভিদের __________প্রক্রিয়া দ্বারা কয়লা উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ কার্বনিকরণ।
(গ) পেট্রোলিয়ামের উপাদানগুলিকে পৃথক করা পদ্ধতিকে বলা __________ হয়।
উত্তরঃ বাষ্পীভবন।
(ঘ) _________ বিক্রিয়াগুলির জন্য সুর্য হতে শক্তি উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ নিউক্লীয় সংযােজন।
(ঙ) বায়ুশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা কৌশল একটি
হল ___________।
উত্তরঃ বায়ুকল (wind mills)।
(চ) এল. পি. জির প্রধান উপাদানটি হল __________।
উত্তরঃ বিউটেন (C₄H₁₀)।
(ছ) বায়ুপাম হল __________।
উত্তরঃ বায়ুশক্তির প্রকল্প বা বায়ুকল।
(জ) __________ এবং __________এর জন্য জৈবগ্যাস ব্যবহার করা যায়।
উত্তরঃ ইন্ধন, ছােট ইলেকট্রিক ইঞ্জিন।
(ঝ) অপরিশােধিত তেল থেকে পাওয়া পেট্রোলিয়ামের পরিমাণ ___________ প্রক্রিয়ায় বাড়ানাে হয়।
উত্তরঃ তাপ ভংগন।
(ঞ) কম পরিমাণের __________ যােগ করে L.PG. সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে যাওয়া টের পাওয়া যায়।
উত্তরঃ মারকেপটাম।
(ট) নিউক্লীয় অপচয় অতি __________ এবং পুনরাবর্তন করা যায় না।
উত্তরঃ বিষাক্ত।
(ঠ) ঘরের আবর্জনাকে __________ বলা হয়।
উত্তরঃ মিউনিসিপ্যাল কঠিন আবর্জনা (Municipal Solid waste MSW).
(ড) সাগরের উপরে _________ এবং _________ মহাকর্ষণীয় টানের জন্য জোয়ারের সৃষ্টি হয়।
উত্তরঃ সূর্য, চন্দ্রের।
(ঢ) আলােক ভােল্টীয় কৌশলে __________প্রত্যক্ষভাবে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে।
উত্তরঃ সূর্যের রশ্মিকে।
(ণ) প্রাকৃতিক গ্যাসের মুখ্য উপাদানটি হল ____________।
উত্তরঃ মিথেন (CH₂)
২। কয়লাকে কিছু পরিমাণ বিশেষভাবে তাপ উৎপাদন করা অগ্নিশালে ব্যবহার করা হয়।
উত্তরঃ বিটুমিনাস।
নীচের উক্তিগুলির কোনগুলি সত্য ? ভুলগুলি শুদ্ধ কর।
৩। দহনের সাহায্যে তাপ এবং আলাে উৎপন্ন করা পদার্থকে ইন্ধন বলা হয়।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
৪। ব্যবহারের দ্বারা নিঃশেষ হয়ে যেতে পারা উৎসগুলিকে নবীকরণযােগ্য শক্তির উৎস বলা হয়।
উত্তরঃ অশুদ্ধ। একে অনবীকরণযােগ্য শক্তির উৎস বলে।
৫। কয়লা নবীকরণযােগ্য প্রকারের শক্তি।
উত্তরঃ অশুদ্ধ। ইহা অনবীকরণযােগ্য।
৬। জীবাশ্ম ইন্ধনগুলি প্ৰদূষণ না করা শক্তির উৎস।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
৭। সৌরশক্তি বিদ্যুৎ এবং তাপ দুইটি সৃষ্টি করতে পারে।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
৮। এনথেসাইট কয়লাতে হতে 60% কম মুক্ত কার্বন থাকে।
উত্তরঃ অশুদ্ধ। এতে 95% কার্বন থাকে।
৯। তৈলখনি হতে পেট্রোলিয়ামকে প্রত্যক্ষভাবে ব্যবহার করা যায়।
উত্তরঃ অশুদ্ধ। একে পরিশােধন করে নিতে হয়।
১০। জাহাজ এবং রেলের ইঞ্জিনে ইন্ধন হিসাবে কেরােসিন ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ অশুদ্ধ। ডিজেল ব্যবহার করা হয়।
১১। পৃথিবীপৃষ্ঠের অনেক নীচে প্রাকৃতিক গ্যাসের অবক্ষেপণ পাওয়া যায়।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
১২। সুর্যের বহিঃপৃষ্ঠে হওয়া বিখণ্ডন বিক্রিয়ার দ্বারা সৌরশক্তি উৎপন্ন হয়।
উত্তরঃ অশুদ্ধ। নিউক্লীয় একীভবন বিক্রিয়ার দ্বারা সৌরশক্তি উৎপন্ন হয়।
১৩। বায়ুশক্তি একপ্রকার নিরবিচ্ছিন্ন শক্তির উৎস।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
১৪। নীচের লাইনগুলি হইতে শুদ্ধ উত্তরটি বাছিয়া বাহির কর।
(ক) পেট্রোল এবং ডিজেল হল-
(a) নবীকরণযােগ্য শক্তির উৎস।
(b) প্ৰদূষণ না করা শক্তির উৎস।
(c) শক্তির মুখ্য উৎস।
(d) নবীকরণ অযােগ্য শক্তির উৎস।
উত্তরঃ (d) নবীকরণ অযােগ্য শক্তির উৎস।
(খ) পেট্রোলিয়াম পাতনে জড়িত একটি প্রক্রিয়া হল-
(a) ঘনীভবন।
(b) বাষ্পীভবন।
(c) পাতুন।
(d) তরলীকরণ।
উত্তরঃ (b) বাষ্পীভবন।
(গ) এনথ্রাসাইট থাকা কার্বনের পরিমাণ হল-
(a) 65%
(b) 78%
(c) 95%
(d) 99%
উত্তরঃ (c) 95%।
(ঘ) অপরিশােধিত তেলের তাপ অপঘটন করার কারণটি-
(a) অপরিশােধিত তেলের তাপ সহজে পরিবহনযােগ্য করতে।
(b) ক্যালরিমান বাড়াতে।
(c) অশুদ্ধি দূর করতে।
(d) উৎপন্ন হওয়া পেট্রোলের পরিমাণ বাড়াতে।
উত্তরঃ (c) অশুদ্ধি দূর করতে।
(ঙ) এল. পি. জি.-কে সংরক্ষণ করা হয়-
(a) উচ্চ চাপে।
(b) কম উষ্ণতায়।
(c) অনুঘটকের উপস্থিতিতে।
(d) উপরে উল্লেখ করা সবগুলি।
উত্তরঃ (a) উচ্চ চাপে।
(চ) নিউক্লীয় শক্তি উৎপাদন করা হয়-
(a) নিউক্লীয় একীভবনের দ্বারা।
(b) তাপ অপঘটনের দ্বারা।
(c) নিউক্লীয় বিখণ্ডনের দ্বারা।
(d) বিভাজন পাতনের দ্বারা।
উত্তরঃ (c) নিউক্লীয় বিখণ্ডনের দ্বারা।
(ছ) প্লাস্টিকগুলি-
(a) অপচয় হতে শক্তি উদ্যোগগুলির জন্য শক্তির উত্তম উৎস।
(b) অপচয় হতে শক্তির উদ্যোগে ব্যবহার করা যায় না।
(c) জীবনমনীয়।
(d) একপ্রকার জীবাবশেষ শক্তির উৎস।
উত্তরঃ (a) অপচয় হতে শক্তি উদ্যোগগুলির জন্য শক্তির উত্তম উৎস।
(জ) কয়লার বিভিন্ন শ্রেণিগুলির নাম লিখ।
উত্তরঃ কয়লার বিভিন্ন শ্রেণিগুলি হল ক্রমান্বয়ে-
(a) লিগনাইট বা বাদামি কয়লা (Lignite or Brown Coal).
(b) সাব-বিটুমিনাস কয়লা (Sub-bituminous Coal).
(c) বিটুমিনাস কয়লা (Bituminous Coal).
(d) এনথ্রাসাইট কয়লা (Anthracite Coal).
১৫। প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রধান উপাদানটি কি ?
উত্তরঃ মিথেন (CH₄)
১৬। নবীকরণযােগ্য শক্তির উৎসের সংজ্ঞা লিখ।
উত্তরঃ যে শক্তির উৎসের অন্ত বা শেষ হয় না এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে শক্তির যােগান দিতে পারে সেই ধরনের শক্তির উৎসকে নবীকরণযােগ্য শক্তির উৎস বলে।
যেমন- জলশক্তি (Hydro Energy) ; জোয়ার শক্তি (Tidal Energy); সৌরশক্তি (Solar Energy); বায়ুশক্তি (Wind Energy); ভূ-তাপীয় শক্তি (Geothermal Energy) এবং বায়ােমাস (Biomas)।
১৭। তিনটি নবীকরণযােগ্য শক্তির নাম লিখ।
উত্তরঃ (i) সৌরশক্তি।
(ii) বায়ুশক্তি।
(iii) জলশক্তি।
১৮। নিউক্লীয় শক্তির উৎসগুলি কি ?
উত্তরঃ ইউরেনিয়াম- 235 এবং প্লুটোনিয়াম-239 তেজস্ক্রীয় সমস্থানিক দুইটি নিউক্লীয় শক্তির প্রধান উৎস।
১৯। নিউক্লীয় বিখণ্ডন কি ?
উত্তরঃ নিউক্লীয় বিখণ্ডন বিক্রিয়ার সাহায্যে নিউক্লীয় শক্তি উৎপাদন করা হয়।
২০। পেট্রোলিয়াম গ্যাসের কোন অংশের উতলাংক নিম্নতম হয় ?
উত্তরঃ উদ্বায়ী গ্যাস-এর উতলাংক নিম্নতম।
২১। কি ধরনের ব্যাক্টেরিয়া গরুর গােবরকে গাের গ্যাসে পরিবর্তন করে ?
উত্তরঃ অবাত (anaerobic) ব্যাক্টেরিয়া অর্থাৎ যে ব্যাক্টেরিয়াগুলি অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে কাজ করে সেই ব্যাক্টেরিয়াগুলি গােবরকে গােবরগ্যাসে পরিবর্তন করে।
২২। জীবাশ্ম ইন্ধনগুলি কি ?
উত্তরঃ কয়লা, পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস হইল জীবাশ্ম ইন্ধন।
২৩। ঘরের কাজে কি প্রকারের কয়লা ব্যবহার করা হয় ?
উত্তরঃ বিটুমিনাস কয়লা।
২৪। পেট্রোরাসায়নিক পদার্থগুলি কি ?
উত্তরঃ পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস হতে উপলব্ধ রাসায়নিক পদার্থগুলিকে পেট্রোরাসায়নিক পদার্থ বলা হয়। ইথাইলিন, বিউটাইলিন, সাইক্লোহেক্সেন, ফিনল, অ্যামােনিয়া এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড পেট্রোরাসায়নিক পদার্থের অন্তর্গত।
২৫। তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের প্রধান উপাদানটি কি ?
উত্তরঃ বিউটেন।
২৬। কোরে প্রধান ব্যবহারগুলি কি ?
উত্তরঃ (i) কোক জ্বালানী হিসাবে আকরিকের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
(ii) লােহা এবং ইস্পাত উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণে কোক ব্যবহার করা হয়।
২৭। বিকল্প শক্তির উৎসগুলির নাম লিখ।
উত্তরঃ (a) সৌরশক্তি (Solar Energy).
(b) জৈব বর্জ্য পদার্থ থেকে শক্তি (Energy from organic wastes) যেমন- গােবর গ্যাস।
(c) বায়ুপ্রবাহ শক্তি (Wind energy).
২৮। দুইটি তেজস্ক্রীয় ইন্ধনের নাম লিখ।
উত্তরঃ (i) ইউরেনিয়াম- 235
(ii) প্লুটোনিয়াম- 239
২৯। প্রাকৃতিক গ্যাসের কয়েকটি ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তরঃ প্রাকৃতিক গ্যাসের কয়েকটি ব্যবহার হল-
(a) ঘর, হােটেল, লন্ড্রী, হাসপাতাল, ইত্যাদিতে ইন্ধন হিসাবে এই গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
(b) বিভিন্ন শিল্প, যেমন- ইট কাচ, স্টীল এবং ধাতু ইত্যাদিতে এই গ্যাস বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়।
(c) রাসায়নিক শিল্প ও বস্ত্রশিল্পেও এই গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
(d) কতগুলাে রাসায়নিক দ্রব্য, যেমন- কার্বন ব্লেক, বিউটাডাউন, পটাশ, মিথানল ইত্যাদি সংশ্লেষণে এই গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
৩০। দুটি গ্যাসীয় ইন্ধনের নাম লিখ।
উত্তরঃ দুটি গ্যাসীয় ইন্ধন হল-
(a) তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা LPG.
(b) প্রাকৃতিক গ্যাস।
৩১। সৌরশক্তি আহরণের জন্য ব্যবহার করা দুইটি সাধারণ কৌশলের নাম লিখ।
উত্তরঃ সৌরশক্তির কৌশলগুলি হল-
(i) আলােক ভােল্টীয় কোষ।
(ii) সৌর প্রতিফলক এবং সৌরসংগ্রাহক।
৩২। ভাল ইন্ধন একটির বৈশিষ্ট্যগুলি কি ?
উত্তরঃ উৎকৃষ্ট ইন্ধনের গুণ বা বৈশিষ্ট্যসমূহ হল-
(a) দহনের ফলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হওয়া প্রয়ােজন।
(b) ইন্ধনের উপযুক্ত প্ৰজ্বলন উষ্ণতা (ignition temperature) থাকা প্রয়ােজন।
(c) ইন্ধনের দহনের হার মাঝামাঝি হওয়া প্রয়ােজন।
(d) ইন্ধনটি পরিবহন এবং সংরক্ষণ সহজসাধ্য হওয়ার প্রয়ােজন।
(e) ইন্ধন দহনের ফলে ধোঁয়া এবং কোনাে ক্ষতিকারক দ্রব্য উৎপন্ন না হওয়া প্রয়ােজন।
৩৩। মুখ্য এবং গৌণ ইন্ধনগুলি কি? প্রত্যেক প্রকারের তিনটি করে উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে সমস্ত ইন্ধন হতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে শক্তির যােগান ধরা যায় সেই ইন্ধনগুলি মুখ্য ইন্ধন। যেমন- জলশক্তি, সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ইত্যাদি।
মুখ্য ইন্ধনের সংশােধনের পর পাওয়া ইন্ধনগুলিকে গৌণ ইন্ধন বলা হয়। যেমন- কাঠ কয়লা, পেট্রল, ডিজেল, কেরােসিন তেল ইত্যাদি।
৩৪। কয়লা কিভাবে উৎপন্ন করা হয় বর্ণনা কর।
উত্তরঃ প্রাকৃতিক বিপর্যয়, যেমন ভূমিকম্প ইত্যাদির ফলে ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগের গাছপালা, জীবজন্তু ইত্যাদি মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়। সেখানে দীর্ঘদিন প্রচণ্ড চাপে থাকতে থাকতে তারা কয়লা নামক পাললিক শিলায় রূপান্তর ঘটে। পরে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তাদের মাটির উপর উঠানাে হয়।
৩৫। বিটুমিনাস কয়লাকে বায়ুহীন পরিবেশে উত্তপ্ত করলে কি ঘটে ?
উত্তরঃ বিটুমিনাস কয়লাকে বায়ুর অনুপস্থিতিতে দহন করলে কোক উৎপন্ন হয়। দহনের ফলে উদ্বায়ী পদার্থসমূহ, যেমন- গ্যাস, আলকাতরা ইত্যাদি সরে বশিষ্ট থাকা কঠিন পদার্থটিই হল কোক।
৩৬। পেট্রোলিয়াম কিভাবে গঠিত হয় ?
উত্তরঃ কোটি কোটি বৎসর আগে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অসংখ্য ছােট বড় জীব-জন্তু এবং উদ্ভিদ সাগরের গর্ভে কাদার চাপে পড়ে গিয়েছিল। প্রচুর চাপ এবং তাপের প্রভাবে ও অক্সিজেন বিহীন, পরিবেশে ব্যাক্টেরিয়ার ক্রিয়ার ফলে এইগুলাে তৈলজাতীয় পদার্থে রূপান্তরিত হয়েছিল। এই তৈলজাতীয় পদার্থই পেট্রোলিয়াম।
৩৭। কোকের ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ কোকের ব্যবহার-
(i) একে জ্বালানী হিসাবে আকরিকের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
(ii) লৌহ এবং ইস্পাত উৎপাদনে যথেষ্ট পরিমাণে কোক ব্যবহার করা হয়।
৩৮। জীবাশ্ম- ইন্ধন কি ?
উত্তরঃ জীবাশ্ম ইন্ধন হল মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া অসংখ্য উদ্ভিদ এবং প্রাণীর ধ্বংসাবশেষ থেকে উৎপন্ন হওয়া ইন্ধন। যেমন- কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। এই ইন্ধন বর্তমানে মানুষের আবশ্যকীয় 90% শক্তির যােগান দিচ্ছে।
৩৯। জ্বালানী হিসাবে কাঠের ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণ কি ?
উত্তরঃ কারণ-
(i) জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে জ্বালানীর চাহিদা কাঠে পূরণ করা যাচ্ছে না। তা ছাড়া অতি বেশী গাছ কাটার ফলে নির্বনানীকরণ(deforestation) হতে চলছে। এর ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
(ii) আবার কাঠের ক্যালােরি মান কম এবং জ্বলনের ফলে যথেষ্ট ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় যা বাতাবরণ দূষিত করছে।
৪০। গােবর গ্যাসকে প্রজ্বালক হিসাবে ব্যবহার করা হয় কেন ?
উত্তরঃ গােবর গ্যাস জ্বললে ধোঁয়া বের হয় না এবং যথেষ্ট আলাে দেয় তাই গােবর গ্যাসকে প্রজ্বালক (illuminant) হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
৪১। গ্যাসীয় জ্বালানীর দুটি সুবিধা বা বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তরঃ গ্যাসীয় জ্বালানীর দুটি সুবিধা বা বৈশিষ্ট্য হল-
(i) এরা সহজে দাহিত হয়।
(ii) দহনের ফলে অবশেষ থাকে না।
৪২। জ্বালানী তেলের ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ (i) জ্বালানী তেল তাপ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
(ii) পাতলা জ্বালানী তেলগুলি ঘরের বার্নার এবং ভারী জ্বালানী তেলগুলি বাণিজ্যিক বার্নারে তাপ উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
৪৩। তাপভংগন বা ক্রেকিং বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ কম উদ্বায়ী এবং উচ্চ আণবিক ভরবিশিষ্ট হাইড্রোকার্বনের বিয়ােজন ঘটিয়ে বেশি উদ্বায়ী এবং নিম্ন আণবিক ভরবিশিষ্ট হাইড্রোকার্বন প্রস্তুত করা প্রক্রিয়াকে ক্রেকিং বা তাপভংগন বলে।
৪৪। নকিং রোধ করবার জন্য পেট্রোলের সঙ্গে কি যােগ কা হয় ?
উত্তরঃ টেট্রাইথাইল লেড (TEL).
৪৫। L.P.G ক্যালােরি মান-
(a) 136 কিলাে ক্যালােরি।
(b) 722 ক্যালােরি।
(c) 72.2 কিলাে ক্যালােরি।
(d) 722 কিলাে ক্যালােরি।
উত্তরঃ (d) 722 কিলাে ক্যালােরি।
৪৬। LPG নির্গমের উৎস পাওয়ার জন্য এর সঙ্গে মারকেপটান যােগ বা হয়। কারণ-
(a) ইহা উগ্র গন্ধযুক্ত।
(b) ইহা নিৰ্গম বন্ধ করে।
(c) ইহা LPG-র দহনে বাধা দেয়।
(d) ওপরের একটিও নয়।
উত্তরঃ (a) ইহা উগ্র গন্ধযুক্ত।
৪৭। পেট্রোলিয়ামের আংশিক পাতনে নীচের কোন বস্তুটি উৎপন্ন হয় না ?
(a) কয়লা।
(b) ডিজেল।
(c) পেট্রোল।
(d) কেরােসিন।
উত্তরঃ (a) কয়লা।
৪৮। কোক কি ? এর থেকে কি কি উৎপন্ন হয় ?
উত্তরঃ কোক হল কয়লা থেকে পাওয়া এক প্রকার কঠিন ইন্ধন। বায়ুর অনুপস্থিতিতে চুল্লীতে বিটুমিনাস কয়লাকে তাপ দিলে কোক’ উৎপন্ন হয়।
কোক থেকে প্রয়ােজনীয় উপজাত দ্রব্যগুলি হল- আলকাতরা, অ্যামােনিয়া লিকার, গ্যাসীয় জ্বালানী ইত্যাদি।
৪৯। নিউক্লীয় সংযােজন প্রক্রিয়া দ্বারা সূর্যে কিভাবে শক্তি উৎপন্ন হয় লিখ।
উত্তরঃ নিউক্লীয় সংযােজন প্রক্রিয়া দ্বারা সূর্যে শক্তি উৎপন্ন হওয়ার মূল উৎস হল বিভিন্ন সংযােজন বিক্রিয়া। সেগুলি হল-
1/1H + 1/1H – 2/1H + পজিট্রন + নিউট্রিনাে
1/1H + 2/1H – 3/2H + 8 (গামা বিকিরণ)
3/2He + 3/2He – 4/2He + 2 1/1H
4 1/1H – 4/2He
সুর্যে এই প্রক্রিয়াটি সর্বদা চলতে থাকে এবং শক্তি উৎপন্ন হতে থাকে।
৫০। সৌরশক্তি এবং বায়ুপ্রবাহ থেকে পাওয়া শক্তির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি কি কি ?
উত্তরঃ সৌরশক্তির ব্যবহারের সুবিধাসমূহ হল-
(i) এই শক্তির প্রত্যক্ষ ব্যবহার এক কাৰ্যদক্ষ এবং প্রদূষণ মুক্ত শক্তির বিকল্প উৎস।
(ii) এই শক্তি স্বতঃস্ফূর্ত। যতদিন সূর্য থাকবে, এই শক্তির অভাব হবে না।
(iii) সৌর শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর করে বিভিন্ন কাজে লাগানাে যায়।
সৌরশক্তির ব্যবহারের অসুবিধা সমূহ হল-
(i) এই শক্তি কেবল দিনের ভাগে ব্যবহার করতে পারা যায়। রাত্রিতে বা মেঘাচ্ছন্ন আকাশে এই শক্তি ব্যবহার করা যায় না।
৫১। নকিং কি ? একে কিভাবে রােধ করা যায় ?
উত্তরঃ গ্যাসসালিন বা পেট্রোলের দহনের সময় কিছু ক্ষেত্রে ইঞ্জিনে খুন্দা মারার মত শব্দ হয়। এই শব্দকে নকিং বলে।
নকিং রােধ করার উপায়- গ্যাসােলিন থাকা হাইড্রোকার্বনগুলি শাখা শৃংখল যুক্ত হলে নকিং বহু পরিমাণে কম হয়।
(i) নকিং রােধ করতে গ্যাসােলিনে নকিং বিরােধী যৌগ যেমন- টেট্রাইথাইল লেড (TEL) ; আয়রন কার্বলিন ইত্যাদি যােগ করা হয়।
(ii) এই শক্তি সংরক্ষণ করে রাখা একটি বড় সমস্যা।
(iii) এই শক্তি ব্যবহারের জন্য কিছু যন্ত্রপাতির আবশ্যক যেগুলাে সাধারণ সামগ্রীর ন্যায় নয় এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
বায়ুশক্তির ব্যবহারের সুবিধাগুলাে হল-
(i) বায়ুপ্রবাহের গতি শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করতে পারা যায়।
(ii) বায়ুশক্তির ব্যবহারের ফলে কোনাে ধরনের প্রদূষণ ঘটে না।
(iii) এর জন্য কোন ইন্ধনের প্রয়ােজন হয় না।
(iv) জীবাশ্ম ইন্ধনের বিকল্প হিসাবে বায়ুশক্তির ব্যবহারে মানব সভ্যতাকে আরও অধিক কাল বেঁচে থাকার সহায়ক হিসাবে কাজ করছে।
বায়ুশক্তির ব্যবহারের অসুবিধাগুলাে হল-
(i) বায়ু স্থির হয়ে থাকলে অর্থাৎ বাতাস না বইলে এই শক্তির ব্যবহার সম্ভবপর হয় না।
(ii) সাধারণ বা সকল লােকে এই শক্তির ব্যবহার করতে পারে না।
(iii) এই শক্তি কখন পাওয়া যাবে বা কখন এর অভাব হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
৫২। শক্তির বিকল্প উৎস সন্ধানের কারণ কি ?
উত্তরঃ কয়লা পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস হল জীবাশ্ম ইন্ধন। এই ইন্ধনগুলি উৎপন্ন হওয়ার জন্য লক্ষ লক্ষ বৎসরের আবশ্যক। বর্তমান পৃথিবীর আবশ্যকীয় শক্তির 90% তেল এবং গ্যাসের থেকে আসছে। গতিকে এই ইন্ধনগুলি খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাচ্ছে এবং এই শক্তিকারক ভিতরেই পৃথিবীর থেকে সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যাবে। কয়লা কিছুদিন থাকলেও ইহাও একসময় শেষ হয়ে যাবে।
তাই শক্তির বিকল্প উৎসের সন্ধান আবশ্যক হয়ে পড়েছে।
৫৩। লেবেল সহ গােবরগ্যাস প্রকল্পের একটি চিত্র আঁক।
উত্তরঃ
৫৪। সৌরশক্তি আহরণের জন্য ব্যবহার করা কৌশলসমূহ কি কি ? যে কোন দুইটির ব্যবহার উল্লেখ কর।
উত্তরঃ সৌরশক্তি আহরণের জন্য ব্যবহার করা কৌশলসমূহ হল-
(ক) ফটোভল্টায়িক কোষ।
(খ) সৌর প্রতিফলক।এবং
(গ) সৌর সংগ্রাহক।
(খ) সৌর প্রতিফলক (Solar reflections)- এইগুলি হল কতগুলি দর্পণ যেগুলি সৌরশক্তিকে একটি টাওয়ারের (উচ্চ অট্টালিকা) মধ্যবিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করে। টাওয়ারটি তারপর সৌরশক্তির তাপকে বিদ্যুৎ শক্তিতে পরিণত করে।
(গ) সৌর সংগ্রাহক (Solar collectors)- এইগুলি হইল কপার, স্টীল অথবা অ্যালুমিনিয়াম এর দ্বারা তৈরি প্লেট যেগুলি কালাে রঙে রঞ্জিত করিয়া দেওয়া হয়। বায়ু অথবা জল সংগ্রাহকটির মধ্য দিয়া প্রবাহিত হয় এবং প্লেটগুলি হতে তাপ শােষণ করে।
৫৫। এল. পি. জির প্রধান উপাদান কি ? একে কিভাবে সংরক্ষণ করা হয় ? এর প্রধান ব্যবহার কি ? এল, পি. জি, ব্যবহারে সুবিধা কি কি ?
উত্তরঃ এল. পি. জি.-র প্রধান উপাদান বিউটেন (C₄H₁₀)। এতে সামান্য পরিমাণ প্রপেন এবং ইথেন থাকে। এল.পি.জি. উচ্চচাপের প্রভাবে তরল করে সিলিণ্ডারে সংরক্ষণ করা হয়। রন্ধন ইন্ধন হিসাবে একে ব্যবহার করা হয়।
L.P.G.-এর সুবিধাসমূহ হল-
(i) পরিবহন করা সহজ।
(ii) এর দহনে বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয় না।
(iii) এর মূল্য অন্যান্য ইন্ধনের তুলনায় কম।
(iv) এর দহনে ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় না।
৫৬। জোয়ার থেকে কিভাবে শক্তি উৎপাদন করা হয় ?
উত্তরঃ জোয়ার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য শ্রেণিবদ্ধ জলকপাটের সাহায্যে নদীর মােহনায় সাগরের জলকে অববাহিকায় বেষ্টিত করে নেওয়া হয়। জোয়ারের সময় জলকপাটের মধ্য দিয়ে সাগরের জল অববাহিকায় ঢােকে। সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় জলকপাটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভাটার সময় জল পুনরায় কয়েকটি শ্রেণিবদ্ধ টার্বাইনের মধ্য দিয়ে সাগরে ফিরে আসে এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
পরিসরে সংগ্রহ করা হয়। সর্বশেষে স্তম্ভটির নির্গম নল দিয়ে উদ্বায়ী গ্যাস বের হয়ে আসে। এইভাবে পেট্রোলিয়াম শােধন করা হয়।
৫৭। বায়ু হতে শক্তি কিভাবে উৎপাদন করা হয় ?
উত্তরঃ বায়ুকলের সাহায্যে বায়ুপ্রবাহের শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে পরিণত করা হয়। একটি বায়ুকলে একটি অনুভূমিক হাতল (Shaft) থাকে। এই হাতলে তিনটি লম্বা ফলক (Blade) যুক্ত থাকে। বায়ুপ্রবাহে এই বায়ুঘূর্ণী বা ফলকগুলি ধীরে ধীরে ঘুরতে থাকে। এই ঘূর্ণায়মান ফলকের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদকের আর্মেচার ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
৫। নিউক্লীয় শক্তির ব্যবহারের অসুবিধাগুলি কি ?
উত্তরঃ নিউক্লীয় শক্তির উদ্যোগগুলির অসুবিধাসমূহ হল যে উদ্যোগসমূহের নির্মাণ এবং তদারক করার খরচ যথেষ্ট বেশি। এইগুলি বিপজ্জনক নিউক্লীয় অপচয় সৃষ্টি করে। এই অপচয়গুলি বিষাক্ত এবং এদেরকে পুনরাবর্তন করা যায় না। এই অপচয়ের ব্যবস্থাকরণ একটি অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, কারণ অতি কম পরিমাণের অপচয়ে গুরুতর পরিবেশ প্ৰদূষণ ঘটতে পারে।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.
Sir pdf de sakte ho kya
Bina buy ke
Mere paas online pay ka koi rasta nahi hain
Please sir
Pay and Read More..