Class 12 Bengali Question Answer Chapter 17 মূল্যবোধ শিক্ষা

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 Bengali Question Answer Chapter 17 মূল্যবোধ শিক্ষা Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 12 Bengali Question Answer Chapter 17 মূল্যবোধ শিক্ষা Question Answer is made for AHSEC Board students. Class 12 Bengali Question Answer Chapter 17 মূল্যবোধ শিক্ষা | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

Class 12 Bengali Question Answer Chapter 17 মূল্যবোধ শিক্ষা

Here we will provide you complete Bengali Medium AHSEC Class 12 বাংলা ( MIL ) Suggestion, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Question Answer, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Notes, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Solution, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সমাধান, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) বই প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) PDF Question Answer absolutely free of cost. If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

মূল্যবোধ শিক্ষা

তৃতীয় গোট

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) মূল্যবোধ শিক্ষা পাঠটির লেখক কে ? 

উত্তরঃ মূল্যবোধ শিক্ষা পাঠটির লেখক ড° সুজিত বর্ধন । 

( খ ) মূল্যবোধ বলতে কী বোঝ ? 

উত্তরঃ সামাজিকভাবে সমর্থিত যেসব আচরণ , কর্ম বা বিষয়কে গুরুত্ব ও সন্মানের সঙ্গে মানুষ আয়ত্ত করতে চেষ্টা করে , সেই সকল আচরণ , কর্ম বা বিষয়কে মূল্যবোধ বলা হয় । 

( গ ) মূল্যবোধ কোনো ____ গুণ নয়। ( শূন্যস্থান পূর্ণ করো ) 

উত্তরঃ মূল্যবোধ কোনো জন্মগত জন্মগত গুণ নয়।

( ঘ ) কত সালে জাতীয় শিক্ষা এবং গবেষণা পরিষদ চুরাশি প্রকার মূল্যবোধের তালিকা প্রস্তুত করেছে ? 

উত্তরঃ ১৯৭৯ সালে জাতীয় শিক্ষা এবং গবেষণা পরিষদ চুরাশি প্রকার মূল্যবোধের তালিকা প্রস্তুত করেছে । 

২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) মূল্যবোধ কীভাবে আহরণ করা যায় ? 

উত্তরঃ প্রথমত কোনো শিশু কোনো বোধ নিয়ে জন্ম লাভ করে না । মূল্যবোধ কোনো জন্মগত গুণ নয় । অন্য যেকোনো বোধের মত মূল্যবোধও ব্যক্তির নিজের জীবনের আহরণ করা গুণ । প্রথমত পরিবার , পরে বিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সামাজিক পরিবেশ থেকে জীবনের প্রয়োজনীয় মূল্যবোধ আহরণ করে ।

( খ ) টীকা লেখো : 

সামাজিক মূল্যবোধ , আবেগিক মূল্যবোধ , নন্দনতাত্ত্বিক মূল্যবোধ , আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ , নৈতিক মূল্যবোধ । 

উত্তরঃ সামাজিক মূল্যবোধ :- সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তিকে সমাজে সঠিক পদক্ষেপে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে এবং সন্মানের সঙ্গে বসবাস করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে । এই ধরনের সামাজিক মূল্যবোধগুলি হল – সহযোগিতা , বন্ধুত্বভাব , পরোপকার , সহানুভূতি , সংযম , দয়া , ক্ষমা, প্রেম ইত্যাদি । এই ধরনের মূল্যবোধ সামাজিক রীতি – নীতি , আচার – ব্যবহার ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত । 

আবেগিক মূল্যবোধ :- আবেগিক মূল্যবোধ ব্যক্তিকে সমাজের অন্য লোকের দুঃখ – কষ্ট এবং বিপদ – আপদে পাশে থাকার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করে । আবেগিক মূল্যবোধের জন্যই আমরা সমাজে একে অপরের দুঃখে দুঃখ এবং সুখে সুখ অনুভব করি । অর্থাৎ এই মূল্যবোধের উপরই মানবিক সম্পর্কগুলি টিকে থাকে । সামাজিক বন্ধন অটুট রাখতে এই মূল্যবোধ অত্যন্ত জরুরী । 

নন্দনতাত্ত্বিক মূল্যবোধ :- ব্যক্তিভেদে সৌন্দর্যবোধ ভিন্ন । বস্তুত মানসিকতার তারতম্যের উপরই এই মূল্যবোধ নির্ভর করে । সেজন্যই একই জিনিস ভিন্ন জনের কাজে ভিন্নভাবে ধরা দেয় । এই বোধের জন্যই চিত্রকলা , সংগীত , সুকুমার কলা , ভাস্কর্য ইত্যাদি সৃষ্টির দ্বারা মানুষ আনন্দ লাভ করে। 

আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ :- বিখ্যাত দার্শনিক তথা শিক্ষাবিদ প্লেটোর মতে আধ্যাত্মিকতার উপলব্ধিই শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত । ভারতীয় সমাজ জীবনে আধ্যাত্মিকতার এক বিশেষ গুরুত্ব আছে । আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ ব্যক্তির আত্মার বিকাশের উপর অধিক গুরুত্ব প্রদান করে । এই মূল্যবোধ অনেকটা ধর্মভাবের সঙ্গে জড়িত । 

নৈতিক মূল্যবোধ :- সংসারে নিজেকে প্রকৃত মানুষরূপে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত করতে হলে নৈতিক মূল্যবোধ আহরণ করা অতি আবশ্যকীয় । আমাদের সততা , নিষ্ঠা , ন্যায়পরায়ণতা পরোপকারিতা , সহযোগিতা ইত্যাদি এই ধরনের মূল্যবোধ । 

৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) পাঠে উল্লিখিত যে কোনো দুটি মূল্যবোধ সম্পর্কে বিস্তারিত লেখো। 

উত্তরঃ সাধারণতঃ আক্ষরিক অর্থে মূল্যবোধ বলতে বোঝায় আমাদের সামাজিক জীবন সুস্থভাবে পরিচালনা করার জন্য বা সামাজিক জীবন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রচলিত কিছু নীতি ও আদর্শ – — যেগুলো মানুষ শিক্ষা ও সামাজিকীকরণের মাধ্যমে আয়ত্ত করে ।

নৈতিক শব্দটি ইংরাজি ‘ Moral ’ থেকে এসেছে । আবার ‘ Moral ‘ শব্দটি ল্যাটিন ভাষা ‘ মরীজ ’ থেকে উৎপত্তি হয়েছে – যার অর্থ আচার ব্যবহার ও লোকাচার । নৈতিকতার সঙ্গে সামাজিক নীতি – নিয়ম ও আদর্শ জড়িত থাকে । মানুষ জন্মমুহূর্তে সামাজিক ধারণা নিয়ে জন্মায় না । ক্রমে সমাজের সংস্পর্শে এসে পরিবেশ ও শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যে সামাজিক নীতিগুলি আয়ত্ত করে । কেবল জন্মগত প্রবৃত্তি মানুষকে সামাজিক জীব হিসাবে গড়ে তুলতে পারে না । এমনকি জন্মগত প্রবৃত্তির কখনও সংশোধনও প্রয়োজন হয়। আর এই পরিবর্তনের জন্য চাই উচ্চমূল্যবোধ , উচ্চ আদর্শ ও মনোভাব । নৈতিকতার অর্থ সমাজের সেই নীতি নিয়মগুলো মেনে চলা । সামাজিক নীতি – নিয়মের বিরুদ্ধে করা আচরণকেই অনৈতিক আচরণ বলে। 

নৈতিক মূল্যবোধ সামাজিক , অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক প্রশাসনিক প্রভৃতি সকল ক্ষেত্ৰতেই প্রভাবিত করে । শিশুর নৈতিক বিকাশের জন্য কিছু বাস্তব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা সকলেই উপলব্ধি করছে । মনোবিজ্ঞানীরা শিশুর নৈতিক বিকাশের জন্য ক্রমাগত গবেষণা চালিয়ে যুক্তিনিষ্ঠা , পরোপকারিতা , দায়িত্ববোধ ও নৈতিক স্বতন্ত্রতা – এই চারটি আচরণের কথা উল্লেখ করেছেন । বিজ্ঞান প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ এমন বিলাস বহুল জীবন যাপনে উদ্যোগী ফলে মানুষ বস্তুকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে । ফলস্বরূপ নৈতিক মূল্যবোধগুলি সমাজ থেকে অন্তর্হিত হতে চলেছে । বর্তমানে নৈতিক মূল্যবোধ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সকলে অনুভব করছে । 

আদর্শবাদী দার্শনিকদের মতে মানুষ অন্য জীব – জন্তু অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হওয়ার কারণই হলো আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ । ভারতীয় সংস্কৃতিতে আধ্যাত্মিক আলাদা মূল্য দেওয়া হয় । অবশ্য আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে ধর্মীয় মূল্যবোধের একটা সম্পর্ক আছে । ভারতবর্ষে বেদ উপনিষদের যুগ থেকেই মনীষীরা আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের ওপরই প্রতিষ্ঠিত । আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ বস্তুবাদী জগতের ওপর গুরুত্ব না দিয়ে মন বা আত্মার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে । মন বা আত্মার বিকাশেই মানুষকে উচ্চ স্তরে নিয়ে গিয়ে সুখ দিতে পারে । অন্যদিকে , বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতা মানুষকে বস্তুবাদী জগতের প্রতি বেশি আকর্ষিত করছে । আদর্শবাদীদের মতে বর্তমান পরিস্থিতির এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় ভালোবাসা , শ্রদ্ধা , সংযম অহিংসা প্রভৃতি

আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের বিকাশ । আধ্যাত্মিক মূল্যবোধের অভাবই মানুষকে দুর্নীতি পরায়ণ করে তুলেছে । এবং দুনীর্তিমুক্ত সমাজ গঠন করতে আধ্যাত্মিক মূল্যবোধই সহায়ক হয় ।

S.L. No.সূচী-পত্ৰ
পাঠ -১অভিসারের পূর্ব প্রস্তুতি – গোবিন্দ দাস
পাঠ -২অন্নদার আত্মপরিচয় – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
পাঠ -৩বঙ্গভাষা – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
পাঠ -৪মাতৃহৃদয় – প্রিয়ংবদা দেবী
পাঠ -৫কৃপণ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাঠ -৬কুলিমজুর – কাজী নজরুল ইসলাম
পাঠ -৭পূব-পশ্চিম – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
পাঠ -৮খরা – শঙ্খ ঘোষ
পাঠ -৯ফুলের বিবাহ – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
পাঠ -১০স্বাদেশিকতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাঠ -১১আমার জীবনস্মৃতি – লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া
পাঠ -১২মন্ত্রের সাধন – জগদীশচন্দ্র বসু
পাঠ -১৩মাস্টার মহাশয় – প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
পাঠ -১৪দিবসের শেষে – জগদীশ গুপ্ত
পাঠ -১৫গণেশ জননী – বনফুল
পাঠ -১৬ভাত – মহাশ্বেতা দেবী
পাঠ -১৭মূল্যবোধ শিক্ষা – ড° সুজিত বর্ধন
পাঠ -১৮কৈশোরকাল ও তার উপযোগী শিক্ষা ড° কাবেরী সাহা
পাঠ -১৯ব্যাকরণ
পাঠ -২০রচনা

 

( খ ) মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের কী প্রয়োজন সাধন করে ? বিস্তারিত লেখো । 

উত্তরঃ প্রথমত মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের মধ্যে মূল্যবোধকে জাগ্রত করে। মূল্যবোধ শিক্ষা একটি নতুন বিষয় । জ্ঞানকে শুধুমাত্র পুঁথিগত করে না করে ব্যবহারিক জীবনে আত্মশক্তি ও আত্মানুশাসনের প্রত্যয়ের সৃষ্টি করা মূল্যবোধ শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য । অন্যায় , অবিচার , হিংসা , বিদ্বেষ মিথ্যাচার ইত্যাদি পরিবার করে সহযোগিতা , সহানুভূতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য এই শিক্ষা উপযুক্ত মানসিকতার সৃষ্টি করে । এই শিক্ষার আরেকটি উদ্দেশ্য হল জাতি – ধর্ম – বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে সমান দৃষ্টিতে দেখার ক্ষমতাও সৃষ্টি করে । মূলতঃ এই শিক্ষা মানুষকে দৃঢ় চরিত্র গড়তে সাহায্য করে । আজকের তরুণ তরুণীরাই দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক । 

তাই তাদের সংকীর্ণ মনোভাবকে উদার দৃষ্টিভঙ্গীতে উত্তীর্ণ করাও এই শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য । আমাদের দেশের সংস্কৃতি , ঐতিহ্য , পরম্পরা ইত্যাদির প্রতি ছাত্র – ছাত্রীদের এক শ্রদ্ধাশীল মনোভাব জাগ্রত করতে হবে । মূল্যবোধর অবক্ষয়ের জন্যই আজকের প্রজন্মের তরুণ – তরুণীদের মধ্যে শিষ্টাচারের অভাব , অপরাধ প্রবণতা , অশালীন আচরণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে । এই সমস্ত সমাধানের একমাত্রা পথ মূল্যবোধের প্রসার ঘটানো । এইজন্যই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় মূল্যবোধ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা একান্ত আবশ্যক । 

( গ ) মূল্যবোধ শিক্ষা কী আবশ্যক বলে তোমার মনে হয় ? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও । 

উত্তরঃ মূল্যবোধ শিক্ষার ধারণা ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থায় একদম নূতন নয় । ভারতবর্ষের প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা মূল্যবোধের আধারে গঠিত হয়েছিল । শিক্ষার অন্য এক উদ্দেশ্য হলো মূল্যবোধের উপলব্ধি করানো । বিচিত্র সংস্কৃতির মিলনভূমি ভারতবর্ষের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিভিন্ন আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠাছাত্র – ছাত্রী পড়াশুনা করতে আসে । ফলে , এদের মূল্যবোধের প্রকার বিভিন্ন হওয়াটা স্বাভাবিক । অন্যদিকে , বর্তমানের বিজ্ঞান প্রযুক্তিবিদ্যার বিকাশ তথা পাশ্চাত্য – সংস্কৃতির প্রভাবে নূতন প্রজন্মের মধ্যে নূতন নূতন মূল্যবোধের সৃষ্টি হচ্ছে । ভারতীয় সংস্কৃতিতে মূল্যবোধের সম্পর্কিত চিন্তাধারা যথেষ্ট প্রাচীন । ভারতীয় দর্শন বস্তুতঃ মূল্যবোধের দর্শন। ভারতীয় দর্শন পাশ্চাত্য দর্শনের মতো কেবল রহস্য থেকে সৃষ্টি হয়নি , বরং প্রয়োজনের খাতিরেই ভারতীয় দর্শনের সৃষ্টি হয়েছিল । বস্তুত সমাজে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক প্রয়োজনের নিরিখেই আমাদের দর্শনের সৃষ্টি । ভারতীয় দর্শনের সৃষ্টি হয়েছিল মানুষকে জীবন ধারণের শ্রেষ্ঠ পন্থা নির্দেশ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে । ভারতীয় দর্শন মূল্যবোধকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করেছে – 

( ১ ) ধন ।

( ২ ) অর্থ ।

( ৩ ) কাম । এবং

( ৪ ) মোক্ষ । 

এই চারটি ছাড়াও ভারতীয় জীবন দর্শনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তিনটি প্রধান মূল্যবোধ – সত্যম , শিবম , সুন্দরম – এর ভিত্তিতে থাকে ‘ ত্রিনীতি ’ বলা হয় । মূল্যবোধের ক্ষেত্রে ভারতীয় দর্শনের অবদান অপরিসীম । ভারতীয় মূল্যবোধের এক অভিনব সংযোজন হচ্ছে অহিংসা । ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ভারতবর্ষ একটি সার্বভৌম , গণতান্ত্রিক , সমাজবাদীও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত । ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যে স্বাধীনতা , সমতা , ন্যায় ও ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করে ভারতবর্ষকে একটি মূল্যবোধসম্পন্ন আদর্শ রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস করা হয়েছে । মৌলিক কর্তব্যের উল্লেখে ভারতীয় সংবিধানে মূল্যবোধের স্বীকৃতি এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে । এভাবেই প্রাচীন বেদ, উপনিষদ , পুরাণ , রামায়ণ , মহাভারত অর্থাৎ সত্যযুগ থেকে শুরু করে এই একুশ শতকের বিজ্ঞান প্রযুক্তির যুগ পর্যন্ত এক অবিরত ও ক্রম বিবর্তিত সময়োপযোগী ধারায় ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় মূল্যবোধের ধারণাটি পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হয়ে ক্রমশঃ এগিয়ে চলেছে । 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। ভারতবর্ষের প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থায় মূল্যবোধের ধারণা কীসের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল ? 

উত্তরঃ ভারতবর্ষের প্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা মূল্যবোধের আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল । 

২। পাঁচ প্রকার মূল্যবোধের নাম লেখো ? 

উত্তরঃ ( ক ) সামাজিক মূল্যবোধ।

( খ ) আবেগিক মূল্যবোধ।

( গ ) নন্দনতাত্ত্বিক মূল্যবোধ।

( ঘ ) আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ।

( ঙ ) নৈতিক মূল্যবোধ সামাজিক মূল্যবোধ।

৩। দৈনন্দিন জীবনে আমাদের কিভাবে সাহায্য করে ? 

উত্তরঃ সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তিকে সমাজে সঠিক পদক্ষেপে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে এবং সন্মানের সঙ্গে বসবাসের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। 

৪। কোন মূল্যবোধের উপর মানবিক সম্পর্কগুলি টিকে থাকে ? 

উত্তরঃ আবেগিক মূল্যবোধের উপর মানবিক সম্পর্কগুলি টিকে থাকে। 

৫। প্লেটোর মতে আমাদের শিক্ষার লক্ষ্য কি হওয়া উচিত ? 

উত্তরঃ বিখ্যাত দার্শনিক তথা শিক্ষাবিদ প্লেটোর মতে আধ্যাত্মিকতার উপলব্ধিই শিক্ষার লক্ষ্য হওয়া উচিত। 

৬। শূন্যস্থান পূরণ করো : 

( ক ) সামাজিক বন্ধন অটুট রাখতে ___মূল্যবোধ অত্যন্ত জরুরী । 

উত্তরঃ আবেগিক । 

( খ ) আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ অনেকটা ____ সঙ্গে জড়িত । 

উত্তরঃ ধর্মভাবের । 

( গ ) মূল্যবোধের ____জন্যই আজকের প্রজন্মের তরুণ – তরুণীদের মধ্যে শিষ্টাচারের অভাব দেখা দিয়েছে । 

উত্তরঃ অবক্ষয়ের ।  

৭। মানব সমাজে মূল্যবোধের কি প্রয়োজন ? 

উত্তরঃ মূল্যবোধের আদর্শ এবং জ্ঞান মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের থেকে শ্রেষ্ঠ এবং উন্নত জীনব ধারণ পদ্ধতির শিক্ষা দেয় । মূল্যবোধ শিক্ষা মানুষকে চারিত্রিক , মানসিক ইত্যাদি বিভিন্নভাবে উন্নত করে । সেইজন্য মানব সমাজে মূল্যবোধ শিক্ষা অতি প্রয়োজনীয় বিষয় । 

৮। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মূল্যবোধের বিভিন্নতার কারণ কি ? 

উত্তরঃ ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম সংস্কৃতি এবং পরিবেশ থেকে আসার ফলে আমাদের ছাত্র – ছাত্রীদের মধ্যে মূল্যবোধের বিভিন্নতা দেখা যায় । 

৯। মূল্যবোধের সঙ্গে ভালো খারাপ বা উচ্চ – নীচের প্রশ্ন থাকে কি ? 

উত্তরঃ মূল্যবোধের সঙ্গে ভালো – খারাপ বা উচ্চ – নীচের প্রশ্ন থাকে না । মূল্যবোধ সকল সময়েই একই দিকে চলে । 

১০। “ ব্যক্তি জীবন ও সমাজ জীবনকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করে তুলতে মূল্যবোধের একটি অতি মূল্যবান ভূমিকা রয়েছে ’ পাঠ্যক্রম অবলম্বনে লেখকের এই মন্তব্যের পক্ষে বা বিপক্ষে তোমার মতামত দাও । 

উত্তরঃ মূল্যবোধ মানব জীবনের চর্যা । মানব জীবনের সঙ্গে সমস্ত কাব্যের সঙ্গে মূল্যবোধ বিষয়টি সংপৃক্ত হয়ে থাকে । মূল্যবোধ ব্যক্তি ও সমাজের সঙ্গে জড়িত । মূল্যবোধের সম্পর্ক সমাজ সংস্কৃতি সভ্যতার সঙ্গে জড়িত । মূল্যবোধ ব্যক্তিকে সমাজে সঠিক পদক্ষেপে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে এবং সন্মানের সঙ্গে বসবাস করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে । আবার ব্যক্তিকে সমাজের অন্য লোকের দুঃখ কষ্ট এবং বিপদ আপদে পাশে থাকার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করে । অর্থাৎ মূল্যবোধের উপরই মানবিক সম্পর্কগুলি টিকে থাকে । সামাজিক বন্ধন অটুট রাখতে এই মূল্যবোধ অত্যন্ত জরুরি । 

শব্দার্থ : 

অন্তর্নিহিত :- ভিতরে রয়েছে এমন।

তাৎপর্য :- অর্থ , মর্ম , অভিপ্রায়।

ভাস্কর্য :- মূর্তিশিল্প , খোদাইয়ের কাজ।

মৈত্রী :- মিত্রতা , সৌহার্দ্য , বন্ধুত্ব।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top