Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Bengali Medium Syllabus of AHSEC Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি Question Answer in Bengali. Are you a Student of Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি Notes in Bengali. Which you Can Download Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি Solutions in Bengali for free using direct Download Link Given Below in This Post.
Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি
Today’s We have Shared in This Post, Class 12 Economics Chapter 6 বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি Question Answer Bengali Medium for Free with you. HS 2nd Year Economics Notes in Bengali I Hope, you Liked The information About The HS 2nd Year Economics Question Answer in Bengali PDF. if you liked Assam AHSEC Solutions for Class 12 Economics in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি
ক – অংশ (সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞান)
প্রশ্ন ১। আমদানি ফলন দেওয়া আছে M = 50 + 0.4Y। প্রান্তিক আমদানি প্রবণতা কী ?
উত্তরঃ প্রান্তিক আমদানি প্রবণতা হল 0.4
প্রশ্ন ২। মুক্ত অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ যে আর্থিক ব্যবস্থায় আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হয়, সেই আর্থিক ব্যবস্থা হবে মুক্ত অর্থ ব্যবস্থা।
প্রশ্ন ৩। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো।
GDP অনুপাতে মোট বৈদেশিক বাণিজ্য হল একটি অর্থনীতি কী পরিমাণে মুক্ত তা পরিমাপ করা হয়।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
প্রশ্ন ৪। 2006-07 সালে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য ছিল GDP অর্থাৎ মোট ঘরোয়া উৎপাদনের 34.9%, 1985-86 সনে এটি ছিল 20.9%। এই তথ্যের ভিত্তিতে কোন্ সনে ভারতের অর্থনীতি তুলনামূলকভাবে অধিক মুক্ত ছিল ?
উত্তরঃ 2006-07 সালে ভারতের অর্থনীতি অধিক মুক্ত ছিল।
প্রশ্ন ৫। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের প্রচলন করা একক মুদ্রা থাকে।
উত্তরঃ অশুদ্ধ।
প্রশ্ন ৬। বৈদেশিক লেনদেনের সমতা কী ?
অথবা,
পরিশোধের সমতা কী ?
উত্তরঃ একটি রাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যান্য রাষ্ট্রের মধ্যে এক নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পাদিত হওয়া অর্থনৈতিক লেনদেনের প্রণালীবদ্ধ বিবৃতিই হল বৈদেশিক লেনদেনের সমতা বা পরিশোধের সমতা।
প্রশ্ন ৭। লেনদেনের সমতার দুটি প্রধান হিসাব উল্লেখ করো।
অথবা,
পরিশোধের সমতার মূল উপাদান দুটি কী কী ?
উত্তরঃ (১) চলতি হিসাব।
(২) মূলধনী হিসাব।
প্রশ্ন ৮। একটি দেশের বাণিজ্য ঘাটতি এবং চলিত হিসাবে উদ্বৃত্ত একসঙ্গে থাকতে পারে কি ?
উত্তরঃ হ্যাঁ।
প্রশ্ন ৯। অদৃশ্য বাণিজ্য কী ?
উত্তরঃ স্পর্শ অযোগ্য এবং হস্তান্তর অযোগ্য সামগ্রী লেনদেনকে অদৃশ্য বাণিজ্য বলে। যেমন – সেবার লেনদেন।
প্রশ্ন ১০। হস্তান্তর পরিশোধ কী ?
উত্তরঃ একটি দেশের বাসিন্দাগণ যে সকল আয় মুক্তভাবে লাভ করে এবং যার বিনিময়ে কোন মূল্য প্রদান করতে হয় না, এইরূপ প্রাপ্তিকে হস্তান্তর পরিশোদ বলে। যেমন- উপহার, দান।
প্রশ্ন ১১। বৈদেশিক বিনিময় বাজারের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ যে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয় বিক্রয় হয়, সেই বাজারকে বৈদেশিক বিনিময় বাজার বলে।
প্রশ্ন ১২। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে অংশগ্রহণকারী একটি প্রতিষ্ঠানের নাম লেখো।
উত্তরঃ বাণিজ্যিক ব্যাংক।
প্রশ্ন ১৩। বৈদেশিক বিনিময় হারের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ একটি দেশের মুদ্রা অন্য একটি দেশের মুদ্রায় যে হারে রূপান্তর করা হয়, সেই হারটিই হল বৈদেশিক বিনিময় হার। যেমন- বর্তমানে টাকার বিনিময় মূল্য ডলারের নিরিখে 68 টাকা।
প্রশ্ন ১৪। ‘টাকা-ডলারের বিনিময় হার হল 45 টাকা’ এই উক্তিটির দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তরঃ $1 = ₹ 45 এর অর্থ হল আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য থাকা কোনো দ্রব্য সামগ্রীর ভারতীয় মূল্য 45 টাকা হলে, আমেরিকায় বাজার দর হবে 1 ডলার। অর্থাৎ আমেরিকার এক ডলারের বিনিময় হার ভারতীয় মুদ্রায় 45 টাকা।
প্রশ্ন ১৫। ক্রয়ক্ষমতার সমতা কী ?
উত্তরঃ দীর্ঘকালে সমজাতীয় সামগ্রীর উৎপাদন ব্যয় বিভিন্ন রাষ্ট্রে একই হবে। ক্রয়ক্ষমতার সমতাতত্ত্ব অনুসারে, যখন কোনো বাণিজ্যিক অবরোধ থাকে না তখন বিনিময় হার নিজেই সমন্বয় সাধন করে নেয় যাতে উৎপন্ন দ্রব্যের ব্যয় একই হয়। সহজ কথায়, দুটি বিদেশি মুদ্রার আভ্যন্তরীণ ক্রয় ক্ষমতার অনুপাতকে ক্রয়ক্ষমতার সমতা বলে।
প্রশ্ন ১৬। প্রকৃত বিনিময় হার কী ?
উত্তরঃ একই মুদ্রায় ঘরোয়া দামকে বৈদেশিক দামে পরিমাপ করার অনুপাতকে প্রকৃত বিনিময় হার বলে।
প্রশ্ন ১৭। Y = C + I + G + NX সমীকরণে NX কী বোঝায় ?
উত্তরঃ NX বোঝায় Net Export অর্থাৎ শুদ্ধ রপ্তানি।
প্রশ্ন ১৮। শুদ্ধ না অশুদ্ধ লেখো।
ইতিবাচক NX বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বুঝায়।
উত্তরঃ শুদ্ধ।
প্রশ্ন ১৯। সঠিক শব্দ বের করো।
সরকারি প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিথিল বিনিময় হারে ঘরোয়া মুদ্রার দাম হ্রাস হওয়াকে ………. বলা হয়। (অবক্ষয়/অবমূল্যায়ন/পুনর্মূল্যায়ন)
উত্তরঃ অবমূল্যায়ন।
প্রশ্ন ২০। বিভিন্ন দেশে একই ধরনের দ্রব্যের দাম একই হয় বলা আন্তরাষ্ট্রীয় বিনিময় সূত্রটির নাম লেখো।
উত্তরঃ ক্রয়ক্ষমতার সমতা তত্ত্ব।
প্রশ্ন ২১। দ্বৈত নামিক বিনিময় হার কী ?
উত্তরঃ টাকার মূল্যে দুটি দেশের মুদ্রার মধ্যে লেনদেনের হারকে দ্বৈত নামিক বিনিময় হার বলে। উদাহরণস্বরূপ – $1 = ₹ 68 হল দ্বৈত নামিক বিনিময় হার।
প্রশ্ন ২২। বৈদেশিক মুদ্রার যোগানের দুটি উৎসের নাম লেখো।
উত্তরঃ বৈদেশিক মুদ্রার যোগানের উৎস হল –
(১) রপ্তানিকারীদের নিকট বৈদেশিক মুদ্রা।
(২) বৈদেশিক বিনিয়োগ।
প্রশ্ন ২৩। NEER ও REER এই দুটি ধারণার পূর্ণাঙ্গ রূপ লেখো।
উত্তরঃ NEER = Nominal Effective Exchange Rate
REER = Real Effective Exchange Rate.
প্রশ্ন ২৪। সত্য না অসত্য লেখো।
যদি প্রকৃত বিনিময় হার একের সমান হয়, তবে মুদ্রাগুলোর ক্রয়ক্ষমতা সমতায় উপনীত হয়।
উত্তরঃ সত্য।
প্রশ্ন ২৫। বৈদেশিক লেনদেন বিবৃতির তৃতীয় উপাদান কী ?
উত্তরঃ ভ্রান্তি ও বর্জন।
প্রশ্ন ২৬। বাণিজ্যিক সমতা কী ?
উত্তরঃ রপ্তানিজাত দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য এবং আমদানিজাত দ্রব্যসামগ্রীর মূল্যের পার্থক্য হল বাণিজ্যিক সমতা।
প্রশ্ন ২৭। হিসাব রক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে লেনদেন সমতা কীরূপ হবে ?
উত্তরঃ সর্বদাই সমান হবে।
S.L No. | CONTENTS |
Chapter – 1 | সমষ্টিগত অর্থবিজ্ঞানের ভূমিকা |
Chapter – 2 | জাতীয় আয় গণনা |
Chapter – 3 | মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা |
Chapter – 4 | আয় নির্ধারণ |
Chapter – 5 | সরকারি বাজেট এবং অর্থনীতি |
Chapter – 6 | বৈদেশিক বাণিজ্যযুক্ত সমষ্টিবাদী অর্থনীতি |
Chapter – 7 | স্বাধীনতার প্রাক্কালে ভারতীয় অর্থনীতি ও ভারতীয় অর্থনীতি (1950-1990) |
Chapter – 8 | উদারিকরণ, বেসরকারিকরণ ও বিশ্বায়ণ: একটি মূল্যায়ন |
Chapter – 9 | দারিদ্র্য |
Chapter – 10 | ভারতের মানব মূলধন গঠন |
Chapter – 11 | গ্রামোন্নয়ন |
Chapter – 12 | কর্মসংস্থান |
Chapter – 13 | পরিকাঠামো |
Chapter – 14 | পরিবেশ ও সুস্থায়ী উন্নয়ন |
Chapter – 15 | ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশসমূহের তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতা |
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। বৈদেশিক লেনদেনের হিসাব কী ?
উত্তরঃ পৃথিবীর অন্যান্য সব দেশের সঙ্গে কোন দেশের সবরকমের আর্থিক লেনদেনের সামগ্রিক ও পূর্ণাঙ্গ হিসাবকে বৈদেশিক লেনদেনের হিসাব বলে।
প্রশ্ন ২। ব্রিটন উডস্ সমাবেশ কোন্ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ?
উত্তরঃ 1944 সালে।
প্রশ্ন ৩। আমেরিকার ব্রিটন উডস্ সমাবেশে দুটি আন্তর্জাতিক বিত্তীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় – প্রতিষ্ঠান দুটির নাম লেখো।
উত্তরঃ International Monetary Fund (IMF) / (আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার)। International Bank for Reconstruction and Development (IBRD)/(বিশ্ব ব্যাঙ্ক)
প্রশ্ন ৪। সাংগঠনিক সমন্বয় ব্যবস্থা কী ?
উত্তরঃ বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিলে কোন সদস্য রাষ্ট্র IMF এর কাছে বিত্তীয় সাহায্য বা ঋণের জন্য অনুরোধ জানাতে পারে। IMF বিত্তীয় সাহায্য এগিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পূর্বশর্ত হিসাবে কিছু অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাব সদস্য রাষ্ট্রটির কাছে উত্থাপন করে। সংস্কারমূলক এই ব্যবস্থাটি হচ্ছে IMF এর সাংগঠনিক সমন্বয় ব্যবস্থা।
প্রশ্ন ৫। স্থির বিনিময় হারের দুটি সুবিধা লেখো।
উত্তরঃ (১) স্থির বিনিময় হার বিশ্ব বাণিজ্যকে গতিশীল করে তোলে।
(২) বিনিময় হারের স্থিরতা রক্ষা করে।
প্রশ্ন ৬। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার অর্থাৎ IMF এর ‘কাগজী সোনা’ মানে কী ?
উত্তরঃ Special Drawing Rights (SDRS) অর্থাৎ বিশেষ ঋণ গ্রহণ অধিকার।
প্রশ্ন ৭। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের সদর কার্যালয় কোথায় অবস্থিত ?
উত্তরঃ ওয়াশিংটন।
প্রশ্ন ৮। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের সদস্য রাষ্ট্র কতটি ?
উত্তরঃ 185
প্রশ্ন ৯। জাপানের মুদ্রাকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ ইয়েন (Yen)।
প্রশ্ন ১০। ব্রিটেনের মুদ্রাকে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ পাউণ্ড স্টার্লিং।
প্রশ্ন ১১। লেনদেন সমতা ঘাটতি দূর করবার প্রধান উপায় কী ?
উত্তরঃ রপ্তানি বৃদ্ধি।
প্রশ্ন ১২। PPP-র সম্পূর্ণ রূপ কী ?
উত্তরঃ Purchasing Power Parity (PPP)
প্রশ্ন ১৩। একটি দেশের মুদ্রার উর্ধমূল্যায়ন মান বলতে কী বোঝ ?
উত্তরঃ যখন বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় ঘরোয়া মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন তাকে মুদ্রার ঊর্ধমূল্যায়ন মান বলে। অর্থাৎ সমান দেশীয় মুদ্রার বিপরীতে অধিক মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।
সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। মুক্ত অর্থনীতি প্রসঙ্গে বাজার সংযোগ, আর্থিক বাজার সংযোগ এবং উৎপাদনের উপাদানের বাজার সংযোগের অর্থ লেখো।
উত্তরঃ মুক্ত অর্থনীতিতে ক্রেতা বিক্রেতারা আভ্যন্তরীণ ও বিদেশি পণ্য পছন্দ করার সুযোগ পায়। এটা হচ্ছে উৎপাদন বাজারের সংযুক্তিকরণ।
মুক্ত অর্থনীতিতে মূলধন জাত সম্পদের চলমানতা দেশের গণ্ডি পার হয়ে বিদেশে পৌঁছে। এটা হচ্ছে আর্থিক বাজারের সংযুক্তিকরণ। ফার্মগুলো উপাদানস্থল নির্বাচন এবং কর্মীরাও কোথায় কাজ করবে তা নিজেরা স্থির করতে পারে। এটা হল উৎপাদনের উপাদানের বাজার সংযোগ।
প্রশ্ন ২। শিথিল বিনিময় হার কী ?
উত্তরঃ শিথিল বিনিময় হার পদ্ধতিতে এক বিশেষ স্তরে বিনিময় হার আটকানো থাকে। শিথিল বিনিময় হার মুদ্রাবিষয়ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত হয়। এই পদ্ধতিতে যখন সামাজিক কার্যকলাপ দ্বারা বিনিময় হার বৃদ্ধি করা হয় তখন তাকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলা হয়।
প্রশ্ন ৩। মুদ্রার অবমূল্যায়ন কী ? মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলতে কী বোঝ ? মুদ্রার অবমূল্যায়ন একটি দেশের আমদানির পরিমাণকে কীভাবে প্রভাবিত করে ?
উত্তরঃ সরকার দ্বারা একটি দেশের প্রচলিত মুদ্রার মূল্য অন্য দেশের মুদ্রার তুলনায় হ্রাস করা প্রক্রিয়াকে মুদ্রার অবমূল্যায়ন বলে। সরকারি আদেশের মাধ্যমে দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়। একটি দেশ দীর্ঘদিন লেনদেনে ঘাটতির সম্মুখীন হলে সেই দেশ মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটিয়ে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করে বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্যতা অর্জন করতে পারে। মুদ্রার অবমূল্যায়ন হলে বৈদেশিক দ্রব্যের দাম দেশীয় বাজারে বৃদ্ধি হয়, ফলে আমদানি হ্রাস পায়।
প্রশ্ন ৪। স্বর্ণমান (Gold Standard) কী ?
উত্তরঃ স্বর্ণমান হল স্থির বিনিময় ব্যবস্থার নামান্তরমাত্র। এই ব্যবস্থায় সকল দেশের মুদ্রার মূল্য সোনার মানে প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি অংশগ্রহণকারী দেশ নিজের মুদ্রা এক স্থির মূল্যে সোনার মানে প্রকাশ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। 1870 সন থেকে 1914 সাল পর্যন্ত স্বর্ণমান ব্যবস্থা প্রচলন ছিল। এই ব্যবস্থার দ্বারা মুক্ত বাণিজ্যে লেনদেনের ঘাটতি সমস্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাধান করতে সহায়ক হয়েছিল।
প্রশ্ন ৫। পরিচালিত ভাসমান বিনিময় হার কী ?
উত্তরঃ এটি একটি পদ্ধতি যেখানে আন্তর্জাতিক বিত্তীয় বাজারে চাহিদা ও যোগান শক্তির দ্বারা বিনিময় হার নির্ধারিত হয়। কিন্তু সময়ে এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিময় হার নির্ধারণে হস্তক্ষেপ করে। এভাবে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিনিময় হারের গতিশীলতাকে সুস্থ করতে চেষ্টা চালায়। সহজ কথায়, পরিচালিত ভাসমান বিনিময় হার হল নমনীয় বিনিময় হার পদ্ধতি এবং স্থির বিনিময় হার পদ্ধতির সংমিশ্রণ।
প্রশ্ন ৬। ব্রিটন উডস্ পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ United Nations Monetary Financial Conference 1944 সালে আমেরিকার ব্রিটন উডসে অনুষ্ঠিত হয়। এই সমাবেশে বৈদেশিক বিনিয়মের অস্থিরতা দূর করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যার মধ্যে অন্যতম হল –
(১) IMF ও IBRD স্থাপনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
(২) বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা দূর করার জন্য সাংগঠনিক সমন্বয় ব্যবস্থার সুপারিশ।
(৩) ব্রিটন উডস পদ্ধতিতে বিশ্বের সব মুদ্রা আমেরিকার ডলারের সাথে আবদ্ধ। আমেরিকান ডলারকে স্থির মূল্যে স্বর্ণ প্রদান করা হয়। ডলারের নিরিখে একটি দেশের মুদ্রার মূল্যই স্বর্ণসাপেক্ষ সেই মুদ্রার মূল্যসূচক।
প্রশ্ন ৭। ধরা হল, এক আমেরিকান ডলার ($1) ক্রয়ের জন্য 45 টাকা প্রয়োজন। যদি এক কাপ কফির দাম ভারতে 10 টাকা হয় এবং আমেরিকাতে 0.5 ডলার হয়, তাহলে প্রকৃত বিনিময় হার নির্ণয় করো।
উত্তরঃ আমরা জানি যে,
প্রশ্ন ৮। বৈদেশিক লেনদেন হিসাবের ‘লাইনের ওপর’ এবং ‘লাইনের নিচের’ বিষয়টি কী ?
উত্তরঃ বৈদেশিক লেনদেন বিবৃতির লাইনের ওপর বিষয়টি হল স্বনিরূপিত লেনদেন এবং লাইনের নিচের বিষয়টি হল প্রণোদিত লেনদেন।
প্রশ্ন ৯। একটি মুক্ত অর্থনীতিতে যদি প্রান্তিক ভোগ প্রবণতা (C) 0.8 হয় এবং প্রান্তিক আমদানি প্রবণতা (m) 0.2 হয়, তাহলে আয় গুণক কত ?
উত্তরঃ দেওয়া আছে,
C = 0.8
m = 0.2
আমরা জানি যে,
প্রশ্ন ১০। একটি উদাহরণসহ হস্তান্তরিত দেনার ধারণাটি দাও।
উত্তরঃ হস্তান্তরিত দেনার অর্থ হল এমন একটি আয় যা কোনো দেশের অধিবাসীরা দায়মুক্তভাবে পেয়ে থাকেন। যার প্রতিদানস্বরূপ বর্তমান বা ভবিষ্যতে কোনো অর্থপ্রদান করতে হয় না। যেমন – উপহার, দান।
প্রশ্ন ১১। ক্রয়ক্ষমতার সমতার অর্থ স্পষ্ট করো।
উত্তরঃ ক্রয়ক্ষমতার সমতা বলতে প্রকৃত বিনিময় হার একের সমান হওয়া বুঝায়। অর্থৎ দুটি দেশের দ্রব্যসামগ্রী যখন একটি মুদ্রায় পরিমাপ করা হয়, তখন সেই মূল্য উভয় দেশে সমান থাকে।
প্রশ্ন ১২। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান তিনটি আইনগত ব্যবস্থা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান তিনটি আইনগত ব্যবস্থা নিম্নরূপ –
(১) শুল্ক ও বাণিজ্যিক সাধারণ চুক্তি।
(২) সেবা ও বাণিজ্য সংক্রান্ত সাধারণ চুক্তি।
(৩) বুদ্ধিবৃত্তি সম্পর্কিত সম্পত্তির অধিকারসমূহের সাধারণ চুক্তি।
প্রশ্ন ১৩। একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাণিজ্যিক ঘাটতি কখন অপকারী বা উদ্বেগের কারণ নয় ?
উত্তরঃ বাণিজ্যিক ঘাটতি যদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে প্রতিফলিত করে যা মূলধন ভাণ্ডারকে দ্রুত গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে উৎপন্ন বৃদ্ধি করবে, সেইক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ঘাটতি অপকারী বা বিপদ সংকেতের কারণ নয়।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
পশ্ন ১। বাণিজ্যিক সমতা এবং লেনদেন সমতার মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ বাণিজ্যিক সমতা এবং লেনদেন সমতার মধ্যে পার্থক্য হল –
প্রশ্ন ২। লেনদেন সমতার দুটি মূল্য হিসাব ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ লেনদেন সমতার হিসাবকে দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। চলতি হিসাব এবং মূলধনী হিসাব।
চলতি হিসাবে বাণিজ্য খাতের লেনদেন, সেবা সামগ্রীর লেনদেন এবং হস্তান্তর দেনা পাওনার হিসাব ধরা হয়। বস্তুর হিসাবে আছে দৃশ্যমান বাণিজ্য এবং সেবাকার্যের হিসাবে আছে অদৃশ্যমান বাণিজ্য। সেবা সামগ্রী বা অদৃশ্য রপ্তানি হল পরিবহন, পর্যটন বাবদ লেনদেন, বিমা, শিক্ষার ব্যয়, বৈদেশিক ঋণ বা বিনিয়োগের সুদ ইত্যাদি। আমরা যদি বিদেশি বিমান ব্যবহার করি, তাহলে ওর ভাড়া বাবদ ব্যয় হল অদৃশ্য আমদানি। যদি বিদেশি পর্যটক আমাদের দেশে আসে, সে আমাদের দেশে এসে যা ব্যয় করবে তা হবে রপ্তানি। হস্তান্তর দেনা বলতে প্রতিদানহীন দেনা বুঝায়। এটি চলতি খাতের অন্তর্ভুক্ত।
মূলধনের আগমন ও বহির্গমনকে নিয়ে নির্ধারণ করা হয় মূলধনী হিসাব। একটি রাষ্ট্র যখন বিদেশ থেকে মূলধন আমদানি করে, তখন বিদেশি রাষ্ট্র সেই মূলধনের যোগান দেয়। অন্যদিকে, একটি দেশ যখন মূলধন রপ্তানি করে, তখন বিদেশি রাষ্ট্র এই মূলধন লাভ করে। এই দেনা-পাওনার হিসাবের ভিত্তিতে মূলধনী হিসাব নিয়ন্ত্রিত হয়।
প্রশ্ন ৩। আন্তর্জাতিক মুদ্রানিধি বা IMF এর চারটি উদ্দেশ্য লেখো।
উত্তরঃ আন্তর্জাতিক মুদ্রানিধি অর্থাৎ IMF এর চারটি প্রধান উদ্দেশ্য নিচে দেওয়া হলঃ
(১) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা স্থাপন করা।
(২) বৈদেশিক বিনিময় হারের অস্থিরতা দূর করে আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের সমতা স্থাপন করা।
(৩) বাণিজ্যিক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় অবমূল্যায়ন প্রতিরোধ করা।
(৪) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বৈদেশিক লেনদেনের সমন্বয়হীনতার সংশোধনের জন্য সুযোগ প্রদান এবং উপযুক্ত নিরাপত্তাসহ পুঁজির ব্যবস্থা করে সদস্যদের মধ্যে আস্থা স্থাপন করা।
প্রশ্ন ৪। বাণিজ্য ঘাটতি কি দেশের জন্য ক্ষতিকারক ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বাণিজ্য ঘাটতি যদি ক্ষুদ্রতর সঞ্চয় এবং যমজ ঘাটতি প্রতিফলিত করে তখন দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হবে। বাণিজ্যিক ঘাটতি এবং বাজেট ঘাটতি মিলে যমজ ঘাটতির উদ্ভব হয়।
যমজ ঘাটতির কারণ হল অধিক পরিমাণে ব্যক্তিগত বা সরকারি ভোগকার্য। এই বর্ধিত ভোগকার্যই সঞ্চয়ের পরিমাণ হ্রাস করবে এবং মূলধন গঠনের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে। এরকম পরিস্থিতিতে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার আশংকা থাকে। সুতরাং আমরা মন্তব্য করতে পারি –
(১) বাণিজ্য ঘাটতি দেশের আয়ের স্তর হ্রাস করে।
(২) বাণিজ্য ঘাটতি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সংরক্ষিত তহবিলে প্রতিকূল প্রভাব ফেলায়।
(৩) বাণিজ্য ঘাটতি লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি করে।
(৪) বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি করতে পারে।
এসকল কারণে বাণিজ্যিক ঘাটতি একটি অর্থনীতির বিকাশের ক্ষেত্রে অনিষ্টকারী বা ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়।
প্রশ্ন ৫। মুক্ত অর্থনীতি এবং বদ্ধ অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য দর্শাও।
উত্তরঃ মুক্ত অর্থনীতি এবং বদ্ধ অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য হল –
(ক) একটি অর্থনীতির সাথে বিশ্বের অন্যান্য দেশের অর্থনীতির বাণিজ্য এবং লেনদেনের সম্পর্ক থাকলে আমরা বলি মুক্ত অর্থনীতি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে একটি অর্থনীতির বাণিজ্যিক লেনদেন না থাকলে বলা হয় বদ্ধ অর্থনীতি।
(খ) মুক্ত অর্থনীতি আন্তর্জাতিক নির্ভরশীলতাকে স্বীকৃতি দেয় কিন্তু বদ্ধ অর্থনীতি ঘরোয়া দেশের অর্থনীতি স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে মনে করে। সুতরাং অন্যান্য দেশের নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজনবোধ করে না।
(গ) মুক্ত অর্থনীতি আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সমস্থিতি অর্জন করতে চায়। কিন্তু বদ্ধ অর্থনীতি ঘরোয়া সম্পদের পূর্ণ নিয়োগ অর্জন করতে চায়।
প্রশ্ন ৬। লেনদেন উদ্বৃত্ত এবং বাণিজ্যিক উদ্বৃত্তের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো।
উত্তরঃ লেনদেন উদ্বৃত্ত এবং বাণিজ্যিক উদ্বৃত্তের মধ্যে পার্থক্য হল নিম্নরূপ-
(১) লেনদেন উদ্বৃত্ত হিসাবে দৃশ্য বাণিজ্য, অদৃশ্য বাণিজ্য, একতরফা লেনদেন ও মূলধনী লেনদেনের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে। অপরদিকে, বাণিজ্যিক উদ্বৃত্তে কেবলমাত্র দৃশ্য বাণিজ্যের লেনদেনের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। কাজেই লেনদেনের উদ্বৃত্তের হিসাবের একটি অংশ হল বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত।
(২) হিসাব রক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে লেনদেন উদ্বৃত্ত হিসাবে সবসময়ই সমতা বজায় থাকে। বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত হিসাবে ঘাটতি বা উদ্বৃত্ত সৃষ্টি হতে পারে।
(৩) লেনদেন উদ্বৃত্ত হিসাবটি চলতি খাত ও মূলধনী খাতের হিসাবের সমষ্টি। বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত হিসাবটি চলতি খাতের হিসাব।
(৪) বাণিজ্যিক উদ্বৃত্ত হিসাবটি জাতীয় আয়কেই প্রভাবিত করে। এই হিসাবে উদ্বৃত্ত জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি এবং এই হিসাবে ঘাটতি জাতীয় আয়ের হ্রাস বোঝায়। কিন্তু লেনদেন উদ্বৃত্ত হিসাবে প্রতিকূলতার অর্থ হল দেশের ঋণগ্রস্ততা বৃদ্ধি এবং অনুকূলতার অর্থ হল দেশের সম্পদ বৃদ্ধি।
প্রশ্ন ৭। লেনদেন উদ্বৃত্ত বা লেনদেন সমতা কী ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ একটি দেশের লেনদেন সমতা বলতে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের হিসাবকে বোঝানো হয়ে থাকে। একটি বিশেষ সময়ে সাধারণত এক বৎসরে, বিদেশ থেকে কী পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেছে এবং কী পরিমাণ অর্থ বিদেশে প্রদান করা হয়েছে তারই হিসাব হল লেনদেন উদ্বৃত্ত বা লেনদেন সমতা। অধ্যাপক কিণ্ডলবার্জারের মতে, ‘একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি দেশের অধিবাসীদের সঙ্গে অন্যান্য দেশের অধিবাসীগণের সকল প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেনের বিবরণীকে ওই দেশের লেনদেন সমতা বলা হয়।
এই বিবরণীতে যাবতীয় লেনদেন যেমন – দ্রব্য ও সেবা রপ্তানি বাবদ পাওনা, অন্য দেশ থেকে আগত মূলধন এবং দ্রব্য এবং সেবা আমদানি বাবদ দেনা এবং বিদেশে মূলধন হস্তান্তর সংক্রান্ত হিসাব থাকে। এই হিসাবের মধ্যে দান, উপহার প্রভৃতিও ধরা হয়ে থাকে।
প্রশ্ন ৮। লেনদেন সমতার ভারসাম্যহীনতা বলতে কী বোঝ ? প্রতিকূল লেনদেনের সমতার দুটি কারণ লেখো।
উত্তরঃ হিসাব রক্ষার দৃষ্টিকোণ হতে বিচার করলে লেনদেন সমতা সর্বদাই সমান থাকে। কিন্তু অর্থনীতির দৃষ্টিকোণ হতে বিচার করলে লেনদেন ঘাটতি বা উদ্বৃত্ত সর্বদাই ঘটিয়া থাকে।
যদি বিদেশের নিকট পাওনার তুলনায় দেনা বেশি হয়, তাহলে বুঝতে হবে দেশের লেনদেনের হিসাব ঋণাত্মক হয়েছে। এই অবস্থাকে লেনদেনের ভারসাম্যহীনতা বলে।
প্রতিকূল লেনদেন সমতার দুটি কারণ হল –
(১) চাহিদার পরিবর্তন: কোনও দ্রব্য বা সেবার চাহিদা বিদেশে পরিবর্তিত হলে লেনদেনের সমতার ভারসাম্যে অভাব ঘটে থাকে। কোন দ্রব্য বা সেবার বিকল্প বিদেশে উদ্ভাবিত হলে কিংবা বিদেশি সরকারের কোন নীতির ফলে রপ্তানি কমে গেলেও প্রতিকূল লেনদেন সমতার সৃষ্টি হয়।
(২) মূল্য বৃদ্ধি: রপ্তানি শিল্পে মজুরি বৃদ্ধি বা কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি পেলে রপ্তানি দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটে। এর ফলে প্রতিকূল লেনদেন সমতার সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন ৯। স্বনিরূপিত ও প্রণোদিত লেনদেনের সমতার ধারণা দুটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ যে সকল লেনদেন অন্যান্য লেনদেনের প্রভাব থেকে মুক্ত সেগুলো হল স্বনিরূপিত লেনদেন। উদাহরণস্বরূপ, একটি দেশের পণ্য রপ্তানির সঙ্গে বিদেশি পর্যটকদের আগমন সেবাকার্যের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। স্বনিরূপিত লেনদেনের ক্ষেত্রে সামগ্রী হিসাব, সেবাকার্যের হিসাব, হস্তান্তর হিসাব বা মূলধনী হিসাব দেখা দিতে পারে। এধরনের লেনদেনকে রেখার ওপরের লেনদেন বলা হয়।স্বনিরূপিত লেনদেনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল লাভ সর্বাধিক করা।
স্বনিরূপিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেখা দেওয়া ঘাটতির পরিমাণ দূর করার জন্য যে হ্রস্বকালীন মূলধন লেনদেন সম্পাদিত হয় তাকেই প্রণোদিত লেনদেন বা ব্যবস্থাপনীয় লেনদেন বলে। অর্থাৎ একটি দেশের আন্তঃরাষ্ট্রীয় লেনদেনের বিবৃতির পরিণতি হিসাবে ব্যবস্থাপনীয় লেনদেন সম্পাদিত হয়। এধরনের লেনদেনকে ‘রেখার নিচের লেনদেন’ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
প্রশ্ন ১০। পরিবর্তনশীল বিনিময় হার নির্ধারণে ফাটকা ব্যবসায়ের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বিনিময় হার নির্ধারণে ফাটকা ব্যবসা একটি অন্যতম উপাদান। বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রার বাজারে ফাটকা ব্যবসায়ীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। বৈদেশিক বিনিময় হারের সম্ভাব্য পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে ফাটকা ব্যবসায়ীরা বৈদেশিক বিনিময়যোগ্য মুদ্রা কেনাবেচা করে। এরকম ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যমে ফাটকা ব্যবসায়ীরা লাভ অর্জন করে। উদাহরণস্বরূপ, মনে করি পাউণ্ড ষ্টালিং এবং টাকার বিনিময় হার £1 = 70 টাকা। যদি ফাটকা ব্যবসায়ী আশা করে যে টাকার তুলনায় পাউণ্ড ষ্টালিং-এর মূল্য বেড়ে যাবে তাহলে ফাটকা ব্যবসায়ী বর্তমানে পাউণ্ড স্টালিং অধিক সংগ্রহ করবে এবং টাকার বিপরীতে যে পরিমাণ পাউণ্ড স্টালিং বর্তমানে পাওয়া গেছে, পাউণ্ডের মূল্য বৃদ্ধি ভবিষ্যতে যখন পাউণ্ড স্টালিং এর মূল্য বৃদ্ধি হবে তখন তার লাভ হবে। ভারতীয় হলে একই পরিমাণ পাউণ্ডের বিনিময়ে অধিক পরিমাণ ভারতীয় টাকা পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন ১১। বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণে সুদের হারের তাৎপর্য বিচার করো।
উত্তরঃ সুদের হার, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিনিময় হার এই তিনটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হারকে প্রভাবিত করে। পরিবর্তিত সুদের হার মুদ্রামূল্য ও মুদ্রাস্ফীতির ওপর প্রভাবিত হয়। সুদের হার অধিক হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা সেই দেশে অধিক বিনিয়োগ করবে, ফলে সেই দেশের বিনিময় হার বৃদ্ধি পাবে। পক্ষান্তরে, যে দেশে সুদের হার কম, সেই দেশের মুদ্রার চাহিদা কম হবে। ফলে মুদ্রার মূল্যও হ্রাস পাবে। ব্যাংক, বহুজাতিক কোম্পানি, বিত্তশালী ব্যক্তি, যারা বিশাল তহবিলের মালিক, তারা অধিক আয়ের জন্য উচ্চ সুদের হারের সন্ধানে সারা বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়ান।
সহজ কথায়, সুদের হার অধিক হলে বিনিময় হার অধিক হয় এবং সুদের হার কম হলে বিনিময় হার কম হয়।
প্রশ্ন ১২। মুক্ত অর্থনীতিতে আয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমদানি এবং রপ্তানির ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ মুক্ত অর্থনীতিতে Y = C + I + G + X – M,
এখানে X = রপ্তানি, M = আমদানি। রপ্তানি ও আমদানির পার্থক্যকে শুদ্ধ রপ্তানি বলে। এই অবস্থায় আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত হবে। পক্ষান্তরে, রপ্তানির তুলনায় আমদানির পরিমাণ অধিক হলে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক ঘাটতির সৃষ্টি হয়।
আমদানি চাহিদা দুটি উপাদানের দ্বারা সৃষ্টি হয় – আভ্যন্তরীণ আয়ের পরিমাণ এবং প্রকৃত বিনিময় হার। আভ্যন্তরীণ আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। প্রকৃত বিনিময় হার বৃদ্ধি পেলে বিদেশে উৎপাদিত সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পায় এবং তার ফলস্বরূপ সেইগুলি সামগ্রীর আমদানি কমে যাবে। রপ্তানি ক্ষেত্রে বিদেশি রাষ্ট্রের আয়ের পরিবর্তনের পরিমাণ এবং প্রকৃত বিনিময় হারের পরিবর্তন ক্রিয়া করে। বিদেশি রাষ্ট্রে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে তারা নিজ দেশের উৎপাদিত সামগ্রীর চাহিদা বৃদ্ধি করবে অর্থাৎ স্বদেশ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। তদ্রূপ প্রকৃত বিনিময় হার বৃদ্ধি পেলে ঘরোয়া সামগ্রীর চাহিদা আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি পাবে অর্থাৎ রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি হবে।
আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি হওয়ার ফলে আমদানির পরিমাণ কী পরিমাণ বৃদ্ধি হবে তা নির্ভর করে প্রান্তিক আমদানির স্পৃহার ওপর। মুক্ত অর্থনীতিতে গুণক কার্যকর হয়। এই গুণক হল = 1/1 – C + M
প্রশ্ন ১৩। মুদ্রার বহির্মূল্য হ্রাস ও মুদ্রার বহির্মূল্য বৃদ্ধির পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ যখন বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় ঘরোয়া মুদ্রার মূল্য হ্রাস পায়, তখন ‘মুদ্রার বহির্মুল্য হ্রাস বা Currency depreciation’ হয় অর্থাৎ সমান দেশীয় মুদ্রার পরিবর্তে কম মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।
পক্ষান্তরে, যখন বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় ঘরোয়া মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন মুদ্রার বহির্মূল্য বৃদ্ধি বা Currency appreciation হয়। অর্থাৎ সমান দেশীয় মুদ্রার বিপরীতে অধিক মূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। স্থির বিনিময় হার কী ? স্থির বিনিময় হারের সুবিধা ও অসুবিধা লেখো।
উত্তরঃ স্থির বিনিময় হারকে ‘পেজ’ ভিত্তিক বিনিময় হারও বলা হয়। সরকার বা বিত্তীয় প্রতিষ্ঠানে এক নির্দিষ্ট হারে বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করা অবস্থাকে স্থির বিনিময় হার বলা হয়।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.