Hello Viewers Today’s We are going to Share Assam SEBA Class 10 Science Chapter 16 প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা Question Answer in Bengali. As Per New Syllabus of SEBA Class 10 Science Chapter 16 প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা Notes in Bengali PDF Download. SEBA Class 10 Science Chapter 16 প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা Solutions in Bengali. Which you Can Download PDF Notes Class 10 Science Textbook Question Answer in Bengali for using direct Download Link Given Below in This Post.
SEBA Class 10 Science Chapter 16 প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা
Today’s We have Shared in This Post SEBA Class 10 Science Chapter 16 প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা Suggestions in Bengali. SEBA Class 10 Science Chapter 16 প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা Notes in Bengali PDF Download. I Hope, you Liked The information About The SEBA Class 10 Science Question Answer in Bengali Chapter 16 প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা If you liked SEBA Class 10 Science Question Answer in Bengali Chapter 16 প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। আরও বেশি করে পরিবেশ বান্ধব হওয়ার জন্য তােমাদের স্বভাবে কি কি পরিবর্তন করতে পার ?
উত্তরঃ আরও বেশি করে পরিবেশ বান্ধব হতে গেলে লিটি বিষয়ের উপর স্বভাবে পরিবর্তন আনতে হবে। এইগুলি হল- হ্রাস (Reduce); পুনরাবর্তন (Recycle) এবং পুনর্ব্যবহার (Reuse).
অপ্রয়ােজনে বাতি ও পাখার সুইচ বন্ধ করে বিদ্যুতের সাশ্রয় করা। ছিদ্রযুক্ত জলের কল মেরামত করে জল সংরক্ষণ করা। খাবার নষ্ট না করা। ব্যবহার কমাতে পারা যায় এমন কিছু জিনিসের কথা চিন্তা করা হল হ্রাস। প্লাষ্টিক কাগজ, কাঁচ ও ধাতব বস্তু সংগ্রহ করে এবং নতুন প্লাষ্টিক, কাগজ, কাঁচ ও অন্যান্য বস্তু প্রস্তুত না করে এই পুরানাে সংগৃহীত বস্ত্র পুনরাবর্তন করে প্রয়ােজনীয় জিনিষ প্রস্তুত করা। পুনর্ব্যবহার পদ্ধতিতে কেবল কোনও জিনিষ বার বার ব্যবহার করা হয়। জ্যাম, জেলী, আচার ইত্যাদি বিভিন্ন খাবার জিনিষের বােতল খালি হলে ভাল করে পরিষ্কার করে আচার রান্নাঘরে কোনও জিনিষ রাখার জন্য ব্যবহার করা যায়।
২। স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যের সাথে সম্পদ ব্যবহারের কি সুবিধা হতে পারে ?
উত্তরঃ বর্তমান প্রাথমিক প্রয়ােজন মেটানাের জন্য স্বল্পমেয়াদী লক্ষের সাথে সম্পদ ব্যবহারের কথা চিন্তা করা হয়।
৩। আমাদের সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য এইসব সুবিধা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের সুবিধার থেকে কিভাবে পৃথক হবে ?
উত্তরঃ দীর্ঘমেয়াদী উন্নতির ধারণা মানুষের বর্তমানের প্রয়ােজন পূরণ করে বৃদ্ধিতে সাহায্য করে আবার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ব্যবহারের জন্যও সংরক্ষণ করে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিবেশ সংরক্ষণের সাথে যুক্ত। দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন জীবনের বিভিন্ন দিকের পরিবর্তনের ইঙ্গিত করে। এটি মানুষের চারিপাশের আর্থ-সামাজিক এবং পরিবেশগত অবস্থার পরিবর্তন বা প্রাকৃতিক সম্পদের বর্তমান ব্যবহারের পরিবর্তন এর সম্মতির উপর নির্ভর করে।
৪। সম্পদের সমবণ্টন হওয়া উচিৎ বলে কেন ভাব ? আমাদের সম্পদের সমবণ্টনের বিরুদ্ধে কোন কোন শক্তি কাজ করছে ?
উত্তরঃ সমাজে ধনী এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সম্পদের বণ্টনের অধিক সুবিধা গ্রহণ করে। সেইজন্য সমবণ্টন হওয়া উচিৎ যাতে ধনী, দরিদ্র সবাই উপক্রিত হতে পারে।
ক্ষমতা এবং অর্থ এই দুইটি বল সম্পদ সমবণ্টনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। আমাদের বনসম্পদ এবং বন্যজন্তু সংরক্ষণ করা উচিৎ কেন ?
উত্তরঃ বনসম্পদ এবং বন্যজন্তু সংরক্ষণ করা উচিৎ কারণ-
(i) এরা পরিস্থিতি তন্ত্রের সমতা বজায় রাখে।
(ii) এরা জীব বৈচিত্র্যকে রক্ষা করে।
(iii) এরা খাদ্য সংরক্ষণ এবং পরিবেশের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
(iv) বনসম্পদ থেকে অনেক মহৌষধ তৈরি করা হয়।
২। বন-জঙ্গল সংরক্ষণের জন্য কোনও উপায় অবলম্বন করতে প্রস্তাব দাও।
উত্তরঃ বন-জঙ্গল সংরক্ষণের প্রস্তাবগুলি হল-
(i) বন-জঙ্গল সংরক্ষণের প্রস্তাব জন্য নিয়ম নির্ধারণ করা এবং প্রয়ােগ করা।
(ii) গাছ কাটা বন্ধ করা।
(iii) জঙ্গলের আগুন রােধ করা।
(iv) আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা ইত্যাদি।
S.L. No. | সূচি-পত্র |
অধ্যায় -১ | রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং সমীকরণ |
অধ্যায় -২ | এসিড ক্ষার ও লবণ |
অধ্যায় -৩ | ধাতু এবং অধাতু |
অধ্যায় -৪ | কার্বন এবং ইহার যৌগ |
অধ্যায় -৫ | মৌলসমূহের পর্যায়গত শ্রেণিবিভাজন |
অধ্যায় -৬ | জীবন প্রক্রিয়া |
অধ্যায় -৭ | নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় |
অধ্যায় -৮ | জীবের প্রজনন কিভাবে হয় ? |
অধ্যায় -৯ | বংশগতি এবং বিবর্তন |
অধ্যায় -১০ | আলােক প্রতিফলন এবং প্রতিসরণ |
অধ্যায় -১১ | মানুষের চোখ এবং বর্ণময় বিশ্ব |
অধ্যায় -১২ | বিদ্যুৎ বিজ্ঞান |
অধ্যায় -১৩ | বিদ্যুত-প্রবাহের চুম্বকীয় প্রভাব |
অধ্যায় -১৪ | শক্তির উৎস |
অধ্যায় -১৫ | আমাদের পরিবেশ |
অধ্যায় -১৬ | প্রাকৃতিক সম্পদের পরিচালনা |
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তরঃ
১। তুমি বাস করা অঞ্চলে জল চাষের / ব্যবস্থাপনার কি কি পরম্পরাগত পদ্ধতি আছে বের কর।
উত্তরঃ জলচাষ ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের হয়।
ভারতে নিম্নলিখিত জল চাষ ব্যবস্থাপনা প্রচলন আছে।
(i) রাজস্থানের ঐতিহ্যগত খাদিন এবং নাদিস।
(ii) মহারাষ্ট্রের বন্ধরাস এবং তালস।
(iii) মধ্যপ্রদেশ এবং উত্তর প্রদেশের বুন্দিস্৷
(iv) বিহারের আহারস্ এবং পাইনেস্।
(v) হিমাচল প্রদেশের কুলস্।
(vi) জম্মু ও কাশ্মিরের পন্ডস্।
(vii) তামিলনাডুতে ইসিস্।
(viii) কেরালাতে সুরঙ্গমস্।
(ix) কর্ণাটকে কাটাস্।
২। পাহাড়ী অঞ্চল বা সমতল অথবা মালভূমি অঞ্চলের সম্ভাব্য পদ্ধতির সঙ্গে উপরােক্ত পদ্ধতির তুলনা কর।
উত্তরঃ পাহাড়ী অঞ্চল—
(i) লাদাকে জিংস (Zings).
(ii) মেঘালয়ে বাঁশের নল (Bamboopipes).
(iii) হিমাচল প্রদেশে কুলস্ (Kulhs).
(iv) নাগাল্যাণ্ডে যাকে (Zabo).
সমতল অঞ্চল-
(i) তামিলনাডুতে ইরিস্ (Eris)
(ii) রাজস্থানে বাওরিস্ বা বিরস্ (Baoris or bers) নামের সামাজিক কুয়া।
(iii) পশ্চিম রাজস্থানের কুইস (Kuis).
(iv) গুজরাটে ঝালারাস্ (Jhalaras).
(v) পশ্চিম রাজস্থানে পার (Paar).
(vi) কচ্ছে রানে ভিরদাস্ (Vir Das).
মালভূমি অঞ্চল-
(i) মহারাষ্ট্রে বন্ধরাস্ (Bandharas).
(ii) রাজস্থানে জোহাডস্ (Johads).
(iii) কর্ণাটকে কিরি (Tanks) ইত্যাদি।
৩। তােমাদের বাসকরা অঞ্চলের জলের উৎস বের কর। এই থেকে এলাকায় বসবাসকারী সকল মানুষের প্রয়ােজনীয় জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় কি ?
উত্তরঃ আমাদের বাস কা অঞ্চলের জলের প্রধান উৎস নদী, তাছাড়া আজকাল গভীর নলকুপ বসিয়ে শহর অঞ্চলে জল সরবরাহ করা হয়। কোনাে কোনাে অঞ্চলে কুয়ার ‘জল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। গ্রামাঞ্চলে নদী, পুকুর, কুয়া বা লেক জলের প্রধান উৎস।
অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ
১। পরিবেশ বান্ধব করতে ঘরে তুমি কি কি পরিবর্তন করতে চাও ?
উত্তরঃ পরিবেশ বান্ধব করতে ঘরে তিনটি ‘R এর ব্যবস্থা করতে হবে। হ্রাস (Reduce), পুনরাবর্তন (Recycle) এবং পুনর্ব্যবহার (Reuse) সেইজন্য খাদ্যের অপচয় বন্ধ করতে হবে। ঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জানালা রাখতে হবে যাতে সূর্যের আলোেক প্রবেশ করতে পারে। কাগজ, প্লাষ্টিক ইত্যাদির পুনর্ব্যবহার করতে হবে।
২। তােমার বিদ্যালয়ের কোন কোন পরিবর্তন পরিবেশ বান্ধব হতে পারে বলে তুমি মনে কর।
উত্তরঃ (i) স্কুলের অবাঞ্ছিত আগাছা কেটে ফেলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
(ii) অপ্রয়ােজনে গাছের ডাল-পালা না কাটা।
(iii) পরিবেশ সংরক্ষণের উপর ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদের মধ্যে জাগরণ আনতে হবে।
(iv) জল যাতে নষ্ট না হয়, অযথা যাতে বৈদ্যুতিক পাখা না চলে ইত্যাদি দেখতে হবে।
(v) স্কুলে অনেক জানালা থাকতে হবে যাতে প্রচুর আলাে আসতেবাপারে।
(vi) ব্যবহারের পর যে সমস্ত বস্তু ফেলে দিতে হয় তাদের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জমা করে নষ্ট করে দিতে হয়।
৩। আমরা এই অধ্যায়ে দেখেছি জঙ্গল এবং বন্য জীবনে প্রধান চাররকম ভুক্তভােগী আছে। এদের মধ্যে বন সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্যে কার উপর দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে এবং কেন ?
উত্তরঃ চাররকম ভুক্তভােগী হল-
(i) যারা বনাঞ্চলে থাকে এবং বন্য বস্তুর উপর নির্ভরশীল।
(ii) সরকারী যার অধীনে বনাঞ্চল সংরক্ষিত হয়।
(ii) ছােট ও বড় শিল্প যারা বনজ সম্পদ দ্বারা নিজেদের জিনিষ তৈরি করে কিন্তু বনাঞ্চলের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল নয়।
(iv) যারা বন্য প্রাণী এবং বনাঞ্চল সংরক্ষণ করে।
এদের মধ্যে বনসম্পদের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনগণ এবং সরকারের উপর দায়িত্ব দেওয়াই শ্রেয়। কারণ সরকারের কাছেই আইন প্রণয়নের দায়িত্ব আছে।
৪। ব্যক্তি হিসাবে তুমি কি করতে পার অথবা
(a) বন ও বনের জীবন।
(b) জল সম্পদ।এবং
(c) কয়লা ও পেট্রোল।
-এর ব্যবস্থাপনায় কি পার্থক্য আনতে পার।
উত্তরঃ (a) বন ও বনের জীবন জাগরণ সৃষ্টি করা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করা, বনাঞ্চলের বনসম্পদের রক্ষা করা, সংরক্ষণের আইন প্রণয়ন করা ইত্যাদি।
(b) বাড়িতে জলের অপচয় বন্ধ করা। জলের নলের ছিদ্র বন্ধ করে জল অপচয় হতে না দেওয়া ইত্যাদি।
(c) কয়লা এবং পেট্রোল অবশেষে নিঃশেষিত হবে। সেইজন্য এবং এদের জ্বলনে পরিবেশ দূষিত হওয়ার জন্য এই সম্পদের ব্যবহার ভাবনা চিন্তা করে করা উচিত।
৫। বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার হ্রাস করতে ব্যক্তি হিসাবে তােমার কি করা উচিৎ।
উত্তরঃ আমাদের দেখতে হবে যাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। খাদ্য নষ্ট না হয়, কাঠের পরিবর্তে রান্নার গ্যাস ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ হ্রাস, পুনরাবর্তন এবং পুনর্ব্যবহার এই তিনটির প্রতি নজর দিতে হবে।
৬। সারা সপ্তাহ ধরে পাঁচটি কি কি কাজ করেছ তার তালিকা বানাও-
(a) আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য।
(b) প্রাকৃতিক সম্পদের উপরে চাপ বাড়ানাের জন্য।
উত্তরঃ (a) প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের জন্য
(i) অপ্রয়ােজনে লাইট এবং ফেনের সুইচ অফ করা।
(ii) ঘরে সাধারণ বাল্বের বদলে CFL লাগানাে।
(iii) নিজ গাড়ীর পরিবর্তে বাসে স্কুলে যাওয়া।
(iv) প্রয়ােজনের অধিক জল খরচ না করা।
(v) পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য জনসভার ব্যবস্থা করা।
(b) প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাপ বাড়ানাের জন্য-
(i) দেওয়ালীতে বাজী পােড়ানাে।
(ii) খাদ্য নষ্ট করা।
(iii) মটরবাইক স্টার্ট দিয়ে রেখে পেট্রোল অপচয় করা।
(iv) ঘরে না থাকার সময় ফেন চালিয়ে রাখা।
(v) কম্পিউটার প্রয়ােজনের বেশি কাগজ পােড়ানাে।
৭। এই অধ্যায়ে আলােচ্য বিষয় অনুযায়ী আমাদের সম্পদসমূহের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের অনুকূলতার জন্য তােমার জীবন ধারণের পদ্ধতিতে কি কি পরিবর্তন আনতে চাও ?
উত্তরঃ জীবন ধারণের পরিবর্তনগুলি হল-
(i) আমরা যেহেতু সামাজিক প্রাণী সেইজন্য সংঘবদ্ধভাবে একই সমাজে থাকতে চাই।
(ii) আমাদের প্রয়ােজনের অতিরিক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ খরচ না করা।
(iii) আমরা পরিবেশ বাঁচাতে তিনটি “R” অর্থাৎ (Reduce(হ্রাস) ; Recycle (পুনর্ব্যবহার) মেনে চলব।
(iv) প্রাইভেট কার অপেক্ষা পাব্লিক কার ব্যবহার করব।
(v) যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করিব না।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। প্রাকৃতিক সম্পদ উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার প্রয়ােজনীয়তার বিষয়ে গঠনমূলক আলােচনা তুলে ধর।
উত্তরঃ প্রাকৃতিক সম্পদ ছাড়া মানব সভ্যতা বেঁচে থাকতে পারে না। সেইজন্য এই সমস্ত যথাযযাগ্য এবং বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার করে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও সংরক্ষণ করে রাখতে হয়।
প্রকৃতি নিজে নিজের ভারসাম্যতা বজায় রাখে। সেইজন্য প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করতে সুপরিকল্পিতভাবে করতে হয় যাতে প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ হয়ে থাকে। ইহা প্রাকৃতিক ভারসাম্যতা সন্তুলিত করে রাখার একমাত্র উপায়।
প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃতির বুকে বিস্তৃত হয়ে থাকা জীব বৈচিত্র্যের অস্তিত্ব অক্ষুন্ন করে রাখা।
প্রাকৃতিক সম্পদগুলি মানবজাতির কল্যাণ সাধন করার জন্য সুপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে হয়। যাতে ব্যবহার এবং উৎপাদনের সামঞ্জস্য অটুট থাকে এবং এর দ্বারা দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ সুদৃঢ় হয়। উদাহরণ হিসাবে আমাদের প্রয়ােজনের জন্য যদি দশটি গাছ কাটা হয় তবে সেই জায়গায় পুনরায় কয়েকটি গাছ রােপণ করতে হয়।
প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রকৃতির বুকে বিস্তৃত হয়ে থাকা জীব বৈচিত্র্যের স্বভাব চরিত্রের উপর গবেষণা আদিও যাতে বহাল থাকে এবং এর দ্বারাই যাতে মানব জাতির হিতসাধন করা যায় তার প্রতি লক্ষ্য রাখতে হয়।
২। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নির্ণয় করা সূত্রটি কি লিখ।
উত্তরঃ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার = জন্ম হওয়ার সংখ্যা -মৃত্যু হওয়ার সংখ্যা/ নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরের গড় জনসংখ্যা।
৩। অক্ষয়শীল প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে কি বুঝ ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ যে প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করলেও শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তাকে অক্ষয়শীল প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন- বায়ু, জল, সৌরশক্তি আদি এই শ্রেণির উদাহরণ।
৪। ক্ষয়শীল প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ যে প্রাকৃতিক সম্পদ অধিক মাত্রায় ব্যবহার করলে শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাদের ক্ষয়শীল প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
৫। নবীকরণযােগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে কি বুঝ ? উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ ক্ষয়শীল প্রাকৃতিক সম্পদের কয়েকটিকে উপযুক্তভাবে ব্যবহার করে পুনরুদ্ধার করা যায়। এদের নবীকরণযুক্ত প্রাকৃতিক সম্পদ বলে।
৬। ফেলানাে দ্রব্যের ব্যবস্থাপনার জন্য তুমি কি পরামর্শ দিবে ?
উত্তরঃ ঘরের দৈনন্দিন কাজে অব্যবহৃত ফেলানাে দ্রব্যগুলি, যেমন- শাকসবজীর বাকলা বা তার অবশিষ্ট অংশ। ছেড়া কাগজ, কাপড়ের টুকরাে, টুথপেষ্টের খালি টিউব, খালি বলপেনের রিফিল, পলিথিন বা প্লাষ্টিকের সামগ্রী এক জায়গায় সংগ্রহ করতে হবে।
এইগুলি এক ফুট গর্ত করে পুঁতে রাখতে হবে। ২-৩ দিন পর অল্প করে জল দিতে হবে।
তা হলে মাসখানেকের মধ্যে জিনিষগুলির পচন ধরবে এবং মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। প্লাষ্টিক, পলিথিন একই থাকবে।
কিছু কিছু আবর্জনা পুড়ে ফেলতে হয়।
৭। তােমাদের এলাকার যেকোন একটি পরিবেশিক সমস্যার বিষয়ে ক্ষেত্রভিত্তিক অধ্যয়নের মাধ্যমে একটি টীকা প্রস্তুত কর।
উত্তরঃ অম্লবৃষ্টি একটি প্রাকৃতিক সমস্যা। অম্লবৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ বা রােধের জন্য লওয়া ব্যবস্থাগুলি হল-
(i) যে সমস্ত উদ্যোগ হতে SO₂ এবং NOₓ নির্গত হয় সেই সমস্ত উদ্যোগে আধুনিক প্রযুক্তি কৌশল অবলম্বন করে সেই সমস্ত পদার্থের নির্গমন রােধ করতে হবে বা থলীতে প্রশমন করার ব্যবস্থা লওয়া উচিত।
(ii) যে সমস্ত জলাশয়ের বা হ্রদ/পুকুরের জল আম্লিক সেইগুলিতে চুন জাতীয় পদার্থ বা অন্যান্য প্রশমন পদার্থ মিশাতে হয়।
৮। প্রাকৃতিক সম্পদের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ যে ব্যবস্থার দ্বারা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করা যায় তাই উপযুক্ত ব্যবস্থা। প্রয়ােজন সাপেক্ষে নবীকরণযােগ্য সম্পদ ব্যবহার করে প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করতে হবে।
৯। নীচে দেওয়াগুলির শূন্যস্থান পূর্ণ কর।
(ক) যে সমস্ত ফেলানাে দ্রব্য সময় সাপেক্ষে জৈবিক প্রক্রিয়ার দ্বারা মাটির সঙ্গে মিশে যায় সেইগুলিকে __________ বলে এবং যেগুলির পরিবর্তন হয়ে থাকে যায় সেইগুলিকে ___________ বলা হয়।
উত্তরঃ জীব ক্ষয়িষ্ণু বা জীব নবীকরণযােগ্য।
জীব অক্ষয়িষ্ণু বা জীব অনবীকরণযােগ্য।
(খ) কোন একটি বসতি স্থানে বসবাস করা সমূহ জীবকূলের পারস্পরিক সমন্বয় এবং সেই বসতিস্থানে বিরাজ করা অজৈবিক পদার্থের সঙ্গে জীবকূলে যে প্রক্রিয়ার দ্বারা সুস্থির তন্ত্র গঠন করে তাকে __________ বলে।
উত্তরঃ পরিস্থিতি তন্ত্র।
(গ) বৃষ্টির জলে Pᴴ এর মাত্রা ___________হতে নিম্ন হলেই অম্লবৃষ্টি বলা হয়।
উত্তরঃ 5.6
(ঘ) __________ গুলিই হল জীব বৈচিত্র্যের সংগ্রহ।
উত্তরঃ বনাঞ্চল।
(ঙ) প্রাকৃতিকভাবে বন্য অবস্থায় পাওয়া গাছ-পালা, প্রাণী, অণুজীব আদি সমুদয় জীব, যেগুলি এখনও গৃহপালিত হয় নাই সেই সমস্ত জীবকে __________ বলে।
উত্তরঃ বন্যপ্রাণী।
(চ) জলের প্রধান উৎস হল ___________।
উত্তরঃ বৃষ্টি।
১০। জঙ্গলের ক্ষতি কি কি কারণের উপর নির্ভর করে ?
উত্তরঃ (i) জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের জন্য রেষ্ট হাউস নির্মাণ করা।
(ii) জাতীয় উদ্যানে গৃহপালিত জন্তুর চারণ।
(iii) জাতীয় উদ্যানে পর্যটকদের ব্যবহৃত প্লাষ্টিক বােতল প্যাকেট ইত্যাদি যেখানে সেখানে ছুঁড়ে ফেলা।
১১। চিপকো আন্দোলনের (Chipko Andolan) ফলে কি ধরনের সুফল পাওয়া গিয়াছে ?
উত্তরঃ চিপকো আন্দোলনের সুফলগুলি হল-
(i) স্থানীয় মানুষ বনজ দ্রব্য হতে উৎপন্ন বস্তু প্রচুর পরিমাণে পায়।
(ii) বন্যজন্তু এবং প্রকৃতি সুরক্ষিত হয়।
(iii) জলজ সম্পদ, ভূমিজ সম্পদ এবং বায়বীয় সম্পদের গুণগত উন্নতি হয়েছে।
১২। রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রে ব্যবহার করা জল সঞ্চয়ন পদ্ধতি সমূহের নাম উল্লেখ কর।
উত্তরঃ রাজস্থানে খাডিনস্ (Khadins) এবং মহারাষ্ট্রে বান্ধারা এবং টালস্।
১৩। অমৃতাদেবীর স্মরণে ভারত সরকার দ্বারা প্রদত্ত পুরস্কারটির নাম উল্লেখ কর।
উত্তরঃ অমৃতাদেবী বিশনৈ (Amrita Devi Bishnai) ‘রাষ্ট্রীয় পুরস্কার’ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.
Blo
Gyu