Class 12 Bengali Question Answer Chapter 13 মাস্টার মহাশয় Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 12 Bengali Question Answer Chapter 13 মাস্টার মহাশয় Question Answer is made for AHSEC Board students. Class 12 Bengali Question Answer Chapter 13 মাস্টার মহাশয় | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.
Class 12 Bengali Question Answer Chapter 13 মাস্টার মহাশয়
Here we will provide you complete Bengali Medium AHSEC Class 12 বাংলা ( MIL ) Suggestion, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Question Answer, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Notes, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Solution, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সমাধান, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) বই প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) PDF Question Answer absolutely free of cost. If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.
মাস্টার মহাশয়
গোট – ২ নির্বাচিত গদ্যাংশ
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
( ক ) মাস্টার মহাশয় ছোট গল্পটির লেখকের নাম কী ?
উত্তরঃ মাস্টার মহাশয় ছোট গল্পটির লেখকের নাম প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ।
( খ ) হীরু দত্ত কে ?
উত্তরঃ হীরু দত্ত গোসাইগঞ্জ গ্রামের একজন মাতব্বর প্রজা এবং গ্রামের অভিভাবক স্থানীয় বা কর্তা ব্যক্তি ।
( গ ) রামচরণ ‘ হুস্কুল ’ বলতে সবাইকে কী বুঝিয়েছিল ?
উত্তরঃ রামচরণ ‘ হুস্কুল ’ বলতে সবাইকে স্কুল বা বিদ্যালয়ের কথা বুঝিয়েছিল ।
( ঘ ) নন্দীপুর ইস্কুলের মাস্টারের নাম কী ?
উত্তরঃ নন্দীপুর ইস্কুলের মাস্টারের নাম হারান চক্রবর্তী ।
( ঙ ) হীরু দত্ত কোথা থেকে গোসাইগঞ্জের জন্য মাস্টার জোগাড় করেছিলেন ?
উত্তরঃ হীরু দত্ত কলকাতা থেকে গোসাইগঞ্জের জন্য মাস্টার জোগাড় করেছিলেন ।
( চ ) গোঁসাইগঞ্জের ইস্কুলের মাস্টারের নাম কী ছিল ?
উত্তরঃ গোঁসাইগঞ্জের ইস্কুলের মাস্টারের নাম ছিল ব্রজগোপাল মিত্র ।
২। সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ
( ক ) “ উভয় মাস্টারের পরস্পরের প্রতি এই তীব্র অপবাদ প্রয়োগের ফল এই হইল , উভয় গ্রামই স্ব স্ব মাস্টারের অসাধারণ পাণ্ডিত্য সম্বন্ধে সন্দিহান হইয়া উঠিল ” –
১। উভয় মাস্টার কে কে ?
উত্তরঃ উভয় মাস্টার হলেন হারান চক্রবর্তী ও ব্রজগোপাল মিত্র ।
২। ‘ উভয় গ্রামই ’ – কোন কোন গ্রাম ?
উত্তরঃ নন্দীপুর গ্রাম ও গোসাইগঞ্জ গ্রাম ।
( খ ) “ সব খবরই নিয়ে এসেছি ” – এখানে সব খবরই বলতে কোন খবরকে বোঝানো হয়েছে ?
উত্তরঃ এখানে সব খবরই বলতে নন্দীপুর গ্রামে নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের কথা বোঝানো হয়েছে । নন্দীপুর গ্রাম , একজন ইংরাজি জানা শিক্ষক এনে স্কুল খুলেছে । শিক্ষকজন বর্ধমান থেকে আসত । তার বেতন কত হবে , এসমস্ত বিস্তারিত খবরকেই ‘ সব খবরই ’ বলা হয়েছে ।
S.L. No. | সূচী-পত্ৰ |
পাঠ -১ | অভিসারের পূর্ব প্রস্তুতি – গোবিন্দ দাস |
পাঠ -২ | অন্নদার আত্মপরিচয় – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর |
পাঠ -৩ | বঙ্গভাষা – মাইকেল মধুসূদন দত্ত |
পাঠ -৪ | মাতৃহৃদয় – প্রিয়ংবদা দেবী |
পাঠ -৫ | কৃপণ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
পাঠ -৬ | কুলিমজুর – কাজী নজরুল ইসলাম |
পাঠ -৭ | পূব-পশ্চিম – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত |
পাঠ -৮ | খরা – শঙ্খ ঘোষ |
পাঠ -৯ | ফুলের বিবাহ – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের |
পাঠ -১০ | স্বাদেশিকতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
পাঠ -১১ | আমার জীবনস্মৃতি – লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া |
পাঠ -১২ | মন্ত্রের সাধন – জগদীশচন্দ্র বসু |
পাঠ -১৩ | মাস্টার মহাশয় – প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় |
পাঠ -১৪ | দিবসের শেষে – জগদীশ গুপ্ত |
পাঠ -১৫ | গণেশ জননী – বনফুল |
পাঠ -১৬ | ভাত – মহাশ্বেতা দেবী |
পাঠ -১৭ | মূল্যবোধ শিক্ষা – ড° সুজিত বর্ধন |
পাঠ -১৮ | কৈশোরকাল ও তার উপযোগী শিক্ষা ড° কাবেরী সাহা |
পাঠ -১৯ | ব্যাকরণ |
পাঠ -২০ | রচনা |
( গ ) ব্রজগোপাল মিত্র পূর্বে কোথায় কাজ করতেন ?
উত্তরঃ ব্রজগোপাল মিত্র পূর্বে বড়বাজারের এক মহাজনের আড়তে কাজ করতেন । তাঁর কাজটি ছিল খাতা লেখার আর বিনিময়ে পেতেন সাত টাকা ।
( ঘ ) হীরু দত্তের সঙ্গে কারা বারোয়ারি অন্নপূর্ণা পূজা নির্বাহের আলোচনা করছিল ?
উত্তরঃ হীরু দত্তের প্রতিবেশী শ্যামাপদ মুখুজ্যে ও কেনারাম মল্লিক বারোয়ারি অন্নপূর্ণা পূজা নির্বাহের আলোচনা করেছিল ।
( ঙ ) হীরু দত্ত গ্রামের লোকদের কাছে কী প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ? এবং সেই প্রতিজ্ঞানুসারে তিনি কী করেছিলেন ?
উত্তরঃ হীরু দত্ত গ্রামের লোকদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রামের চণ্ডীমণ্ডপে বিদ্যালয় বসাবেন । এই বলে তিনি তিন সত্য করেছিলেন । সেই প্রতিজ্ঞানুসারে তিনি কলকাতায় গিয়ে চারদিনের মধ্যে বিদ্যালয়ের জন্য মাস্টার ঠিক করে গ্রামে ফিরেছেন ।
৩। রচনাধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ
( ক ) ব্রজ মাস্টারের ইংরাজী জ্ঞানের সম্যক পরিচয় দাও ।
উত্তরঃ ব্রজ মাস্টার তাঁর ইংরাজী জ্ঞানের পরিচয় নিজের মুখেই প্রকাশ করেছেন । তিনি ইংরাজী এতটাই ভালো জানতেন অর্থাৎ তার কথায় তিনি এতটাই রপ্ত করেছিলেন যে , মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মাঝে মাজেই তিনি ইংরাজী কথাই বলে ফেলেন । আর যাঁরা ইংরাজী বুঝেন না তাদেরকে তিনি বাংলায় বুঝিয়ে দিতেন । একদিন কলকাতায় গিয়ে পথে এক সাহেবের সঙ্গে দেখা হয় । এবং তিনি সাহেবের সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলেন । আর ঐ সাহেব তার কথা লাটসাহেবকে জানান । লাট সাহেব তখন ব্রজ মাস্টারকে ডেকে তাঁর ইংরাজি শুনে মুগ্ধ হয়ে যান । ফলে লাট সাহেব ব্রজ মাস্টারকে ডেপুটি কলেক্টরের চাকরি দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু ব্রজ মাস্টার তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ।
( খ ) “ কিন্তু উভয় গ্রামের লোকই ইংরাজীতে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ । সুতরাং যাহাতে জয় পরাজয় সম্বন্ধে কাহারও মনে কিছুমাত্র সংশয় না থাকে , এমন একটি সরল বিচার প্রণালী স্থির করা আবশ্যক । ” — এই সরল বিচার প্রণালীটি কি ?
উত্তরঃ উভয় গ্রামের লোকই ইংরাজীতে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ ছিল । তাই উভয় গ্রামের কর্তারা দুই গ্রামের স্কুলের জন্য দুইজন ইংরাজী জানা মাস্টার এনেছেন । কিন্তু দুই মাস্টারদের মধ্যে কে বেশি জ্ঞানী এই নিয়ে সংশয় না হওয়ার জন্য এমন একটি সরল বিচার প্রণালী নির্ধারণ করা হল – যে দুই মাস্টারই পরস্পর পরস্পরকে একটি ইংরাজি কথার মানে জিজ্ঞাসা করবেন । তাঁরা দুজনেই উভয়কে কথাটির মানে বলবেন । যদি উভয়েই কথাটির মানে বলতে পারেন । তবে উভয়েই সমান তুলমূল্য । আর যে ঠিকমত মানে বলতে পারবে না তাকে পরাজিত বলে বিবেচনা করা হবে এবং যে জিতবে তার গলায় জয়মাল্য দেওয়া হবে ।
( গ ) “ সৌভাগ্যক্রমে ব্রজমাস্টার এই কূট প্রশ্নের অর্থ অবগত ছিলেন ” – ব্রজমাস্টার কে ? এই কূট প্রশ্নটি কি ছিল এবং তার অর্থ কি ?
উত্তরঃ ব্রজমাস্টার হলেন ব্রজগোপাল মিত্র । তাঁর বয়স ত্রিশ বৎসর । তিনি দেখতে খর্বাকার ও রোগা । তিনি নিজেই বলতেন তিনি ইংরাজি ভাষায় এতটাই বিজ্ঞ যে , একবার যখন তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন এবং সেখানে স্বয়ং লাট সাহেব তাঁর ইংরাজি শুনে মুগ্ধ হয়ে তাঁকে ডেপুটি কলেক্টরের চাকরি দিতে চেয়েছিলেন । কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন । গোঁসাইগঞ্জ ও নদীপুর এই দুই গ্রামের কোন মাস্টার বড় পণ্ডিত এই নিয়ে বিচার সভা বসলে , বিচার সভায় নদীপুরের হারান মাস্টার প্রশ্ন করেছিলেন Horns of a Dilemma বাক্যের অর্থ কি ? আর এইটিই ছিল কূট প্রশ্ন । এই কথার অর্থ উভয় সংকট ।
( ঘ ) দুই গ্রামের দুই মাস্টারের চরিত্রের তুলনামূলক আলোচনা করো ।
উত্তরঃ ‘ মাস্টার মহাশয় ‘ গল্পে দুই মাস্টার ব্রজগোপাল ও হারান মাস্টার দুজনেই সহপাঠী ছিলেন । একই স্কুলে দুজনে পড়তেন বলে একে অপরের বিদ্যা – বুদ্ধি সম্যকরূপে অবগত ছিলেন । কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই গ্রামের লোকেদের ইংরাজীতে অধিক জ্ঞান না থাকার জন্য গোসাইগঞ্জ ও নন্দীপুর দুই গ্রামের মাস্টারেরা বাজীমাত করলেন । বিশেষ করে ব্রজগোপাল মিত্র । তিনি কৌশলে বাজীমাত করলেন । ইংরাজী না জানা সমাজের লোকদের কাছে জয়ী হবার জন তিনি পূর্বেই পরিকল্পনা করে হারান মাস্টারকে বললেন যে , তিনি যে ইংরাজীটা বলবেন তার উত্তর চিৎকার করে সকলকে শুনিয়ে বল হবে । ব্রজ মাস্টার হারান মাস্টারকে যে ইংরাজী শব্দটি বলেছিলেন সেটি কৌশল করে বলেছিলেন – I don’t know । যার সঠিক উত্তর ‘ আমি জানি না ” । কিন্তু সহজ সরল হারান মাস্টার খুব সহজভাবেই চীৎকার করে কথাটির মানে বলে দিলেন । ফলে ইংরাজী না জানা গ্রামবাসীরা ভাবল তাদের মাস্টার এই কথার মানে জানে না । তখন নন্দীপুর গ্রামের হারান মাস্টার বাধ্য হয়ে প্রস্থান করলেন । আর অন্যদিকে কূটবুদ্ধি সম্পন্ন ব্রজ মাস্টার গোঁসাইগঞ্জ গ্রামে স্থায়ী পদে প্রতিষ্ঠিত হলেন ।
এই দুই মাস্টার মহাশয়ের চরিত্র বিশ্লেষণে এইটিই দেখা যায় যে , একজন খুব সহজ সরল এবং অন্যজন ধূর কূট বুদ্ধিসম্পন্ন । সহজ সরল হারান মাস্টার ধূর্ত ব্রজ মাস্টারের কাছে পরাজিত হয় । আর ব্রজ গোপাল মিত্র তাঁর কূটবুদ্ধি ও ধূর্তামির গুনে গ্রামবাসীর মন জয় করে নিজের কার্য সিদ্ধি লাভ করে ।
( ঙ ) “ পরদিন শোনা গেল হারান মাস্টার নন্দীপুর ত্যাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছে । ” – সে ঘটনা এই পরিণতি ডেকে এনেছে তা সংক্ষেপে বর্ণনা করো ।
উত্তরঃ নন্দীপুর ও গোঁসাইগঞ্জ এই দুই গ্রামের মধ্যে বরাবর প্রতিযোগিতা চলে এসেছে এই নিয়ে কোন গ্রাম বেশি অগ্রগণ্য । এক গ্রামে স্কুল বসালে আরেক গ্রামেও স্কুল বসাতেই হবে । প্রতিযোগিতা করে দুই গ্রামের কর্তা মহাশয়েরা ইংরাজী জানা শিক্ষকও আনল । এবার দুই মাস্টারের মধ্যেও ইংরাজী জ্ঞান নিয়ে প্রতিযোগিতা হল । ঠিক করা দুই মাস্টার পরস্পরকে একটি ইংরাজী কথার মানে জিজ্ঞাসা করবে এবং অপরজনকে তার মানে বলতে হবে । যদি দুজনেই উত্তর দিতে পারে তবে দুজনকেই সমান জ্ঞানী মানা হবে আর একজন অপরজনকে প্রতিযোগিতায় হারাতে পারলে তিনি জয়মাল্য পাবেন ।
এরপর বৈশাখী পূর্ণিমার দিন দুই গ্রামের সংযোগস্থলে বট গাছের নিচে বিচার সভা বসল । নন্দীপুরের হারান মাস্টার প্রথমে জিজ্ঞাসা করলেন ব্রজ মাস্টারকে ‘ Horns of a Dilemma ‘ এর মানে কি ? গোসাইগঞ্জ ব্রজ মাস্টার উত্তরটি জানতেন তাই চিৎকার করে বলে দিলেন ‘ উভয় সংকট ’ । তখন গোঁসাইগঞ্জের গ্রামবাসীরা সোল্লাসে ‘ পেরেছে পেরেছে ’ আমাদের মাস্টার পেরেছে বলে জয়ধ্বনি করলেন । এরপর এল গোঁসাইগঞ্জের মাস্টারের প্রশ্ন জিজ্ঞাসার পালা । ব্রজ মাস্টার কূটবুদ্ধি সম্পন্ন চতুর মানুষ , তাই তিনি হারান মাস্টারকে বললেন তিনি খুব একটি সহজ প্রশ্ন করবেন যার উত্তর তাঁকে চেঁচিয়ে দিতে হবে বলে তিনি প্রশ্ন করলেন – I don’t know এর মানে কি ? নন্দীপুরের হারান মাস্টার সহজ ভাবে সঠিক উত্তরটি ‘ আমি জানি না ’ বলে দিলেন । এরপরই গোঁসাইগঞ্জের গ্রামবাসীরা সমস্বরে ঘোষণা করে দিল নন্দীপুর জানে না , নন্দীপুর জানে না – গ্রামবাসীদের চিৎকারের নন্দীপুরের হারান মাস্টারের প্রতিবাদের সুর ঢাকা পড়ে যায় । তাই এর পরদিন নন্দীপুরের হারান মাস্টার গ্রাম ত্যাগ করে চলে গেলেন ।
( চ ) সম্প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো –
১। “ আজ থেকে ……….. তিন সত্য করলাম । ”
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘ মাস্টার মহাশয় ‘ গল্পের থেকে গৃহিত হয়েছে ।
গোঁসাইগঞ্জ ও নন্দীপুর এই দুই গ্রামের মধ্যে ভীষণ প্রতিযোগিতা । গোঁসাইগঞ্জ গ্রামের মোড়ল হীরু দত্ত যখন শুনলেন নন্দীপুর গ্রামে স্কুল বসানো হয়েছে তখন তিনিও প্রতিজ্ঞা করলেন এক সপ্তাহের মধ্যে গোঁসাইগঞ্জে ও স্কুল বসাবেন ।
প্রায় সব বিষয় নিয়েই দুই গ্রামের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলত । তাই রামচরণ মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসী এসে হীরু দত্তকে জানান যে নন্দীপুরে বর্ধমান থেকে ইংরাজি জানা মাস্টার আনা হয়েছে ও নন্দীপুরে স্কুল বসানো হয়েছে । এখন হীরুদত্তের গ্রামে যদি স্কুল বসানো না হয় তবে প্রতিযোগিতায় তারা হেরে যাবে , এর থেকে অসম্মান আর কিছু নেই । তাই হীরুদত্ত একথা শুনে সকলকে আশ্বস্ত করলেন যে , তিনিও কলকাতা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে নন্দীপুরের চেয়েও ভালো বিজ্ঞ মাস্টার এনে স্কুল বসাবেন । আর এই প্রসঙ্গেই তিনি তিন সত্যি করেছিলেন ।
২। “ একেবারে সলইকোয়েল ………..অজ্ঞান । ‘
উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় রচিত ‘ মাস্টার মহাশয় ‘ নামক ছোট গল্প থেকে গৃহিত হয়েছে ।
অংশটিকে ব্রজমাস্টারের অহংকার প্রকাশ পেয়েছে । ব্রজমাস্টার আসলে যে কত বড় ইংরাজি জানা পণ্ডিত তা প্রমান পাওয়া যায় ইংরাজি না জানা গ্রামের মুর্খদের কাছে তাঁর ইংরাজি শব্দ প্রয়োগে । নন্দীপুরের হারান মাস্টার যখন ব্রজমাস্টারকে ‘ মহামুখ ’ ও পূর্ব পরিচিত সহপাঠী বলে গ্রামের লোকদের জানিয়েছেন তখন ব্রজ মাস্টার এর প্রতিবাদ করে সন্তভার প্রকাশ করতে গিয়ে বললেন – ও সব ‘ বিলকুল ফসলো ’ ( মানে বাজে কথা ) তাঁর মতে গত বছরের আগের বছর তাঁর মাস্টার যে হেভেন মানে স্বর্গে গেলেন , তার শ্রাদ্ধে তিনি ইনভাইট মানে নেমন্তন্ন খেয়ে এসেছেন । তাঁর মাস্টার তাঁকে বড়ো ভালো বাসতেন । একেবারে সনইকোয়েল পুত্রতুল্য । আর এগুলো ভুল ইংরাজি প্রয়োগ করে ব্রজ মাস্টার গ্রামবাসীর নজরে বিজ্ঞ হতে চেয়েছেন । এরপর তিনি আবার ভুল ইংরাজি প্রয়োগ করে বলেন শিক্ষকের ছেলেরা তাকে দাদা বলতে ইগ্নোরেন্ট মানে অজ্ঞান । ইগ্নোরেন্ট কথার অর্থ বললেন অজ্ঞ । তিনি আসলে তার অজ্ঞতার পরিচয়ই দিয়ে গেছেন ইংরাজি না জানা গ্রামবাসীদের কাছে ।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ
১। নন্দীপুর ও গোসাইগঞ্জ গ্রাম দুটি কোথায় অবস্থিত ?
উত্তরঃ নন্দীপুর ও গোসাইগঞ্জ গ্রাম দুটি বর্ধমান থেকে ষোলো ক্রোশ দূরে।
২। কোন নদীর তীরে গ্রাম দুটি অবস্থিত ?
উত্তরঃ গ্রাম দুটি দামোদর নদের তীরে অবস্থিত ।
৩। নন্দীপুর ও গোঁসাইগঞ্জের মধ্যে কি নিয়ে প্রতিযোগিতা হত ?
উত্তরঃ নন্দীপুর ও গোঁসাইগঞ্জের মধ্যে অন্নপূর্ণা পূজা নিয়ে প্রতিযোগিতা হত ।
৪। অন্নপূর্ণা পূজা কোন মাসে হয় ?
উত্তরঃ অন্নপূর্ণা পূজা চৈত্র মাসে হয় ।
৫। অন্নপূর্ণা পূজার অর্থ কিভাবে সংগ্রহ করা হত ?
উত্তরঃ গ্রামের লোকেরা চাঁদা তুলে অন্নপূর্ণা পূজার অর্থ সংগ্রহ করত ।
৬। নন্দীপুর সম্বন্ধে কী গুজব শোনা গেল ?
উত্তরঃ নন্দীপুর তাদের বারোয়ারি অন্নপূর্ণা পূজায় সেইবার কলকাতা থেকে ঢপ সংগীতের দলকে আনার জন্য বায়না করে এসেছে বলে গুজব শোনা গেল ।
৭। রামচরণ মণ্ডল কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের মৃত্যু কামনা করেছিলেন ?
উত্তরঃ নন্দীপুর গ্রামে স্কুল হয়েছে আর তাদের গ্রামে হল না । এই কথা শুনে রামচরণ মণ্ডলের মরতে ইচ্ছে হয়েছে ।
৮। ‘ ফী হে মোড়লের পো , অমন করে বসে পড়লে কেন ? কী হয়েছে ? ” – মোড়লের পোটি কে ? সে কোথায় এসে বসে পড়েছিল ? তাকে কে এই প্রশ্ন করেছিল ?
উত্তরঃ ‘ মোড়লের পো ’ হলেন গোঁসাইগঞ্জের অধিবাসী রামচরণ মণ্ডল । সে গ্রামের অভিভাবক তথা স্থানীয় ব্যক্তি হীরালাল দাস দত্তের বাড়ির আঙিনায় খুব ক্লান্ত হয়ে হাতের লাঠিটা ধপাস করে মাটিতে আছড়াইয়া ফেলে বসে পড়েছিল । তাকে হীরালাল দাস দত্ত মহাশয় এই প্রশ্নটি করেছিলেন ।
৯। ‘ এবার বলো কী হয়েছে ? ’ আর দগ্ধে মেরো না বাপু ” – কে , কাকে একথা বলেছিলেন ? শ্রোতা তা শুনে কী বলল ?
উত্তরঃ হীরালাল দত্ত রামচরণ মণ্ডলকে একথা বলেছিলেন । শ্রোতা রামচরণ বলল নন্দীপুরে ইংরাজি স্কুল বসেছে । আর বর্ধমান থেকে আগত ইংরাজি মাস্টার ইংরাজি পড়াচ্ছেন।
১০। দুই গ্রামের ইংরাজি অনভিজ্ঞ লোকেরা দুই মাস্টারের ইংরাজি জ্ঞানের পরীক্ষা কিভাবে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ? কবে , কোথায় , কখন , বিচারের দিন ধার্য হয়েছিল ?
উত্তরঃ দুই গ্রামের কর্তা অর্থাৎ মোড়লেরা একমত হতে স্থির করেছিলেন, যে দুই মাস্টারই পরস্পর পরস্পরকে একটি করে ইংরাজি কথা মানে জিজ্ঞাসা করবে এবং দুজনকেই তার অর্থ বলতে হবে । যদি প্রশ্নের উত্তর দুজনেই ঠিক বলতে পারেন তবে দুজনকেই সমজ্ঞানী মানা হবে আর যদি একজন বলতে না পারেন তবে অপরজনকে জয়মাল্য দেওয়া হবে ।
১১ । কে আগে প্রশ্ন করবে এ নিয়ে নন্দীপুর ও গোঁসাইগঞ্জ দুই গ্রামের মধ্যে প্রশ্ন উঠলে কীভাবে তার মীমাংসা হয়েছিল , কোন গ্রাম আগে প্রশ্ন করার অধিকার পেয়েছিলেন ?
উত্তরঃ নন্দীপুর ও গোঁসাইগঞ্জ এই দুই গ্রামের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছিল কোন গ্রামের মাস্টার আগে প্রশ্ন করবে । তখন গ্রামের কর্তা মহাশয়েরা তার মীমাংসা করেছিলেন । সবের সম্মতি ক্রমেই এটা স্থির হল যে নন্দীপুরের হীরু দত্ত একটি ছড়ি ঘুরিয়ে উঠেছুড়ে দেবেন , আর সেই ছড়ি যে গ্রামের দিকে মাথা করে পড়বে সেই গ্রামের মাস্টারই প্রশ্ন করবে ।
সিদ্ধান্ত মত হীরু দত্ত ছড়ি শূন্যে ছুঁড়ে দিলেন এবং নন্দীপুরের দিকেই তার মাথাটা হেলে পড়লে এই গ্রামের হারান মাস্টারই প্রথম প্রশ্ন করার অধিকার পেলেন ।
১২। হারান মাস্টর ব্রজ মাস্টারকে কী প্রশ্ন করেছিলেন এবং উত্তরে হারান মাস্টার তার বাংলা মানে কী বলেছিলেন ?
উত্তরঃ হারান মাস্টার ব্রজ মাস্টারকে ‘ Horns of a Dilemma ‘ ইংরাজি বাক্যটির মানে জিজ্ঞাসা করেছিলেন । এবং ব্রজ মাস্টার বাক্যটির বাংলা মানে ‘ উভয় সংকট ’ বলেছিলেন । ব্রজ মাস্টার তার সঠিক উত্তরটি দিয়েছিলেন ।
১৩। গোঁসাইগঞ্জে কে স্কুল স্থাপন করেছিলেন ?
উত্তরঃ গোঁসাইগঞ্জে হীরালাল দত্ত মহাশয় স্কুল স্থাপন করেছিলেন ।
শব্দার্থ :
কিঞ্চিদধিক :- কিছুটা বেশি ।
বর্ধিষ্ণু :- সমৃদ্ধ ।
দণ্ডায়মান :- দাঁড়িয়ে বা সোজা হয়ে ।
বারোয়ারি :- সন্মিলিত ।
গুজব :- শোনা কথা ।
বিকার :- জ্বর ।
রোয়াকের প্রান্তে :- বারান্দার শেষ সীমায় ।
পরাভব :- পরাজয় ।
কৃশকায় :- রোগা ।
প্রত্যাখ্যান :- ফিরিয়ে দেওয়া ।
উৎক্ষিপ্ত :- নিক্ষিপ্ত
অপ্রতিহতভাবে :- কোনোরূপ বাধা না মেনে ।
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.