Class 12 Bengali Question Answer Chapter 7 পূব-পশ্চিম

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 Bengali Question Answer Chapter 7 পূব-পশ্চিম Provided by The Roy Library is one of the best content available on the internet as well as many other offline books. Class 12 Bengali Question Answer Chapter 7 পূব-পশ্চিম | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন Question Answer is made for AHSEC Board students. We ensure that You can completely trust this content. If you learn PDF from then you can Scroll Down and buy PDF text book Solutions I hope You Can learn Better Knowledge.

Class 12 Bengali Question Answer Chapter 7 পূব-পশ্চিম

Here we will provide you complete Bengali Medium AHSEC Class 12 বাংলা ( MIL ) Suggestion, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Question Answer, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Notes, AHSEC Class 12 Bengali (MIL) Solution, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন, উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সমাধান, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) বই প্রশ্ন উত্তর, দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ( MIL ) PDF Question Answer absolutely free of cost. If you read this solution very carefully with proper understanding & then memorize questions by yourself you can score the maximum number of marks in your upcoming Exam.

পূব-পশ্চিম

গোট : ১ নির্বাচিত পদ্যাংশ 

১। অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রথমে কোন ছদ্মনামে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন ? 

উত্তরঃ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রথমে ‘ নীহারিকা দেবী’ ছদ্মনামে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন । ‘ 

( খ ) ‘ রূপনারায়ণ ’ নদী কোন রাজ্যে অবস্থিত ? 

উত্তরঃ রূপনারায়ণ নদী পশ্চিমবঙ্গে প্রবাহিত । 

( গ ) ‘ পিয়ালী ’ শব্দের অর্থ কী ? 

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের একটি নদীকে এখানে বোঝানো হয়েছে ।

( ঘ )  ‘ গম্ভীরা ’ বাংলার কোন অঞ্চলে প্রচলিত ? 

উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় গম্ভীরা প্রচলিত । 

( ঙ ) ‘ তোমার টাঙ্গাইল আমার ধনেখালি ’ – এখানে টাঙ্গাইল শব্দে কী সূচিত করা হয়েছে ? 

উত্তরঃ টাঙ্গাইল বলতে একপ্রকার নক্সা কাটা তাঁতের তৈরি সুতির শাড়িকে বোঝানো হয়েছে । যেটা বর্তমান বাংলাদেশের টাঙ্গাইল অঞ্চলে তৈরি হয় । 

( চ ) ‘ আমি তোমার পীরের দরগায় __ জ্বালি ‘ । ( শূণ্যস্থান পূর্ণ কর ) 

উত্তরঃ আমি তোমার পীরের দরগায় চেরাগ জ্বালি । 

( ছ ) ‘ কে মুছে দেবে আমাদের মুখের ভাষা আমাদের রক্তের ____’ । ( শূণ্যস্থান পূর্ণ কর ) 

উত্তরঃ কে মুছে দেবে আমাদের মুখের ভাষা আমাদের রক্তের কবিতা । 

( জ ) অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত কোন পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন ? 

উত্তরঃ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত ‘ কল্লোন ’ পত্রিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন ।

( ঝ ) অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের যে কোনো একটি কাব্যগ্রন্থের নাম লেখো। 

উত্তরঃ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের একটি কাব্যগ্রন্থ ‘ প্রিয়া ও পৃথিবী ’ । 

( ঞ ) অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত কবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ? 

উত্তরঃ ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের নোয়খালিতে অচিন্ত্যকুমার জন্মগ্রহণ করেছিলেন । 

২। সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) পূব – পশ্চিম কবিতাটিতে ‘ পূব ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? পশ্চিম শব্দের তাৎপর্য কী ? 

উত্তরঃ পূব – পশ্চিম কবিতাটিতে পূব বলতে অর্থাৎ বাংলাদেশকে বোঝানো হয়েছে । আর এখানে পশ্চিমবঙ্গের তাৎপর্য্য হল- পশ্চিমবঙ্গকে বোঝানো হয়েছে । – 

( খ ) ‘ আমাদের খাঁচার ভিতরে একই অচিন পাখির আনোগোনা ‘ — এখানে ‘ খাঁচা ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে । ‘ অচিন পাখিটি ’ কী ? 

উত্তরঃ এখানে খাঁচা বলতে জীবদেহকে বোঝানো হয়েছে । অচিন পাখি মানে মানবাত্মাকে বোঝানো হয়েছে । মানুষ আত্মিকভাবে এক । সকল মানুষের খাঁচার ভিতর একই মানবাত্মা বিবাদ করে , যা মানুষকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে। কবি একেই অচিন পাখি বলেছেন । 

S.L. No.সূচী-পত্ৰ
পাঠ -১অভিসারের পূর্ব প্রস্তুতি – গোবিন্দ দাস
পাঠ -২অন্নদার আত্মপরিচয় – ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
পাঠ -৩বঙ্গভাষা – মাইকেল মধুসূদন দত্ত
পাঠ -৪মাতৃহৃদয় – প্রিয়ংবদা দেবী
পাঠ -৫কৃপণ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাঠ -৬কুলিমজুর – কাজী নজরুল ইসলাম
পাঠ -৭পূব-পশ্চিম – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
পাঠ -৮খরা – শঙ্খ ঘোষ
পাঠ -৯ফুলের বিবাহ – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
পাঠ -১০স্বাদেশিকতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাঠ -১১আমার জীবনস্মৃতি – লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া
পাঠ -১২মন্ত্রের সাধন – জগদীশচন্দ্র বসু
পাঠ -১৩মাস্টার মহাশয় – প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়
পাঠ -১৪দিবসের শেষে – জগদীশ গুপ্ত
পাঠ -১৫গণেশ জননী – বনফুল
পাঠ -১৬ভাত – মহাশ্বেতা দেবী
পাঠ -১৭মূল্যবোধ শিক্ষা – ড° সুজিত বর্ধন
পাঠ -১৮কৈশোরকাল ও তার উপযোগী শিক্ষা ড° কাবেরী সাহা
পাঠ -১৯ব্যাকরণ
পাঠ -২০রচনা

( গ ) ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতাটিতে উল্লেখিত যে কোনো চারটি নদীর নাম লিখো । 

উত্তরঃ পূব – পশ্চিম কবিতাটিতে উল্লিখিত নদীগুলো হল – ময়ূরাক্ষী , রূপনারায়ণ , শীতল লক্ষ্যা , শিলাবতী ।

( ঘ ) ‘ পূব – পশ্চিম ‘ কবিতাটিতে উল্লিখিত যেকোনো চারটি লোকসংগীতের নাম লেখো । 

উত্তরঃ পূব – পশ্চি কবিতাটিতে উল্লিখিত যেকোনো চারটি লোকসংগীত – গম্ভীরা , সারি , জারি , ভাটিয়ালী ।

( ঙ ) ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতাটিতে উল্লিখিত যেকোনো চারপ্রকার শাড়ির নাম লেখো । 

উত্তরঃ পূব – পশ্চিম কবিতাটিতে উল্লিখিত শাড়ি হল – টাঙ্গাইল , ধনেখালি , জামদানি ও বালুচরী ।

( চ ) ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতার পূর্ব ও পশ্চিমের অভিন্নতাসূচক যে কোনো তিনটি প্রসঙ্গের উল্লেখ করো । 

উত্তরঃ পূব – পশ্চিম কবিতার পূর্ব ও পশ্চিমের অভিন্নতাসূচক প্রসঙ্গ তিনটি হ’ল – পূব পশ্চিমের নদ – নদী , পূব – পশ্চিমের লোকসংগীত , পূব – পশ্চিমের গাছপালা ও ফলমূল । 

( ছ ) ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতায় পূর্ব ও পশ্চিমের অভিন্ন শত্রু কে ? সে কী করেছে ? সে কী করতে চায় ? 

উত্তরঃ যারা বঙ্গদেশকে ভেঙে পূর্ব বাংলা ও পশ্চিমবঙ্গে বিভক্ত করেছে তারাই কবিতাটিতে অভিন্ন শত্রু বলে পরিচিত । 

( জ ) পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার ভাষাগত ব্যবধানকে কবি কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন ? 

উত্তরঃ কবি বলেছেন পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মানুষ বাংলা ভাষাতেই কথা বলে । তাদের উভয়ের ভাষার কিছু ধ্বনিগত পার্থক্য থাকলেও তারা মূলে কিন্তু একই ভাষারই বাহক । অর্থাৎ মূলত বাংলা ভাষাকেই ব্যবহার করছে । 

৩। দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নঃ 

( ক ) ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতার পূর্ব ও পশ্চিমের অভিন্নতাসূচক যে প্রসঙ্গগুলো কবি উত্থাপন করেছেন , তার একটি সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও । 

উত্তরঃ পূব – পশ্চিম কবিতায় কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত পূর্ব – পশ্চিমের অভিন্নতা সম্পর্কে বলেছেন যে , পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ যে শীতললক্ষ্যা, ভৈরব , কর্ণফুলী নদী বয়ে চলেছে তার জলধারা যেমন তেমনি পশ্চিমবঙ্গের বয়ে চলা নদী ময়ূরাক্ষী , রূপনারায়ণ শিলাবতী তার জলধারাও একই অভিন্ন । দুই বঙ্গের আকাশে চন্দ্র , সূর্য একই অভিন্ন । 

পূর্ববঙ্গের বুকে যেমন নারকেল , সুপারি অশোক , শিমূল গাছ বেড়ে উঠে ঠিক তেমনি পশ্চিমবঙ্গের বুকে রয়েছে , তাল খেজুর , শাল , মহুয়া। আর এ সমস্ত গাছের ছায়া পূব পশ্চিম দুই বঙ্গেই এক ও অভিন্ন । পূব বঙ্গের বাতাসে যেমন ভাটিয়ালী সারি জারি গানের সুর ভেসে বেড়ায় তেমনি পশ্চিমবঙ্গে ও গম্ভীরা বাউল ইত্যাদির সুর ধ্বনিত হয় । দুই দেশেরই গানের সুরের একই আবেগ স্পর্শ অনুভূত হয় । পূব বঙ্গে যেমন টাঙ্গাইল , জামদানি শাড়ি পাওয়া যায় তেমনি পশ্চিমবঙ্গেও বিখ্যাত ধনেখানি বালুচরী আর উভয়ের মধ্যে রয়েছে মনোমুগ্ধকর সৃজনশীলতা । দুয়েরই কারুকার্যতা সমান সৌন্দর্য বহন করে । 

উভয় বাংলার সুখ ও দুঃখও অভিন্ন । পূব বাংলার ইসলামেরা হিন্দুদের মন্দিরে মানসিকের সূতা বাঁধে পশ্চিমবাংলার হিন্দুরাও মুসলমান দরগায় প্রদীপ জ্বালায় । হিন্দু ও মুসলমান উভরেই একই শক্তির আরাধনা করে । যারা দেশকে নিজেদের স্বার্থে দ্বিখণ্ডিত করেছে সেই শত্রু দুই দেশেরই অভিন্ন অশ্রু । দুই বাংলার ভাষাও অভিন্ন । দুই বাংলাতেই একই বাংলা ভাষায় ভাবের আদান – প্রদান করে । দুই বাংলায় শুই বিভেদের ব্যবধান কাঁটা তারের বেড়া । আর বাকী সবই অভিন্ন হয়ে রয়েছে । 

( খ ) ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতায় বিভেদ অতিক্রম করে মিলনের যে বানী প্রকাশ করা হয়েছে , তা নিজের মতো করে ব্যক্ত করো। 

উত্তরঃ দেশ ভাগ এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা । এক শ্রেণির মানুষের স্বার্থপূরণের জন্য অখণ্ড বাংলাদেশকে দ্বিখণ্ডিত করা হয় । কিন্তু এই দ্বিখণ্ডিত বিচ্ছেদের মধ্যেও যে অভিন্ন মিলনের সুর ধ্বনিত হয়েছে তা কবির দৃষ্টিতে প্রতিফলিত হয়েছে । দুই বাংলার মধ্যে কাঁটা তাঁরের সীমানা তৈরী করা হলেও , সেই সীমান্তের দুই পারে এমন অনেক উপাদান আছে যা মূলত দুই দেশের মিলনের সুরকেই চিহ্নিত করেছে । সীমান্তের দুপারেই যে নদ নদী বয়ে চলেছে তার জলধারা একই । একই সূর্য , দুই দেশকেই আলো প্রদান করছে । একই বায়ু দুই বাংলায় প্রবাহিত হয়েছে । দুই বাংলার মাটি একই তাল , খেজুর , পান , নারিকেল গাছে সজ্জিত । দুই বাংলাতেই মিঠা লোকসংগীতের সুরে । ধ্বনিত হয়েছে । এক বাংলায় ভাটিয়ালি , সারি জারি এক আরেক বাংলায় গম্ভীরা । মূলতঃ একই আবেগের সুর মূর্ছনা দুই বাংলাতেই । পোশাক – পরিচ্ছেদও একই দুই বাংলায় , পূর্ব বঙ্গে টাঙ্গাইল জামদানি তো পশ্চিমবঙ্গ ধনেখালি বালুচরি । দুই দেশের মাটিতেই ফলছে অভিন্ন ফসল । 

( গ ) ব্যাখ্যা করো : 

১। তোমার চোখের আকাশের রোদ আমার চোখের উঠোনে এসে বসে তোমার ভাবনার বাতাস আমার ভাবনার বাগানে ফুল ফোটায় । 

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতা থেকে গৃহিত হয়েছে । কবি পূর্ব ও পশ্চিম বঙ্গের মধ্যে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টির প্রসঙ্গে কবির মত প্রকাশ করেছেন । 

কিছু মানুষ নিজ স্বার্থ সিদ্ধি করার জন্য অখণ্ড বাংলাদেশকে ভেঙে দ্বিখণ্ডিত করেছিল । তারের জালে দুই দেশের সীমান্তরেখা আঁকা হল । সীমান্তের একপারে পূব বাংলা অপর পারে পশ্চিমবঙ্গ । কবি বলেছেন এই বিভাগ শুধু ভৌগলিক সীমার বিচ্ছেদ । কারণ আজও সূর্য উঠেছে দুই বঙ্গে একই । একই সূর্যের আলোয় দুই বঙ্গ আলোকিত । একই প্রানবায়ু দুই বঙ্গে সমানভাবে বিরাজ করছে । পূব – পশ্চিম দুই বঙ্গের বাগান একই ফুলের সুগন্ধে ভরে উঠে । দুই বঙ্গের মাটিতে একই ফসল ফলে । 

২। তোমার টাঙ্গাইল আমার ধনেখালি 

তোমার জামদানি আমার বালুচর 

এক সুতো এক ছন্দ এখই লাবন্যের টানা পোড়েন 

চলছে একই রূপনগরের হাতছানিতে । 

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতা থেকে গৃহিত হয়েছে । পোশাক – পরিচ্ছেদের মধ্যেও যে দুই বঙ্গের ঐক্যতা রয়েছে সেই প্রসঙ্গে আলোচ্য অংশের অবতারণা করেছেন। 

পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ দ্বিখণ্ডিত হলেও প্রাকৃতিকও ব্যবহারিক কিছু উপাদানের দিক দিয়ে অভিন্ন । কবি বলেছেন পোশাকের দিক দিয়েও দুই বঙ্গই ঐতিহ্য বহন করেছে । তাঁতের শাড়িরই একাধিক প্রকার রয়েছে । আর সকল শাড়ির উৎস বঙ্গভূমিতেই । পূর্ববঙ্গে যেমন তৈরি হয় টাঙ্গাইল , জামদানি তেমনি পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয় ধনেখালি আর বালুচরি । দুই বঙ্গের কাপড়ের সুতোও এক আর তাঁতের একই ছন্দে নান্দনিকভবে সকল শাড়ি সেজে উঠে । ফলে তাঁতের ছন্দেই ঐক্যতা সৃষ্টি হয় দুই বঙ্গে । আর দুই বঙ্গের সংস্কৃতির বাহক ও এই শাড়ি । 

৩। আমরা এক বৃত্তে দুই ফুল , এক মাঠে দুই ফসল 

আমাদের খাঁচার ভিতরে একই অচিন পাখির আনাগোন ।

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত ‘ পূর্ব – পশ্চিম ‘ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে । পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ঐক্যের প্রসঙ্গে আলোচ্য অংশটি উল্লেখ করেছেন । 

অখণ্ড বাংলাদেশ স্বার্থের বেড়াজালে জর্জরিত হয়ে দ্বিখণ্ডিত হলেও সভ্যতা সংস্কৃতি ভাষা , প্রাকৃতিক সম্পদ ইত্যাদির দিক দিয়ে এক ও অভিন্ন , একই সূত্রে বাঁধা । দুই বাংলা যেন একই বৃত্তে প্রস্ফুটিত দুটি ফুল।একই মাটিতে যেমন দুবার ফসল ফলে ঠিক তেমনি যেন একই জমির রস গ্রহণ করে দুই ফসলই পুষ্ট হয় । সেরকমই বাংলার মাটি থেকে প্রাণ সম্পদ দুই বঙ্গের মানুষের মধ্যেই প্রকাশ পায় । দুই বঙ্গের খাঁচাতে তাই একই অচিন পাখি অর্থাৎ প্রাণশক্তি রয়েছে । যা দুই বঙ্গের মানুষকে প্রানদান করছে । 

৪। আমার দেবতার থানে তুমি বটের ঝুরিতে সুতো বাঁধো 

আমি তোমার পীরের দরগায় চেরাগ জ্বালি ।

উত্তরঃ আলোচ্য অংশটি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতা থেকে গৃহিত হয়েছে । 

অখণ্ড বঙ্গদেশকে মূলত ধর্মের উপর ভিত্তি করে দ্বিখণ্ডিত করা হয় । পূর্ববঙ্গ মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র হয় আর পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু অধ্যুষিত রাষ্ট্র। দুই ভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যেও যে ঐক্যতা রয়েছে তা বোঝাতেই কবি এই অংশের অবতারণা করেছেন । 

কবির মতে মানবতাই মূলমন্ত্র । ধর্মের ভিত্তিতে মানবতাকে পরিমাপ করা যায় না । ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে দ্বিখণ্ডিত করলেও পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের মানবতাকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারেনি । দুই দেশের মানুষের সভ্যতা , সংস্কৃতির ঐক্যকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারেনি । জনগনের মানসিক প্রীতি , মমত্বকে কখনো খণ্ড করতে পারেনি । তাই মুসলমানেরা আজও হিন্দুদের মন্দিরে মানসিকের সূতো বাঁধে আর হিন্দুরা মুসলমানের দরজায় প্রদীপ জ্বালায় । বঙ্গ দেশের এটাই ঐতিহ্য , এটা সংস্কৃতি । 

( ঙ ) তাৎপর্য্য বিশ্লেষণ করো : 

১। পরস্পর আমরা পর নই 

আমরা পড়শী – আর পড়শীই তো আরশি 

উত্তরঃ অখণ্ড বঙ্গভূমিকে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ দুই ভাগে বিভক্ত করলেও দুই দেশের জনসাধারণের মধ্যে কোনো বিভেদ সৃষ্টি করতে পারেনি । তাই কবি বলেছেন দুই বঙ্গের মানুষেরা নিজেদের প্রতিবেশি মনে করে । এই মানুষেরা পরস্পর পরস্পরের মধ্যে নিজেদেরকেই প্রতিবিম্বিত করে । কেউ পর নয় , দুই বঙ্গের মানুষ একজন আরেকজনের আপন। তাই আর দুই বঙ্গ ভৌগলিক দিক থেকে বিভক্ত হলেও মানুষের সহবস্থান মানবিকতার অভিন্ন ভূমিতে । তাই তারা একে অপরের আরশি ।

২। আমরাই একে অন্যের হৃদয়ের অনুবাদ 

মর্মের মধুকর , মঙ্গলের দূত 

আমরাই চিরন্তন কুশল সাধক । 

উত্তরঃ কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত দুই বাংলার মানুষদের ‘ চিরন্তন কুশল সাধক ’ বলেছেন । কারণ , অখণ্ড বাংলাদেশকে স্বার্থচরিতার জন্য দ্বিখণ্ডিত করা হলেও পূর্ব ও পশ্চিম বাংলার মানুষের আন্তরিকতাকে , ঐক্যতাকে দ্বিখণ্ডিত করতে পারেনি । দুই বাংলার মানুষের হৃদয়ানুভূতিকে বিভক্ত করতে পারেনি । কারণ বাংলার মানুষ পরস্পর পরস্পরের কুশল কামনায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে । তারা কখনো একে অন্যের শত্রু নয় । দুই বঙ্গের মানুষ একে অপরের বন্ধু । তাই কবি বলেছেন যেন এরা পারস্পরিক হৃদয়ের অনুবাদ । আর এই বন্ধুত্বের বন্ধন আজীবন অটুট থাকবে । তাই দুই বাংলার মানুষকে মৌমাছি বলেছেন কারণ মৌমাছির মতোই ফুলে ফুলে মঙ্গল কামনায় এরা চিরন্তন হয়ে থাকবে । পরস্পরের কুশল কামনায় কেউ বিভেদ সৃষ্টি করতে পারবে না । 

( চ ) ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতাটিতে এক প্রবল আশাবাদ ধ্বনিত হয়েছে । নানা ধরণের বিভেগ ও বিভাজনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আশাবাদের স্বরূপ ব্যক্ত করো। 

উত্তরঃ অখণ্ড বাংলাদেশকে এক শ্রেণির স্বার্থপূরণের জন্য দ্বিখণ্ডিত হয়ে হয়েছিল । কিন্তু কবি অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এই বিচ্ছেদের মধ্যেও মিলনের সুর শুনতে পেয়েছেন । তাই তার ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে যে , দুই বাংলার মাঝে কাঁটা তারের সীমানা তৈরি হলেও সীমানার দুপাশ দিয়ে যে ময়ূরাক্ষী বা শীতললক্ষার জল বয়ে চলেছে , তার স্নিগ্ধতা দুই বঙ্গে একই । দুই বঙ্গে একই সূর্য সমানভাবে আলো প্রদান করছে । একই বাতাস প্রবাহিত হয় দুই বাংলায় । নারিকেল , সুপারি , তাল , খেজুর বিভিন্ন গাছ ফলে ফুলে সজ্জিত হয় দুই বাংলার মাটিতেই । দুই বাংলাতেই লোকগানের সুর ধ্বনিত হয় একই আবেগে । দুই বাংলার লোকসংগীতের মধ্যে রয়েছে ভাটিয়ালি , গম্ভীরা সারি জারি , বাউল ইত্যাদি । 

আবার পোষাক – পরিচ্ছদেও দেখা যায় একইছন্দের মিল । পূর্ববঙ্গে টাঙ্গাইল আর জামদানি এবং পশ্চিমবঙ্গে বালুচরি । দুই বঙ্গেরই শাড়ির সৌন্দর্য একই । দুই বঙ্গের মাটিতে ফসল ফলে একই অভিন্ন । তাই পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী । তারা ভৌগলিক বিভেদকে উত্তীর্ণ করে প্রতিবেশী রূপে একে অপরের মঙ্গল কামনায় ব্রতী হয়েছে । উভয়ে উভয়ের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল । উভয়ের ভাষাও একই , একই বাংলা ভাষায় উভয় বঙ্গের লোক কথা বলে । এমনকি দুই বঙ্গের শত্রুও একই । যারা দেশকে দ্বিখণ্ডিত করেছেন , তারা দুই বঙ্গেরই শত্রু হয়ে উঠেছে । রবীন্দ্রনাথ নজরুলের সম্প্রীতির বন্ধনে দুই বঙ্গ রাখীর সুতায় এক হয়ে উঠেছে । তাই কবির ভাষায় তারা এক বৃত্তের দুটি ফুল । 

( চ ) ‘ পূব – পশ্চিম ’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা আলোচনা করো। 

উত্তরঃ দীর্ঘ রাজনৈতিক সংঘর্ষের বলী হয় অখণ্ড বাংলাদেশ । এই বাংলাদেশকে দ্বিখণ্ডিত করে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় । ফলে অখণ্ড বাংলা পূর্ববাংলা অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ । এই দুই বাংলায় বিভক্ত হয়ে পড়ে । তবে এই বিচ্ছিন্নতা দুই বাংলার হৃদয়কে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি , প্রকৃতিকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি । 

কবি খুব আন্তরিকতার সঙ্গে অনুভব করেছেন দুই বাংলার ঐক্যের সুরকে । তাই কবির ভাষায় বেজে উঠছে দুই বাংলার ঐক্যের বাণী । কবি বলেছেনে পূর্ববঙ্গের বুকে যেমন বয়ে চলেছে শীতললক্ষ্য , ভৈরব , কর্ণফুলী নদীর শান্ত – স্নিগ্ধ জলের ধারা তেমনি পশ্চিমবঙ্গেও বয়ে চলেছে ময়ূরাক্ষী , রূপনারায়ণ শীতল জলধারা । নদীগুলি কোনো ভিন্নতা নিয়ে চলেনি একই স্নিগ্ধতা নিয়েই দুই বঙ্গে বয়ে চলেছে । দুই বাংলাতে একই সূর্য সমান ভাবে আলো – প্রদান করছে । একই বাতাস একই বায়ু দুই বাংলায় সমান ভাবে বইছে । 

সীমান্ত রেখার বেড়াজাল এই পবনধারাকে রুখে রাখতে পারেনি । দুই বঙ্গেই নারিকেল , সুপারি , অশোক , তাল , খেজুর ইত্যাদি বিভিন্ন গাছের ছায়ায় শীতলতা মোহিত হয়েছে। একেই তাঁতে একই সূতার ছোয়ায় দুই বঙ্গের টাঙ্গাইল , জামদানি , বালুচর , ধনেখালি বিখ্যাত সব শাড়ি তৈরি হয়েছে । দুই দেশ রাষ্ট্রনৈতিক তাদের কেউ আটকে রাখতে পারেনি। পূর্ববঙ্গ এবং পশ্চিমবঙ্গ একে অপরের পরিপূরক । এই দিক থেকে বিচার করলে কবিতাটির নামকরণ সার্থক হয়েছে । 

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তরঃ

১। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত কোন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ? 

উত্তরঃ চাকরি জীবনে কবি অচিন্ত্যকুমার ডিস্ট্রিক জাজ এবং স্পেশাল জুডিশিয়ান অফিসার পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন । 

২। অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত বিখ্যাত কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখ ? 

উত্তরঃ অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত রচিত কয়েকটি গ্রন্থ হল – বেদে , আকস্মিক বাক জ্যোৎস্না , বিবাহের চেয়ে বড়ো , ইন্দ্রানী , প্রাচীর ও প্রান্তর , নবীনতা , উর্ণনাভ , আসমুদ্র ইত্যাদি। 

৩। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত কী সম্মান লাভ করেছিলেন ? 

উত্তরঃ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত ‘ জগতারিণী ’ পদক লাভ করেন । 

৪। ‘ তোমার ভাবনার বাতাস আমার ভাবনার বাগানে ফুল ফোটায় ’ — এখানে তোমারও আমার বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? 

উত্তরঃ এখানো তোমার বলতে পূর্ববঙ্গকে এবং আমার বলতে পশ্চিমবঙ্গকে বোঝানো হয়েছে । 

৫ । ‘ আমরা এক বৃত্তে দুই ফুল’ ‘ — এখানে কবি ‘ এক বৃত্তে দুই ফুল ’ বলতে কী বুঝিয়েছেন ? 

উত্তরঃ কবি এখানে এক বৃত্তে দুই ফুল বলতে দ্বিখণ্ডিত বঙ্গকে অর্থাৎ পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমানকে বুঝিয়েছেন । 

৬। আমরা পড়শী আর পড়শীরাই তো কী ? 

উত্তরঃ আমরা পড়শী আর পড়শীরাই তো আরশি । 

৭। কবি কোন বঙ্গকে সুলতানার সঙ্গে তুলনা করেছেন ? 

উত্তরঃ কবি পূর্ব বঙ্গকে সুলতানার সঙ্গে তুলনা করেছেন । 

৮। কবি পশ্চিমবঙ্গকে কার সঙ্গে তুলনা করেছেন ? 

উত্তরঃ কবি পশ্চিমবঙ্গকে অপূর্বর সঙ্গে তুলনা করেছেন । 

৯। কবি কোন বঙ্গকে মহবুব এর সঙ্গে তুলনা করেছেন ? 

উত্তরঃ কবি পশ্চিমবঙ্গকে মহবুব এর সঙ্গে তুলনা করেছেন । 

১০। কবি পূর্ববঙ্গকে কোন রমনীর সঙ্গে তুলনা করেছেন ? 

উত্তরঃ কবি পূর্ববঙ্গকে শ্যামলীর সঙ্গে তুলনা করেছেন । 

১১। ‘ এই ভাষায় আমাদের আনন্দে – আশ্চার্য সাক্ষাৎকার ’ – এখানে কোন ভাষার কথা বলা হয়েছে ? 

উত্তরঃ এখানে বাংলা ভাষার কথা বলা হয়েছে । 

১২। ‘ কবি কাদেরকে চিরন্তন কুলসাধক বলেছেন ? 

উত্তরঃ কবি পূর্ব ও পশ্চিম উভয় বাংলার মানুষদের চিরন্তন কুলসাধক বলেছেন । 

শব্দার্থ ও টীকা : 

শীতল লক্ষ্যা : বর্তমান বাংলাদেশের অন্তর্গত একটি নদী । লক্ষ্যা নামেও এই নদীটি পরিচিত । এটি ব্রহ্মপুত্রের একটি শাখা নদী । নারায়ণগঞ্জ এই নদীর তীরেই অবস্থিত । 

ময়ূরাক্ষী : এটি একটি নদী । পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম ও মুর্শিবাদ জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । নদীটি পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে ঝাড়খণ্ডের ত্রিকূট পাহাড় থেকে নির্গত হয়ে , ঝাড়খণ্ড হয়ে প্রবাহিত হয়েছে । নদীটি‘ মোর নামেও পরিচিত । 

ভৈরব : ভৈরব বাংলাদেশের একটি নদী । মেহেরপুর জেলার টেঙ্গামারি থেকে উৎপন্ন হয়ে যশোহর শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে । নদীটির একটি শাখা খুলনা ইছামতী ভারত – বাংলাদেশের সীমান্ত গঠন করেছে । খুলনা শহর এই নদীর তীরেই অবস্থিত । 

রূপনারায়ণ : পশ্চিমবঙ্গের একটি বিখ্যাত নদী । ছোটনাগপুরের ঢালেশ্বরী থেকে উৎপন্ন হয়ে নদীটি পুরুলিয়া ও বাকুরা জেলায় প্রবাহিত। নদীটি মেদিনীপুরের খাটালের কাছে শিলাবতী নদীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে । এই নদী আবার বাঁকুড়াতে দ্বারকেশ্বরী নামে পরিচিত ।

কর্ণফুলি : কর্ণফুলি বাংলাদেশে চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রবাহিত একটি নদী । এটি ভারতবর্ষের মিজোরামের লুসাই পর্বত থেকে নির্গত ।

শিলাবতী : এই নদীটি ‘ শিলাই ’ নামেও পরিচিত ।পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার ছোটনাগপুর থেকে উৎপন্ন হয়েছে । নদীটি পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর জেলায় প্রবাহিত । 

পিয়ালী : এটি একটি নদী । নদীটি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলের অবস্থিত । 

পায়রা : পূর্ব বাংলার দক্ষিণ অংশের একটি নদী ।

ভাটিয়ালী : বাংলার লোকসংগীত । বাংলাদেশর মাঝির ভাটার টানে নৌকা ছেড়ে দিয়ে ভাটিয়ালি সুরে গান গায় ।

গম্ভীরা : গম্ভীরা একটি লোকসংগীত ও লোকনাট্য । মালদহ জেলার প্রচলিত গাজন উৎসবে গম্ভীরা গাওয়া হয় ।

সারি : পূর্ববঙ্গের মাঝিদের বিশেষ গান ।

জারি : জারি হল একজাতীয় গান । কারবালার ঘটনাবলি নিয়ে বাংলার গ্রামাঞ্চলের শোকগাথা জাতীয় গান । 

বাউল : রায় বঙ্গের মহজিয়া সাধকদের সাধন সংগীত । মূলতঃ এগুলি দেহসাধনার বা দেহতত্ত্ব আশ্রিত গান । 

ধনেখালি : পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়া , মহকুমার ধনিয়াখানি অঞ্চলের বিখ্যাত তাঁতের শাড়ি ।

লাবন্য : সৌন্দর্য ।

আরশি : আয়না ।

অচিন : অপরিচিত ।

দুর্বার : নিবারণ ।

থান : স্থান ।

অমৃতদীপিত :- অমরত্বে উজ্জ্বল ।

অচিন পাখি :- জীবের প্রাণ ।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top