Class 12 Economics Chapter 2 জাতীয় আয় গণনা

Join Roy Library Telegram Groups

Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Bengali Medium Syllabus of AHSEC Board Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 2 জাতীয় আয় গণনা with you. Are you a Student of Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 2 জাতীয় আয় গণনা Which you Can Download Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 2 জাতীয় আয় গণনা for free using direct Download Link Given Below in This Post.

Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 2 জাতীয় আয় গণনা

Today’s We have Shared in This Post, Class 12 Economics Solutions in Bengali Medium for Free with you. HS 2nd Year Economics Notes in Bengali I Hope, you Liked The information About The Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF. if you liked Assam AHSEC Solutions for Class 12 Economics in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.

প্রশ্ন ২৪। ক্ষয়-ক্ষতি কী ? মোট বিনিয়োগের সাথে ক্ষয়-ক্ষতি কীভাবে জড়িত লেখো।

অথবা, 

রাষ্ট্রীয় আয় গণনার প্রসঙ্গে ক্ষয়-ক্ষতির (মূল্য হ্রাস) ধারণা ব্যাখ্যা করো। 

উত্তরঃ উৎপাদন প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে কলকারখানা, যন্ত্রপাতি ও মূলধন সামগ্রী ক্রমশ পুরাতন ও অকেজো হয়ে পড়ে। উৎপাদন প্রক্রিয়া ক্রমাগত চালু রাখতে হলে ওইগুলো কোন না কোন সময় মেরামত বা পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য দেখা যায় উৎপাদনকারী প্রত্যেক বছর তার আয়ের একাংশ মূলধন দ্রব্যাদি ও কলকারখানার ক্ষয়ক্ষতি বা অবচয়  পূরণের জন্য আলাদা করে রেখে দেয়।

যন্ত্রপাতি, কলকারখানা ও উৎপাদনের সাজ সরঞ্জাম ইত্যাদি মূলধনজাত  দ্রব্যসামগ্রীর জন্য ব্যয়কে বিনিয়োগ বলে। মোট বিনিয়োগে ক্ষয়ক্ষতি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। শুদ্ধ বা Net  জাতীয় উৎপাদন কাকে বলে ?

উত্তরঃ মোট জাতীয় উৎপাদন থেকে উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত মূলধনী দ্রব্যের ক্ষয়-ক্ষতি বাদ দিলে যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে শুদ্ধ/লব্ধ বা নেট জাতীয় উৎপাদন (NNP ) বলে।

সূত্রমতে, NNP  = GNP –  মূলধনের ক্ষয়ক্ষতি মূল্য।

প্রশ্ন ২। মধ্যবর্তী দ্রব্য কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সকল দ্রব্য সরাসরি ভোগের কাজে ব্যবহৃত না হয়ে পুনরায় উৎপাদনের  উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়, তাকে অন্তর্বর্তী বা মধ্যবর্তী দ্রব্য বলে। যেমন – কৃষকের উৎপাদিত তুলা যা বস্ত্রশিল্পে  কাপড় উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

প্রশ্ন ৩। আর্থিক বছর কী ?

উত্তরঃ 1 এপ্রিল থেকে 31 শে  মার্চ পর্যন্ত সময়সীমাকে  আর্থিক বছর বলে।

প্রশ্ন ৪। CLIN ও CPI এর পূর্ণরূপ লেখো।

উত্তরঃ Cost of Living Index Number (CLIN)

Consumer Price Index (CPI)

প্রশ্ন ৫। অবচয় কী ?

উত্তরঃ একটি নির্দিষ্ট সময়ে মূলধনী মজুত মালের ক্ষয়ক্ষতি অথবা নিঃশেষকরণকে  অবচয়  বলে।

প্রশ্ন ৬। টেকসই ভোগদ্ৰব্য কী ?

উত্তরঃ যে ভোগ্যদ্রব্য সঙ্গে সঙ্গে নিঃশেষিত হয় না, দীর্ঘদিনের স্থায়িত্ব থাকে, তাকে টেকসই ভোগ্যদ্রব্য  বা মূলধন সদৃশ ভোগ্য দ্রব্য বলে। যেমন- Computer, TV সেট, Refrigerator, Laptop ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৭। শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

উত্তরঃ (১) নেট পরোক্ষ কর।

(২) অবচয় (Depreciation )।

(৩) ভর্তুকি (Subsidies )।

(৪) নেট পরোক্ষ কর।

প্রশ্ন ৮। মাথাপিছু আয় কী ?

উত্তরঃ একটি দেশের নির্দিষ্ট বছরের জাতীয় আয়কে দেশের জনসংখ্যার দ্বারা ভাগ করলে যে মান পাওয়া যায়, তাকেই দেশের মাথাপিছু আয় বলা হয়।

প্রশ্ন ৯। পাইকারি দাম সূচক কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সূচক সংখ্যা সাধারণত দামস্তরের  পরিবর্তনকে সূচিত করে, তাকে পাইকারি দাম সূচক বলে।

প্রশ্ন ১০। ভিত্তিবর্ষ কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে সময়ের ওপর ভিত্তি করে দাম, পরিমাণ ইত্যাদির হ্রাস-বৃদ্ধির পরিমাপ করা যায়, তাকে ভিত্তি বর্ষ বলে।

প্রশ্ন ১১। রাষ্ট্রীয় আয় কী ?

উত্তরঃ একটি দেশের একটি নির্দিষ্ট বিত্তীয় বর্ষে যে সমস্ত প্রস্তুত দ্রব্য বা সেবাসামগ্রী উৎপাদন করা হয় তার মুদ্রামূল্যই হল রাষ্ট্রীয় আয়।

প্রশ্ন ১২। একটি উদাহরণসহ হস্তান্তরিত দেনার ধারণাটি দাও।

উত্তরঃ যে সকল ব্যক্তির নিকট থেকে কোনরূপ সেবা পাওয়া যায় না বা যে সকল ব্যক্তি জাতীয় উৎপাদন কার্যে অংশগ্রহণ করে না, তাদের আয়কে হস্তান্তরিত আয়  বলে। যেমন – ছাত্রবৃত্তি, দান ও অনুদান ইত্যাদি।

প্রশ্ন ১৩। আয়ের চক্রীয় প্রবাহ কী ?

উত্তরঃ অর্থনীতিতে উৎপাদন ও ভোগ প্রক্রিয়া চলতে থাকার ফলে ফার্ম ও পরিবারের মধ্যে আয়-ব্যয় প্রবাহের সৃষ্টি হয়। আয় ব্যয়ের এই অবিরত প্রবাহকেই অর্থনীতিতে আয়ের চক্রীয় প্রবাহ বলে।

প্রশ ১৪। আয়ের চক্রীয় প্রবাহে উদ্ভব হওয়া যে কোনো দুটি নির্গমনের বিষয়ে উল্লেখ করো।

উত্তরঃ (১) পরিবারগুলি ফার্মকে উপাদান সেবা যোগান দিয়ে আয় উপার্জন করে। এই আয়ের দ্বারাই ফার্মের কাছ থেকে দ্রব্য ও সেবাকার্য কেনে। এই প্রক্রিয়ায় পরিবারগুলির সঞ্চয় শন্য ধরা হয় নতুবা ফার্মের মোট ব্যয় এবং পরিবারের আয়ের সমষ্টি সমান হবে না।

(২) আয়ের চক্রীয় প্রবাহে বৈদেশিক বাণিজ্যের অনুপস্থিতির অভিধারণা লওয়া হয়। দেশের অভ্যন্তরের উপাদানের সাহায্যে উৎপাদন ও ভোগ সম্পাদিত হয়। ভারতের মানুষ যদি বিদেশী দ্রব্য ক্রয় করে বা ভারত যদি বিদেশে দ্রব্য বিক্রয় করে তাহলে আয়ের চক্রীয় প্রবাহে নির্গমন হবে কারণ সামগ্রিক চাহিদায় এগুলি প্রভাব ফেলায়।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর 

প্রশ্ন ১। উপভোক্তার দ্রব্য (ভোগ্যবস্তু) এবং মূলধনী দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো।

উত্তরঃ যে সকল চূড়ান্ত দ্রব্য উপভোক্তারা উপভোগ করে বা যেটি উপভোক্তার তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণ করে, তাকে উপভোক্তার দ্রব্য বা ভোগ্যবস্তু বলে। এটি পরিষেবাকেও অন্তর্ভুক্ত করে। যেমন – ভাত, রুটি ও কাপড় ইত্যাদি।

যে সকল মধ্যবর্তী দ্রব্য উৎপাদন কার্যে ব্যবহার করা হয়, তাকে মূলধনী দ্রব্য বলে। যেমন – কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি।

প্রশ্ন ২। জাতীয় আয় প্রসঙ্গে মজত এবং প্রবাহের মধ্যে পার্থক্য দর্শাও। 

উত্তরঃ ষ্টক বা মজুত হল নির্দিষ্ট সময় বিন্দুতে অর্থনৈতিক চলকের পরিমাণ নির্ধারণ করা কিন্তু প্রবাহ হল একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অর্থনৈতিক চলকের পরিমাণ কাকে বলে ?

নির্ধারণ করা। ষ্টক হল স্থির ধারণা। যেমন – যন্ত্রপাতির পরিমাণ, টাকার পরিমাণ, মোট অর্থের যোগান; সম্পদের পরিমাণ ইত্যাদি। প্রবাহ হল গতিশীল ধারণা। যেমন – আয়, উৎপাদন, লাভ, নির্দিষ্ট সময়সীমায় ব্যাংক আমানতের পরিমাণ ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৩। উৎপাদনের চারটি কারক বা উপাদানের নাম লেখো এবং তাদের বৈশিষ্ট্যসমূহ লেখো।

উত্তরঃ উৎপাদনের চারটি উপাদান হল –

(ক) ভূমি।

(খ) শ্রম। 

(গ) মূলধন। 

(ঘ) সংগঠন।

ভূমির বৈশিষ্ট্যঃ

(১) ভূমি প্রকৃতির দান।

(২) ভূমির যোগান সীমাবদ্ধ।

(৩) ভূমি স্থানান্তরযোগ্য নয়।

(৪) জমির উর্বরতা এবং অবস্থিতির ভিত্তিতে ভূমির গুণগত পার্থক্য রয়েছে।

শ্রমের বৈশিষ্ট্যঃ

(১) শ্রম জীবন্ত উপাদান।

(২) শ্রমকে শ্রমিক হতে পৃথক করা যায় না।

(৩) শ্রম গতিশীল।

(৪) শ্রমকে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করা যায় না।

মূলধনের বৈশিষ্ট্যঃ

(১) মূলধন মানুষের দ্বারা সৃষ্ট।

(২) মূলধন গতিশীল।

(৩) মূলধনের যোগান দাম আছে।

(৪) মূলধন স্থিতিস্থাপক।

(৫) মূলধন উৎপাদনশীল।

সংগঠনের বৈশিষ্ট্যঃ

(১) বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সমন্বয় সাধনের ক্ষমতা সংগঠনের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

(২) অনিশ্চিত ভবিষ্যতে ঝুঁকি লওয়া – সংগঠনের এক উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য।

(৩) সংগঠন বা সংগঠককে একজন উন্নতমানের শ্রমিক হিসাবে বিবেচনা করা চলে।

(৪) সংগঠনের যোগান সীমিত।

প্রশ্ন ৪। বিনিয়োগ কাকে বলে ? বিনিয়োগের প্রধান ভাগ্নগুলো কী কী ?

উত্তরঃ অর্থবিদ্যায় বিনিয়োগ বলতে দেশের মূলধন দ্রব্যের বৃদ্ধি সাধনকে বুঝায়। নতুন কলকারখানা স্থাপন, নতুন নতুন মেশিন ও যন্ত্রপাতির আবিষ্কার এবং পরিমাণ বৃদ্ধি, চূড়ান্ত দ্রব্য সামগ্রীর উৎপাদন বৃদ্ধি বা উৎপাদন কার্যে ব্যবহারযোগ্য উপাদান ও দ্রব্য সামগ্রীর পরিমাণ বৃদ্ধি এই সব মিলিয়ে কোন দেশের সামগ্রিক মূলধনের যে বৃদ্ধিসাধন হয়, তাকে বিনিয়োগ বলা হয়। মজুত পণ্যের বৃদ্ধি ও স্থির মুলধনের বৃদ্ধি বিনিয়োগের অন্তর্ভুক্ত।

বিনিয়োগ দুই প্রকারের হতে পারে –

(১) স্বশাসিত বিনিয়োগ।

(২) উদ্দেশ্যগত  বিনিয়োগ।

প্রশ্ন ৫। মোট ঘরোয়া উৎপাদনকে (GDP) একটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের মাপের সূচক বলে গণ্য করা কেন শুদ্ধ নয়, আলোচনা করো।

উত্তরঃ সাধারণতঃ GDP কে আর্থিক কল্যাণের সূচক হিসাবে গণ্য করা হয়। অন্যান্য বিষয় স্থির থাকলে, GDP বৃদ্ধি পেলে জনগণের আর্থিক কল্যাণ সাধিত হবে। তাছাড়া GDP- র কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যা প্রমাণ করে GDP একটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের মাপের সূচক বলে গণ্য করা শুদ্ধ নয়। নিচে GDP এর সীমাবদ্ধতা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল।

(১) মোট ঘরোয়া উৎপাদন বৃদ্ধি হলেও জনসাধারণের কল্যাণ বৃদ্ধি হয়েছে তা বুঝায় না, কারণ যদি বর্ধিত উৎপাদনের বৃহৎ অংশ কতিপয় পুঁজিপতির হস্তে কুক্ষিগত থাকে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের হস্তে এর কোন অংশ পৌঁছেনি।

(২) অর্থের মাপকাঠিতে করা হয়ে থাকে। কিন্তু একটি অর্থনীতির উৎপাদনের একটি মোটা অংশ বাজারে ক্রয় বিক্রয় হয় না। যেমন – কৃষক উৎপন্ন দ্রব্যের একাংশ নিজে ভোগ করে। আবার অনেক সময় সরাসরি বিনিময় চলে। তাছাড়া অনেক সেবামূলক কাজ আছে যার মূল্য ধরা হয় না। এরূপ অবস্থায় অর্থমূল্যে GDP. সঠিকভাবে পরিমাপ করা কঠিন।

(৩) কিছু বাহ্যিক উপাদান আছে যা মূল্যায়ন হয় না অথচ এই উপাদানগুলো জনকল্যাণের পরিমাণ অবনমিত করেছে। কিন্তু এর কোন মুদ্রাগত মূল্যায়ন হয় না। উদাহরণস্বরূপ – মটরগাড়ির সাথে দুই পক্ষ জড়িত আছে। মটরগাড়ি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এবং মটরগাড়ির মালিক। মটরগাড়ির সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, বায়ু ও শব্দ দূষণের মাত্রা তত বৃদ্ধি পাবে। এই তৃতীয় পক্ষ যার মটরগাড়ির সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক নেই সেই পক্ষের ক্ষতিসাধন হবে। কিন্তু এই ক্ষতিসাধনের কোন মূল্যায়ন হয় না।

(8) GDP যদি প্রকৃত বৃদ্ধি না হয়ে মুদ্রাগত বৃদ্ধি হয়, তাহলে মোট ঘরোয়া উৎপাদন জীবনধারণের মানদণ্ড উন্নতির সূচক হতে পারে না।

(৫) মদ, গাঁজা, বিড়ি-সিগারেট, নেশাজাত ঔষধ এবং অস্ত্রশস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে GDP বৃদ্ধি হবে কিন্তু কল্যাণ হ্রাস পাবে।

(৬) অনেক সময় পেশাগত শ্রেণিকরণ করা দুষ্কর। কারণ একই ব্যক্তি একাধিক উৎস থেকে আয় উপার্জন করে থাকে। ফলে GDP এর পরিমাপে অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়।

(৭) GDP বৃদ্ধির হার অপেক্ষা জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ বেশি হলে আর্থিক কল্যাণ বৃদ্ধি পাবে না।

উপরোক্ত কারণে মোট ঘরোয়া উৎপাদন অর্থাৎ GDP একটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের মাপের সূচক বলে গণ্য করা সঠিক  নয়।

প্রশ্ন ৬। পূর্ববর্তী দ্রব্য মানে কী ? উদাহরণ সহকারে পূর্ববর্তী  দ্রব্যের অপরিকল্পিত মজুত বৃদ্ধি এবং অপরিকল্পিত মজুত হ্রাসের  ধারণা  ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ অর্থনীতিতে একটি প্রতিষ্ঠান অবিক্রিত দ্রব্য, অব্যবহৃত  কাঁচামাল অথবা অর্ধ চূড়ান্ত দ্রব্য এক বছর থেকে অন্য বছরে টেনে নিয়ে যায়, সেই দ্রব্যসমূহকে  পূর্ববর্তী দ্রব্য বলে।

পূর্ববর্তী দ্রব্যের পরিবর্তন পরিকল্পিত অথবা অপরিকল্পিত হতে পারে। বিক্রি অপ্রত্যাশিতভাবে হ্রাস পেলে প্রতিষ্ঠানটির অবিক্রিত দ্রব্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং অপরিকল্পিত মজুত বৃদ্ধি পায়। এর বিপরীতে  বিক্রির পরিমাণ আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পেলে পূর্ববর্তী দ্রব্যের মজুত  অপরিকল্পিতভাবে হ্রাস পায়।

প্রশ্ন ৭। দরসূচক  কাকে বলে ? দর সূচক কী কী  ?

উত্তরঃ দর সূচক হল এমন একটি সংখ্যা যার মাধ্যমে আমরা  দামস্তরকে  প্রকাশ করে থাকি। দাম সূচক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দামস্তর বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট সময়ে কিছু নির্বাচিত দ্রব্যের গড় দাম যে সংখ্যার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, তাকে দর সূচক বলা হয়।

দর সূচক দুই ধরনের –

(১) পাইকারি দাম সূচক।

(২) উপভোক্তার দাম সূচকাংক।

প্রশ্ন ৮। দেশের কল্যাণের সূচক হিসাবে মোট ঘরোয়া উৎপাদনের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। বাহ্যিকতার ভিত্তিতে সেগুলো ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সাধারণতঃ GDP কে আর্থিক কল্যাণের সূচক হিসাবে গণ্য করা হয়। অন্যান্য বিষয় স্থির থাকলে, GDP বৃদ্ধি পেলে জনগণের আর্থিক কল্যাণ সাধিত হবে। তাছাড়া GDP- র কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যা প্রমাণ করে GDP একটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের মাপের সূচক বলে গণ্য করা শুদ্ধ নয়। নিচে GDP এর সীমাবদ্ধতা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল।

(১) মোট ঘরোয়া উৎপাদন বৃদ্ধি হলেও জনসাধারণের কল্যাণ বৃদ্ধি হয়েছে তা বুঝায় না, কারণ যদি বর্ধিত উৎপাদনের বৃহৎ অংশ কতিপয় পুঁজিপতির হস্তে কুক্ষিগত থাকে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের হস্তে এর কোন অংশ পৌঁছেনি।

(২) অর্থের মাপকাঠিতে করা হয়ে থাকে। কিন্তু একটি অর্থনীতির উৎপাদনের একটি মোটা অংশ বাজারে ক্রয় বিক্রয় হয় না। যেমন – কৃষক উৎপন্ন দ্রব্যের একাংশ নিজে ভোগ করে। আবার অনেক সময় সরাসরি বিনিময় চলে। তাছাড়া অনেক সেবামূলক কাজ আছে যার মূল্য ধরা হয় না। এরূপ অবস্থায় অর্থমূল্যে GDP. সঠিকভাবে পরিমাপ করা কঠিন।

(৩) কিছু বাহ্যিক উপাদান আছে যা মূল্যায়ন হয় না অথচ এই উপাদানগুলো জনকল্যাণের পরিমাণ অবনমিত করেছে। কিন্তু এর কোন মুদ্রাগত মূল্যায়ন হয় না। উদাহরণস্বরূপ – মটরগাড়ির সাথে দুই পক্ষ জড়িত আছে। মটরগাড়ি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এবং মটরগাড়ির মালিক। মটরগাড়ির সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, বায়ু ও শব্দ দূষণের মাত্রা তত বৃদ্ধি পাবে। এই তৃতীয় পক্ষ যার মটরগাড়ির সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক নেই সেই পক্ষের ক্ষতিসাধন হবে। কিন্তু এই ক্ষতিসাধনের কোন মূল্যায়ন হয় না।

(8) GDP যদি প্রকৃত বৃদ্ধি না হয়ে মুদ্রাগত বৃদ্ধি হয়, তাহলে মোট ঘরোয়া উৎপাদন জীবনধারণের মানদণ্ড উন্নতির সূচক হতে পারে না।

(৫) মদ, গাঁজা, বিড়ি-সিগারেট, নেশাজাত ঔষধ এবং অস্ত্রশস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে GDP বৃদ্ধি হবে কিন্তু কল্যাণ হ্রাস পাবে।

(৬) অনেক সময় পেশাগত শ্রেণিকরণ করা দুষ্কর। কারণ একই ব্যক্তি একাধিক উৎস থেকে আয় উপার্জন করে থাকে। ফলে GDP এর পরিমাপে অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়।

(৭) GDP বৃদ্ধির হার অপেক্ষা জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ বেশি হলে আর্থিক কল্যাণ বৃদ্ধি পাবে না।

উপরোক্ত কারণে মোট ঘরোয়া উৎপাদন অর্থাৎ GDP একটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের মাপের সূচক বলে গণ্য করা সঠিক নয়।

প্রশ্ন ৯। 

এর অর্থ ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ 

এই সমীকরণ দ্বারা মোট ঘরোয়া উৎপাদনকে বুঝায়। এই মোট ঘরোয়া উৎপাদন হল একটি অর্থনীতির সকল প্রতিষ্ঠানের নেট সংযোজিত মূল্য এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের মোট সমষ্টি।

প্রশ্ন ১০। ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যক্তিগত খণ্ডে আয়ের সংজ্ঞা দাও এবং পার্থক্য করো।

উত্তরঃ পরিবার বিভিন্ন উৎস থেকে যে আয় উপার্জন করে, সেই আয়ই হল ব্যক্তিগত আয়।

কোন নির্দিষ্ট বছরে একটি দেশের ঘরোয়া খণ্ড এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের  অর্জিত আয় এবং সরকার ও বিদেশ থেকে লব্ধ হস্তান্তরিত পরিশোধের সমষ্টিকেই ব্যক্তিগত খণ্ডের আয় বলে।

ব্যক্তিগত আয় সংকীর্ণ ধারণা কিন্তু ব্যক্তিগত খণ্ডের আয় ব্যাপক ধারণা। ব্যক্তিগত আয়ে কর্পোরেশন কর এবং অবণ্টিত মুনাফা অন্তর্ভুক্ত হয় না। কিন্তু ব্যক্তিগত খণ্ড আয়ে কর্পোরেশন কর এবং অবণ্টিত মুনাফা অন্তর্ভুক্ত হয়।

প্রশ্ন ১১। উপভোক্তার দাম সূচকাংক এবং পাইকারি দাম সূচকাংকের সংজ্ঞা দাও এবং পার্থক্য দেখাও।

উত্তর। নির্দিষ্ট শ্রেণির লোকের জীবন নির্বাহের ব্যয়ের পরিবর্তন পরিমাপ করার সূচককে। উপভোক্তার দাম সূচকাংক বলে। উপভোক্তার দাম সূচকাংককে জীবন নির্বাহের ব্যয় সূচকাংক বা খুচরা দাম সূচকাংকও বলা হয়। এই সূচকাংকের সাহায্যে অর্থের ক্রয়ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়।

গড় মূল্যস্তর বা মুদ্রার মূল্য পরিবর্তন পরিমাপ করার পদ্ধতিকে পাইকারি দাম সূচকাংক বলে।

পার্থক্যঃ

(১) উপভোক্তার দাম সূচকাংকের সাহায্যে জনগণের জীবন ধারণের মানদণ্ড প্রতিফলিত হয়। পাইকারি দাম সূচকাংকের সাহায্যে সাধারণ মূল্যস্তরের পরিবর্তন পরিমাপ করা হয়।

(২) উপভোক্তার দাম সূচক গঠন প্রক্রিয়ায় দ্রব্যের দাম খুচরা মূল্যে সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু পাইকারি দাম সূচকাংকে দ্রব্যের পাইকারি মূল্য ধরা হয়।

প্রশ্ন ১২। মোট রাষ্ট্রীয় উৎপাদন এবং মোট ঘরোয়া উৎপাদনের মধ্যে পার্থক্য দর্শাও।

উত্তরঃ কোন দেশে কোনও বৎসরে উৎপাদিত চূড়ান্ত সামগ্রী এবং সেবাকার্যের মুদ্রামূল্যকে সেই বৎসরের মোট রাষ্ট্রীয় উৎপাদন (GNP) বলে।

সূত্রাকারে, GNP = C + I + G + (X – M)

এখানে, C = ভোগের জন্য ব্যয়।

I = ব্যক্তিগত খণ্ডের মোট বিনিয়োগ।

G = সরকারি খণ্ডের মোট ব্যয়ের পরিমাণ।

X = রপ্তানির পরিমাণ।

M = আমদানির পরিমাণ।

কোন নির্দিষ্ট বৎসরে কোনও দেশের ভিতরে উৎপাদিত চূড়ান্ত দ্রব্য ও সেবাসামগ্রীকে একত্রিত করলে মোট আভ্যন্তরীণ বা ঘরোয়া উৎপাদন (GDP) পাওয়া যায়। GDP এর ক্ষেত্রে আমদানি-রপ্তানির যোগ বিয়োগের প্রশ্ন আসে না।

GNP গণনার ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে অর্জিত নেট আয় অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু GDP গণনার ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে অর্জিত নেট আয় অন্তর্ভুক্ত হয় না।

প্রশ্ন ১৩। একটি বিশেষ বছরে একটি দেশে উপাদান ব্যয়ে নেট রাষ্ট্রীয় উৎপাদন 2100 কোটি টাকা। পরিবারের ব্যয়যোগ্য আয় 1500 কোটি টাকা। তার পরিশোধ করা ব্যক্তিগত আয় করের পরিমাণ 500 কোটি টাকা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তথা সরকারের সংরক্ষিত আয়ের মূল্য 300 কোটি টাকা। সরকার এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে পরিবারের হস্তান্তর পরিশোধ্যের মূল্য নির্ধারণ করো।

উত্তরঃ ব্যক্তিগত ব্যবহার যোগ্য আয় = উপাদান ব্যয়ে নেট রাষ্ট্রীয় উৎপাদন- প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সংরক্ষিত আয়ের মূল্য + হস্তান্তরযোগ্য দেনা

⇒ ব্যক্তিগত আয় কর।

⇒ 1500 = 2100 – 300 + হস্তান্তরযোগ্য দেনা – 500

⇒ 1500 = 1300 + হস্তান্তরযোগ্য দেনা

⇒ 1500 – 1300 = হস্তান্তরযোগ্য দেনা

∴ 200 = হস্তান্তরযোগ্য দেনা

হস্তান্তরযোগ্য দেনা = 200 কোটি টাকা।

প্রশ্ন ১৪। প্রতি বছরে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান 1200 টাকার দ্রব্য উৎপাদন করে। প্রতিষ্ঠানটি 750 টাকার মধ্যবর্তী দ্রব্য ব্যবহার করে। যদি প্রতিষ্ঠানটির নেট সংযোজিত মূল্য 400 টাকা হয়, তাহলে মোট সংযোজিত মূল্য এবং স্থায়ী মূলধনের ব্যবহার (অবক্ষয়) নিরূপণ করো।

উত্তরঃ মোট সংযোজিত মূল্য উৎপাদন মূল্য = মধ্যবর্তী দ্রব্যের মূল্য

= 1200 – 750

= 450 টাকা

মোট সংযোজিত মূল্য = মোট সংযোজিত মূল্য – অবক্ষয়

⇒ 400 = 450 – অবক্ষয়

অবক্ষয় = 50 টাকা

∴ মোট সংযোজিত মূল্য = 450 টাকা

অবক্ষয় = 50 টাকা

প্রশ্ন ১৫। নীচের তথ্য থেকে

(i) উপাদান ব্যয়ে মোট / স্থূল ঘরোয়া উৎপাদন 

(ii) বাজার দরে মোট / স্থূল জাতীয় উৎপাদন 

(iii) উপাদান ব্যয়ে নিখুঁত / প্রকৃত জাতীয় উৎপাদন গণনা করো।

(a) উপভোগ ব্যয়2,000 কোটি টাকা
(b) বিনিয়োগ ব্যয়1,200 কোটি টাকা
(c) সরকারি ব্যয়450 কোটি টাকা
(d) রপ্তানি ব্যয়80 কোটি টাকা
(e) আমদানি95 কোটি টাকা
(f) বিদ্ধে থেকে নিট উপাদান আয়60 কোটি টাকা
(g) পরোক্ষ কর90 কোটি টাকা
(h) ভরতুকি80 কোটি টাকা
(i) অবক্ষয়30 কোটি টাকা

অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। দ্বৈত গণনার সমস্যা বলতে কী বোঝ ? জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে দ্বৈতগণনা পরিহার করার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ উৎপাদন পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপ করার ক্ষেত্রে মধ্যবর্তী দ্রব্য এবং কাঁচামালের অর্থমূল্যকে ধরলে তাকে দ্বৈত গণনা বলা হয়। এতে জাতীয় গণনায় যে সমস্যা দেখা দেয়, তাই দ্বৈতগণনা সমস্যা।

একই দ্রব্য দুইবার গণনা করলে স্বভাবতই এই গণনা ভুল হবে, যাকে বলা হয় Over estimation। ফলে আয়ের সঠিক পরিমাপ সম্ভব হবে না। সুতরাং,‌ জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে দ্বৈতগণনা পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।

প্রশ্ন ২। জাতীয় আয় গণনা করার পদ্ধতি কয়টি ও কী কী ?

উত্তরঃ জাতীয় আয় গণনার ক্ষেত্রে তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় –

(১) উৎপাদন পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে জাতীয় আয় হিসাব করতে হলে‌ নির্দিষ্ট আর্থিক বছরের মোট উৎপাদনের মুদ্রামূল্য সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র চূড়ান্ত দ্রব্য হিসাবের মধ্যে গৃহীত হবে।

(২) আয় পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে জাতীয় আয় হিসাব করতে হলে ভূমির খাজনা, শ্রমিকের মজুরি, মূলধনের সুদ এবং সংগঠনের লাভ অর্থাৎ উৎপাদনের উপাদানসমূহের আয় একত্রিত করতে হবে।

(৩) ব্যয় পদ্ধতিঃ এই পদ্ধতিতে ভোক্তার মোট ব্যয়ের সঙ্গে মোট সঞ্চয় যোগ করে জাতীয় আয় নির্ধারণ করা হয়।

প্রশ্ন ৩। উৎপাদনীয় উপাদানের আয় ও হস্তান্তর আয়ের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

উত্তরঃ উৎপাদনীয় উপাদানের আয় বলতে খাজনা, মজুরি, সুদ এবং লাভ হতে অর্জিত মোট আয়কে বোঝানো হয়। GDP গণনার আয় পদ্ধতিতে উৎপাদনীয়  উপাদানের আয় অন্তর্ভূক্ত হয়। একটি দেশের বাসিন্দাগণ যে সকল আয় মুক্তভাবে লাভ করে এবং যার বিনিময়ে কোন মূল্য প্রদান করতে হয় না, এরূপ প্রাপ্তিকে হস্তান্তর আয় বলে। যেমন -‌ উপহার, দান, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারিদের পেন্সন ইত্যাদি। হস্তান্তর আয় GDP গণনায় অন্তর্ভুক্ত হয় না।

প্রশ্ন ৪। মধ্যবর্তী সামগ্রী, অন্তিম সামগ্রী, ভোগ্য সামগ্রী ও বিনিয়োগ সামগ্রীর উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যে সকল দ্রব্যসামগ্রী সরাসরি ভোগের কাজে ব্যবহৃত না হয়ে পুনরায় উৎপাদনের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাকে মধ্যবর্তী সামগ্রী বলে। উদাহরণস্বরূপ চিনির‌ কলের মালিক চিনি উৎপাদনের জন্য আখ ক্রয় করে। চিনির কলের মালিকের কাছে আখ হল মধ্যবর্তী সামগ্রী।

যে সকল দ্রব্যসামগ্রী শেষ ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয় অর্থাৎ সরাসরি‌ ভোগের কাজে ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে অন্তিম সামগ্রী বলে। যেমন খাদ্যদ্রব্য,কাপড়। 

যে সকল অন্তিম সামগ্রী উপভোক্তারা উপভোগ করে বা যেটি উপভোক্তার  তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণ করে, তাকে ভোগ্য সামগ্রী বলে। যেমন- ভাত, রুটি, মাংস।

যে সকল মধ্যবর্তী সামগ্রী উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত হয়, তাকে বিনিয়োগ সামগ্রী বলে। যেমন – কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী  প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ১। নিচের তথ্য থেকে ব্যক্তিগত আয় ও ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় নির্ণয় করো।

(কোটি টাকার হিসাবে)
(১) উপাদান ব্যয় NDP9000
(২) বিদেশ থেকে Net  উপাদান আয়150
(৩) অবণ্টিত  মুনাফা500
(৪) কর্পোরেট কর600
(৫) পরিবার প্রাপ্ত সুদ1200
(৬) পরিবার প্রদেয় সুদ1000
(৭) হস্তান্তরিত আয়400
(৮) ব্যক্তিগত কর600

উত্তরঃ ব্যক্তিগত খণ্ডের আয় (private income)

= উপাদান ব্যয়ে NDP  + বিদেশ থেকে নেট উপাদান আয় + পরিবার প্রাপ্ত সুদ + হস্তান্তরিত আয়-পরিবার প্রদেয় সুদ

= 9000 + 150 + 1200 + 400 – 1000

= 9750 কোটি টাকা।

ব্যক্তিগত আয় (personal income)

= ব্যক্তিগত খণ্ডের আয় – অবণ্টিত  মুনাফা – কর্পোরেট কর

= 9750 – 500 – 600

= 8650 কোটি টাকা

ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় = ব্যক্তিগত আয় – ব্যক্তিগত কর

= 8650-600 = 8050 কোটি টাকা

প্রশ্ন ২। নিচের তথ্য থেকে ব্যক্তিগত আয় ও ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় গণনা করো।

কোটি টাকার হিসাবে
(১) বাজার দামে GDP9000
(২) অবক্ষয়500
(৩) বিদেশ থেকে Net উপাদান আয়200
(8) Net পরোক্ষ কর100
(৫) অবণ্টিত মুনাফা1500
(৬) কর্পোরেট কর1000
(৭) পরিবার প্রাপ্ত সুদ1200
(৮) পরিবার প্রদেয় সুদ1000
(৯) হস্তান্তর আয়800
(১০) ব্যক্তিগত / প্রত্যক্ষ কর600

উত্তরঃ উপাদান দামে. NDP = বাজার দামে GDP – অবক্ষয় – নেট পরোক্ষ কর

= 9000 – 500 – 100

= 8400 কোটি টাকা।

ব্যক্তিগত খণ্ডের আয়

= উপাদান দামে NDP + বিদেশ থেকে নেট উপাদান আয় + পরিবার প্রাপ্ত সুদ + হস্তান্তরিত আয় – পরিবার প্রদেয় সুন্দ 

= 8400 + 200 + 1200 + 800 – 1000

= 9600 কোটি টাকা

ব্যক্তিগত আয় = ব্যক্তিগত খণ্ডের আয় – কর্পোরেট কর – অবণ্টিত মুনাফা

= 9600-1000 – 1500

= 7100 কোটি টাকা

ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় = ব্যক্তিগত আয় – প্রত্যক্ষ কর

= 7100-600 = 6500 কোটি টাকা।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top