Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Bengali Medium Syllabus of AHSEC Board Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 2 জাতীয় আয় গণনা with you. Are you a Student of Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 2 জাতীয় আয় গণনা Which you Can Download Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 2 জাতীয় আয় গণনা for free using direct Download Link Given Below in This Post.
Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 2 জাতীয় আয় গণনা
Today’s We have Shared in This Post, Class 12 Economics Solutions in Bengali Medium for Free with you. HS 2nd Year Economics Notes in Bengali I Hope, you Liked The information About The Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF. if you liked Assam AHSEC Solutions for Class 12 Economics in Bengali Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
প্রশ্ন ৩। নিচের দেওয়া তথ্য থেকে উপাদান দামে নেট রাষ্ট্রীয় উৎপাদন (NNP ), ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় নির্ণয় করো।
(কোটি টাকার হিসাবে) | |
(১) বাজার দরে GDP | 15000 |
(২) অবক্ষয় | 1000 |
(৩) বিদেশ থেকে লব্ধ উপাদান আয় | 800 |
(৪) নেট পরোক্ষ কর | 500 |
(৫) অবণ্টিত লাভ | 3000 |
(৬) কর্পোরেট কর | 2500 |
(৭) পরিবার প্রাপ্ত সুদ | 2000 |
(৮) পরিবার প্রদেয় সুদ | 1500 |
(৯) হস্তান্তর আয় | 3000 |
(১০) প্রত্যক্ষ কর | 1000 |
উত্তরঃ উপাদান দামে শুদ্ধ রাষ্ট্রীয় উৎপাদন (NNP)
= বাজার দরে GDP – অবক্ষয় – নেট পরোক্ষ কর + বিদেশ থেকে লব্ধ উপাদান আয়
= 15000 – 1000 – 500 + 800
= 15800 – 1500
= 14300 কোটি টাকা
উপাদান দামে NDP = বাজার দরে GDP – অবক্ষয় – নেট পরোক্ষ কর
= 15000 – 1000 – 500
= 13500 কোটি টাকা
ব্যক্তিগত খণ্ডের আয় (Private Income)
= উপাদান দামে NDP + বিদেশ থেকে লব্ধ উপাদান আয় + পরিবার প্রাপ্ত সুদ + হস্তান্তরিত আয় – পরিবার প্রদেয় সুন্দ
= 13500 + 800 + 2000 + 3000 – 1500
= 19300 -1500
= 17800 কোটি টাকা
ব্যক্তিগত আয় = ব্যক্তিগত খণ্ডের আয় – কর্পোরেট কর – অবণ্টিত মুনাফা
= 17800 – 2500 – 3000
= 12300 কোটি টাকা
ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় = ব্যক্তিগত আয় – প্রত্যক্ষ কর
= 12300 – 1000 = 11300 কোটি টাকা।
প্রশ্ন ৪। একটি দেশের রাষ্ট্রীয় আয় গণনার সাথে জড়িত তথ্যসমূহ নিচে দেওয়া হল-
(কোটি টাকায়) | |
(১) উপাদান ব্যয়ে NDP | 16000 |
(২) বিদেশ থেকে নেট উপাদান আয় | 1500 |
(৩) অবণ্টিত মুনাফা | 2000 |
(৪) কর্পোরেট কর | 800 |
(৫) পরিবার প্রাপ্ত সুদ | 1100 |
(৬) পরিবার প্রদেয় সুদ | 900 |
(৭) হস্তান্তর আয় | 2000 |
(৮) প্রত্যক্ষ কর | 1500 |
নির্ণয় করোঃ
(ক) জাতীয় আয়।
(খ) ব্যক্তিগত আয়।
(গ) ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয়।
উত্তরঃ (ক) জাতীয় আয় NNPFC
= উপাদান ব্যয় NDP + বিদেশ থেকে লব্ধ উপাদান আয়
= 16000 + 1500 = 17500 কোটি টাকা
(খ) ব্যক্তিগত আয়
= উপাদান দামে NNPFC – অবণ্টিত মুনাফা – কর্পোরেট কর + পরিবার প্রাপ্ত সুদ – পরিবার প্রদেয় সুদ + হস্তান্তর আয়
= 17500-2000 – 800 + 1100 – 900 + 2000
= 16900 কোটি টাকা
(গ) ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয়
= ব্যক্তিগত আয় – প্রত্যক্ষ কর
= 16900 -1500 = 15400 কোটি টাকা।
প্রশ্ন ৫। একটি নির্দিষ্ট বছরে একজন ব্যবসায়ী তার উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করে 8000 টাকা পায়। তার সাজ-সরঞ্জামের অবক্ষয় মূল্য 500 টাকা। অবশিষ্ট 7500 টাকার মধ্যে, নতুন সাজ সরঞ্জাম কেনায় 800 টাকা বিক্রয় কর প্রদান করে; অবশেষে সে তার আয়ের 10% আয় কর হিসাবে পরিশোধ করে। এই তথ্যের ভিত্তিতে, নিম্নের বিষয়গুলি গণনা করো।
(ক) বাজার দামে GDP
(খ) বাজার দামে NNP
(গ) উৎপাদন ব্যয়ে NNP
(ঘ) ব্যক্তিগত আয়
(ঙ) ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয়
(ঘ) ব্যক্তিগত আয় (PI) = 6700 টাকা
(ঙ) ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় = ব্যক্তিগত আয় – প্রত্যক্ষ কর
= 6700 – 10% of 6700
= 6700 – 670 = 6030 টাকা
প্রশ্ন ৬। একটি দেশের কল্যাণসূচক হিসাবে GDP কে বিবেচনা না করার কারণসমূহ কী আলোচনা করো।
উত্তরঃ সাধারণতঃ GDP কে আর্থিক কল্যাণের সূচক হিসাবে গণ্য করা হয়। অন্যান্য বিষয় স্থির থাকলে, GDP বৃদ্ধি পেলে জনগণের আর্থিক কল্যাণ সাধিত হবে। তাছাড়া GDP- র কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যা প্রমাণ করে GDP একটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের মাপের সূচক বলে গণ্য করা শুদ্ধ নয়। নিচে GDP এর সীমাবদ্ধতা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল।
(১) মোট ঘরোয়া উৎপাদন বৃদ্ধি হলেও জনসাধারণের কল্যাণ বৃদ্ধি হয়েছে তা বুঝায় না, কারণ যদি বর্ধিত উৎপাদনের বৃহৎ অংশ কতিপয় পুঁজিপতির হস্তে কুক্ষিগত থাকে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের হস্তে এর কোন অংশ পৌঁছেনি।
(২) অর্থের মাপকাঠিতে করা হয়ে থাকে। কিন্তু একটি অর্থনীতির উৎপাদনের একটি মোটা অংশ বাজারে ক্রয় বিক্রয় হয় না। যেমন – কৃষক উৎপন্ন দ্রব্যের একাংশ নিজে ভোগ করে। আবার অনেক সময় সরাসরি বিনিময় চলে। তাছাড়া অনেক সেবামূলক কাজ আছে যার মূল্য ধরা হয় না। এরূপ অবস্থায় অর্থমূল্যে GDP. সঠিকভাবে পরিমাপ করা কঠিন।
(৩) কিছু বাহ্যিক উপাদান আছে যা মূল্যায়ন হয় না অথচ এই উপাদানগুলো জনকল্যাণের পরিমাণ অবনমিত করেছে। কিন্তু এর কোন মুদ্রাগত মূল্যায়ন হয় না। উদাহরণস্বরূপ – মটরগাড়ির সাথে দুই পক্ষ জড়িত আছে। মটরগাড়ি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এবং মটরগাড়ির মালিক। মটরগাড়ির সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, বায়ু ও শব্দ দূষণের মাত্রা তত বৃদ্ধি পাবে। এই তৃতীয় পক্ষ যার মটরগাড়ির সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক নেই সেই পক্ষের ক্ষতিসাধন হবে। কিন্তু এই ক্ষতিসাধনের কোন মূল্যায়ন হয় না।
(8) GDP যদি প্রকৃত বৃদ্ধি না হয়ে মুদ্রাগত বৃদ্ধি হয়, তাহলে মোট ঘরোয়া উৎপাদন জীবনধারণের মানদণ্ড উন্নতির সূচক হতে পারে না।
(৫) মদ, গাঁজা, বিড়ি-সিগারেট, নেশাজাত ঔষধ এবং অস্ত্রশস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে GDP বৃদ্ধি হবে কিন্তু কল্যাণ হ্রাস পাবে।
(৬) অনেক সময় পেশাগত শ্রেণিকরণ করা দুষ্কর। কারণ একই ব্যক্তি একাধিক উৎস থেকে আয় উপার্জন করে থাকে। ফলে GDP এর পরিমাপে অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়।
(৭) GDP বৃদ্ধির হার অপেক্ষা জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ বেশি হলে আর্থিক কল্যাণ বৃদ্ধি পাবে না।
উপরোক্ত কারণে মোট ঘরোয়া উৎপাদন অর্থাৎ GDP একটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের মাপের সূচক বলে গণ্য করা সঠিক নয়।
প্রশ্ন ৭। GDP গণনার আয় পদ্ধতি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আয় পদ্ধতি দ্বারা জাতীয় আয় পরিমাপ করতে হলে কোন বৎসরে দেশে উৎপাদনের উপাদানগুলির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলির যে আয় হয়, তার সমষ্টি বৈর করতে হয়। উৎপাদনের উপাদান সমূহের আয় বলতে খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা হতে অর্জিত মোট আয়কে বুঝানো হয়। সুতরাং জাতীয় আয় হল খাজনা, মজুরি, সুদ ও মুনাফা এবং অন্যান্য আয়ের সমষ্টি।
এই পদ্ধতি দ্বারা জাতীয় আয় পরিমাপ করলে কতকগুলি বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখতে হয় –
প্রথমতঃ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেন্সন, দান ও অনুদান ইত্যাদি। হস্তান্তর আয় জাতীয় আয়ের মধ্যে ধরা হবে না। কারণ হস্তান্তর আয় গ্রহণকারী ব্যক্তিরা জাতীয় উৎপাদনের কার্যে অংশগ্রহণ করে না।
দ্বিতীয়তঃ যে সকল দ্রব্যাদি ও সেবামূলক কার্যের জন্য কোনরূপ অর্থপ্রদান করা হয় না, (যেমন – গৃহবধূর সাংসারিক কাজ) তা হিসাব করা সম্ভব হয় না। এজন এটি জাতীয় আয়ের মধ্যে ধরা হবে না।
তৃতীয়তঃ অনেক সময় উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ওদের মুনাফার একাংশ মালিকদের মধ্যে বণ্টন না করে সংরক্ষিত তহবিলে জমা রাখে। ওই অবণ্টিত মুনাফা জাতীয় আয়ের হিসাবের মধ্যে ধরা হবে।
চতুর্থতঃ মালিকের নিজস্ব জমি, শ্রম ও মূলধন প্রভৃতি উৎপাদনে অংশগ্রহণকারী উপাদানের আয় জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে।
পঞ্চমতঃ সরকারি প্রতিষ্ঠানের মুনাফাকে জাতীয় আয়ের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ষষ্ঠতঃ সুন্দ পরিমাপ করতে সেই সকল ঋণকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে যা উৎপাদন কার্যে ব্যবহৃত হয়। উপভোগ্য ব্যয়ের জন্য ঋণ গ্রহণ করার প্রদেয় সুদ রাষ্ট্রীয় আয়ে অন্তর্ভুক্ত হয় না।
আয় পদ্ধতিতে জাতীয় আয় পরিমাপ করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপ দরকার।
Step 1: কর্মচারীর ক্ষতিপূরণ (বেতন ও মজুরি) গণনা করা।
Step 2: কার্যকরী উদ্বৃত্ত (খাজনা, সুদ ও লাভ) গণনা করা।
Step 3: মিশ্রিত আয় গণনা করা।
Step 4: অবচয় অর্থাৎ স্থির মূলধনের ক্ষয়ক্ষতি গণনা করা।
Step 5: নেট পরোক্ষ কর গণনা করা।
প্রশ্ন ৮। ঘরোয়া খণ্ড এবং প্রতিষ্ঠান – এই দ্বিখণ্ডযুক্ত একটি সরল অর্থব্যবস্থায় আয়ের চক্রীয় প্রবাহ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ একটি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান উৎপাদন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ও সেবা ক্রয় করে থাকে। ঘরোয়া খণ্ড অর্থাৎ পরিবারসমূহ এই উপাদান ও সেবার যোগান দিয়ে আয় উপার্জন করে। অপরদিকে প্রতিষ্ঠান তার উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় উপার্জন করে। এইভাবে পরিবার উপাদান ও সেবার মাধ্যমে। আয় করে সেই আয় দ্বারা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রী ক্রয় করে এবং উৎপাদন প্রতিষ্ঠান দ্রব্য বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় করে এবং সেই আয়ের দ্বারা উপাদান ক্রয় করে। এই প্রক্রিয়াকে আয়ের চক্রীয় প্রবাহ বা বৃত্তাকার প্রবাহ বলে। এই প্রক্রিয়ায় পরিবারের সর্বমোট ভোগউৎপাদন প্রতিষ্ঠানের উপাদান ব্যয়ের সমান হবে।
আয়ের এই বৃত্তাকার প্রবাহ একটি চিত্রের সাহায্যে বর্ণনা করা হল –
এই রেখাচিত্রে দেখা যায়, দেশের পরিবারসমূহ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের নিকট উপাদান সেবার যোগান দিচ্ছে। চিত্রে এটি হচ্ছে উপাদান সেবা প্রবাহ (1 নং প্রবাহ)। উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ওই উপাদান সেবার সাহায্যে দ্রব্যাদি উৎপাদন করছে এবং এটি দেশের পরিবারসমূহ ভোগ করছে। এটি উৎপন্ন দ্রব্যের প্রবাহে দেখানো হয়েছে (2 নং প্রবাহ)। আবার পরিবারসমূহ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের নিকট যে সেবামূলক কার্যাদি যোগান দিয়েছে, এর বিনিময়ে তারা মুনাফা, সুদ, মজুরি ইত্যাদি আয় পেয়েছে। এটি উপাদানের আয় প্রবাহে (3 নং প্রবাহ) দেখানো হয়েছে। পরিবারসমূহ তাদের মোট আয়ের সম্পূর্ণ অংশ উৎপন্ন দ্রব্য ক্রয় করার জন্য ব্যয় করে। ফলে উপাদানের আয় প্রবাহ ও উৎপন্ন দ্রব্যের ব্যয় প্রবাহ পরস্পর সমান হয় (3নং প্রবাহ = 4নং প্রবাহ) । এ থেকে বোঝা যায়, জাতীয় উৎপাদন ও নেট জাতীয় আয় পরস্পর সমান হয়।
প্রশ্ন ৯। রাষ্ট্রীয় আয়ের পরিমাপের ব্যবহার সমূহ লেখো।
উত্তরঃ রাষ্ট্রীয় আয় পরিমাপের ব্যবহার সমূহ হল:
(১) একটি দেশের স্থির মূল্যে রাষ্ট্রীয় আয় পরিমাপ করলে সেটি দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ নির্দেশ করে।
(২) পরিকল্পনার সফলতা ও বিফলতার ছবি জাতীয় আয় পরিমাপের সাহায্যে নির্ধারণ করা যায়।
(৩) জাতীয় আয় পরিমাপ ব্যবহার করে মাথাপিছু আয় বের করা যায়।
(৪) আয় বিতরণের অসমতা পরিমাপ করতে রাষ্ট্রীয় আয় ব্যবহার করা হয়।
(৫) রাষ্ট্রীয় আয় তথ্যের সাহায্যে আন্তর্জাতিক তুলনা অর্থাৎ বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের হার পরিমাপ করা যায়।
(৬) জীবনধারণের মানদণ্ড পরিমাপ করতে রাষ্ট্রীয় আয় ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন ১০। GDP গণনার মূল্য সংযোজিত পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করো।
অথবা,
মূল্য সংযোজন পদ্ধতি দ্বারা জাতীয় আয় গণনা করার প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ একটি দেশের অভ্যন্তরে কোন এক বৎসরে যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন। হয়, তাদের একাধিকবার গণনা না করে যদি তাদের অর্থমূল্য যোগ করা হয় তবে দেশের GDP অর্থাৎ মোট ঘরোয়া উৎপাদন পাওয়া যায়।
GDP গণনার মূল্য সংযোজন পদ্ধতিটি হল উৎপাদনের প্রতিটি স্তরে কতটুকু মূল্য সংযোজিত হল তা নির্ণয় করা এবং এই মূল্য যোগ করে GDP পরিমাপ করা হয়। উৎপাদন পদ্ধতিতে মূল্য সংযোজন হল উৎপন্ন দ্রব্যের মূল্য এবং সেই উৎপাদনে ব্যবহৃত, নিঃশেষিত এবং ওই বছরেই উৎপাদিত কাঁচামালের মূল্যের বিয়োগফল । মূল্য
সংযোজন পদ্ধতিকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে । ধরে নেওয়া গেল যে, কোন বছরে 1000 টাকার গম উৎপন্ন হয়েছে । আবার এই সবটাই ময়দায় পরিণত করা হল এবং এই ময়দার দাম হল 1500 টাকা। এখন এই ময়দাকে পাউরুটিতে পরিণত করা হল যার বাজার দাম হল 2500 টাকা। মূল্য সংযোজন পদ্ধতিতে বিচার করলে , গম উৎপাদনে মূল্য সংযোজন হল 1000 টাকা, ময়দায় হল 1500 টাকা – 1000 টাকা = 500 টাকা এবং পাউরুটিতে মূল্য সংযোজনের পরিমাণ = 2500 টাকা – 1500 টাকা = 1000 টাকা। এখন মোট মূল্য সংযোজন হল = 1000 + 500 + 1000 = 2500 টাকা।
প্রশ্ন ১১। জাতীয় আয় পরিমাপের উৎপাদন পদ্ধতিটি বর্ণনা করো।
উত্তরঃ একটি দেশের অভ্যন্তরে কোন এক বৎসরে যে পরিমাণ দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন। হয়, তাদের একাধিকবার গণনা না করে যদি তাদের অর্থমূল্য যোগ করা হয় তবে দেশের GDP অর্থাৎ মোট ঘরোয়া উৎপাদন পাওয়া যায়।
GDP গণনার মূল্য সংযোজন পদ্ধতিটি হল উৎপাদনের প্রতিটি স্তরে কতটুকু মূল্য সংযোজিত হল তা নির্ণয় করা এবং এই মূল্য যোগ করে GDP পরিমাপ করা হয়। উৎপাদন পদ্ধতিতে মূল্য সংযোজন হল উৎপন্ন দ্রব্যের মূল্য এবং সেই উৎপাদনে ব্যবহৃত, নিঃশেষিত এবং ওই বছরেই উৎপাদিত কাঁচামালের মূল্যের বিয়োগফল । মূল্য
সংযোজন পদ্ধতিকে এভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে । ধরে নেওয়া গেল যে, কোন বছরে 1000 টাকার গম উৎপন্ন হয়েছে । আবার এই সবটাই ময়দায় পরিণত করা হল এবং এই ময়দার দাম হল 1500 টাকা। এখন এই ময়দাকে পাউরুটিতে পরিণত করা হল যার বাজার দাম হল 2500 টাকা। মূল্য সংযোজন পদ্ধতিতে বিচার করলে , গম উৎপাদনে মূল্য সংযোজন হল 1000 টাকা, ময়দায় হল 1500 টাকা – 1000 টাকা = 500 টাকা এবং পাউরুটিতে মূল্য সংযোজনের পরিমাণ = 2500 টাকা – 1500 টাকা = 1000 টাকা। এখন মোট মূল্য সংযোজন হল = 1000 + 500 + 1000 = 2500 টাকা।
প্রশ্ন ১২। মোট ঘরোয়া উৎপাদন গণনার ব্যয় পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আমরা জানি কোনো নির্দিষ্ট বছরে যে পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী উৎপন্ন হয়, তা-ই হল সেই বছরের মোট জাতীয় উৎপন্ন বা জাতীয় আয়। এখন, উৎপন্ন দ্রব্যটি ভোগ্য দ্রব্য বা মূলধনী দ্রব্য হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে । ভোগ্য দ্রব্যের উপর ব্যয়কে আমরা বলি ভোগ ব্যয় এবং মূলধনী দ্রব্যের উপর ব্যয়কে বলি বিনিয়োগ ব্যয়। সুতরাং , সমাজে উৎপন্ন দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য বা মোট জাতীয় আয় = মোট ভোগ ব্যয় + মোট বিনিয়োগ ব্যয় অর্থাৎ GNP = C + I। এভাবে, জাতীয় উৎপাদন = জাতীয় আয় = জাতীয় ব্যয়। আবার, GNP থেকে মূলধনের ক্ষয়ক্ষতি বা অবচয় বাদ দিলে NNP পাওয়া যায় , অর্থাৎ NNP = GNP – D = C + (I – D) = C + নিট I। এভাবে, জাতীয় আয় জাতীয় ব্যয়ের সমান অর্থাৎ মোট ব্যয় পদ্ধতির মাধ্যমেও কোনো দেশের জাতীয় আয় পেতে পারি । তাই এই পদ্ধতিকে ব্যয় সুমারি পদ্ধতি বলা হয়। যদি আমরা সরকারি ব্যয় (G) আছে বলে ধরে নেই , তাহলে মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP) = C + I + G। আবার, উন্মুক্ত অর্থনীতিতে GNP পেতে হলে আমাদের রপ্তানির মূল্য (X) যোগ দিতে হবে এবং আমদানির মূল্য (M) বাদ দিতে হবে। অর্থাৎ GNP = C + I + G+ X – M, এখন GNP থেকে অবচয় (D) বাদ দিয়ে আমরা NNP পেতে পারি, অর্থাৎ NNP = GNP – D বা GNP = NNP + D।
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নাবলির উত্তর
প্রশ্ন ১। উৎপাদনের চারটি উপাদান কী কী ? তাদের পারিতোষিক বা পারিশ্রমিককে কী বলা হয় ?
উত্তরঃ উৎপাদনের চারটি উপাদান নিম্নরূপঃ
(ক) ভূমি।
(খ) শ্রম।
(গ) মূলধন।
(ঘ) সংগঠন।
উৎপাদনের উপাদানের পারিতোষিক নিম্নরূপঃ
(ক) ভূমির পারিতোষিক হল খাজনা।
(খ) শ্রমের পারিতোষিক হল মজুরি।
(গ) মূলধনের পারিতোষিক হল সদ।
(ঘ) সংগঠনের বা উদ্যোক্তার পারিতোষিক হল লাভ।
প্রশ্ন ২। কোন অর্থ ব্যবস্থায় সামগ্রিক চূড়ান্ত ব্যয় সামগ্রিক উপাদান খাতে ব্যয়ের সমান হয় কেন ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ আয়ের চক্রীয় প্রবাহের ফলেই কোন অর্থব্যবস্থায় সামগ্রিক চূড়ান্ত ব্যয় সামগ্রিক উপাদান খাতে ব্যয়ের সমান হয়। বিস্তৃত ব্যাখ্যার জন্য একটি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান উৎপাদন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ও সেবা ক্রয় করে থাকে। ঘরোয়া খণ্ড অর্থাৎ পরিবারসমূহ এই উপাদান ও সেবার যোগান দিয়ে আয় উপার্জন করে। অপরদিকে প্রতিষ্ঠান তার উৎপাদিত দ্রব্যসামগ্রী বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় উপার্জন করে। এইভাবে পরিবার উপাদান ও সেবার মাধ্যমে। আয় করে সেই আয় দ্বারা প্রতিষ্ঠানের সামগ্রী ক্রয় করে এবং উৎপাদন প্রতিষ্ঠান দ্রব্য বিক্রয়ের মাধ্যমে আয় করে এবং সেই আয়ের দ্বারা উপাদান ক্রয় করে। এই প্রক্রিয়াকে আয়ের চক্রীয় প্রবাহ বা বৃত্তাকার প্রবাহ বলে। এই প্রক্রিয়ায় পরিবারের সর্বমোট ভোগউৎপাদন প্রতিষ্ঠানের উপাদান ব্যয়ের সমান হবে।
আয়ের এই বৃত্তাকার প্রবাহ একটি চিত্রের সাহায্যে বর্ণনা করা হল –
এই রেখাচিত্রে দেখা যায়, দেশের পরিবারসমূহ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের নিকট উপাদান সেবার যোগান দিচ্ছে। চিত্রে এটি হচ্ছে উপাদান সেবা প্রবাহ (1 নং প্রবাহ)। উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ওই উপাদান সেবার সাহায্যে দ্রব্যাদি উৎপাদন করছে এবং এটি দেশের পরিবারসমূহ ভোগ করছে। এটি উৎপন্ন দ্রব্যের প্রবাহে দেখানো হয়েছে (2 নং প্রবাহ)। আবার পরিবারসমূহ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের নিকট যে সেবামূলক কার্যাদি যোগান দিয়েছে, এর বিনিময়ে তারা মুনাফা, সুদ, মজুরি ইত্যাদি আয় পেয়েছে। এটি উপাদানের আয় প্রবাহে (3 নং প্রবাহ) দেখানো হয়েছে। পরিবারসমূহ তাদের মোট আয়ের সম্পূর্ণ অংশ উৎপন্ন দ্রব্য ক্রয় করার জন্য ব্যয় করে। ফলে উপাদানের আয় প্রবাহ ও উৎপন্ন দ্রব্যের ব্যয় প্রবাহ পরস্পর সমান হয় (3 নং প্রবাহ = 4 নং প্রবাহ) । এ থেকে বোঝা যায়, জাতীয় উৎপাদন ও নেট জাতীয় আয় পরস্পর সমান হয়।
প্রশ্ন ৩। মজুদ ও প্রবাহের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো। নেট বিনিয়োগ ও মূলধনের মধ্যে কোন্টি মজুদ এবং কোনটি প্রবাহ ?
উত্তরঃ ষ্টক বা মজুত হল নির্দিষ্ট সময় বিন্দুতে অর্থনৈতিক চলকের পরিমাণ নির্ধারণ করা কিন্তু প্রবাহ হল একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অর্থনৈতিক চলকের পরিমাণ কাকে বলে ?
নির্ধারণ করা। ষ্টক হল স্থির ধারণা। যেমন – যন্ত্রপাতির পরিমাণ, টাকার পরিমাণ, মোট অর্থের যোগান; সম্পদের পরিমাণ ইত্যাদি। প্রবাহ হল গতিশীল ধারণা। যেমন – আয়, উৎপাদন, লাভ, নির্দিষ্ট সময়সীমায় ব্যাংক আমানতের পরিমাণ ইত্যাদি।
নেট বিনিয়োগ হল প্রবাহ। কারণ, এটি একটি সময়সীমার মধ্যে পরিমাপ করা হয়। কিন্তু মূলধন হল মজুদ। কারণ, মূলধনের পরিমাণ এক নির্দিষ্ট সময় বিন্দুতে করা হয়।
প্রশ্ন ৪। পরিকল্পিত ও অপরিকল্পিত মজুত ভাণ্ডার সংযোজনের পার্থক্য কী? কোন ফার্মের মজুত ভাণ্ডার পরিবর্তন ও মূল্য সংযোজনের সম্পর্ক কী লেখো।
উত্তরঃ অর্থনীতিতে একটি প্রতিষ্ঠান অবিক্রিত দ্রব্য, অব্যবহৃত কাঁচামাল অথবা অর্ধ চূড়ান্ত দ্রব্য এক বছর থেকে অন্য বছরে টেনে নিয়ে যায়, সেই দ্রব্যসমূহকে পূর্ববর্তী দ্রব্য বলে।
পূর্ববর্তী দ্রব্যের পরিবর্তন পরিকল্পিত অথবা অপরিকল্পিত হতে পারে। বিক্রি অপ্রত্যাশিতভাবে হ্রাস পেলে প্রতিষ্ঠানটির অবিক্রিত দ্রব্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং অপরিকল্পিত মজুত বৃদ্ধি পায়। এর বিপরীতে বিক্রির পরিমাণ আশাতীতভাবে বৃদ্ধি পেলে পূর্ববর্তী দ্রব্যের মজুত অপরিকল্পিতভাবে হ্রাস পায়।
প্রশ্ন ৫। কোন দেশের GDP গণনায় তিনটি পন্থার তিনটি অভিন্নতা কী কী ?
উত্তরঃ (১) উৎপাদন পদ্ধতি।
(২) আয় পদ্ধতি।
(৩) ব্যয় পদ্ধতি এই তিন পদ্ধতির অভিন্নতা হলঃ
উপাদান ব্যয়ে NDP + বিদেশ থেকে অর্জিত উপাদান আয় = জাতীয় আয়
প্রশ্ন ৬। ঘাটতি বাজেট ও বাণিজ্য ঘাটতির সংজ্ঞা লেখো। কোনো এক বৎসরে দেশের ব্যক্তিগত খণ্ডের বিনিয়োগ তার সঞ্চয় থেকে 2000 কোটি টাকা বেশি। বাজেট ঘাটতি ছিল (-) 1500 কোটি টাকা। ওই দেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ কত ছিল?
উত্তরঃ সরকারি বাজেটে যদি মোট আয় হতে মোট ব্যয় বেশি হয়, তখন তাকে ঘাটতি বাজেট বলে।
বাজেট ঘাটতি = মোট ব্যয় – মোট আয়
কোন নির্দিষ্ট বৎসরে রপ্তানিকৃত আয় অপেক্ষা আমদানিকৃত ব্যয়ের যে আধিকা দেখা দেয় তাকে বাণিজ্য ঘাটতি বলে।
এখানে, I – S = 2000 কোটি
G – T = (-) 1500 কোটি
বাণিজ্য ঘাটতি = 2000 + (-1500) = 500 কোটি টাকা
প্রশ্ন ৭। ধরো, কোনো দেশের বাজার দামে GDP কোনো এক বৎসরে 1100 কোটি টাকা ছিল। বহির্বিশ্ব থেকে নেট উৎপাদক উপকরণের আয় ছিল 100 কোটি টাকা। পরোক্ষ কর – ভর্তুকির পরিমাণ ছিল 150 কোটি এবং জাতীয় আয় ছিল 850 কোটি টাকা। সামগ্রিক অবচয় গণনা করো।
উত্তরঃ দেওয়া আছে,
প্রশ্ন ৮। উৎপাদক মূল্যে কোনো অর্থ বৎসরে কোনো দেশের নেট জাতীয় উৎপাদনের মূল্য 1900 কোটি টাকা। এবং সরকার বা ফার্মকে পরিবার কোনো কর বা সুদ দেয়নি আবার সরকার বা ফার্মও পরিবারকে কোনো সুদ দেয়নি। পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় 1200 কোটি টাকা। পরিবার 600 কোটি টাকা আয় কর প্রদান করে এবং ফার্ম ও সরকারের ধরে রাখা আয়ের মূল্য 200 কোটি টাকা। তাহলে সরকার ও ফার্ম থেকে পরিবার খণ্ডে কত টাকা প্রতিদান শূন্য হস্তান্তকরণ /হস্তান্তরিত দেনা হয়েছে ?
উত্তরঃ ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় (PDI) = 1200 কোটি টাকা।
ব্যক্তিগত কর (প্রত্যক্ষ কর) = 600 কোটি টাকা
ব্যক্তিগত আয় = PDI + প্রত্যক্ষ কর
= 1200 + 600
= 1800 কোটি টাকা
ব্যক্তিগত খণ্ডের আয় = ব্যক্তিগত আয় + সংরক্ষিত তহবিল
= 1800 + 200
= 2000 কোটি টাকা
প্রশ্ন ৯। নিচের তথ্য থেকে ব্যক্তিগত আয় ও ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় গণনা করো।
কোটি টাকার হিসাবে | |
(ক) উপাদানের মূল্যে নেট ঘরোয়া উৎপাদন (NDPFC) | 8000 |
(খ) বিদেশ থেকে লব্ধ নেট উপাদান আয় (NFIA) | 200 |
(গ) অবণ্টিত মুনাফা | 1000 |
(ঘ) কর্পোরেট কর/নিগম কর | 500 |
(ঙ) পরিবার খণ্ডের প্রাপ্ত সুদ | 1500 |
(চ) পরিবার খণ্ডের প্রদত্ত সুদ | 1200 |
(ছ) হস্তান্তরিত আয় | 300 |
(জ) ব্যক্তিগত কর | 500 |
উত্তরঃ ব্যক্তিগত খণ্ডের আয়
= NDPFC + NFIA + হস্তান্তরিত আয় + পরিবার খণ্ডের প্রাপ্ত সুদ – পরিবার খণ্ডের প্রদত্ত সুদ
= 8000 + 200 + 300 + 1500 – 1200
= 8800 কোটি টাকা
ব্যক্তিগত আয় = ব্যক্তিগত খণ্ডের আয় – কর্পোরেট কর – অবণ্টিত মুনাফা
= 8800 – 500 – 1000
= 7300 কোটি টাকা
ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় = ব্যক্তিগত আয় – ব্যক্তিগত কর
= 7300 – 500
= 6800 কোটি টাকা
প্রশ্ন ১০। ক্ষৌরকর্মী রাজু একদিনে চুল কেটে 500 টাকা সংগ্রহ করে। একদিনে তার যন্ত্রপাতির ক্ষয়-ক্ষতির মূল্য 50 টাকা। অবশিষ্ট 450 টাকা থেকে রাজু বিক্রয় কর প্রদান করে 30 টাকা। বাড়িতে দেয় 100 টাকা এবং 220 টাকা রেখে দেয় তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও নতুন যন্ত্রপাতি ক্রয় করার জন্য। তার আয় থেকে সে আরও 20 টাকা আয়কর হিসাবে প্রদান করে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে বের করো
(ক) মোট ঘরোয়া উৎপাদন (GDP)
(খ) বাজার দলে NNP (NNPMP)
(গ) উপাদান দামে NNP (NNPFC)
(ঘ) ব্যক্তিগত আয়। এবং
(ঙ) ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয়।
উত্তরঃ (ক) মোট ঘরোয়া উৎপাদন (GDP) = 500 টাকা।
প্রশ্ন ১১। কোনো এক বৎসরে একটি দেশের নামিক GNP এর মূল্য ছিল 2500 কোটি টাকা। ভিত্তিবর্ষের মূল্যমানে ওই একই বৎসরে GNP এর মূল্য ছিল 3000 কোটি টাকা। ওই বৎসরের GNP সংকোচকের মূল্য শতকরা হিসাবে নির্ণয় করো। ভিত্তিবর্ষ ও বিবেচনাধীন বৎসরের মধ্যে কি মূল্যস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে ?
উত্তরঃ
না, ভিত্তিবর্ষ ও বিবেচনাধীন বছরের মধ্যে মূল্যস্তর বৃদ্ধি পায়নি।
প্রশ্ন ১২। দেশের আর্থিক কল্যাণের সূচক হিসাবে GDP ব্যবহারের সীমাবদ্ধতা নিয়ে আলোচনা করো।
উত্তরঃ সাধারণতঃ GDP কে আর্থিক কল্যাণের সূচক হিসাবে গণ্য করা হয়। অন্যান্য বিষয় স্থির থাকলে, GDP বৃদ্ধি পেলে জনগণের আর্থিক কল্যাণ সাধিত হবে। তাছাড়া GDP- র কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, যা প্রমাণ করে GDP একটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের মাপের সূচক বলে গণ্য করা শুদ্ধ নয়। নিচে GDP এর সীমাবদ্ধতা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হল।
(১) মোট ঘরোয়া উৎপাদন বৃদ্ধি হলেও জনসাধারণের কল্যাণ বৃদ্ধি হয়েছে তা বুঝায় না, কারণ যদি বর্ধিত উৎপাদনের বৃহৎ অংশ কতিপয় পুঁজিপতির হস্তে কুক্ষিগত থাকে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের হস্তে এর কোন অংশ পৌঁছেনি।
(২) অর্থের মাপকাঠিতে করা হয়ে থাকে। কিন্তু একটি অর্থনীতির উৎপাদনের একটি মোটা অংশ বাজারে ক্রয় বিক্রয় হয় না। যেমন – কৃষক উৎপন্ন দ্রব্যের একাংশ নিজে ভোগ করে। আবার অনেক সময় সরাসরি বিনিময় চলে। তাছাড়া অনেক সেবামূলক কাজ আছে যার মূল্য ধরা হয় না। এরূপ অবস্থায় অর্থমূল্যে GDP. সঠিকভাবে পরিমাপ করা কঠিন।
(৩) কিছু বাহ্যিক উপাদান আছে যা মূল্যায়ন হয় না অথচ এই উপাদানগুলো জনকল্যাণের পরিমাণ অবনমিত করেছে। কিন্তু এর কোন মুদ্রাগত মূল্যায়ন হয় না। উদাহরণস্বরূপ – মটরগাড়ির সাথে দুই পক্ষ জড়িত আছে। মটরগাড়ি উৎপাদন প্রতিষ্ঠান এবং মটরগাড়ির মালিক। মটরগাড়ির সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, বায়ু ও শব্দ দূষণের মাত্রা তত বৃদ্ধি পাবে। এই তৃতীয় পক্ষ যার মটরগাড়ির সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক নেই সেই পক্ষের ক্ষতিসাধন হবে। কিন্তু এই ক্ষতিসাধনের কোন মূল্যায়ন হয় না।
(8) GDP যদি প্রকৃত বৃদ্ধি না হয়ে মুদ্রাগত বৃদ্ধি হয়, তাহলে মোট ঘরোয়া উৎপাদন জীবনধারণের মানদণ্ড উন্নতির সূচক হতে পারে না।
(৫) মদ, গাঁজা, বিড়ি-সিগারেট, নেশাজাত ঔষধ এবং অস্ত্রশস্ত্রের উৎপাদন বৃদ্ধি হলে GDP বৃদ্ধি হবে কিন্তু কল্যাণ হ্রাস পাবে।
(৬) অনেক সময় পেশাগত শ্রেণিকরণ করা দুষ্কর। কারণ একই ব্যক্তি একাধিক উৎস থেকে আয় উপার্জন করে থাকে। ফলে GDP এর পরিমাপে অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়।
(৭) GDP বৃদ্ধির হার অপেক্ষা জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ বেশি হলে আর্থিক কল্যাণ বৃদ্ধি পাবে না।
উপরোক্ত কারণে মোট ঘরোয়া উৎপাদন অর্থাৎ GDP একটি দেশের জনসাধারণের কল্যাণের মাপের সূচক বলে গণ্য করা সঠিক নয়।
We Hope the given Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF will help you. If you Have any Regarding, HS 2nd Year Economics in Bengali PDF, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.