Hello Viewers Today’s We are going to Share With You, The Complete Bengali Medium Syllabus of AHSEC Board Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 5 সরকারি বাজেট এবং অর্থনীতি with you. Are you a Student of Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 5 সরকারি বাজেট এবং অর্থনীতি Which you Can Download Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 5 সরকারি বাজেট এবং অর্থনীতি for free using direct Download Link Given Below in This Post.
Class 12 Economics Question Answer in Bengali Chapter 5 সরকারি বাজেট এবং অর্থনীতি
Today’s We have Shared in This Post, HS 2nd Year Economics in Bengali Solutions for Free with you. HS 2nd Year Economics in Bengali Notes I Hope, you Liked The information About The Class 12 Economics Question Answer in Bengali PDF. if you liked Assam AHSEC HS 2nd Year Economics in Bengali Questions and Answers Then Please Do Share this Post With your Friends as Well.
প্রশ্ন ১১। দুটি অনাকর রাজস্বের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ (১) মাসুল। এবং
(২) জরিমানা।
প্রশ্ন ১২। দুবিধ বাণিজ্যিক রাজস্বের উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ (১) রেলসেবা থেকে অর্জিত রাজস্ব।
(২) ডাকসেবার মাধ্যমে অর্জিত রাজস্ব।
প্রশ্ন ১৩। পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয়ের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তরঃ (১) সরকারি কর্মচারীর বেতন।
(২) প্রতিরক্ষা ব্যয়।
প্রশ্ন ১৪। সরকারি বাজেটের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তরঃ সরকারি বাজেটের দুটি বৈশিষ্ট্য হল –
(১) সরকারি বাজেট আগন্তুক বিত্তীয় বছরের সরকারের আয় এবং ব্যয় নির্দেশ করে।
(২) সরকারি বাজেটে রাজস্ব সংগ্রহ করার উপায় এবং সরকারি ব্যয়সমূহের বিন্যাস থাকে।
প্রশ্ন ১৫। ‘বাজেট আয় অসমতা দূর করে।’ ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ বাজেটের মাধ্যমে সরকার অর্থনীতির কর এবং ব্যয় ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে আয় অসমতা হ্রাস করতে হয়। সরকার ক্রমবর্ধমান হারে কর আরোপ করলে ধনী শ্রেণির লোকেদের কর প্রদানের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়। আবার, বিলাসী দ্রব্যের ক্ষেত্রে অধিক কর আরোপ করলে ধনী শ্রেণির কাছ থেকে অধিক রাজস্ব সংগ্রহ করা যায়। সংগৃহীত এই রাজস্ব দরিদ্র শ্রেণির লোকের কল্যাণে খরচ করলে ধনী এবং দরি শ্রেণির মধ্যে আয় বৈষম্য হ্রাস পায়।
প্রশ্ন ১৬। একটি অর্থব্যবস্থায় অতিরিক্ত চাহিদার সমস্যা দূর করতে গৃহীত রাজকোষীয় নীতির যে কোনো দুটি ব্যবস্থা উল্লেখ করো।
উত্তরঃ (১) কর বৃদ্ধি করা।
(২) সরকারি ব্যয় হ্রাস করা।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। পরিকল্পনা এবং পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয়ের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
অথবা,
পরিকল্পিত এবং অপরিকল্পিত ব্যয়ের পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার দেওয়া বিষয়গুলো প্রতিবছর ব্যয় করার জন্য সরকারি বাজেটে সুবিধা রাখা হয়। বাজেটে সুবিধা রাখা সে ধরনের ব্যয়কেই পরিকল্পনা ব্যয় বলা হয়। পরিকল্পনা ব্যয় বাজেটে উল্লেখ থাকে এবং বাজেটে প্রতি বছর বিভিন্ন প্রকল্পে কত টাকা ব্যয় করা হবে তার হিসেব থাকে। রাস্তা ও সেতু নির্মাণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন, জলসেচ ও গ্রামোন্নয়ন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যয় কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে রূপায়ণ হয়। সুতরাং, এধরনের ব্যয় পরিকল্পনা ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত।
সরকারের দৈনিক বা নিয়মিত কার্যগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকারি বাজেটে সুবিধা সৃষ্টি করে রাখা হয়। সেক্ষেত্রে যে ব্যয় হয়, তাকে পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয় বলে।
দৃষ্টান্তস্বরূপ: বিদেশি শক্তির আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করার গুরুদায়িত্ব কোন সরকার অবজ্ঞা করতে পারবে না।
প্রশ্ন ২। সরকারি রাজস্বের উৎসগুলি কী কী ?
উত্তরঃ সরকারি রাজস্বের উৎসগুলো নিম্নরূপ –
(১) কর রাজস্ব: সাম্প্রতিককালে সরকারি রাজস্বের একটি প্রধান উৎস হল কর। কোনরূপ প্রত্যক্ষ লাভের বা সুযোগ সুবিধার আশা না করে জনগণ সরকারকে বাধ্যতামূলকভাবে যে অর্থ প্রদান করতে হয়, তাকেই কর বলে। কর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হতে পারে।
(২) প্রশাসনিক রাজস্ব: প্রশাসনিক কার্যাবলির দ্বারা সরকারের যে রাজস্ব সংগৃহীত হয়, তাকে প্রশাসনিক রাজস্ব বলে। যেমন – ফিজ, লাইসেন্স ফি, জরিমানা ইত্যাদি।
(৩) বাণিজ্যিক রাজস্ব: সরকার পরিচালিত প্রতিষ্ঠান থেকে দ্রব্য ও সেবা বিক্রি করে অর্জিত রাজস্বকে বাণিজ্যিক রাজস্ব বলে। যেমন- রেল, ডাক ও তার, বেতার, দূরদর্শন, বিদ্যুৎ সরবরাহ ইত্যাদি।
(৪) দান-অনুদান: ব্যক্তি, সংগঠন ও বৈদেশিক সরকারের স্বেচ্ছায় দেওয়া দান সরকারি রাজস্বের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হয়।
প্রশ্ন ৩। কর রাজস্ব এবং অনাকর রাজস্বের মধ্যে পার্থক্য দর্শাও।
উত্তরঃ সরকার বিভিন্ন ধরনের কর আরোপ করে যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করে তাকে কর রাজস্ব বলে। কর হল বাধ্যতামূলক চাঁদা যার বিনিময়ে করদাতা সরকারের কাছে কোনো বিশেষ ব্যক্তিগত সুবিধা দাবি করতে পারে না। কর রাজস্বের প্রধান উৎস হল – আয় কর, কর্পোরেট কর, বিক্রয় কর, সেবা কর, ভ্যাট ইত্যাদি।
পক্ষান্তরে, কর ছাড়া সরকার অন্যান্য উৎস থেকে যতটুকু পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে তাকে অনাকর রাজস্ব বা কর নিরপেক্ষ রাজস্ব বলে।
অনাকর রাজস্বের উৎস হল – সরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভ ও লাভ্যাংশ,
মাশুল, জরিমানা, বৈদেশিক সাহায্য, সুদ প্রাপ্তি ইত্যাদি।
প্রশ্ন ৪। সরকারি ঘাটতি ও সরকারি ঋণের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সরকারি ঘাটতি ও সরকারি ঋণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। সরকারি ঘাটতি হল একটি প্রবাহ কিন্তু তা ঋণের ওপর নতুন মাত্রা সংযোজন করে। সরকারি ঘাটতি বৃদ্ধি পেলে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কারণ, সরকার ঘাটতি ব্যয় মোকাবিলা করতে ঋণ গ্রহণ করে। সরকার যদি বছর বছর ঋণ নিতে থাকে তাহলে ঋণের মাত্রা তৎসঙ্গে প্রদেয় সুদ অবিরতভাবে বৃদ্ধি পাবে। প্রদেয় সুদ রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধি করে, যা অধিক পরিমাণে সরকারি ঘাটতি সমস্যার সৃষ্টি করে।
অধিক সরকারি ঘাটতি পূরণ করবার জন্য আরও ঋণ নেওয়া প্রয়োজন পড়বে। ঋণের সাথে সাথে সুদের বোঝাও বাড়বে। এভাবে সরকার ঋণের ফাঁদে আবর্তিত থাকবে। সুতরাং সরকারি ঘাটতি হল ঋণের কারণ ও ফলশ্রুতি।
প্রশ্ন ৫। সরকারি বাজেটের উদ্দেশ্যগুলো কী সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।
অথবা,
সরকারি রাজস্ব ও ব্যয় ব্যবস্থা দ্বারা সাধিত দুটি কার্যের ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সরকারি বাজেট হল একটি বিত্তীয় বর্ষের সরকারের প্রত্যাশিত ব্যয় এবং সেই ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিত্তের উৎস সমূহের এক বিবৃতি।
বাজেট নীতির প্রধান উদ্দেশ্যসমূহ হল –
(১) কার্যক্ষম প্রশাসন ব্যবস্থা: এই উদ্দেশ্য সফল করার জন্য সরকারি পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিধানমণ্ডল, ন্যায়ালয়, সরকারি কার্যালয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যয় করতে হয়।
(২) আন্তঃকাঠামো উন্নত করা: এই উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, পানীয় জল ও বিদ্যুতের যোগান, পরিবহন, ডাক ও দূরসংযোগ সেবা, রাস্তাঘাট, সেতু, পার্ক নির্মাণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যয় ধার্য করতে হয়।
(৩) আয়ের অসমতা হ্রাস করা: ধনী ব্যক্তির ওপর অধিক কর আরোপ করে এবং দরিদ্র লোকদের জন্য অধিক ব্যয় করে আয়ের অসমতা হ্রাস করা যায়।
(৪) অর্থনৈতিক সুস্থিরতা নিশ্চিত করা: অর্থনৈতিক সুস্থিরতা বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করে অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করে। বাজেটীয় নীতির দ্বারা সরকার অত্যাবশ্যকীয় সেবা এবং সামগ্রীর দামের সুস্থিরতা নিশ্চিত করে।
(৫) অর্থনৈতিক বৃদ্ধি: বাজেটের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হল দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করা। উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে বাজেটই হবে উন্নয়নের পথ প্রদর্শক। দেশের অর্থনীতিতে গতিশীলতা সৃষ্টি করার দায়িত্ব নির্ভর করে বাজেটের ওপর।
প্রশ্ন ৬। আধুনিককালে সরকারি ব্যয়বৃদ্ধি হওয়ার চারটি কারণ লেখো।
উত্তরঃ আধুনিককালে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল নিম্নরূপ:
(১) আধুনিক রাষ্ট্র হল কল্যাণকামী রাষ্ট্র। সকলের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, সুশিক্ষা ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। দরিদ্র, অসহায়, বৃদ্ধ, পঙ্গু লোকদের সাহায্য দান রাষ্ট্রের কর্তব্য বলে বিবেচিত হয়। এরূপ নানা ধরনের কল্যাণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পায়।
(২) দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করা ও বহিঃশত্রুর আক্রমণ হতে দেশ রক্ষা করা প্রত্যেক রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য। এই কর্তব্য পালনের জন্য সরকারকে গৃহ ও প্রতিরক্ষা খাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
(৩) আধুনিককালে সরকার আর্থিক বৈষম্য দূর করতে নানাধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করছে। এরূপ দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্পগুলি খুবই ব্যয়বহুল এবং তাদের বাস্তবায়নের জন্য প্রতিবছর সরকারকে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়।
(৪) আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সরকারকে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেতন, ভাতা, পেনসন ইত্যাদি বাড়াতে হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণকে বণ্টন করতে হয়। সর্বোপরি দ্রুতগতিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সরকারি দ্রব্য ও সেবার যোগান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সরকারি ব্যয় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি হচ্ছে।
প্রশ্ন ৭। ঋণের ক্ষেত্রে রিকার্ডোর সমতা/সমমানতা ধারণাটি ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ জনসাধারণের ভোগকার্যের পরিমাণ চলিত আয়ের সাথে প্রত্যাশিত আয়ের ওপর নির্ভর করে। সরকার ঋণ পরিশোধ করবার জন্য ভবিষ্যতে যে কর আরোপ করবে সেই করের প্রতি লক্ষ্য রেখে জনসাধারণ অধিক সঞ্চয় করবে। ফলস্বরূপ জাতীয় সঞ্চয়ের পরিবর্তন হবে না। একে রিকার্ডোর সমতূল্যতা বলা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর ‘বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডেভিড রিকার্ডোই প্রথম যুক্তিগ্রাহ্য মতামত প্রকাশ করেন যে, ঘাটতি অধিক হলে জনসাধারণ সঞ্চয়ও অধিক করে থাকে। বর্তমানে সরকার ঋণগ্রহণ করে যে ব্যয়সঙ্কোলন করছে, ভবিষ্যতে অধিক কর আদায় করে তা প্রত্যার্পন করবে। অর্থব্যবস্থায় কর আরোপ ও ঋণ গ্রহণের সমান প্রভাব থাকবে। এইজন্যই এটাকে সমমানতা বলা হয়।
প্রশ্ন ৮। আনুপাতিক আয় কর কীভাবে স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রকের কাজ করে ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সমানুপাতিক আয় কর স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করে। এর কারণ হল আয় কর প্রবর্তন করার ফলে কর প্রদানোত্তর আয় এবং ভোগ্যব্যয়ের পরিমাণ GDP- ব পরিবর্তন দ্বারা কম প্রভাবান্বিত হয়। যখন মোট ঘরোয়া উৎপাদন অর্থাৎ GDP বৃদ্ধি পায়, তখন কর প্রদানোত্তর আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই বৃদ্ধির হার GDP বৃদ্ধির হার থেকে কম হবে। কারণ, GDP-র একটি অংশ কর হিসাবে সরকারি কোষাগারে যাবে। ফলস্বরূপ ভোগকার্যের ঊর্ধ্বগামিতা কিছু পরিমাণে নিয়ন্ত্রিত হবে। সেইভাবে যখন আর্থিক মন্দাবস্থা দেখা দেয়, তখন GDP হ্রাস পায় এবং কর প্রদানোত্তর আয়ের পরিমাণ কমে যায় কিন্তু ভোগকার্য সেই অনুপাতে হ্রাস পাবে না। করের অপরিবর্তনীয় অবস্থায় ভোগকার্যের পরিমাণ অধিক হ্রাস পাবে। কিন্তু সমানুপাতিক আয়কর ব্যবস্থায় এই হ্রাসের পরিমাণ কম হবে। সুতরাং সমানুপাতিক আয় কর স্বয়ংক্রিয় স্থিতিস্থাপক হিসাবে কাজ করে।
অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। সরকারি দ্রব্য ও ব্যক্তিগত দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করো।
উত্তরঃ সরকারি দ্রব্য এবং ব্যক্তিগত দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্যসমূহ নিম্নরূপ:
(১) সরকারি দ্রব্য সামগ্রিক প্রয়োজন পূরণ করে। পক্ষান্তরে, ব্যক্তিগত দ্রব্যসমূহ ব্যক্তিগত প্রয়োজন পূরণ করে।
(২) সরকারি দ্রব্য একই সময়ে অসংখ্য ব্যক্তি উপভোগ করতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগত দ্রব্যের ক্ষেত্রে যারা দাম দিতে প্রস্তুত শুধু তারাই সেই সুবিধা লাভ করতে পারে।
(৩) সরকারি দ্রব্যের ক্ষেত্রে ব্যক্তির আপন পছন্দ প্রকাশ করার আবশ্যকতা নেই। ব্যক্তিগত দ্রব্য উপভোগ করার ক্ষেত্রে ব্যক্তি বিশেষের পছন্দ প্রকাশ পায়।
(৪) ব্যক্তিগত দ্রব্য উপভোগের জন্য উপভোক্তা মূল্য পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু সরকারি দ্রব্যসমূহ কোন মূল্য না দিয়ে উপভোগ করা যায়।
(৫) সরকারি দ্রব্যের উপভোগের জন্য কাউকে বঞ্চিত করা যায় না। পক্ষান্তরে, ব্যক্তিগত দ্রব্যের ক্ষেত্রে একজনের উপভোগের জন্য অন্যজন বঞ্চিত হবে।
(৬) ব্যক্তিগত দ্রব্যের উদাহরণ – খাদ্যসামগ্রী, কাপড়, কম্পিউটার।
সরকারি দ্রব্যের উদাহরণ – রাস্তাঘাট, পার্ক, প্রতিরক্ষা।
প্রশ্ন ২। সরকারি বাজেটের বা বাজেটীয় নীতির উদ্দেশ্যগুলো কী কী ?
উত্তরঃ সরকারি বাজেটের উদ্দেশ্যগুলো হল –
(১) সম্পদের আবণ্টন করা।
(২) কর্মদক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করা।
(৩) কর্মসংস্থানের সুবিধার সৃষ্টি করা।
(৪) অর্থনৈতিক বিকাশের পথ ত্বরান্বিত করা।
(৫) আয়ের অসমতা হ্রাস করা।
(৬) মূল্যস্তরের স্থিরতা নিশ্চিত করা।
(৭) বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি পূরণের ব্যবস্থা করা।
প্রশ্ন ৩। সরকারি ঋণ পরিশোধের বিভিন্ন উপায়গুলো লেখো।
উত্তরঃ সরকারি ঋণ পরিশোধের বিভিন্ন উপায়গুলো নিম্নরূপ –
(১) কোনো বিত্তীয়বর্ষে যদি সরকারি ব্যয়ের তুলনায় আয় অধিক হয়, তাহলে অতিরিক্ত আয়কে ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ঋণ পরিশোধের অতি সহজ পদ্ধতি।
(২) ঋণ পরিশোধের উদ্দেশ্যে সরকার বিভিন্ন প্রকার উৎস থেকে প্রাপ্ত আয়ের একাংশ জমা রেখে একটি তহবিল গঠন করে। এই তহবিলে সঞ্চিত অর্থের দ্বারা ঋণ পরিশোধ করা হয়।
(৩) সরকার যখন ঋণভারে জর্জরিত হয়, তখন আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের ওপর উচ্চহারে কর ধার্য করে প্রচুর অর্থ সংগ্রহ করতে পারে এবং এই সংগৃহীত অর্থের সাহায্যে ঋণ পরিশোধ করতে পারে।
(৪) সরকার মুদ্রা সৃষ্টি করে ঋণ পরিশোধ করতে পারে।
প্রশ্ন ৪। করের ক্ষেত্রে অনুসৃত চারটি নিয়মনীতি উল্লেখ করো।
উত্তরঃ কর ধার্য করার ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ চারটি নিয়ম নীতি উল্লেখ করেছেন।
এগুলো হল –
(১) সমতা বা সামর্থ্যের নীতি।
(২) নিশ্চয়তার নীতি।
(৩) সুবিধার নীতি।
(৪) মিতব্যয়িতার নীতি।
প্রশ্ন ৫। বাড়তি বাজেট এবং ঘাটতি বাজেটের মধ্যে পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ বাজেট প্রস্তাবে যখন প্রস্তাবিত আয়ের তুলনায় প্রস্তাবিত ব্যয় কম দেখানো হয়, তখন একে উদ্বৃত্ত বা বাড়তি বাজেট (Surplus Budget) বলা হয়। উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে বাড়তি বাজেট সম্ভব হয় না।
বাজেটে যখন সম্ভাব্য আয়ের তুলনায় প্রস্তাবিত ব্যয় বেশি দেখানো হয়, তখন সেই বাজেটকে ঘাটতি বাজেট (Deficit Budget) বলা হয়ে থাকে। উন্নয়নশীল দেশে ঘাটতি বাজেটের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
প্রশ্ন ৬। উন্নয়নমূলক এবং অনাউন্নয়নমূলক ব্যয় কী ?
উত্তরঃ অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সেবা প্রদান করার উদ্দেশ্যে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব ব্যয় বহন করতে হয় তাকে উন্নয়নমুখী ব্যয় বা বিকাশমুখী ব্যয় বলে। যেমন – কৃষি, উদ্যোগ, পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যয় উন্নয়নমুখী ব্যয়ের উদাহরণ।
সাধারণ সেবাকার্যের ক্ষেত্রে সরকারের যে ব্যয় করতে হয় তাকে অনা- উন্নয়নমূলক ব্যয় বলে। যেমন – আরক্ষী, প্রশাসন, ন্যায়িক সেবা, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যয় অনাউন্নয়নমূলক ব্যয়ের উদাহরণ।
প্রশ্ন ৭। সরকারি বাজেটের অর্থ কী ? রাজস্ব প্রাপ্তি ও মূলধন প্রাপ্তির মধ্যে পার্থক্য দেখাও।
উত্তরঃ সরকারি বাজেট হল একটি বিত্তীয় বর্ষের সরকারের প্রত্যাশিত ব্যয় এবং সেই ব্যয়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিত্তের উৎস সমূহের এক বিবৃতি।
কর রাজস্ব এবং অনাকর রাজস্ব থেকে সংগৃহীত অর্থই রাজস্ব প্রাপ্তি।
রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে সরকারকে কোন পরিশোধ করতে হয় না।
সরকার নাগরিকদের কাছ থেকে ঋণ সংগ্রহ করা রাজস্ব, সরকারি খণ্ডের বিলগ্নীকরণ, সরকারি ঋণপত্র বিক্রি করে ঋণ হিসাবে সংগ্রহ করা রাজস্ব ইত্যাদি মুলধন প্রাপ্তির উপাদান। এগুলো পরিশোধ করতে হয়।
প্রশ ৮। একটি অর্থনীতির অত্যধিক চাহিদার সমস্যা সমাধান করার জন্য যে কোনো দুটি রাজকোষীয় ব্যবস্থা ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ (১) সরকারি খরচ কমানো: একটি অর্থনীতির অত্যধিক চাহিদার সমস্যা সমাধান করা জন্য সরকারি ক্ষেত্রে ব্যয় সংক্ষেপের নীতি অনুসরণ করতে হবে। ঘাটতি বাজেটের পরিবর্তে উদ্বৃত্ত বাজেট প্রস্তুত করতে হবে। ভরতুকি বা প্রতিরক্ষা ব্যয় কমাতে হবে।
(২) কর বৃদ্ধি: একটি দেশের অতিরিক্ত চাহিদা সমস্যা সমাধান করার জন্য কর ব্যবস্থার ভিত্তিকে আরও ব্যাপক করতে হবে। আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে যাতে অধিক সংখ্যক লোক করের আওতায় আনা যায় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রশ ৯। প্রত্যক্ষ কর এবং পরোক্ষ করের চারটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ প্রত্যক্ষ কর এবং পরোক্ষ করের মধ্যে চারটি পার্থক্য হল –
(১) যে করের আর্থিক বোঝা করদাতা আরেকজনের ওপর চাপাতে পারে না সেই করকে প্রত্যক্ষ কর বলে। অন্যদিকে, যে কর একজনের উপর ধার্য করা হয়, কিন্তু এর বোঝা বা ভার অপর একজন ব্যক্তির উপর পড়ে তাকে বলা হয় পরোক্ষ কর।
(২) প্রত্যক্ষ কর করদাতার ক্ষমতার ভিত্তিতে ধার্য করা হয় কিন্তু পরোক্ষ কর সকলকে প্রদান করতে হয়। দ্রব্য ক্রয়ের সময় পরোক্ষ কর দিতে হয়।
(৩) প্রত্যক্ষ কর প্রগতিশীল (Progressive)। প্রত্যক্ষ কর সমতা নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। দেশের আয় বৃদ্ধি পেলে প্রত্যক্ষ করের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আয়ের সঙ্গে পরোক্ষ করের সম্বন্ধ নেই। ধনী দরিদ্র সকলেই দ্রব্যাদি কেনার সময় এই কর দিতে হয়। ফলে বিত্তশালী অপেক্ষা দরিদ্র শ্রেণির ওপরই পরোক্ষ করের বোঝা বেশি পড়ে। সুতরাং এই ধরনের কর হল অধোগতিশীল (Regressive)।
(৪) প্রত্যক্ষ করের উদাহরণ হল: আয় কর, সম্পদ কর, নিগম কর, দান কর।
পরোক্ষ করের উদাহরণ হল: পণ্য ও সেবা কর (GST), বিক্রয় কর, প্রমোদ কর, আবগারি শুল্ক ইত্যাদি।
প্রশ ১০। বাজেট ঘাটতি কী ? বাজেট ঘাটতির তিনটি প্রকার কী কী ?
উত্তরঃ বাজেটে যখন সম্ভাব্য আয়ের তুলনায় প্রস্তাবিত ব্যয় বেশি দেখানো হয়, তখন একে বাজেট ঘাটতি বলে।
বাজেট ঘাটতির প্রকারভেদ হল –
(১) রাজস্ব ঘাটতি।
(২) রাজকোষীয় ঘাটতি বা ফিসক্যাল ঘাটতি।
(৩) প্রাথমিক ঘাটতি।
প্রশ ১১। ঘাটতি বাজেট কী ? উন্নয়নশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাড়তি বাজেটের থেকে ঘাটতি বাজেটকে কেন উপযোগী হিসাবে বিবেচনা করা হয় ?
উত্তরঃ বাজেটে যখন সম্ভাব্য আয়ের তুলনায় প্রস্তাবিত ব্যয় বেশি দেখানো হয়, তখন একে বাজেট ঘাটতি বলে।
উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষমতা সীমিত থাকার জন্য ঘাটতি বাজেটের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারা যায়। উন্নয়নশীল দেশ কারিগরি প্রযুক্তি, শ্রমদক্ষতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে পিছপড়া সেজন্য ঘাটতির মাধ্যমে এই উপাদানসমূহ সংগ্রহ করে অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত করা যায়। ঘাটতির মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থের বিনিয়োগের ফলে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি হয়। এটি অর্থনীতিতে প্রগতির সহায়ক হয়। এই সকল কারণে উন্নয়নশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বাড়তি বাজেটের থেকে ঘাটতি বাজেটকে উপযোগী হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন ১। প্রত্যক্ষ কর কাকে বলে ? প্রত্যক্ষ করের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো বর্ণনা করো।
উত্তরঃ যে করের সংঘাত এবং বোঝা একই ব্যক্তির ওপর পড়ে, তাকে প্রত্যক্ষ কর বলে। অর্থাৎ যে করের আর্থিক বোঝা করদাতা আরেকজনের ওপর চাপাতে পারে না, সেই করকে প্রত্যক্ষ কর বলে।
উদাহরণস্বরূপ: আয় কর, নিগম কর, সম্পদ কর, দান কর ইত্যাদি হল প্রত্যক্ষ কর।
প্রত্যক্ষ করের গুণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হল –
(১) প্রত্যক্ষ কর সমতা নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ কর করদাতার ক্ষমতার ভিত্তিতে ধার্য করা হয়। এটা খুবই যুক্তিসঙ্গত।
(২) প্রত্যক্ষ কর নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। করদাতা প্রত্যক্ষভাবে এই করের বোঝা অনুভব করে। ফলস্বরূপ তারা সরকারি কাজকর্মের প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন।
(৩) প্রত্যক্ষ কর আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যয় কম হয়। এরূপ কর মিতব্যয়িতার নীতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
প্রত্যক্ষ করের দোষ বা ত্রুটিসমূহ হল –
(১) প্রত্যক্ষ কর জনপ্রিয় নয়। কারণ, একসঙ্গে বিশাল পরিমাণ অর্থ করদাতাকে দিতে হয় যা করদাতার পক্ষে কষ্টসাধ্য।
(২) প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
(৩) প্রত্যক্ষ করের ফলে অনেক ক্ষেত্রে মানুষের কর্মস্পৃহা হ্রাস পায়। কারণ কঠোর পরিশ্রমের ফলে একজন ব্যক্তি যা আয় করে, তার এক অংশ যদি সরকার আয় করের মাধ্যমে কেড়ে নেয়, সেই ব্যক্তির কাজের উৎসাহ কমে যায়।
(৪) প্রত্যক্ষ করের ফলে ব্যক্তিগত ব্যয়যোগ্য আয় হ্রাস পায়। ফলস্বরূপ সঞ্চয় হ্রাস পায়। মূলধন গঠনের হারও কম হয়।
প্রশ্ন ২। সরকারি বাজেটের উপাদানসমূহ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সরকারের আয় ব্যয়ের বার্ষিক আগাম হিসাবকে সরকারি বাজেট বলা হয়। সরকারি বাজেট আগামী এক বৎসরের জন্য সরকারের প্রত্যাশিত আয় এবং প্রস্তাবিত ব্যয়ের বিবরণ। এই বিবরণে বিগত সময়ের আয়-ব্যয়ের হিসাবও প্রদান করা হয়ে থাকে।
সরকারি বাজেটের দুটি অংশ থাকে – রাজস্ব বাজেট (Revenue budget) এবং মূলধনী বাজেট (Capital budget)। উভয় বাজেটের আরও দুটি দিক আছে – প্রাপ্তি ও ব্যয়। রাজস্ব প্রাপ্তির মধ্যে আছে কর রাজস্ব ও অনাকর রাজস্ব। কর রাজস্বের অন্তর্গত বিষয়গুলি হচ্ছে – আয় কর, সম্পদ কর, নিগম কর, কাস্টম ডিউটি, বিক্রি কর ইত্যাদি। অনাকর রাজস্বের উৎসগুলি হচ্ছে মাশুল, লাইসেন্স, ফাইন, পেনাল্টি, দান-অনুদান, রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত আয় ইত্যাদি। রাজস্ব ব্যয়ের মধ্যে আছে রাজস্ব আদায়ের জন্য সরকারের সর্বপ্রকারের ব্যয়, কর্মচারীদের বেতন, প্রতিরক্ষা সেবা, প্রদেয় সুদ, ভর্তুকি ইত্যাদি।
মূলধন প্রাপ্তি থেকে যদিও সরকারের আয় বৃদ্ধি হয় কিন্তু এটি সরকারের দায় বা বোঝা বহুলাংশে বৃদ্ধি করে। সরকারি ঋণ উদ্ধার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, IMF, World বা বিদেশি রাষ্ট্র থেকে সংগৃহীত ঋণ, অংশপত্র বিক্রির প্রাপ্তি – এগুলির দ্বারা মূলধন প্রাপ্তি বা মূলধন সংগ্রহ করা হয়। মূলধনী ব্যয় হল সেই ব্যয় যার দ্বারা নতুন মূলধন সম্পত্তির সৃষ্টি হয় বা সরকারের দায় হ্রাস পায়। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ঋণের যোগান রাস্তা ও সেতু নির্মাণ, রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠানে প্রদেয় ঋণ ইত্যাদি হল মূলধনী ব্যয়।
প্রশ্ন ৩। সরকারি ঋণ কী বোঝ ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তরঃ সরকারি ঋণের বোঝা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গেলে আভ্যন্তরীণ ঋণের বোঝা এবং বাহ্যিক ঋণের বোঝার ওপর আলোকপাত করে অগ্রসর হতে হবে।
একটি প্রচলিত কথা আছে, আভ্যন্তরীণ ঋণের কোনো বোঝা নেই। এই কথাটি সম্পুর্ণ সত্য নয়। যদি উৎপাদনশীল কাজের জন্য সরকার ঋণ গ্রহণ করে, তাহলে কোনো বোঝা সৃষ্টি হবে না। কারণ, উৎপাদন হতে অর্জিত আয়ের মাধ্যমেই ঋণ পরিশোধ করা যাবে। কিন্তু যদি অনুৎপাদনশীল কাজে ঋণের অর্থ ব্যবহার করা হয়, তাহলে ঋণ পরিশোধের কোনো উপায় থাকবে না। এই অবস্থায় আভ্যন্তরীণ ঋণের সার্বিক বোঝা থেকেই যাবে। যদিও অনেক সময় বলা হয়ে থাকে যে আভ্যন্তরীণ ঋণ পরিশোধের জন্য সংগৃহীত অর্থ দেশের জনগণের নিকট থেকে আদায় করা হয়, আবার এই অর্থ জনগণের কাছে ফেরত যায়। কিন্তু সমীকরণটি এত সহজ নয়। বিত্তহীনদের কাছ থেকে পরোক্ষ করের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থ যদি বিত্তবানের কাছে ফিরে যায়, তাহলে সমাজে আর্থিক বৈষম্য সৃষ্টি হবে। কাজেই আভ্যন্তরীণ ঋণের বোঝা বা দায়ভার কিছুটা পরিমাণ হলেও সমাজের ওপর পড়বে। বাহ্যিক ঋণের আর্থিক বোঝা এবং প্রকৃত বোঝা দুটিই সৃষ্টি হবে। যদি রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা অর্জন করে বিদেশি ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে দেশের বহু প্রয়োজনীয় সম্পদ বিদেশে চলে যাবে। এর ফলে দেশের কল্যাণ বিঘ্নিত হবে।
অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশ বাহ্যিক ঋণের পাপচক্রের মধ্যে প্রবিষ্ট হয়েছে। ঋণের মাত্রা বেশি হওয়ার ফলে কিছু দেশ ঋণ ফাঁদের দোর-গোড়ায় পৌঁছেছে। কাজেই বাহ্যিক ঋণের ক্ষেত্রে আর্থিক বোঝার চেয়ে ঝুঁকি বোঝা নিঃসন্দেহে বেশি।
প্রশ্ন ৪। সরকারি ব্যয়ের যে কোন চারটি শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তরঃ সরকারি ব্যয়ের শ্রেণিবিভাগ –
(১) পরিকল্পনা ব্যয় ও পরিকল্পনা বহির্ভূত ব্যয়।
(২) রাজস্ব ব্যয় ও মূলধনী ব্যয়।
(৩) উন্নয়নমূলক ব্যয় ও অনা-উন্নয়নমূলক ব্যয়।
(৪) ভোগ ব্যয় ও বিনিয়োগ ব্যয়।
প্রশ্ন ৫। একটি অর্থনীতির উপভোগ ফলন C = 300+ 0.75Y বিনিয়োগের পরিমাণ (I) = 250 এবং সরকারি ব্যয় (G) হল 200
(ক) ভারসাম্য আয় স্তর নির্ণয় করো।
(খ) যদি সরকারি ব্যয় 100 বৃদ্ধি পায়, ভারসাম্য আয়ের আয়ের ওপর এর প্রভাব কীরূপ ?
উত্তরঃ
(খ) যদি সরকারি ব্যয় 100 বৃদ্ধি পায়, তাহলে আয়ের ভারসাম্য স্তরে পরিবর্তন হবে-
প্রশ্ন ৬। ধরা হল, একটি অর্থনীতির উপভোগ ফলন C = 150 + 0.6Y, বিনিয়োগের পরিমাণ হল 150 এবং সরকারি ব্যয় 120, শুদ্ধ কর হল 100।
(ক) ভারসাম্য আয়ের স্তর নির্ণয় করো।
(খ) সরকারি ব্যয় গুণক এবং কর গুণকের মান নির্ণয় করো।
(গ) যদি সরকারি ব্যয় 100 বৃদ্ধি হয়, ভারসাম্য আয়ের পরিবর্তন নির্ণয় করো।
উত্তরঃ (ক) দেওয়া আছে,
ভোগ ফলন C = 150 + 0.6Y
বিনিয়োগ I = 150
সরকারি ব্যয় G = 120
ভারসাম্য আয়,
(গ) যদি সরকারি ব্যয় 100 বৃদ্ধি হয় , তাহলে ভারসাম্য আয়ের ওপর পরিবর্তন হবে
নতুন ভারসাম্য আয়ের স্তর Y = 1150 + 250 = 1400
Hi! I’m Ankit Roy, a full time blogger, digital marketer and Founder of Roy Library. I shall provide you all kinds of study materials, including Notes, Suggestions, Biographies and everything you need.