Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধা

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XII Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy Question Answer in Bengali The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি Solutions are free to use and easily accessible. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily.

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি, Gives you a better knowledge of all the chapters. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Solution, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

প্রশ্ন ১৬। অপসারণ বলতে কী বোঝ ? অপসারণের তিনটি মূল সূত্র লেখো।

উত্তরঃ কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার ও প্রমাণ করতে গিয়ে তাদের সঙ্গে সংযোগ আছে এমন অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রসাঙ্গিক বিষয়গুলিকে বর্জন বা অপসারণ করতে হয় এবং প্রয়োজনীয় ও প্রাসঙ্গিক বিষয় বিচার করতে হয়। যে পদ্ধতি দ্বারা অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রসাঙ্গিক বিষয় বর্জন করতে হয়, তাকে অপসারণের পদ্ধতি বলে।

পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতির সঙ্গে জড়িত অপসারণের তিনটি সূত্র হল—-

(ক) কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলে যদি অনুবর্তী কোন ঘটনা বা কার্য অপসারিত না হয়, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণের অংশ হতে পারে না।

(খ) কার্যের কোন ক্ষতি না করে যদি পূর্ববর্তী ঘটনার কোন অংশ বাদ না দেওয়া যায়, তাহলে সেই অংশ কার্যটির কারণ বা কারণের অংশ হবে।

(গ) পূর্ববর্তী কোন ঘটনার হ্রাস বৃদ্ধির সঙ্গে যদি অনুবর্তী কোন ঘটনার হ্রাস বৃদ্ধি হয়, তাহলে ঘটনা কার্যকারণ সম্পর্কে সম্পর্কিত হবে।

প্রশ্ন ১৭। অন্বয়ী প্রণালীর ‘ ব্যবহারিক দোষ ‘ বলতে কী বোঝ ? এই প্রণালী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী কী অসুবিধা সৃষ্টি হয় ?

উত্তরঃ আমাদের জীবনে অন্বয়ী পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে কতকগুলি বাস্তব অসুবিধা দেখা দেয়। দৈনন্দিন জীবন – যাপন করতে গিয়ে এই প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু বাধার সৃষ্টি হয়। এই কারণে এটাকে ব্যবহারিক দোষ বলে থাকি। 

এই সব ব্যবহারিক সমস্যা হল নিম্নরূপ ——-

(ক) প্রয়োজনীয় দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহের অসুবিধা: অন্বয়ী পদ্ধতিতে দুই বা ততোধিক দৃষ্টান্ত নিরীক্ষণের সাহায্যে সংগ্ৰহ করতে হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহ করতে গিয়ে প্রকৃতির দয়ার ওপর নির্ভর করতে হয়, কারণ সকল প্রাকৃতিক ঘটনা, যেমন সূর্য উদয় হওয়া এবং অস্ত যাওয়ার মত নিশ্চিতভাবে ঘটে না। উদাহরণস্বরূপ —- ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি ইত্যাদি।

(খ) দৃষ্টান্তের সঠিক বিশ্লেষণের অসুবিধা: অন্বয়ী পদ্ধতি সরল পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি হওয়ার সংগৃহীত সঠিক বিশ্লেষণের সমস্যা হয়। সকল পর্যবেক্ষণ‌‌‌ থেকে নিশ্চিত জানা যায় না যে সংগৃহীত তথ্যর বিশ্লেষণ সঠিক কি না। এই পদ্ধতি দ্বারা কার্যকারণ সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক বাদ দিয়ে সামান্য বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই আমরা অন্বয়ী পদ্ধতির ব্যবহারিক দোষে দুষ্ট হওয়ার সমস্যটি দেখাত পাই। তবে বেশি সংখ্যক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ দ্বারা এই সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়। যদি দৃষ্টান্তের  সংখ্যা বাড়ানো যায় এবং পূর্ববর্তী ঘটনা পাওয়া যায়, সেই সাধারণ পূর্ববর্তী ঘটনাটি কারণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহের জন্য প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা দূর করা সম্ভব হয়। সুতরাং উপরে উল্লেখিত দোষমুক্ত করবার উপায়গুলি অনুসরণ করেও আমরা ব্যবহারিক দোষদুষ্টতা থেকে এই পদ্ধতিকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা সম্ভব নয়।

প্রশ্ন ১৮। সহ পরিবর্তন প্রণালীর চারটি অসুবিধা লেখো।

উত্তরঃ সহ পরিবর্তন প্রণালীর অসুবিধাগুলি হল—–

(ক) সহ পরিবর্তন প্রণালীর প্রয়োগ একটি নির্দিষ্ট সীমিত ক্ষেত্রে আবদ্ধ থাকে। সেই সীমার বাইরে একে প্রয়োগ করা যায় না।

(খ) এই পদ্ধতি পরিবর্তনের পরিমাণগত দিকটিতেই প্রযোজ্য , কোনভাবেই গুণগত দিকটিতে নয়।

(গ) এই প্রণালীর দ্বারা সহ অবস্থান এবং কার্যকারণ সম্পর্কের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা যায় না।

(ঘ) এই প্রণালীর পরিধি সংকীর্ণ। এর কারণ হল অভিজ্ঞতার বাইরে এই প্রণালী প্রয়োগ সম্ভব নয়।

প্রশ্ন ১৯। অন্বয়ী প্রণালীর ‘ প্রকৃতিগত অপূর্ণতা কী ? এই অসুবিধা কীভাবে দূর করা যেতে পারে ?

উত্তরঃ অন্বয়ী পদ্ধতির এই ক্রটি বা অপূর্ণতা প্রকৃতিগত। নানা কারণবাদের সম্ভাবনা এই অপূর্ণতার কারণ। নানাকারণবাদ  মতে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণে একই কার্য সৃষ্টি হয়। কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে এই তত্ত্বটি গ্ৰহণযোগ্য নয়। এই তত্ত্বের সম্ভাবনা অন্বয়ী প্রণালীর প্রয়োগের বাধাদান করে। অন্বয়ী পদ্ধতির প্রকৃতিগত ক্রটি এই বিশেষ পদ্ধতিটির প্রকৃতি বা স্বরূপের মধ্যে নিহিত, যা পদ্ধতিটির মধ্যে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে।

অন্বয়ী পদ্ধতির এই অসুবিধা দূর করার জন্য নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করা যেতে পারে —–

১। দৃষ্টান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।

২। যেখানে সম্ভব মিশ্র অন্বয়ী – ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগ।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। অন্বয়ী প্রণালী বা পদ্ধতি কাকে বলে ? উদাহরণ সহ লেখো। এই এই প্রণালীর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

উত্তরঃ যুক্তিবিদ মিল অন্বয়ী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার দুই বা তার চেয়ে বেশি দৃষ্টান্তে অন্য একটি ঘটনা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে, তাহলে সেই সাধারণ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কারণ অথবা কার্য হবে। মিল এর এই প্রণালীটি একটি অপসারণের সূত্রের উপর নির্ভরশীল। তা হল — ” কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলে যদি অনুবর্তী ঘটনা বা কার্য অপসারিত না হয়, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণের অংশ হতে পারে না।” মিল মনে করেন যে, এই প্রণালী প্রয়োগ করে যে- কোন কার্যের কারণ অনুসন্ধান করা যায়। এই পদ্ধতি হচ্ছে কার্যকারণ আবিষ্কার ও প্রমাণের পদ্ধতি। এই প্রণালীর দ্বারা যে রূপ কোন ঘটনার কারণ বা কার্য আবিষ্কার করা হয়,তেমনি তাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

মিল এর প্রতীকাত্মক বা প্রতীকী উদাহরণ —–

∴ A হল a এর কারণ

অথবা a হল A এর কার্য

অন্বয়ী প্রণালীর বৈশিষ্ট্যগুলি নিচে দেওয়া হল।

(ক) দুই বা ততোধিক দৃষ্টান্তের মধ্যে একটি বিষয়ে সাদৃশ বা অন্বয় থাকা প্রয়োজন। এই কারণে মিল একে অন্বয়ী পদ্ধতি বলেছেন।

(খ) বিভিন্ন দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি বিষয়ে মিল থাকে, আর সব বিষয়ে আমি থাকে। এই কারণে মেলন, কফি প্রমুখ তর্ক বিজ্ঞানীরা এই প্রণালীকে  একান্বয়ী প্রণালী নামে অভিহিত করেছেন।

(গ) এই পদ্ধতি মূলতঃ পর্যবেক্ষণের উপর নির্ভর করে। এর অর্থ এই নয় যে, পরীক্ষণের ক্ষেত্রে এই প্রণালীকে প্রবেশ করা যাবে না।

(ঘ) অন্বয়ী প্রণালীর দ্বারা কারণ থেকে কার্য এবং কার্য থেকে কারণ‌‌‌ অনুসন্ধান করতে হয়।

প্রশ্ন ২। অন্বয়ী প্রণালী কাকে বলে উদাহরণ সহ লেখো।

উত্তরঃ যুক্তিবিদ মিল অন্বয়ী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার দুই বা তার চেয়ে বেশি দৃষ্টান্তে অন্য একটি ঘটনা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে, তাহলে সেই সাধারণ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কারণ অথবা কার্য হবে। মিল এর এই প্রণালীটি একটি অপসারণের সূত্রের উপর নির্ভরশীল। তা হল — ” কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলে যদি অনুবর্তী ঘটনা বা কার্য অপসারিত না হয়, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণের অংশ হতে পারে না।” মিল মনে করেন যে, এই প্রণালী প্রয়োগ করে যে- কোন কার্যের কারণ অনুসন্ধান করা যায়। এই পদ্ধতি হচ্ছে কার্যকারণ আবিষ্কার ও প্রমাণের পদ্ধতি। এই প্রণালীর দ্বারা যে রূপ কোন ঘটনার কারণ বা কার্য আবিষ্কার করা হয়,তেমনি তাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রশ্ন ৩। অন্বয়ী প্রণালীর দুটি সুবিধা উল্লেখ করো। এর অসুবিধাগুলি দূর করার উপায় কী ?

উত্তরঃ অন্বয়ী প্রণালীর দুটি সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) অন্বয়ী প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্র অতি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এই প্রণালী সহজ ও সরল পদ্ধতি। এই পদ্ধতি প্রধানতঃ নিরীক্ষণের পদ্ধতি বলে পরীক্ষণের পদ্ধতির তুলনায় এর প্রয়োগক্ষেত্র অধিক বিস্তৃত। তাই অন্বয়ী পদ্ধতির পরিসর অতি ব্যাপক।

(খ) এই প্রণালী দ্বারা আমরা কারণ থেকে কার্যে এবং কার্য থেকে কারণে যেতে পারি। নিরীক্ষণের পদ্ধতি হওয়ার অন্বয়ী পদ্ধতির সুবিধা আছে।

অন্বয়ী প্রণালীর ক্রটিগুলি দূর করা সম্ভব —–

(ক) বেশি সংখ্যক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে অন্বয়ী পদ্ধতির অসুবিধা দূর করা যায়। অন্বয়ী পদ্ধতি নানা কারণবাদজনিত দোষে দুষ্ট। দৃষ্টান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি করে যদি দেখা যায় যে অন্বেষণীয় ঘটনা উপস্থিত আছে এবং বহু সংখ্যক দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি বিষয়ে মিল থাকে , তাহলে সেই মিল থাকা বিষয়টি অন্বেষণীয় ঘটনার কারণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

(খ) মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালী অন্বয়ী প্রণালীর উন্নতর রূপ। অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য একটি ভাববাচক দৃষ্টান্ত গুচ্ছ এবং অভাববাচক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়, যে সব দৃষ্টান্তে আলোচ্য ঘটনাটি উপস্থিত কিংবা অনুপস্থিত থাকে। সদর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছে অন্বেষণীয় ঘটনাটি উপস্থিত থাকে এবং দৃষ্টান্ত গুলির মধ্যে একটি বিষয়ে মিল থাকে। নঞর্থক দৃষ্টান্তগুচ্ছে অন্বেষণীয় ঘটনাটি অনুপস্থিত থাকে এবং সদর্থক দৃষ্টান্তের মিল থাকা বিষয়টি অনুপস্থিত থাকে। কিন্তু, মিল থাকা ঘটনা অন্বেষণীয় ঘটনার কারণ বা কার্য হবে। অতএব মিশ্র অন্বয়ী প্রণালী প্রয়োগ করে নানা কারণ বাদের সম্ভাবনা বা অপর্যবেক্ষণজনিত দোষের সম্ভাবনা দূর করা যাবে।

প্রশ্ন ৪। অন্বয়ী প্রণালী কাকে বলে ? অন্বয়ী প্রণালীর চারটি গুণ বা সুবিধা লেখো।

উত্তরঃ যুক্তিবিদ মিল অন্বয়ী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার দুই বা তার চেয়ে বেশি দৃষ্টান্তে অন্য একটি ঘটনা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে, তাহলে সেই সাধারণ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কারণ অথবা কার্য হবে। মিল এর এই প্রণালীটি একটি অপসারণের সূত্রের উপর নির্ভরশীল। তা হল — ” কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলে যদি অনুবর্তী ঘটনা বা কার্য অপসারিত না হয়, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণের অংশ হতে পারে না।” মিল মনে করেন যে, এই প্রণালী প্রয়োগ করে যে- কোন কার্যের কারণ অনুসন্ধান করা যায়। এই পদ্ধতি হচ্ছে কার্যকারণ আবিষ্কার ও প্রমাণের পদ্ধতি। এই প্রণালীর দ্বারা যে রূপ কোন ঘটনার কারণ বা কার্য আবিষ্কার করা হয়,তেমনি তাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

অন্বয়ী প্রণালীর চারটি গুণ বা সুবিধা হল——

(ক) অন্বয়ী প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্রে অতি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এই প্রণালী সহজ ও সরল প্রণালী বা পদ্ধতি। এই পদ্ধতি প্রধানতঃ নিরীক্ষণের পদ্ধতি বলে পরীক্ষণের পদ্ধতির তুলনায় এর প্রয়োগক্ষেত্র অধিক বিস্তৃত। তাই অন্বয়ী পদ্ধতির পরিসর অতি ব্যাপক।

(খ) এই প্রণালী দ্বারা আমরা কারণ থেকে কার্যে এবং কার্য থেকে কারণে যেতে পারি। নিরীক্ষণের পদ্ধতি হওয়ার অন্বয়ী পদ্ধতির সুবিধা আছে।

(গ) এই প্রণালীর সাহায্যে কার্যকারণ সম্পর্কে এক প্রকল্প গঠন করা সম্ভব হয়। এই প্রকল্প গঠনের কাজটিও বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

(ঘ) এই প্রণালী প্রয়োগ করে কার্য অথবা কারণকে সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব না হলেও তাদের সঙ্গে যুক্ত অপ্রাসঙ্গিক এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলিকে সঠিকভাবে বর্জন করা যায়।

প্রশ্ন ৫। অন্বয়ী প্রণালী কাকে বলে ? এই প্রণালীর দুটি সুবিধা লেখো।

উত্তরঃ যুক্তিবিদ মিল অন্বয়ী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার দুই বা তার চেয়ে বেশি দৃষ্টান্তে অন্য একটি ঘটনা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে, তাহলে সেই সাধারণ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কারণ অথবা কার্য হবে। মিল এর এই প্রণালীটি একটি অপসারণের সূত্রের উপর নির্ভরশীল। তা হল — ” কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলে যদি অনুবর্তী ঘটনা বা কার্য অপসারিত না হয়, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণের অংশ হতে পারে না।” মিল মনে করেন যে, এই প্রণালী প্রয়োগ করে যে- কোন কার্যের কারণ অনুসন্ধান করা যায়। এই পদ্ধতি হচ্ছে কার্যকারণ আবিষ্কার ও প্রমাণের পদ্ধতি। এই প্রণালীর দ্বারা যে রূপ কোন ঘটনার কারণ বা কার্য আবিষ্কার করা হয়,তেমনি তাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

অন্বয়ী প্রণালীর দুটি সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) অন্বয়ী প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্র অতি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এই প্রণালী সহজ ও সরল পদ্ধতি। এই পদ্ধতি প্রধানতঃ নিরীক্ষণের পদ্ধতি বলে পরীক্ষণের পদ্ধতির তুলনায় এর প্রয়োগক্ষেত্র অধিক বিস্তৃত। তাই অন্বয়ী পদ্ধতির পরিসর অতি ব্যাপক।

(খ) এই প্রণালী দ্বারা আমরা কারণ থেকে কার্যে এবং কার্য থেকে কারণে যেতে পারি। নিরীক্ষণের পদ্ধতি হওয়ার অন্বয়ী পদ্ধতির সুবিধা আছে।

প্রশ্ন ৬। উপযুক্ত উদাহরণ সহ অন্বয়ী প্রণালীর ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ যুক্তিবিদ মিল অন্বয়ী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে ব্যাখ্যা করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার দুই বা তার চেয়ে বেশি দৃষ্টান্তে অন্য একটি ঘটনা সাধারণভাবে উপস্থিত থাকে, তাহলে সেই সাধারণ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কারণ অথবা কার্য হবে। মিল এর এই প্রণালীটি একটি অপসারণের সূত্রের উপর নির্ভরশীল। তা হল — ” কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলে যদি অনুবর্তী ঘটনা বা কার্য অপসারিত না হয়, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণের অংশ হতে পারে না।” মিল মনে করেন যে, এই প্রণালী প্রয়োগ করে যে- কোন কার্যের কারণ অনুসন্ধান করা যায়। এই পদ্ধতি হচ্ছে কার্যকারণ আবিষ্কার ও প্রমাণের পদ্ধতি। এই প্রণালীর দ্বারা যে রূপ কোন ঘটনার কারণ বা কার্য আবিষ্কার করা হয়,তেমনি তাকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

প্রশ্ন ৭। ব্যতিরেকী প্রণালী কাকে বলে ? এই প্রণালীর বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

উত্তরঃ যুক্তি বিজ্ঞানী মিল ব্যতিরেকী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার একটি ভাববাচক দৃষ্টান্তে এবং একটি অভাববাচক দৃষ্টান্তে কেবল মাত্র এমন পার্থক্য থাকে যে, একটি ঘটনা, যা প্রথম ক্ষেত্রে আছে, তা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে নেই, তাহলে ঐ বিশেষ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ বা কারণের অপরিহার্য অংশ হবে।”

ব্যতিরেকী প্রণালীর প্রতীকী উদাহরণ —–

বাস্তব উদাহরণ —

একটি বায়ুপূর্ণ পাত্রে একটি ঘন্টা বাজানো হলো। ঘন্টার শব্দ শোনা গেল। ব্যতিরেকী প্রণালী দুই রকমভাবে প্রয়োগ করা যায়। কখনও কখনও দৃষ্টান্ত দুটির মধ্যে পার্থক্য থাকা বিষয়টি অপসারণ করে। আবার, কখনও কখনও সেই বিষয়টি মুক্ত করে।

বাস্তব উদাহরণ: একটি বায়ুপূর্ণ পাত্রে ঘন্টা বাজানো হল। ঘন্টার শব্দ শোনা গেল। অন্যদিকে একটি বায়ুশূন্য পাত্রে যদি ঘন্টাটি বাজানো হয়, তাহলে কোন শব্দ শোনা যাবে না। এর অর্থ এই যে, বায়ুর উপস্থিতি শব্দ শোনার কারণ।

ব্যতিরেকী প্রণালীর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ —-

(ক) এই প্রণালীতে দুটি মাত্র দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয়,যাদের মধ্যে একটি মাত্র ঘটনা ছাড়া আর সব বিষয়েই মিল থাকে। এরকম দুটি দৃষ্টান্ত — একটি সদর্থক, অপরটি নঞর্থক, কেবল পরীক্ষণের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। কারণ পরীক্ষণ প্রক্রিয়ার ঘটনাগুলির উপরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। কারণ, দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহের জন্য পরীক্ষণই একমাত্র মাধ্যম। অতএব ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রধানতঃ পরীক্ষণের পদ্ধতি। এই প্রণালীকে অসতর্কভাবে প্রয়োগ করলে ‘ কাকতালীয় দোষ ঘটে ‘।  উদাহরণ—

আকাশে ধূমকেতু ছিল না এবং রাজাও মারা যাননি।

আকাশে ধূমকেতু দেখা দিল এবং রাজাও মারা গেলেন।

আকাশে ধূমকেতুর আবির্ভাব রাজার মৃত্যুর কারণ।

(খ) এই প্রণালী যখন পরীক্ষণ ভিত্তিক হয়, তখন সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয়। অন্বয়ী প্রণালী যে কার্যকারণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়, ব্যতিরেকী প্রণালী তাকে প্রমাণ করে। অতএব মিলের মতে সব প্রণালীর মধ্যে ব্যতিরেকী প্রণালী শ্রেষ্ঠতম।

প্রশ্ন ৮। পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি বলতে কী বোঝ ? উপযুক্ত উদাহরণ সহ ব্যতিরেকী প্রণালী ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বৈজ্ঞানিক আগমনের উদ্দেশ্য হলো, দুটি ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার ও প্রমাণ করা যাতে একটি যথার্থ সামান্য বচন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। তর্কবিজ্ঞানী মিল এই সমস্যা সমাধানের জন্য পাঁচটি পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন। মিলের মতে এসব পদ্ধতি অবলম্বন করে নিরীক্ষণ ও পরীক্ষণের ভিত্তিতে জটিল ঘটনার মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক আবিষ্কার ও প্রমাণ করা যায়। এই পদ্ধতিগুলিকেই ‘ পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি ‘ বা আরোহী পদ্ধতি বা কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয়ের পদ্ধতি বলে।

যুক্তি বিজ্ঞানী মিল ব্যতিরেকী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার একটি ভাববাচক দৃষ্টান্তে এবং একটি অভাববাচক দৃষ্টান্তে কেবল মাত্র এমন পার্থক্য থাকে যে, একটি ঘটনা, যা প্রথম ক্ষেত্রে আছে, তা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে নেই, তাহলে ঐ বিশেষ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ বা কারণের অপরিহার্য অংশ হবে।”

ব্যতিরেকী প্রণালীর প্রতীকী উদাহরণ —–

বাস্তব উদাহরণ —

একটি বায়ুপূর্ণ পাত্রে একটি ঘন্টা বাজানো হলো। ঘন্টার শব্দ শোনা গেল। ব্যতিরেকী প্রণালী দুই রকমভাবে প্রয়োগ করা যায়। কখনও কখনও দৃষ্টান্ত দুটির মধ্যে পার্থক্য থাকা বিষয়টি অপসারণ করে। আবার, কখনও কখনও সেই বিষয়টি মুক্ত করে।

বাস্তব উদাহরণ: একটি বায়ুপূর্ণ পাত্রে ঘন্টা বাজানো হল। ঘন্টার শব্দ শোনা গেল। অন্যদিকে একটি বায়ুশূন্য পাত্রে যদি ঘন্টাটি বাজানো হয়, তাহলে কোন শব্দ শোনা যাবে না। এর অর্থ এই যে, বায়ুর উপস্থিতি শব্দ শোনার কারণ।

প্রশ্ন ৯। ব্যতিরেকী পদ্ধতি বা প্রণালী কাকে বলে ? এই প্রণালীর দুটি সুবিধা উল্লেখ করো।

উত্তরঃ যুক্তি বিজ্ঞানী মিল ব্যতিরেকী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার একটি ভাববাচক দৃষ্টান্তে এবং একটি অভাববাচক দৃষ্টান্তে কেবল মাত্র এমন পার্থক্য থাকে যে, একটি ঘটনা, যা প্রথম ক্ষেত্রে আছে, তা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে নেই, তাহলে ঐ বিশেষ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ বা কারণের অপরিহার্য অংশ হবে।”

ব্যতিরেকী পদ্ধতির দুটি সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) ব্যতিরেকী প্রণালী খুব সহজ ও সরল । কারণ এখানে কার্যকারণ নির্ণয়ের জন্য দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয়।

(খ) ব্যতিরেকী প্রণালী মূলতঃ পরীক্ষণ নির্ভর হওয়ায় সিদ্ধান্ত প্রায় নিশ্চিত হয়। 

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top