Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধা

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি, is a textbook prescribed by the Assam AHSEC Board Class XII Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy Question Answer in Bengali The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি Solutions are free to use and easily accessible. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily.

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি

Class 12 Logic and Philosophy Chapter 4 মিলের পরীক্ষণমূলক অনুসন্ধান পদ্ধতি, Gives you a better knowledge of all the chapters. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Notes. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam Board HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Suggestion will be able to solve all the doubts of the students. Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Solution, Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the Assam AHSEC Board Class 12 Logic and Philosophy in Bengali Question Answer PDF. HS 2nd Year Logic and Philosophy in Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

প্রশ্ন ২৪। মিশ্র অন্বয়ী প্রণালীর বাস্তব উদাহরণ দাও।

উত্তরঃ যুক্তিবিদ মিল মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন, ” আলোচ্য ঘটনাটি উপস্থিত এমন দুই বা বেশি ভাববাচক দৃষ্টান্তে যদি একটি মাত্র ব্যাপার সমভাবে উপস্থিত থাকে, এবং আলোচ্য ঘটনাটি অনুপস্থিত, এমন দুই বা তার চেয়ে বেশি অভাববাচক দৃষ্টান্তে ঐ ব্যাপারটি সমভাবে অনুপস্থিত থাকে, তাহলে ঐ বিশেষ ব্যাপারটি আলোচ্য ঘটনার কারণ অথবা কারণের অপরিহার্য অংশ হবে।”

মিলের এই প্রণালীটি অপসারণের দুটি সূত্রের উপর নির্ভরশীল ——

(ক) কোন পূর্ববর্তী ঘটনা ঘটলেও যদি অনুবর্তী কোন ঘটনা না ঘটে তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণ বা কারণের অংশ হতে পারে না।

(খ) কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলেও যদি কোন অনুবর্তী না ঘটনা অপসারিত না হয় তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণ বা কারণের অংশ হতে পারে না।

অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতির সাংকেতিক উদাহরণ ——

বাস্তব উদাহরণ —- যে সমস্ত অঞ্চলে ম্যালেরিয়া জ্বর হয়, সে সব অঞ্চলে অ্যানোফিলিস মশার উপদ্রব বেশি, আর যে সব অঞ্চলে ম্যালেরিয়া নেই, সেই সব অঞ্চলে অ্যানোফিলিস মশা নেই। পর্যবেক্ষণ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করে, মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রয়োগ করা গেল যে,অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের সঙ্গে ম্যালেরিয়া জ্বরের কার্যকারণ সম্পর্ক আছে।

মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) এই প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্র অত্যন্ত ব্যাপক। যে সমস্ত ক্ষেত্রে পরীক্ষণের সুবিধা থাকে না, সেখানে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই প্রণালী প্রয়োগ করা যেতে পারে।

(খ) এই প্রণালী মূলতঃ পর্যবেক্ষণ নির্ভর হওয়ার পর্যবেক্ষণের সমস্ত সুবিধাই এতে পাওয়া যায়।

(গ) এই প্রণালীদ্বারা আমরা কারণ থেকে কার্য অনুমান করতে পারি, তেমনি কার্য থেকে কারণও অনুমান করতে পারি।

(ঘ) পরীক্ষণমূলক প্রণালী, যেমন —– ব্যতিরেকী প্রণালী যেখানে প্রয়োগ করা যায় না, সেখানে এই প্রণালীকে প্রয়োগ করা যায়।

মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর দুটি দোষ বা অসুবিধা হল—–

(ক) মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালী মূলতঃ পর্যবেক্ষণ নির্ভর হওয়াতে এর সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয়। যদি সম্ভাব্যতার মাত্রা খুব বেশি থাকে।

(খ) অপর্যাপ্ত বিশ্লেষণ এবং নানা কারণবাদের সমস্যা থেকে এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ মুক্ত নয়।

(গ) এই প্রণালীর দ্বারা কার্যকারণ সম্পর্কের সঙ্গে সহাবস্থানের পার্থক্য নির্ণয় করতে পারা যায় না।

(ঘ) এই প্রণালী পর্যবেক্ষণভিত্তিক হওয়াতে বেশি সংখ্যক দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহ করে অপ্রয়োজনীয় বর্জনের কাজটি শক্ত হয়।

প্রশ্ন ২৬। অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতির একটি বাস্তব উদাহরণ দাও। এই পদ্ধতিকে কেন দ্বৈত অন্বয়ী পদ্ধতি বলা হয় ?

উত্তরঃ ” যে সব অঞ্চলে ম্যালেরিয়া জ্বর হয়, সে সব অঞ্চলে অ্যানোফিলিস মশার উপদ্রব বেশি, আর যে সব অঞ্চলে ম্যালেরিয়া নেই, সেই সব অঞ্চলে অ্যানোফিলিস মশা নেই। পর্যবেক্ষণ থেকে এই তথ্য সংগ্রহ করে, মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালী প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত করা গেল যে,অ্যানোফিলিস মশার কামড়ের সঙ্গে ম্যালেরিয়া জ্বরের কার্যকারণ সম্পর্ক আছে।”

এই প্রণালীকে ‘ দ্বৈত অন্বয়ী প্রণালী’ বলা হয়। কারণ, অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালী প্রকৃত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে,এই প্রণালী আসলে অন্বয়ী প্রণালীর প্রকারভেদ। এই প্রণালীতে সদর্থক দৃষ্টান্তের উপস্থিতির অন্বয় দ্বারা কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় করা হয়। সুতরাং একে দ্বৈত অন্বয়ী প্রণালী বলা হয়। এখানে প্রয়োগ হওয়া পরীক্ষণের সম্ভাব্য পরিমাণের প্রতি লক্ষ্য রেখে একে পরোক্ষ ব্যতিরেকী প্রণালী বলা হয়।

প্রশ্ন ২৭। তোমার নিজের ভাষায় ব্যতিরেকী প্রণালীর সংজ্ঞা দাও। এর একটি বাস্তব উদাহরণ দাও। অসাবধানভাবে এই প্রণালী প্রয়োগ করলে কীভাবে একটি কাকতালীয় দোষে দূষিত হয়, একটি উদাহরণ সহযোগে দেখাও।

উত্তরঃ যুক্তি বিজ্ঞানী মিল ব্যতিরেকী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার একটি ভাববাচক দৃষ্টান্তে এবং একটি অভাববাচক দৃষ্টান্তে কেবল মাত্র এমন পার্থক্য থাকে যে, একটি ঘটনা, যা প্রথম ক্ষেত্রে আছে, তা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে নেই, তাহলে ঐ বিশেষ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ বা কারণের অপরিহার্য অংশ হবে।”

ব্যতিরেকী প্রণালীর প্রতীকী উদাহরণ —–

বাস্তব উদাহরণ —

একটি বায়ুপূর্ণ পাত্রে একটি ঘন্টা বাজানো হলো। ঘন্টার শব্দ শোনা গেল। ব্যতিরেকী প্রণালী দুই রকমভাবে প্রয়োগ করা যায়। কখনও কখনও দৃষ্টান্ত দুটির মধ্যে পার্থক্য থাকা বিষয়টি অপসারণ করে। আবার, কখনও কখনও সেই বিষয়টি মুক্ত করে।

বাস্তব উদাহরণ: একটি বায়ুপূর্ণ পাত্রে ঘন্টা বাজানো হল। ঘন্টার শব্দ শোনা গেল। অন্যদিকে একটি বায়ুশূন্য পাত্রে যদি ঘন্টাটি বাজানো হয়, তাহলে কোন শব্দ শোনা যাবে না। এর অর্থ এই যে, বায়ুর উপস্থিতি শব্দ শোনার কারণ।

ব্যতিরেকী প্রণালীর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ —-

(ক) এই প্রণালীতে দুটি মাত্র দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয়,যাদের মধ্যে একটি মাত্র ঘটনা ছাড়া আর সব বিষয়েই মিল থাকে। এরকম দুটি দৃষ্টান্ত — একটি সদর্থক, অপরটি নঞর্থক, কেবল পরীক্ষণের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। কারণ পরীক্ষণ প্রক্রিয়ার ঘটনাগুলির উপরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। কারণ, দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহের জন্য পরীক্ষণই একমাত্র মাধ্যম। অতএব ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রধানতঃ পরীক্ষণের পদ্ধতি। এই প্রণালীকে অসতর্কভাবে প্রয়োগ করলে ‘ কাকতালীয় দোষ ঘটে ‘।  উদাহরণ—

আকাশে ধূমকেতু ছিল না এবং রাজাও মারা যাননি।

আকাশে ধূমকেতু দেখা দিল এবং রাজাও মারা গেলেন।

আকাশে ধূমকেতুর আবির্ভাব রাজার মৃত্যুর কারণ।

(খ) এই প্রণালী যখন পরীক্ষণ ভিত্তিক হয়, তখন সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয়। অন্বয়ী প্রণালী যে কার্যকারণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়, ব্যতিরেকী প্রণালী তাকে প্রমাণ করে। অতএব মিলের মতে সব প্রণালীর মধ্যে ব্যতিরেকী প্রণালী শ্রেষ্ঠতম।

ব্যতিরেকী প্রণালীকে অসতর্কভাবে প্রয়োগ করলে কাকতালীয় ন্যায় দোষ (Fallacy of posthoc ergo propter hoc) ঘটে। ‘ একটি ঘটনার পরে অপর একটি ঘটনা ঘটেছে, অতএব,প্রথম ঘটনাটি দ্বিতীয় ঘটনার কারণ ‘ এমন সিদ্ধান্ত করলে এই দোষ ঘটে। যেমন—- 

আকাশে ধূমকেতু ছিল না এবং রাজাও মারা যাননি।

আকাশে ধূমকেতু দেখা দিল এবং রাজাও মারা গেলেন।

আকাশে ধূমকেতুর আবির্ভাব রাজার মৃত্যুর কারণ এই যুক্তিতে কাকতালীয় দোষ ঘটে।

তবে এই প্রণালী যখন পরীক্ষণ ভিত্তিক হয়, তখন সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয়। অন্যান্য প্রণালীর তুলনায় এই প্রণালীর গুরুত্ব হলো এখানে যে, সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলে, আমরা কার্যকারণ সম্বন্ধে সঠিক সিদ্ধান্ত করতে পারি। অন্বয়ী প্রণালী যে কার্যকারণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়, ব্যতিরেকী প্রণালী তাকে প্রমাণ করে। সুতরাং মিলের মতে,সব প্রণালীর মধ্যে ব্যতিরেকী প্রণালী শ্রেষ্ঠতম ।

প্রশ্ন ২৮। মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা লেখো। এই প্রণালীটি অপসারণের কোন দুটি সূত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত ?

উত্তরঃ যুক্তি বিজ্ঞানী মিল ব্যতিরেকী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার একটি ভাববাচক দৃষ্টান্তে এবং একটি অভাববাচক দৃষ্টান্তে কেবল মাত্র এমন পার্থক্য থাকে যে, একটি ঘটনা, যা প্রথম ক্ষেত্রে আছে, তা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে নেই, তাহলে ঐ বিশেষ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ বা কারণের অপরিহার্য অংশ হবে।”

ব্যতিরেকী পদ্ধতির দুটি সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) ব্যতিরেকী প্রণালী খুব সহজ ও সরল । কারণ এখানে কার্যকারণ নির্ণয়ের জন্য দুটি দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয়।

(খ) ব্যতিরেকী প্রণালী মূলতঃ পরীক্ষণ নির্ভর হওয়ায় সিদ্ধান্ত প্রায় নিশ্চিত হয়। 

মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর দুটি দোষ বা অসুবিধা হল—–

(ক) মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালী মূলতঃ পর্যবেক্ষণ নির্ভর হওয়াতে এর সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয়। যদি সম্ভাব্যতার মাত্রা খুব বেশি থাকে।

(খ) অপর্যাপ্ত বিশ্লেষণ এবং নানা কারণবাদের সমস্যা থেকে এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ মুক্ত নয়।

মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী দুটি অপসারণের সূত্রের উপর নির্ভরশীল। এইগুলি হলো—–

(ক) কোন পূর্ববর্তী ঘটনা ঘটলেও যদি কোন অনুবর্তী ঘটনা না ঘটে তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণ বা কারণের অংশ হতে পারে না।

(খ) কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলেও যদি কোন অনুবর্তী ঘটনা অপসারিত না হয়, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণ বা কারণের অংশ হতে পারে না।

প্রশ্ন ২৯। অন্বয়ী প্রণালীর দুটি সুবিধা লেখো। এই প্রণালীতে থাকা অসুবিধাগুলি কীভাবে দূর করা যায় লেখো।

উত্তরঃ অন্বয়ী প্রণালীর দুটি সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) অন্বয়ী প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্র অতি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এই প্রণালী সহজ ও সরল পদ্ধতি। এই পদ্ধতি প্রধানতঃ নিরীক্ষণের পদ্ধতি বলে পরীক্ষণের পদ্ধতির তুলনায় এর প্রয়োগক্ষেত্র অধিক বিস্তৃত। তাই অন্বয়ী পদ্ধতির পরিসর অতি ব্যাপক।

(খ) এই প্রণালী দ্বারা আমরা কারণ থেকে কার্যে এবং কার্য থেকে কারণে যেতে পারি। নিরীক্ষণের পদ্ধতি হওয়ার অন্বয়ী পদ্ধতির সুবিধা আছে।

অন্বয়ী প্রণালীর ক্রটিগুলি দূর করা সম্ভব —–

(ক) বেশি সংখ্যক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করে অন্বয়ী পদ্ধতির অসুবিধা দূর করা যায়। অন্বয়ী পদ্ধতি নানা কারণবাদজনিত দোষে দুষ্ট। দৃষ্টান্তের সংখ্যাবৃদ্ধি করে যদি দেখা যায় যে অন্বেষণীয় ঘটনা উপস্থিত আছে এবং বহু সংখ্যক দৃষ্টান্তের মধ্যে মাত্র একটি বিষয়ে মিল থাকে , তাহলে সেই মিল থাকা বিষয়টি অন্বেষণীয় ঘটনার কারণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

(খ) মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালী অন্বয়ী প্রণালীর উন্নতর রূপ। অন্বয়ী ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রয়োগের জন্য একটি ভাববাচক দৃষ্টান্ত গুচ্ছ এবং অভাববাচক দৃষ্টান্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়, যে সব দৃষ্টান্তে আলোচ্য ঘটনাটি উপস্থিত কিংবা অনুপস্থিত থাকে। সদর্থক দৃষ্টান্ত গুচ্ছে অন্বেষণীয় ঘটনাটি উপস্থিত থাকে এবং দৃষ্টান্ত গুলির মধ্যে একটি বিষয়ে মিল থাকে। নঞর্থক দৃষ্টান্তগুচ্ছে অন্বেষণীয় ঘটনাটি অনুপস্থিত থাকে এবং সদর্থক দৃষ্টান্তের মিল থাকা বিষয়টি অনুপস্থিত থাকে। কিন্তু, মিল থাকা ঘটনা অন্বেষণীয় ঘটনার কারণ বা কার্য হবে। অতএব মিশ্র অন্বয়ী প্রণালী প্রয়োগ করে নানা কারণ বাদের সম্ভাবনা বা অপর্যবেক্ষণজনিত দোষের সম্ভাবনা দূর করা যাবে।

প্রশ্ন ৩০। মিলের দেওয়া ব্যতিরেকী পদ্ধতির সূত্রটি ব্যাখ্যা করো। এই পদ্ধতিকে ব্যতিরেকী বলার কারণ কী ?

উত্তরঃ যুক্তি বিজ্ঞানী মিল ব্যতিরেকী প্রণালীর সূত্রটিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন —- ” যদি আলোচ্য ঘটনার একটি ভাববাচক দৃষ্টান্তে এবং একটি অভাববাচক দৃষ্টান্তে কেবল মাত্র এমন পার্থক্য থাকে যে, একটি ঘটনা, যা প্রথম ক্ষেত্রে আছে, তা দ্বিতীয় ক্ষেত্রে নেই, তাহলে ঐ বিশেষ ঘটনাটি আলোচ্য ঘটনার কার্য বা কারণ বা কারণের অপরিহার্য অংশ হবে।”

ব্যতিরেকী প্রণালীর প্রতীকী উদাহরণ —–

বাস্তব উদাহরণ —

একটি বায়ুপূর্ণ পাত্রে একটি ঘন্টা বাজানো হলো। ঘন্টার শব্দ শোনা গেল। ব্যতিরেকী প্রণালী দুই রকমভাবে প্রয়োগ করা যায়। কখনও কখনও দৃষ্টান্ত দুটির মধ্যে পার্থক্য থাকা বিষয়টি অপসারণ করে। আবার, কখনও কখনও সেই বিষয়টি মুক্ত করে।

বাস্তব উদাহরণ: একটি বায়ুপূর্ণ পাত্রে ঘন্টা বাজানো হল। ঘন্টার শব্দ শোনা গেল। অন্যদিকে একটি বায়ুশূন্য পাত্রে যদি ঘন্টাটি বাজানো হয়, তাহলে কোন শব্দ শোনা যাবে না। এর অর্থ এই যে, বায়ুর উপস্থিতি শব্দ শোনার কারণ।

ব্যতিরেকী প্রণালীর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ —-

(ক) এই প্রণালীতে দুটি মাত্র দৃষ্টান্তের প্রয়োজন হয়,যাদের মধ্যে একটি মাত্র ঘটনা ছাড়া আর সব বিষয়েই মিল থাকে। এরকম দুটি দৃষ্টান্ত — একটি সদর্থক, অপরটি নঞর্থক, কেবল পরীক্ষণের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব। কারণ পরীক্ষণ প্রক্রিয়ার ঘটনাগুলির উপরে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। কারণ, দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহের জন্য পরীক্ষণই একমাত্র মাধ্যম। অতএব ব্যতিরেকী পদ্ধতি প্রধানতঃ পরীক্ষণের পদ্ধতি। এই প্রণালীকে অসতর্কভাবে প্রয়োগ করলে ‘ কাকতালীয় দোষ ঘটে ‘।  উদাহরণ—

 আকাশে ধূমকেতু ছিল না এবং রাজাও মারা যাননি।

আকাশে ধূমকেতু দেখা দিল এবং রাজাও মারা গেলেন।

আকাশে ধূমকেতুর আবির্ভাব রাজার মৃত্যুর কারণ।

(খ) এই প্রণালী যখন পরীক্ষণ ভিত্তিক হয়, তখন সিদ্ধান্ত নিশ্চিত হয়। অন্বয়ী প্রণালী যে কার্যকারণ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়, ব্যতিরেকী প্রণালী তাকে প্রমাণ করে। অতএব মিলের মতে সব প্রণালীর মধ্যে ব্যতিরেকী প্রণালী শ্রেষ্ঠতম।

এই পদ্ধতিকে ব্যতিরেকী পদ্ধতি হিসাবে অভিহিত করা হয়। কারণ, এখানে দুটি দৃষ্টান্তকে তুলনা করা হয় এবং দেখা যায় যে, এদের মধ্যে একটি বিষয়ে পার্থক্য আছে। সুতরাং মেলোন, কফি এরা এই পদ্ধতিকে “একক  ব্যতিরেকী” পদ্ধতিও বলেছেন।

প্রশ্ন ৩১। মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর দুটি সুবিধা এবং দুটি অসুবিধা লেখো। এই প্রণালীটি কোন দুটি অপসারণের সূত্রের উপর প্রতিষ্ঠিত ?

উত্তরঃ মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর সুবিধা বা গুণ হল—–

(ক) এই প্রণালী প্রয়োগের ক্ষেত্র অত্যন্ত ব্যাপক। যে সমস্ত ক্ষেত্রে পরীক্ষণের সুবিধা থাকে না, সেখানে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে এই প্রণালী প্রয়োগ করা যেতে পারে।

(খ) এই প্রণালী মূলতঃ পর্যবেক্ষণ নির্ভর হওয়ার পর্যবেক্ষণের সমস্ত সুবিধাই এতে পাওয়া যায়।

(গ) এই প্রণালীদ্বারা আমরা কারণ থেকে কার্য অনুমান করতে পারি, তেমনি কার্য থেকে কারণও অনুমান করতে পারি।

(ঘ) পরীক্ষণমূলক প্রণালী, যেমন —– ব্যতিরেকী প্রণালী যেখানে প্রয়োগ করা যায় না, সেখানে এই প্রণালীকে প্রয়োগ করা যায়।

মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালীর দুটি দোষ বা অসুবিধা হল—–

(ক) মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী প্রণালী মূলতঃ পর্যবেক্ষণ নির্ভর হওয়াতে এর সিদ্ধান্ত সম্ভাব্য হয়। যদি সম্ভাব্যতার মাত্রা খুব বেশি থাকে।

(খ) অপর্যাপ্ত বিশ্লেষণ এবং নানা কারণবাদের সমস্যা থেকে এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ মুক্ত নয়।

মিশ্র অন্বয়ী ব্যতিরেকী দুটি অপসারণের সূত্রের উপর নির্ভরশীল। এইগুলি হলো—–

(ক) কোন পূর্ববর্তী ঘটনা ঘটলেও যদি কোন অনুবর্তী ঘটনা না ঘটে তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণ বা কারণের অংশ হতে পারে না।

(খ) কোন পূর্ববর্তী ঘটনাকে অপসারিত করলেও যদি কোন অনুবর্তী ঘটনা অপসারিত না হয়, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনাটি অনুবর্তী ঘটনার কারণ বা কারণের অংশ হতে পারে না।

প্রশ্ন ৩২। ” যে সময় কোন একটি বস্তুর যোগান বৃদ্ধি পায়, সেই বস্তুটির চাহিদা হ্রাস পায়। যে সময় কোন একটি বস্তুর যোগান হ্রাস পায়, সেই বস্তুটির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তাহলে কোন একটি বস্তুর যোগান এবং চাহিদার মধ্যে কার্যকারণ সম্পর্ক আছে।” 

ওপরে উল্লেখিত সিদ্ধান্তটিতে উপনীত হওয়ার প্রয়োগ করা প্রণালীটি কী ? ব্যাখ্যা করো ? এই প্রণালীর বিশেষ উপযোগিতা কী ?

উত্তরঃ সহ পরিবর্তন প্রণালী। 

যুক্তিবিদ মিল সহ পরিবর্তন পদ্ধতির সূত্রটিকে এভাবে উল্লেখ করেছেন —” কোন ঘটনার পরিবর্তনের সঙ্গে যদি অপর কোন ঘটনার পরিবর্তন হয়, তাহলে প্রথম ঘটনাটিকে দ্বিতীয় ঘটনার কারণ বা কার্য, অথবা,ঐ দুটি ঘটনার মধ্যে কোন না কোন প্রকার কার্যকারণ সম্পর্ক থাকবে।”

মিল এর সংজ্ঞাটিকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে সহ পরিবর্তন প্রণালী প্রয়োগ করতে হলে —- 

১। দুটি ঘটনাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

২। একটি ঘটনার পরিমাণের পরিবর্তনের সঙ্গে অপরটিরও পরিমাণের পরিবর্তন হলে ঘটনা দুটি কার্যকারণ সম্বন্ধে সম্পর্কিত।

৩। যদি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয়েরই পরিবর্তন ঘটে, তাহলে পূর্ববর্তী ঘটনা পরবর্তী ঘটনার কারণ হবে।

সহ পরিবর্তন প্রণালীর প্রতীকী উদাহরণ ——

সহ পরিবর্তন  প্রণালীর বাস্তব উদাহরণ —-

 উত্তাপ   যতই বৃদ্ধি পায়, থার্মোমিটারের পারা ততই উপরের দিকে উঠে আর উত্তাপ কমলে থার্মোমিটারের পারা নিচের দিকে নেমে যায়। অতএব, উত্তাপ বাড়া বা কমা থার্মোমিটারের পারা উঠা নামার কারণ।

সহ পরিবর্তন প্রণালীর সুবিধাগুলি হল নিম্নরূপ—–

(ক) স্থায়ী উপাদান সমূহের ক্ষেত্রে কেবল সহ পরিবর্তন প্রণালী প্রয়োগ করে কার্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় করা হয়।

(খ) সহ পরিবর্তন প্রণালী অন্যান্য পদ্ধতির সহায়ক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

সহ পরিবর্তন প্রণালীর অসুবিধাগুলি হল নিম্নরূপ—-

(ক) সহ পরিবর্তন প্রণালীর প্রয়োগ একটি নির্দিষ্ট সীমিত ক্ষেত্রে আবদ্ধ থাকে। সেই সীমার বাইরে একে প্রয়োগ করা যায় না।

(খ) সহ পরিবর্তন পদ্ধতি পরিবর্তনের পরিমাণগত দিকটিতেই প্রযোজ্য, কোনভাবেই গুণগত দিকটিতে নয়।

We Hope the given দ্বাদশ শ্রেণীর তর্কবিজ্ঞান ও দর্শন will help you. If you Have any Regarding AHSEC Board HS 2nd Year Logic and Philosophy Question and Answers in Bengali, drop a comment below and We will get back to you at the earliest.

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top