Class 12 Advance Bengali Chapter 7 প্ৰত্যহের ভার

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 Advance Bengali Chapter 7 প্ৰত্যহের ভার Question Answer is a textbook prescribed by the ASSAM AHSEC Board Class 12 Bengali Medium Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 12 Advance Bengali Chapter 7 প্ৰত্যহের ভার Notes The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 12 Advance Bengali Chapter 7 প্ৰত্যহের ভার Solutions are free to use and easily accessible.

Class 12 Advance Bengali Chapter 7 প্ৰত্যহের ভার

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. HS 2nd year Advance Bengali Question Answer, Gives you a better knowledge of all the chapters. The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. AHSEC Board Class XII Advance Bengali Books Solutions will be able to solve all the doubts of the students. HS 2nd Year Advance Bengali Suggestion, HS 2nd Year Advance Bengali Notes Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the AHSEC Board Class 12 Advance Bengali Textbooks Solution. HS 2nd Year Advance Bengali Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

প্ৰত্যহের ভার

পদ্যাংশ

অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতাটির কবি কে?

উত্তরঃ বুদ্ধদেব বসু।

প্রশ্ন ২। ‘প্রত্যহের ভার’ বলতে কী বোঝ?

উত্তরঃ প্রত্যহের ভার হলো প্রতিদিনের কাজ।

প্রশ্ন ৩। কে বাণী বিহঙ্গকে আনন্দে অভ্যর্থনা করেছেন?

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসু।

প্রশ্ন ৪। “যে-বাণী আমি আনন্দে করেছি অভ্যর্থনা।” – শূন্যস্থান পূর্ণ করো।

উত্তরঃ বিহঙ্গে।

প্রশ্ন ৫। “প্রত্যহের ভার” কবিতায় কবি কাকে আনন্দের সঙ্গে অভ্যর্থনা করেছেন?

উত্তরঃ বাণী বিহঙ্গকে।

প্রশ্ন ৬। “প্রত্যহের ভার” কবিতায় কবি বাণী বিহঙ্গকে কোথায় আশ্রয় দিয়েছেন?

উত্তরঃ ছন্দের সুন্দর নীড়ে আশ্রয় দিয়েছেন।

প্রশ্ন ৭। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতায় কবি কোথায় ডম্বরু বাজার কথা বলেছেন?

উত্তরঃ কবি হৃৎপিণ্ডের মধ্যে হতাশার ডম্বরু বাজার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন ৮। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতায় বর্ণিত মৃত্যুর মৃদঙ্গ কবির রক্ত কে শোনে?

উত্তরঃ প্রত্যহের ভার কবিতায় বর্ণিত মৃত্যুর মৃদঙ্গ কবির রক্ত শোনে থাকে।

প্রশ্ন ৯। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতায় কখন কবির মন প্রত্যহের ভার তুলে গেছে?

উত্তরঃ কবির মন যখন বেঁচে থাকার ইচ্ছা ভুলে গেছে তখনই প্রত্যহের ভার ভুলে গেছে।

প্রশ্ন ১০। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতায় কবি কখন কালের কাছে স্তব্ধ হয়ে যান?

উত্তরঃ কবি যখন ভাষার আত্মাকে আপন সত্তা বলে জানতে পারেন তখনই কালের কাছে স্তব্ধ হয়ে যান।

প্রশ্ন ১১। “_________যে – মুহূর্তে বাণীর আত্মারে জেনেছি আপন সত্তা ব’লে স্তব্ধ মেনেছি কালেরে, মৃঢ় প্রবচন”

– কে আত্মারে আপন সত্তা বলে জেনেছেন?

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসু।

প্রশ্ন ৮। “যদি হৃৎপিণ্ড শুধু হতাশার ডম্বরু বাজায়’’, ‘ডম্বরু’ কী?

উত্তরঃ বাদ্য যন্ত্রবিশেষ।

প্রশ্ন ১১। “_________যে মুহূর্তে বাণীর আত্মারে জেনেছি আপন

সত্তা ব’লে স্তব্ধ মেনেছি কালেরে, মূঢ় প্রবচন”

– বাণীর আত্মারে কে আপন সত্তা বলে মেনেছেন?

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসু।

প্রশ্ন ১২। “রক্ত শোনে মৃত্যুর মৃদঙ্গ শুধু;” – ‘মৃদঙ্গ’ কী?

উত্তরঃ দুদিকে চামড়ার ছানি যুক্ত বাদ্যযন্ত্র বিশেষ।

প্রশ্ন ১৩। “_________যখন মন অনিচ্ছার অবশ্য বাঁচার

ভুলেছে জীবন ভার, ভুলে গেছে প্রত্যহের ভার।”

– ‘অনিচ্ছা’ শব্দটির অর্থ লেখো।

উত্তরঃ অনিচ্ছা শব্দটির অর্থ ইচ্ছার অভাব।

প্রশ্ন ১৪। বৎসরের আবর্তনে, অদৃষ্টের _________ বাঁকে বাঁকে, (শূন্যস্থান পূর্ণ করো)

উত্তরঃ ক্রুর।

প্রশ্ন ১৫। কবি বুদ্ধদেব বসু কোন্ সালে পদ্মভূষণ উপাধি লাভ করেন?

উত্তরঃ ১৯৭৩ সালে।

প্রশ্ন ১৬। কবি বুদ্ধদেব বসু কোন্ সালে অকাদেমী পুরস্কার লাভ করেন।

উত্তরঃ ১৯৬৭ সালে।

প্রশ্ন ১৭। “যে বাণী বিহঙ্গে আমি আনন্দে করেছি অভ্যর্থনা”

– কে অভ্যর্থনা করেছেন?

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসু।

প্রশ্ন ১৮। কাকে অনুসরণ করে বুদ্ধদেব বসুর কাব্য সাধনা শুরু হয়?

উত্তরঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অনুসরণ করে।

প্রশ্ন ১৯। ‘দময়ন্তি’, ‘দ্রৌপদীর শাড়ি’, ‘রূপান্তর’ কাব্যগ্রন্থের কবি কে?

উত্তরঃ বুদ্ধদেব বসু।

S.L. No.সূচীপত্র
পদ্যাংশ
পাঠ – ১বংশীনাদে
পাঠ – ২বিপ্রবেশে অর্জুন
পাঠ – ৩কপোতাক্ষ নদ
পাঠ – ৪আমার কৈফিয়ৎ
পাঠ – ৫মেরুর ডাক
পাঠ – ৬হায় চিল
পাঠ – ৭প্ৰত্যহের ভার
গদ্যাংশ
পাঠ – ৮ভালবাসার অত্যাচার
পাঠ – ৯পনেরো আনা
পাঠ – ১০সাহিত্যে খেলা
পাঠ – ১১দিবা দ্বিপ্রহরে
নাটক
পাঠ – ১২মুকুট
উপন্যাস
পাঠ – ১৩মেজদিদি
ব্যাকরণ
ছন্দ
অলঙ্কার

সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। বুদ্ধদেব বসু রচিত দুটি গ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তরঃ ‘পৃথিবীর পথে’ ও ‘বন্দীর বন্দনা’।

প্রশ্ন ২। “হোক তার বেগচ্যুত পঞ্চমুক্ত বায়ুর কম্পন”

পংক্তিটি কোন্ কবিতার? কবিতার লেখক কে?

উত্তরঃ পংক্তিটি বুদ্ধদেব বসুর ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতার অন্তর্গত। কবিতার লেখক হলেন বুদ্ধদেব বসু।

প্রশ্ন ৩। “______যখন মন অনিচ্ছার অবশ্য-বাঁচার

ভুলেছে জীবন ভার, ভুলে গেছে প্রত্যহের ভার।”

– ‘অনিচ্ছা’ শব্দটির অর্থ লেখো। ‘প্রত্যহের ভার’ কথাটির তাৎপর্য কী?

উত্তরঃ ‘অনিচ্ছা’ শব্দটির অর্থ ইচ্ছার অভাব।

‘প্রত্যহের ভার’ কথাটি বলতে বোঝানো হয়েছে দৈনন্দিন জীবনের দায়িত্বের বোঝা বা ভার।

প্রশ্ন ৪। ‘যে-বাণী বিহঙ্গে আমি আনন্দে করেছি অভ্যর্থনা

– উক্তিটি কোন্ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? বাণী বিহঙ্গ কথাটির তাৎপর্য কী?

উত্তরঃ উক্তিটি বুদ্ধদেব বসু রচিত ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে বিহঙ্গ শব্দের অর্থ হল পাখি। পাখি গতিবান। সে যেমন একস্থান থেকে অন্যস্থানে ক্রমশ উড়ে বেড়ায় তেমনি কাব্য কলারূপ বিহঙ্গ সর্বদা সঞ্চরণশীল।

প্রশ্ন ৫। ‘ভুলেছে ভীষণ ভার, ভুলে গেছে প্রত্যহের ভার’

উদ্ধৃতিটি কোন্ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে? কবি কে?

উত্তরঃ উদ্ধৃতিটি ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

কবি বুদ্ধদেব বসু।

প্রশ্ন ৬। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতায় ভাষাকে কবি কি দিয়েছেন?

উত্তরঃ কবি ভাষাকে ছন্দোবন্ধন দিয়েছেন। কবির আশা এই দেওয়ার আভাসটুকু যেন থাকে বৎসরের আবর্তনে, ভাগ্যচক্রের নিষ্ঠুর বাঁকে বাঁকে, কুটিল ক্রান্তিতে।

প্রশ্ন ৭। ‘যে-বাণী বিহঙ্গে আমি আনন্দে করেছি অভ্যর্থনা’

–  শব্দের অর্থ কী? কে অভ্যর্থনা করেছেন?

উত্তরঃ ‘বিহঙ্গ’ শব্দের অর্থ পাখি। কবি বুদ্ধদেব বসু অভ্যর্থনা করেছেন।

প্রশ্ন ৮। “_____ যে-মুহূর্তে বাণীর আত্মারে জেনেছি আপন সত্তা ব’লে ______”

– পংক্তিটি কোন্ কবিতার? কে আত্মারে আপন সত্তা বলে জেনেছেন?

উত্তরঃ পংক্তিটি বুদ্ধদেব বসুর ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতার অন্তর্গত। বুদ্ধদেব বসু আত্মারে আপন সত্তা বলে জেনেছেন।

প্রশ্ন ৯। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতায় জীবনের জটিলতার সঙ্গে কার তুলনা করা হয়েছে?

উত্তরঃ বৃক্ষের গাঁটে গাঁটে যেমন বিচিত্র জটিলতা থাকে তেমনি মানুষের জীবনেও বিচিত্র জটিলতা থাকে। কবি এখানে জীবনের জটিলতার সঙ্গে গ্রন্থিল গাঁটে গাঁটে ভরা বৃক্ষের তুলনা করেছেন।

প্রশ্ন ১০। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতায় কবি সংকটের মধ্যেও ভাষাকে কোথায় মর্যাদা দিয়েছেন?

উত্তরঃ নানা রকম সংকটের মধ্যেও কবি ভাষাকে আপন অন্তরের পরম চূড়ান্ত রাখার মর্যাদা দিয়েছেন।

প্রশ্ন ১১। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতায় কবি কাকে, কোথায় বারবার অভ্যর্থনা করেছেন?

উত্তরঃ ‘প্রত্যেহের ভার’ কবিতায় কবি সুন্দর নীড়ে অর্থাৎ পাখির বাসায় বাণী বিহঙ্গকে বারবার অভ্যর্থনা করেছেন।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। “________যে-মুহূর্তে বাণীর আত্মারে জেনেছি আপন

সত্তা ব’লে স্তব্ধ মেনেছি কালেরে, মূঢ় প্রবচন

মরত্বে; যখন মন অনিচ্ছার অবশ্য-বাঁচার

ভুলেছে ভীষণ ভার, ভুলে গেছে প্রত্যহের ভার।

– বাণীর আত্মারে কে আপন সত্তা বলে মেনেছেন? প্রত্যহের ভার কীভাবে ভুলে গেছে?

অথবা, 

অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসু বাণীর আত্মারে বুদ্ধদেব বসু আপন সত্তা বলে মেনেছেন।

কবি কাব্য লিখতে গিয়ে বাণী বিহঙ্গকে ছন্দের সুন্দর নীড়ে অভ্যর্থনা জানান। যাতে তাঁর কাব্য লেখনী সাফল্যমণ্ডিত হয়ে ওঠে। কবির বিশ্বাস তার লেখনী কালের প্রবাহে হারিয়ে না গিয়ে স্থায়িত্ব লাভ করতে সক্ষম হবে। কবি প্রত্যহের ভার প্রসঙ্গে বলছেন যে, তাঁর মন যেন অনিচ্ছাসত্ত্বেও অবশ্য-বাঁচার মায়া মোহে আত্মবিস্মৃত হয়ে দৈনন্দিন জীবনের ভারও ভুলে বসে আছে। কবি বুদ্ধদেব বসু নিজেকে প্রত্যহের ভার থেকে এভাবে মুক্ত করছেন। আশাবাদী কবি নৈরাশ্যকে ভেদ করে আশার আলোয় মনকে ভরে তুলেছেন।

প্রশ্ন ২। “যে-বাণী বিহঙ্গে আমি আনন্দে করেছি অভ্যর্থনা

হন্দের সুন্দর নীড়ে বার-বার, কখনো ব্যর্থনা

হোক তার বেগচ্যুত পঞ্চমুক্ত বায়ুর কম্পন

জীবনের জটিল গ্রন্থিল বৃক্ষে; _____”

অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ মানুষ ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করে থাকে, সেই ভাষাই সাহিত্যে ব্যবহৃত হয় তবে তা সাহিত্যিকের স্বকীয়তায় জারিত হয়। কবি ভাষা বা বাণীকে এখানে পাখীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। পাখি বসবাস করে নীড়ে। কবি ভাষা রূপ পাখিকে সাদর অভ্যর্থনা করেছেন। তার জন্য তিনি ছন্দের সুন্দর নীড় রচনা করেছেন। সেই নীড়ে ছন্দোবদ্ধ পরিবেশের ভাষা কখনোই ব্যর্থ হবে না। অব্যর্থভাবে সেই বাণী কালজয়ী হয়ে বিরাজ করবে।

প্রশ্ন ৩। ‘যে-বাণী বিহঙ্গে আমি করেছি অভ্যর্থনা

ছন্দের সুন্দর নীড়ে বার-বার, কখনো ব্যর্থ না

হোক তার বেগ-চ্যুত পঞ্চমুক্ত বায়ুর কম্পন

জীবনের জটিল গ্রন্থিল বৃক্ষে।’

– পংক্তিগুলোর রচয়িতা কে? ‘বাণী’ এবং ‘জীবন’ কে এখানে কাদের সঙ্গে কবি অভেদ কল্পনা করেছেন? ‘পঞ্চমুক্ত বায়ু কী?

উত্তরঃ পংক্তিগুলোর রচয়িতা কবি বুদ্ধদেব বসু।

কবি বাণীকে পাখির সঙ্গে এবং জীবনকে একটি জটাধারী বৃক্ষের (বটবৃক্ষের) সঙ্গে অভেদ কল্পনা করেছেন।

পঞ্চমুক্ত বায়ু হলো পঞ্চপ্রাণ বায়ু।

প্রশ্ন ৪। “______যে ছন্দোবন্ধন

দিয়েছি ভাষারে, তার অন্তত আভাস যেন থাকে

বৎসরের আবর্তনে, অদৃষ্টের ক্রূর বাঁকে বাঁকে,

কুটিল ক্রান্তিতে ______

– মর্মার্থ বা যথার্থতা বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসুর লেখা ‘প্রত্যহের ভার’ নামক কবিতার অংশ।

কবি প্রচলিত লোককথাকে কবিতায় রূপ দিয়েছেন। তবে সেই রূপ দিতে গিয়ে তাঁকে ছন্দের আশ্রয় নিতে হয়েছে। মুখের কথা লিখে দিলে তা কবিতা হয়ে উঠে না। মুখে কথাকে ছন্দের বাঁধনে বাঁধলে তা কবিতা হয়ে উঠে। বস্তুতপক্ষে কবি হিসেবে তিনি সার্থক। তাই কবি আশাবাদী যে অন্তত তাঁর কবিতার আভাস যেন বৎসরের আবর্তনে স্থায়ী হয়। কালের প্রবাহ পড়ে তা যেন হারিয়ে না যায়। তার কবিতা যেন কালজয়ী হয়, অদৃষ্টের ক্রুর বাঁকে-বাঁকে, কুটিল ক্রান্তিতে থাকে।

প্রশ্ন ৫। “_____যদি ক্লান্তি আসে, যদি শান্তি যায়,

যদি হৃৎপিণ্ড শুধু হতাশার ডম্বরু বাজায়,

রক্ত শোনে মৃত্যুর মৃদঙ্গ শুধু; – তবুও মনের

চরম চূড়ান্ত থাক সে-অমর্ত্য অতিথি

ক্ষণের চিহ্ন, _____”

– অন্তর্নিহিত তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসু কবিতার ক্ষেত্রে যেভাবে ভাষাকে ছন্দোবদ্ধ করেছেন তা প্রশংসনীয়। আত্মবিশ্বাসী কবি জানেন কালের আবর্তনে সব কিছুই বিনাশ হয়ে যাবে, কিন্তু শিল্পী সত্তার বিনাশ নেই। একথা বলার জন্যই তিনি বলেছেন যে তাঁর কবিতার বাণী যেন কালের বিবর্তনের আক্ষর থাকে। বক্রগতিতে চলতে চলতে যদি তাঁর দেহে ক্লান্তি নেমে আসে, জীবন সংকটে পড়ে, যদি তার মনের শান্তি চলে যায়, তার হৃদয়ে যদি নিরাশার ঘণ্টা বাজে তাহলেও যেন তাঁর কবিতা বেঁচে থাকে। এটাই তাঁর একান্ত প্রার্থনা।

প্রশ্ন ৬। “____যখন মন অনিচ্ছার অবশ্য বাঁচার

ভুলেছে ভীষণ ভার, ভুলে গেছে প্রত্যহের ভার’

– পংক্তিটি কোন্ কবিতার অন্তর্গত ? পংক্তি দুটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ পংক্তি দুটি ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতার।

কবি নিজস্ব ছন্দোবদ্ধ উপায়ে কথাকে কবিতায় রূপ দান করেছেন। এই কথা বা বাণীর আত্মাকে তিনি তাঁর নিজস্ব সত্তা বলে স্বীকার করেছেন। এজন্যই কবি আশাবাদী কালের প্রবাহে অন্যান্য কিছুর মতো তাঁর কবিতা হারিয়ে যাবে না, কবিতা কালজয়ী হবে। মুর্খদের কথা মরণেই সব কিছু বিনাশ হয়ে যায়। কিন্তু কবির কবিতা অবিনশ্বর। অনিচ্ছায় কবির মন শারীরিক ভাবে বিলীন হলেও কবিতা বিলীন হবার নয়। প্রতিদিনের যাবতীয় কর্মভার ভুলে গেলেও কবি কবিতার স্থায়িত্বের ব্যাপারটি ভুলবেন না।

প্রশ্ন ৭। সপ্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করো:

‘‘যদি ক্লান্তি আসে, যদি শান্তি যায়,

যদি হৃৎপিণ্ড হতাশায় ডম্বরু বাজায়,

রক্ত শোনে মৃত্যুর মৃদঙ্গ শুধু; – তবুও মনের

চরম চূড়ায় থাক সে-অমর্ত্য অতিথি-ক্ষণের চিহ্ন”

উত্তরঃ আলোচ্য ব্যাখ্যানীয় অংশটুকু আধুনিক কবি বুদ্ধদেব বসু রচিত ‘প্রত্যহের ভার’ নামক কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গ – এখানে কবির আশাবাদী মনের পরিচয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

কবি আপন বৈশিষ্ট্যে ভাস্কর। কবিতার ক্ষেত্রে তিনি যে ভাবে কথা বা ভাষাকে ছন্দোবন্ধ করেছেন তা প্রশংসনীয়। আত্মবিশ্বাসী কবি জানেন কালের আবর্তনে সব কিছুই বিনাশ হয়ে যাবে, কিন্তু তাঁর কবিতার বাণীর বিনাশ নেই। তিনি জানেন নিয়তির নিষ্ঠুর চক্রে, সময়ের বক্রগতিতে শরীরে ক্লান্তি নেমে আসে। মনের শান্তি চলে যায়। জীবন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার হতাশা ব্যঞ্জক ডম্বরু বুকের ভিতর বাজতে থাকে। দেহের রক্ত শুনতে পায় মৃত্যুর পরাস্ত। কারণ কবি তাঁর কবিতার বাণীকে চরম শিখরে স্থান দিয়েছেন। কালের প্রবাহে তা ভাসমান। কালের গতি তাঁর কবিতার কাছে স্তব্ধ, অচল।

দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতাটির বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলোচনা করো।

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসু পৃথিবীর কোন আকর্ষণীয় বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট নন তিনি আকৃষ্ট কেবল কথা, বাণী বা ভাষার প্রতি। তাকেই তিনি সাদরে অভ্যর্থনা জানান। ছন্দেরবনীড়ে তাকে আশ্রয় দেন। ছন্দোবদ্ধবাণী কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। বৃক্ষের গাঁটে গাঁটে যেমন বিচিত্র জটিলতা থাকে তেমনি মানুষের জীবনেও বিচিত্র জটিলতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও তা সত্ত্বেও তাঁর কাব্যচর্চায় বাণী বিহঙ্গ যেমন মুক্ত পক্ষ হয়ে আকাশে সদা বিচরণশীল তেমন কবি হৃদয়ের মধ্যেও একই গতি স্পন্দিত হোক। জীবনের বিচিত্র জটিলতা, নৈরাশ্যতাকেও যাতে করি এড়িয়ে যেতে সফল হতে পারেন এটাই তাঁর একান্ত প্রার্থনা। কবি ভাষাকে ছন্দোবন্ধন দিয়েছেন। কবির আশা তাঁর লেখনী যাতে কাল প্রবাহে হারিয়ে না যায়। অন্তত আভাসটুকু যেন বৎসরের আবর্তনে, অদৃষ্টের ক্রুর বাঁকে-বাঁকে, কুটিল ক্রান্তিতে থাকে। কবি প্রত্যহের ভার প্রসঙ্গে বলেছেন, তাঁর মন যেন অনিচ্ছা সত্ত্বেও অবশ্য বাঁচার মায়ামোহে আত্মবিস্মৃত হয়ে দৈনন্দিন জীবনের ভার ভুলে বসে আছে। কবি নিজেকে প্রত্যহের ভার থেকে এভাবে মুক্ত করেছেন। কবি বলছেন, যদি তাঁর কাব্য অনুশীলনে কখনো ক্লান্তি আসে, যদি শান্তি যায়, হৎপিণ্ডে যদি হতাশার ডম্বরু বাজে, যদি মৃত্যুর মৃদঙ্গ বাজে তবুও তিনি বাণী বিহঙ্গকে অভ্যর্থনা জানাতে বিচ্যুত হবেন না।, কবি জানেন বাণী বিহঙ্গরূপী কাব্যমূর্তির স্থিতি ক্ষণিকের জন্য, কবির আশা তাঁর কাব্য যেন কালজয়ী হয়, এটাই তাঁর একান্ত প্রার্থনা।

প্রশ্ন ২। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতাটিতে কবির আশাবাদী মনের যে পরিচয় পাওয় যায়, তা বিশ্লেষণ করো।

অথবা, 

‘প্রত্যহের ভার’ কবিতাটিতে কবির আশাবাদী মনের যে পরিচয় ফুটে উঠেছে, তা বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ কবির কবিতাটি ভবিষ্যৎ মানুষ স্মরণে রাখবে কিনা তা নিয়ে কবির মন আশা নিরাশার ছন্দে আচ্ছন্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর মনে আশার ভাব জেগেছে।

কালের প্রবাহে পৃথিবীর সব কিছুই বিনাশ প্রাপ্ত হয়। সেক্ষেত্রে কবি বাণী বন্দনাকারী। তিনি মুখের কথাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। তাকে ছন্দোবদ্ধ করেছেন। এই বাণী ব্যর্থ হবে না। কালের নিয়মে মৃত্যু সব কিছু গ্রাস করলেও তাঁর কবিতাকে গ্রাস করতে পারবে না। কবি জানেন নিয়তির নিষ্ঠুর চক্রে, সময়ের বজ্রগতিতে শরীরে ক্লান্তি নেমে আসে। মনের শান্তি চলে যায়। জীবনসন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার হতাশা ব্যঞ্জক ডম্বরু বুকের মধ্যে বাজতে থাকে। দেহের রক্ত শুনতে পায় মৃত্যুর পদধ্বনি। কিন্তু কবিতার কাছে মৃত্যু পরাস্ত। মানুষ হিসেবে কবি মরণশীল কিন্তু স্রষ্টা হিসেবে তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। তাঁর কবিতা চিরজীবি। বস্তুতপক্ষে কবিগণ ভবিষ্যৎ স্রষ্টা। তাই কবির আশাবাদী মনের তীব্র ব্যাকুলতা কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে, এই আশাবাদী কবির কবিতাকে ঘিরেই।

প্রশ্ন ৩। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতাটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উত্তরঃ পৃথিবীতে সকল বস্তুরই নামকরণ করা হয়। আর এই নামকরণই কোনো বস্তুর বা ব্যক্তির পরিচয়ের মাধ্যম হয়। সাহিত্যেও লেখকরা গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ প্রভৃতির নামকরণ করে থাকেন। এই নামকরণ করা হয় প্রধানত কোনো প্রধান চরিত্রের নামানুসারে,প্রসঙ্গের নাম বা বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে। আলোচ্য কবিতাটির ব্যঞ্জনাধর্মী নামকরণ করেছেন বুদ্ধদেব বসু। ‘প্রত্যহের ভার’ কথাটির অর্থ হল দৈনন্দিন জীবনের ভার বা বোঝা। কবি বুদ্ধদেব বসু বলছেন, কাব্য নির্মাণে যে বাণী বিহঙ্গকে ছন্দের সুন্দর নীড়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন তা যেন ব্যর্থ না হয়। তাঁর কাব্যলেখনী যাতে সাফল্যমণ্ডিত হয়। বৃক্ষের গাঁটে-গাঁটে যেমন বিচিত্র জটিলতা থাকে তেমনি মানুষের জীবনেও বিচিত্র জটিলতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও তাঁর কাব্যচর্চায় বাণী বিহঙ্গ যেমন মুক্ত পক্ষ হয়ে আকাশে সদা বিচরণশীল তেমনি কবি হৃদয়ের মধ্যে একই গতি স্পন্দিত হয়। কবি ভাষাকে ছন্দোবন্ধন দিয়েছেন। কবির আশা তাঁর লেখনী কাল প্রবাহে যেন হারিয়ে না যায়। অন্তত আভাসটুকু যেন বৎসরের আবর্তনে, অদৃষ্টের ক্রুর বাঁকে-বাঁকে, কুটিল ক্রান্তিতে থাকে। 

কবি বলছেন যদি তাঁর কাব্য অনুশীলনে কখনো ক্লান্তি আসে, যদি শান্তি যায়, হৃৎপিণ্ডে যদি হতাশার ডম্বরু বাজে, যদি মৃত্যুর মৃদঙ্গ বাজে তবুও তিনি বাণী বিহঙ্গকে অভ্যর্থনা জানাতে বিচ্যুত হবেন না। কবি জানেন বাণী বিহঙ্গরূপী কাব্যমূর্তির স্থিতি ক্ষণিকের জন্য। কবির আশা তাঁর কাব্য যেন কালজয়ী হয়। এটাই তাঁর একান্ত প্রার্থনা। কবি প্রত্যহের ভার প্রসঙ্গে বলেছেন, তাঁর মন যেন অনিচ্ছাসত্ত্বেও অবশ্য-বাঁচার মায়ামোহে আত্মবিস্মৃত হয়ে দৈনন্দিন জীবনের ভারও ভুলে বসে আছে। কবি বুদ্ধদেব বসু নিজেকে প্রত্যহের ভার থেকে এভাবে মুক্ত করেছেন। আশাবাদী কবি নৈরাশ্যকে ভেদ করে আশার আলোয় মনকে ভরে তুলেছেন। সুতরাং বলা যায় বিষয়ানুসারে এবং কবির বক্তব্যের উপস্থাপনার দিকে দৃষ্টিপাত করলে কবিতাটির নামকরণ সার্থক ও যুক্তিযুক্ত।

অনুশীলনীর প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতাটির বিষয়বস্তু সংক্ষেপে আলোচনা করো।

অথবা, 

‘প্রত্যহের ভার’ কবিতাটির সারমর্ম লেখো।

উত্তরঃ কবি বুদ্ধদেব বসু পৃথিবীর কোন আকর্ষণীয় বস্তুর প্রতি আকৃষ্ট নন তিনি আকৃষ্ট কেবল কথা, বাণী বা ভাষার প্রতি। তাকেই তিনি সাদরে অভ্যর্থনা জানান। ছন্দেরবনীড়ে তাকে আশ্রয় দেন। ছন্দোবদ্ধবাণী কখনও ব্যর্থ হতে পারে না। বৃক্ষের গাঁটে গাঁটে যেমন বিচিত্র জটিলতা থাকে তেমনি মানুষের জীবনেও বিচিত্র জটিলতা রয়েছে। তা সত্ত্বেও তা সত্ত্বেও তাঁর কাব্যচর্চায় বাণী বিহঙ্গ যেমন মুক্ত পক্ষ হয়ে আকাশে সদা বিচরণশীল তেমন কবি হৃদয়ের মধ্যেও একই গতি স্পন্দিত হোক। জীবনের বিচিত্র জটিলতা, নৈরাশ্যতাকেও যাতে করি এড়িয়ে যেতে সফল হতে পারেন এটাই তাঁর একান্ত প্রার্থনা। কবি ভাষাকে ছন্দোবন্ধন দিয়েছেন। কবির আশা তাঁর লেখনী যাতে কাল প্রবাহে হারিয়ে না যায়। 

অন্তত আভাসটুকু যেন বৎসরের আবর্তনে, অদৃষ্টের ক্রুর বাঁকে-বাঁকে, কুটিল ক্রান্তিতে থাকে। কবি প্রত্যহের ভার প্রসঙ্গে বলেছেন, তাঁর মন যেন অনিচ্ছা সত্ত্বেও অবশ্য বাঁচার মায়ামোহে আত্মবিস্মৃত হয়ে দৈনন্দিন জীবনের ভার ভুলে বসে আছে। কবি নিজেকে প্রত্যহের ভার থেকে এভাবে মুক্ত করেছেন। কবি বলছেন, যদি তাঁর কাব্য অনুশীলনে কখনো ক্লান্তি আসে, যদি শান্তি যায়, হৎপিণ্ডে যদি হতাশার ডম্বরু বাজে, যদি মৃত্যুর মৃদঙ্গ বাজে তবুও তিনি বাণী বিহঙ্গকে অভ্যর্থনা জানাতে বিচ্যুত হবেন না।, কবি জানেন বাণী বিহঙ্গরূপী কাব্যমূর্তির স্থিতি ক্ষণিকের জন্য, কবির আশা তাঁর কাব্য যেন কালজয়ী হয়, এটাই তাঁর একান্ত প্রার্থনা।

প্রশ্ন ২। ‘প্রত্যহের ভার’ কবিতাটিতে কবির আশাবাদী মনের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা বিশ্লেষণ করো।

উত্তরঃ কবির কবিতাটি ভবিষ্যৎ মানুষ স্মরণে রাখবে কিনা তা নিয়ে কবির মন আশা নিরাশার ছন্দে আচ্ছন্ন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর মনে আশার ভাব জেগেছে।

কালের প্রবাহে পৃথিবীর সব কিছুই বিনাশ প্রাপ্ত হয়। সেক্ষেত্রে কবি বাণী বন্দনাকারী। তিনি মুখের কথাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। তাকে ছন্দোবদ্ধ করেছেন। এই বাণী ব্যর্থ হবে না। কালের নিয়মে মৃত্যু সব কিছু গ্রাস করলেও তাঁর কবিতাকে গ্রাস করতে পারবে না। কবি জানেন নিয়তির নিষ্ঠুর চক্রে, সময়ের বজ্রগতিতে শরীরে ক্লান্তি নেমে আসে। মনের শান্তি চলে যায়। জীবনসন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার হতাশা ব্যঞ্জক ডম্বরু বুকের মধ্যে বাজতে থাকে। দেহের রক্ত শুনতে পায় মৃত্যুর পদধ্বনি। কিন্তু কবিতার কাছে মৃত্যু পরাস্ত। মানুষ হিসেবে কবি মরণশীল কিন্তু স্রষ্টা হিসেবে তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী। তাঁর কবিতা চিরজীবি। বস্তুতপক্ষে কবিগণ ভবিষ্যৎ স্রষ্টা। তাই কবির আশাবাদী মনের তীব্র ব্যাকুলতা কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে, এই আশাবাদী কবির কবিতাকে ঘিরেই।

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top