Class 12 History Chapter 5 প্রাগৈতিহাসিক যুগ

Join Roy Library Telegram Groups

Class 12 History Chapter 5 প্রাগৈতিহাসিক যুগ is a textbook prescribed by the AHSEC Board Class 12 Students will find the solutions very useful for exam preparation. Class 12 History Chapter 5 প্রাগৈতিহাসিক যুগ The experts of The Roy Library provide solutions for every textbook question Answer to help students understand and learn the language quickly. Class 12 History Chapter 5 প্রাগৈতিহাসিক যুগ Solutions are free to use and easily accessible.

Class 12 History Chapter 5 প্রাগৈতিহাসিক যুগ

Bengali Medium Solutions by Roy Library helps students understand the literature lessons in the textbook. Class 12 History Chapter 5 প্রাগৈতিহাসিক যুগ Question Answer in Bengali. The sole purpose of the solutions is to assist students in learning the language easily. Hs 2nd year History, Class 12 History Chapter 5 প্রাগৈতিহাসিক যুগ Question Answer in Bengali gives you a better knowledge of all the chapters. Class 12 History Chapter 5 প্রাগৈতিহাসিক যুগ Question Answers The experts have made attempts to make the solutions interesting, and students understand the concepts quickly. Assam AHSEC Board Class 12 History Bengali Medium Books Solutions will be able to solve all the doubts of the students. Class XII History Solutions Provided are as per the Latest Curriculum and covers all the questions from the AHSEC Board Class 12 History Bengali Medium Textbooks. HS 2nd Year History Syllabus are present on Roy Library’s website in a systematic order.

প্রাগৈতিহাসিক যুগ

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। প্রাগৈতিহাসিক যুগে আসাম রাজ্যের নাম কি ছিল?

উত্তরঃ প্রাগজ্যোতিষপুর।

প্রশ্ন ২। আসাম রাজ্যের নাম কখন হতে আসাম হয়?

উত্তরঃ ত্রয়োদশ শতকের পর হতে।

প্রশ্ন ৩। প্রাগজ্যোতিষপুর রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল?

উত্তরঃ প্রাগজ্যোতিষপুর।

প্রশ্ন ৪। ব্রাহ্মণগণকে দান করা ভূমিকে কি বলা হত?

উত্তরঃ ব্রহ্মোত্তর ভূমি।

প্রশ্ন ৫। মন্দিরের জন্য দান করা ভূমিকে কি বলা হত?

উত্তরঃ ধর্মোত্তর।

প্রশ্ন ৬। প্রাচীন আসামের যে-কোন একপ্রকার নিষ্কর ভূমির নাম লেখ।

উত্তরঃ ব্রহ্মোত্তর ভূমি।

প্রশ্ন ৭। অগ্রহার কাকে বলা হত?

উত্তরঃ প্রাচীন আসামে কখনও কখনও সম্পূর্ণ একটি গ্রাম ব্রাহ্মণকে দান করা হত; একে অগ্রহার বলা হত।

প্রশ্ন ৮। ভাস্কর বর্মার রাজত্বকাল উল্লেখ কর।

উত্তরঃ ৫৯৪ – ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ।

প্রশ্ন ৯। ‘কালিকাপুরাণ’ কোন ভাষায় লিখিত হয়েছিল?

উত্তরঃ সংস্কৃত ভাষায়।

প্রশ্ন ১০। গুয়াহাটির নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত তীর্থস্থানটির নাম কি?

উত্তরঃ মহাতীর্থ কামাখ্যা।

প্রশ্ন ১১। সূর্যপাহাড় কোথায় অবস্থিত?

উত্তরঃ গোয়ালপাড়ায়।

প্রশ্ন ১২। ভাস্কর বর্মার রাজত্বকালে বাংলার কোন বন্দরের সঙ্গে ব্যবসা – বাণিজ্য চলত?

উত্তরঃ তাম্রলিপ্ত।

প্রশ্ন ১৩। অসমের রাজনৈতিক ইতিহাস কখন থেকে আরম্ভ হয়?

উত্তরঃ খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতক থেকে।

প্রশ্ন ১৪। প্রাগৈতিহাসিক যুগে কামরূপে রাজত্বকারী রাজাদের নাম ক্রমান্বয়ে লেখ।

উত্তরঃ প্রাগৈতিহাসিক যুগে কামরূপে রাজত্বকারী রাজাদের নাম হল ক্রমান্বয়ে — মহিরঙ্গ দানব, হটকাসুর, সরম্বাসুর, রত্নাসুর, ঘটক, কিরাত, নরকাসুর, ভগদত্ত ও ব্রজদত্ত।

S.L. No.সূচীপত্র
প্রথম খণ্ড
অধ্যায় -1ইট, মনি ও হাড়
অধ্যায় -2রাজা, কৃষক ও নগরসমূহ
অধ্যায় -3জ্ঞাতিত্ব, বর্ণ ও শ্রেণি (প্রাচীন সমাজ)
অধ্যায় -4দার্শনিক প্রত্যয় ও স্থাপত্য (সাংস্কৃতিক অগ্রগতি)
অধ্যায় -5প্রাগৈতিহাসিক যুগ — ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ
দ্বিতীয় খণ্ড
অধ্যায় -6পর্যটকদের দৃষ্টিতে (দশম থেকে সপ্তদশ শতক)
অধ্যায় -7ভক্তি ও সুফী পরম্পরা
অধ্যায় -8একটি সাম্রাজ্যবাদী রাজধানী – বিজয়নগর
অধ্যায় -9কৃষক, জমিদার ও রাষ্ট্র
অধ্যায় -10কৃষক, জমিদার ও রাষ্ট্র
তৃতীয় খণ্ড
অধ্যায় -11উপনিবেশবাদ ও গ্রামাঞ্চল
অধ্যায় -12বিদ্রোহ ও রাজ (১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহ)
অধ্যায় -13উপনিবেশিক নগর
অধ্যায় -14মহাত্মা গান্ধী ও জাতীয় আন্দোলন
অধ্যায় -15দেশ বিভাজনের উপলব্ধি
অধ্যায় -16সংবিধান প্রণয়ন
অধ্যায় -16মানচিত্র অঙ্কনকার্য

প্রশ্ন ১৫। কামাখ্যা মন্দিরে যাওয়ার পুরানো পথটি কে নির্মাণ করেন?

উত্তরঃ পথটি নরকাসুর নির্মাণ করেন।

প্রশ্ন ১৬। মহিরঙ্গ দানব কে ছিলেন?

উত্তরঃ মহিরঙ্গ দানব প্রাগৈতিহাসিক যুগে প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা ছিলেন।

প্রশ্ন ১৭। নরকাসুর কে ছিলেন?

উত্তরঃ নরকাসুর প্রাচীন কামরূপের রাজা ছিলেন।

প্রশ্ন ১৮। ভগদত্ত কে ছিলেন?

উত্তরঃ ভগদত্ত নরকাসুরের পুত্র ও প্রাগ্‌জ্যোতিষপুরের রাজা ছিলেন।

প্রশ্ন ১৯। ভগদত্তের কন্যার নাম কি ছিল?

উত্তরঃ ভগদত্তের কন্যার নাম ছিল ভানুমতী।

প্রশ্ন ২০। প্রাগৈতিহাসিক যুগে কামরূপ রাজ্যের পূর্বদিকে কোন্ রাজ্য ছিল?

উত্তরঃ রাজ্যটির নাম ছিল কুণ্ডিল বা বিদর্ভ।

প্রশ্ন ২১। কুণ্ডিল বা বিদর্ভ রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল?

উত্তরঃ কুণ্ডিলনগর।

প্রশ্ন ২২। তেজপুরের প্রাচীন নাম কি ছিল?

উত্তরঃ শোণিতপুর।

প্রশ্ন ২৩। বাণরাজা কে ছিলেন?

উত্তরঃ বাণরাজা শোণিতপুরের রাজা ছিলেন।

প্রশ্ন ২৪। ভাস্কর বর্মার রাজত্বকালে কোন্ চীনা পরিব্রাজক কামরূপ ভ্রমণ করেছিলেন?

উত্তরঃ হিউয়েন সাঙ।

প্রশ্ন ২৫। প্রাগৈতিহাসিক যুগ কাকে বলা হয়?

উত্তরঃ ইতিহাসে প্রাপ্ত যুগের আগের সময়কে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলা হয়।

প্রশ্ন ২৬। শূন্যস্থান পূর্ণ কর:

(ক) প্রাগজ্যোতিষ রাজ্যের রাজধানী ছিল ___________।

উত্তরঃ প্রাগজ্যোতিষপুর।

(খ) ___________ প্রাজ্যোতিষপুরে রাজ্য স্থাপন করেন।

উত্তরঃ অমূর্তরাজ।

(গ) কামাখ্যা মন্দির ___________ পাহাড়ে অবস্থিত।

উত্তরঃ নীলাচল।

(ঘ) নরকাসুরের পর ___________ প্রাগজ্যোতিষপুরের রাজা হন।

উত্তরঃ ভগদত্ত।

(ঙ) কামাখ্যা মন্দিরে যাওয়ার পুরানো পথটি ___________ নির্মাণ করেন।

উত্তরঃ নরকাসুর।

(চ) নরকাসুরের বংশকে ___________ বংশ বলা হয়।

উত্তরঃ ভৌম।

(ছ) নরকাসুরের রাজ্য ছিল ___________।

উত্তরঃ প্রাগজ্যোতিষপুর।

(জ) কুণ্ডিল রাজ্যের রাজা ছিলেন ___________।

উত্তরঃ ভীষ্মক।

(ঝ) ___________ ‘রুক্মিনীহরণ’ নাটক রচনা করেন।

উত্তরঃ শ্রীমন্ত শংকরদেব।

(ঞ) বিদর্ভ রাজ্যের রাজধানী ছিল ___________।

উত্তরঃ কুণ্ডিলনগর।

(ট) তেজপুরের প্রাচীন নাম ছিল ___________।

উত্তরঃ শোণিতপুর।

(ঠ) ___________ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি কামরূপ আক্রমণ করেন।

উত্তরঃ ১২০৬।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। ইতিহাসের বিভিন্ন যুগে আসামের বিভিন্ন নাম উল্লেখ কর।

উত্তরঃ প্রাগৈতিহাসিক যুগে প্রাগজ্যোতিষপুর, প্রাচীন ও মধ্যযুগে কামরূপ এবং আধুনিক যুগে আসাম বা অসম।

প্রশ্ন ২। ‘প্রাগজ্যোতিষপুর’ শব্দের অর্থ কি?

উত্তরঃ ‘প্রাগ’ মানে ‘প্রাচীন’, ‘জ্যোতিষ’ মানে গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান সম্পর্কিত অধ্যয়ন, ‘পুর’ মানে নগর; অর্থাৎ প্রাগজ্যোতিষপুর মানে প্রাচীনযুগের জ্যোতিষচর্চার নগর।

প্রশ্ন ৩। প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিষয়ে জানতে কিসের সহায়তা নিতে হয়?

উত্তরঃ প্রাগৈতিহাসিক যুগের বিষয় জানতে হলে পুরাণশাস্ত্র, রামায়ণ, মহাভারত, তন্ত্রশাস্ত্র, প্রাচীন সাহিত্য, তাম্রলিপি, শিলালিপি, স্থাপত্য-ভাস্কর্য, বিদেশি ভ্রমণকারীর বিবরণী প্রভৃতির সহায়তা নিতে হয়।

প্রশ্ন ৪। প্রাগৈতিহাসিক যুগে কামরূপে রাজত্বকারী রাজাদের নাম ক্রমান্বয়ে লেখ।

উত্তরঃ ক্রমান্বয়ে রাজাদের নাম হল — মহিরঙ্গ দানব, হটকাসুর, সমরাসুর, রত্নাসুর, ঘটক কিরাত, নরকাসুর, ভগদত্ত ও ব্রজদত্ত।

প্রশ্ন ৫। নিম্নলিখিতদের মধ্যে কে, কার সমসাময়িক ছিলেন লেখ:

ভাস্কর বর্মা, বাণরাজা, নরকাসুর, হিউয়েন সাং

উত্তরঃ ভাস্কর বর্মা সমসাময়িক ছিলেন হিউয়েন সাং-এর।

বাণরাজা সমসাময়িক ছিলেন নরকাসুরের।

প্রশ্ন ৬। ‘প্রাগজ্যোতিষপুর’ নামটি কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তরঃ প্রাগজ্যোতিষপুর নামটি রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণে পাওয়া যায়।

প্রশ্ন ৭। আসামের উপত্যকা দুটির নাম লেখ।

উত্তরঃ আসামের উপত্যকা দুটির নাম-ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ও বরাক উপত্যকা।

প্রশ্ন ৮। আসামের প্রাচীন বাসিন্দাগণকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কি কি?

উত্তরঃ আসামের প্রাচীন বাসিন্দাগণকে চার ভাগে ভাগ করা যায়; যথা – 

(ক) অস্ট্রো-এশিয়াটিক। 

(খ) নেগ্রীটস।

(গ) দ্রাবিড়িয়ান। ও 

(ঘ) মঙ্গোলিয়ান ও আর্য।

প্রশ্ন ৯। প্রাচীন আসামে কয় শ্রেণীর লোক ছিল এবং কি কি?

উত্তরঃ প্রাচীন আসামে তিন শ্রেণীর লোক ছিল, যথা-

(ক) অভিজাত।

(খ) কৃষক। ও 

(গ) দাস।

প্রশ্ন ১০। আসামে আদিপ্রস্তর যুগের সামগ্রীসমূহের কয়েকটি নাম উল্লেখ কর। সে যুগের মানুষ ইটের ব্যবহার জানত কি?

উত্তরঃ প্রাচীন আসামে প্রাচীন সামগ্রীগুলির অন্যতম হল পাথরনির্মিত সামগ্রী, বিভিন্ন প্রকার পাথর, পাথরনির্মিত ক্ষুর, চাবনী প্রভৃতি।

আসামে প্রাচীন যুগের মানুষ ইটের ব্যবহার জানত।

প্রশ্ন ১১। প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের চারটি ভাগের উল্লেখ কর।

উত্তরঃ প্রাচীন কামরূপ রাজ্যের চারটি ভাগ হল – 

(ক) রত্নপীঠ। 

(খ) কামপীঠ। 

(গ) সুবর্ণপীঠ। ও 

(ঘ) সৌমারপীঠ।

প্রশ্ন ১২। বিদর্ভ ও শোণিতপুরের রাজা কে কে ছিলেন?

উত্তরঃ ভীষ্মক বিদর্ভ রাজ্যের এবং বাণরাজা শোণিতপুরের রাজা ছিলেন।

প্রশ্ন ১৩। প্রাচীন আসামে কোন্ কোন্ ভূমি করবিহীন ছিল?

উত্তরঃ প্রাচীন আসামে- 

(ক) ব্রহ্মোত্তর ভূমি। এবং 

(খ) ধর্মোত্তর ভূমি করবিহীন ছিল।

প্রশ্ন ১৪। প্রাচীন আসামের কয়েকটি লিখনসামগ্রীর নাম লেখ।

উত্তরঃ অগরু বা সাঁচী গাছের পাতা ও বাকল, তাম্রফলক, পাথর, কাঠের ফালি প্রভৃতি। পাখির পালক, বাঁশ, নলখাগড়া প্রভৃতি কলম হিসাবে ব্যবহার করা হত।

প্রশ্ন ১৫। প্রাচীন আসামের দুটি তন্ত্রশাস্ত্রের নাম লেখ।

উত্তরঃ প্রাচীন আসামের দুটি তন্ত্রশাস্ত্র হল – 

(ক) যোগিনীতন্ত্র। ও 

(খ) কালিকাপুরাণ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। আসাম নামের উৎপত্তি সংক্ষেপে লেখ।

উত্তরঃ ‘আসাম’ নামের উৎপত্তি সম্পর্কে বহু মতবাদ আছে। কোন কোন পণ্ডিতের মতে ত্রয়োদশ শতকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘টাই’ জাতির একটি শাখা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বসতি করতে আসেন। তারা নিজ সাহস, বল ও বুদ্ধিতে স্থানীয় মানুষদের পরাভূত করে। তাদের পরাক্রমে মুগ্ধ হয়ে স্থানীয় লোকেরা অ-হ-ম অর্থাৎ সমান কেউ নেই বলে সম্বোধন করত। কালক্রমে অহোম শব্দটি অহম এবং পরে ‘অসম’ হয়ে পড়ে। অহোমরা যেখানে রাজত্ব করত সেই ভূখণ্ডই অতঃপর ‘অসম’ নামে পরিচিত হয়। অন্য একটি মত অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা পাহাড়-পর্বতে ভরা অর্থাৎ অসমান (অসম)। সেইজন্য রাজ্যটির নাম হয় অসম।

প্রশ্ন ২। প্রাচীন আসামের সাহিত্য সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখ।

উত্তরঃ প্রাচীন আসাম বা কামরূপ সাহিত্যে সমৃদ্ধ ছিল। কামরূপে সকল প্রকার শিলালিপি ও তামার ফলক সংস্কৃত ভাষায় লেখা হয়েছিল। এগারো শতকে রচিত কালিকাপুরাণ সংস্কৃত ভাষাতেই লেখা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে ১২ শতকের পূর্বে বহু সংস্কৃত সাহিত্য সৃষ্টি হয়েছিল।

প্রশ্ন ৩। প্রাচীন আসামের ভাষা সম্পর্কে যা জানো লেখ।

উত্তরঃ সপ্তম শতকে কামরূপ পরিভ্রমণকারী চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ-এর মতে কামরূপের কথিত ভাষা ভারতের অন্য ভাষা হতে পৃথক ছিল। সম্ভবত এই ভাষার মৈথিলী ভাষার সঙ্গে সম্বন্ধ ছিল। নবম ও দশম শতকের বৌদ্ধ দোহাসমূহ জনপ্রিয় ছিল। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতক বা তার কিছু পূর্বে অসমীয়া ভাষা স্বাধীনভাবে একটি নির্দিষ্ট আকার গ্রহণ করে।

দীর্ঘ প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। প্রাগৈতিহাসিক যুগে আসামে প্রস্তরসামগ্রী, হাড়, বাসনপত্র ও ইটের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

অথবা,

আসামের আদি প্রস্তর যুগের সামগ্রীসমূহের একখানা তালিকা প্রস্তুত কর। তখনকার লোক ইটের ব্যবহার জানত কি?

উত্তরঃ প্রাগৈতিহাসিক যুগে অর্থাৎ আদি প্রস্তর যুগের কিছু পরিমাণ পাথরের সামগ্রী তখনকার আসামের বিভিন্ন অঞ্চল, যেমন—গারো পাহাড়, অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুরে পাওয়া গিয়েছিল। নব্যপ্রস্তরযুগের কৃষির সামগ্রীসমূহ খনন কার্যকারীগণ উত্তর কাছাড় পাহাড়ের দেউদালি হার্ভিং, কামরূপ জেলার সরু তারো এবং গারো পাহাড়ের শিবলগিরি হতে সংগ্রহ করেছিলেন। এই সামগ্রীসমূহের মধ্যে প্রস্তরনির্মিত সামগ্রী, নানাবিধ পাথর ও হাড়ের টুকরো, প্রাচীন প্রস্তরজাত সামগ্রী শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে আবিষ্কারের অভাবে আসামের মানব ক্রমবিকাশের ইতিহাস অধ্যয়ন করা অত্যন্ত জটিল।

প্রাচীন আসামে ইটের ব্যবহার ছিল। ফাতিহাই-ইব্রিয়ার মতে ইট তৈরিতে আসাম পিছনে ছিল না। কতিপয় শিলালিপি ও সাহিত্য-বিষয়ক রচনায় ইট-নির্মিত ঘরের বিষয়ে উল্লেখ আছে। ইটের মন্দির বা ইটের দেওয়ালযুক্ত মন্দিরও আবিষ্কৃত হয়েছে। গুয়াহাটীর আমবাড়িতে আবিষ্কার হওয়া ২৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৪৫ সেন্টিমিটার প্রশস্ত একখানি ইটের দেওয়ালে ইটের ব্যবহার প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমান শদিয়ার অন্তর্গত কুণ্ডিলনগরে প্রাচীন ইটের দেওয়ালের নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে।

ইতিহাসের পরবর্তী সময়ের উৎসসমূহে সোনা, রুপা, লোহা এবং হাড়ের অলংকার বিষয়ে উল্লেখ আছে। সেইযুগে আসামে সোনা যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যেত এবং মুদ্রার প্রচলনও পরিলক্ষিত হয়। পুরুষ ও মহিলা উভয়ই অলংকার পরিধান করত। ধাতুনির্মিত অলংকার, মণিমালা, গলার হার, ডুগডুগি, কুন্দল, হাতের খাড়ু, বালা, আংটি, কানের দুল প্রভৃতি প্রাচীন আসামের নারীপুরুষ পরিধান করত।

প্রশ্ন ২। প্রাচীন আসামের রাজ্য ও রাজ্যশাসন প্রণালী সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তরঃ প্রাচীন আসামে প্রাগজ্যোতিষপুর বা কামরূপ সবচেয়ে বৃহৎ রাজ্য ছিল। ডবকা, কাদলী, হিড়িম্বা, ত্রিপুরা, মণিপুর প্রভৃতি ছোট ছোট রাজ্যও ছিল। যোগিনীতন্ত্র মতে কামরূপের অন্তর্ভুক্ত স্থানসমূহ হল সমগ্র ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা, ভূটান, রংপুর (অধুনা বাংলাদেশ) এবং সম্ভবত গারো পাহাড়। যোগিনীতন্ত্রে কামরূপ রাজ্যের চারটি মূল ভাগ থাকার কথা উল্লেখ আছে। সেইগুলি হল রত্নপীঠ, কামপীঠ, সুবর্ণপীঠ এবং সৌমারপীঠ।

পৌরাণিক দুইজন রাজা—ভীষ্মক ও বাণরাজা—যথাক্রমে বিদর্ভ ও শোণিতপুরের রাজা ছিলেন। কোন কোন গবেষকের মতে বিদর্ভ রাজ্য বর্তমান শাদিয়ার চৌদিশ নামক স্থানে ছিল এবং এর রাজধানী ছিল কুণ্ডিলনগর। বাণরাজার শোণিতপুর রাজ্য ছিল সম্ভবত বর্তমান তেজপুর এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলসমূহ। বর্মনদের রাজত্ব বঙ্গদেশের একাংশ ও কামরূপের অন্তর্গত ছিল।

রাজ্যটি কয়েকটি ভুক্তি বা ভাগে বিভক্ত ছিল এবং ভাগগুলি শাসনের দায়িত্ব কয়েকজন রাজকোয়রের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়েছিল। ভাগ বা ভুক্তিসমূহ আবার কয়েকটি ছোট ছোট ভাগ, যেমন—মণ্ডল, পুর এবং আগ্রহ হিসাবে ভাগ করা হয়েছিল। স্থানীয় শাসনের জন্য এইগুলিতে ‘পঞ্চায়েত ব্যবস্থা’ প্রচলিত ছিল। প্রতিটি গ্রামে গাঁওবুড়াও ছিল।

প্রশ্ন ৩। প্রাচীন আসামের আর্থিক অবস্থার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তরঃ প্রাচীন আসাম বা প্রাগৈতিহাসিক যুগের আসামের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্যাদি অপেক্ষাকৃত কম। এই তথ্যসমূহের উৎস হল সাহিত্যিক বর্ণনা ও প্রাচীন লিপিসমূহ। কামরূপ রাজ্যে শস্যের বিস্তৃত ক্ষেত ছিল। ভাস্কর বর্মার শাসনকালে আগত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং তার লিখিত বিবরণে কামরূপে জলসেচের ব্যবস্থা থাকার কথা উল্লেখ করেছেন। পাহাড়ের মানুষ জুম পদ্ধতিতে চাষবাস করত। সমভূমিতে চাষবাষ যথেষ্ট ভালো হত। ধান, পাট, কাঁঠাল, আমলকি, রুদ্রাক্ষ ও কুশিয়ার ছাড়াও বিভিন্ন গাছের ফলমূল, শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যেত।

আসামের বাইরে মুগা, পাট ও এন্ডি মুগার কাপড়ের যথেষ্ট চাহিদা ছিল। সোনোয়াল বা সোনার সম্প্রদায়গণ সুবর্ণশিরি নদীতে বালি হতে সোনা সংগ্রহ করত। আসামের বন উন্নত মানের কাঠ ও বনাঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন বনজাত সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত ছিল।

প্রাচীন আসামে বিনিময় প্রথা প্রচলিত ছিল। পরে কড়ি ও মুদ্রা প্রভৃতির মাধ্যমে মানুষ কেনাবেচা করত। বহির্বাণিজ্য ও আভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের জন্য জলপথ ও স্থলপথ উভয়ই ব্যবহার করা হত। ভূটান, তিব্বত, নেপাল, চীন, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া প্রভৃতি দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চলত। ভাস্কর বর্মন বঙ্গদেশের তাম্রলিপ্ত নামক বন্দরটি ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্যবহার করেছিলেন বলে জানা যায়। প্রাচীন কামরূপের রাজাগণ মগধ, গুজরাট ও কাশ্মীরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক স্থাপন করেছিল।

প্রশ্ন ৪। প্রাগৈতিহাসিক যুগে আসামে রাজতন্ত্র বিষয়ে একটি টীকা লেখ।

উত্তরঃ প্রাচীন আসামে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত ছিল। রাজক্ষমতা বংশানুক্রমে লাভ করতে পারত। কিন্তু কখনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি হতে রক্ষা পাবার জন্য রাজাকে বাছাই করা হত। রাজা ভূমিকর, আয়কর ও বিক্রয়কর হতে খাজনা সংগ্রহ করতেন।

ব্রাহ্মণগণকে দান করা ব্রহ্মোত্তর’ ভূমি এবং মন্দিরের জন্য দান করা ‘ধর্মোত্তর’ ভূমির উপর কোন কর আরোপ করা হত না। কোথাও কোথাও কোন কোন সময় একটি সম্পূর্ণ গ্রাম ব্রাহ্মণকে দান করা হত। একে ‘অগ্রহার’ বলা হত। অগ্রহারসমূহ খাজনামুক্ত ছিল। রাজা শিক্ষা, কলা ও স্থাপত্য শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। বিভিন্ন অট্টালিকা ও মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, অন্যান্য কির্তিচিহ্ন, চিত্রকলা ও সাহিত্যসমূহ রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতার প্রমাণ দেয়।

মহীরঙ্গ দানব প্রাগজ্যোতিষপুরের প্রথম রাজা বলে অনুমান করা হয়। প্রাচীন ও কিংবদন্তী রাজাগণ, যেমন-নরকাসুর, ভগদত্ত, ব্রজদত্ত, ভীষ্মক, বাণরাজার বিষয়ে বিভিন্ন লিপিসমূহ এবং প্রাচীন সাহিত্যে বিস্তারিত উল্লেখ পাওয়া যায়। ঐতিহাসিক যুগের প্রাচীন কামরূপে অনেক রাজাই রাজত্ব করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ভাস্কর বর্মন একজন বিখ্যাত রাজা ছিলেন এবং তিনি ৫৯৪-৬৫০ খ্রিস্টাব্দের সময়সীমায় কামরূপে রাজত্ব করেছিলেন। বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং ভাস্কর বর্মনের রাজ্যে এসে এই প্রতাপী রাজার বিষয়ে উচ্চ প্রশংসা করেছেন।

প্রশ্ন ৫। প্রাচীন আসামে কৃষকগণের অবস্থার বিষয়ে এক ছবি তুলে ধর।

অথবা,

প্রাচীন আসামে কৃষকদের অবস্থা সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তরঃ প্রাচীন আসামের গ্রামাঞ্চলে ভূমির স্বত্ত্বাধিকার ও কর্তৃত্ব রাজ্যের মানুষের হাতে ন্যস্ত ছিল। জনজাতি অঞ্চলের জমি সাধারণত একটি সম্প্রদায়ের হাতে সমর্পণ করা হয়েছিল। সেই জমি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করে ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের মধ্যে মালিকি স্বত্বে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল।

পূর্বের প্রথামত অধিকাংশ কৃষকই গ্রামে বাস করত। কৃষিকার্যের পদ্ধতি সম্বন্ধে কোন স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায় না। নারদের মতে, গ্রামাঞ্চলে কৃষকগণ গুরুত্ব অনুসারে দ্বিতীয় স্থান দখল করে। কৃষিকার্যের জন্য নিয়োজিত বানিয়াগণ ক্ষেতের দশভাগের একভাগ বা তিন বা পাঁচভাগের একভাগ শস্য ভিন্ন ভিন্ন হারে মজুরি হিসাবে লাভ করেছিল। মহিলা কৃষিশ্রমিক অপেক্ষা পুরুষ কৃষিশ্রমিকের সংখ্যা অধিক দেখা যায়। রঘুবংশে উল্লেখ আছে যে কামরূপে মহিলা চাষিগণ চাষের কাজ নিজেরাই তদারকি করত।

ধানই ছিল প্রধান শস্য এবং শালি, আউস ও বরো—এই তিনপ্রকার ধান চাষ করা হত। ক্ষেত না হওয়া সময়ে কৃষকগণ সুতা কাটা, কাপড় বোনা, মৌমাছি পালন, বাঁশ-বেতের কাজ, কাঠের কাজ প্রভৃতি শিল্পমূলক কাজ করে অতিরিক্ত উপার্জন করত।

সকল কৃষক সাধারণ পোশাক পরিধান করত। স্বভাবতই তারা ধর্মীয় ভাবাপন্ন ছিল। গান, নাচ, খেলাধুলা, নানাপ্রকার উৎসব-পার্বণ প্রভৃতি তারা উপভোগ করত।

প্রশ্ন ৬। প্রাচীন আসামের সাংস্কৃতিক উন্নতি ও বিকাশ সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা কর।

উত্তরঃ প্রাচীন আসামের নগরসমূহ সাধারণত নদীর তীরে অবস্থিত ছিল। কারণ এই স্থানসমূহের মধ্যে কখনও জলের অভাব ছিল না এবং যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক ছিল। এই নগরসমূহ দ্বার, চৌকিঘর (পাহারা দেওয়ার ঘর), ওখ জাতীয় গাছের বেড়া এবং মাটির গুণাগুণ অনুসারে নির্মাণ করা বিভিন্ন ধরনের দুর্গ দ্বারা সুরক্ষিত করা হয়েছিল। নগরসমূহ বিশাল অট্টালিকায় ভরপুর ছিল। শাদিয়া ও ডিমাপুরে অবস্থিত ভগ্নাবশেষ এবং কামাখ্যা মন্দির প্রভৃতি আসামের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্থান। এই স্থানসমূহ এখনও সকল বয়স্ক সকল শ্রেণীর মানুষকে আকর্ষণ করে। তেজপুরের দো পর্বতীয়া এবং বামুনী পাহাড়ের পাথরে কাটা দরজার চৌকাঠ, মন্দিরের ভগ্নাবশেষ, বিভিন্ন দেব-দেবীর পাথরে কাটা মূর্তি প্রাচীন আসামের স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন হিসাবে পরিগণিত হয়েছে।

অন্যান্য মন্দিরসমূহের মধ্যে শিব ও বিষ্ণুমন্দির অধিক দেখা যায়। এই মন্দিরসমূহের স্থাপত্য ও ভাস্কর্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শন। তেজপুরের দো পর্বতীয়ার উপরে বিষ্ণু ভৈরব, হরগৌরীর মূর্তি পাওয়া গিয়েছে।

প্রাচীন আসামের স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হল গোয়ালাপাড়ার সূর্য পাহাড়। যোগীঘোপা, ডেক ধোয়া, পঞ্চরত্ন প্রভৃতিতে পাওয়া বহু মন্দির ও দেবদেবীর মূর্তি অহোম যুগের পূর্বের বলে ধারণা করা হয়েছে। নবম ও দশম শতকের বলে অনুমান হওয়া কিছু সংখ্যক মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ শিবসাগরে পাওয়া গিয়েছে। গুয়াহাটির আমবাড়িতে বহু প্রাচীন ভাস্কর্য ও স্থাপত্যের নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। এইগুলিতে গুপ্তযুগের শিল্পকলার প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছে।

(খ) পর্যটকদের দৃষ্টিতে

প্রথম খণ্ড

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মধ্যযুগে আসামে আসা বৃটিশ পর্যটকের নাম লেখ।

উত্তরঃ রাম্ফ ফি।

প্রশ্ন ২। সিহাবুদ্দিন তালিস কে ছিলেন?

উত্তরঃ মিরজুমলার আসাম অভিযানে আগত কালানুক্রমিক বিবরণকারী।

প্রশ্ন ৩। রাল্ফ ফিটস্ কে ছিলেন?

উত্তরঃ ১৬ শতকে আসামে আগত যেসুইট মিশনারী।

প্রশ্ন ৪। নরনারায়ণ কে ছিলেন?

উত্তরঃ কোঁচ রাজ্যের রাজা।

প্রশ্ন ৫। রাল্ফ ফিস্ কোন্ কোঁচ রাজার কথা তাঁর বিবরণে উল্লেখ করেছেন?

উত্তরঃ শুকেল কাউস (শুক্ল কোঁচ বা শুক্লব্রজ)।

প্রশ্ন ৬। বঙ্গদেশের টান্দ্রা হতে কোঁচ দেশে আসতে রাল্ফ ফিল্য়ে কতদিন সময় লেগেছিল?

উত্তরঃ ২৫ দিন।

প্রশ্ন ৭। স্যার এডওয়ার্ড গেইট কে ছিলেন?

উত্তরঃ বিশিষ্ট ইংরেজ ইতিহাসবিদ।

প্রশ্ন ৮। A History of Assam গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তরঃ স্যার এডওয়ার্ড গেইট।

প্রশ্ন ৯। ‘ফাতিয়াহ-ই-ইব্রিয়াহ’ গ্রন্থের লেখক কে?

উত্তরঃ সিহাবুদ্দিন তালিস।

প্রশ্ন ১০। কোন্ যুদ্ধে অহোমগণ মোগলদের হাতে পরাজিত হয়েছিল?

উত্তরঃ খিলাধিঘাটের যুদ্ধে।

প্রশ্ন ১১। হাবজার মসজিদ কে নির্মাণ করেছিলেন?

উত্তরঃ গিয়াসুদ্দিন আউলিয়া।

প্রশ্ন ১২। রামসিং কে ছিলেন?

উত্তরঃ প্রখ্যাত মোগল সেনাপতি।

প্রশ্ন ১৩। আসামে ভক্তি আন্দোলনের পুরোধা কে ছিলেন?

উত্তরঃ শ্রীমন্ত শঙ্করদেব।

প্রশ্ন ১৪। শঙ্করদেব কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তরঃ ১৪৪৯ খ্রিস্টাব্দে।

প্রশ্ন ১৫। শঙ্করদেবের জন্মস্থান কোথায়?

উত্তরঃ নগাঁও জেলার আলিপুখুরী গ্রামে।

প্রশ্ন ১৬। নামঘোষা কে রচনা করেছিলেন?

উত্তরঃ শঙ্করদেব।

প্রশ্ন ১৭। মধ্যযুগে আসামের রাজধানী কোথায় ছিল?

উত্তরঃ গড়গাঁও-এ।

প্রশ্ন ১৮। গড়গাঁও-এ আসামের রাজধানী কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তরঃ অহোম রাজা চুক্লেন মুংগ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন ১। মধ্যযুগে আসামে আগত দুইজন পর্যটকের নাম লেখ।

উত্তরঃ মধ্যযুগে আসামে আগত দুইজন পর্যটক হলেন—

(ক) রাল্ফ ফিস্‌। এবং 

(খ) সিহাবুদ্দিন তালিস।

প্রশ্ন ২। আজান পিরের প্রকৃত নাম কি? তিনি কখন আসামে এসেছিলেন?

উত্তরঃ আজান পিরের প্রকৃত নাম ছিল শাহ মিলন। তিনি ১৭ শতকে আসামে আসেন।

প্রশ্ন ৩। মোগল সম্রাটের সেনাপতি রাজা রামসিংহের সঙ্গে আসামে আসা পাঁচজন পিরের নাম লেখ।

উত্তরঃ মোগল সম্রাটের সেনাপতি রাজা রামসিংহের সঙ্গে আসামে আসা পাঁচজন পির হলেন — শাহ আকবর, শাহ বাগমার, শাহ চারণ, শাহ সূফী ও শাহ কামাল।

প্রশ্ন ৪। ভক্তিবাদ বলতে কি বোঝ?

উত্তরঃ ঈশ্বরের প্রতি অগাধ প্রেম তথা ভক্তির উপর গুরুত্ব দিয়ে পণ্ডিতগণ যে মতবাদ সৃষ্টি করেছিলেন তাই হল ভক্তিবাদ।

প্রশ্ন ৫। সুফিবাদ কাকে বলে?

উত্তরঃ হিন্দুধর্মের ভক্তিবাদের মতো ইসলামেও এক উদারনৈতিক মতবাদ গড়ে উঠেছিল। তা ‘সুফিবাদ’ নামে পরিচিতি লাভ করে। সুফিবাদের মতে প্রেম ও ঐকান্তিক ভক্তির মাধ্যমে ভগবানকে লাভ করা যায়।

প্রশ্ন ৬। ভক্তি আন্দোলনের দুইজন ধর্মগুরুর নাম লেখ।

উত্তরঃ ভক্তি আন্দোলনের দুইজন ধর্মগুরুর নাম—

(ক) শ্রীচৈতন্যদেব। এবং 

(খ) শ্রীমন্ত শঙ্করদেব।

প্রশ্ন ৭। ‘কীর্তন’ ও ‘দশম’ ছাড়াও শংকরদেব রচিত গ্রন্থরাজির একটি তালিকা প্রস্তুত কর।

উত্তরঃ ‘কীর্তন’ ও ‘দশম’ ছাড়াও শঙ্করদেব রচিত গ্রন্থসমূহ হল— 

(ক) ভক্তিপ্রদীপ।

(খ) কালিয়দমন। 

(গ) রুক্মিনীহরণ। 

(ঘ) গুণমালা। 

(ঙ) পারিজাতহরণ।

(চ) হরিশ্চন্দ্র উপাখ্যান। 

(ছ) সিদ্ধসংবাদ। 

(জ) অনাদিপতন। 

(ঝ) কেলিগোপাল। 

(ঞ) রামবিজয়।

প্রশ্ন ৮। পিরপাল মাটি কি?

উত্তরঃ পিরগণের দরগা বা মসজিদসমূহের মাটি রাজা খাজনা হতে রেহাই দিয়েছিলেন। এইপ্রকার মাটিকে ‘পিরপাল মাটি’ বলা হত।

প্রশ্ন ৯। সাতসরী অসম বুরঞ্জীসমূহের নাম লেখ।

উত্তরঃ দেওধাই অসম বুরঞ্জী, শ্রীনাথ বেজবরুয়া বুরঞ্জী, তুঙ্গাখুঙ্গী বুরঞ্জী, কাশীনাথ তামুলী বুরঞ্জী, ফুকনের অসম বুরঞ্জী, কালিভারত বুরঞ্জী ও বেলিমার বুরঞ্জী।

প্রশ্ন ১০। চকরী ফেটি বুরঞ্জী’-র লেখক কে ছিলেন? কির্তিচন্দ্র বরবরুয়া এই বুরঞ্জীগুলি কেন ধ্বংস করেছিলেন?

উত্তরঃ ‘চকরী ফেটি বুরঞ্জী’-র লেখক হলেন নুমালী বরগোঁহাই।

কীর্তিচন্দ্র বরুয়া এটি ধ্বংস করেছিলেন কারণ তাঁকে নকল আহোম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

প্রশ্ন ১১। দরং রাজার পৃষ্ঠপোষকতায় এক নূতন শ্রেণীর রাজবংশাবলীর বা রাজকীয় কালানুক্রমিক বিবরণ লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। তাদের নাম লেখ।

উত্তরঃ বলদেব সূর্যখরি দৈবদত্ত, রতিকান্ত দ্বিজ এবং সূর্যদেব সিদ্ধান্তবাগীশ।

প্রশ্ন ১২। নরনারায়ণ তাঁর রাজ্যের সেনাপতি কাকে নিযুক্ত করেছিলেন? তিনি অন্য কোন্ নামে পরিচিত ছিলেন?

উত্তরঃ শুক্লধ্বজকে নরনারায়ণ তাঁর রাজ্যের সেনাপতি হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। তিনি চিলপাখির মতো ক্ষিপ্রগতিতে পদচারণা করতেন বলে তিনি চিলারায় নামেও পরিচিত ছিলেন।

প্রশ্ন ১৩। কোন্ মোগল সেনাপতির হাতে ও কোন্ যুদ্ধে অহোমগণ পরাজিত হয়েছিলেন?

উত্তরঃ মোগল সেনাপতি মিরজুমলার কাছে খিলাধিঘাটের যুদ্ধে অহোমগণ পরাজয় বরণ করেছিলেন।

প্রশ্ন ১৪। আজান পির কে ছিলেন? তাঁর দরগা কোথায় অবস্থিত?

Leave a Reply

error: Content is protected !!
Scroll to Top